আগেই বলেছি ছবি গুলো সব ফেসবুক থেকে নেওয়া হয়েছে, জানিনা কোন দেশের ঘটনা তবে যা ভিডিওটিতে শুনলাম তাতে মনে হলো কয়েকটি প্রশ্ন এদের করি এই সব ধর্মান্ধ মানুষ গুলোর কাছে আমার জিজ্ঞাসা এই ভিডিও ফুটেজ শুনেছি এবং লেখাটা পড়ে দেখলাম লেখা আছে ইহুদী, খ্রিস্টান, হিন্দু অর্থাৎ অমুসলিমরা সব কাফের এরা জাহান্নামে যাবে, আর মুসলিম দের আল্লাহ জান্নাতে থাকতে দেবেন। আমি সব ভাষা চিৎকার গুলো লিখে বোঝাতে পারছি না আমার ঐ ধর্মের ধর্মান্ধ ধর্ম ব্যবসায়ীর কাছে প্রশ্ন আপনি যে ক্যামেরা দিয়ে ভিডিও করে ফেসবুকে বা ইউ টিউবে দিচ্ছেন সেই ক্যামেরা ও ফেসবুক ও ইউ টিউব সব ইহুদী বা খ্রীষ্টান দের তৈরি এতে পাপ নেই আল্লাহ মাপ করে দেবেন না। আপনি যে মাইক ব্যবহার করে গলা ফাটিয়ে চিৎকার করে ধর্মের কথা বলে যাচ্ছেন মানুষ কে শোনাচ্ছেন সেটাও কোন এক জন ইহুদির তৈরি। ওহে ধর্ম ব্যবসায়ী আপনি বিশ্বাস করেন স্বর্গ নরক নিশ্চয়ই আপনি দেখে এসেছেন। কেমন দেখতে কেবল বানান গল্প নয় ইহুদি দের তৈরি উন্নত মানের ক্যামেরা নিয়ে যাবেন ভিডিও ফুটেজ এনে দেখাবেন। আর যে মোবাইল ফোন টি ব্যবহার করেন সেটাও কোন এক ইহুদি খ্রীষ্টান ইহুদী বা হিন্দুদের হাতের ছোঁয়া আছে মোবাইল এ হাত দিলে মাইক বাজিয়ে ধর্ম সভা করলে আপনার ধর্ম থাকবে আল্লাহ মাপ করে দেবেন তাই না। যে উড়োজাহাজ বা প্লেন চেপে হজ করতে যান যতদূর জানি রাইট ভাতৃদ্বয় খ্রীষ্টান ছিলেন। কোরান শরীফ টি নিশ্চয়ই ছাপানো ছাপার মেশিন তৈরি করে ছিলেন গুর্টেন বার্গ আর বাংলা হরফ তৈরি করে ছিলেন একজন হিন্দু বাঙালি পশ্চিমবঙ্গের শ্রীরামপুরের এক কর্মকার নাম টা মনে নেই তবে তিনি হিন্দু ছিলেন। মনে রাখতে হবে আপনি সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত যে সব জিনিস ব্যবহার করেন আধুনিক মিলের জামা দাঁতের মাজন সব কিছুই এই সব ধর্মের মানুষের তৈরি আপনি যাকে কাফের বলছেন। রাতে বাড়িতে যে ইলেকট্রিক আলো জ্বেলে রাখেন বা ঐ যে সভা করছেন ওখানে রাত হলে যে নিয়ন বাতি জ্বেলে আলোকিত করে নেবেন সেটাও কোনো না কোনো আপনার ভাষায় কাফের তৈরি আল্লাহ আপনাকে মাপ করে দেবেন তো! আপনি ধর্মান্ধ চোখের মাথা খেয়ে বসে আছেন চোখের চশমা লেন্স সব কাফের তৈরি বা আবিষ্কার আপনি গ্যলেলিওর নাম শুনেছেন জানি জানবেন আপনার ধর্ম আপনাকে ধর্মের শিক্ষা দিয়েছে আর তার উপর নির্ভর করে তুলেছে আর যাদের তৈরি জিনিস পত্র নিয়ে সভ্যতার বড়াই করছেন তাদের গালাগালি