Anulekhon.blogspot.com

Thursday, 10 September 2020

পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থা আজ করোনা আক্রান্ত!

পশ্চিমবঙ্গ সহ সমগ্র দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা আজ করোনা আক্রান্ত। সরকারি ভাবে শিক্ষা ব্যবস্থার বাঁচিয়ে রাখার জন্য বিভিন্ন ধরনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। টেলিভিশনের মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট সময়ে পড়ানোর ব্যবস্থা, আছে কেবল উচ্চ শ্রেণীর ছাত্র ছাত্রীদের জন্য। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে model activity task দেওয়া হয়েছে শেষ সেই জুলাই মাসে, তার পর সে গুলো প্রিন্ট করে দেওয়া হয়েছে ছাত্র ছাত্রীদের এখানেই শেষ। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শেখার কিছু নেই তাই, হোয়াটস এ্যাপ গ্রুপ করতে বলেছেন কিন্তু ঐ গ্রুপ কেবল মাত্র চাল আলু বিতরণে দিন জানানোর জন্য পড়ানোর জন্য নয়। এটা হয়তো অনেক বলবেন সমস্যা আছে, সকলের কাছে স্মার্টফোন নেই, আর নির্দিষ্ট সময়ে ধরে ঐ পড়ানোর ব্যবস্থা করা যাবে না কারণ ফোন বাচ্চা দের কাছে থাকে না অভিভাবক কাজে চলে যান, এছাড়াও নানা ধরনের সমস্যা হতে পারে, করোনার মতো একটা মহামারীর সময়ে দাঁড়িয়ে এসব সমস্যা ভেবে শিশু শিক্ষা বা প্রাথমিক শিক্ষা কে ধ্বংসের মুখে ফেলে দিচ্ছে না কি? আমি একটা বিষয় ভীষণ ভাবে লক্ষ্য করছি বেশ কিছু শিক্ষক এই বসে বসে বেতন নেওয়া কে উপভোগ করছেন।অনেকেই আছেন হোয়াটস এ্যাপ গ্রুপ ব্যবহার করে পড়াচ্ছেন, আমি জানি কারণ তারা প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থা কে ধ্বংস করতে চান না, সরকারি নির্দেশ না থাকলেও নিয়মিত পড়া দিচ্ছেন, অনেক অভিভাবক তার সময় মতো ছাত্র ছাত্রীদের দিয়ে কাজ গুলো করে পাঠাচ্ছেন ।শিক্ষক ও বাড়িতে বসে সময় মতো দেখে ভুল সংশোধন করে দিচ্ছেন। অনেকেই বলবেন এটা কি লেখা পড়া হচ্ছে, আমি বলছি হচ্ছে না, কিন্তু পরিস্থিতি কথা ভাবুন ছোট ছোট শিশু তাদের যাতে পড়ার অভ্যাস টা থাকে এটা সেই জন্য পড়ানোর জন্য, বা বিশেষ কিছু শেখানোর জন্য নয়। যেহেতু সরকারের নির্দেশ নেই, তাই এটা করা কি উচিত, যেমন সরকারি নির্দেশ ছিল মডেল এ্যক্টিভিটি টাস্ক গুলো জেরক্স দেবেন এবং ফেরত নিতে হবে কিন্তু দেখতে বলেনি তাই দেখে ফেরত দিতে হবে না, বা দেখতে হবে না, এযেন ধর লক্ষ্মণ ধরেছি লক্ষ্মণ অর্থাৎ রাম লক্ষ্মণ কে ফল গুলো ধরতে বলে ছিলেন খেতে বলেন নি সে রকম সরকারের নির্দেশ নেই ঐ মডেল এ্যক্টিভিটি টাস্ক দেখার দেখব না। আসলে সরকারের ইচ্ছা নেই সরকারি প্রাথমিক শিক্ষা বলে কিছু থাক যে সব অভিভাবকের টাকা আছে তাদের ছেলে মেয়েরা বেসরকারি বিদ্যালয়ে পড়বে ভিত তৈরি করে উচ্চ শিক্ষা নেবে এতো ছেলে মেয়ে শিক্ষিত হলে চাকরির দাবি করবে সরকারের ফাঁকি বা অন্যায় বা নেতা মন্ত্রী দের চুরি দিনে ডাকাতি ধরে ফেলবে অতএব বন্ধ করে দেওয়া হোক এ ব্যবস্থা এই সুযোগ সেই কারণেই কোন নির্দেশ নেই,এই জন্যই সরকার পোষিত প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠন তৃণমূল শিক্ষা সেলের এক সদস্য ( শ্রীজিৎ লাহা) চুলকানি ও টাকের গল্প শোনায় অর্থাৎ যারা এভাবে হোয়াটস এ্যাপ ব্যবহার করে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের শিক্ষা অভ্যাস ধরে রাখতে চেষ্টা করে যাচ্ছে