দিদি আপনি একমেব অদ্বিতীয়ম আপনি সব দফতরের মন্ত্রী বাকিরা নামেই আছে। কেন বলছি এই ছবিটি দেখুন আপনি আমার জানা এতগুলো দফতরের আপনি মন্ত্রী।
ব কলমে আপনি সব দফতরের মন্ত্রী, সে কারণে প্রাথমিক শিক্ষা নিয়ে আপনার কাছে আমার কত গুলো প্রশ্ন। আমি জানি না আপনি এই লেখাটা পড়বেন কিনা! কিন্তু এটুকু জানি না সরকারি ভাবে নজর রাখা হয় কি না এই সব ব্লগের লেখার উপর। আপনি দশ বছর হলো ক্ষমতায় আছেন, এবং আগামী পাঁচ বছর আরও থাকবেন। এই দশ বছর আপনি ঐ হ-য-ব-র-ল সিলেবাস মজারু কুটুম কাটাম ছাড়া আর কি করেছেন? বাম আমলে সিলেবাস নিয়ে কিছু বলা যেত এবং তারা ভুল ত্রুটি পাল্টে প্রতি বছর বই গুলো প্রকাশ করত। আপনার আমলে কথা বলাই যায় না, আর দলের শিক্ষক কুল তারা বেতন নিতে ব্যস্ত কোন দিন আপনার কাছে কোন দাবি নিয়ে গেছে কিনা আমার জানা নেই? সিলেবাস ছাড়ুন আপনি ডি এ বন্ধ করে ওদের হাজার হাজার টাকা পাওয়না থেকে বঞ্চিত করে যাচ্ছেন সে নিয়ে কথা বলতে শোনা যায় না। প্রশ্নাতীত আনুগত্য অথচ বাম আমলে শিক্ষকরা বিভিন্ন বিষয়ে আন্দোলন করে গেছে কোন কোন আন্দোলনে ফল মিলেছে কোন কোন ক্ষেত্রে মেলে নি। কিন্তু আপনার দলের শিক্ষক কুল (তৃণমূল শিক্ষা সেল) এদের বেতন বন্ধ করে দিলেও মনে হয় কিছু বলবে না। এদের আনুগত্য বাড়িতে পোষা সারমেয়ের চেয়েও বেশি। ছাড়ুন আপনাকে ডি এ দিয়ে বেতন বাড়াতে হবে না। আপনি যে অপরিকল্পিত লক ডাউন করে স্কুল বন্ধ করে রেখেছেন, এ নিয়েও একটা কথা বলতে শোনা যায় নি এদের। পশ্চিমবঙ্গের সব খোলা কেবল প্রাথমিক শিক্ষা বন্ধ দারুণ একটা ব্যাপার তাই না! আরেকটা প্রশ্ন, দিদি আপনি মাঝে মাঝে বিদ্যালয় গুলো সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য নেন, যেমন শ্রেণি কক্ষ তৈরি করা তার মধ্যে একটি আচ্ছা কটি বিদ্যালয়ের শ্রেণি কক্ষ তৈরি করে দিয়েছেন? আর গত ২০১৯ সালে ছাত্র ছাত্রীদের নাম বাংলার শিক্ষা পোর্টালে নথি ভুক্ত করে ছিলেন এস আই অফিসের মাধ্যমে কারণ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কম্পিউটার ছিল না। আজ পর্যন্ত কটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কম্পিউটার দিয়েছেন? কটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নেট কানেকশন নেওয়ার খরচ দিয়েছেন? মাসে মাসে নেট খরচ কত টাকা দিয়েছেন? কারণ ঐ ২০১৯ সালের পর থেকে ছাত্র ছাত্রী সংক্রান্ত বিভিন্ন কাজ ঐ বাংলার শিক্ষা পোর্টালে তুলে দিতে হচ্ছে, প্রধান শিক্ষক বা টি আই সি দের। প্রাথমিকের টি আই সি দের ভাতা দেন তাঁরা এই কাজ করে যাচ্ছে নিজের থেকে? আপনি বরং পুরোনো শিক্ষক দের বেতন কি করে কম দেওয়া যায় তার ব্যবস্থাপনা পাকা করেছেন। ছাড়ুন ওসব কথা ২০১৯ সালের ছাত্র ছাত্রী দের ডেটা এন্ট্রি করে দেওয়া হয় এস আই অফিসের কম্পিউটার থেকে, সেই ডেটা এন্ট্রি করার কাজে নিযুক্ত ব্যক্তি কে টাকা দেওয়া হয় নি আজ ২০২১ সালের ১৫ ই ডিসেম্বর এস আই অফিস থেকে বলা হচ্ছে ঐ ডেটা এন্ট্রির জন্য প্রতিটি ছাত্র ছাত্রী পিছু ৮ টাকা করে দিতে হবে ২০১৯ সালের ছাত্র ছাত্রী অনুযায়ী? কি দিদি ঐ টাকাও দেবার ক্ষমতা ছিল না আপনার ওটাও ভি ই সি থেকে দিতে হবে? বাংলার শিক্ষা পোর্টালে নাম তুলে এত উপকার করে দিয়েছেন, এবার প্রতি বছর শিক্ষক দের করতে হচ্ছে কোনো না কোনো সাইবার কাফেতে গিয়ে বা নিজে কে ল্যাপটপ কিনতে হয়েছে এবং নিজের নেট কানেকশন ব্যবহার করে কাজ গুলো করতে বাধ্য করেছেন। এ যেন সেই প্রবাদ বাক্য ঢাল নেই তরোয়াল নেই নিধিরাম সর্দার। এবারের এই ২০২১ সালে আরেকটা মজার ব্যাপার চলছে,স্কুল বাংলার শিক্ষা পোর্টাল ( SMS) ছাত্র ছাত্রী দের নম্বর এন্ট্রির প্রক্রিয়া যা আজ পর্যন্ত শেষ তারিখ ছিল। নিধিরাম সর্দারের দল চেষ্টা করে করে তার চুল উঠে যাওয়ার যোগার।
গত ১৩/ ১২/২১ বিকেল থেকে আজ সন্ধ্যা পর্যন্ত এটি দেখিয়ে যাচ্ছে। আবার কেউ কেউ বলছে এ্যক্টিভিটি টাস্ক নভেম্বর মার্কস ওখানে এন্ট্রি না হলে মার্কস শীট তৈরি করা যাবে না, এবং ছাত্র ছাত্রীদের পরবর্তী শ্রেণিতে উর্ত্তীন করা যাবে না। চতুর্থ বা পঞ্চম শ্রেণির শংসাপত্র দেওয়া যাবে না। কি দারুন ব্যবস্থা তাই না! ঢাল নেই তরোয়াল নেই, নিধিরাম সর্দার তার উপর এই সব ভণ্ডামি। সত্যিই আপনার জবাব নেই দিদি, আপনি ছাড়া এসব ভাবা যায়। শিক্ষার দরকার নেই তুলে দিলেই হয় ঐ সত্যজিৎ রায়ের হীরক রাজার দেশে উদয়ন পণ্ডিতের পাঠশালা বন্ধ করতে রাজার লোক যা বলছিল। আপনি সেটা হাতে কলমে করে দেখিয়ে দিলেন।
No comments:
Post a Comment