Anulekhon.blogspot.com

Tuesday, 1 September 2020

পশ্চিমবঙ্গে সব শাসক দলের কিছু বিকাশ দুবে থাকে ।



পশ্চিমবঙ্গের যে শাসক দল শাসন করে তাদের সাথে কম বেশি বিকাশ দুবেরা থাকে। বর্তমানে এই শাসক দলের সবচেয় বেশি আছে, তার একটাই কারণ চুরি, না এটা ঠিক চুরি নয় সরকারের টাকা কিছু নিজের কাছে রেখে দেওয়া। সরকার কে ফাঁকি দিয়ে নিজের কয়লা খাদান, বালি খাদান চালানো, জমির দালালি করে টাকা তোলা, সরকারি কাজে টেন্ডার বা দরপত্রের মাধ্যমে কাজের বরাত দিয়ে সেখান থেকে কোটি কোটি টাকা ইনকাম। ব্যবসায়ী দের কাছ থেকে টাকা তোলা, সরকারি যে কোন কাজ করে দেওয়া, সে চাকরি করে দেওয়া হোক বা সরকারি আবাসের টাকা দেওয়া সবেতেই কাটমানি এর আগে ছিল চিটিংবাজ ফাণ্ড এখন এসব হচ্ছে বেশি করে। অনেকেই বলবেন আগে ছিল না, ছিল এত ব্যাপক মাত্রায় ছিল না, তখন যারা এই সব করত বাম বা কংগ্রেস তাদের দল থেকে বহিষ্কার করে দিয়েছে তারাই আজ বর্তমান শাসক দলের সম্পদ। যেমন করে হোক এদের ক্ষমতা চাই, মানুষ কে মেরে ভয় দেখিয়ে, যেমন করে হোক টাকা চাই, নীচু তলায় কিছু মানুষ কে ঐ সব তোলার টাকার ভাগ দেয় বা সামান্য মদ আর ভাগারের মাংস খাইয়ে রাস্তায় দাঁড় করিয়ে দেয়, বোমা পিস্তল লাঠি দিয়ে মানুষ মারার জন্য। কত শুদ্ধ ভাষা উন্নয়ন রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছে, পুলিশ কে বোম মার, চড়াম চড়াম ঢাক বাজাও, গুর বাতাস খাওয়ার ব্যবস্থা করে দেওয়া। কখনো কখনো বলেন নারকেল মুড়ি ভাবেন এসব কথার কি হতে পারে কেউ বোঝে না। আমি আশ্চর্য হয়ে যাই, বোম মারতে বলেন সত্যিই বোম মেরে এক পুলিশ কর্মী কে মেরে ফেলা হয়। কোন বিচার নেই, যে মায়ের কোল খালি হলো সে বুঝল সন্তান হারানোর কি জ্বালা? আমার জিজ্ঞাসা, যিনি বোমা মেরে বা গুলি করে হত্যা করে দিলেন, তিনি এক জন মৃত মানুষের দেহে প্রাণ ফিরিয়ে আনতে পারবেন, আমার মনে হয় কেউ মৃত মানুষের দেহে প্রাণ দান করতে পারবেন না তাহলে যে প্রাণ দিতে পারেন না সেটা কেড়ে নেওয়া কেন? শাসকের আজ অধঃপতন কেন? মানুষের উপর অত্যাচার, সাধারণ মানুষ চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছেন চুরি করে কোটি কোটি টাকা টালির চালা চার তোলা প্রাসাদ হয়ে গেছে। সাধারণ মানুষের প্রতি অবিশ্বাস শাসক দলের আজ এই অবস্থা, কারণ কি অবিশ্বাসের কারণ মিথ্যা প্রতিশ্রুতি, যে সব প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতা দখল করে ছিলেন, 180 ডিগ্রি ঘুরে ঠিক উল্টো দিকে চলেছে এই সরকার। বেকারের চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি, লাখ লাখ টাকা ঘুষ না দিয়ে চাকরি হয় না। সরকারি কর্মীদের সঙ্গে তো কথাই নেই, কেন্দ্রীয় সরকারের ঘোষণার দিন থেকে ডিএ, ক্ষমতায় এসে ডিএ তুলে দিয়েছেন। প্যারা টিচার দের বা অন্য সব কর্মী দের বেতন বাড়ানোর কাগজে কলমে তথা খবরের কাগজে হাজার হাজার টাকা বেতন বাড়ে বাস্তব চিত্র আলাদা। ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ ওই দলের এক কট্টর সমর্থক অপরের জমি দখল করে আছে, তার আট শতক জমি এখন বারো শতক সেখান দিয়ে মানুষ দীর্ঘ দিন ধরে যাওয়া আসা করে ভেতরে তিন চার টি বাড়ি বিদ্যুৎ হীন। বাম আমলেও ছিল, তখন ঐ লোক বাম সমর্থক ছিল কেবল ভেতরের লোকজন কে বিদ্যুৎ সংযোগ ও যাতায়াত করতে দেবে না বলে। আর জমি হাঙর দের তো কথাই নেই, তাদের জন্য সাধারণ মানুষের জমি দখল করে নেওয়া, আর জমির দাম আকাশ ছোঁয়া। এসব কথা বলা যাবে না, কারণ সত্যি কথা বললে হয় জেলে যেতে হবে নয় মিথ্যা