দিচ্ছেন। অবশ্য আমি আপনাকে বা আপনার মত মুসলিম কে মুসলমান হিসেবে ভাবি না আপনার কোন না কোন পূর্ব পুরুষ হিন্দু বা অন্য ধর্মের লোক ছিলেন। একটু নিজের পরিবারের ইতিহাস নিয়ে পড়ে দেখতে বলছি কারণ বাংলায় লক্ষ্মণ সেনের শাসন থেকে ইসলাম এসেছে ঐ যে আপনি যে ধর্ম পালন করেন তাদের স্বভাব লুটপাট করা মানুষের সম্পদ জোর করে দখল করা আর পঁচিশ টা বিয়ে করে যৌন সুখ ভোগ করা আর একশোর উপর ছেলে মেয়ের জণ্ম দিতে পারেন। কি খাবে পরবে দেখার দরকার নেই, মানুষ মারতে পারলেই হবে। দারুণ ধর্ম আচ্ছা একটা প্রশ্ন এমন একজনের নাম বলুন যে স্বেচ্ছায় ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছে, আপনার ধর্ম নিয়ে আপনি থাকুন, ১৪০০ বছর আগের একটা ধর্ম তার আগের পৃথিবীর ইতিহাস পড়ে দেখুন জানতে পারবেন আপনার ধর্ম খুন জখম রাহাজানি, জোর করে ধর্ম গ্রহণ করতে বাধ্য করা, লুটপাট ছাড়া আর কিছু করেনি। পৃথিবীর ইতিহাসে এ রকম দেখা যায় নি, আপনার ধর্মের মানুষ যা অত্যাচার করেছে। যদি সত্যিই মানুষ হয়ে থাকেন তাহলে সত্যকে স্বীকার করতে শিখুন। ধর্ম দিয়ে নয় কর্ম দিয়ে বিচার করুন, মানবতা, মানব প্রেম হয়ে উঠুক ধর্ম। বাঙালি জাতি কে আর ছোট না করে, আসুন সকলে মিলে বাঙালি জাতির সেই মর্যাদা ফিরিয়ে আনি। জানি কাক্যস পরিবেদনা কোন কাজ হবে না উল্টো টা হবে জুটবে ধমকি ।হ্যাঁ একটা কথা বলি যদি হুমকি ধমকি যাই দেন যার মাধ্যমে দেবেন সেটা যেন মুসলিম দের তৈরি করা হয়, ! চিনের তৈরি করা ফোন ব্যবহার করেন ওখানেও কিন্তু অন্য ধর্মের মানুষ তৈরি করে, চীনরা কম আছে, তাছাড়া চীন ইসলাম ধর্ম কে দেখতে পারে না। উইঘুরের অবস্থা জানেন না জানলে জেনে নেবেন। আমি জানি আপনার জাতি হুমকি আর মানুষ খুন করা ছাড়া আর কিছু জানে না, ওটাই আপনার পরিচয়। ধন্যবাদ ভালো থাকবেন আর জ্বর জ্বালা হলে ডাক্তার দেখাতে ভুলবেন না, (দেখবেন ডাক্তার যদি এ্যালোপ্যাথি ঔষধ দেয় সেটা যেন আপনার ধর্মের মানুষের আবিস্কার বা তৈরি করা হয়, হোমিওপ্যাথির জনকের নাম মনে আছে হ্যানিম্যান যতদূর জানি তিনি ইহুদী ছিলেন, আরেকটা বিষয়, দেখবেন আবার উত্তর দিতে বা হুুমকি দেওয়ার জন্য কাফের দের তৈরি ফোন বা টেকনোলজি ব্যবহার করবেনা। আপনার কাছে আপনার ধর্ম মহান প্রচার করুন দুঃখ নেই। আমার কাছে আমার ধর্ম মহান আমার ধর্ম হিংসা শেখায় না। সমাজের একটা প্রধান অংশ নারী তাদের ভোগের বস্তু বানাতে বলে না। সেই আদিম যুগে মানুষ যে প্রাকৃতিক