Anulekhon.blogspot.com

Wednesday, 4 November 2020

যে দেশের জাতীয় কবি নজরুল, সেই দেশে ধর্মের নামে মানুষ খুন।


 আমি বাংলাদেশের দেশের কথা বলছি, বাংলাদেশ সৃষ্টির ইতিহাস আমরা সবাই জানি। শত শত বাঙালি হিন্দু রক্ত পাতের মধ্যে দিয়ে পূর্ব পাকিস্তানের জণ্ম, ভারতের স্বাধীনতার সময় দেশের দুই ধর্মের মানুষ কে দাঙ্গা লাগিয়ে দিয়ে ছিল কিছু ধর্মান্ধ মানুষ কেবল ক্ষমতা দখল করতে। আর ইংরেজ দের রাগ ছিল বাঙালি হিন্দু দের উপর। কারণ স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস ঘেঁটে দেখলে দেখা যাবে হাজার হাজার বাঙালি হিন্দু ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে অংশ গ্রহণ করে ছিল। ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের ভিত নাড়িয়ে দিয়ে ছিলেন রাসবিহারি বসু ও সুভাষ চন্দ্র বসুর নেতৃত্বে আজাদ হিন্দ ফৌজ এসব ইংরেজ শাসক কুল ভুলতে পারে নি। তাই তারা বার বার চেষ্টা করে গেছে এই বাংলার বুকে দাঙ্গা লাগানোর সফল হতে পারে নি, কিছু   বিচক্ষণ বাঙালির তৎপরতার জন্যে কিন্তু ১৯৪৬ সালে বাঙালি হিন্দু দের মধ্যেও কিছু মানুষ ক্ষমতা দখল করার জন্য, মুসলিম লীগের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে থাকে। কারণ তারা দেখে ছিল কলকাতা তথা বাংলার শাসক একজন মুসলিম এবং মানুষ কে বোঝাতে শুরু করেন দু বাংলা এক থাকলে কখনো হিন্দুরা বাংলার শাসক হতে পারবে না, অতএব বাংলা ভাগ করতে হবে। নানান উস্ককানি মুলক কাজ বা কথা বলে ১৯৪৬ সালের দাঙ্গা লাগিয়ে দেওয়া হল। বাঙালির রক্ত ক্ষয় শুরু হল, আর ১৯৪৭ ভারত ভাগের ইতিহাস সকলেই জানেন। বেশি ক্ষতি গ্রস্থ হয়েছিল ভারতের দুটি প্রদেশ পাঞ্জাব ও বাংংলা কারণ বাঙালি আর পঞ্জিবিরা বেশি সক্রিয় ভূমিকা নিয়ে ছিল ভারতের স্বাধীনতার আন্দোলনে। হোক লেখার বিষয়বস্তু আজ অন্য তবুও একটু ইতিহাস জেনে নেওয়া, আমরা এও জানি পূর্ব  পাকিস্তান পশ্চিম পাকিস্তানের থেকে স্বাধীন হয়ে বাংলাদেশ হয়েছে। এর পিছনেও তৎকালীন ভারত সরকারের সহযোগিতা ছিল। ভারত সরকার সাহায্য করে ছিল অন্য কারণে স্বাধীন বাংলাদেশে সকল ধর্মের মানুষ শান্তিতে বসবাস করবে উদ্বাস্তু হয়ে কেউ ভারতে আসবে না। ধর্মের নামে অশান্তি মিটে যাবে, কিন্তু না ধর্ম নিয়ে  বড়াই করা সভ্যতা নিয়ে  বড়াই করা সুসভ্য ইসলাম ধর্মের মানুষ বাংলা তথা বাংলাদেশ থেকে হিন্দু ধর্মের মানুষ কে উৎখাত করে ছাড়বে। সেই কারণেই গত ৭৫ বছর ধরে বিভিন্ন ভাবে অত্যাচার করে যাচ্ছে। নানান অজুহাতে নানান অছিলায়, জোর