Anulekhon.blogspot.com

Wednesday, 30 September 2020

ফেসবুক বন্ধু (শুভজিৎ চক্রবর্তী) মন্তব্য ( ইসলাম জিন্দাবাদ) এর উত্তর ।

প্রিয় বন্ধু শুভজিৎ, আপনি এর আগেও আমার একটা লেখায় মন্তব্য করে ছিলেন। সেটি ছিল আমার নিজের লেখা ধর্ম ও মানবতা নিয়ে, কীভাবে ধর্ম আজ রাজনৈতিক দলের অঙ্গ হয়ে যাচ্ছে, সেটা নিয়ে লেখাটি ছিল, আপনার সেখানে মন্তব্য ছিল আমি এই ব্লগের মাধ্যমে উত্তর দিয়ে ছিলাম, আজ আবার দেখলাম আপনি আমার শেয়ার করা বামপন্থী আন্দোলনের একটা ভিডিও ফুটেজ দেখে মন্তব্য করেছেন "ইসলাম জিন্দাবাদ" সেখানে কিছু জিজ্ঞাসা চিহ্ন আছে। আমার মনে হয় আপনাকে এটা বোঝান হয়েছে, বা আপনি চার পাশে শুনেছেন, কিছু দিন বা কিছু বছর পরে ইসলাম গোটা ভারত দখল করবে হিন্দু বা সনাতন ধর্মে বিশ্বাসী মানুষ থাকবে না। আপনার ঐ কথার চিন্তা যদি থাকে একটাই উত্তর আছে, দীর্ঘ 600 থেকে 700 বছর ভারত বর্ষ ইসলাম বা মুসলমানরা শাসন করেছে, সনাতন ধর্মের বিশ্বাসী মানুষ কিন্তু শেষ হয়ে যায়নি বরং এখনও ভারতে তারা সংখ্যা গরিষ্ঠ, দেশ ভাগ না হলেও তারা সংখ্যা গরিষ্ঠই থাকত, কিন্তু আপনার নেতারা নিজেদের স্বার্থ সিদ্ধি করতে তথা ক্ষমতা দখল করতে ধর্মের নামে দাঙ্গা লাগিয়েছে, দেশ ভাগের মত জঘন্য কাজ তারা করেছে যার ফল বাঙালি জাতি কে এখনও ভুগতে হচ্ছে।আমি যদি বলি ইসলাম ধর্ম বাড়ছে আপনার দলের নীতির জন্য বিশ্বাস হবে, ইসলাম ধর্মের লোকজন বেশি ভাগটা হলো ধার্মান্তরিত হিন্দু, যাদের তথা কথিত দলিত, হরিজন, তপশীল জাতি ইত্যাদি নানা নামে ডাকা হয় এর একটাই কারণ হিন্দু ধর্মের উচ্চ বর্ণের মানুষের অত্যাচার, কলেজ পড়ুয়া রোহিত ভেমুলার কথা মনে আছে সে কোন ধর্মের মানুষ ছিল বলতে পারেন! এই কিছু দিন আগে উত্তর প্রদেশের একটি খবর ছিল একজন নিম্ন বর্ণের মানুষ ঘোড়ায় চেপেছে বলে তার উপর অকথ্য অত্যাচার নেমে এসেছে। আপনি বাংলায় বসে এগুলো বুঝতে পারবেন না, কারণ পশ্চিমবঙ্গে 34 বছর বাম শাসন ছিল জাত পাত অনেকটাই কমে গেছে। একটু অন্য রাজ্যের খবর পড়ে দেখুন, দেখবেন এখনও প্রতি দিন কীভাবে নিম্ন বর্ণের মানুষ অত্যাচারের স্বীকার হচ্ছে। এই একটা খবর দেখুন উচ্চ বর্ণের মানুষ দ্বারা নিম্ন বর্ণের একটি মেয়ে ধর্ষিত হয়েছে, কোন বিচার নেই। যেমন পশ্চিমবঙ্গে ধর্ষণের বিচার নেই, সেই রকম। ছবি টি দিলাম।
এটা বলতে পারেন, ইসলাম ধর্মের অধিকাংশ মানুষ দেশের আইনের থেকে তাদের ধর্ম কে বড় মনে করে, কারণ তাদের ধর্মীয় শিক্ষা, আর মুসলিম শরিয়ত আইন, আমিও এসবের বিরুদ্ধে কারণ এক দেশ এক আইন, ধর্মের নামে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থাকবে কেন? কিন্তু দেখুন সংবিধান যখন তৈরি করা হয়েছে, তখন এবং দেশের ক্ষমতা লোভী লোক গুলো এই ব্যবস্থা করে গেছে, ক্ষমতা তাদের কাছে খুব দরকার ছিল সঠিক চিন্তা ছিল না। ধর্মের উগ্রতা সে সব ধর্মের মধ্যে আছে, তাদের ধারণা ধর্ম দিয়ে সব কিছু করা যাবে, কিন্তু দেখুন যখন কোন বড়ো বিপদ যেমন মহামারী, আধুনিক যুদ্ধ, কঠিন ব্যাধি, এসব এসে হাজির হয় তখন বিজ্ঞান এর উপর নির্ভর করতে হয়, থালা, ঘন্টা বাজিয়ে, মোমবাতি জ্বালিয়ে, ফানুস উড়িয়ে, ফুল ছড়িয়ে, গোমুত্র পান করে রোগ বা মহামারী প্রতিরোধ করা যায় না। শুনেছেন নাকি বামপন্থীরা কোন দিন পূজো করতে বারণ করেছে, বা সাধারণ মানুষ কে ধর্ম পালনে বাধা দিয়েছেন। যে যার ধর্ম সে তার মত পালন করতে পারে, এবার বলবেন বামপন্থী হলে ঠাকুর পুজো করা যাবে না, এরকম নির্দেশ কেউ বা কোন বামপন্থী নেতা বলেছেন বলে আমার জানা নেই, আমি একজন সামান্য সমর্থক মাত্র, আমি যতদূর জানি ভারত বর্ষ বিভিন্ন ভাষা ভাষির সাথে সাথে বিভিন্ন জাতি ধর্মের বাস এখানে এই গনতান্ত্রিক ব্যবস্থার মধ্যে দিয়ে মানুষের জন্য যতটুকু কাজ করা যায় সেই নীতি নিয়ে চলে এখান কার বামপন্থী দল গুলো, যেমন এই করোনা মহামারীর সময় কেরলের বাম সরকার সর্ব কিছু দিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে, ট্যাক্স ছাড়, বিদ্যুৎ বিল ছাড়, বাড়ি বাড়ি বিনামূল্য রেশন পৌঁছে দেওয়া আরও কত কি? আর আমাদের সরকার উল্টে বিদ্যুৎ মাশুল বাড়িয়ে দিয়েছে, আর রেশন সবাই কে দেবে বলে বাস্তবে দেখা যাচ্ছে হাতে গোনা শাসক দলের লোকজন পেল, তা এখনও বন্ধ হয়ে গেছে। যা যা ঘোষণা করা হয়েছে, সেটা পেতে হলে নেতা দের কাটমানি দিতে হবে। আর " ইসলাম জিন্দাবাদ" বলছেন, ইমাম ভাতা, মোয়াজ্জেম ভাতা, কে শুরু করেছে, আরেকটা জানেন, রাজ্যের ঐক্যশ্রী বলে একটা প্রকল্পের মাধ্যমে প্রথম শ্রেণী থেকে উচ্চ শিক্ষার পাঠরত সংখ্যালঘু ছাত্র ছাত্রীদের একটা টাকা দেওয়া হয়।পুরোহিত ভাতা দূর্গা পুজো করার টাকা, এগুলো কিন্তু বামেদের তৈরি করা নয়, আপনার দিদির তৈরি, আপনার দাদার দলের নতুন সহ সভাপতি মকুল রায়, "ইসলাম জিন্দাবাদ করতে গেছে, ছবি দিলাম দেখে নেবেন।
এনার এটাই কাজ ইনি যখন তৃণমূলে ছিলেন তখনও এই ভাবে ইসলাম জিন্দাবাদ করতে যেতেন, আর এখন এই রাজ্যে যে আজ বিজেপি কাল তৃণমূল, অর্থাৎ যেখানে গেলে বেশি চুরি করা যায় সে দিকে, জনগণের কোটি কোটি টাকা লুঠ হয়েছে, বাঙালির গায়ে আজ চোর নামের কলঙ্কের দাগ। এরা সেই, ইংরেজ আমলে, যারা ইংরেজ দের ঘুষ দিয়ে, নিজেদের কাজ তথা চুরি বজায় রাখাত সেই বাঙালি, আরেকটা ছবি দিয়ে শেষ করছি, পশ্চিমবঙ্গ থেকে মন্ত্রী করা হচ্ছে, ভোট পাবার জন্য তিনটি তিন জাতির লোক।

কি এর পরেও বলবেন বামপন্থীরা ইসলাম জিন্দাবাদ করে? ধর্ম যে যার মতো পালন করুন ধর্ম থাক ধর্মের জায়গায় আসুন ধর্মের চশমা খুলে, আসল সত্য নিয়ে নিজের সত্তা কে বাঁচিয়ে রাখি, যারা ধর্মের নামে মানুষে মানুষে হানাহানি লাগিয়ে দেয়,এবং ধর্মের নামে মানুষ খুন করে তাদের সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন করে দিই। আপনি আপনার মত ধর্ম পালন করুন, আমি আমার মতো, কারণ কোন বামপন্থী দল ধর্ম পালনে কোন দিন বাধা দেয় নি আজও দেবে না। আজ যুব সমাজের দাবি সব হাতে কাজ সব পেটে ভাত, সম কাজে সম বেতন, চাকরির বিজ্ঞাপন আছে চাকরি নেই এ জিনিস বন্ধ করতে হবে বন্ধু বেকার যুবক কাজ চায়, যে যার যোগ্যতা অনুযায়ী কাজ আপনিও নিশ্চয়ই তাই চান, ধর্মের চশমা খুলে, দেখুন দেখতে পাবেন আজ বাইশ টা রাজ্যে দাদার দল ক্ষমতায় আছে কোন রাজ্য সোনা দিয়ে মোড়া হয়নি। ত্রিপুরার দিকে দেখুন দেখবেন কি অবস্থা করেছে আপনার দাদার দল, এরা বাঙালি বিদ্বেষী, আর দিদির কথা না বলাই ভালো, পশ্চিমবঙ্গের বাঙালি জাতি আজ চোরের জাতিতে পরিনত করেছে এ বদনাম দূর করতে বাম ছাড়া বিকল্প নেই। কারণ চৌঁত্রিশ বছর রাজত্ব করেছে, আজ পর্যন্ত কোন নেতা মন্ত্রী কে সিবিআই জেলে বন্দি করতে পারে নি। এটাই আমার গর্ব কারণ আমি এমন একটা দলকে সমর্থন করি, যারা চোর নয়, মানুষের জন্য ভাবে, এই মহামারী কালে ক্ষমতায় না থেকেও নানা ভাবে সাহায্য করে যাচ্ছে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ কে আসুন আমরা সবাই এদের পাশে থাকি, অন্তত জোর গলায় বলতে পারবেন আমার নেতা মন্ত্রীরা চোর নয়। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। আবার মন্তব্য করবেন কেমন।

Tuesday, 29 September 2020

আজকের শাসকের সাথে, ভারতের ব্রিটিশ শাসনের কোনো তফাৎ নেই।

ব্রিটেনের মাটিতে 1600 সালে গঠিত ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি, রানি এলিজাবেথের অনুমতি নিয়ে এশিয়া তথা পূর্ব ভারতে ব্যবসা করার উদ্দেশ্যে আসেন 1608 সালে। মোগল সম্রাট এর অনুমতি নিয়ে পুর্ব ভারত তথা বাংলায় তারা ব্যবসা করতে আসে, এর কিছু বছর পর, ফ্রান্স ও ইংরেজ দের যুদ্ধ শুরু হয়ে ছিল, যে যুদ্ধ আট বছর ধরে চলে ছিল, তার প্রভাব ভারতেও পড়ে ছিল কারণ কেবল ইংরেজ না, ফরাসি পর্তুগীজ, ডাচ প্রভৃতি বিভিন্ন বণিকরা এদেশের মশলা ও অন্যান্য জিনিস নিজের দেশে নিয়ে গিয়ে বিক্রি করত। যাহোক ঐ যুদ্ধে কারণে নিজে দের নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে তারা ফোর্ট বা দূর্গ তৈরি করতে শুরু করে, যেটা বাংলার নবাব আলীবর্দি রুখে দেন। ইংরেজ গন থেমে থাকে নি গোপনে সৈন্য সংগ্রহ করতে থাকে এবং দূর্গ তৈরি করতে থাকে, এবার মুখোমুখি হন নবাব সিরাজদৌল্লার তখনও পরাজিত হন। দূর্গ তৈরি বন্ধ করে দেওয়া হয়, এবার শুরু হয় পলাশীর ষড়যন্ত্র, 1757 মিরাজাফর এর বেইমানি তে নবাব পরাজিত হন, ইংরেজ রা বাংলার নবাব কে কাট পুতুল এ পরিনত করে। এক এক করে ধ্বংস করে দিতে থাকে বাংলার কুটির শিল্প কৃষি ব্যবস্থা আদায় করা হয় দৈত কর এই দুই দিকের পেষণে অচিরেই বাংলায় দেখা দেয় দূর্ভিক্ষ যাকে 76 এর মন্বন্তর, কয়েক লক্ষ মানুষ না খেতে পেয়ে মারা যায়, দৈত শাসনের ফলে। ইংরেজরা দেওয়ানি লাভ করে, শুরু হয় কোম্পানি শাসন ব্যবস্থা।


