Anulekhon.blogspot.com

Friday, 18 September 2020

রেলে নির্ভর গরীব খেটে খাওয়া মানুষ কে গভীর সঙ্কটে ফেলে দিচ্ছে রেল।

সারা দেশে আন লক ডাউনে স্থানীয় ভাবে রেল পরিষেবা চালু হয়েছে। মহারাষ্ট্র যেখানে করোনা বেশি সেখানে শহরতলির ট্রেন চলাচল করছে অনেক দিন হলো। কেবল পশ্চিমবঙ্গে বন্ধ, আর কেবল রাজ্য সরকারের দোহাই, আমি জানি না রেল চালাতে সত্যি রাজ্য সরকারের অনুমতি লাগে কিনা? যদি এটা সত্য হয় তাহলে বলতে হবে এটা একটা রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র, যেখানে করোনা বেশি সেই কলকাতায় সব চালু আছে কিছু বন্ধ নেই কেবল মাত্র শহরতলির ট্রেন আর গ্রাম গঞ্জের বিদ্যালয়ে গুলো চালু হলে করোনা মহামারীর আকার নেবে। এটা গরীবের খেটে খাওয়া মানুষের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, রেলে কেবল হকার, ছোট খাটো ব্যবসায়ীরা যারা কলকাতায় বা হাওড়া না, কাছাকাছি দু একটা স্টেশন পর্যন্ত গিয়ে ব্যবসা করত তরিতরকারি বিক্রি করতে যেত তাদের অবস্থা কাছাকাছি ছোট ছোট দোকান বা কারখানার কাজ করতে যেত সব বন্ধ না হলে তাদের সাইকেল অথবা ভ্যানো বা তথাকথিত বাসে যেতে হচ্ছে, দু তিন জন মিলে টাকা দিয়ে স্কুটি কিনে যাতায়াত করছে। কি দুর্বিসহ অবস্থা আজ ছ মাসের কাছে শহরতলির ট্রেন বন্ধ, এটা ইচ্ছাকৃত ভাবে যাতে এই গরীব মানুষ আরও গরীবির দিকে চলে যায় তার ব্যবস্থাপনা। না খেতে পেয়ে পাড়ার শাসক দলের দাদার কাছে যাবে বা দাদার দলের দাদাল কে একটু সাহায্য দিয়ে বলবে সামনে বিধানসভা নির্বাচনে ভোট টা দিবি মনে রাখবি এই এক কেজি চাল দিলাম। ভাই ভাইপো ভাইঝি দের কাটমানির অভাব নেই পঁচিশ শতাংশ আছে, তা ছাড়া আরও তুলে। ওদিকে দাদা তো চাষিদের নীলকর সাহেব দের হাতে তুলে দিতে উদ্যোগী আবার আমাদের নীল বিদ্রোহ দেখতে হবে আরকি? কারণ চাষিদের দল আর কত সহ্য করবে দিদি ক্ষমতা এসেই 450 টাকার সার 900 টাকা কিনতে হয়েছে। আর বর্তমানে সারের আর বীজের দাম। সর্ব দিক দিয়ে গরীব খেটে খাওয়া মানুষ, ও কৃষক কে পিষে মারার পরিকল্পনা এর পর রাজ্যের পাড়ায় পাড়ায় খাবার চুরি করে খাবে মানুষ ছ মাসের কাছে হতে চলল এই মানুষ গুলোর অবস্থা ভাবুন যে মহিলা পরের বাড়ি কাজ করতে যেত ট্রেন তার অবস্থা আরও খারাপ। দিদি তো জোর দিয়ে বলছে দু টাকা কিলো চাল দিচ্ছি, কিন্তু পাচ্ছে কজন পাচ্ছে কারা একবার খোঁজ নিয়ে দেখুন আশি হাজার টাকার বাইক নিয়ে দু টাকা কিলো চাল আনতে যাচ্ছে। এসব ষড়যন্ত্র বন্ধ করতে হবে, আর শিক্ষা কে বিশেষ করে গ্রামের প্রাথমিক শিক্ষা কে ধ্বংস করার চক্রান্ত কে বন্ধ করতে হবে। এভাবে চলতে থাকলে যার টাকা আছে সেই বাড়ির ছেলে মেয়েরা বেসরকারি বিদ্যালয়ে