এই ছবিটি বা ক্যাপশন টি তৈরি করার আগে ভাবতে হতো কারণ দিদি একথা বলতে বলতে পারেন না। কারণ তার নিজের বেতন এক লক্ষ টাকার উপরে, আর অন্য মন্ত্রী এবং বিধায়ক দের বেতন বা সাণ্মানিক ৮০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকা। আমার মনে হয় ক্যাপশন তৈরির আগে ভাবতে হবে। যদি দিদি এটা মুখে বলেও থাকনে তাহলে ভাবতে হবে অন্য কোন কারণে বলেছেন। বেতন বা সাণ্মানিক তো গেল, এছাড়া আছে ৭৫% ২৫% ভাগ ।আমার মনে হয় উনি যদি বলেও থাকনে তাহলে পাশাপাশি চপ শিল্পের কথাও বলা হয়েছে কারণ পাঁচ শো টাকা মাসে ওতো একটা ছোট মাপের নেতার পকেটে বা গৃহীনির এ্যাকাউন্টে ঢুকেছে এক সাথে প্রায় চল্লিশ পঞ্চাশ জনের বা এক শ জনের। এসব দিদি জেনেও বলতে পারেন যে একশ একশ জনের টাকা এক জনের এ্যাকাউন্টে এলে তার তো সংসার চলে যাবার কথা।
মনে হয়, এই খবরটি পড়ে দিদি পড়েছেন সে কারণেই ঐ কথাটা বলতে পারেন। তবে রাজ্যের ভাঁড়ার শূন্য এটাও কিন্তু বলে দিচ্ছেন। উনি তো এখন অর্থ মন্ত্রী, যা কর বা ট্যাক্স আসছে সে যে ভাই বোন ভাইপো ভাইঝি দের এ্যাকাউন্টে কীভাবে দেওয়া হবে সেটা করতেই এই সব প্রকল্প চালু। ছাত্র ছাত্রী দের পোশাক ৪০০ টাকা ছিল হয়ে গেছে ৬০০ টাকা কারা দেবে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের দায়িত্ব ভাবছেন তারা কারখানা তৈরি করেছে সেখানে তৈরি করে দেবে কোন দিন না তারা আরেক জন ড্রেসার বা কোম্পানি ঠিক করেছেন তার থেকে কিনে দেবে। এবার পোশাক এমন হবে গায়ে দিয়েই যাতে ছিঁঁড়ে যায়। আর পাল্টান ওসব ভুলে যান। কারণ দিদির দলের লোক জন ঐ গোষ্ঠীর সদস্য ভালোই ভাগ আছে। যত দুয়ারে সরকার করে ঐ প্রকল্প চালু করা হবে তত বেশি করে ভাই বোন ভাইপো ভাইঝি দের আয় বাড়বে ।আর মানুষ লাফাতে লাফাতে ভোট দিয়ে আসবে, এ রাজ্যে চাকরির কি দরকার তাও আবার বেসরকারি চাকরি। সরকারি চাকরি সে আবার আরেক ফ্যাসাদ আছে আগে তৃণমূলের দলে নেতা মন্ত্রী বাড়ির লোকজন কে দেওয়া হবে কারণ বর্তমান শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু সেটাই বলেছেন। যতই যোগ্যতা অর্জন করুক আগে তৃণমূল হতে হবে। এ রাজ্যে শিক্ষার কি দরকার, দিদি মোবাইল দিয়েছেন, গেম খেলতে সারাদিন গেম সে জন্য ছাত্র ছাত্রীরা কি বলছে আমরা টেষ্ট পরীক্ষা দেব না।অনেকেই ভাববেন ছাত্র ছাত্রী দের দোষ, আমি মনে করি এর জন্য দায়ী বর্তমান সরকার পরিকল্পনা হীন শিক্ষা ব্যবস্থা কে ধ্বংস করে দিয়েছে। কারণ উনি জানেন লেখা পড়া শিখে চাকরি চাইবে চাকরি তো উনি দেবেন না, মাসে পাঁচ শ হাজার, টাকা ওতেই সংসার চলে যাবে। কারণ জেনে গেছেন এতেই মানুষ খুশি মনের আনন্দে ভোট দিয়ে জিতিয়ে দেবে।
No comments:
Post a Comment