অনেকেই ভাববেন এর সাথে বর্তমান শাসক দলের কি মিল? এসব ইতিহাস বলে কি দরকার, দেখুন বর্তমান কেন্দ্রীয় কি রাজ্য সরকার কাদের দ্বারা পরিচালিত শিল্পপতি দের টাকার জোরে ক্ষমতা, মনে আছে 2014 সালে বর্তমান কেন্দ্রীয় শাসক দল ক্ষমতায় আসার আগে বিজ্ঞাপন গুলো, দু দশ মিনিট পর পর টিভির পর্দায় ভেসে উঠত বিভিন্ন বিজ্ঞাপন, টাকা কারা দিয়ে ছিল বড়ো বড়ো শিল্পপতিরা, কিছু লোক কে দিয়ে ব্যবসা করার নামে ব্যাঙ্ক থেকে কোটি কোটি টাকা ঋণ করে দেওয়া হয়, সেই টাকা তারা এই প্রচার করতে কাজে লাগায় এর মধ্যে অনেক ঋণ খেলাপি দেশ ছেড়ে চলে গেছে, অনেকের ঋণ মুকুব করে দেওয়া হয়েছে। আর যারা দেশে এখনো আছে ব্যবসা করছে, তাদের খুশি করতে সমস্ত সরকারি লাভ জনক অলাভ জনক সংস্থাকে বিক্রি করে দিচ্ছে ঐ শিল্পপতি দের কাছে, তারা টাকা পাচ্ছেন কি করে আবার ব্যাঙ্ক ঋণ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। অর্থাৎ একবার ঋণ নিয়ে শোধ করে নি ঋণ মুকুব করে দেওয়া হয়েছে, আবার তাদের ঋণ দেওয়ার ব্যবস্থা ভাবা যায়। রেল যাতে দেউলিয়া হয়ে যায়, আর বাংলার মানুষ কে জব্দ করতে এখনও পর্যন্ত লোকাল ট্রেন চালু করার অনুমতি দেওয়া হয় নি। ৫ ম আনলক মানে সব কিছু খুলে দেওয়া হবে কেবল রেল মানে লোকাল ট্রেন বাদে, রেল কে যাতে ধ্বংস করে দেওয়া যায় এবং বিক্রি করতে সুবিধা হয়। সারা দেশে সব কিছু খোলার ব্যবস্থা করা হয়েছে, কেবল পশ্চিমবঙ্গের রেল তথা লোকাল ট্রেন বাদে, এর থেকে বোঝা যায় বিজেপি বাঙালি বিদ্বেষী।
ভবিষ্যতে এই বণিকের দল ঠিক করে দেবে দেশে কি চাষ হবে, দেশের মানুষ কাজ করতে পারবে কিনা, সব বেসরকারি মালিক দের কাছে বিক্রি করে দেওয়া হবে কেবল পার্লামেন্ট বাদে সেখানে বসে মন্ত্রীর দল লুডো খেলবে, কোটি কোটি টাকা দিয়ে নির্বাচিত সরকার তো বিনা টাকায় খাবে প্লেন চাপবে বিদেশ যাবে আর বড়ো বড়ো লেকচার দেবে। কারণ সরকারি চাকরি বলে কিছু থাকবে না, কেবল মাত্র এই মন্ত্রীরা আর সাংসদ থাকবে আর জনগণের করের টাকায় চর্ব্যচোষ্য ল্যাহ্য পেয়ে জনগণের ঘাড় ধরে বলবে তুই এদেশের নাগরিক নয়। কারণ ঐ শিল্পপতি দের ইচ্ছা করলে দেশটা বিক্রি করে দেবে, মানুষ হবে ক্রীতদাস, আসতে চলেছে দৈত শাসন ব্যবস্থা, এর পর দূর্ভিক্ষ। এতো গেলো এ দিক থেকে মিল, এবার বলি শাসন ব্যবস্থার মিল, আগেই বলেছি বাংলা সর্বদা ইংরেজ দের বিরুদ্ধে লড়াই করে গেছে, পাশে পাঞ্জাব কে পেয়েছে, ব্রিটিশ সরকার এই সব বিদ্রোহ দমন করতে বিভিন্ন ধরনের আইন করে ছিল, বিনা বিচারে আটক, কোন কারণ ছাড়াই বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে যেত পুলিশ এখনও ঐ রকম একটা কালা আইন তৈরি করেছে বিজেপি সরকার। আরেকটা মিল কিছুটা বলেছি, ব্রিটিশ সরকার ভারতের কুটির শিল্প কে ধ্বংস করে নিজের দেশের তৈরি বিলেতি জিনিস কিনতে বাধ্য করে ছিল, সে বস্ত্র শিল্প, রেশম শিল্প, আরও নানা ধরনের ছোট খাটো শিল্প, কৃষি নির্ভর শিল্প গুলো ধ্বংস করে দিয়েছিল। এই সরকার ও দেখুন সব ধ্বংস করে দিচ্ছে, দেশি শিল্প বলে কিছু থাকবে না, এমনকি প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা যাতে দেশের তৈরি করা হয়, তার জন্যে DRDO তাকে গবেষণা করতে না দিয়ে বিদেশ থেকে সব কিছু কেনা হচ্ছে। একটা উন্নত রাইফেল, সেটাও বিদেশ থেকে কেনা, অথচ দেশে গান এণ্ড শেল ফ্যাক্টরি আছে তাকে আধুনিকি করণ না করে বেচে দেওয়া হচ্ছে ঐ শিল্প পতি দের বিমান বন্দর, কি বলব আগে থেকেই ভারতে সিঙ্কোনা গাছের চাষ করা হত, যার থেকে ম্যালেরিয়ার ওষুধ তৈরি করা যায়, সে সব বন্ধ এখন চীন থেকে ওষুধ তৈরির কাঁচা মাল আসে। বেঙ্গল কেমিক্যাল বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। আর রাজ্যে যখন ক্ষমতা দখল করে বর্তমান শাসক সে তো চিপফাণ্ডের টাকা, সেও লুটের টাকা, জনগণ কে লুট করে সেই টাকা দিয়ে নতুন নতুন টিভি চ্যানেল খুলে বাম বিরোধী খবর করা, এবং কলকাতার সংবাদ মাধ্যমে প্রতি নিয়ত মিথ্যা সংবাদ করে রাজ্যের শিল্প সম্ভবনা কে শেষ করে দিয়ে ক্ষমতায় এলেন, কেন্দ্রীয় দাদা মিথ্যা কথা বলে ক্ষমতা দখল করলেন সেই রকম বাংলার শাসক দলের প্রধান ঝুড়ি ঝুড়ি মিথ্যা কথা বলে ক্ষমতা দখল করে ছিলেন। ইনি বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি প্রতিবাদ আন্দোলন করে ছিলেন কিন্তু ক্ষমতা এসে সে বিদ্যুতের ইউনিট প্রতি দাম দ্বিগুণেরো বেশি করে দিয়েছেন। এতো দাম কি খাব বলে আন্দোলন করে ছিলেন, ক্ষমতায় এসে চালের দাম দ্বিগুণ করে দিয়েছেন, এখন তো প্রায় তিন গুণ কারণ 2010 সালে ১২ টাকা কিল চাল এখন ৩৬ টাকা। বাকি নাই বা বললাম, নিজেদের বেতন ও কাটমানির প্রচুর ইনকাম, হ্যাঁ বলে রাখা ভাল ইনিও মাদার ডেয়ারি বিক্রি করে দিয়েছেন।নিজের এবং নেতা মন্ত্রী দের আয় সে তো ভাবা যাবে না, আর সাধারণ মানুষের আয় তলানিতে ঠেকেছে, তাতে কি 500 টাকা বছরে বা 1000 টাকা ভিক্ষা দিচ্ছে এই ভোট এসেছে এখন কল্পতরু দাদা দিদি দুই জনেই, উনি ভোটের আগে বার্ণ এণ্ড শেফ কোম্পানি জেশপ ডানলপ দৈনিক বসুমতি কাগজ আরও কিছু কারখানা অধিগ্রহণ করে চালাবেন বলে ছিলেন কিন্তু কিছু করেনি, উল্টে হিন্দ মোটর বন্ধ হয়ে গেছে, দাদা যেমন নিজের ঢাক নিজে বাজান ভাইয়ো ও বহিন বলে দিদিও তেমনি। আমি ভেবে পাই বাঙালির এত অধঃপতন হোল, বলছে দিদির বদলে দাদা কে ক্ষমতায় আনবে, আরে ভাই রোগ হলে যে থালা বাজাতে, হাসপাতালের মাথায় ফুল ছড়ায়, মোমবাতি জ্বালাতে বলে। যে দল গোমুত্র খেতে বলে, যে দল বাঙালি জাতি কে ধ্বংস করতে NPR, NRC, করে নাগরিক দেওয়ার নামে ডিটেশন ক্যাম্প করে রেখে দেবে, কি দুর্বিসহ যন্ত্রণা ভোগ করছে আসামের বাঙালিরা, সেখানে 19 লক্ষ্যের মধ্যে 15 লক্ষ্য হিন্দু বাঙালি এরা নাকি হিন্দু দের পক্ষে। বাঙালি ভেবে দেখুন, সত্যি মানুষ হয়ে থাকেন তাহলে বাংলায় দ্বিতীয় ইংরেজ তথা ইংরেজের পা চাটা কুত্তার দল কে ক্ষমতায় আনবেন না। আর যে দল এই অসভ্যের দল কে ডেকে আনছে, বাঙালি কে ভিক্ষারী বানিয়ে ছেড়ে দিচ্ছে সেই মানে বর্তমান শাসক দল তথা মা মাটি মানুষ এদের বাংলা থেকে তাড়ান। ক্ষমতায় আসুক বাম নতুন ভাবে নতুন ছেলে মেয়েদের হাত ধরে, তাই আগামী 2021 সাল বাংলা হোক লালে লাল। 

আমি আগেই লিখেছিলাম যে বিজেপি বাঙালি বিদ্বেষী।

আসলে আজ যে বিজেপি দল অতীতে এই দল তো বিজেপি ছিল না। এরা হিন্দু মহাসভার নামের একটি দলের অংশ, জন সংঘ, রাষ্ট্রীয় সংসেবক সংঘ, এরা নিজেদের হিন্দু ধর্মের অনুসারী বললেও আসলে হিন্দু ধর্ম বলে যে কোন ধর্ম নেই, সেটা ওরা জানে। মানুষ যে গুলো যুগ যুগ ধরে পালন করে আসছে সে গুলোই, শ্বাশত সনাতন। আদিম যুগ থেকে মানুষ বিভিন্ন পুজো করে আসছে, বৈদিক মন্ত্র উচ্চারণের মধ্যে দিয়ে, যজ্ঞ করে আসছে, তাদের বিভিন্ন নাম। আমি আগেই একবার লিখেছিলাম হিন্দি বলয়ের মানুষ বাঙালি বিদ্বেষী, বিশেষ করে বিজেপি কারণ বাংলা সর্বদা ব্রিটিশ সরকারে বিরুদ্ধে আন্দোলন করে গেছে। দেশ কে স্বাধীন করার জন্য, নিজেদের সর্ব শক্তি দিয়ে লড়াই করে গেছে। আর এই কারণেই বাংলা ভাগ এবং বাংলা ভাগ করার জন্য 1946 সালে ধর্মের নামে দাঙ্গা লাগানো হয়েছিল। বাঙালি এখনও বুঝতে পারছে না, বিজেপির সর্ব ভারতীয় নেতারা কখনো বাঙালি কে ভালো চোখে দেখে না। ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে আন্দোলন গুলো ভাবুন সাঁওতাল বিদ্রোহ, সন্ন্যাসী ফকির বিদ্রোহ, নীল বিদ্রোহ এবং সর্বোপরি যে সংগ্রাম কে অনেক ইতিহাস বিদ স্বাধীনতার প্রথম লড়াই বলে মনে করেন সেই সিপাহী বিদ্রোহ সেটাও শুরু হয়েছিল এই বাংলার মাটি থেকে। বাঙালি জাতির মেরুদন্ড ভাঙতে দেশ ভাগ সেই দেশ ভাগের মদত দাতা আমাদের হিন্দু বাঙালি ও শ্যমাপ্রসাদ মুখার্জি তাদের নেতা ছিলেন। পরে শ্যমাপ্রসাদ মুখার্জি বলে ছিলেন বাংলা ভাগ করা ভুল হয়েছে, তখন অনেক দেরি হয়ে গেছে। আজ যদি দুই বাংলা এক থাকত, হিন্দি ভাষা নয়, জাতীয় ভাষা বাংলা হতো কেবল ধর্মের নামে এক দল ক্ষমতা লোভী স্বার্থপর মানুষ আজও বাঙালি তথা সনাতন প্রথায় বিশ্বাস করে তাদের জীবন অতিষ্ঠ করে তুলেছে, বাংলাদেশ আজ হিন্দু শূন্য হতে চলেছে।যোগী আদিত্য নাথ, নাথ সম্প্রদায়ের মানুষ যারা নিরাকার ব্রহ্মে বিশ্বাস করে, নাথ সম্প্রদায়ের উপাসনালয় বা মন্দির আছে,পশ্চিমবঙ্গের উত্তরপাড়ার জিটি রোডের পাশে। এছাড়া উত্তর প্রদেশের এখন উত্তরাখণ্ড সেখান, এই সম্প্রদায় বেশি বাস করে, আশ্চর্য একটা বিষয় রাম, মন্দির হবে,শ্রীকৃষ্ণের মন্দির হবে শ্রীকৃষ্ণের জণ্মাষ্টমীর অনুষ্ঠান হবে অথচ রামের দ্বারা পুজিত মা অকাল বোধন হবে না। শরৎ কালে এই পূজা শুরু করে ছিলেন এক বাঙালি বারভুইয়াঁ, রাজা কংসবণিক। যাহোক এসব ধর্মের কথা বাদ দিন বিজেপি যে বাঙালি বিদ্বেষী সেটা আজ আরেকবার প্রমাণিত, না হলে বিশ্ব কবি ওদের কাছে সন্ত্রাসবাদী হয়। 

Sunday, 27 September 2020

27 /9/1907 বিপ্লবী ভগৎ সিং এর জণ্ম দিন।

27 শে সেপ্টেম্বর 1907 ভারত মায়ের বীবোর সন্তান ভগৎ সিং এর জণ্ম দিন । আমার এই ব্লগের মাধ্যমে এই বীর সন্তান কে শ্রদ্ধার্ঘ্য।
ইনি কেবল স্বাধীনতা যুদ্ধের বীর সৈনিক ছিলেন না, চেয়ে ছিলেন দেশের আপামর জনসাধারণের মুক্তি তথা স্বাধীনতা। মুষ্ঠিমেয় মানুষ দেশের সম্পদ ভোগ করবে আর গরীব খেটে খাওয়া মানুষ, কৃষক শ্রমিক একবেলা খেয়ে না খেতে পেয়ে মারা যাবে এটা ইনি মেনে নিতে পারেননি। চেয়ে ছিলেন সব মানুষের অর্থনৈতিক স্বাধীনতা, এক কথায় ভারতে বামপন্থী আন্দোলনের এক উজ্জ্বল ব্যক্তি এনাকে বাঁচাতে দেওয়া হয়নি, ইংরেজ এবং তৎকালীন ভারতের নরমপন্থী নেতারা কিছুতেই চরমপন্থী আন্দোলন কে সমর্থন করেনি কিন্তু সেদিনের পার্লামেন্টে বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে এক কালা আইন পাশ রুখে দিতে পেরেছিলেন। যে কালা আইন আজ সংখ্যার জোরে গায়ের জোরে ব্রিটিশদের পা চাটারা সংসদে পাশ করে নিচ্ছে, দেশ বিক্রির আইন, কেউ কিছু বলার নেই, বাধা দিলে জুটছে বিভিন্ন তকমা ও শাস্তি। আজকের শাসকের সাথে ব্রিটিশ সরকারের কোন পার্থক্য নেই। 

আগামী মার্চ 2021 পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সমস্ত নিয়োগ বন্ধ।

আজ একটা খবর ভীষণ ভাবে অন লাইন ঘুরছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সমস্ত নিয়োগ আগামী মার্চ 21 পর্যন্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, কারণ কোষাগারে টাকা নেই। আমি আপনি কি দেখছি বিগত কয়েক মাস ধরে বিভিন্ন চাকরির বা নিয়োগের বিজ্ঞাপন, আমার এর আগে লেখা ছিল যে নির্বাচন এলে এরকম নিয়োগের বিজ্ঞাপনে ছড়াছড়ি পড়ে যায় বাস্তবে দেখা মেলে না, যদি দেখা মিলত তাহলে প্রতিটি নির্বাচনের আগে যে হারে বিজ্ঞাপন দেখে যায় তাতে রাজ্যে বেকার সমস্যা অনেক কমে যেত, রাজ্যে এখন প্রায় পাঁচ লক্ষ পদ খালি, এছাড়া অনেক পদের বিলোপ ঘটানো হয়েছে। যদি নিয়োগ হতো তাহলে এই পাঁচ লক্ষ বেকার ছেলে মেয়ে চাকরি পেত, কিন্তু না ঐ বিজ্ঞাপনেই শেষ এখন বলছেন কোষাগারে টাকা নেই। অথচ দেখুন ক্লাব ও পুজো কমিটির গুলো কে টাকা দেওয়ার টাকা আছে, 37000 পুজো কমিটি কে 50000 টাকা করে দেওয়া হবে। কেবল টাকা নেই, সরকারি কর্মীদের ডিএ ও নতুন নিয়োগের ক্ষেত্রে। আগামী মার্চ 2021 পর্যন্ত সমস্ত রকম নিয়োগ বন্ধ করা হলো। সত্যই একটা সরকার চলছে বটে, গত 2012 সালে শেষ SSC হয়েছে, 2017 সালে প্রাথমিকের টেটের প্রশ্ন বাসের পেছন জানালা দিয়ে বাইরে পরে গেল তার পর কি হলো কেউ জানে না। কেবল রাজ্য না কেন্দ্রীয় সরকারের একই অবস্থা, শিক্ষিত বেকার ছেলে মেয়ে দের নিয়ে একটা মজা চলছে, আর চাকরি বিজ্ঞাপন এই রেল আর ডাক বিভাগের চাকরির জন্য কত বার বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে তার শেষ নেই, প্রতি বার বেকার ছেলে মেয়ে দের কাছ থেকে পরীক্ষা ফিস বাবদ সবথেকে কম 100 থেকে 500 টাকা করে নেওয়া হয়। এসব টাকা যাচ্ছে কোথায়, সব কি পার্টি ফাণ্ডে না নেতা মন্ত্রীদের পকেটে। এবার হিসেবে নেবার সময় এসেছে হিসেবে দিতেই হবে।

