Anulekhon.blogspot.com

Tuesday, 28 December 2021

বাংলা শিক্ষা পোর্টাল, শিক্ষক কে মজা করার সুন্দর ব্যবস্থা।

2021 সালের সমস্যা এখনও 2024 সালে সমাধান হয় নি উল্টে বেড়েছে বই কমেনি। নতুন নতুন সমস্যা তৈরি করে শিক্ষক শিক্ষিকা দের জব্দ করা যায় তার ব্যবস্থা পাকা। 2021 যে সমস্যা গুলো ছিল সে গুলো তো আছেই, উল্টে বেড়েছে কি নতুন ভর্তির ডাটা এন্ট্রি করে প্রায় অর্ধেক হয়েছে, কখনো ঠিকানা তে এসে কখনো ক্লাস সিলেক্ট করার পর সেকসন নেয় না। আবার কখনো ঠিকানায় জেলা ব্লকে এসে আটকে যাচ্ছে। দেখাচ্ছে। 
প্লীজ এন্টার ভ্যালিড ডাটা ওখানে ওকে ( please select valid data) যেই এখানে ok ক্লিক করা সাথে সাথে সব এন্টি চলে যাবে এবং সাথে সাথে চলে আসে this page is not working. কি দারুন ব্যাপার তাই না। অনেক কষ্টে 47 কলমের অর্ধেকের বেশি এন্ট্রি করার পর পেজ ভ্যানিস হয়ে যাচ্ছে। এগুলো দেখে একটাই কথা আসে যেমন সরকার তেমন তার সাইট। অসভ্য সরকারের অভস্য সব কর্মচারী শিক্ষক শিক্ষিকা দের প্রতি নিয়ত জব্দ করে যাচ্ছে। নাম করছি না এই জন্যেই এক জন সরকারের শিক্ষা দফতরের কর্মী বলছেন ছাত্র ভর্তি নিয়ন্ত্রণ করুন। কারণ শিক্ষক দেওয়া যাবে না। দারুণ সরকার চলছে, যারা এই পোর্টাল তৈরি করছেন এবং আপডেট দিচ্ছেন তাদের খুব দেখতে ইচ্ছে করছে। অসভ্যতার একটা মাত্রা থাকে এ সব মাত্রা অতিক্রম করে গেছে। 

 ডিসেম্বর ২০২১ থেকে শিক্ষক শিক্ষিকা দের নিয়ে ভীষণ একটা মজার খেলা খেলতে শুরু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। ভীষণ ভালো খেলা, ১৫/১২/২১ তারিখের মধ্যে বাংলার শিক্ষা পোর্টালের একটি অংশ এস এম এস অর্থাৎ স্কুল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম এ নভেম্বর মাসের মডেল এ্যক্টিভিটি টাস্ক এর নম্বর তুলতে হবে। সব শিক্ষক দের অবস্থা একেবারে লেজে গোবরে হয়ে গেল গেল ঠিক তখনই একটা ম্যাসেজ দেখা গেল, সার্ভার ঠিক করা হচ্ছে, আমরা দুঃখিত এর পর তারিখ টি বেড়ে হল ২৩/১২/২১ যদি বা খোলে যে সব স্কুলে টিচার ইন চার্জ তারা আর খুলতে পারে না। পশ্চিমবঙ্গের বেশিরভাগ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে টিচার ইন চার্জ কারণ ২০১৪ সালের পর থেকে হেড টিচার নিয়োগ বন্ধ অর্থাৎ প্রাথমিক শিক্ষক দের এক মাত্র প্রমোশন সেটা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কারণ এক জন প্রধান শিক্ষক হিসেবে প্রমোশন হলে চার শ টাকা সরকারের বাড়ে ওটুকুও খরচ এই সরকার শিক্ষকদের দিতে রাজি নয়। যাহোক অনেক কষ্টে কিছু পরিবর্তন করে ঐ সব শিক্ষক কুল নম্বর তুলে দিয়েছেন স্কুল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমে। এবার ছাত্র ভর্তির কাজ শেষ করতে বলা হয়েছিল ২৪/১২ /২১ মধ্যে শেষ করতে। কেবল ভর্তি করলে হবে না ছাত্র ছাত্রী দের নাম ছবি সহ বাংলা শিক্ষা পোর্টালে তুলে দিতে হবে। সেখানে আবার ছবিটি হতে হবে ২০ কেবি এর বেশি হলে নেবে না। সেও শিক্ষক কুল জেনে নিয়েছে কীভাবে ছবির কেবি কমাতে হবে। এবার মজা হচ্ছে ঐ বাংলার শিক্ষা পোর্টাল কে নিয়ে দু দিন আগেও বেশ ভালো ভাবেই প্রমোশন দেওয়া চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র ছাত্রীদের স্কুল লিভিং সার্টিফিকেট তৈরি করা হয়েছে খুব ভালো ভাবে। এবার বাংলার শিক্ষা পোর্টালে ছাত্র ছাত্রী দের নাম অন্তর্ভুক্ত করা ব্যাস আজ চার পাঁচ দিন হল ঐ পোর্টালে দেখা যাচ্ছে, student entry 5 pm to 11 am ব্যাস ।সন্ধ্যা 5 টা থেকে সকাল 11 টা পর্যন্ত। বিকেল 5 টা থেকে রাত দশটা পর্যন্ত গত চার পাঁচ দিন উপরের ঐ কথাটা দেখিয়ে যাচ্ছে। বিকেল 5 টা থেকে অর্থাৎ না ঘুমিয়ে সারা রাত জেগে ছাত্র ছাত্রী দের নাম অন্তর্ভুক্ত করতে চেষ্টা করেও কিছুতেই খুলছে না। একে ঢাল নেই তরোয়াল নেই নিধিরাম সর্দার প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলো তে কম্পিউটার নেই, নেটের খরচ দেওয়া নেই ইলেকট্রিকের দেখা নেই, শিক্ষকরা কেবল তাদের ছাত্র ছাত্রী দের মঙ্গল বা ভালোর জন্য তারা এসব করে যাচ্ছে নিজের খরচে। আর আমাদের মুর্খমন্ত্রী যিনি একাই একশ কীভাবে শিক্ষক দের বেতন কম দেওয়া যায় তার ব্যবস্থাপনা করতে সিদ্ধহস্ত। ডি এ র দেখা নেই, অথচ শিক্ষক তার বেতন থেকে বিদ্যালয়ের কাজে খরচ করতে হবে। দারুণ মজার ব্যাপার তাই না? 


