Anulekhon.blogspot.com

Monday, 16 November 2020

সব কাজ অন লাইন, তবুও পড়ছে লম্বা লাইন।

 রেলের টিকিট অন লাইন, ( বর্তমান মহামারীর সময় বন্ধ আছে) কাটা যাবে, ব্যবস্থা আছে তবুও পড়ছে লম্বা লাইন ।কতগুলো কারণ এক স্টেশনের বা রেলের নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে এই টিকিট কাটতে হবে। কেউ প্লাটফর্ম বা রেলের জায়গায় দাঁড়িয়ে নিজের ফোনে, অন লাইনে এই টিকিট কাটতে পারে না। এবার লম্বা লাইন এ দাঁড়িয়ে কাউন্টারে পৌঁছে শুনতে হবে। লোকাল ইলেকট্রিক নেই, যেমন এই সেদিন ৯/ ১১ / 2020 সিঙ্গুর স্টেশনে সকাল ৯ টা থেকে বিকেল সাড়ে চারটে পর্যন্ত লোকাল ইলেকট্রিক ছিল না। ৯ /১১ /2020 এবং ১০/১১ / 2020 ছিল লকডাউনের সময় ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়, তার পরেও যাদের মাসিক, ত্রৈমাসিক, ষাণ্মাসিক, বাৎসরিক টিকিটের দিন গুলো যাতায়াত করতে পারে নি তাদের দিন সংখ্যা বাড়িয়ে দেওয়া। অর্থাৎ যার যতদিন বাকি ছিল ১১/১১ /2020 থেকে ততদিনের দিন সংখ্যা দেওয়া। দুর্ভাগ্য হলেও সত্য ৯/ ১১ / 2020 সকাল ৯ টা থেকে লোকাল ইলেকট্রিক না থাকার কারণে সে বন্ধ ছিল শুরু হয় বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ। আশ্চর্য ব্যাপার রেলওয়ের ইলেকট্রিক তাও লোকাল ইলেকট্রিক এর উপর নির্ভর করতে হয়। অথচ স্পেশাল ট্রেন চলাচল করেছে, স্টেশন মাস্টার এর ঘরে আলো জ্বলছে সব হয়েছে কেবল টিকিট আপডেট বন্ধ। আবার প্রায় দিনই কাছে পৌঁছে শুনতে হয়, সার্ভার ডাউন, লিঙ্ক নেই। অন লাইন হয়েও যদি লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয় তাহলে অন লাইন এ কি দরকার! এবার আসুন ব্যাঙ্কের কথায়, সিঙ্গুর ইউ বি আই ( বর্তমানে পাঞ্জাব ন্যাশনাল) মার্চ মাসে পাশ বই অপডেট বন্ধ হয়ে গিয়েছে, আজ পর্যন্ত মেশিন ঠিক করে নি। একটা মজার ব্যাপার আছে, ব্যাঙ্কের বাইরে সকাল ৯ টা থেকে লম্বা লাইন মানুষ গায়ে গায়ে দাঁড়িয়ে আছে, সংকীর্ণ রাস্তা তাতেই বিশাল লম্বা লাইন। ভেতরে ঢুকতে দিচ্ছে পাঁচ জন, সেখানে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে হচ্ছে। আর বাইরে শারীরিক দূরত্বের কোনো বালাই নেই, কেউ দেখার নেই। ঐ সংকীর্ণ রাস্তার পাশের দোকান দার বিরক্ত হয়ে যাচ্ছে, কিন্তু বৃদ্ধ মানুষ গুলোর মুখের দিকে তাকিয়ে কিছু বলতে পারে না। কি অদ্ভুত সুন্দর ব্যবস্থা, নীচে একটা এ টি এম আছে সেটা দীর্ঘ দিন বন্ধ এবং খারাপ করে রাখা হয়েছে। মনে হয় কোথাও বাতিল জিনিস সরিয়ে লাগানো হয়েছে। এই ব্যাঙ্কের একটা কাজ টাকা তোলা ও জমা করতে হলে ঘন্টার পর ঘন্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকাতে হবে। মানুষের অন্য সব কাজ ফেলে একটা দিন এই ব্যাঙ্কের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে তাও হবে কিনা সন্দেহ, ভেতরে ঢুকে শুনতে হবে লিঙ্ক নেই, কিম্বা আপনার বাবার জণ্ম শংসাপত্র নেই। এদের আবার অনেকে গোপন নিয়ম আছে আপনাকে ফিরিয়ে দেবার কয়েক ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে আপনি ভেতরে ঢুকে গেলেন, আপনার, K. Y. C দেওয়া নেই দিতে হবে অথচ ওরা যা কাগজ পত্র চেয়ে ছিল সব জমা করে ছিলেন, দেখে শুনে এমন একটা কিছু কাগজপত্রের কথা বলা হবে যা সেই মূহুর্তে বলে নি। এবার আপনি আবার পরের দিন সেই কাগজ নিয়ে গেলেন লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন ভাবছেন আজ টাকা জমা বা তোলা যাবে, কিন্তু না আপনি অনেক কষ্টে ভেতরে গিয়ে আবার একটা কাগজের কথা শুনবেন। আমার তো মনে হচ্ছে ব্যাঙ্ক ব্যবস্থা তুলে দেওয়ার জন্য এরা যথেষ্ট। এবার আসুন রেশন কার্ড, নিশ্চয়ই অনেকেরই অভিজ্ঞতা হয়েছে। সব অন লাইন করা যায়, কিন্তু অন লাইন সাইট টা খোলা যাবে না, সেখানে সাধারণ মানুষ যাতে ব্যবহার না করতে পারে তার ব্যবস্থাপনা করা আছে, হয়তো বা নকল হওয়ার হাত থেকে বাঁচতে, সে বাধ দিন, লাইনে দাঁড়িয়ে আপনি ভাবলেন আপনার কাজ হয়ে যাবে কিন্তু না একটা না একটা ঠিক খুঁত খুঁজে বের করা হবে। আর বর্তমানে আধার কার্ডের বাইরে এই রেশন কার্ড কোন কাজ করা যায় না। আরও অনেক কিছুই আছে নামে অন লাইন কিন্তু ঘন্টার পর ঘন্টা লাইন দিতে আপনাকে হবেই। 

No comments:

Post a Comment

বাঙালি ও বর্তমান ভারত।

 (ছবিটি নেট থেকে নেওয়া, একটি স্ক্রিনশট।) স্বাধীনতার পূর্বে ভারত কীরকম ছিল, ১৯৪৭ সালে ভাগ হওয়ার পর কেমন হয়েছে। কেন ভারত ভাগ করা হয়েছিল সে ...