Anulekhon.blogspot.com

Friday, 17 December 2021

আরো আঠারো মাস বন্ধ থাকলে পৃথিবীর শীর্ষ স্থান পাবে।



 আঠারো মাস প্রাথমিক শিক্ষা বন্ধ, তার পরেও রাজ্য নাকি প্রাথমিক শিক্ষায় শীর্ষে। আর কী চাই, এবার তো দিদির পোষমানা শিক্ষক কুল ক্লাসে না গিয়ে আরো মোবাইলে ব্যস্ত থাকবে। কিছু বলার নেই, আঠারো মাস বন্ধ, এক দিনের জন্যও এই সব শিক্ষক কুল ছাত্র ছাত্রী দের সাথে যোগাযোগ রাখে নি। এমনকি হোয়াটস এ্যাপের মাধ্যমে বই এর একটি পাতা পড়ানোর চেষ্টা করে নি, কথা হচ্ছে সরকার আদেশ দিয়েছে পড়ানোর যে পড়াব। সেখানে দাঁড়িয়ে পশ্চিমবঙ্গরে প্রাথমিক শিক্ষায় নাকি দেশের মধ্যে শীর্ষে। এটা ব্যঙ্গ নয় তো! কারণ গত ২০২০ সাল থেকে আজ পর্যন্ত যত গুলো এ্যক্টিভিট টাস্ক দেওয়া হয়েছে, তার অর্ধেক এদের দেখে দেয় নি। অর্ধেক তো ঠিক মত বিদ্যালয়ে আসে না, ভুলে গেছে বিদ্যালয়ের গেট কোন দিকে। মিড ডে মিলের সময়েও দেখা মেলা ভার, বিদ্যালয়ে না এসে দিদির দয়ায় সব হয়ে গেলে আর কি চাই। দারুণ দিদি আপনার জবাব নেই, এত সুন্দর পোষ মানা প্রাণী আর দ্বিতীয় টি পাবেন না, আপনার দাদা যা করল এবং আপনি এই প্রশংসা করে যা করলেন তাতে আগামী দিনে এরা কী করবে ভেবে পাবে না। বিদ্যালয়ে ছাত্র বাড়লে যারা প্রধান শিক্ষক কে বলে আপনি ভর্তি করেছেন আপনি পড়াবেন। আসলে তা নয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংসের দিক থেকে এই পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা দেশের শীর্ষ স্থানে আছে। আপনি নিশ্চয়ই জানেন, প্রতি বছর কত গুলো করে প্রাথমিক বিদ্যালয় উঠে যাচ্ছে ছাত্র ছাত্রীর অভাবে। এবছর কলকাতা জেলার কত গুলো প্রাথমিক বিদ্যালয় তুলে দিলেন মনে পড়ছে না। দেশের কোন রাজ্যে এত দিন ধরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ নেই কেবল পশ্চিমবঙ্গ ছাড়া। পশ্চিমবঙ্গ সে দিক থেকে শীর্ষে অবস্থান করছে। খুব ভালো দিদি চালিয়ে যান, কি হবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে, ওর থেকে যেমন চলছে চললেই ভালো কারণ,গ্রামের দিকে এমন অনেক প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে যে খানে এক জন শিক্ষক আছে, দেখা যাবে ঘর গুলো ঠিক নেই। ছাত্র ছাত্রী ঠিক মত বসতে পারে না। ভালো থাকবেন দিদি আরো আঠারো মাস বন্ধ করে রেখে দিন, একদম পৃথিবীতে পশ্চিমবঙ্গরে প্রাথমিক শিক্ষা শীর্ষ আসন নেবে। 

No comments:

Post a Comment

বাঙালি ও বর্তমান ভারত।

 (ছবিটি নেট থেকে নেওয়া, একটি স্ক্রিনশট।) স্বাধীনতার পূর্বে ভারত কীরকম ছিল, ১৯৪৭ সালে ভাগ হওয়ার পর কেমন হয়েছে। কেন ভারত ভাগ করা হয়েছিল সে ...