Sunday, 26 December 2021

ক্ষমতায় থেকে শ্যাম চুরি করত, তাহলে রাম কেন করবে না।

 বাম আমলে বাংলায় নাকি লুঠ পাট চলত! ভোট লুট হোক বা সরকারি টাকা লুঠ সব চলত।  এটা আমার কথা নয় এক আইন জীবির বক্তব্য। 


শ্যামের রাজত্বে চুরি হত, রাম বলল পাল্টে আমাকে রাজা করে দাও আমি এসব বন্ধ করে দেব। দেখা গেল মানুষ পরিবর্তন করে দিল, কিন্তু আরও বেশি বেশি করে চুরি সন্ত্রাস লুঠ শুরু হল। শ্যামের মন্ত্রী দের চুরি ধরতে গিয়ে যে সব কমিশন গঠন বা কমিটি গঠন করা হলো সেখানেও চুরি করতে আরম্ভ করে দিল। প্রমাণ করতে পারল না শ্যাম চোর বা চুরি করে ক্ষমতায় এসে ছিল। রামের দল বল চোখের সামনে চুরি করে জেলে যেতে আরম্ভ করল। যুক্তি একটাই আগে হতো তাই এখনও হবে। শ্যামের রাজত্বে বেকার যুবক যুবতী দের, চাকরির জন্য ধরণা বা অনশন করতে হতো না। প্রতি বছর পরীক্ষা দিয়ে চাকরি হতো, রামের রাজত্বে ঘুষ ছাড়া চাকরি হয় না। সে সব কথা এখন আর কেউ মনে করে না। সত্যিই এ সব মানুষ শিক্ষিত তো! তর্কের খাতিরে ধরে নেওয়া গেল শ্যামের দল বল চোর চিটিংবাজ ছিল, মানুষ সে কারণেই পরিবর্তন করে দিল। এবার এদের যুক্তি অনুযায়ী আগে যা হত সেটাই হবে। তাহলে পরিবর্তন করে কি লাভ হল? শ্যামের আমলে জিনিস পত্রের দাম কম ছিল, এখন তো চার পাঁচ গুণ কোন কোন ক্ষেত্রে একশ গুন বেশি হয়েছে। তাহলে আগের জিনিস পত্রের দাম ফিরিয়ে আনতে হবে। আসলে এরা হচ্ছে সেই আঁতেল যারা পা চেটে টাকা পায়। আর এই কারণেই এদের এই রকম অযৌক্তিক কথা বলতে হবে। দারুণ যুক্তি শ্যাম চুরি করত রাম ও চুরি করবে। 




Thursday, 23 December 2021

ভোটের জন্য এবার ছাপ্পা শ্রী শুরু করা হোক।

 গত ২০১১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে আজ পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গে যত গুলো নির্বাচন হয়েছে একটা ভোটও শান্তিতে হয় নি। অর্থাৎ ছাপ্পা ও সন্ত্রাস ছাড়া ভোট হয় নি। ভোট মানেই বিরোধী দলের কর্মী সমর্থকদের ওপর অত্যাচার করা এজেন্ট দের জীবন বিপন্ন করে দেওয়া। কারণ শাসক দলের জেতা টা জরুরী তোলাবাজির জন্য। বিরোধী থাকলে চুরি করা যায় না। পঞ্চায়েত ভোট থেকে শুরু করে, বিধানসভা, লোকসভা, পুরসভার নির্বাচন সবেতেই শাসক দলের পক্ষ থেকে চলছে এই ছাপ্পা এবং মানুষ কে ভোট দিতে না দেওয়া। বর্তমান শাসক দল নিজের দলের ভোটার কেও বিশ্বাস করতে পারছে না। নিজের দলের সমর্থক বা ভোটারের ভোট ও এই ছাপ্পা দিতে প্রতিটি বুথে একজন আছেন তিনি ভোট দিয়ে দিচ্ছেন। পশ্চিমবঙ্গের ভোট হলেই এদের বুথে ভেতরে দেখা যাচ্ছে। কেবল পশ্চিমবঙ্গ কেন ত্রিপুরার শাসক দল সেও কাউকে বিশ্বাস করতে পারছে না। যাহোক কলকাতা পুরসভার ভোটের এক ছাপ্পা ভোটার কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। 


আরও অনেকেই ছিল কিন্তু এর কপাল খারাপ কি আর করা যাবে। 


এই মহিলা কে দেখুন কেমন ছাপ্পা দিচ্ছে। এরা কাটমানির ভাগ ভালো রকম পায় না হলে এসব করছে কেন! চোর দলের সবাই চোর এও মনে হয় ভাল ভাগ পায়। বাংলা প্রবাদ চোরের দলে থাকলেই চোর হয়। আর একটা ছবি দিলাম। 


এরা আবার আরেকটু উপরে যায় ছাপ্পা দেবে বলে সি সি ক্যামেরা সাদা কাগজে ঢেকে দিচ্ছে। আমি দিদি কে ভাবতে অনুরোধ করছি কেবল কাটমানির ভাগ বা তোলার ভাগ দিয়ে এদের ছোট করা যাবে না, এদের জন্যে " ছাপ্পা শ্রী" চালু করে দেওয়া উচিত। এই তো আবার জানুয়ারি তে কয়েকটি পুরসভার ভোট আসছে, তার আগেই ছাপ্পা শ্রী সহ প্রশিক্ষণের জন্য দুযারে সরকার চালু করতে অনুরোধ করছি। কি আর করা যাবে চাকরি এই রাজ্যে সে তো মাকাল ফল। সে কারণেই বলছি যদি ছাপ্পা শ্রী দেন তাহলে অনেকেই উপকৃত হবে। কাজ কর্ম নেই, তবুও কিছু টাকা আসবে। বলবেন নিশ্চয়ই ছাপ্পা শ্রী তো চালু আছে, ঘুরিয়ে, ঐ যে ক্লাব ও পুজো কমিটি গুলো কে টাকা দেওয়া হয় ওটাই তো ছাপ্পা শ্রী। 