পশ্চিমবঙ্গরে এই সব কৃষি বিশেষজ্ঞ বা কৃষক দরদী দের 2006 থেকে দেখা যাচ্ছে।

ছবিটি ডেইলি হান্ট নিউজ সাইটে প্রকাশিত অন লাইন আনন্দ বাজার পত্রিকা থেকে নেওয়া। মনে পড়ছে 21 টি মাচা বেঁধে 2নং জাতীয় সড়কে বসে থাকার সময় এই সব কৃষি বিশেষজ্ঞ কেবল লকেট দিদি নয় আরও অনেক দিদি ছিলেন, কি সাম তরোয়াল দি, পাটকর দি, এই সব কৃষি বিশেষজ্ঞদের মধ্যে কেউ একজন বুঝিয়ে ছিলেন তিন ফসলি জমি কি করে হয়, নীচে মাটিতে একটা ফসল তার উপর মাচা, তার উপর মাচা এই ভাবে তিন ফসলি জমি ভাই এটা আমার কথা নয়, আমি গাছ বেঁচে থাকার জন্য সূর্যের আলো দরকার, আবার কেউ কেউ বলেন চাষিরা ঐ খানে এক বিঘা জমি থেকে 75 হাজার থেকে 1 লক্ষ টাকা লাভ করে এরকম জমি টাটার কারখানা করতে দিয়ে দিচ্ছে জোর করে চাষিদের কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া হয়েছে। আবার অনশন সূর্যালোক অনশন পর্দা বা ছাতার আড়ালে সূর্যের আলো পৌঁছতে পারে না সেখানে সব খাওয়া যায়। যাহোক ঐ অনশন মঞ্চেও দেখা গেছে, এনাকে। আপনি যখন বুঝতে পারছেন ভালো হবে তখন একজন মন্ত্রী ইস্তফা দিয়েছেন কেন? হোক লকেট দিদি আপনাকে একটা কথা জিজ্ঞাসা করি, আপনি চান সারদার টাকা গরীব মানুষ গুলো ফেরত পায়। গরীবের টাকা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে উপায় করা টাকা কষ্ট হচ্ছে না, যদি সত্যি আপনি চান তাহলে যাদের জেলে থাকার কথা তারা আপনার বর্তমান দলে কেন? আর সি বি আই তদন্তে এতো দেরি কেন কেন নারদা কেসে কোন তদন্ত হচ্ছে না, আপনি জানেন কি না জানেন না। যাক ওসব ছাড়ুন আপনি বলছেন কৃষি বিল নিয়ে ভুল বোঝানো হচ্ছে কৃষক কে, আমি জানতে চাইছি ওখানে কর্পোরেট সংস্থার সঙ্গে চুক্তি করে চাষ করার কথা আছে না, আর সেই ফসল সরাসরি ঐ সংস্থাকে বিক্রি করতে হবে। আচ্ছা দিদি আপনি ইতিহাস পড়েছেন, বাংলার নীল চাষের ইতিহাস প্রথম কিন্তু চাষিদের কাছে গিয়ে সাহেবের দল ভাল ব্যবহার করে তাদের জমিতে নীল চাষ করাত কোথাও কোথাও টাকাও দিত কিন্তু ধীরে ধীরে তাদের স্বরূপ বেড়িয়ে এলো নীল ভিন্ন অন্য চাষ করা যাবে না ঐ জমিতে জোর করে নীল চাষ, না বললে অত্যাচার। আপনি তো লেখা পড়া জানেন তাহলে দীনবন্ধু মিত্রের নীল দর্পণ নাটক একটু পড়ে নিন। ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিতে হয়, ইতিহাসের সেই অন্ধকার ময় অধ্যায় আবার ফিরে আসবে দিদি। টেলিকম সেক্টরে কি দেখলেন, বি এস এন এল কে বাধ দিয়ে 4G জন্য সুযোগ দেওয়া হল জিও কে প্রথমে বিনামূল্যে সিম কোথাও ঐ সিম কার্ড বিক্রি করা হলো টাকা নিয়ে।299 টাকা নেট ও ফ্রি কলের জন্য এবার এলো প্রাইম মেম্বার এরপর ঐ 299 টাকা 84 দিন এখন 599 টাকা 84 দিন হয়েছে। 299 টাকা আছে 28 দিনের জন্য, এখন সব থেকে জঘন্য নেটওয়ার্ক এই জিও। সব জায়গায় পাওয়া যাবে না, কিন্তু বি এস এন এল সর্বত্র আছে। আবার এ কথা লিখলাম কাল থেকে বি এস এন এলো বন্ধ করে দেবে আপনার সরকার। আমার সরকার মানে জনগণের ভোটে নির্বাচিত মুখে সবার সরকার কিন্তু বাস্তবে ঐ দুই শিল্পপতির সরকার কবির কথা মনে আছে দিদি বণিকে মানদণ্ড দেখা দিল রাজদণ্ড রূপে। এরপর ঐ দুই বণিক সব কিছু ঠিক করবে, দেশ শাসন করবে, আপনি তো শিক্ষিত মানুষ ভাবুন আমরা ভোট দিয়েছি যে চোদ্দটা পরিচয় পত্র দেখিয়ে সে গুলো নাগরিক প্রমান পত্র নয়, তাহলে আমি অবৈধ নাগরিক আর আমার মত অসংখ্য অবৈধ নাগরিকদের ভোটে নির্বাচিত সরকার বৈধ্য, কি দারুন না, যে পাসপোর্ট বিদেশে ভারতীয় নাগরিকের প্রমাণ পত্র সেই পাসপোর্ট দেখানোর পরেও বলছে তুমি ভারতীয় নাগরিক নয়। কারণ ঐ 14 টি পরিচয় পত্রের মধ্যে ঐ পাসপোর্ট একটা। বাঙালি একটা বাঙালি বিদ্বেষী দলে কি করে আছেন আমার জানা নেই, তবে দিদি আপনি চিন্তা করবেন না, আগামী তে আপনার পুরনো দল প্রায় সবটাই আপনার দলের হয়ে যাবে, 2021 যদি জগা খিচুড়ি হয় তবে দেখবেন আপনার সমর্থন নিয়ে দিদি আবার মুখ্যমন্ত্রী। ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন দিদি আপনার মঙ্গল কামনা করি কারণ আপনি আমার সাংসদ। 

Saturday, 26 September 2020

এবার পশ্চিমবঙ্গের রেল নিয়ে আন্দোলন শুরু করতে হবে।

রেল পশ্চিমবঙ্গের রেল নির্ভর মানুষ গুলো কে নিয়ে মজা করছে। দেশের সর্বত্র রেল পরিষেবা চালু করা হয়েছে কেবল পশ্চিমবঙ্গ বাধ। আমি জানি না, মাঝে মাঝে একটা করে নোটিশ মতো খবর এই অমুক দিন থেকে চালু করা হবে রেল, কখনো শুনি রাজ্য সরকার অনুমতি দিলে শুরু করা হবে পশ্চিমবঙ্গের শহরতলীর লোকাল ট্রেন। একবার ভেবে দেখুন কত হকার, ছোট খাটো আনাজ ব্যবসায়ী ফল ব্যবসায়ী কাছাকাছি স্টেশনে নেমে তাদের রুটি রুজি চলত আজ ছ মাসের কাছে তারা বসে সামনে বাঙালির বড়ো উৎসব এদের বাড়ির কচিকাঁচাদের মুখ গুলো ভাবুন। রেলের অফিসার তারা মোটা টাকা বেতন পাচ্ছেন, পশ্চিমবঙ্গের এই সব মানুষ গুলো কে নিয়ে মজা করছেন, আর ওদিকে রেল মন্ত্রী রেল বেচতে ব্যস্ত। এসবের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করতে হবে। প্রতিটি রেল আধিকারিকের বাড়ি ঘেরাও করতে হবে, এবং দাবি হবে তাদের বেতন থেকে এই সব মানুষ কে সাহায্য করতে হবে বা ক্ষতি পূরণ করতে দিতে। আর ঐ কোর্টের বিচারকের মত তারিখের পর তারিখ সুরাহা চাই, সব কিছু মেনে চালু করতে হবে রেল তথা শহরতলীর ট্রেন। 

নতুন গজিয়ে ওঠা অন লাইন সংবাদ পত্র কে আমার ব্লগের মাধ্যমে বলি।





ডেইলি হান্ট নিউজ সাইটে অনেক নতুন নতুন অন লাইন সংবাদ পত্র দেখা যাচ্ছে, অপরের খবর হোক বা নিজের খবর কে নানা ভাবে প্রকাশ করছে। এই একটি অন লাইন সংবাদ পত্র যারা বলছে, " বামেদের অজুহাত, কিছু হলেই, শুরু করে দেয় তাদের কীর্তন।" এই কটাক্ষ কীসের জন্য টাকার জন্য, কারণ বামেদের আন্দোলন গুলো কিন্তু সব মানুষের জন্য চাকরি না পাওয়া বেকার থেকে, খেটে খাওয়া শ্রমিক মজুর, সরকারি কর্মীদের সবার জন্য। কালকের আন্দোলন ছিল কৃষক দের জন্য, তোমার কাছে কীর্তন মনে হচ্ছে তুমি ইতিহাস পড়েছ, সেখানে নীল চাষের ব্যবস্থা কেমন ছিল পড়েছ। নীলকর সাহেব দের অত্যাচার কেমন ছিল জানতে হলে দীনবন্ধু মিত্রের "নীল দর্পণ" নাটক টি পড়ে নিতে হবে। আর বর্তমানে তোমার প্রিয় মোদীজি সরকার যে কৃষি বিল পাশ করেছে সেটাও কিছুটা ঐ রকম কৃষকের সাথে কর্পোরেট সংস্থার চুক্তি ভিত্তিক চাষ পদ্ধতি, ফসলের দাম ঠিক করে দেবে ঐ চুক্তি কারি সংস্থার মালিক তুমি হয়তো ভাব ওতে তোমার কি তোমার তো আর কৃষি জমি নেই, কৃষি জমি না থাকলেও বিপদ কারণ খাদ্য নিরাপত্তা থাকবে না। এসব তোমার ঐ গোবর মাথা আর গোমুত্র পান করা মাথা আর টাকার বিনিময়ে সংবাদ লেখা মাথায় ঢুকবে না। না হলে তুমি করোনা কালে বামেদের জনসেবা মুলক আন্দোলন এবং ক্ষুধার্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের মুখে অন্ন তুলে দেওয়া কাজ হারানো খেটে খাওয়া মানুষ গুলো কে সাহায্য করা এসব দেখতে পেতে। গোবর চোখের রেটিনাতে ভালো জমেছে ঐ জন্যে দেখতে পাচ্ছ না। বামেদের কীর্তন কিন্তু মানুষের ভালোর জন্য, আর 2006 সাল থেকে আজ পর্যন্ত চলে আসা রাজ্যের এক মাত্র যাত্রা পালা, " মা মাটি মানুষ" যদিও এই যাত্রা পালা লেখা হয়েছিল বাম আন্দোলন কে নিয়ে বিখ্যাত নাট্যকার ভৈরব গঙ্গোপাধ্যায় লিখেছেন এই যাত্রা পালা। আর সে সময় গ্রাম বাংলায় বেশ জনপ্রিয় হয়েছিল এই পালা। এই সাংবাদিক ভাই তাহলে রাজ্যের শাসক দল এই সেদিন কীসের একটা প্রতিষ্ঠা দিবস করল, গত 23 শে সেপ্টেম্বর সারাদিন মাইক বাজিয়ে কৃষি বিলের বিরোধীতা করে শেষে ভাষন দিয়ে শেষ হলো। সারাদিন মাংস ভাত খাওয়া হোলো, ওখানে মাংস ভাত খেতে পেয়েছিলে তাই ওটা কীর্তন বা অজুহাত নয়। সংবাদ লিখে ক টাকা পাও, নিশ্চয়ই ভালো টাকা পাও না উপায় করা পুণ্যের কাজ, টাকা যে ভাবে আসুক টাকার গায়ে তো লেখা নেই। ভালো থেক, আর বামেদের অজুহাত কিছু হলেই কীর্তন, এই কীর্তন গুলো একটু বেশি করে লিখতে বলছি। 

Friday, 25 September 2020

রাজ্যের যদি পালা বদল হয় তবে সেটা বাম দিকে।

রাজ্যে অনেকেই পালা বদল বলছেন, কিন্তু চাইছেন বর্তমানের B টিম ক্ষমতা দখল করুক। ধারণা পাল্টে ফেলুন দুটি ফুল এক, নেতারাও এক এক জন বলে চুরি করতে 75% আর 25% ভাগ করে নিতে। আরেকটা চুরি করেছিস জনগণের টাকা লুঠ করেছিস বেশ করেছিস আমার দলে আয় ওসব মাপ পারলে টাকা ছাপিয়ে তোকে দোব কেবল আমার ফাণ্ডে কিছু দিয়ে দিবি, রাজ্যে পালা যদি বদল করতে হয় নয়, পালা বদল করতেই হবে কারণ মা মাটি মানুষ যাত্রা পালা দেখতে দেখতে বিরক্ত হয়ে গেলাম এবার 2977 চাই। আমি যতটুকু শুনেছি, 1977 সালে সব বুথে এজেন্ট দিতে পারে নি, এরকম সন্ত্রাস সাধারণ মানুষ মুখে কিছু বলেননি কিন্তু ব্যালটে বলে দিয়েছিলেন। এই 2020 সালে বলছি আবার 1977 সালের পুনরাবৃত্তি চাই। পশ্চিমবঙ্গের পরিবর্তন চাই তবে সেটা হবে বাম দিকে। না হলে এই দূর্বিসহ জীবন যন্ত্রণা, চোখের সামনে দেখছি নেতা কর্মী, মন্ত্রী, দের আঙুল ফুলে কলাগাছ চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছি 10 বছরের মধ্যে ভাই ভাইপো ভাইঝি দের উন্নয়ন। অনেকে হয়েছে আর নয়, যাদের চোর বলে ধরবে বলে জনগণের টাকা খরচ করে কমিশন গঠন করা হলো তারা কেউ ধরা পড়েনি উল্টে, কারা জেলে গেল, এবং কিছু বাঁচাতে নতুন দলে গিয়ে ভীড়ে গেল সব অপরাধ মাপ হয়ে গেল এদের কাউকেই, ক্ষমতায় আনা যাবে না চাই বাম সরকার। 

