ভোট বড় বালাই যে কোন প্রকারে জিততে হবে। না হলে চুরি কাটমানি ঘুষ নেওয়া যাবে না। আগামী 2021 সাল কয়েকটি রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন, এই সময়ে কেন্দ্রীয় সরকার যেমন কল্পতরু, নিয়োগের শেষ নেই, এই মাত্র দেখলাম রেলের ফ্যাক্টরিতে নিয়োগ করা এই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় খবর দেখলাম। আরও কত ধরনের পেনশন টাকা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্য দুই সরকারের কৃষক পেনশন, তবুও কৃষক আত্মহত্যা করে এটা ঠিক নয়। রাজ্যে এতো নিয়োগ তবুও চাকরির জন্য অনশন করতে হয়। দুই সরকারের নিয়োগের বিজ্ঞাপনে ছড়াছড়ি তবুও স্বাধীনতার পর ভারতে তথা রাজ্যের বেকার সংখ্যা সব থেকে বেশি। কারণ প্রতিশ্রুতি আছে বাস্তবে তার দেখা মেলা ভার। আমি দু সরকারের কতগুলো প্রতিশ্রুতি মনে করে দিচ্ছি কেন্দ্রীয় শাসক দলের প্রতিশ্রুতি ১)১৫ লক্ষ টাকা প্রতিটি নাগরিকের ব্যাঙ্কের খাতায় আসবে ভাইও বহিনও,, ২) বছরে দু কোটি বেকারের চাকরি হবে। ৩) রান্না গ্যাস সহ জ্বালানির দাম পেট্রোল ডিজেলের দাম কমবে। ৪) আরও আছে সবকা সাথে সবকা বিকাশ ভাইও বহিন পরের বার আগলে বার মোদি সরকার। বাঙালি যদি সত্যি আপনি মানুষ হন বুকে হাত দিয়ে বলুন আদানি, আম্বানির বিকাশ ঘটেছে, মেহুল চকসি, বিজয় মাল্য, নাম আর লিখছি না এক জন বন্ধুর পাঠানো তালিকার ছবি দিলাম যারা ব্যাঙ্কের কয়েক হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে শোধ করেনি এরা অনেক ফেরার। তালিকা দেখে নিন,
এরপর পরেও অনেক আছেন যারা কেন্দ্রীয় শাসক কে রাজ্যে ক্ষমতায় আনার চেষ্টা করছে। কেন্দ্রীয় শাসক দলের কোনও কোনও নেতা সারাদা, রোজভ্যালী, নারদা টাকা নেওয়া নেতা দের পাশে বসিয়ে বলছেন আমরা ক্ষমতায় এলে সারদার চোরে দের জেলে ভরব। অথচ দেখুন সি বি আই তদন্ত চলছে, যেই ভোট আসে আর কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার লোকজনের মনে পরে সারদার কথা, আর আজ সাত থেকে আট বছর হয়ে গেল কেন্দ্রে ক্ষমতায় আছে কিছুটি করে নি, চোরে চোরে মাসতুত ভাই ।ঠিক জায়গায় রফা করে নিয়েছে, ভাবুন আমি ফকির আমার কেউ নেই কেন চুরি করব। আমি আপনাদের পাহারাদার চৌকিদার কত কথা আর সেই চৌকিদার এমন পাহারা দিয়েছে, দিচ্ছে দেশটা তথা দেশের কয়েকটি ব্যবসায়ী আর বিদেশীদের কব্জায়। রেল বেচে, টেলিকম, বি এস এন এল, এমনকি দেশের প্রতিরক্ষার জন্য অস্ত্র কারখানা সেটাও বিক্রি করে দেবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিক্রি করে দিয়ে আমেরিকা, ইসরাইল, প্রভৃতি বিদেশ থেকে অস্ত্র কিনে দেশ উদ্ধার করবেন। এরকম ধাপ্পাবাজ, চিটিংবাজ কে ক্ষমতায় নিয়ে আসার পরিকল্পনায় বাঙালি বাঙালি জাতির কি অধপতন ধর্মের নামে নিজের দেশ তথা মায়ের সম্পদ বিক্রি করে দিতে পারে, এই বাঙালি ব্রিটিশ আমলে স্বদেশী আন্দোলন শুরু করে ছিল।কান্ত কবির কবিতার প্রথম লাইন, " মায়ের দেওয়া মোটা কাপড় মাথায় নেরে ভাই /দীন দুঃখীনি মা যে তোদের তার বেশি আর সাধ্য নাই।" এত গেল কেন্দ্রীয় শাসক দলের কথা, এবার বর্তমান রাজ্যে শাসক দলের কিছু কথা, 2021 সাল বিধানসভা নির্বাচনে জিততে হবে তাই দিদি এখন কল্পতরু যা চাইবেন তাই ঘোষণা করে দেবেন। চাকরির ছড়াছড়ি প্রতিদিন কাগজ খুলে দেখুন কোনো না কোনো নিয়োগের বিজ্ঞাপন, এইট পাশ থেকে শুরু করে পিইচ ডি সবার জন্য উন্মুক্ত চাকরি কিছু ব্যাপার না। বাস্তব জীবনে কিন্তু অন্য কথা বলে টাকা না দিলে চাকরি নেই, যদি বা নিয়োগ করা হয় কন্টাকচুয়াল2000 টাকা থেকে 10000 টাকা বেতন। নিজের বেতন নিজেই বাড়িয়ে এক লক্ষ টাকার উপরে করে নিয়েছে। ও হ্যাঁ বেতন ও নিয়োগের কথা বলতে 2011 সালের প্রতিশ্রুতির কথা মনে পড়ে গেল। ক্ষমতায় এলে প্রতি বছর দু লক্ষ বেকারের চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি কিছু চাকরি দিয়েছেন অস্বীকার করা যাবে না। সিভিক পুলিশ ঐ রাস্তায় দাঁড়িয়ে লরি ও গাড়ির চালকের থেকে তোলা তোলে এই আগষ্ট মাসে আমি দেখেছি ভাবলাম ছবি তুলে রাখি কিন্তু সাহস হয়নি ভাবলাম দিদি বলেছেন সামনে ভোট টাকার দরকার। ওরাই তো গত পঞ্চায়েত ভোটের বাক্স পাল্টে দিয়ে দিদি কে জিতিয়েছে। যাকগে যাকগে ওসব কথা যারা ঘুষ দিতে পারে নি বা দোব না বলেছে তারা চাকরির জন্য অনশন শুরু করে ছিল।
তাদের চাকরি কিন্তু এখনও পর্যন্ত হয়নি, আর প্যারা টিচার এদের কথা নাই বা বললাম এরা বেইমান যে থালায় খায় সেটা ফুট করে বাম আমলে এদের নিয়োগ বাম সরকার যাবার আগে এ ওদের চাকরি পাকা করে দিয়ে গেল, সেই বাম এদের কাছে খারাপ, কারণ দিদির প্রতিশ্রুতি প্রতি বছর 10 % করে স্থায়ী শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ করে দেবেন। এই 10 বছর ধরে যদি এটা করতেন তাহলে একজন ও পার্শ্ব শিক্ষক থাকত না। আরেকটা কথা না বললেই নয় সরকারি কর্মীদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি, যে দিন কেন্দ্রীয় সরকার ঘোষণা করবে সে দিন থেকেই এই রাজ্যে ডি