Sunday, 19 December 2021

শাসক চায় না পশ্চিমবঙ্গরে ভোট শান্তিপূর্ণ হোক ।


ভোটের আগে শাসক দলের এই শীর্ষ নেতার কথায় আশা জেগে ছিল যে এবারের কলকাতা পুরো ভোট নিশ্চয়ই শান্তি পূর্ণ হবে। প্রার্থী রা তাদের নমিনেশন শান্তিতে দিল, কিন্তু শুরু হলো প্রচারে বাধা। বিরোধী দলের প্রচার করতে না দেওয়া মিছিলে হামলা, পুলিশের ভূমিকা সে তো শাসক দলের কথা মতো চলে, অশান্তি দেখেও দেখে না। এসব বড় বড় নেতা কেবল টাকা বোঝে আর ক্ষমতা দখল করতে চায়, অশান্তি এদের চোখে পড়ে না। আজ ভোটের দিন কি দেখলাম টি ভির পর্দায় সি সি টিভি কাগজ দিয়ে ঢেকে ছাপ্পা ভোট দিতে। বিরোধী এজেন্ট কে মেরে বুথ থেকে বার করে দিতে। একটা পরিবার ভোট দিতে গিয়ে দেখে তাদের ভোট আগেই হয়ে গেছে। কোথাও কোথাও আই কার্ড না দেখেই ভোট হচ্ছে, বাব্রোন রোডে এমন অশান্তি হলো এক যুবকের পা উড়ে চলে গেছে। এই না হলে শান্তি পূর্ণ ভোট কি দারুন না, নেতা টিভির পর্দায় বলছে শান্তি পূর্ণ ভোট হয়েছে। ঐ সব নেতা মন্ত্রী কে আমার একটা প্রশ্ন রাজ্যের মানুষ যদি শান্তিতে আছে, অশান্তি কোথাও নেই তাহলে তোমরা নিরাপত্তা বাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে যাচ্ছ কেন? আমি ভেবে পাই না এতো উন্নতি এত উন্নয়ন তবুও মানুষ কে ভোট দিতে না দেওয়া এসবের মানে কি? শাসক দল যদি মনে করে যে শান্তি তে ভোট হবে তাহলে পুলিশ প্রশাসন কে সেই মতো ক্ষমতা দেওয়া হতো। পুলিশের মধ্যেও একটা ভয় কাজ করে যদি আবার টেবিলের তলায় লুকাতে হয়। আসলে স্বাধীনতার পর পশ্চিমবঙ্গে এই রকম শাসক আসে নি। একাত্তরের সন্ত্রাস কেও হার মানিয়ে দিচ্ছে। আমরা এমন একটা রাজ্যে বাস করছি যেখানে পুলিশ চোর চিটিংবাজ মিথ্যাবাদী ডাকাতের নিরাপত্তা দেয়। সাধারণ মানুষ এমন বোকা আমি দেখিনি এই সব চোর চিটিংবাজ মিথ্যাবাদী দের বাঁচাতে অর্থাৎ ক্ষমতায় আনতে নিজের জীবন বিপন্ন করে দেয়, কেবল কুড়ি টাকার পাউচ আর ভাগারের মাংস খাওয়ার জন্য এবং পাঁচ শ হাজার টাকা ভিক্ষা পাওয়ার জন্য। বোঝে না, তার জীবনের মূল্য নেতারা নিরাপত্তা নিয়ে ঘোরে, এদের কথায় নিজের প্রতিবেশীর সাথে মারামারি করে মরে। এই সব নেতা দের বলছি শান্তি আনুন পুলিশ কে ঠিক মত কাজ করতে দিন। রাজ্যের মানুষ কে শান্তিতে থাকতে দিন। আপনারা চুরি করুন ডাকাতি তোলাবাজি করুন, কাটমানি নিন। পুলিশের নিরাপত্তা নিয়ে ঘুরে বেড়ান কিন্তু ভোটের সময়ে মানুষ কে একটু শান্তি দিন, আর কত মায়ের কোল খালি করে দেবেন। আপনাদের বিবেক নেই, মনুষ্যত্ব কি হারিয়ে ফেলেছেন? চোখের সামনে দেখতে পেলাম বোমার আঘাতে এক জনের পা উড়ে গেল আর বলছেন শান্তি পূর্ণ ভোট হলো। দয়া করে শান্তি ফিরিয়ে, একবার ভাবুন সন্তান হারানোর বেদনা কতটা, যে মা তার সন্তান হারিয়ে ফেলে সে জানে জ্বালা কি? আপনাদের কি মায়া দয়া মনুষ্যত্ব হারিয়ে গেছে।যদিও চোর ডাকাতের মনে মায়া দয়া থাকে না। ছিঃ ছিঃ এই আপনাদের শান্তির ভোট ।






Friday, 17 December 2021

আরো আঠারো মাস বন্ধ থাকলে পৃথিবীর শীর্ষ স্থান পাবে।



 আঠারো মাস প্রাথমিক শিক্ষা বন্ধ, তার পরেও রাজ্য নাকি প্রাথমিক শিক্ষায় শীর্ষে। আর কী চাই, এবার তো দিদির পোষমানা শিক্ষক কুল ক্লাসে না গিয়ে আরো মোবাইলে ব্যস্ত থাকবে। কিছু বলার নেই, আঠারো মাস বন্ধ, এক দিনের জন্যও এই সব শিক্ষক কুল ছাত্র ছাত্রী দের সাথে যোগাযোগ রাখে নি। এমনকি হোয়াটস এ্যাপের মাধ্যমে বই এর একটি পাতা পড়ানোর চেষ্টা করে নি, কথা হচ্ছে সরকার আদেশ দিয়েছে পড়ানোর যে পড়াব। সেখানে দাঁড়িয়ে পশ্চিমবঙ্গরে প্রাথমিক শিক্ষায় নাকি দেশের মধ্যে শীর্ষে। এটা ব্যঙ্গ নয় তো! কারণ গত ২০২০ সাল থেকে আজ পর্যন্ত যত গুলো এ্যক্টিভিট টাস্ক দেওয়া হয়েছে, তার অর্ধেক এদের দেখে দেয় নি। অর্ধেক তো ঠিক মত বিদ্যালয়ে আসে না, ভুলে গেছে বিদ্যালয়ের গেট কোন দিকে। মিড ডে মিলের সময়েও দেখা মেলা ভার, বিদ্যালয়ে না এসে দিদির দয়ায় সব হয়ে গেলে আর কি চাই। দারুণ দিদি আপনার জবাব নেই, এত সুন্দর পোষ মানা প্রাণী আর দ্বিতীয় টি পাবেন না, আপনার দাদা যা করল এবং আপনি এই প্রশংসা করে যা করলেন তাতে আগামী দিনে এরা কী করবে ভেবে পাবে না। বিদ্যালয়ে ছাত্র বাড়লে যারা প্রধান শিক্ষক কে বলে আপনি ভর্তি করেছেন আপনি পড়াবেন। আসলে তা নয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংসের দিক থেকে এই পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা দেশের শীর্ষ স্থানে আছে। আপনি নিশ্চয়ই জানেন, প্রতি বছর কত গুলো করে প্রাথমিক বিদ্যালয় উঠে যাচ্ছে ছাত্র ছাত্রীর অভাবে। এবছর কলকাতা জেলার কত গুলো প্রাথমিক বিদ্যালয় তুলে দিলেন মনে পড়ছে না। দেশের কোন রাজ্যে এত দিন ধরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ নেই কেবল পশ্চিমবঙ্গ ছাড়া। পশ্চিমবঙ্গ সে দিক থেকে শীর্ষে অবস্থান করছে। খুব ভালো দিদি চালিয়ে যান, কি হবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে, ওর থেকে যেমন চলছে চললেই ভালো কারণ,গ্রামের দিকে এমন অনেক প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে যে খানে এক জন শিক্ষক আছে, দেখা যাবে ঘর গুলো ঠিক নেই। ছাত্র ছাত্রী ঠিক মত বসতে পারে না। ভালো থাকবেন দিদি আরো আঠারো মাস বন্ধ করে রেখে দিন, একদম পৃথিবীতে পশ্চিমবঙ্গরে প্রাথমিক শিক্ষা শীর্ষ আসন নেবে। 

Wednesday, 15 December 2021

প্রাথমিক শিক্ষা নিয়ে দিদি কে কয়েকটি প্রশ্ন?