SAT দিয়েছে রায়, আনন্দে দু বাহু তুলে নাচ।

ওহে সরকারি কর্মী, এই নিয়ে কতবার হলো, যে সরকার সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে সমকাজে সম বেতন দেয় না, কিন্তু কারখানা ভেঙে জমি ফেরত দিতে যায়। সুপ্রিম কোর্টের রায় ছিল, সিঙ্গুরের জমি কৃষক দের ফেরত দিতে হবে সাথে সাথে কারখানার পরিত্যক্ত সেড ভেঙে পাঁচিল ভেঙে জমি দখল আর ফেরত দিতে উঠে পরে লেগে গেল সরকার আর তার সাঙ্গ পাঙ্গরা, কিন্তু কেন ওই জমিতে সর্ষে চাষ করার জন্য না দাদা এর মধ্যে রহস্য অনেক, কত টিন কত লোহার বিম আর পাঁচিলের ইঁট গুলো গোটা হলে যা এল তা কম নয়।
বাদ দিন ওসব কথা কি লিখতে কি লিখছি আসলে ওটা সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ ছিল, টাকার গন্ধ ছিল তাড়াতাড়ি ভেঙে জমিতে সর্ষে চাষ হয়ে গেল। সেই সর্ষের তেল চপ কারখানার কাজে লাগল, আরে মশাই এ সরকার এবং এদের সাঙ্গ পাঙ্গরা কোর্টের রায় তখনই মানে যখন টাকার গন্ধ ভালো আছে, পুজো কমিটির টাকা কমিশন আছে ভাই ভাইপো ভাইঝি দের সামনে ভোট মদ মাংস চাইত, কি কিছু বুঝলেন,যেখানে কমিশন কাটমানি পাওয়া যাবে সেখানেই টাকার সে সব কিছুর জন্য টাকার বরাদ্দ আছে কেবল সরকারি কর্মীদের D. A দেওয়ার জন্য টাকা নেই। যতই আনন্দ কর রায় দিয়েছে SAT আগামী 16 ই ডিসেম্বরের মধ্যে বকেয়া D. A দিতে হবে। এখন প্রশ্ন কোন বকেয়া ডিএ পুরোনো দিনের না কেন্দ্রীয় সরকারের নতুন পে কমিশনের পর যে ডিএ ঘোষণা করেছে সেই ডিএ! খুব আনন্দিত অনেক টাকা বাড়বে আমি বলছি এ সরকার একটাও ডিএ দেবে না। এরা যদি ডিএর টাকা থেকে কাটমানি পেত তাহলে এখুনি ঘোষণা হয়ে যেত। তাছাড়া এই সরকার কোর্ট এর রায় মানে না, আর কোথায় SAT, ও দাদা এ বামফ্রন্ট সরকার নয় ডিএ এর জন্যে রাইটার্স বা মহাকরণে চেয়ার ভেঙে পার পাবে সোজা 600 কিলোমিটার দূরে বদলি, নয়তো অন্য ব্যবস্থা। ডিএ হচ্ছে খুড়োর কল প্রতি নির্বাচনের আগে একবার করে রায় হবে এই দেবে এই দেবে, আর নির্বাচনে সরকারি কর্মীদের এক অংশ ঢালাও প্রশংসা করে ভোট দিয়ে দেবে কারণ তারা জানে ডিএ এর টাকা বাম সরকার খেয়ে ফেলেছে। যদিও তাদের একজন ও চুরির দায়ে জেলে যায়নি। আনন্দ করুন দু হাত তুলে নাচুন আর কাগজ গুলো আর অন লাইন সংবাদ মাধ্যমে সর্বত্র ধুমধাম করে খবর প্রচার হবে, এই SAT রায় দিয়েছে এই হাইকোর্ট রায় দিয়েছে ডিএ দিতে, আসলে ওটা হচ্ছে সুন্দর গন্ধ যুক্ত খাবার নাকের সামনে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। এসব কেন বলছি বা লিখছি জানেন, পে কমিশন নিয়ে প্রতারণা করছে এই সরকার এই প্রথম ডিএ, এবং বকেয়া ছাড়া পে কমিশন, বাড়ি ভাড়া ভাতা 3% কম দিয়ে সেই টাকা ইনক্রিমেন্ট হচ্ছে, বছরের পর বছর ডিএ নেই হাজার টাকা বেতন কম পাচ্ছে তবুও এক শ্রেণীর সরকারি কর্মী এবং শিক্ষকদের দল দিদির জয় বলে যাচ্ছে না হলে দাদার জয় চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছে, ত্রিপুরা তে সরকারি কর্মীদের অবস্থা খারাপ করে দিয়েছ, সেও ক্ষমতায় এসে পে কমিশন দেবে বেকারের কর্ম সংস্থান হবে কত প্রতিশ্রুতি আর বামপন্থী দের মার আর কেস দেওয়া একই পশ্চিমবঙ্গ আর ত্রিপুরার সরকারের সব রকম মিল আছে তবুও আমি দেখেছি এক দল কর্মী দিদি দেয়নি দাদার দেবে, একবারও বলছে না বাম আমলে বছরে দুবার ডিএ পশ্চিমবঙ্গ সরকারি কর্মীদের পাঁচ পাঁচটি বেতন কমিশন হাউজরেন্ট কম করেনি, পেনশন প্রাপক দের পেনশন যাতে কম পায় তার ব্যবস্থাপনা করেনি। লাখ লাখ টাকা নিজেদের বেতন বাড়িয়ে নেন নি, তবুও বামেরা খারাপ কারণ কি? 

বিদ্যাসাগর ( ঈশ্বর চন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়) আজ এই মহান মানুষ টির জণ্ম দিন।

আজ 26 শে সেপ্টেম্বর বাঙালির গর্বের দিন। বাংলা ভাষা তথা বাংলা বর্ণ মালার আধুনিক রূপকার এবং বাংলা ভাষা কে সহজ সরল করে সাধারণ মানুষের বোঝার উপযোগী করে তোলা, এই মহান মানুষ টির মহান কাজ। শিশু শিক্ষা কে সহজ সরল করে তুলতে লিখে ছিলেন বর্ণ পরিচয় প্রথম ও দ্বিতীয় ভাগ যা আজও শিশুদের বাড়িতে পড়ানোর জন্য নেওয়া হয়। আর বর্ণ পরিচয় পড়েনি এরকম বাঙালি খুঁজে পাওয়া ভার। শুধু কি তাই, শিক্ষা প্রসারে আজীবন ব্রতী এই মানুষ টি ছিলেন তৎকালীন সময়ের সমাজ সংস্কারক বিশেষ করে মেয়েদের শিক্ষার জন্য তিনি অনেক বিদ্যালয় তৈরি করে ছিলেন এবং নিজের টাকা থেকে সেই সব বিদ্যালয়ের খরচ মেটাতেন। নিজে সোনার চামচ মুখে নিয়ে জণ্ম গ্রহণ করেন নি বহু কষ্টে তিনি নিজে কে প্রতিষ্ঠিত করে ছিলেন, পরবর্তীতে তিনি গরীবের ভগবান তাদের কাছে ছিলেন দয়ার সাগর। গরীবের চিকিৎসা করবেন বলে হোমিওপ্যাথি শিখে ছিলেন। এই মহান মানুষ টির আজ জণ্ম দিন, তিনি জণ্ম গ্রহণ করে ছিলেন মেদিনীপুরের বীরসিংহ গ্রামে ওটি ছিল তাঁর বাবার মামার বাড়ি বিদ্যাসাগর মহাশয়ের আসল বাড়ি ছিল চাঁপাডাঙ্গার কাছে বনমালিপুর গ্রামে। সমাজ সংস্কারক মানব দরদী এই মহান মানুষ টির 201 তম জন্মদিনে জানাই সশ্রদ্ধ প্রণাম। আসুন এই মহান মানুষ টির আদর্শের সবটা না হোক কিছুটাও পালন করে নিজের মনুষ্যত্বের পরিচয় দিই। বাঙালি জাতিকে শিক্ষিত করে তুলতে এনার অবদান অনস্বীকার্য সেই জন্যই আমরা মনে হয় এনাকে আমাদের শিক্ষার গুরুদেব বলে থাকি। বর্তমান কঠিন পরিস্থিতিতে দেশের সরকার শিক্ষা ব্যবস্থা কে সংকুচিত করে নগন মানুষের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে চাইছে। আরেক দল গোঁড়া ধর্মীয় শিক্ষায় আবদ্ধ থেকে ক্রমশ বাঙালি জাতি কে পিছনে ঠেলে দিচ্ছে, তাবিজ, জলপড়া খেয়ে রোগ সারাবার ব্যবস্থা ঝাড়ফুঁকে রোগ সারবে এ প্রচারে ব্যস্ত। আর ধর্মের দোহাই দিয়ে লাগাতার সন্তান জন্ম দিয়ে চলেছে দেশের লোক সংখ্যা বাড়িয়ে চলেছে এদের কাছে ধর্মের থেকে বড় আর কিছু না। দেশের আইন ও বিচার ব্যবস্থা কোন কিছু কে এরা পরোয়া করে না। প্রতিনিয়ত অসামাজিক কাজকর্ম করে করে বাঙালি জাতি কে অন্ধকারে ঠেলে দিচ্ছে এই সব ধর্মান্ধ জাতি আর দেশের প্রতিটি সরকার সে রাজ্য সরকার হোক কিংবা কেন্দ্র ধর্মের জিগির তুলে শিক্ষা ব্যবস্থা কে ধ্বংস করতে চাইছে, ভোট এই সব রাজনৈতিক দলের কাছে বড়ো বেশি বালাই ক্ষমতা চাই আর ক্ষমতায় এলেই টাকা লুঠ করা যায়, এই যখন বর্তমান নেতা মন্ত্রী ছোট খাটো নেতা কর্মীরা সকলে জানে সেই কারণেই সামান্য পঞ্চায়েত নির্বাচনেও দাঙ্গা করে জেতা। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা আজ ধ্বংসের মুখে আসুন আজ এই মহান মানুষ টির জণ্ম দিনে শপথ নিই আমরা শিক্ষা কে ধ্বংস করার চক্রান্ত রুখব। আধুনিক শিক্ষায় সমাজের প্রতিটি মানুষ যাতে শিক্ষিত হয় সে চেষ্টা করে যাব। যারা ধর্ম কে বড়ো বলে মনে করে তারা চায় না মানুষ সঠিক শিক্ষা পাক সকল মানুষ শিক্ষা পাক কারণ তারা জানে শিক্ষা আনে চেতনা, সঠিক শিক্ষা নিজের অধিকার বুঝে নিতে চায়, আর ধরে ফেলে অপরের চালাকি নেতা মন্ত্রী রাজনৈতিক দলের চুরি বাটপারি সেই কারণেই আজ শিক্ষা ক্ষেত্রে এত আক্রমণ। অথচ বাঙালি জাতিকে অন্ধকার থেকে আলোয় আনতে এনার মত মহান পুরুষ শিক্ষার প্রসার ঘটাতে সারা জীবন সচেষ্ট ছিলেন। তাই আজ শপথ নেওয়ার, নেতা মন্ত্রী দের কুট চালে বা কু নীতির জন্য যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে সে গুলো কে আমরা রক্ষা করব। সব শেষে এই মহান মানুষ টির জণ্ম দিন আবার ও সশ্রদ্ধ প্রণাম জানিয়ে শেষ করছি।

Thursday, 24 September 2020

হাজার কোটি এ আবার বেশি কিছু?

কেষ্টর হাজার কোটি আরে যিনি বলছেন তিনি 20 লক্ষ টাকা ধার দিয়েছেন যে এক কথায় 20 লক্ষ টাকা ধার দিলেন তার ইনকাম কত? আরে এসব তো সিঙ্গুরে 21 টা মঞ্চ বেঁধে 23 দিন বসে থেকে কলকাতায় দিনে উপোস রাতে ভঙ্গ তখন থেকেই আসতে শুরু করেছে টাকা। কেবল কেষ্টর দেখলে হবে, আরেক মাছ বিক্রেতা এখন প্রায় কয়েক কোটি টাকার মালিক প্রবাদ আছে মরা হাতি লাখ টাকা, এর ক্ষেত্রে উল্টো মরা মেয়ে কোটি টাকা।সেও ঝুড়িতে মাছ নিয়ে পাড়ায় পাড়ায় ঘুরে বিক্রি করত। 2011 সালের পর থেকে অনেক ওরকম কেষ্ট বিষ্টু বেড়েছে, কেবল কষ্ট করলেই দোষ খবর করতে হবে। এরা দলের সম্পদ আর টাকা না থাকলে উন্নয়ন রাস্তায় দাঁড়ায় কি করে? মদ মাংস আসবে কোথা থেকে? এই তো কিসের একটা প্রতিষ্ঠা দিবসে সকাল থেকে মদ মাংসের পিকনিক বিকেলে ভাষণ আর না খেতে দিলে লোক আসবে কেন? এই করোনার সময় ঘন ঘন মানুষ কে ওরকম ভালো মন্দ খাওয়ার দিতে হবে না হলে পুষ্টি হবে কি করে? সামনে নির্বাচন খরচ আছে না, সাংবাদিকের কাজ নেই, কেষ্ট, বিষ্টু দের টাকা খোঁজে এখন রাজ্যে ঝাঁটা দিয়ে ঝাঁড় দিলে ওরকম হাজার কোটি টাকার মালিক বেড়িয়ে পড়বে। টাকা যেখান থেকে আসুক তার গায়ে তো লেখা নেই কোথা থেকে এসেছে। আর এর জন্য নির্বাচন জেতা, আর টাকার জোরে ক্ষমতা দেখলে না জেলা জজ না মহকুমার কোন ম্যাজিস্ট্রেট পার্টি অফিসে চলে এলো এসব বাম আমলে ছিল। সাংবাদিকদের বলছি একদম নজর দেবেন না, এসব কেষ্ট বিষ্টু সিষ্টু মিষ্টু অষ্টু আরও অনেকেই আছে বলে অনেকে মাঝে মাঝে মদ মাংস খেতে পাচ্ছে। পুলিশ সে যদি কথা না শোনে তাহলে বোমা মেরে মেরে দেবে দেখলে কি সাম চক্রবর্তী না কি গত কয়েক বছর আগে মেরে দেওয়া হয়েছে। যে গেল সে গেল তার মায়ের কোল খালি হলো ওতে কি? একটা মৃত মানুষের প্রাণ ফিরিয়ে দিতে পারে না কিন্তু প্রাণ কেড়ে নিতে পারে এটাই ক্ষমতা তাও পুলিশের সেই জন্যই পুলিশ ___! 

গত 2006 থেকে চলে আসা যাত্রা পালা একুশের নির্বাচনে যবনিকা পড়ুক।

2006 অনেক আশা অনেক প্রতিশ্রুতি স্বপ্ন নিয়ে সিঙ্গুর কে ধ্বংস করে শুরু হয়েছিল, মা মাটি মানুষ যাত্রা পালা। আজ দশ বছর হতে চলল, একবার ভেবে দেখুন যত প্রতিশ্রুতি, ছিল একটা পুরণ হয়েছে। শিল্প হবে ছ শ একরে হয়নি, একজন শিল্পপতি আসেনি। দু লক্ষ বেকারের চাকরি বছরে চাকরি হয়েছে ঘুষ দিয়ে যে ঘুষ দিতে পারে নি তার নাম চাকরি পাওয়ার তালিকাতে থেকেও চাকরি পায় নি পরিবর্তে অনশন করতে হয়েছে সেখানে এক সন্তান সম্ভবা মা তার গর্ভের সন্তান হারিয়েছে তাতেও এই সরকার তাদের চাকরি দেয়নি। কেবল প্রতারণা আর মিথ্যে কথার ফুলঝুড়ি, সরকারি কর্মীদের ডি এ নিয়ে কম নাটক চলছে, নিয়োগ হয়েছে, 2000 থেকে 10000 টাকা বেতনের কর্মী আর নিজের বেতন বললেন এক টাকাও লাগবে না অথচ দেখুন সব থেকে বেশি বেতন নেন একজন মন্ত্রী এম এল এ। আর সারদা কেলেঙ্কারি সে নাই বা বললাম, ও বাঙালি জাতির গায়ে কলঙ্কের দাগ,বাঙালি চোর মিথ্যাবাদী খুনি। আর দলটির বর্তমান অবস্থা দেখুন, জেল ফেরত আসামি চরিত্রহীন খুনি তোলাবাজ চিটিংবাজ দের দলের বড়ো বড়ো পদে বসিয়ে দিয়েছে। যদি শিক্ষিত মানুষ হন এবং শিক্ষা যদি সঠিক হয় তাহলে বাংলার ইতিহাস দেখুন এ রকম শাসক আগে দেখেছেন! ডাঃ বিধান রায়, থেকেই সিদ্ধার্থ শঙ্কর রায়, জ্যোতি বসু, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য মাঝে আরও কয়েক জন ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী কাউকে চোরের জন্য মিছিল করতে দেখেছেন, না কারো বিরুদ্ধে সি বি আই তদন্ত হয়েছে, ঐ সব মুখ্যমন্ত্রী এত বড় মিথ্যাবাদী ছিল! দেখা যাচ্ছে ক্যামেরাতে টাকা নিচ্ছে , দেখা যাচ্ছে মানুষ কে ভোট দিতে দিচ্ছে না উন্নয়ন বোমা পিস্তল নিয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছে যার কথায় পুলিশ কে বোম মেরে মেরে ফেলা হল। তাকে শাস্তি না দিয়ে যত্ন করে দলে রেখে দিয়েছে, গোটা দলটি তো চোর গুণ্ডা চিটিংবাজে ভরা যে 75% দিতে রাজি হননি তিনি বা তারা দল ছেড়ে বড়ো চোরের দলে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছে। পার্ক সার্কাস, মধ্যম গ্রাম, কামদুনি এরকম আরও কত আছে একটাও বিচার হয়েছে না, যে মা গুলো আজ সন্তান হারানোর যন্ত্রণা বুকে বয়ে বেড়ায় সেই জানে কষ্ট কি? সন্তান নেই যার সে কি করে বুঝবে সন্তান হারানোর জ্বালা, মায়া মমতা বলে কিছু নেই, কেবল ক্ষমতা আর টাকা চাই এ কেমন শাসক যার কাছে জনগণের কোন দাম নেই। খালি টাকা আর টাকা, মা আজ কাঁদছে, আর মাটি সেতো জমি মাফিয়া দের দখলে আজ একটা জমি সুস্থ ভাবে কেনা বা বেচার উপায় নেই কোথা থেকে গণ্ডায় গণ্ডায় দালাল এসে হাজির হবে পার্সেন্টেজ নেবে এদের আবার অফিস খোলা আছে, বিভিন্ন বড় বড় রাস্তার ধারে বেশ সাজানো গোছানো অফিস। একটা ল্যাপটপ আর দুজন লোক আছে, কি সুন্দর ব্যবস্থা। যাত্রা পালার সবই যখন গেল তখন এই যাত্রা পালা এখানে মানে আগামী 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনে সাঙ্গ হোক তবে বড়ো চিটিংবাজ এর দল কে এই রাজ্যে ক্ষমতায় এনে নয়, ও আরও বড় চোর সাধারণ মানুষ পায়ের তলায় পিষে মেরে ফেলবে যেমন ত্রিপুরায় চলছে। সাংঘাতিক দল কেন্দ্রীয় শাসক দল সে আরও উন্নত মানের চিটিংবাজ, সাধারণ মানুষ কে গরু ছাগল ভাবে, জনগণ কে জব্দ করতে কত রকম আইন, সি এএ, বিনা কারণে গ্রেফতার ইউ পি এ আইন যেটা ব্রিটিশ সরকার করে ছিল বর্তমানে কৃষক দের কর্পোরেট সংস্থার হাতে তুলে দেওয়ার বিল আইন, কৃষি জমি চাষী সাথে বা কৃষকের সাথে কর্পোরেট সংস্থার সঙ্গে চুক্তি করে চাষ এবং সেই ফসল সরাসরি কিনে নেবে ঐ সংস্থা অন্য কোন ভাবে কৃষক বিক্রি করতে পারবেন না, আর দামও ঠিক করবে ঐ সংস্থার মালিক অর্থাৎ ব্রিটিশ আমলের নীল চাষ আরকি। শ্রমিক আইন বদল, যে কোন দিন ইচ্ছা করলে কোম্পানি ছাঁটাই করে দেবে, আর আগেই বলেছি বা লিখেছি সরকারি চাকরি ও স্থায়ী নয়। এরা ব্রিটিশদের সেই বণিকের শাসন ফিরিয়ে আনতে চাইছে এরা ব্রিটিশদের দালাল ছিল আজ পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে।তাছাড়া এই রাজ্যে দেখুন আজ যারা তৃণমূল কাল তারা বি জে পি ফুলে ফুলে মাসতুত ভাই। এ বলে আমায় দেখ ও বলে আমায় দেখ মাঝখানে সাধারণ মানুষের জীবন ওষ্ঠাগত। তাই বলছি এই রাজ্যে 2006 সাল থেকে শুরু মা মাটি মানুষ যাত্রা পালা শেষ হোক কিন্তু ঐ আরেকটা বড়ো অপেরা পার্টি কে ক্ষমতায় এনে বাঙালি জাতির ভবিষ্যৎ ধ্বংসের শেষ প্রান্তে নিয়ে যাবেন না। 