এ দেওয়া হবে। আর এখন ডি এ শব্দটা সরকারি কর্মীদের পে শ্লিপ থেকে মুছে গেছে। কিছু সরকারি কর্মী কিন্তু এতে একটুও দুঃখ পায় নি কারণ উন্নত মানের ঘুষের টাকা আর কাটমানির ভাগ ভালো পায় সেই কারণেই বেশ কিছু এখনো এই সরকারের সমর্থন করে। ভাতার কথা, পুরোহিত ভাতা ৮০০০ না আশি হাজার পুরোহিত কে ভাতা দেওয়া হবে বছরে না মাসে হাজার টাকা, ইমাম ভাতা ছিল চালু করা হলো পুরোহিত ভাতা আর বার্ধক্য ভাতা বিধবা ভাতা দেওয়া হতো সে সব বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বাম আমলে সাইকেল দেওয়া হতো স্কুল থেকে বাড়ির দূরে হলে এখন নাইনে পড়লে সবাই পায়, তার আগে কত ছেলে মেয়ে দূরত্বের জন্য স্কুল ছেড়ে চলে যায়। কন্যশ্রী যা নিয়ে এতো গর্ব বাম আমলে অর্থনৈতিক ভাবে পিছিয়ে পরা পরিবারের দুটি কন্যা সন্তান হলে এককালীন টাকা দেওয়া হতো। সেটাই এখন কন্যশ্রী আর ওতো কলেজ গেটে ভাই ভাইপো ভাইঝি দের জন্য। আসলে তা নয় বাম আমলের অনেক কিছু জানতে পারত না মানুষ এতো প্রচার করা হতো না। যদি সকলে মিলে চায় যে সব নেতারা এলাকায় কর্মী কুল জানত তারা চুপ করে থাকত কাউকে কিছু বলত না। এটা ছিল তখন বামেদের কৌশল ভাবত আমাদের কে ক্ষমতা থেকে হটাবে। মানুষ কে এতো কিছু করে দিয়ে দিত একই বাড়িতে চার পাঁচ রকম ভাতা ঋন সব সে পেত এই মুষ্ঠিমেয় লোক গুলো কে বাদ দিয়ে শেষ দশ বছর যখন সকলে জানল তাদের দেওয়া শুরু করে দিল ঘুরিয়ে ফিরিয়ে সবাই পেতে আরম্ভ করে ছিল। সে সময় ঐ পাড়ার দাদা নেতা এবং দীর্ঘ দিনের সব সুবিধা নেওয়া সুবিধা বাদিরা বামপন্থী দের ছেড়ে দিদির বড়ো বড়ো প্রতিশ্রুতি শুনে ভাবল কত কিছু করে দেবেন। সুবিধা বাদি দল এখন শাসক দলে, বামেদের খেয়াল রাখতে হবে ঐ সুবিধা বাদি ধান্দা বাজের দল যেন আর না আসে দলে, শতেক সুবিধা নেওয়ার পরও বলে আমি কি পেলাম? আমি সাধারণ মানুষের কাছে আবেদন করব, যারা বাড়ির বেকার ছেলে মেয়ে দের ভবিষ্যৎ নষ্ট করে দিতে না চান অর্থাৎ ভোটে নির্বাচিত হলেই চপ কারখানা, ঘুঁটে ব্যবসা, মুড়ি ব্যবসা, ঝাল মুড়ি, চায়ের দোকানে কাজ আর ঘটি গরম বিক্রি করাতে না চান। যারা চোর কে চোর বলতে পারেন, মুরগি চোর সাধারণ ছিঁচকে চোর কে চোর বলতে পারেন কিন্তু এই অসাধারণ চুরির দক্ষতা সম্পন্ন ব্যক্তি দের চুরি দেখে চুপ করে বসে থাকেন তাকে ভোট দিয়ে জিতে সাহায্য করেন যাতে আবার চুরি করতে পারে। তাহলে আপনি নিজেই চোর সেই কারণেই সঠিক বা মানুষের ভালো দেখতে পারেন না। চোর কে চোর মিথ্যাবাদী