 দিদি আপনি একমেব অদ্বিতীয়ম আপনি সব দফতরের মন্ত্রী বাকিরা নামেই আছে। কেন বলছি এই ছবিটি দেখুন আপনি আমার জানা এতগুলো দফতরের আপনি মন্ত্রী।


ব কলমে আপনি সব দফতরের মন্ত্রী, সে কারণে প্রাথমিক শিক্ষা নিয়ে আপনার কাছে আমার কত গুলো প্রশ্ন। আমি জানি না আপনি এই লেখাটা পড়বেন কিনা! কিন্তু এটুকু জানি না সরকারি ভাবে নজর রাখা হয় কি না এই সব ব্লগের লেখার উপর। আপনি দশ বছর হলো ক্ষমতায় আছেন, এবং আগামী পাঁচ বছর আরও থাকবেন। এই দশ বছর আপনি ঐ হ-য-ব-র-ল সিলেবাস মজারু কুটুম কাটাম ছাড়া আর কি করেছেন? বাম আমলে সিলেবাস নিয়ে কিছু বলা যেত এবং তারা ভুল ত্রুটি পাল্টে প্রতি বছর বই গুলো প্রকাশ করত। আপনার আমলে কথা বলাই যায় না, আর দলের শিক্ষক কুল তারা বেতন নিতে ব্যস্ত কোন দিন আপনার কাছে কোন দাবি নিয়ে গেছে কিনা আমার জানা নেই? সিলেবাস ছাড়ুন আপনি ডি এ বন্ধ করে ওদের হাজার হাজার টাকা পাওয়না থেকে বঞ্চিত করে যাচ্ছেন সে নিয়ে কথা বলতে শোনা যায় না। প্রশ্নাতীত আনুগত্য অথচ বাম আমলে শিক্ষকরা বিভিন্ন বিষয়ে আন্দোলন করে গেছে কোন কোন আন্দোলনে ফল মিলেছে কোন কোন ক্ষেত্রে মেলে নি। কিন্তু আপনার দলের শিক্ষক কুল (তৃণমূল শিক্ষা সেল) এদের বেতন বন্ধ করে দিলেও মনে হয় কিছু বলবে না। এদের আনুগত্য বাড়িতে পোষা সারমেয়ের চেয়েও বেশি। ছাড়ুন আপনাকে ডি এ দিয়ে বেতন বাড়াতে হবে না। আপনি যে অপরিকল্পিত লক ডাউন করে স্কুল বন্ধ করে রেখেছেন, এ নিয়েও একটা কথা বলতে শোনা যায় নি এদের। পশ্চিমবঙ্গের সব খোলা কেবল প্রাথমিক শিক্ষা বন্ধ দারুণ একটা ব্যাপার তাই না! আরেকটা প্রশ্ন, দিদি আপনি মাঝে মাঝে বিদ্যালয় গুলো সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য নেন, যেমন শ্রেণি কক্ষ তৈরি করা তার মধ্যে একটি আচ্ছা কটি বিদ্যালয়ের শ্রেণি কক্ষ তৈরি করে দিয়েছেন? আর গত ২০১৯ সালে ছাত্র ছাত্রীদের নাম বাংলার শিক্ষা পোর্টালে নথি ভুক্ত করে ছিলেন এস আই অফিসের মাধ্যমে কারণ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কম্পিউটার ছিল না। আজ পর্যন্ত কটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কম্পিউটার দিয়েছেন? কটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নেট কানেকশন নেওয়ার খরচ দিয়েছেন? মাসে মাসে নেট খরচ কত টাকা দিয়েছেন? কারণ ঐ ২০১৯ সালের পর থেকে ছাত্র ছাত্রী সংক্রান্ত বিভিন্ন কাজ ঐ বাংলার শিক্ষা পোর্টালে তুলে দিতে হচ্ছে, প্রধান শিক্ষক বা টি আই সি দের। প্রাথমিকের টি আই সি দের ভাতা দেন তাঁরা এই কাজ করে যাচ্ছে নিজের থেকে? আপনি বরং পুরোনো শিক্ষক দের বেতন কি করে কম দেওয়া যায় তার ব্যবস্থাপনা পাকা করেছেন। ছাড়ুন ওসব কথা ২০১৯ সালের ছাত্র ছাত্রী দের ডেটা এন্ট্রি করে দেওয়া হয় এস আই অফিসের কম্পিউটার থেকে, সেই ডেটা এন্ট্রি করার কাজে নিযুক্ত ব্যক্তি কে টাকা দেওয়া হয় নি আজ ২০২১ সালের ১৫ ই ডিসেম্বর এস আই অফিস থেকে বলা হচ্ছে ঐ ডেটা এন্ট্রির জন্য প্রতিটি ছাত্র ছাত্রী পিছু ৮ টাকা করে দিতে হবে ২০১৯ সালের ছাত্র ছাত্রী অনুযায়ী? কি দিদি ঐ টাকাও দেবার ক্ষমতা ছিল না আপনার ওটাও ভি ই সি থেকে দিতে হবে? বাংলার শিক্ষা পোর্টালে নাম তুলে এত উপকার করে দিয়েছেন, এবার প্রতি বছর শিক্ষক দের করতে হচ্ছে কোনো না কোনো সাইবার কাফেতে গিয়ে বা নিজে কে ল্যাপটপ কিনতে হয়েছে এবং নিজের নেট কানেকশন ব্যবহার করে কাজ গুলো করতে বাধ্য করেছেন। এ যেন সেই প্রবাদ বাক্য ঢাল নেই তরোয়াল নেই নিধিরাম সর্দার। এবারের এই ২০২১ সালে আরেকটা মজার ব্যাপার চলছে,স্কুল বাংলার শিক্ষা পোর্টাল ( SMS) ছাত্র ছাত্রী দের নম্বর এন্ট্রির প্রক্রিয়া যা আজ পর্যন্ত শেষ তারিখ ছিল। নিধিরাম সর্দারের দল চেষ্টা করে করে তার চুল উঠে যাওয়ার যোগার।


