ভোটের আগে শাসক দলের এই শীর্ষ নেতার কথায় আশা জেগে ছিল যে এবারের কলকাতা পুরো ভোট নিশ্চয়ই শান্তি পূর্ণ হবে। প্রার্থী রা তাদের নমিনেশন শান্তিতে দিল, কিন্তু শুরু হলো প্রচারে বাধা। বিরোধী দলের প্রচার করতে না দেওয়া মিছিলে হামলা, পুলিশের ভূমিকা সে তো শাসক দলের কথা মতো চলে, অশান্তি দেখেও দেখে না। এসব বড় বড় নেতা কেবল টাকা বোঝে আর ক্ষমতা দখল করতে চায়, অশান্তি এদের চোখে পড়ে না। আজ ভোটের দিন কি দেখলাম টি ভির পর্দায় সি সি টিভি কাগজ দিয়ে ঢেকে ছাপ্পা ভোট দিতে। বিরোধী এজেন্ট কে মেরে বুথ থেকে বার করে দিতে। একটা পরিবার ভোট দিতে গিয়ে দেখে তাদের ভোট আগেই হয়ে গেছে। কোথাও কোথাও আই কার্ড না দেখেই ভোট হচ্ছে, বাব্রোন রোডে এমন অশান্তি হলো এক যুবকের পা উড়ে চলে গেছে। এই না হলে শান্তি পূর্ণ ভোট কি দারুন না, নেতা টিভির পর্দায় বলছে শান্তি পূর্ণ ভোট হয়েছে। ঐ সব নেতা মন্ত্রী কে আমার একটা প্রশ্ন রাজ্যের মানুষ যদি শান্তিতে আছে, অশান্তি কোথাও নেই তাহলে তোমরা নিরাপত্তা বাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে যাচ্ছ কেন? আমি ভেবে পাই না এতো উন্নতি এত উন্নয়ন তবুও মানুষ কে ভোট দিতে না দেওয়া এসবের মানে কি? শাসক দল যদি মনে করে যে শান্তি তে ভোট হবে তাহলে পুলিশ প্রশাসন কে সেই মতো ক্ষমতা দেওয়া হতো। পুলিশের মধ্যেও একটা ভয় কাজ করে যদি আবার টেবিলের তলায় লুকাতে হয়। আসলে স্বাধীনতার পর পশ্চিমবঙ্গে এই রকম শাসক আসে নি। একাত্তরের সন্ত্রাস কেও হার মানিয়ে দিচ্ছে। আমরা এমন একটা রাজ্যে বাস করছি যেখানে পুলিশ চোর চিটিংবাজ মিথ্যাবাদী ডাকাতের নিরাপত্তা দেয়। সাধারণ মানুষ এমন বোকা আমি দেখিনি এই সব চোর চিটিংবাজ মিথ্যাবাদী দের বাঁচাতে অর্থাৎ ক্ষমতায় আনতে নিজের জীবন বিপন্ন করে দেয়, কেবল কুড়ি টাকার পাউচ আর ভাগারের মাংস খাওয়ার জন্য এবং পাঁচ শ হাজার টাকা ভিক্ষা পাওয়ার জন্য। বোঝে না, তার জীবনের মূল্য নেতারা নিরাপত্তা নিয়ে ঘোরে, এদের কথায় নিজের প্রতিবেশীর সাথে মারামারি করে মরে। এই সব নেতা দের বলছি শান্তি আনুন পুলিশ কে ঠিক মত কাজ করতে দিন। রাজ্যের মানুষ কে শান্তিতে থাকতে দিন। আপনারা চুরি করুন ডাকাতি তোলাবাজি করুন, কাটমানি নিন। পুলিশের নিরাপত্তা নিয়ে ঘুরে বেড়ান কিন্তু ভোটের সময়ে মানুষ কে একটু শান্তি দিন, আর কত মায়ের কোল খালি করে দেবেন। আপনাদের বিবেক নেই, মনুষ্যত্ব কি হারিয়ে ফেলেছেন? চোখের সামনে দেখতে পেলাম বোমার আঘাতে এক জনের পা উড়ে গেল আর বলছেন শান্তি পূর্ণ ভোট হলো। দয়া করে শান্তি ফিরিয়ে, একবার ভাবুন সন্তান হারানোর বেদনা কতটা, যে মা তার সন্তান হারিয়ে ফেলে সে জানে জ্বালা কি? আপনাদের কি মায়া দয়া মনুষ্যত্ব হারিয়ে গেছে।যদিও চোর ডাকাতের মনে মায়া দয়া থাকে না। ছিঃ ছিঃ এই আপনাদের শান্তির ভোট ।
Anulekhon.blogspot.com
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
বাঙালি ও বর্তমান ভারত।
(ছবিটি নেট থেকে নেওয়া, একটি স্ক্রিনশট।) স্বাধীনতার পূর্বে ভারত কীরকম ছিল, ১৯৪৭ সালে ভাগ হওয়ার পর কেমন হয়েছে। কেন ভারত ভাগ করা হয়েছিল সে ...

-
সরস্বতী পুজোর পদ্ধতি, পরপর যা করতে হবে।১)আচমন ২)বিষ্ণু স্মরণ ৩)স্বত্ত্বি বাচন ৪) স্বত্ত্বি সূক্ত ৫) সাক্ষ্য মন্ত্র ৬) বরণ ৭) সংকল্প ৮) স...
-
আমি এর আগে একটি ব্লগে লিখেছি, দুর্গা যষ্টী পূজার মন্ত্র ।এখানে বলি আমি পণ্ডিত নই, বিভিন্ন ধরনের বই পড়ে, আর দু একজন ব্রাহ্মণের সাথে কাজ ...
-
ছবি টি কীসের বা কোন প্রাণীর নিশ্চয়ই বলে দিতে হবে না। মানুষের প্রথম পোষ মানা প্রথম প্রাণী, হয়তো অনেকেই পড়ে বলবেন এবার নতুন কী এতো আমরা স...
No comments:
Post a Comment