করে ধর্মের পরিবর্তন করতে বাধ্য করা হচ্ছে আবার ধর্ম পরিবর্তন করেও অত্যাচার বন্ধ হয়ে যাবে এর কোনো নিশ্চয়তা নেই। ধর্ম পরিবর্তন ও অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে দেশ ত্যাগ করে এদেশে চলে এসেছে অসংখ্য মানুষ। যার ফলে বাংলাদেশে হিন্দু ধর্মের লোকজন ৭৫ বছর আগে যা ছিল এখন কমে চার ভাগের এক ভাগ হয়ে গেছে। অধিকাংশ বাড়ি ঘর জমি জমা ওরা অর্থাৎ তথাকথিত সুসভ্য ধর্মের বা   শান্তির ধর্মের লোকজন এভাবেই দখল করে নিয়েছে। যা তারা ছ'শো ভারত শাসনের সময় করত লুটপাট সেটাই করে যাচ্ছে বাংলাদেশে প্রতিনিয়ত। এই ধর্মান্ধ   সম্পদ লোভী মানুষ কোন দিন নিজেকে ভারতীয় ভাবতে পারে নি। আজও পারে না, কারণ ভারতে অনেক ধর্মের মানুষ ভারত শাসন করেছে কিন্তু এই ভাবে নিজেকে ভারতের অন্য জাতির থেকে সরিয়ে নেয় নি বা জোর করে কিছু করে নি। ইতিহাসে পড়েছি নবাব সিরাজ দোল্লা ইংরেজ দের সাথে যুদ্ধ করে ছিলেন। সেই যুদ্ধে হেরে যান মিজাফরের বেইমানি তে মিরজাফরের সাথে ছিলেন জগৎ শেঠ সহ আরো অনেক কারণ সিরাজ ছিলেন অত্যাচারি, আর সেই কারণেই ক্ষমতা লোভী মিরজাফর যঢ়যন্ত্র করে ক্ষমতা দখল করে ছিলেন। কেবল ক্ষষমতা দখল সিরাজ কে হত্যা করে ছিলেন তার ছেলে মীরন। ক্ষমতা আর সম্পদের জন্যে এরা সব পারে। বাংলাদেশের সরকার তথা তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের স্বাধীনতা যুদ্ধের নেতা ভারতের সাহায্য নিয়ে ছিলেন, কেবল ক্ষমতা দখল করতে, কুর্সীর জন্য তিনি স্বাধীন বাংলাদেশ তৈরির পর খুব ভালো একটা ভাষণ দিয়ে ছিলেন শুনে   প্রাণ জুড়িয়ে যায়, কিন্তু অন্তরে অর্থাৎ মনে ছিল অন্য কথা, না ১৯৭১ সালের পর থেকে আজ পর্যন্ত এত হিন্দু নিধন যজ্ঞ হতো না। মন্দির ভাঙা হত না, মুর্তি ভাঙা অভিযান হতো না, হিন্দু দের.  সম্পত্তি লুট করে তাদের ঘর বাড়ি জ্বালান হত না। আর হিন্দু ধর্মের লোকজন কমত না, ধর্ম থাকত ধর্মের জায়গায়, ধর্মীয় শিক্ষা   শিক্ষার নামে কঠোর ভাবে অন্য ধর্মের মানুষের প্রতি   বিদ্বেষ ছড়ানো বন্ধ হয়ে যেত। সত্যি কার আধুনিক শিক্ষার ব্যবস্থা করা হতো, অন্য ধর্মের মেয়েরা গনমিতের মাল তাকে ভোগ করবে সবাই মিলে এসব ফরমান আসত না। আমি যদিও জানি না গনমিতের কথাটার অর্থ কী? আসলে ধর্ম শিক্ষার নামে কু শিক্ষা মানুষ মারার শিক্ষা দেওয়া হয়। উগ্ররপন্থী তৈরি করা এদের কাজ, গলার জোরে সরকারের সহযোগিতায় এরাই এক একজন বাংলার নবাব। ধর্মের সভা করে না কী যেন করে  আর একটি তাল.     