Anulekhon.blogspot.com

Wednesday, 2 September 2020

কেন্দ্রীয় কর্মীরা ৩০ বছর কর্ম জীবন হলে কাজের পারফরম্যান্স খারাপ হলে চাকরির ইতি, কিন্তু নেতা মন্ত্রীদের কি হবে!

আমি এবিষয়ে সাধু বাদ জানাই সরকার কে, ৩০ বছরের কর্ম জীবন নয় প্রথম থেকেই অর্থাৎ কর্ম জীবনের ৫ বছর হলেই এটা করা উচিত। বিশেষ করে পোস্ট অফিস বা ডাক কর্মী ও কিছু রেল কর্মী চাকরি পাওয়ার পর থেকেই সাধারণ মানুষ কে গরু ছাগল ভাবে ভালো ব্যবহার তো দূরের কথা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দূর্ব্যবহার করে। পোষ্ট অফিসের বড়ো বাবু থেকে সামান্য পিওন পর্যন্ত সকলেই ফাঁকিবাজ ভাবে আমি চাকরি পেয়ে গেছি আমার আবার কি? এখন তো ডাকে চিঠি আসে না যে টুকু আসে সেটাও বাড়িতে পৌঁছে দেয় না, এদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হলে এদের উপর যিনি আছেন তিনি কোন ব্যবস্থা নেন না। খুব ভালো বিষয় কিন্তু ব্যবস্থা নেবে কে, একে তো ঘুষের দেশ ঘুষ দিয়ে অনেকেই চাকরি পেয়েছেন, যে বড় বাবু ব্যবস্থা নেবেন তার পোয়াবারো পকেটে বেশ ভালো টাকা আসবে আবার কাউকে পছন্দ করেন না, কিন্তু তার পারফরম্যান্স ভালো তার চাকরি নিয়ে টানাটানি পড়বে, এমনিতেই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের মনের মতো না হলে সাময়িক বরখাস্ত লেগেই আছে। আমাদের মতো এতো বড়ো ঘুষখোর চোর চিটিংবাজের দেশে এটা সম্ভব দেখা যাবে অনেক ভালো কর্মীর চাকরি চলে যাবে, কারণ ঠগ বাজতে গাঁ উজাড় হয়ে যাবে। হাতে গোনা কয়েকজন ভালো আছেন, বেশির ভাগই তো চোর ঘুষখোর, তারা কখনো ভালো কাজ করতে দেয় না। যাহোক তবুও ভালো, কর্মীদের তো ছাঁটাই করা হবে কাজ দেখে কিন্তু নেতা মন্ত্রী দের কি হবে? কারণ আমাদের দেশের সাংসদ এম এল এ দের গড় বয়স 60 বছরের উপরে। এছাড়া যে সব নেতা মন্ত্রী কাটমানি চুরি জনগণের টাকা লুঠ করছে, এবং জেলখাটা আসামী হয়েও সাংসদ হয়েছে আজ এদল কাল এদল করছে টাকার বিনিময়ে তাদের কি হবে? আমার মনে হয় তাদেরকে আগে তাড়ানো দরকার, ভাবুন ভাবতে শিখুন একজন চোর, গুণ্ডা, খুনের বা ধর্ষণে অভিযুক্ত আসামী আইন সভা আলো করে বসে আছে আইন তৈরি করছে সেই আইন বলে মুরগি চোরের ফাঁসি হচ্ছে। সত্যই কি বিচিত্র এই দেশ! 

No comments:

Post a Comment

বাঙালি ও বর্তমান ভারত।

 (ছবিটি নেট থেকে নেওয়া, একটি স্ক্রিনশট।) স্বাধীনতার পূর্বে ভারত কীরকম ছিল, ১৯৪৭ সালে ভাগ হওয়ার পর কেমন হয়েছে। কেন ভারত ভাগ করা হয়েছিল সে ...