সনাতন দর্শন ব্লগ থেকে জানা গিয়েছে ঘটনা টি গত ৪ - ৮ - ২০২০ ঘটেছে ।কেবল এটা এরকম হাজারো সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনার বিবরণ ঐ ব্লগে আছে। নিশ্চয়ই সব সত্য কারণ সাম্প্রতিক ফ্রান্স নিয়ে যে ঘটনা বাংলাদেশ ঘটেছে তা কারো কাছে অজানা নয়। আরও অনেক কিছু আছে ছোট খাটো ঘটনা প্রায় ঘটে সে গুলো সব সময় খবর হয় না। মুর্তি ভাঙা ওটা তো মামুলি ব্যপার। আসলে এগুলো হচ্ছে সম্পদ লুট করার জন্য অত্যাচার। বাংলাদেশ সৃষ্টির ইতিহাস অনেক লিখেছি, বাংলাদেশ, ভারত ভাগ হয়ে ছিল ধর্মের নামে। যারা ভারত ভাগ করে ছিলেন, তখন কার যে দলের লোকজন বেশি সক্রিয় ভূমিকা নিয়ে ছিল তারা আজ ভারত বর্ষের ক্ষমতা দখল করেছে। তৎকালীন কংগ্রেস নেতৃত্বও ক্ষমতা দখল করার জন্য এটা মেনে নিয়ে ছিলেন। যেহেতু ক্ষমতা দখল করে ছিল কংগ্রেস তার নেতৃত্বে সরকার তারা কিন্তু বুঝতে পেরেছিল ভারত বর্ষে বহুত্ব, নানা ধর্ম ও বর্ণের মানুষ এই ভারতে বাস করে সেই কারণেই ভারতের সংবিধানে ভারত কেএকটি ধর্ম নিরপেক্ষ দেশ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। যে কোন মানুষের তার নিজের নিজের ধর্ম পালনের বাধা নেই। ধর্ম কে মন্দিরে মসজিদে গুরুদোয়ায়, গীর্জায় আবদ্ধ করে দেওয়া হয় সরকারের তরফে। সেই সময় গান্ধীজিও চেষ্টা করে ছিলেন যাতে পূর্ব পাকিস্তানের হিন্দুদের উপর অত্যাচার না হয়। তারা যেন ভিটে মাটি ছেড়ে না চলে আসে, তিনি নোয়াখালী গিয়ে ছিলেন বোঝাতে সেখানে কী ঘটেছিল সে অনেকেই জানেন। তিনি পারেন নি কারণ যে মানুষ ধর্মের নামে মানুষ খুন করতে অভ্যস্ত তারা শোনেনি নীতি কথা যেন কাটাঘায়ে নুনের ছিটে পড়েছিল। পশ্চিম পাকিস্তান থেকে ট্রেন বোঝাই করে লাশ পাঠানো হয়েছিল। ধর্মের ভিত্তিতে ভাগ হয়ে যাওয়া একটা দেশ যে ধর্মের মানুষ মানুষকে মানুষ বলে মনে করে না। লুট পাট করে সম্পদ লুট মানুষ খুন এটাই যাদের ধর্ম তারা কখনো শান্তির কথা শোনে কখনো শোনে না। তাই ১৯৪৬ সাল থেকে চলে আসা বাংলার ধর্মের নামে মানুষ খুন এবং লুট পাট চলেছে, আমার মনে হয়েছে সেই কাজ আরো উস্কে দিয়েছে বর্তমান ভারত সরকার CAA করে, এবং তারা বা তাদের নেতৃত্ব ফলাও করে প্রচার করছে পাকিস্তান বাংলাদেশের সংখ্যালঘু মানুষ কে এদেশের নাগরিকের অধিকার দেওয়া হবে। আমার মনে হয় এই কারণে ওপার বাংলা এবং পাকিস্তানে হিন্দু ধর্মের লোকজন কে সুপরিকল্পিত অত্যাচার করা হচ্ছে। বাংলাদেশের ঐ তথাকথিত শান্তির ধর্মের লোকজন অত্যাচার করছে আর বলছে মালাউনরা দেশ ছেড়ে চলে যা। তোদের এদেশে স্থান নেই, বিষয়টি নিয়ে যারা বিজেপি বা CAA করে ভালো করেছেন বলছেন তারা একবার ভাবুন পাকিস্তান ও বাংলাদেশ সংখ্যালঘু হিন্দুরা এদেশে এল আপনার সরকার তাদের জন্য কোথায় থাকতে দেবে। আসামের মত নতুন জেলখানা ডিটেশন ক্যাম্প, যেখানে জেলের থেকেও অত্যাচার বেশি না খাইয়ে মেরে ফেলা হয় সেখানে এই আপনাদের