ঠোকে ঠিক কিনা। আসলে সরকারের ইচ্ছা নেই এসব বন্ধ করার, আবার ঘটা করে স্বাধীনতার পর কাজী নজরুল ইসলাম কে নিজের দেশে নিয়ে গিয়ে বাসিন্দা করে নিয়ে ছিল, এবং ঐ মহান কবি কে জাতীয় কবি হিসেবে ঘোষণা করে ছিলেন। হায় রে বাংলাদেশ কাজী নজরুল ইসলামের সাম্যবাদীর কবিতা গুলো একবার পরে নিতে পারে। ঐ জাতের নামে বজ্জাতি সব জাত জালিয়াতি খেলছ জুয়া ।ছুঁলে পরে জাত যাবে জাত কি ছেলের হাতের মোয়া। আমার কৈফিয়ৎ কবিতায় ধর্মে নিয়ে লিখেছেন তিনি একমাত্র কবি অনেক শ্যামা সংগীত লিখেছেন। ওনার ভক্তি গীতি এখনও পুজোর প্যাণ্ডেলে বাজে, এ হেন মানুষ কে জাতীয় কবির মর্যাদা দেওয়া হয়েছে খুব ভালো কিন্তু তার আদর্শ কে বিসর্জন দিয়ে, এই কারনেই বলছি বাংলাদেশে যা হচ্ছে ইংরেজ সরকারের ইচ্ছা পূরণ হচ্ছে আজ সত্তর বছর ধরে, একটা জাতি অর্থাৎ বাঙালি হিন্দু জাতি কে ধ্বংস করে দিচ্ছে এই অশিক্ষিত অর্ধ   শিক্ষিত ধর্মান্ধ কিছু মানুষ। এদের মাতৃভাষা বাংলা বাংলায় বাস করে সব বাংলায় জণ্ম কর্ম সব কিন্ত আপনি কোনো দরকারে ওদের পাড়ার মধ্যে যান একটাই কথা বলে " বাঙালি ' এসেছে অর্থাৎ নিজের মাতৃভাষা বাংলা হলেও ও বাঙালি নয়। হিন্দুরা বাঙালি ও মুসলিম এই দের শিক্ষা এরা  এখনও এই দেশে থেকে নিজেকে বাঙালি ভাবে না। এই সবের জন্য দায়ী শিক্ষা ব্যবস্থা ধর্মীয় শিক্ষা যতদিন পারিবারিক হবে এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলো তথা মাদ্রাসা নামক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হবে। কারণ ঐ সব জায়গায় শেখায় তুমি মুসলিম ওরা বাঙালি আর অন্য ধর্মের প্রতি   বিদ্বেষ। ভারত সরকার বলুন আর বাংলাদেশের সরকার কেউ এসব বন্ধ করে না। সব কিছু কেই মদত দিয়ে আসছে স্বাধীনতার পর থেকেই, কারণ ভোটের জন্য ভোট চাই ভারতের ম্যারেজ ল আছে পরিবার পরিকল্পনা আইন আছে কেবল হিন্দু ধর্মের মানুষের জন্যে আর ইসলাম তথা মুসলিম দের তোয়াজ করার জন্য পাশাপাশি তাদের নিজস্ব আইন আছে মুসলিম ল বোর্ড  আছে। একের অধিক বিয়ে করতে পারে কয়েক শ সন্তানের জন্ম দিতে পারে। আধুনিক চিকিৎসা বা বিজ্ঞান মানে না, পোলিও খাওয়া নিয়ে কম সমস্যা এই ধর্মের মানুষ দের নিয়ে। কটা খবর বাইরে আসে বা কাগজে থাকে। আর উগ্ররপন্থী তৈরি করে মানুষ খুন করতে পারে। ভারতের কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা তুলে দেওয়া হয়েছে, ৩৭০ কি আমি জানি না কি হত ওটা দিয়ে জানি না কিন্তু সারা ভারতের জনগণের করের টাকায় ভর্তুকি দামে ওরা সব কিছু কম দামে পেত। আলাদা পতাকা ছিল, কি অদ্ভুত সুন্দর একটা ব্যবস্থা তাই