Monday, 21 September 2020

তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধ আসন্ন চীনের আগ্রাসন নীতির জন্য।

চীন থেকে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে এখন বিশ্ব মহামারীর চেহারা নিয়েছে কোভিড19। বিশ্ব জুড়ে মৃত্যু মিছিল, এর মধ্যে চীন তার প্রতিবেশী দেশ গুলোর বিভিন্ন এলাকায় ঢুকে গেছে, এবং সেগুলো নিজের এলাকা বলে দাবি করেছে। যেমন ভারতের লাদাখ, অরুণাচল, ডোকলাম। তিব্বত কে তো কবেই গিলেছে, ওদিকে মায়ানমারের অংশ, তাইওয়ান, হংকং প্রতিটি জায়গায় চীন তার ভুমি নিজের বলে দাবি করেছে পারলে জোর করে দখল করে নিয়েছে। এখন নেপালের সাথে হাত মিলিয়ে তার কিছু অংশ দখলে নিয়েছে এই চীনের প্রথমে তারা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন নামে অর্থ দেয়, কাজ করে তার পর আস্তে আস্তে সেই দেশের সমস্ত সম্পদ দখল করে কীভাবে সেখানে চায়না শহর তৈরি করে চীনের সেনাবাহিনী থেকে বিভিন্ন ধরনের কর্মী সেখানে থাকতে শুরু করে আস্তে সব কিছু গিলে ফেলে দেশটি কে নিজের মত কায়েম করে সেখানের জনগণের সমস্ত স্বাধীনতা কেড়ে নেয়। চলে চীনা শাসন এ এক অদ্ভুত পরিস্থিতি। যদি চীনের প্রতিবেশী দেশ গুলোতে তাকানো যায় দেখা যাবে কোন দেশটার সাথে চীনের সম্পর্ক ভাল নয়। সে ভিয়েতনাম নাম থেকে শুরু করে তাইওয়ান, হংকং, জাপান, ভারতের সাথে আর ভারতের চির শত্রু দেশ গুলোতে চীন অতি সক্রিয় যেমন পাকিস্তানের সাথে বন্ধুত্ব করতে শুরু করেছে। আর বর্তমানে দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের আগ্রাসন নীতির জন্য বিশ্বের সব দেশ ক্ষুব্ধ, আরও ক্ষুব্ধ এই করোনা মহামারীর চীন থেকে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে আজ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বহু মানুষের প্রাণ গেছে এখনও পর্যন্ত অনেক দেশের মানুষ প্রতিনিয়ত আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছে। চীন এই সুযোগে তার প্রতিবেশী দেশ গুলোর বিভিন্ন এলাকা দখল করতে ব্যাস্ত।কখনো ভারত কখনো ভিয়েতনাম কখনো তাইওয়ান মিয়ানমার কোথায় নেই, ভারতের প্রতিবেশী প্রতিটি দেশে এর উপস্থিতি কারণ ভারত কে জব্দ করা। আমার মনে হয়, চীন কে জবাব দেওয়ার সময় এসেছে, পাকিস্তান কে সঙ্গে নিয়ে চীন চীন ভারতের বিরুদ্ধে লড়াই তে নেমেছে এদিকে নেপাল ভারতের বিভিন্ন এলাকা জুড়ে দিচ্ছে নিজেদের দেশের মানচিত্রে সবটাই চীনের কারসাজি। যাক নেপাল ভুটান আরেকটা তিব্বত হোক, তিব্বত দখলের সময় সিকিম ছোট দেশ বুঝতে পারছিল চীন গিলে নেবে তাড়াতাড়ি তারা ভারতের সাথে ভারতের রাজ্য হিসেবে যোগ দেয়, কিন্তু নেপাল ভুটান তা করেনি। যা পরিস্থিতি তাতে চীনের এই আগ্রাসনের জন্য যে ভাবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ চীন বিরোধী জোট তৈরি করছে, তাতে যুদ্ধ হলে তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধ হবে, এই চীনের জন্য। জানা নেই কম্যুনিস্টরা এত আগ্রাসী আদৌ কি চীনে কম্যুনিজিম আছে না এক নায়ক তন্ত্র চলছে। কম্যুনিজিম মানে যদি এক নায়ক তন্ত্র হয় তাহলে কমিউনিস্ট শাসন ব্যবস্থা মোটেই ভাল নয়। কম্যুনিস্টরা যদি অপর দেশের জায়গা দখল করে আমাদের বলে দাবি করে, তাহলে কম্যুনিস্ট শাসন ব্যবস্থা কি করে ভালো হতে পারে? কম্যুনিস্টরা নাকি শান্তির পক্ষে এই তার নমুনা, চীনের মতো কম্যুনিজিম দরকার নেই। গরীব খেটে খাওয়া মানুষের পাশে যে থাকবে সে গনতন্ত্রের মধ্যে দিয়ে হোক যে ভাবে হোক দেশের প্রতিটা নাগরিকের স্বাধীন ভাবে বেঁচে থাকার অধিকার সেই শাসক সুরক্ষিত করবে। 

Friday, 18 September 2020

রেলে নির্ভর গরীব খেটে খাওয়া মানুষ কে গভীর সঙ্কটে ফেলে দিচ্ছে রেল।

সারা দেশে আন লক ডাউনে স্থানীয় ভাবে রেল পরিষেবা চালু হয়েছে। মহারাষ্ট্র যেখানে করোনা বেশি সেখানে শহরতলির ট্রেন চলাচল করছে অনেক দিন হলো। কেবল পশ্চিমবঙ্গে বন্ধ, আর কেবল রাজ্য সরকারের দোহাই, আমি জানি না রেল চালাতে সত্যি রাজ্য সরকারের অনুমতি লাগে কিনা? যদি এটা সত্য হয় তাহলে বলতে হবে এটা একটা রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র, যেখানে করোনা বেশি সেই কলকাতায় সব চালু আছে কিছু বন্ধ নেই কেবল মাত্র শহরতলির ট্রেন আর গ্রাম গঞ্জের বিদ্যালয়ে গুলো চালু হলে করোনা মহামারীর আকার নেবে। এটা গরীবের খেটে খাওয়া মানুষের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, রেলে কেবল হকার, ছোট খাটো ব্যবসায়ীরা যারা কলকাতায় বা হাওড়া না, কাছাকাছি দু একটা স্টেশন পর্যন্ত গিয়ে ব্যবসা করত তরিতরকারি বিক্রি করতে যেত তাদের অবস্থা কাছাকাছি ছোট ছোট দোকান বা কারখানার কাজ করতে যেত সব বন্ধ না হলে তাদের সাইকেল অথবা ভ্যানো বা তথাকথিত বাসে যেতে হচ্ছে, দু তিন জন মিলে টাকা দিয়ে স্কুটি কিনে যাতায়াত করছে। কি দুর্বিসহ অবস্থা আজ ছ মাসের কাছে শহরতলির ট্রেন বন্ধ, এটা ইচ্ছাকৃত ভাবে যাতে এই গরীব মানুষ আরও গরীবির দিকে চলে যায় তার ব্যবস্থাপনা। না খেতে পেয়ে পাড়ার শাসক দলের দাদার কাছে যাবে বা দাদার দলের দাদাল কে একটু সাহায্য দিয়ে বলবে সামনে বিধানসভা নির্বাচনে ভোট টা দিবি মনে রাখবি এই এক কেজি চাল দিলাম। ভাই ভাইপো ভাইঝি দের কাটমানির অভাব নেই পঁচিশ শতাংশ আছে, তা ছাড়া আরও তুলে। ওদিকে দাদা তো চাষিদের নীলকর সাহেব দের হাতে তুলে দিতে উদ্যোগী আবার আমাদের নীল বিদ্রোহ দেখতে হবে আরকি? কারণ চাষিদের দল আর কত সহ্য করবে দিদি ক্ষমতা এসেই 450 টাকার সার 900 টাকা কিনতে হয়েছে। আর বর্তমানে সারের আর বীজের দাম। সর্ব দিক দিয়ে গরীব খেটে খাওয়া মানুষ, ও কৃষক কে পিষে মারার পরিকল্পনা এর পর রাজ্যের পাড়ায় পাড়ায় খাবার চুরি করে খাবে মানুষ ছ মাসের কাছে হতে চলল এই মানুষ গুলোর অবস্থা ভাবুন যে মহিলা পরের বাড়ি কাজ করতে যেত ট্রেন তার অবস্থা আরও খারাপ। দিদি তো জোর দিয়ে বলছে দু টাকা কিলো চাল দিচ্ছি, কিন্তু পাচ্ছে কজন পাচ্ছে কারা একবার খোঁজ নিয়ে দেখুন আশি হাজার টাকার বাইক নিয়ে দু টাকা কিলো চাল আনতে যাচ্ছে। এসব ষড়যন্ত্র বন্ধ করতে হবে, আর শিক্ষা কে বিশেষ করে গ্রামের প্রাথমিক শিক্ষা কে ধ্বংস করার চক্রান্ত কে বন্ধ করতে হবে। এভাবে চলতে থাকলে যার টাকা আছে সেই বাড়ির ছেলে মেয়েরা বেসরকারি বিদ্যালয়ে ভর্তি হবে আর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ হয়ে যাবে এখানেও এক দিন ছাড়া একটা শ্রেণী নিয়ে ক্লাস শুরু করা যায়। না ঐ যে তুলে দেওয়ার মতলব, করা হয়েছে 2022 সাল থেকে শুরু হবে নতুন শিক্ষা নীতি 2022 কেন 2021 নয় কেন কারণ কয়েকটি রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন তাই। আর এরকম করে ছুটি দিয়ে দিয়ে কুড়ি বা 2021 সালের বিধানসভা নির্বাচন পর্যন্ত কাটিয়ে দিতে পারে তাহলে সব শেষে। তখন দেখা যাবে কটা বিদ্যালয়ের কজন শিক্ষক কীভাবে পড়িয়েছে, তাদের জুটবে তিরস্কার বাকি দের পুরষ্কার কি মজা? ঘরে বসে বসে বেতন নিতে, আবার দাদার দল যদি ক্ষমতায় আসে তাহলে সোনায় সোহাগা দিদি তো আগেই রাস্তা করে রেখেছে জামাটা পাল্টে বসে পরবে গদিতে। কারণ ক্ষমতা চাই ক্ষমতা কেন চাই কোটি কোটি টাকা তাতে রাজ্যের মানুষ রসাতলে যাক, ক্ষমতা আর টাকা চাই। কিছু বলার নেই সত্যি আমরা সেই বাঙালি যে বাঙালি একদিন প্রবল পরাক্রান্ত ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের ভিত নাড়িয়ে দিয়ে ছিল। বাঙালি বিল্পবী দের ভয়ে রাজধানী কলকাতা থেকে দিল্লি নিয়ে গিয়েছিল। সেখানেও রেহাই মেলেনি রাসবিহারি বসুর সহায়তায় বটুকেশ্বর দত্ত, রাজ গুরু সুখদেও, ভগৎ সিং পার্লামেন্টে বোমা বিস্ফোরণ ইনকিলাব জিন্দাবাদ ধ্বনি। কোথায় সেই বাঙালির এই সর্বনাশের দিনে এগিয়ে আসুন। বলবেন, তাহলে কি করোনা রাজ্যে নেই আছে, কলকাতায় সব থেকে বেশি আক্রান্ত সেখানে কোন যানবাহন বন্ধ নেই অথচ কেবল শহরতলির ট্রেন বন্ধ। আর করোনার কথা বলছেন, ওতো পা কাটা নিয়ে হাসপাতালে গেছে দেখাতে তাকেও করোনা রুগী করে কি জায়গা যেন যেখানে চোদ্দ দিন থাকতে হয়, সেখানে পাঠানো হয়েছে করোনা হলে লাভ হচ্ছে, প্যাথেলজিক্যাল ল্যাবের, এম্বুলেন্সের, আর ওষুধের দোকানের এবার বুঝতে পারছেন। করোনার বর্তমান কেরামতি, ট্রেন চালু হলে জি আর পি আর পি এফ গুলো কিছু উপরি ধান্দা করে,রেলের পাশে কত পুকুর বা রেল খাদ এরা লিজ দিয়ে টাকা তোলে জানা আছে, এ ছাড়া হকার আছে আছে ছোট ব্যবসায়ী সব মিলিয়ে রমরমা কারবার বেতন ছাড়াও কোটি কোটি টাকা ভাগ হয়ে যাচ্ছে রেলের এই পুলিশ না হলে বরং রেলের লাভ হতো বেশি। আর কিছু লিখলাম না। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকুন বাইরে বেড়লে মাস্ক, পরুন, আর শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখুন, সুস্থ থাকুন। 