গত ১৩/ ১২/২১ বিকেল থেকে আজ সন্ধ্যা পর্যন্ত এটি দেখিয়ে যাচ্ছে। আবার কেউ কেউ বলছে এ্যক্টিভিটি টাস্ক নভেম্বর মার্কস ওখানে এন্ট্রি না হলে মার্কস শীট তৈরি করা যাবে না, এবং ছাত্র ছাত্রীদের পরবর্তী শ্রেণিতে উর্ত্তীন করা যাবে না। চতুর্থ বা পঞ্চম শ্রেণির শংসাপত্র দেওয়া যাবে না। কি দারুন ব্যবস্থা তাই না! ঢাল নেই তরোয়াল নেই, নিধিরাম সর্দার তার উপর এই সব ভণ্ডামি। সত্যিই আপনার জবাব নেই দিদি, আপনি ছাড়া এসব ভাবা যায়। শিক্ষার দরকার নেই তুলে দিলেই হয় ঐ সত্যজিৎ রায়ের হীরক রাজার দেশে উদয়ন পণ্ডিতের পাঠশালা বন্ধ করতে রাজার লোক যা বলছিল। আপনি সেটা হাতে কলমে করে দেখিয়ে দিলেন। 

Saturday, 11 December 2021

৫০০ টাকায় কি সংসার চলে না?


এই ছবিটি বা ক্যাপশন টি তৈরি করার আগে ভাবতে হতো কারণ দিদি একথা বলতে বলতে পারেন না। কারণ তার নিজের বেতন এক লক্ষ টাকার উপরে, আর অন্য মন্ত্রী এবং বিধায়ক দের বেতন বা সাণ্মানিক ৮০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকা। আমার মনে হয় ক্যাপশন তৈরির আগে ভাবতে হবে। যদি দিদি এটা মুখে বলেও থাকনে তাহলে ভাবতে হবে অন্য কোন কারণে বলেছেন। বেতন বা সাণ্মানিক তো গেল, এছাড়া আছে ৭৫% ২৫% ভাগ ।আমার মনে হয় উনি যদি বলেও থাকনে তাহলে পাশাপাশি চপ শিল্পের কথাও বলা হয়েছে কারণ পাঁচ শো টাকা মাসে ওতো একটা ছোট মাপের নেতার পকেটে বা গৃহীনির এ্যাকাউন্টে ঢুকেছে এক সাথে প্রায় চল্লিশ পঞ্চাশ জনের বা এক শ জনের। এসব দিদি জেনেও বলতে পারেন যে একশ একশ জনের টাকা এক জনের এ্যাকাউন্টে এলে তার তো সংসার চলে যাবার কথা।

মনে হয়, এই খবরটি পড়ে দিদি পড়েছেন সে কারণেই ঐ কথাটা বলতে পারেন। তবে রাজ্যের ভাঁড়ার শূন্য এটাও কিন্তু বলে দিচ্ছেন। উনি তো এখন অর্থ মন্ত্রী, যা কর বা ট্যাক্স আসছে সে যে ভাই বোন ভাইপো ভাইঝি দের এ্যাকাউন্টে কীভাবে দেওয়া হবে সেটা করতেই এই সব প্রকল্প চালু। ছাত্র ছাত্রী দের পোশাক ৪০০ টাকা ছিল হয়ে গেছে ৬০০ টাকা কারা দেবে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের দায়িত্ব ভাবছেন তারা কারখানা তৈরি করেছে সেখানে তৈরি করে দেবে কোন দিন না তারা আরেক জন ড্রেসার বা কোম্পানি ঠিক করেছেন তার থেকে কিনে দেবে। এবার পোশাক এমন হবে গায়ে দিয়েই যাতে ছিঁঁড়ে যায়। আর পাল্টান ওসব ভুলে যান। কারণ দিদির দলের লোক জন ঐ গোষ্ঠীর সদস্য ভালোই ভাগ আছে। যত দুয়ারে সরকার করে ঐ প্রকল্প চালু করা হবে তত বেশি করে ভাই বোন ভাইপো ভাইঝি দের আয় বাড়বে ।আর মানুষ লাফাতে লাফাতে ভোট দিয়ে আসবে, এ রাজ্যে চাকরির কি দরকার তাও আবার বেসরকারি চাকরি। সরকারি চাকরি সে আবার আরেক ফ্যাসাদ আছে আগে তৃণমূলের দলে নেতা মন্ত্রী বাড়ির লোকজন কে দেওয়া হবে কারণ বর্তমান শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু সেটাই বলেছেন। যতই যোগ্যতা অর্জন করুক আগে তৃণমূল হতে হবে। এ রাজ্যে শিক্ষার কি দরকার, দিদি মোবাইল দিয়েছেন, গেম খেলতে সারাদিন গেম সে জন্য ছাত্র ছাত্রীরা কি বলছে আমরা টেষ্ট পরীক্ষা দেব না।অনেকেই ভাববেন ছাত্র ছাত্রী দের দোষ, আমি মনে করি এর জন্য দায়ী বর্তমান সরকার পরিকল্পনা হীন শিক্ষা ব্যবস্থা কে ধ্বংস করে দিয়েছে। কারণ উনি জানেন লেখা পড়া শিখে চাকরি চাইবে চাকরি তো উনি দেবেন না, মাসে পাঁচ শ হাজার, টাকা ওতেই সংসার চলে যাবে। কারণ জেনে গেছেন এতেই মানুষ খুশি মনের আনন্দে ভোট দিয়ে জিতিয়ে দেবে। 

Wednesday, 8 December 2021

তোলাবাজির নতুন কায়দা।

 