মামলা দায়ের করা হবে, নয় তো মার খেতে হবে। এগুলো বর্তমান শাসক দলের কর্মী সমর্থকরা জানে এই জন্য সাধারণ মানুষ কে বিশ্বাস করতে পারে না। ভোট এ কারচুপি করতে হয়, ভয় দেখাতে হয়, নেতা মন্ত্রী দের নিরাপত্তা নিয়ে ঘুরতে হয়। জানে আমরা মিথ্যা কথা বলে, কাটমানি তোলার জন্য ক্ষমতায় এসেছি, যে যত বেশি মিথ্যাবাদী সে তত বড় নেতা মন্ত্রী দু চারটে লাশ ফেলে দিতে এদের কুণ্ঠা বোধ নেই, এদের কথা পুলিশ এমনকি জেলার ম্যাজিস্ট্রেট পর্যন্ত ওঠা বসা করে। বিচার ব্যবস্থা সে তো এদেশে নেই, গরীব খেটে খাওয়া মানুষ তো দূর, তাদের বিচার পাওয়া সেটা দিবা স্বপ্ন দেখা। কারণ কবির ভাষায় " বিচারের বাণী আজ, নীরবে নির্ভিতে কাঁদে।" সরকার নেতা মন্ত্রী দের সরকার সাধারণ মানুষের সরকার নয়, তাদের ভোট দেন না, তাদের মানুষ বলে মনে করেন না বর্তমান শাসক দলের নেতা কর্মীরা। আর আজ তাই ভালো লোক খুঁজতে লেগেছে এই সরকারের নিয়োজিত এজেন্সি, এই সরকার যে সব প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এসে ছিল সে গুলো যদি কিছু টা পূরন করত মানুষ কে বিশ্বাস করে, তাদের বিশ্বাস করে ভোট দিতে দিত, ভয় দেখিয়ে মেরে দলের ভোট আদায় করা, ভয়ে ভক্তি এ বেশি দিন চলে না। আজ তাই চার পাশে আরেকটা বিরোধী দল তৈরি হয়েছে, এই শোষণের হাত থেকে মুক্তি পেতে, দেখা যাচ্ছে সেখানেও ভিড় করে তুলেছে বর্তমান শাসক দলের লোকজন। এ যেন দ্বিতীয় শাসক দল, সেই একই লোক কেবল নাম টা আলাদা এরা আবার বাঙালি জাতি বিরোধী কিভাবে বাঙালি জাতির ঐক্য ধ্বংস করা যায় তার চেষ্টা করে যাচ্ছে প্রতিদিন। শাসকের এখনও ঘুরে দাঁড়ানোর সময় আছে, কেবল মিথ্যা কথা বলা ছাড়তে হবে, প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে হবে, আর চোর চিটিংবাজ তোলাবাজ টাকার কুমির হয়ে যাওয়া নেতা মন্ত্রী দের দল থেকে বহিষ্কার করতে হবে। সে যেই হোক দেখলে হবে না, ভাই ভাইপো ভাইঝি হোক আর যেই হোক কোন কথা হবে তুমি চোর চাকরি দেওয়ার নামে ঘুষ নাও, রাস্তা তৈরির টাকা থেকে কাটমানি খাও তৈরি রাস্তা তিন দিনে পিচ উঠে চলে যায় তোমার দলে ঠাঁই নেই, মুখে বললে হবে না, কাজে করে দেখাতে হবে। তবে এটাও ঠিক এসব করলে এই দলটা উঠে চলে যাবে। কারণ বামেদের তাড়ানো যত চোর এবং নিজের দলের চোর তোলাবাজ মিথ্যাবাদী সব নিয়ে এই দল। বামেদের দেখুন কোনো ব্যক্তি বিশেষের দল নয় একটা নীতি আদর্শ মেনে চলে এই দল, নীতি ভষ্ট্র হলে দলে স্থান নেই, আদর্শ হীন চোর তোলাবাজ দের বহিষ্কার করে দিয়েছে এই বাম দল গুলো। আর সেই কারণেই অত কমিশন কমিটি গঠন করেও চোর ধরা পড়ে না, কিন্তু উল্টো দিকে মন্ত্রী থাকা অবস্থায় জেলে যেতে হয়, সাংসদ জেল খাটে যা বাংলার ইতিহাসে লজ্জা। সি বি আই বামেদের ধরতে পারে না, কিন্তু সারদা থেকে শুরু করে বিভিন্ন চিটফাণ্ড কেলেঙ্কারি, নারদা সবেতেই শাসকদের ধরে। চিটফাণ্ড তদন্তে যাতে সিবিআই না আসে তার জন্যে সরকারি টাকা খরচ করে মামলা করতে হয়। এই সব কারণে এই শাসক দল মানুষ কে ভয় খায় যদি ভোট না দেয়, এত উন্নয়নের বন্যা তবুও মানুষ কে ভোট দিতে না দেওয়ার কারন কি? কারণ পশ্চিমবঙ্গের শাসক দলের উত্তর প্রদেশের মতো বিকাশ দুবে সংখ্যা বেশি বলে। 

No comments:

Post a Comment

পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষা ব্যবস্থা পুরোপুরি ধ্বংসের দিকে।

  ব্রিটিশ ভারতের একমাত্র রাজ্য যেখানে প্রথম পাশ্চাত্য শিক্ষার হাত ধরে আধুনিক শিক্ষা এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষা গড়ে উঠেছিল। এক সময় বাঙা...