তাদের বেশি চুলকানি। সরকার বলছে না, নির্দেশ দিচ্ছে না, তবুও এদের আগ্রহ নিয়ে কটাক্ষ করছে সরকার পোষিত তৃণমূল শিক্ষা সেলের সদস্যরা আমার মনে হয় ঠিক বলেছেন চুলকানি বেশি কারণ তারা জানে শিক্ষা অভ্যাস না থাকলে একদম বিদ্যালয় মুখে আসবে না বই গুলো তুলে রেখে দেবে পড়বে না। আর বসে বসে বেতন নেওয়া তাদের ধাতে নেই, 1000 টাকার উপরে রোজ বা মজুরি যা অনেকেই এক সপ্তাহের আয়। বর্তমানে সমাজে অনেক ভালো শিক্ষিত বেকার, অনেক বি এ /এম এ, ট্রেনিং প্রাপ্ত রাস্তা ঘুরে বেড়াচ্ছে একটা চাকরির জন্য সেই কর্মক্ষেত্র টা ধ্বংস করার চেষ্টা করা ঠিক কি? আমি অনেকের বাড়ির গৃহীনি কে পর্যন্ত ডি ইএলড ট্রেনিংএ ভর্তি করেছে একটা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরির জন্য বিদ্যালয় যদি না থাকে চাকরি হবে ত! সামনে 2021 সালে বিধানসভা নির্বাচন তাই সরকার বসিয়ে বসিয়ে বেতন দিয়ে যাচ্ছে না হলে, তবে ওদের কিছু হবে না কারণ ওরা সরকারি দলকে সমর্থন করে এই শিক্ষক দিবসে সংবর্ধনা নিতে গিয়ে ছিল, ভালো শিক্ষক তো, ছাত্র ছাত্রীদের উন্নতির চিন্তায় ঘুম আসে না কি করে শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করা যায় তার চিন্তা করে, আমি শিক্ষিত মানুষ গর্বে বুক ভরে ওঠে আর কেউ শিক্ষিত নেই আমার থেকে ভালো হতে পারে না, ছাত্র ছাত্রী কেন সময় অসময়ে ফোন করবে, কেন আমাকে পড়ানোর জন্য বলবে? সরকার যখন বলছে না আমি কেন করব? আমি জানি না এই সব শিক্ষকদের যোগদান পত্রে পড়ানোর কথা লেখা দরকার না হলে বলতে পারেন আমার যোগদান পত্রে পড়ানোর কথা লেখা নেই আমি পড়াব কেন? আমার খুব ভালো লাগলো চুলকানি গল্প টি ছাত্র ছাত্রীদের এই পরিস্থিতিতে পড়ার অভ্যাস ধরে রাখতে যে সব শিক্ষকদের চুলকানি বেশি তাদের ধন্যবাদ দিয়ে ছোট করতে চাই না। জানা নেই যাদের এই রকম চুলকানি হয়েছে কি করে ভালো হবে, সোশ্যাল মিডিয়ায় একটা খবর পড়ে ছিলাম পুরুলিয়ার একটি গ্রামে এক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা পাড়ার ইলেকট্রিক পোস্টে মাইক বেঁধে নির্দিষ্ট সময়ে বিদ্যালয়ে এসে বিদ্যালয় থেকে পড়াচ্ছেন ছাত্র ছাত্রীরা বাড়িতে বসে বিদ্যালয়ের সময়ে পড়া শোনা করছে। কারণ তাদের ফোন নেই, সত্যি শিক্ষক দের কি চুলকানি বলুন দেখি একটা পিছিয়ে পরা আদিবাসী গ্রামের শিক্ষার্থীদের পড়ানোর জন্য। আরেকটা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক তার কি চুলকানি দেখুন নিজের চাকরি রাখতে হোক আর শিক্ষকতা পেশার তাগিদে হোক গাছে মাচা বেঁধেছেন পড়ানোর জন্য ।
অনেকেই বলবেন ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক নিজের চাকরি রাখতে হবে তাই করছেন, একদম ঠিক কথা আর সেই কারণেই সরকার পোষিত বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা বসে বসে বেতন নিতে অভস্ত হয়ে গেছে। আর সরকার এই কারণে চাইছে সরকারি ব্যবস্থা ধ্বংস হোক শিক্ষা বেসরকারি হোক। সব শেষে ঐ শিক্ষক দের এবং ঐ সংগঠনের শিক্ষক দের অর্থাৎ চুলকানি ছাড়া শিক্ষক দের অশেষ ধন্যবাদ, আপনারা ভালো থাকবেন কারণ পড়ানোর চুলকানি আপনার বা আপনাদের মধ্যে নেই। 

No comments:

Post a Comment

বাঙালি ও বর্তমান ভারত।

 (ছবিটি নেট থেকে নেওয়া, একটি স্ক্রিনশট।) স্বাধীনতার পূর্বে ভারত কীরকম ছিল, ১৯৪৭ সালে ভাগ হওয়ার পর কেমন হয়েছে। কেন ভারত ভাগ করা হয়েছিল সে ...