Wednesday, 16 September 2020

আমার এই ধর্মের এই মানুষ গুলোর কাছে আমার কিছু প্রশ্ন ছিল যদি উত্তর মেলে।

আগেই বলেছি ছবি গুলো সব ফেসবুক থেকে নেওয়া হয়েছে, জানিনা কোন দেশের ঘটনা তবে যা ভিডিওটিতে শুনলাম তাতে মনে হলো কয়েকটি প্রশ্ন এদের করি এই সব ধর্মান্ধ মানুষ গুলোর কাছে আমার জিজ্ঞাসা এই ভিডিও ফুটেজ শুনেছি এবং লেখাটা পড়ে দেখলাম লেখা আছে ইহুদী, খ্রিস্টান, হিন্দু অর্থাৎ অমুসলিমরা সব কাফের এরা জাহান্নামে যাবে, আর মুসলিম দের আল্লাহ জান্নাতে থাকতে দেবেন। আমি সব ভাষা চিৎকার গুলো লিখে বোঝাতে পারছি না আমার ঐ ধর্মের ধর্মান্ধ ধর্ম ব্যবসায়ীর কাছে প্রশ্ন আপনি যে ক্যামেরা দিয়ে ভিডিও করে ফেসবুকে বা ইউ টিউবে দিচ্ছেন সেই ক্যামেরা ও ফেসবুক ও ইউ টিউব সব ইহুদী বা খ্রীষ্টান দের তৈরি এতে পাপ নেই আল্লাহ মাপ করে দেবেন না। আপনি যে মাইক ব্যবহার করে গলা ফাটিয়ে চিৎকার করে ধর্মের কথা বলে যাচ্ছেন মানুষ কে শোনাচ্ছেন সেটাও কোন এক জন ইহুদির তৈরি। ওহে ধর্ম ব্যবসায়ী আপনি বিশ্বাস করেন স্বর্গ নরক নিশ্চয়ই আপনি দেখে এসেছেন। কেমন দেখতে কেবল বানান গল্প নয় ইহুদি দের তৈরি উন্নত মানের ক্যামেরা নিয়ে যাবেন ভিডিও ফুটেজ এনে দেখাবেন। আর যে মোবাইল ফোন টি ব্যবহার করেন সেটাও কোন এক ইহুদি খ্রীষ্টান ইহুদী বা হিন্দুদের হাতের ছোঁয়া আছে মোবাইল এ হাত দিলে মাইক বাজিয়ে ধর্ম সভা করলে আপনার ধর্ম থাকবে আল্লাহ মাপ করে দেবেন তাই না। যে উড়োজাহাজ বা প্লেন চেপে হজ করতে যান যতদূর জানি রাইট ভাতৃদ্বয় খ্রীষ্টান ছিলেন। কোরান শরীফ টি নিশ্চয়ই ছাপানো ছাপার মেশিন তৈরি করে ছিলেন গুর্টেন বার্গ আর বাংলা হরফ তৈরি করে ছিলেন একজন হিন্দু বাঙালি পশ্চিমবঙ্গের শ্রীরামপুরের এক কর্মকার নাম টা মনে নেই তবে তিনি হিন্দু ছিলেন। মনে রাখতে হবে আপনি সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত যে সব জিনিস ব্যবহার করেন আধুনিক মিলের জামা দাঁতের মাজন সব কিছুই এই সব ধর্মের মানুষের তৈরি আপনি যাকে কাফের বলছেন। রাতে বাড়িতে যে ইলেকট্রিক আলো জ্বেলে রাখেন বা ঐ যে সভা করছেন ওখানে রাত হলে যে নিয়ন বাতি জ্বেলে আলোকিত করে নেবেন সেটাও কোনো না কোনো আপনার ভাষায় কাফের তৈরি আল্লাহ আপনাকে মাপ করে দেবেন তো! আপনি ধর্মান্ধ চোখের মাথা খেয়ে বসে আছেন চোখের চশমা লেন্স সব কাফের তৈরি বা আবিষ্কার আপনি গ্যলেলিওর নাম শুনেছেন জানি জানবেন আপনার ধর্ম আপনাকে ধর্মের শিক্ষা দিয়েছে আর তার উপর নির্ভর করে তুলেছে আর যাদের তৈরি জিনিস পত্র নিয়ে সভ্যতার বড়াই করছেন তাদের গালাগালি দিচ্ছেন। অবশ্য আমি আপনাকে বা আপনার মত মুসলিম কে মুসলমান হিসেবে ভাবি না আপনার কোন না কোন পূর্ব পুরুষ হিন্দু বা অন্য ধর্মের লোক ছিলেন। একটু নিজের পরিবারের ইতিহাস নিয়ে পড়ে দেখতে বলছি কারণ বাংলায় লক্ষ্মণ সেনের শাসন থেকে ইসলাম এসেছে ঐ যে আপনি যে ধর্ম পালন করেন তাদের স্বভাব লুটপাট করা মানুষের সম্পদ জোর করে দখল করা আর পঁচিশ টা বিয়ে করে যৌন সুখ ভোগ করা আর একশোর উপর ছেলে মেয়ের জণ্ম দিতে পারেন। কি খাবে পরবে দেখার দরকার নেই, মানুষ মারতে পারলেই হবে। দারুণ ধর্ম আচ্ছা একটা প্রশ্ন এমন একজনের নাম বলুন যে স্বেচ্ছায় ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছে, আপনার ধর্ম নিয়ে আপনি থাকুন, ১৪০০ বছর আগের একটা ধর্ম তার আগের পৃথিবীর ইতিহাস পড়ে দেখুন জানতে পারবেন আপনার ধর্ম খুন জখম রাহাজানি, জোর করে ধর্ম গ্রহণ করতে বাধ্য করা, লুটপাট ছাড়া আর কিছু করেনি। পৃথিবীর ইতিহাসে এ রকম দেখা যায় নি, আপনার ধর্মের মানুষ যা অত্যাচার করেছে। যদি সত্যিই মানুষ হয়ে থাকেন তাহলে সত্যকে স্বীকার করতে শিখুন। ধর্ম দিয়ে নয় কর্ম দিয়ে বিচার করুন, মানবতা, মানব প্রেম হয়ে উঠুক ধর্ম। বাঙালি জাতি কে আর ছোট না করে, আসুন সকলে মিলে বাঙালি জাতির সেই মর্যাদা ফিরিয়ে আনি। জানি কাক্যস পরিবেদনা কোন কাজ হবে না উল্টো টা হবে জুটবে ধমকি ।হ্যাঁ একটা কথা বলি যদি হুমকি ধমকি যাই দেন যার মাধ্যমে দেবেন সেটা যেন মুসলিম দের তৈরি করা হয়, ! চিনের তৈরি করা ফোন ব্যবহার করেন ওখানেও কিন্তু অন্য ধর্মের মানুষ তৈরি করে, চীনরা কম আছে, তাছাড়া চীন ইসলাম ধর্ম কে দেখতে পারে না। উইঘুরের অবস্থা জানেন না জানলে জেনে নেবেন। আমি জানি আপনার জাতি হুমকি আর মানুষ খুন করা ছাড়া আর কিছু জানে না, ওটাই আপনার পরিচয়। ধন্যবাদ ভালো থাকবেন আর জ্বর জ্বালা হলে ডাক্তার দেখাতে ভুলবেন না, (দেখবেন ডাক্তার যদি এ্যালোপ্যাথি ঔষধ দেয় সেটা যেন আপনার ধর্মের মানুষের আবিস্কার বা তৈরি করা হয়, হোমিওপ্যাথির জনকের নাম মনে আছে হ্যানিম্যান যতদূর জানি তিনি ইহুদী ছিলেন, আরেকটা বিষয়, দেখবেন আবার উত্তর দিতে বা হুুমকি দেওয়ার জন্য   কাফের দের  তৈরি ফোন বা টেকনোলজি ব্যবহার করবেনা। আপনার কাছে আপনার ধর্ম মহান প্রচার করুন দুঃখ নেই। আমার কাছে আমার ধর্ম মহান আমার ধর্ম হিংসা শেখায় না। সমাজের একটা প্রধান অংশ নারী তাদের ভোগের বস্তু বানাতে বলে না। সেই আদিম যুগে মানুষ যে প্রাকৃতিক ঘটনা কে ভয় পেয়েছে তাকেই পুজো করে আসছে পরে বেদে সে সব লিখিত হয়েছে, এটাই সনাতন। যদি প্রকৃত অর্থে শিক্ষা থাকত তাহলে বাঙালি হয়ে বাংলা ভাষার সনাতন কথার অর্থ জানতেন। যা যুগ   যুগ ধরে চলে আসছে সেই প্রথাই বা নিয়ম কেই সনাতন বলা হয়। আর আদীম. যুগ থেকে চলে আসা প্রথা গুুলো কালের বিবর্তনে পরিবর্তন হয়েছে মাত্র। আপনাদের জ্ঞান দিয়ে লাভ নেই। আপনাদের অঢেল জ্ঞান কারণ আপনারা গায়ের জোরে গলার জোরে সত্য কে মিথ্যা এবং মিথ্যা কে সত্য করে দিতে পারেন। না হলে যে জায়গা কেউ কোন দিন দেখেনি কেবল কল্পনা করেছেন স্বর্গ ও নরক বলে সেই স্থান কে মানুষের মনে গেঁথে দিতে আপনারা বদ্ধ পরিকর। আগে হিন্দু বা সনাতন ধর্মের মানুষ ও খ্রীষ্টান ধর্মের মানুষ বিজ্ঞান কে অস্কীকার করত, তার পর ধীরে ধীরে তারা বিজ্ঞান কে বিশ্বাস করতে আরম্ভ করে । ইতিহাসে পড়েছি খ্রীষ্টা্নরা  স্বর্গের টিকিট বিক্রি করত। ধীরে ধীরে তাার অনেক কুসংস্কার থেকে বেড়িয়ে এসে বিজ্ঞান কে বিশ্বাস করে তাকে কাজে লাগিয়়ে  সভ্যতাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহাায্য করছে। আজও মানুষ বিজ্ঞান চর্চার মধ্য দিয়ে মানব সভ্যতা কে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। আর আপনার মত বা আপনাদের মত যোগাযোগ কিছু ধর্মান্ধ মানুষ বিজ্ঞান কে এগিয়ে নিয়ে যেতে  বাধা দিচ্ছেন।বিজ্ঞান কে অস্কীকার করছেন অথচ বিজ্ঞান এর তৈরি জিনস ব্যবহার করতে ছাড়়ছেন না। আর যাদের তৈরি জিনিস পত্র ব্যবহার করছেন তাদের কাফের বলছেন। তাদের খুন করতে বলছেন, দারুণ ধর্মের লোক আপনি। 

ভোট আসছে শাসক এখন কল্পতরু।

ভোট বড় বালাই যে কোন প্রকারে জিততে হবে। না হলে চুরি কাটমানি ঘুষ নেওয়া যাবে না। আগামী 2021 সাল কয়েকটি রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন, এই সময়ে কেন্দ্রীয় সরকার যেমন কল্পতরু, নিয়োগের শেষ নেই, এই মাত্র দেখলাম রেলের ফ্যাক্টরিতে নিয়োগ করা এই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় খবর দেখলাম। আরও কত ধরনের পেনশন টাকা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্য দুই সরকারের কৃষক পেনশন, তবুও কৃষক আত্মহত্যা করে এটা ঠিক নয়। রাজ্যে এতো নিয়োগ তবুও চাকরির জন্য অনশন করতে হয়। দুই সরকারের নিয়োগের বিজ্ঞাপনে ছড়াছড়ি তবুও স্বাধীনতার পর ভারতে তথা রাজ্যের বেকার সংখ্যা সব থেকে বেশি। কারণ প্রতিশ্রুতি আছে বাস্তবে তার দেখা মেলা ভার। আমি দু সরকারের কতগুলো প্রতিশ্রুতি মনে করে দিচ্ছি কেন্দ্রীয় শাসক দলের প্রতিশ্রুতি ১)১৫ লক্ষ টাকা প্রতিটি নাগরিকের ব্যাঙ্কের খাতায় আসবে ভাইও বহিনও,, ২) বছরে দু কোটি বেকারের চাকরি হবে। ৩) রান্না গ্যাস সহ জ্বালানির দাম পেট্রোল ডিজেলের দাম কমবে। ৪) আরও আছে সবকা সাথে সবকা বিকাশ ভাইও বহিন পরের বার আগলে বার মোদি সরকার। বাঙালি যদি সত্যি আপনি মানুষ হন বুকে হাত দিয়ে বলুন আদানি, আম্বানির বিকাশ ঘটেছে, মেহুল চকসি, বিজয় মাল্য, নাম আর লিখছি না এক জন বন্ধুর পাঠানো তালিকার ছবি দিলাম যারা ব্যাঙ্কের কয়েক হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে শোধ করেনি এরা অনেক ফেরার। তালিকা দেখে নিন,
এরপর পরেও অনেক আছেন যারা কেন্দ্রীয় শাসক কে রাজ্যে ক্ষমতায় আনার চেষ্টা করছে। কেন্দ্রীয় শাসক দলের কোনও কোনও নেতা সারাদা, রোজভ্যালী, নারদা টাকা নেওয়া নেতা দের পাশে বসিয়ে বলছেন আমরা ক্ষমতায় এলে সারদার চোরে দের জেলে ভরব। অথচ দেখুন সি বি আই তদন্ত চলছে, যেই ভোট আসে আর কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার লোকজনের মনে পরে সারদার কথা, আর আজ সাত থেকে আট বছর হয়ে গেল কেন্দ্রে ক্ষমতায় আছে কিছুটি করে নি, চোরে চোরে মাসতুত ভাই ।ঠিক জায়গায় রফা করে নিয়েছে, ভাবুন আমি ফকির আমার কেউ নেই কেন চুরি করব। আমি আপনাদের পাহারাদার চৌকিদার কত কথা আর সেই চৌকিদার এমন পাহারা দিয়েছে, দিচ্ছে দেশটা তথা দেশের কয়েকটি ব্যবসায়ী আর বিদেশীদের কব্জায়। রেল বেচে, টেলিকম, বি এস এন এল, এমনকি দেশের প্রতিরক্ষার জন্য অস্ত্র কারখানা সেটাও বিক্রি করে দেবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিক্রি করে দিয়ে আমেরিকা, ইসরাইল, প্রভৃতি বিদেশ থেকে অস্ত্র কিনে দেশ উদ্ধার করবেন। এরকম ধাপ্পাবাজ, চিটিংবাজ কে ক্ষমতায় নিয়ে আসার পরিকল্পনায় বাঙালি বাঙালি জাতির কি অধপতন ধর্মের নামে নিজের দেশ তথা মায়ের সম্পদ বিক্রি করে দিতে পারে, এই বাঙালি ব্রিটিশ আমলে স্বদেশী আন্দোলন শুরু করে ছিল।কান্ত কবির কবিতার প্রথম লাইন, " মায়ের দেওয়া মোটা কাপড় মাথায় নেরে ভাই /দীন দুঃখীনি মা যে তোদের তার বেশি আর সাধ্য নাই।" এত গেল কেন্দ্রীয় শাসক দলের কথা, এবার বর্তমান রাজ্যে শাসক দলের কিছু কথা, 2021 সাল বিধানসভা নির্বাচনে জিততে হবে তাই দিদি এখন কল্পতরু যা চাইবেন তাই ঘোষণা করে দেবেন। চাকরির ছড়াছড়ি প্রতিদিন কাগজ খুলে দেখুন কোনো না কোনো নিয়োগের বিজ্ঞাপন, এইট পাশ থেকে শুরু করে পিইচ ডি সবার জন্য উন্মুক্ত চাকরি কিছু ব্যাপার না। বাস্তব জীবনে কিন্তু অন্য কথা বলে টাকা না দিলে চাকরি নেই, যদি বা নিয়োগ করা হয় কন্টাকচুয়াল2000 টাকা থেকে 10000 টাকা বেতন। নিজের বেতন নিজেই বাড়িয়ে এক লক্ষ টাকার উপরে করে নিয়েছে। ও হ্যাঁ বেতন ও নিয়োগের কথা বলতে 2011 সালের প্রতিশ্রুতির কথা মনে পড়ে গেল। ক্ষমতায় এলে প্রতি বছর দু লক্ষ বেকারের চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি কিছু চাকরি দিয়েছেন অস্বীকার করা যাবে না। সিভিক পুলিশ ঐ রাস্তায় দাঁড়িয়ে লরি ও গাড়ির চালকের থেকে তোলা তোলে এই আগষ্ট মাসে আমি দেখেছি ভাবলাম ছবি তুলে রাখি কিন্তু সাহস হয়নি ভাবলাম দিদি বলেছেন সামনে ভোট টাকার দরকার। ওরাই তো গত পঞ্চায়েত ভোটের বাক্স পাল্টে দিয়ে দিদি কে জিতিয়েছে। যাকগে যাকগে ওসব কথা যারা ঘুষ দিতে পারে নি বা দোব না বলেছে তারা চাকরির জন্য অনশন শুরু করে ছিল।
তাদের চাকরি কিন্তু এখনও পর্যন্ত হয়নি, আর প্যারা টিচার এদের কথা নাই বা বললাম এরা বেইমান যে থালায় খায় সেটা ফুট করে বাম আমলে এদের নিয়োগ বাম সরকার যাবার আগে এ ওদের চাকরি পাকা করে দিয়ে গেল, সেই বাম এদের কাছে খারাপ, কারণ দিদির প্রতিশ্রুতি প্রতি বছর 10 % করে স্থায়ী শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ করে দেবেন। এই 10 বছর ধরে যদি এটা করতেন তাহলে একজন ও পার্শ্ব শিক্ষক থাকত না। আরেকটা কথা না বললেই নয় সরকারি কর্মীদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি, যে দিন কেন্দ্রীয় সরকার ঘোষণা করবে সে দিন থেকেই এই রাজ্যে ডি এ দেওয়া হবে। আর এখন ডি এ শব্দটা সরকারি কর্মীদের পে শ্লিপ থেকে মুছে গেছে। কিছু সরকারি কর্মী কিন্তু এতে একটুও দুঃখ পায় নি কারণ উন্নত মানের ঘুষের টাকা আর কাটমানির ভাগ ভালো পায় সেই কারণেই বেশ কিছু এখনো এই সরকারের সমর্থন করে। ভাতার কথা, পুরোহিত ভাতা ৮০০০ না আশি হাজার পুরোহিত কে ভাতা দেওয়া হবে বছরে না মাসে হাজার টাকা, ইমাম ভাতা ছিল চালু করা হলো পুরোহিত ভাতা আর বার্ধক্য ভাতা বিধবা ভাতা দেওয়া হতো সে সব বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বাম আমলে সাইকেল দেওয়া হতো স্কুল থেকে বাড়ির দূরে হলে এখন নাইনে পড়লে সবাই পায়, তার আগে কত ছেলে মেয়ে দূরত্বের জন্য স্কুল ছেড়ে চলে যায়। কন্যশ্রী যা নিয়ে এতো গর্ব বাম আমলে অর্থনৈতিক ভাবে পিছিয়ে পরা পরিবারের দুটি কন্যা সন্তান হলে এককালীন টাকা দেওয়া হতো। সেটাই এখন কন্যশ্রী আর ওতো কলেজ গেটে ভাই ভাইপো ভাইঝি দের জন্য। আসলে তা নয় বাম আমলের অনেক কিছু জানতে পারত না মানুষ এতো প্রচার করা হতো না। যদি সকলে মিলে চায় যে সব নেতারা এলাকায় কর্মী কুল জানত তারা চুপ করে থাকত কাউকে কিছু বলত না। এটা ছিল তখন বামেদের কৌশল ভাবত আমাদের কে ক্ষমতা থেকে হটাবে। মানুষ কে এতো কিছু করে দিয়ে দিত একই বাড়িতে চার পাঁচ রকম ভাতা ঋন সব সে পেত এই মুষ্ঠিমেয় লোক গুলো কে বাদ দিয়ে শেষ দশ বছর যখন সকলে জানল তাদের দেওয়া শুরু করে দিল ঘুরিয়ে ফিরিয়ে সবাই পেতে আরম্ভ করে ছিল। সে সময় ঐ পাড়ার দাদা নেতা এবং দীর্ঘ দিনের সব সুবিধা নেওয়া সুবিধা বাদিরা বামপন্থী দের ছেড়ে দিদির বড়ো বড়ো প্রতিশ্রুতি শুনে ভাবল কত কিছু করে দেবেন। সুবিধা বাদি দল এখন শাসক দলে, বামেদের খেয়াল রাখতে হবে ঐ সুবিধা বাদি ধান্দা বাজের দল যেন আর না আসে দলে, শতেক সুবিধা নেওয়ার পরও বলে আমি কি পেলাম? আমি সাধারণ মানুষের কাছে আবেদন করব, যারা বাড়ির বেকার ছেলে মেয়ে দের ভবিষ্যৎ নষ্ট করে দিতে না চান অর্থাৎ ভোটে নির্বাচিত হলেই চপ কারখানা, ঘুঁটে ব্যবসা, মুড়ি ব্যবসা, ঝাল মুড়ি, চায়ের দোকানে কাজ আর ঘটি গরম বিক্রি করাতে না চান। যারা চোর কে চোর বলতে পারেন, মুরগি চোর সাধারণ ছিঁচকে চোর কে চোর বলতে পারেন কিন্তু এই অসাধারণ চুরির দক্ষতা সম্পন্ন ব্যক্তি দের চুরি দেখে চুপ করে বসে থাকেন তাকে ভোট দিয়ে জিতে সাহায্য করেন যাতে আবার চুরি করতে পারে। তাহলে আপনি নিজেই চোর সেই কারণেই সঠিক বা মানুষের ভালো দেখতে পারেন না। চোর কে চোর মিথ্যাবাদী কে মিথ্যাবাদী ধাপ্পাবাজ কে ধাপ্পাবাজ বলতে পারেন তাহলে দেখুন প্রায় 11 থেকে 12 টি তদন্ত কমিশন ও কমিটি গঠন করেও একজন বাম নেতা মন্ত্রী কে জেল বন্দি করতে পারে নি উল্টে নিজের দলের সাংসদ মন্ত্রী জেল খেটেছে। যদি সত্যি মানুষ হয়ে থাকেন, এবং সব গরীব খেটে খাওয়া মানুষ কে মানুষ বলে ভেবে থাকেন তাহলে এই চোর মিথ্যাবাদী শাসকের পদলেহন ছাড়ুন সামান্য ভিক্ষা পাওয়ার আশা ত্যাগ করে সকলের জন্য ভাবি। আগামী 2021 একুশের নির্বাচনে বামেদের জয় নিশ্চিত করি। সকলে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকুন ।আমার লেখা কাউকে আঘাত দেওয়ার জন্য নয়। আসুন সকলে মিলে পরিবর্তন কে পাল্টে প্রত্যাবর্তন করে দিই। 2021 সাল বাংলা হোক লালে লাল। 