আপনি আমি কর বা ট্যাক্স দিয়ে যাব আর  ওরা মানে কাশ্মীরের বাসিন্দা হলে    সে কম দামে অর্থাৎ ভর্তুকিতে সব পাবে দেশের অন্য স্থানে গিয়ে ওরা ব্যবসা করতে পারবে   থাকতে    পারবে কিন্তু আমি আপনি কাশ্মীর গিয়ে ঐ সুযোগ পাব না। অর্থাৎ আমাদের ট্যাক্স এর টাকায় ওরা মজা করে থাকবে আর ভারতের অন্য রাজ্যের কেউ গেলে শুনতে হবে এটা কাশ্মীর আপনার ভারত নয়। আর পাথর  ছুঁঁড়বে সেনাবাহীনির উপর হামলা করবে। সত্যিই আজব জাতি যাদের খাবে পরবে তাদের কেই মারবে। বাঙালি জাতির আজ এই দশা  হয়েছে বাংলাদেশের সরকার তথা কথিত লোক দেখানো বা    শোনানোর জন্য ভালো ভাষণ দেবে কিন্তু এই সব ধর্মান্ধ মানুষ কে কোন দিন কিছু বলবে না। কারণ সরকারি মদতেে এসব  ঘটনা ঘটেছে সরকার যদি তৎপর হয়ে এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিত, এবং কেবল ভাষণ বাজি না করে ধর্মের নামে কুু শিক্ষা কে বন্ধ করে দিতে পারত, সঠিক শিক্ষার ব্যবস্থা করে দিত, তাহলে বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম মত ধর্ম নিরপেক্ষ কবি যে  দেশের সেখাানে ধর্মের নামে মানুষ খুন বন্ধ হয়ে যেত। এরা যে কতটা সভ্য এবং এদের  ধর্ম যে কতটা মহান তা  এদের আচার আচরণে কাজে কর্মে আজ ৬ থেকে  ৭ শ বছর ধরে বাংলার মানুষ দেখে আসছে। শুভ বুদ্ধি সম্পন্ন মানুষ এবং রাষ্ট্র নায়ক দের উচিত এই দেশ কে বয়কট করা ।যারা ধর্মের নামে একটু অজুহাতে আজ ৭৫ বছর ধরে একটি জাতি কে শেষ করে দিল। সেই বাংলাদেশের তথাকথিত মুসলিম দের বয়কট করা উচিত। তবে আমি আশাাবাদী কারণ চীন সাহায্যের   ডালিনিয়ে হাজির হয়েছে, যারা ঘোর ইসলাম বিরোধী ওদিকেে পাকিস্তান কে তো গিলেে ফেলেছে আর এদিকে বাংলাদেশে অর্থাৎ ভারত  কে জব্দ করতে ভারতের পুরোনো ভুখণ্ড দখলের মতলব। আমি জানি চীন সূঁচ হয়ে ঢোকে আর ফাল হয়ে বেড়িয়ে আসে তাইওয়ান হংকং তিব্বত  হাড়েহাড়ে টের  পাচ্ছে নেপালও আছে যারা নিজেদের দেশ থেকে ইসলাম ধর্ম নির্মূল করতে  নেমেছে। সেই কারণেই আমি আশাবাদী কিছু বৎসর পরেই বাংলাদেশের মানুষ বুঝতে পারব  চীন কি জিনিস। আমি জানি যে যার মত তার তার ধর্ম পালন করবে, কারণ ধর্ম মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য  তৈরি
কখন মানুষ খুন করার বা অপরের উপর অত্যাচার করার জন্য নয়। 

No comments:

Post a Comment

বাঙালি ও বর্তমান ভারত।

 (ছবিটি নেট থেকে নেওয়া, একটি স্ক্রিনশট।) স্বাধীনতার পূর্বে ভারত কীরকম ছিল, ১৯৪৭ সালে ভাগ হওয়ার পর কেমন হয়েছে। কেন ভারত ভাগ করা হয়েছিল সে ...