Anulekhon.blogspot.com

Friday, 25 September 2020

বিদ্যাসাগর ( ঈশ্বর চন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়) আজ এই মহান মানুষ টির জণ্ম দিন।

আজ 26 শে সেপ্টেম্বর বাঙালির গর্বের দিন। বাংলা ভাষা তথা বাংলা বর্ণ মালার আধুনিক রূপকার এবং বাংলা ভাষা কে সহজ সরল করে সাধারণ মানুষের বোঝার উপযোগী করে তোলা, এই মহান মানুষ টির মহান কাজ। শিশু শিক্ষা কে সহজ সরল করে তুলতে লিখে ছিলেন বর্ণ পরিচয় প্রথম ও দ্বিতীয় ভাগ যা আজও শিশুদের বাড়িতে পড়ানোর জন্য নেওয়া হয়। আর বর্ণ পরিচয় পড়েনি এরকম বাঙালি খুঁজে পাওয়া ভার। শুধু কি তাই, শিক্ষা প্রসারে আজীবন ব্রতী এই মানুষ টি ছিলেন তৎকালীন সময়ের সমাজ সংস্কারক বিশেষ করে মেয়েদের শিক্ষার জন্য তিনি অনেক বিদ্যালয় তৈরি করে ছিলেন এবং নিজের টাকা থেকে সেই সব বিদ্যালয়ের খরচ মেটাতেন। নিজে সোনার চামচ মুখে নিয়ে জণ্ম গ্রহণ করেন নি বহু কষ্টে তিনি নিজে কে প্রতিষ্ঠিত করে ছিলেন, পরবর্তীতে তিনি গরীবের ভগবান তাদের কাছে ছিলেন দয়ার সাগর। গরীবের চিকিৎসা করবেন বলে হোমিওপ্যাথি শিখে ছিলেন। এই মহান মানুষ টির আজ জণ্ম দিন, তিনি জণ্ম গ্রহণ করে ছিলেন মেদিনীপুরের বীরসিংহ গ্রামে ওটি ছিল তাঁর বাবার মামার বাড়ি বিদ্যাসাগর মহাশয়ের আসল বাড়ি ছিল চাঁপাডাঙ্গার কাছে বনমালিপুর গ্রামে। সমাজ সংস্কারক মানব দরদী এই মহান মানুষ টির 201 তম জন্মদিনে জানাই সশ্রদ্ধ প্রণাম। আসুন এই মহান মানুষ টির আদর্শের সবটা না হোক কিছুটাও পালন করে নিজের মনুষ্যত্বের পরিচয় দিই। বাঙালি জাতিকে শিক্ষিত করে তুলতে এনার অবদান অনস্বীকার্য সেই জন্যই আমরা মনে হয় এনাকে আমাদের শিক্ষার গুরুদেব বলে থাকি। বর্তমান কঠিন পরিস্থিতিতে দেশের সরকার শিক্ষা ব্যবস্থা কে সংকুচিত করে নগন মানুষের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে চাইছে। আরেক দল গোঁড়া ধর্মীয় শিক্ষায় আবদ্ধ থেকে ক্রমশ বাঙালি জাতি কে পিছনে ঠেলে দিচ্ছে, তাবিজ, জলপড়া খেয়ে রোগ সারাবার ব্যবস্থা ঝাড়ফুঁকে রোগ সারবে এ প্রচারে ব্যস্ত। আর ধর্মের দোহাই দিয়ে লাগাতার সন্তান জন্ম দিয়ে চলেছে দেশের লোক সংখ্যা বাড়িয়ে চলেছে এদের কাছে ধর্মের থেকে বড় আর কিছু না। দেশের আইন ও বিচার ব্যবস্থা কোন কিছু কে এরা পরোয়া করে না। প্রতিনিয়ত অসামাজিক কাজকর্ম করে করে বাঙালি জাতি কে অন্ধকারে ঠেলে দিচ্ছে এই সব ধর্মান্ধ জাতি আর দেশের প্রতিটি সরকার সে রাজ্য সরকার হোক কিংবা কেন্দ্র ধর্মের জিগির তুলে শিক্ষা ব্যবস্থা কে ধ্বংস করতে চাইছে, ভোট এই সব রাজনৈতিক দলের কাছে বড়ো বেশি বালাই ক্ষমতা চাই আর ক্ষমতায় এলেই টাকা লুঠ করা যায়, এই যখন বর্তমান নেতা মন্ত্রী ছোট খাটো নেতা কর্মীরা সকলে জানে সেই কারণেই সামান্য পঞ্চায়েত নির্বাচনেও দাঙ্গা করে জেতা। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা আজ ধ্বংসের মুখে আসুন আজ এই মহান মানুষ টির জণ্ম দিনে শপথ নিই আমরা শিক্ষা কে ধ্বংস করার চক্রান্ত রুখব। আধুনিক শিক্ষায় সমাজের প্রতিটি মানুষ যাতে শিক্ষিত হয় সে চেষ্টা করে যাব। যারা ধর্ম কে বড়ো বলে মনে করে তারা চায় না মানুষ সঠিক শিক্ষা পাক সকল মানুষ শিক্ষা পাক কারণ তারা জানে শিক্ষা আনে চেতনা, সঠিক শিক্ষা নিজের অধিকার বুঝে নিতে চায়, আর ধরে ফেলে অপরের চালাকি নেতা মন্ত্রী রাজনৈতিক দলের চুরি বাটপারি সেই কারণেই আজ শিক্ষা ক্ষেত্রে এত আক্রমণ। অথচ বাঙালি জাতিকে অন্ধকার থেকে আলোয় আনতে এনার মত মহান পুরুষ শিক্ষার প্রসার ঘটাতে সারা জীবন সচেষ্ট ছিলেন। তাই আজ শপথ নেওয়ার, নেতা মন্ত্রী দের কুট চালে বা কু নীতির জন্য যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে সে গুলো কে আমরা রক্ষা করব। সব শেষে এই মহান মানুষ টির জণ্ম দিন আবার ও সশ্রদ্ধ প্রণাম জানিয়ে শেষ করছি।

No comments:

Post a Comment

বাঙালি ও বর্তমান ভারত।

 (ছবিটি নেট থেকে নেওয়া, একটি স্ক্রিনশট।) স্বাধীনতার পূর্বে ভারত কীরকম ছিল, ১৯৪৭ সালে ভাগ হওয়ার পর কেমন হয়েছে। কেন ভারত ভাগ করা হয়েছিল সে ...