Thursday, 10 September 2020

বিহার ভোটের শিকার রিয়া চক্রবর্তী।

ছবিটি অন লাইন সংবাদ পোর্টাল ডেইলি হান্ট থেকে নেওয়া ।কেন্দ্রীয় শাসক দল এবং তার সহযোগী নীতিশ কুমার সুশান্ত সিং রাজপুত এর মৃত্যু নিয়ে যে ভাবে এই রিয়া চক্রবর্তী কে গ্রেফতার করেছে সে সব দেখে শুনে মনে হচ্ছে এটি একটি চক্রান্ত কারণ সামনে নির্বাচন এমন কোন ভালো কাজ বিহার রাজ্যের সরকার বা কেন্দ্রীয় সরকার করে নি যেটা প্রচার করে ভোটে নির্বাচিত হওয়া যায়, মাইগ্রেন্ট লেবার বলুন আর কোভিড19 এর সময়ে মানুষ কে পেটানো ছাড়া কিছু কাজ নেই। আর কত মিথ্যা কথা বলে মানুষ কে ধোঁকা দেওয়া যাবে তাই সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু এদের হাতিয়ার কিছু মানুষের মনে প্রভাব পড়েছে আর জাতি বিদ্বেষ ছড়ানো অর্থাৎ বাঙালি জাতির প্রতি বিদ্বেষ থেকেই এই ব্যবস্থা। বিজেপি বাংলা বিদ্বেষী সে অনেক ক্ষেত্রেই প্রমাণ পাওয়া গেছে, এটি তার একটা অংশ। আসুন সকলে মিলে এর প্রতিবাদ করি। আমরা ভারত বাসী বিজেপি  হিসেবে বিহারি বাঙালি নয় এটা প্রমাণ করতে হবে। দেশের মানুষ কে যত রকম ভাবে ভাগ করা যায় সেই চক্রান্ত বরাবর করে এসেছে এই দল সে ভাষা দিয়ে জাত ধর্ম নিয়ে কেবল মানুষের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করে ক্ষমতা দখল করার চেষ্টা। 

পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থা আজ করোনা আক্রান্ত!

পশ্চিমবঙ্গ সহ সমগ্র দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা আজ করোনা আক্রান্ত। সরকারি ভাবে শিক্ষা ব্যবস্থার বাঁচিয়ে রাখার জন্য বিভিন্ন ধরনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। টেলিভিশনের মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট সময়ে পড়ানোর ব্যবস্থা, আছে কেবল উচ্চ শ্রেণীর ছাত্র ছাত্রীদের জন্য। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে model activity task দেওয়া হয়েছে শেষ সেই জুলাই মাসে, তার পর সে গুলো প্রিন্ট করে দেওয়া হয়েছে ছাত্র ছাত্রীদের এখানেই শেষ। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শেখার কিছু নেই তাই, হোয়াটস এ্যাপ গ্রুপ করতে বলেছেন কিন্তু ঐ গ্রুপ কেবল মাত্র চাল আলু বিতরণে দিন জানানোর জন্য পড়ানোর জন্য নয়। এটা হয়তো অনেক বলবেন সমস্যা আছে, সকলের কাছে স্মার্টফোন নেই, আর নির্দিষ্ট সময়ে ধরে ঐ পড়ানোর ব্যবস্থা করা যাবে না কারণ ফোন বাচ্চা দের কাছে থাকে না অভিভাবক কাজে চলে যান, এছাড়াও নানা ধরনের সমস্যা হতে পারে, করোনার মতো একটা মহামারীর সময়ে দাঁড়িয়ে এসব সমস্যা ভেবে শিশু শিক্ষা বা প্রাথমিক শিক্ষা কে ধ্বংসের মুখে ফেলে দিচ্ছে না কি? আমি একটা বিষয় ভীষণ ভাবে লক্ষ্য করছি বেশ কিছু শিক্ষক এই বসে বসে বেতন নেওয়া কে উপভোগ করছেন।অনেকেই আছেন হোয়াটস এ্যাপ গ্রুপ ব্যবহার করে পড়াচ্ছেন, আমি জানি কারণ তারা প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থা কে ধ্বংস করতে চান না, সরকারি নির্দেশ না থাকলেও নিয়মিত পড়া দিচ্ছেন, অনেক অভিভাবক তার সময় মতো ছাত্র ছাত্রীদের দিয়ে কাজ গুলো করে পাঠাচ্ছেন ।শিক্ষক ও বাড়িতে বসে সময় মতো দেখে ভুল সংশোধন করে দিচ্ছেন। অনেকেই বলবেন এটা কি লেখা পড়া হচ্ছে, আমি বলছি হচ্ছে না, কিন্তু পরিস্থিতি কথা ভাবুন ছোট ছোট শিশু তাদের যাতে পড়ার অভ্যাস টা থাকে এটা সেই জন্য পড়ানোর জন্য, বা বিশেষ কিছু শেখানোর জন্য নয়। যেহেতু সরকারের নির্দেশ নেই, তাই এটা করা কি উচিত, যেমন সরকারি নির্দেশ ছিল মডেল এ্যক্টিভিটি টাস্ক গুলো জেরক্স দেবেন এবং ফেরত নিতে হবে কিন্তু দেখতে বলেনি তাই দেখে ফেরত দিতে হবে না, বা দেখতে হবে না, এযেন ধর লক্ষ্মণ ধরেছি লক্ষ্মণ অর্থাৎ রাম লক্ষ্মণ কে ফল গুলো ধরতে বলে ছিলেন খেতে বলেন নি সে রকম সরকারের নির্দেশ নেই ঐ মডেল এ্যক্টিভিটি টাস্ক দেখার দেখব না। আসলে সরকারের ইচ্ছা নেই সরকারি প্রাথমিক শিক্ষা বলে কিছু থাক যে সব অভিভাবকের টাকা আছে তাদের ছেলে মেয়েরা বেসরকারি বিদ্যালয়ে পড়বে ভিত তৈরি করে উচ্চ শিক্ষা নেবে এতো ছেলে মেয়ে শিক্ষিত হলে চাকরির দাবি করবে সরকারের ফাঁকি বা অন্যায় বা নেতা মন্ত্রী দের চুরি দিনে ডাকাতি ধরে ফেলবে অতএব বন্ধ করে দেওয়া হোক এ ব্যবস্থা এই সুযোগ সেই কারণেই কোন নির্দেশ নেই,এই জন্যই সরকার পোষিত প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠন তৃণমূল শিক্ষা সেলের এক সদস্য ( শ্রীজিৎ লাহা) চুলকানি ও টাকের গল্প শোনায় অর্থাৎ যারা এভাবে হোয়াটস এ্যাপ ব্যবহার করে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের শিক্ষা অভ্যাস ধরে রাখতে চেষ্টা করে যাচ্ছে তাদের বেশি চুলকানি। সরকার বলছে না, নির্দেশ দিচ্ছে না, তবুও এদের আগ্রহ নিয়ে কটাক্ষ করছে সরকার পোষিত তৃণমূল শিক্ষা সেলের সদস্যরা আমার মনে হয় ঠিক বলেছেন চুলকানি বেশি কারণ তারা জানে শিক্ষা অভ্যাস না থাকলে একদম বিদ্যালয় মুখে আসবে না বই গুলো তুলে রেখে দেবে পড়বে না। আর বসে বসে বেতন নেওয়া তাদের ধাতে নেই, 1000 টাকার উপরে রোজ বা মজুরি যা অনেকেই এক সপ্তাহের আয়। বর্তমানে সমাজে অনেক ভালো শিক্ষিত বেকার, অনেক বি এ /এম এ, ট্রেনিং প্রাপ্ত রাস্তা ঘুরে বেড়াচ্ছে একটা চাকরির জন্য সেই কর্মক্ষেত্র টা ধ্বংস করার চেষ্টা করা ঠিক কি? আমি অনেকের বাড়ির গৃহীনি কে পর্যন্ত ডি ইএলড ট্রেনিংএ ভর্তি করেছে একটা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরির জন্য বিদ্যালয় যদি না থাকে চাকরি হবে ত! সামনে 2021 সালে বিধানসভা নির্বাচন তাই সরকার বসিয়ে বসিয়ে বেতন দিয়ে যাচ্ছে না হলে, তবে ওদের কিছু হবে না কারণ ওরা সরকারি দলকে সমর্থন করে এই শিক্ষক দিবসে সংবর্ধনা নিতে গিয়ে ছিল, ভালো শিক্ষক তো, ছাত্র ছাত্রীদের উন্নতির চিন্তায় ঘুম আসে না কি করে শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করা যায় তার চিন্তা করে, আমি শিক্ষিত মানুষ গর্বে বুক ভরে ওঠে আর কেউ শিক্ষিত নেই আমার থেকে ভালো হতে পারে না, ছাত্র ছাত্রী কেন সময় অসময়ে ফোন করবে, কেন আমাকে পড়ানোর জন্য বলবে? সরকার যখন বলছে না আমি কেন করব? আমি জানি না এই সব শিক্ষকদের যোগদান পত্রে পড়ানোর কথা লেখা দরকার না হলে বলতে পারেন আমার যোগদান পত্রে পড়ানোর কথা লেখা নেই আমি পড়াব কেন? আমার খুব ভালো লাগলো চুলকানি গল্প টি ছাত্র ছাত্রীদের এই পরিস্থিতিতে পড়ার অভ্যাস ধরে রাখতে যে সব শিক্ষকদের চুলকানি বেশি তাদের ধন্যবাদ দিয়ে ছোট করতে চাই না। জানা নেই যাদের এই রকম চুলকানি হয়েছে কি করে ভালো হবে, সোশ্যাল মিডিয়ায় একটা খবর পড়ে ছিলাম পুরুলিয়ার একটি গ্রামে এক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা পাড়ার ইলেকট্রিক পোস্টে মাইক বেঁধে নির্দিষ্ট সময়ে বিদ্যালয়ে এসে বিদ্যালয় থেকে পড়াচ্ছেন ছাত্র ছাত্রীরা বাড়িতে বসে বিদ্যালয়ের সময়ে পড়া শোনা করছে। কারণ তাদের ফোন নেই, সত্যি শিক্ষক দের কি চুলকানি বলুন দেখি একটা পিছিয়ে পরা আদিবাসী গ্রামের শিক্ষার্থীদের পড়ানোর জন্য। আরেকটা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক তার কি চুলকানি দেখুন নিজের চাকরি রাখতে হোক আর শিক্ষকতা পেশার তাগিদে হোক গাছে মাচা বেঁধেছেন পড়ানোর জন্য ।
অনেকেই বলবেন ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক নিজের চাকরি রাখতে হবে তাই করছেন, একদম ঠিক কথা আর সেই কারণেই সরকার পোষিত বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা বসে বসে বেতন নিতে অভস্ত হয়ে গেছে। আর সরকার এই কারণে চাইছে সরকারি ব্যবস্থা ধ্বংস হোক শিক্ষা বেসরকারি হোক। সব শেষে ঐ শিক্ষক দের এবং ঐ সংগঠনের শিক্ষক দের অর্থাৎ চুলকানি ছাড়া শিক্ষক দের অশেষ ধন্যবাদ, আপনারা ভালো থাকবেন কারণ পড়ানোর চুলকানি আপনার বা আপনাদের মধ্যে নেই। 