কে মিথ্যাবাদী ধাপ্পাবাজ কে ধাপ্পাবাজ বলতে পারেন তাহলে দেখুন প্রায় 11 থেকে 12 টি তদন্ত কমিশন ও কমিটি গঠন করেও একজন বাম নেতা মন্ত্রী কে জেল বন্দি করতে পারে নি উল্টে নিজের দলের সাংসদ মন্ত্রী জেল খেটেছে। যদি সত্যি মানুষ হয়ে থাকেন, এবং সব গরীব খেটে খাওয়া মানুষ কে মানুষ বলে ভেবে থাকেন তাহলে এই চোর মিথ্যাবাদী শাসকের পদলেহন ছাড়ুন সামান্য ভিক্ষা পাওয়ার আশা ত্যাগ করে সকলের জন্য ভাবি। আগামী 2021 একুশের নির্বাচনে বামেদের জয় নিশ্চিত করি। সকলে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকুন ।আমার লেখা কাউকে আঘাত দেওয়ার জন্য নয়। আসুন সকলে মিলে পরিবর্তন কে পাল্টে প্রত্যাবর্তন করে দিই। 2021 সাল বাংলা হোক লালে লাল।
এরপর পরেও অনেক আছেন যারা কেন্দ্রীয় শাসক কে রাজ্যে ক্ষমতায় আনার চেষ্টা করছে। কেন্দ্রীয় শাসক দলের কোনও কোনও নেতা সারাদা, রোজভ্যালী, নারদা টাকা নেওয়া নেতা দের পাশে বসিয়ে বলছেন আমরা ক্ষমতায় এলে সারদার চোরে দের জেলে ভরব। অথচ দেখুন সি বি আই তদন্ত চলছে, যেই ভোট আসে আর কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার লোকজনের মনে পরে সারদার কথা, আর আজ সাত থেকে আট বছর হয়ে গেল কেন্দ্রে ক্ষমতায় আছে কিছুটি করে নি, চোরে চোরে মাসতুত ভাই ।ঠিক জায়গায় রফা করে নিয়েছে, ভাবুন আমি ফকির আমার কেউ নেই কেন চুরি করব। আমি আপনাদের পাহারাদার চৌকিদার কত কথা আর সেই চৌকিদার এমন পাহারা দিয়েছে, দিচ্ছে দেশটা তথা দেশের কয়েকটি ব্যবসায়ী আর বিদেশীদের কব্জায়। রেল বেচে, টেলিকম, বি এস এন এল, এমনকি দেশের প্রতিরক্ষার জন্য অস্ত্র কারখানা সেটাও বিক্রি করে দেবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিক্রি করে দিয়ে আমেরিকা, ইসরাইল, প্রভৃতি বিদেশ থেকে অস্ত্র কিনে দেশ উদ্ধার করবেন। এরকম ধাপ্পাবাজ, চিটিংবাজ কে ক্ষমতায় নিয়ে আসার পরিকল্পনায় বাঙালি বাঙালি জাতির কি অধপতন ধর্মের নামে নিজের দেশ তথা মায়ের সম্পদ বিক্রি করে দিতে পারে, এই বাঙালি ব্রিটিশ আমলে স্বদেশী আন্দোলন শুরু করে ছিল।কান্ত কবির কবিতার প্রথম লাইন, " মায়ের দেওয়া মোটা কাপড় মাথায় নেরে ভাই /দীন দুঃখীনি মা যে তোদের তার বেশি আর সাধ্য নাই।" এত গেল কেন্দ্রীয় শাসক দলের কথা, এবার বর্তমান রাজ্যে শাসক দলের কিছু কথা, 2021 সাল বিধানসভা নির্বাচনে জিততে হবে তাই দিদি এখন কল্পতরু যা চাইবেন তাই ঘোষণা করে দেবেন। চাকরির ছড়াছড়ি প্রতিদিন কাগজ খুলে দেখুন