ঘটনা কে ভয় পেয়েছে তাকেই পুজো করে আসছে পরে বেদে সে সব লিখিত হয়েছে, এটাই সনাতন। যদি প্রকৃত অর্থে শিক্ষা থাকত তাহলে বাঙালি হয়ে বাংলা ভাষার সনাতন কথার অর্থ জানতেন। যা যুগ যুগ ধরে চলে আসছে সেই প্রথাই বা নিয়ম কেই সনাতন বলা হয়। আর আদীম. যুগ থেকে চলে আসা প্রথা গুুলো কালের বিবর্তনে পরিবর্তন হয়েছে মাত্র। আপনাদের জ্ঞান দিয়ে লাভ নেই। আপনাদের অঢেল জ্ঞান কারণ আপনারা গায়ের জোরে গলার জোরে সত্য কে মিথ্যা এবং মিথ্যা কে সত্য করে দিতে পারেন। না হলে যে জায়গা কেউ কোন দিন দেখেনি কেবল কল্পনা করেছেন স্বর্গ ও নরক বলে সেই স্থান কে মানুষের মনে গেঁথে দিতে আপনারা বদ্ধ পরিকর। আগে হিন্দু বা সনাতন ধর্মের মানুষ ও খ্রীষ্টান ধর্মের মানুষ বিজ্ঞান কে অস্কীকার করত, তার পর ধীরে ধীরে তারা বিজ্ঞান কে বিশ্বাস করতে আরম্ভ করে । ইতিহাসে পড়েছি খ্রীষ্টা্নরা স্বর্গের টিকিট বিক্রি করত। ধীরে ধীরে তাার অনেক কুসংস্কার থেকে বেড়িয়ে এসে বিজ্ঞান কে বিশ্বাস করে তাকে কাজে লাগিয়়ে সভ্যতাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহাায্য করছে। আজও মানুষ বিজ্ঞান চর্চার মধ্য দিয়ে মানব সভ্যতা কে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। আর আপনার মত বা আপনাদের মত যোগাযোগ কিছু ধর্মান্ধ মানুষ বিজ্ঞান কে এগিয়ে নিয়ে যেতে বাধা দিচ্ছেন।বিজ্ঞান কে অস্কীকার করছেন অথচ বিজ্ঞান এর তৈরি জিনস ব্যবহার করতে ছাড়়ছেন না। আর যাদের তৈরি জিনিস পত্র ব্যবহার করছেন তাদের কাফের বলছেন। তাদের খুন করতে বলছেন, দারুণ ধর্মের লোক আপনি।
Anulekhon.blogspot.com
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
বাঙালি ও বর্তমান ভারত।
(ছবিটি নেট থেকে নেওয়া, একটি স্ক্রিনশট।) স্বাধীনতার পূর্বে ভারত কীরকম ছিল, ১৯৪৭ সালে ভাগ হওয়ার পর কেমন হয়েছে। কেন ভারত ভাগ করা হয়েছিল সে ...

-
সরস্বতী পুজোর পদ্ধতি, পরপর যা করতে হবে।১)আচমন ২)বিষ্ণু স্মরণ ৩)স্বত্ত্বি বাচন ৪) স্বত্ত্বি সূক্ত ৫) সাক্ষ্য মন্ত্র ৬) বরণ ৭) সংকল্প ৮) স...
-
আমি এর আগে একটি ব্লগে লিখেছি, দুর্গা যষ্টী পূজার মন্ত্র ।এখানে বলি আমি পণ্ডিত নই, বিভিন্ন ধরনের বই পড়ে, আর দু একজন ব্রাহ্মণের সাথে কাজ ...
-
ছবি টি কীসের বা কোন প্রাণীর নিশ্চয়ই বলে দিতে হবে না। মানুষের প্রথম পোষ মানা প্রথম প্রাণী, হয়তো অনেকেই পড়ে বলবেন এবার নতুন কী এতো আমরা স...
No comments:
Post a Comment