Friday, 4 September 2020

আগামী কাল 5 ই সেপ্টেম্বর আমাদের দেশের শিক্ষক দিবস।

আগামী কাল আমাদের দেশের এক সণ্মানীয় শিক্ষক ডঃ সর্বপল্লি রাধাকৃষ্ণানের জণ্ম দিন ।এই মহান মানুষের জণ্ম দিন টি শিক্ষক দিবস হিসেবে পালন করা হয়। এই মহান শিক্ষক আমাদের দেশের রাষ্ট্রপতি পদে আসীন ছিলেন, এনার জণ্ম দিনে, আমার ব্লগের শিক্ষক পাঠক দের এবং যারা কোভিড19 এর মতো মহামারীর পরিস্থিতিতে শিক্ষা কে বিভিন্ন ভাবে ছাত্র ছাত্রীদের কাছে পৌঁছে দিচ্ছেন তাদের প্রত্যেকে এই ব্লগের মাধ্যমে শুভেচ্ছা জানাই। কারণ আমি সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখেছি, বাঁকুড়া বা পুরুলিয়া জেলার এক শিক্ষক মাইক লাগিয়ে পড়াচ্ছেন। আবার এক বেসরকারি সংস্থার শিক্ষক ছাত্র ছাত্রীদের অন লাইন পড়ানোর জন্য ভালো ইন্টারনেট বা নেটওয়ার্কের আশায় উঁচু গাছে মাচা বেঁধেছেন। অনেকেই হোয়াটস এ্যাপ বা সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে পড়াচ্ছেন। আর শিক্ষক দের এই ঐকান্তিক চেষ্টায় আশা করি কিছুটা হলেও শিক্ষা ব্যবস্থা বাঁচবে কারণ সরকারি উদ্যোগ কম সে তো পারলে শিক্ষা ব্যবস্থা তুলে দেয় গ্রামের মানুষ বা গরীবের জন্য শিক্ষা ব্যবস্থা আর থাকবে না। যারা এই কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দাাঁড়িয়ে শিক্ষা কে বাঁচাতে লড়াই করে যাচ্ছেন সেই সব শিক্ষক দের আমার ব্লগের মাধ্যমে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছি।
সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন। 

Wednesday, 2 September 2020

কেন্দ্রীয় কর্মীরা ৩০ বছর কর্ম জীবন হলে কাজের পারফরম্যান্স খারাপ হলে চাকরির ইতি, কিন্তু নেতা মন্ত্রীদের কি হবে!

আমি এবিষয়ে সাধু বাদ জানাই সরকার কে, ৩০ বছরের কর্ম জীবন নয় প্রথম থেকেই অর্থাৎ কর্ম জীবনের ৫ বছর হলেই এটা করা উচিত। বিশেষ করে পোস্ট অফিস বা ডাক কর্মী ও কিছু রেল কর্মী চাকরি পাওয়ার পর থেকেই সাধারণ মানুষ কে গরু ছাগল ভাবে ভালো ব্যবহার তো দূরের কথা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দূর্ব্যবহার করে। পোষ্ট অফিসের বড়ো বাবু থেকে সামান্য পিওন পর্যন্ত সকলেই ফাঁকিবাজ ভাবে আমি চাকরি পেয়ে গেছি আমার আবার কি? এখন তো ডাকে চিঠি আসে না যে টুকু আসে সেটাও বাড়িতে পৌঁছে দেয় না, এদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হলে এদের উপর যিনি আছেন তিনি কোন ব্যবস্থা নেন না। খুব ভালো বিষয় কিন্তু ব্যবস্থা নেবে কে, একে তো ঘুষের দেশ ঘুষ দিয়ে অনেকেই চাকরি পেয়েছেন, যে বড় বাবু ব্যবস্থা নেবেন তার পোয়াবারো পকেটে বেশ ভালো টাকা আসবে আবার কাউকে পছন্দ করেন না, কিন্তু তার পারফরম্যান্স ভালো তার চাকরি নিয়ে টানাটানি পড়বে, এমনিতেই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের মনের মতো না হলে সাময়িক বরখাস্ত লেগেই আছে। আমাদের মতো এতো বড়ো ঘুষখোর চোর চিটিংবাজের দেশে এটা সম্ভব দেখা যাবে অনেক ভালো কর্মীর চাকরি চলে যাবে, কারণ ঠগ বাজতে গাঁ উজাড় হয়ে যাবে। হাতে গোনা কয়েকজন ভালো আছেন, বেশির ভাগই তো চোর ঘুষখোর, তারা কখনো ভালো কাজ করতে দেয় না। যাহোক তবুও ভালো, কর্মীদের তো ছাঁটাই করা হবে কাজ দেখে কিন্তু নেতা মন্ত্রী দের কি হবে? কারণ আমাদের দেশের সাংসদ এম এল এ দের গড় বয়স 60 বছরের উপরে। এছাড়া যে সব নেতা মন্ত্রী কাটমানি চুরি জনগণের টাকা লুঠ করছে, এবং জেলখাটা আসামী হয়েও সাংসদ হয়েছে আজ এদল কাল এদল করছে টাকার বিনিময়ে তাদের কি হবে? আমার মনে হয় তাদেরকে আগে তাড়ানো দরকার, ভাবুন ভাবতে শিখুন একজন চোর, গুণ্ডা, খুনের বা ধর্ষণে অভিযুক্ত আসামী আইন সভা আলো করে বসে আছে আইন তৈরি করছে সেই আইন বলে মুরগি চোরের ফাঁসি হচ্ছে। সত্যই কি বিচিত্র এই দেশ! 

Tuesday, 1 September 2020

পশ্চিমবঙ্গে সব শাসক দলের কিছু বিকাশ দুবে থাকে ।



পশ্চিমবঙ্গের যে শাসক দল শাসন করে তাদের সাথে কম বেশি বিকাশ দুবেরা থাকে। বর্তমানে এই শাসক দলের সবচেয় বেশি আছে, তার একটাই কারণ চুরি, না এটা ঠিক চুরি নয় সরকারের টাকা কিছু নিজের কাছে রেখে দেওয়া। সরকার কে ফাঁকি দিয়ে নিজের কয়লা খাদান, বালি খাদান চালানো, জমির দালালি করে টাকা তোলা, সরকারি কাজে টেন্ডার বা দরপত্রের মাধ্যমে কাজের বরাত দিয়ে সেখান থেকে কোটি কোটি টাকা ইনকাম। ব্যবসায়ী দের কাছ থেকে টাকা তোলা, সরকারি যে কোন কাজ করে দেওয়া, সে চাকরি করে দেওয়া হোক বা সরকারি আবাসের টাকা দেওয়া সবেতেই কাটমানি এর আগে ছিল চিটিংবাজ ফাণ্ড এখন এসব হচ্ছে বেশি করে। অনেকেই বলবেন আগে ছিল না, ছিল এত ব্যাপক মাত্রায় ছিল না, তখন যারা এই সব করত বাম বা কংগ্রেস তাদের দল থেকে বহিষ্কার করে দিয়েছে তারাই আজ বর্তমান শাসক দলের সম্পদ। যেমন করে হোক এদের ক্ষমতা চাই, মানুষ কে মেরে ভয় দেখিয়ে, যেমন করে হোক টাকা চাই, নীচু তলায় কিছু মানুষ কে ঐ সব তোলার টাকার ভাগ দেয় বা সামান্য মদ আর ভাগারের মাংস খাইয়ে রাস্তায় দাঁড় করিয়ে দেয়, বোমা পিস্তল লাঠি দিয়ে মানুষ মারার জন্য। কত শুদ্ধ ভাষা উন্নয়ন রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছে, পুলিশ কে বোম মার, চড়াম চড়াম ঢাক বাজাও, গুর বাতাস খাওয়ার ব্যবস্থা করে দেওয়া। কখনো কখনো বলেন নারকেল মুড়ি ভাবেন এসব কথার কি হতে পারে কেউ বোঝে না। আমি আশ্চর্য হয়ে যাই, বোম মারতে বলেন সত্যিই বোম মেরে এক পুলিশ কর্মী কে মেরে ফেলা হয়। কোন বিচার নেই, যে মায়ের কোল খালি হলো সে বুঝল সন্তান হারানোর কি জ্বালা? আমার জিজ্ঞাসা, যিনি বোমা মেরে বা গুলি করে হত্যা করে দিলেন, তিনি এক জন মৃত মানুষের দেহে প্রাণ ফিরিয়ে আনতে পারবেন, আমার মনে হয় কেউ মৃত মানুষের দেহে প্রাণ দান করতে পারবেন না তাহলে যে প্রাণ দিতে পারেন না সেটা কেড়ে নেওয়া কেন? শাসকের আজ অধঃপতন কেন? মানুষের উপর অত্যাচার, সাধারণ মানুষ চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছেন চুরি করে কোটি কোটি টাকা টালির চালা চার তোলা প্রাসাদ হয়ে গেছে। সাধারণ মানুষের প্রতি অবিশ্বাস শাসক দলের আজ এই অবস্থা, কারণ কি অবিশ্বাসের কারণ মিথ্যা প্রতিশ্রুতি, যে সব প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতা দখল করে ছিলেন, 180 ডিগ্রি ঘুরে ঠিক উল্টো দিকে চলেছে এই সরকার। বেকারের চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি, লাখ লাখ টাকা ঘুষ না দিয়ে চাকরি হয় না। সরকারি কর্মীদের সঙ্গে তো কথাই নেই, কেন্দ্রীয় সরকারের ঘোষণার দিন থেকে ডিএ, ক্ষমতায় এসে ডিএ তুলে দিয়েছেন। প্যারা টিচার দের বা অন্য সব কর্মী দের বেতন বাড়ানোর কাগজে কলমে তথা খবরের কাগজে হাজার হাজার টাকা বেতন বাড়ে বাস্তব চিত্র আলাদা। ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ ওই দলের এক কট্টর সমর্থক অপরের জমি দখল করে আছে, তার আট শতক জমি এখন বারো শতক সেখান দিয়ে মানুষ দীর্ঘ দিন ধরে যাওয়া আসা করে ভেতরে তিন চার টি বাড়ি বিদ্যুৎ হীন। বাম আমলেও ছিল, তখন ঐ লোক বাম সমর্থক ছিল কেবল ভেতরের লোকজন কে বিদ্যুৎ সংযোগ ও যাতায়াত করতে দেবে না বলে। আর জমি হাঙর দের তো কথাই নেই, তাদের জন্য সাধারণ মানুষের জমি দখল করে নেওয়া, আর জমির দাম আকাশ ছোঁয়া। এসব কথা বলা যাবে না, কারণ সত্যি কথা বললে হয় জেলে যেতে হবে নয় মিথ্যা মামলা দায়ের করা হবে, নয় তো মার খেতে হবে। এগুলো বর্তমান শাসক দলের কর্মী সমর্থকরা জানে এই জন্য সাধারণ মানুষ কে বিশ্বাস করতে পারে না। ভোট এ কারচুপি করতে হয়, ভয় দেখাতে হয়, নেতা মন্ত্রী দের নিরাপত্তা নিয়ে ঘুরতে হয়। জানে আমরা মিথ্যা কথা বলে, কাটমানি তোলার জন্য ক্ষমতায় এসেছি, যে যত বেশি মিথ্যাবাদী সে তত বড় নেতা মন্ত্রী দু চারটে লাশ ফেলে দিতে এদের কুণ্ঠা বোধ নেই, এদের কথা পুলিশ এমনকি জেলার ম্যাজিস্ট্রেট পর্যন্ত ওঠা বসা করে। বিচার ব্যবস্থা সে তো এদেশে নেই, গরীব খেটে খাওয়া মানুষ তো দূর, তাদের বিচার পাওয়া সেটা দিবা স্বপ্ন দেখা। কারণ কবির ভাষায় " বিচারের বাণী আজ, নীরবে নির্ভিতে কাঁদে।" সরকার নেতা মন্ত্রী দের সরকার সাধারণ মানুষের সরকার নয়, তাদের ভোট দেন না, তাদের মানুষ বলে মনে করেন না বর্তমান শাসক দলের নেতা কর্মীরা। আর আজ তাই ভালো লোক খুঁজতে লেগেছে এই সরকারের নিয়োজিত এজেন্সি, এই সরকার যে সব প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এসে ছিল সে গুলো যদি কিছু টা পূরন করত মানুষ কে বিশ্বাস করে, তাদের বিশ্বাস করে ভোট দিতে দিত, ভয় দেখিয়ে মেরে দলের ভোট আদায় করা, ভয়ে ভক্তি এ বেশি দিন চলে না। আজ তাই চার পাশে আরেকটা বিরোধী দল তৈরি হয়েছে, এই শোষণের হাত থেকে মুক্তি পেতে, দেখা যাচ্ছে সেখানেও ভিড় করে তুলেছে বর্তমান শাসক দলের লোকজন। এ যেন দ্বিতীয় শাসক দল, সেই একই লোক কেবল নাম টা আলাদা এরা আবার বাঙালি জাতি বিরোধী কিভাবে বাঙালি জাতির ঐক্য ধ্বংস করা যায় তার চেষ্টা করে যাচ্ছে প্রতিদিন। শাসকের এখনও ঘুরে দাঁড়ানোর সময় আছে, কেবল মিথ্যা কথা বলা ছাড়তে হবে, প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে হবে, আর চোর চিটিংবাজ তোলাবাজ টাকার কুমির হয়ে যাওয়া নেতা মন্ত্রী দের দল থেকে বহিষ্কার করতে হবে। সে যেই হোক দেখলে হবে না, ভাই ভাইপো ভাইঝি হোক আর যেই হোক কোন কথা হবে তুমি চোর চাকরি দেওয়ার নামে ঘুষ নাও, রাস্তা তৈরির টাকা থেকে কাটমানি খাও তৈরি রাস্তা তিন দিনে পিচ উঠে চলে যায় তোমার দলে ঠাঁই নেই, মুখে বললে হবে না, কাজে করে দেখাতে হবে। তবে এটাও ঠিক এসব করলে এই দলটা উঠে চলে যাবে। কারণ বামেদের তাড়ানো যত চোর এবং নিজের দলের চোর তোলাবাজ মিথ্যাবাদী সব নিয়ে এই দল। বামেদের দেখুন কোনো ব্যক্তি বিশেষের দল নয় একটা নীতি আদর্শ মেনে চলে এই দল, নীতি ভষ্ট্র হলে দলে স্থান নেই, আদর্শ হীন চোর তোলাবাজ দের বহিষ্কার করে দিয়েছে এই বাম দল গুলো। আর সেই কারণেই অত কমিশন কমিটি গঠন করেও চোর ধরা পড়ে না, কিন্তু উল্টো দিকে মন্ত্রী থাকা অবস্থায় জেলে যেতে হয়, সাংসদ জেল খাটে যা বাংলার ইতিহাসে লজ্জা। সি বি আই বামেদের ধরতে পারে না, কিন্তু সারদা থেকে শুরু করে বিভিন্ন চিটফাণ্ড কেলেঙ্কারি, নারদা সবেতেই শাসকদের ধরে। চিটফাণ্ড তদন্তে যাতে সিবিআই না আসে তার জন্যে সরকারি টাকা খরচ করে মামলা করতে হয়। এই সব কারণে এই শাসক দল মানুষ কে ভয় খায় যদি ভোট না দেয়, এত উন্নয়নের বন্যা তবুও মানুষ কে ভোট দিতে না দেওয়ার কারন কি? কারণ পশ্চিমবঙ্গের শাসক দলের উত্তর প্রদেশের মতো বিকাশ দুবে সংখ্যা বেশি বলে। 

বাঙালি ও বর্তমান ভারত।

 (ছবিটি নেট থেকে নেওয়া, একটি স্ক্রিনশট।) স্বাধীনতার পূর্বে ভারত কীরকম ছিল, ১৯৪৭ সালে ভাগ হওয়ার পর কেমন হয়েছে। কেন ভারত ভাগ করা হয়েছিল সে ...