কোনো না কোনো নিয়োগের বিজ্ঞাপন, এইট পাশ থেকে শুরু করে পিইচ ডি সবার জন্য উন্মুক্ত চাকরি কিছু ব্যাপার না। বাস্তব জীবনে কিন্তু অন্য কথা বলে টাকা না দিলে চাকরি নেই, যদি বা নিয়োগ করা হয় কন্টাকচুয়াল2000 টাকা থেকে 10000 টাকা বেতন। নিজের বেতন নিজেই বাড়িয়ে এক লক্ষ টাকার উপরে করে নিয়েছে। ও হ্যাঁ বেতন ও নিয়োগের কথা বলতে 2011 সালের প্রতিশ্রুতির কথা মনে পড়ে গেল। ক্ষমতায় এলে প্রতি বছর দু লক্ষ বেকারের চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি কিছু চাকরি দিয়েছেন অস্বীকার করা যাবে না। সিভিক পুলিশ ঐ রাস্তায় দাঁড়িয়ে লরি ও গাড়ির চালকের থেকে তোলা তোলে এই আগষ্ট মাসে আমি দেখেছি ভাবলাম ছবি তুলে রাখি কিন্তু সাহস হয়নি ভাবলাম দিদি বলেছেন সামনে ভোট টাকার দরকার। ওরাই তো গত পঞ্চায়েত ভোটের বাক্স পাল্টে দিয়ে দিদি কে জিতিয়েছে। যাকগে যাকগে ওসব কথা যারা ঘুষ দিতে পারে নি বা দোব না বলেছে তারা চাকরির জন্য অনশন শুরু করে ছিল।
তাদের চাকরি কিন্তু এখনও পর্যন্ত হয়নি, আর প্যারা টিচার এদের কথা নাই বা বললাম এরা বেইমান যে থালায় খায় সেটা ফুট করে বাম আমলে এদের নিয়োগ বাম সরকার যাবার আগে এ ওদের চাকরি পাকা করে দিয়ে গেল, সেই বাম এদের কাছে খারাপ, কারণ দিদির প্রতিশ্রুতি প্রতি বছর 10 % করে স্থায়ী শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ করে দেবেন। এই 10 বছর ধরে যদি এটা করতেন তাহলে একজন ও পার্শ্ব শিক্ষক থাকত না। আরেকটা কথা না বললেই নয় সরকারি কর্মীদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি, যে দিন কেন্দ্রীয় সরকার ঘোষণা করবে সে দিন থেকেই এই রাজ্যে ডি এ দেওয়া হবে। আর এখন ডি এ শব্দটা সরকারি কর্মীদের পে শ্লিপ থেকে মুছে গেছে। কিছু সরকারি কর্মী কিন্তু এতে একটুও দুঃখ পায় নি কারণ উন্নত মানের ঘুষের টাকা আর কাটমানির ভাগ ভালো পায় সেই কারণেই বেশ কিছু এখনো এই সরকারের সমর্থন করে। ভাতার কথা, পুরোহিত ভাতা ৮০০০ না আশি হাজার পুরোহিত কে ভাতা দেওয়া হবে বছরে না মাসে হাজার টাকা, ইমাম ভাতা ছিল চালু করা হলো পুরোহিত ভাতা আর বার্ধক্য ভাতা বিধবা ভাতা দেওয়া হতো সে সব বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বাম আমলে সাইকেল দেওয়া হতো স্কুল থেকে বাড়ির দূরে হলে এখন নাইনে পড়লে সবাই পায়, তার আগে কত ছেলে মেয়ে দূরত্বের জন্য স্কুল ছেড়ে চলে যায়। কন্যশ্রী যা নিয়ে এতো গর্ব বাম আমলে অর্থনৈতিক ভাবে