এসব তো ছিল আছে থাকবে কারণ তৃণমূল মানে দূর্নীতির আখড়া কারণ পুলিশ এদের ধরেও না কিছু বলেও না। আইনের শাসন নেই, চুরি তোলাবাজি কাটমানি ঘুষ, যে যত বড়ো তোলা তুলতে পারে সে তত বড় নেতা মন্ত্রী কারণ টাকার ভাগ বেশি বেশি করে পাঠাতে পারলেই পদ পাওয়া যাবে। আগেই বলেছি পুলিশ এবং আইন এরা মানে না, যদিও পুলিশ ছোট খাটো তোলাবাজি বা কাটমানি নেওয়ার জন্য ছোট নেতা দের ধরে সেও কয়েক ঘণ্টার জন্য, তার পরেই ছাড়। দারুণ ব্যাপার, কারণ একটাই এরা শাসক দলের লোক বেশি কিছু করা যাবে না। রেলের জায়গায় ব্যবসা করবে বা ছোট দোকান দিয়েছে জিরাপি তো আছেই তার সাথে ছোট খাটো পঞ্চায়েত সদস্য বা সদস্যা বা প্রধান বা অন্য ছোট নেতাও কাটমানি চায়। এসব এখন জনগণের গা সহা হয়ে গেছে, আরো আছে জমির দালালদের থেকে প্রমোটারের কাছে জানিস কাল ফিস্ট আছে মাংস টা পাঠিয়ে দিবি। আমার পুজোর কথাটা মনে আছে পঞ্চাশ পাঠিয়ে দিবি। শোন মেলা আর খেলা হবে মনে আছে টিফিন আর প্রাইজের টাকাটা পাঠিয়ে দিস। এসব আগে ছিল গোপন এখন খোলা খুলি চেয়ে পাঠায়, আরেক ধরনের তোলাবাজ আছে, যারা তোলা তুলে পুলিশের ডাক মাস্টার কে পাঠিয়ে দেন। রেল পুলিশ সে জি আর পি ও আর পি এফ যেই হোক তাদের তোলা তোলার নতুন কায়দা কোন দোকান দার কে খাতা দেওয়া আছে এবং রেট ঠিক করা আছে প্রতি মাসে সেই পরিমাণ টাকা ঐ দোকান দার তুলে রাখে আর একটি নির্দিষ্ট তারিখে সেটা নিয়ে যান তথা কথিত রেল পুলিশ। বর্তমান শাসক দলেরেও এ রকম ব্যবস্থা আছে, রাস্তায় দাঁড়িয়ে লরির কাছে টাকা আদায় করে নীল জামার পুলিশ রেট আছে তার একটা অংশ নীচ মহল থেকে উপর মহল পর্যন্ত পৌঁছে যায়। কিন্তু শাসক দলের নতুন তোলা তোলার ছবি দেখে আমি অবাক হয়ে গেলাম।


খবর টি পড়ে দেখে মনে হচ্ছে কাটমানির জন্য এরা কি না করতে পারে। ধন্যবাদ তোমাকে সে সুশাসক, তুমি না হলে জানতে পারতাম না তোলা তোলার এত পদ্ধতি আছে। 


সনাতন ধর্মের এই বুজরুকি গুলো এখনো গেল না।

 বেশ কয়েক দিন ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটা যজ্ঞের ছবি ঘুরে ফিরে আসছে তাতে লেখা আছে দেখুন আজও কিছু ব্রাহ্মণ আছেন তারা মন্ত্রের সাহায্যে আগুন জ্বালতে পারে। ফেসবুকে বিভিন্ন ভাবে পোস্ট টি করে ঐ সব বুজরুকি ব্রাহ্মণ বা তান্ত্রিক দের উচ্চ প্রশংসা করা হচ্ছে। একটা এই ঘটনার স্থান ছিল উত্তর প্রদেশের, বর্তমানে টির ঘটনার স্থান বলা না হলেও দেখে মনে হচ্ছে বাংলার কোন জায়গায় এটা হচ্ছে। আমি সেখানে একটা মন্তব্য করেছিলাম, কী যে এটি কেমিক্যাল, সাদা ফসফরাস, সোহাগা, গন্ধক, ধুন ইত্যাদি দিয়ে যদিও আমার কেমিক্যাল গুলোর সঠিক কিনা জানি না কারণ অনেক দিন আগের পড়া ঠিক মনে নেই। আরেক জন সেটি মনে করিয়ে দিলেন বললেন ওখানে ট্রাই-গ্লিসারিনে ডোবান কাঠ, পটাসিয়াম- পার - ম্যঙ্গানেট, ধূন, আর দিয়াশালাই এর মুখ থেকে খুলে নেওয়া বারুদ আছে। যার ফলে আগুন জ্বলে, আমার মন্তব্যে এক জন লেখেন আপনি নিজে ধর্মের বদনাম করছেন অন্য ধর্ম নিয়ে এই রকম কথা লিখলে এতখন কুকথায় ভরে যেত। মন্তব্য গুলো screen shot দিলাম ।



এবার সেই হোমের বা যজ্ঞের ছবি টি দিলাম যা ভিডিও ফুটেজ ছিল সেটিও screen shot নিয়ে এখানে দিলাম ।
আমার এই লেখা কেবল বিশ্বজিৎ বাবুর উদ্দেশ্যে নয় সমগ্র সনাতন ধর্মের মানুষ যারা এখনও এই সব বুজরুকি বিশ্বাস করেন তাদের জন্য। আমাদের মনে রাখতে হবে যা চিরন্তন সত্য সেটাই সনাতন সেখানে এই বুজরুকির কোন জায়গা নেই। এই ভন্ডামি গোঁড়ামি জাত পাতের কঠোর বিভাজনের জন্যে আজ সনাতন ধর্মের মানুষ বাংলা থেকে শেষ হতে চলেছে। একদিন এই ভারত থেকেও বিদায় নেবে এই সনাতন ধর্মের মানুষ, আসলে সনাতন বলে কোন ধর্ম নেই, আদিম যুগের থেকে অতি প্রাকৃতিক ঘটনা গুলো কে মানুষ পুজো করে এসেছে পরবর্তীতে আর্যরা সেটাই মন্ত্র আকারে বেদে উল্লেখ করেছেন। সেখানে কোথাও এরকম আজগুবি দাবি করা হয় নি। সমাজের উন্নয়নের জন্য আর্যরা কাজ গুলো কে চার টি ভাগ করে ছিলেন। ব্রাহ্মণ এদের কাজ ছিল পুজা পাট, বেদের শিক্ষা দান, ক্ষত্রিয় এদের কাজ রাজ্য শাসন, কোন গোষ্ঠী আক্রমণ করে তবে নিজ গোষ্ঠী কে রক্ষা করা। সেক্ষেত্রে সকল মানুষকে নিয়ে এক সাথে লড়াই এ নামা। বৈশ্য দের কাজ ছিল ব্যবসা বানিজ্য চাষ বাস করা, আর শুদ্র গন এই তিন জাতির সেবা করত, সেবা বলতে ছিল, রান্নার কাজ, খাওয়ার ব্যবস্থা করা, পরে যেটা পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখা দায়িত্ব এবং পশুপালন এরকম নানা কাজে এদের নিয়োগ করা হতে থাকে। আর ব্রাহ্মণ গন নিজের চাতুর্য দিয়ে বিভিন্ন সবার উপরে স্থান করে নিতে থাকে আস্তে আস্তে এই কাজের ভিত্তিতে ভাগ টি সমাজে কঠিন ও কঠোর ভাবে জাতি ভেদ হিসেবে ডেকে আনে। সনাতন বা চিরাচরিত প্রাকৃতিক বিষয় গুলো ধর্মে পরিনত হয় এবং এক শ্রেণীর মানুষের  এই সব বুজরুকি এবং কঠোর জাতি ভেদ বাড়তে থাকে তত এই সনাতন ধর্ম ভেঙে বিভিন্ন ধর্মের উদ্ভব ঘটে। ১) বৌদ্ধ ধর্ম, একটা কঠোরতা মুক্ত সমাজ তৈরির চেষ্টা করছে। ২) জৈন ধর্ম ও তাই। ৩) শিখ ধর্মও তাই। তাতেও এই বুজরুকি এবং উচ্চ সনাতনি দের অত্যাচার কমে নি তথাকথিত ঐ শুদ্রদের প্রতি। দিনের পর দিন বেড়েছে আর এই কারণেই আরেকটা সহজ পথ এসেছে বৈষ্ণব ধর্ম হরির নাম কর এখানেও কোন জাতি ভেদ নেই। যবন হরিদাস নিম্ন বর্ণের বা শুদ্র জগাই মাধাই পর্যন্ত এই বৈষ্ণব ধর্ম গ্রহণ করে হরিনাম করে ছিলেন। মেয়েদের প্রতি কঠোরতা সে নাই বা বললাম, যারা এগুলো এখনও মেনে চলে বা চলতে বলেন। তাদের জন্য বাংলায় আজ সনাতন ধর্মের মানুষ ক্রমশ কমছে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছে। আর এই সব অত্যাচারিত মানুষ আজ কী করছে, উচ্চ বর্ণের বা হিন্দু দের উপর আক্রমণ করতে ছাড়়ছেন না। আসলে এরা তো সনাতন ধর্মের মানুষ বা হিন্দু ধর্মের মানুষ। এখনও যদি এই বুজরুকি ভণ্ডামি, এবং কঠোরতা থেকে বেড়িয়ে না আসতে পারে তবে এই বাংলা তথা ভারত থেকেও সনাতন ধর্মের মানুষ শেষ হয়ে যাবে। এখনও হিন্দি বলয়ের দিকে তাকিয়ে দেখুন অশিক্ষার আর এই সব কু শিক্ষার জন্য দলিত দের উপর অত্যাচার করে চলেছে। 