ভর্তি হবে আর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ হয়ে যাবে এখানেও এক দিন ছাড়া একটা শ্রেণী নিয়ে ক্লাস শুরু করা যায়। না ঐ যে তুলে দেওয়ার মতলব, করা হয়েছে 2022 সাল থেকে শুরু হবে নতুন শিক্ষা নীতি 2022 কেন 2021 নয় কেন কারণ কয়েকটি রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন তাই। আর এরকম করে ছুটি দিয়ে দিয়ে কুড়ি বা 2021 সালের বিধানসভা নির্বাচন পর্যন্ত কাটিয়ে দিতে পারে তাহলে সব শেষে। তখন দেখা যাবে কটা বিদ্যালয়ের কজন শিক্ষক কীভাবে পড়িয়েছে, তাদের জুটবে তিরস্কার বাকি দের পুরষ্কার কি মজা? ঘরে বসে বসে বেতন নিতে, আবার দাদার দল যদি ক্ষমতায় আসে তাহলে সোনায় সোহাগা দিদি তো আগেই রাস্তা করে রেখেছে জামাটা পাল্টে বসে পরবে গদিতে। কারণ ক্ষমতা চাই ক্ষমতা কেন চাই কোটি কোটি টাকা তাতে রাজ্যের মানুষ রসাতলে যাক, ক্ষমতা আর টাকা চাই। কিছু বলার নেই সত্যি আমরা সেই বাঙালি যে বাঙালি একদিন প্রবল পরাক্রান্ত ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের ভিত নাড়িয়ে দিয়ে ছিল। বাঙালি বিল্পবী দের ভয়ে রাজধানী কলকাতা থেকে দিল্লি নিয়ে গিয়েছিল। সেখানেও রেহাই মেলেনি রাসবিহারি বসুর সহায়তায় বটুকেশ্বর দত্ত, রাজ গুরু সুখদেও, ভগৎ সিং পার্লামেন্টে বোমা বিস্ফোরণ ইনকিলাব জিন্দাবাদ ধ্বনি। কোথায় সেই বাঙালির এই সর্বনাশের দিনে এগিয়ে আসুন। বলবেন, তাহলে কি করোনা রাজ্যে নেই আছে, কলকাতায় সব থেকে বেশি আক্রান্ত সেখানে কোন যানবাহন বন্ধ নেই অথচ কেবল শহরতলির ট্রেন বন্ধ। আর করোনার কথা বলছেন, ওতো পা কাটা নিয়ে হাসপাতালে গেছে দেখাতে তাকেও করোনা রুগী করে কি জায়গা যেন যেখানে চোদ্দ দিন থাকতে হয়, সেখানে পাঠানো হয়েছে করোনা হলে লাভ হচ্ছে, প্যাথেলজিক্যাল ল্যাবের, এম্বুলেন্সের, আর ওষুধের দোকানের এবার বুঝতে পারছেন। করোনার বর্তমান কেরামতি, ট্রেন চালু হলে জি আর পি আর পি এফ গুলো কিছু উপরি ধান্দা করে,রেলের পাশে কত পুকুর বা রেল খাদ এরা লিজ দিয়ে টাকা তোলে জানা আছে, এ ছাড়া হকার আছে আছে ছোট ব্যবসায়ী সব মিলিয়ে রমরমা কারবার বেতন ছাড়াও কোটি কোটি টাকা ভাগ হয়ে যাচ্ছে রেলের এই পুলিশ না হলে বরং রেলের লাভ হতো বেশি। আর কিছু লিখলাম না। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকুন বাইরে বেড়লে মাস্ক, পরুন, আর শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখুন, সুস্থ থাকুন। 

No comments:

Post a Comment

বাঙালি ও বর্তমান ভারত।

 (ছবিটি নেট থেকে নেওয়া, একটি স্ক্রিনশট।) স্বাধীনতার পূর্বে ভারত কীরকম ছিল, ১৯৪৭ সালে ভাগ হওয়ার পর কেমন হয়েছে। কেন ভারত ভাগ করা হয়েছিল সে ...