পিছিয়ে পরা পরিবারের দুটি কন্যা সন্তান হলে এককালীন টাকা দেওয়া হতো। সেটাই এখন কন্যশ্রী আর ওতো কলেজ গেটে ভাই ভাইপো ভাইঝি দের জন্য। আসলে তা নয় বাম আমলের অনেক কিছু জানতে পারত না মানুষ এতো প্রচার করা হতো না। যদি সকলে মিলে চায় যে সব নেতারা এলাকায় কর্মী কুল জানত তারা চুপ করে থাকত কাউকে কিছু বলত না। এটা ছিল তখন বামেদের কৌশল ভাবত আমাদের কে ক্ষমতা থেকে হটাবে। মানুষ কে এতো কিছু করে দিয়ে দিত একই বাড়িতে চার পাঁচ রকম ভাতা ঋন সব সে পেত এই মুষ্ঠিমেয় লোক গুলো কে বাদ দিয়ে শেষ দশ বছর যখন সকলে জানল তাদের দেওয়া শুরু করে দিল ঘুরিয়ে ফিরিয়ে সবাই পেতে আরম্ভ করে ছিল। সে সময় ঐ পাড়ার দাদা নেতা এবং দীর্ঘ দিনের সব সুবিধা নেওয়া সুবিধা বাদিরা বামপন্থী দের ছেড়ে দিদির বড়ো বড়ো প্রতিশ্রুতি শুনে ভাবল কত কিছু করে দেবেন। সুবিধা বাদি দল এখন শাসক দলে, বামেদের খেয়াল রাখতে হবে ঐ সুবিধা বাদি ধান্দা বাজের দল যেন আর না আসে দলে, শতেক সুবিধা নেওয়ার পরও বলে আমি কি পেলাম? আমি সাধারণ মানুষের কাছে আবেদন করব, যারা বাড়ির বেকার ছেলে মেয়ে দের ভবিষ্যৎ নষ্ট করে দিতে না চান অর্থাৎ ভোটে নির্বাচিত হলেই চপ কারখানা, ঘুঁটে ব্যবসা, মুড়ি ব্যবসা, ঝাল মুড়ি, চায়ের দোকানে কাজ আর ঘটি গরম বিক্রি করাতে না চান। যারা চোর কে চোর বলতে পারেন, মুরগি চোর সাধারণ ছিঁচকে চোর কে চোর বলতে পারেন কিন্তু এই অসাধারণ চুরির দক্ষতা সম্পন্ন ব্যক্তি দের চুরি দেখে চুপ করে বসে থাকেন তাকে ভোট দিয়ে জিতে সাহায্য করেন যাতে আবার চুরি করতে পারে। তাহলে আপনি নিজেই চোর সেই কারণেই সঠিক বা মানুষের ভালো দেখতে পারেন না। চোর কে চোর মিথ্যাবাদী কে মিথ্যাবাদী ধাপ্পাবাজ কে ধাপ্পাবাজ বলতে পারেন তাহলে দেখুন প্রায় 11 থেকে 12 টি তদন্ত কমিশন ও কমিটি গঠন করেও একজন বাম নেতা মন্ত্রী কে জেল বন্দি করতে পারে নি উল্টে নিজের দলের সাংসদ মন্ত্রী জেল খেটেছে। যদি সত্যি মানুষ হয়ে থাকেন, এবং সব গরীব খেটে খাওয়া মানুষ কে মানুষ বলে ভেবে থাকেন তাহলে এই চোর মিথ্যাবাদী শাসকের পদলেহন ছাড়ুন সামান্য ভিক্ষা পাওয়ার আশা ত্যাগ করে সকলের জন্য ভাবি। আগামী 2021 একুশের নির্বাচনে বামেদের জয় নিশ্চিত করি। সকলে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকুন ।আমার লেখা কাউকে আঘাত দেওয়ার জন্য নয়। আসুন সকলে মিলে পরিবর্তন কে পাল্টে প্রত্যাবর্তন করে দিই। 2021 সাল বাংলা হোক লালে লাল।
No comments:
Post a Comment