ব্যবস্থা। দারুণ ভালো ব্যাপার, আর এপারের সংখ্যালঘু দের বলছেন ভয় নেই, কাউকে এদেশ ছেড়ে যেতে হবে না। এখনই এদেশের লোক সংখ্যা ১৩০ কোটি পার হয়ে গেছে, বিশ্ব ক্ষুধা তালিকায় স্থান হয়েছে সবার নীচে, আর বাংলাদেশ থেকে যত সংখ্যা লঘু আছে এনে নাগরিক করে দেবেন বলছেন। ক্ষমতা থাকলে দেখান বাংলাদেশ সরকারের সাথে কথা বলুন, বলুন এপারে যত সংখ্যালঘু আছে সব ওপার বাংলায় পাঠিয়ে দেব। বাংলাদেশের পুলিশ এবং বিচার ব্যবস্থা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর অত্যাচারে কিছু বলে না শাস্তি নেই, বিচার ব্যবস্থা সে বলার মত নয়, উল্টো টা করে সংখ্যালঘুরা নির্দোষ হলেও তাদের শাস্তি বিধান করে জানেন কত সংখ্যালঘু বিনা অপরাধে ঐ দেশের জেলে বন্দি আছে। এই কিছু দিন আগে এক আঠারো বছরের গায়ক খুন হয়েছে। উধোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপিয়ে দিতে ঐ দেশের পুলিশ ভীষণ ভালো পারে। হিন্দু দের অত্যাচার ওদের আনন্দ দেয়। আন্তর্জাতিক চাপ তৈরি করুন, যাতে বাংলাদেশ সরকার বাধ্য হয়ে এই অত্যাচার বন্ধ করতে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়। কারণ ৭৫ বছরের একটা জাতিকে শেষ করে দিল এই ইসলাম নামক দস্যুর দল, কত রকম ফিকির একটুতেই সুযোগ খোঁজে আর এই কারণেই বলছি, CAA হওয়ার পর বিভিন্ন অজুহাতে অত্যাচার আরও বেড়েছে।৭৫ বছর ধরে চলে আসা এই ধর্মের নামে সম্পদ লুট মানুষ খুন বন্ধ হোক। কারণ এ জাতি দাঙ্গা আপনাদের মত ক্ষমতা লোভী নেতা দের তৈরি। না হলে যেমন আছে তেমনি থাকতে দিন, মানুষের খাদ্য বাসস্থান দিতে পারবেন না, আবার লোক সংখ্যা বাড়াবেন বলছেন। আর যারা এদের কথায় ভুলে গেছেন তাদের বলছি এরা কিছু করবে না কেবল মানুষের মধ্যে ধর্মের নামে লড়াই লাগিয়ে দিয়ে ক্ষমতা দখল করতে চাইছে। আসামের অবস্থা দেখে চিন্তা করে এদের ভোট দেবেন, এই দল এবং রাজ্যের বর্তমান শাসক দলের নেতা মন্ত্রীরা পৃথিবীর এক নম্বর মিথ্যাবাদী। মিথ্যা কথা বলার জন্য নোবেল পুরস্কার থাকলে এরা আগে পেতে পারত।
Anulekhon.blogspot.com
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
বাঙালি ও বর্তমান ভারত।
(ছবিটি নেট থেকে নেওয়া, একটি স্ক্রিনশট।) স্বাধীনতার পূর্বে ভারত কীরকম ছিল, ১৯৪৭ সালে ভাগ হওয়ার পর কেমন হয়েছে। কেন ভারত ভাগ করা হয়েছিল সে ...

-
সরস্বতী পুজোর পদ্ধতি, পরপর যা করতে হবে।১)আচমন ২)বিষ্ণু স্মরণ ৩)স্বত্ত্বি বাচন ৪) স্বত্ত্বি সূক্ত ৫) সাক্ষ্য মন্ত্র ৬) বরণ ৭) সংকল্প ৮) স...
-
আমি এর আগে একটি ব্লগে লিখেছি, দুর্গা যষ্টী পূজার মন্ত্র ।এখানে বলি আমি পণ্ডিত নই, বিভিন্ন ধরনের বই পড়ে, আর দু একজন ব্রাহ্মণের সাথে কাজ ...
-
ছবি টি কীসের বা কোন প্রাণীর নিশ্চয়ই বলে দিতে হবে না। মানুষের প্রথম পোষ মানা প্রথম প্রাণী, হয়তো অনেকেই পড়ে বলবেন এবার নতুন কী এতো আমরা স...
No comments:
Post a Comment