Tuesday, 7 December 2021

ট্রেন বিক্রি আছে দাম মাত্র এক কোটি।

 দেশ টাই বিক্রি করে দিচ্ছে, তাতে আস্ত একটা ট্রেন এক কোটি টাকা থাকলে যে কেউ কিনতে পারেন একটা আস্ত ট্রেন। খবর টি পড়ে দেখুন বুঝতে পারবেন।


প্লেন তথা বিমান বন্দর আগেই বিক্রি করা হয়েছে। কৃষি জমি বণিক কে বিক্রি করার চেষ্টা বিফলে গেল। ব্যাঙ্ক বিক্রি করে দিতে বিল আসছে, বিমা সে তো অর্ধেক বিক্রি করা হয়ে গেছে। খনি সেও বিক্রির ইছাপুর গান ও শেল কারখানা, বেঙ্গল কেমিক্যাল, টেলি যোগাযোগ আরও কত কি তবে এই ট্রেন বিক্রি একটি ইউনিক ব্যবস্থা। দারুণ না, ওদিকেে আইন আসছে কোন চাকরি স্থায়ি নয়। কিছু না হোক জনগণ মিথ্যা প্রতিশ্রুতি গুলো পেয়ে দারুণ খুশি। খুব ভালো এরপর দেখা যাবে দেশটা আমেরিকার কাছে বেচে দিচ্ছে। 

Monday, 6 December 2021

মোবাইল রিচার্জ এখন মানুষের নাভিশ্বাস তুলে দিচ্ছে।


 এই যে লোক টা কে দেখছেন এই হাসি মুখ দেখিয়ে লোকের পকেট কাটার ব্যবস্থা করছে। প্রথম ফ্রি সিম, 99 টাকা টাকা রিচার্জ, এখন বাড়তে বাড়তে সেটা 719 টাকা। কেবল জিও নয় প্রতিটি সিম কোম্পানি একই রকম ভাবে 20% থেকে 40% রিচার্জ খরচ বাড়িয়ে দিয়েছে। এখন যখন দেখছে ভারতের এই সিম বাজারে বিশ্বের সব থেকে ধনী সিম ব্যবসায়ী বা ইন্টারনেট ব্যবসায়ী এলেন মাক্স আসছে, যার অধীনে বিশ্বের অধিকাংশ যোগাযোগ স্যাটেলাইট বা উপগ্রহ আছে, তিনি কম খরচে নেট দেবেন সেই হঠাৎ আজ একটা প্ল্যান এনেছে 75 টাকায় 23 দিন কল ও নেট পাওয়া যাবে। এই প্ল্যানে রিচার্জ করলে বছরে পনেরো থেকে ষোল বার রিচার্জ করতে হবে। যদি পনেরো বার হয় তাহলে এই কোম্পানি কে দিতে হবে 1125 টাকা। এর পাশাপাশি সরকারি বলুন আধা সরকারি কোম্পানি বি এস এন এল একটি নতুন প্ল্যান 94 টাকায় 75 দিন। বি এস এন এল এর এই প্ল্যানে এক জন কে বছরে 5 বার রিচার্জ করতে হবে। বছরে দিতে হবে 470 টাকা। এবার সাধারণ মানুষ যারা কেবল যোগাযোগ করতে মোবাইল ব্যবহার করেন তারা বি এস এন এল এ পোর্ট করে নিন উপকৃত হবেন কারণ বি এস এন এলের আরেকটা রিচার্জ প্ল্যান আছে 107 টাকা 90 দিন। পকেট কাটা কোম্পানি, কে বাদ দিয়ে বি এস এন এলে ফেরত আসি। এয়ারটেল, ভিআই, জিও বাদ দিয়ে দিন। কারণ এই সিম কোম্পানি গুলো কেন্দ্রীয় শাসক দলের দোর ধরা এদের কোটি কোটি টাকা ট্যাক্স মুকুব করে দেওয়া হয় মুনাফার জন্য এবং ভাগ করে নেওয়া হয় পার্টি ফাণ্ডে ও নেতার মন্ত্রীরা ভাগ পায় এদের টাকার এই কারণেই এরা সাধারণ মানুষের পকেট কাটতে সাহস করে। আদানির ফরচুন বন্ধ করে দিন স্থানীয় কোম্পানির তেল কিনতে শুরু করে দিন দেখবেন তেলের দাম কমে যাবে। আসুন সকলে মিলে এদের বয়কট করি। এরাই হচ্ছে কালা ইংরেজ সাধারণ মানুষ কে শোষণ করতে শুরু করেছে। 

Sunday, 5 December 2021

বর্তমান অতি বাম আমলে আবার জুট মিলে উৎপাদন বন্ধ হয়ে গিয়েছে।


 বর্তমান বাম আমলে, ডানলপ, জেশপ, বার্ণ স্ট্যান্ডার্ড, দৈনিক বসুমতি,অধিগ্রহণ করে খোলার কথা ছিল। আর রেলের অধীনে ছত্রিশ টা সুপার স্পেশাল হাসপাতাল, সিঙ্গুরে ছশ একরে রেলের কারখানা, আরও কত কি সে সব এখন আর কারো মনে নেই।যেমন মনে নেই, শ্রীরামপুর পর্যন্ত মেট্রো রেল, সিঙ্গুর থেকে নন্দীগ্রাম ট্রেন, আর বাকি প্রতিশ্রুতির কথা নাই বা বললাম। আর বর্তমান বাম সরকার আমলে জুট মিলে তালা পড়ছে, রিষড়ার জয়শ্রী কটন মিল, হুগলির তথা দেশের বিখ্যাত মোটর গাড়ি কারখানা হিন্দ মোটর। আর দুর্গাপুর রোডের পাশে তৈরি হওয়া বেশ কয়েকটি ছোট ছোট কারখানা তোলা তুলে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। দুটো না তিন টি টিকে আছে নিয়মিত তোলা দিয়ে, একটা হিমাদ্রি কেমিক্যাল, একটা হলদিরাম ভুজিয়া, আর নিয়মিত তোলা দেওয়ার কারণ স্থানীয় চাষিদের সাথে দুর্ব্যবহার নিত্য নিমিত্তিক ঘটনা, কি করছে কারখানার যত নোংরা জল এবং অন্যান্য সব চাষের জমিতে ইচ্ছাকৃত ফেলে চাষের অযোগ্য করে দিয়ে কম দামে বিক্রি করতে করতে বাধ্য করছে আবার এটাও আছে কোন চাষির ছোট খাটো জমি হলে টিন দিয়ে ঘিরে নিচ্ছে টাকা আবার কি? বললেই বলে আমরা মাসে মাসে টাকা দিই জানিস না, নেতা মন্ত্রী দের বলে কোন লাভ হবে না। সত্যিই কোন লাভ নেই, এটাই পশ্চিমবঙ্গরে ভবিতব্য, অবাঙালির দখলে চলে যাবে এই বাংলা। এটা হবে পূর্ব বিহার। কারণ বর্তমান ভালো বাম সরকারের আমলে এটাই দস্তুর যে যত টাকা তোলা তুলতে পারে তিনি ততবড় নেতা এবং মন্ত্রী মিডিয়া সব দেখতে পায় এগুলো দেখতে পায় না। আর অতি বাম আমলে বা ভালো বাম সরকারের আমলে জুট মিলে উৎপাদন বন্ধ এটা একটা ব্যাপার হলো যে, রাজ্যের চাল কল গুলো কে চটের বস্তা ব্যবহারে বাধ্য করতে পারে না। সেই রাজ্যে চট কল বন্ধ হবে তো বটেই। 

Saturday, 4 December 2021

রাজ্য তথা দেশ বিক্রি করে দিচ্ছে জলের দরে, সাইকেল বিক্রি করবে এতে দোষের কি আছে।


 গোটা দেশ টাকে পৈতৃক সম্পত্তি ভেবে বিক্রি করে দিচ্ছে এক দল কালা ইংরেজ। আজ তারা আমাদের রাজ্যে এসে দেখা করে যাচ্ছে কারণ বাঙালি কে তথা বাংলা কে কিনতেই হবে, না হলে বাঙালি কে জব্দ করা যাবে না। যে দুজন জলের দরে দেশ কিনছে ব্যাঙ্ থেকে ঋণ নিয়ে কিছু দিন পরে সেই ঋণ মুকুব করে দেওয়া হচ্ছে। কী সুন্দর ব্যবস্থা তাই না, তাদের একজন আজ এসে ছিলেন নবান্ন কিনতে, কারণ একটা আছে এই দুই ব্যবসায়ী ( আদানি ও আম্বানি) এরা 2014 সালে নরেন্দ্র মোদী ও তার সাঙ্গ পাঙ্গ কে প্রমোট করে ছিলেন এবং এদের অর্থের জোরে ক্ষমতা দখল। 2019 এ সেই একই অবস্থা এরাই প্রমোট করে আবার ক্ষমতায় নিয়ে এসেছে, এবার আর এস এস এর দুর্গার প্রধান মন্ত্রী হবার সখ হয়েছে। আর প্রধানমন্ত্রী হতে হলে প্রমোটার দরকার সে কারণেই এই স্বনাম ধন্য ব্যবসায়ী বাংলার প্রশাসনের সঙ্গে দেখা করতে এসেছেন। জানা নেই কিসে বিনিয়োগ করতে এসেছেন তিন হাজার কিলো ড্রাগ ছিল সেই ড্রাগের বিনিয়োগ নয় তো! যাহোক এত দিন  দিদি 28 টাকা বোতল মহুয়ার মদ খাওয়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন এখন কম টাকায় ড্রাগ মিলবে পশ্চিমবঙ্গ। সামনের ভোটে আরো ভালো ফল পাওয়া যাবে। এ তো গেলো এদের নিয়ে লেখা, এবার এই সাইকেল নিয়ে দু চার টি কথা, দিদির আগেই বাম সরকার, দূর থেকে আসা ছাত্র ছাত্রীদের সাইকেল দিত। 

দিদি এসে একটা গালভরা নাম দিয়ে সাইকেল বিলি আরম্ভ করে দিলেন। দিদির দেওয়া সাইকেল প্রথম প্রথম এক মাস অন্তর সারাতে হবে তার পর আস্তে আস্তে গোটা সাইকেল টির সব অংশ পাল্টা। তে হবে না হলে চলবে না। এহেন মূল্যবান সাইকেল টি রেখে কেবল খরচ খরচ বাড়ানো ছাড়া আর কিছুই না। প্রতিদিন সারাতে সারাতে যে খরচ সেই টাকায় একটা ভালো সাইকেল হয়ে যাবে। অতিরিক্ত খরচ না বাড়িয়ে বিক্রি করে দিচ্ছে। এতে আশ্চর্য হবার কিছু নেই। 


বাঙালি ও বর্তমান ভারত।

 (ছবিটি নেট থেকে নেওয়া, একটি স্ক্রিনশট।) স্বাধীনতার পূর্বে ভারত কীরকম ছিল, ১৯৪৭ সালে ভাগ হওয়ার পর কেমন হয়েছে। কেন ভারত ভাগ করা হয়েছিল সে ...