বেশ কয়েক দিন ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটা যজ্ঞের ছবি ঘুরে ফিরে আসছে তাতে লেখা আছে দেখুন আজও কিছু ব্রাহ্মণ আছেন তারা মন্ত্রের সাহায্যে আগুন জ্বালতে পারে। ফেসবুকে বিভিন্ন ভাবে পোস্ট টি করে ঐ সব বুজরুকি ব্রাহ্মণ বা তান্ত্রিক দের উচ্চ প্রশংসা করা হচ্ছে। একটা এই ঘটনার স্থান ছিল উত্তর প্রদেশের, বর্তমানে টির ঘটনার স্থান বলা না হলেও দেখে মনে হচ্ছে বাংলার কোন জায়গায় এটা হচ্ছে। আমি সেখানে একটা মন্তব্য করেছিলাম, কী যে এটি কেমিক্যাল, সাদা ফসফরাস, সোহাগা, গন্ধক, ধুন ইত্যাদি দিয়ে যদিও আমার কেমিক্যাল গুলোর সঠিক কিনা জানি না কারণ অনেক দিন আগের পড়া ঠিক মনে নেই। আরেক জন সেটি মনে করিয়ে দিলেন বললেন ওখানে ট্রাই-গ্লিসারিনে ডোবান কাঠ, পটাসিয়াম- পার - ম্যঙ্গানেট, ধূন, আর দিয়াশালাই এর মুখ থেকে খুলে নেওয়া বারুদ আছে। যার ফলে আগুন জ্বলে, আমার মন্তব্যে এক জন লেখেন আপনি নিজে ধর্মের বদনাম করছেন অন্য ধর্ম নিয়ে এই রকম কথা লিখলে এতখন কুকথায় ভরে যেত। মন্তব্য গুলো screen shot দিলাম ।
Anulekhon.blogspot.com
Wednesday, 8 December 2021
সনাতন ধর্মের এই বুজরুকি গুলো এখনো গেল না।
এবার সেই হোমের বা যজ্ঞের ছবি টি দিলাম যা ভিডিও ফুটেজ ছিল সেটিও screen shot নিয়ে এখানে দিলাম ।
আমার এই লেখা কেবল বিশ্বজিৎ বাবুর উদ্দেশ্যে নয় সমগ্র সনাতন ধর্মের মানুষ যারা এখনও এই সব বুজরুকি বিশ্বাস করেন তাদের জন্য। আমাদের মনে রাখতে হবে যা চিরন্তন সত্য সেটাই সনাতন সেখানে এই বুজরুকির কোন জায়গা নেই। এই ভন্ডামি গোঁড়ামি জাত পাতের কঠোর বিভাজনের জন্যে আজ সনাতন ধর্মের মানুষ বাংলা থেকে শেষ হতে চলেছে। একদিন এই ভারত থেকেও বিদায় নেবে এই সনাতন ধর্মের মানুষ, আসলে সনাতন বলে কোন ধর্ম নেই, আদিম যুগের থেকে অতি প্রাকৃতিক ঘটনা গুলো কে মানুষ পুজো করে এসেছে পরবর্তীতে আর্যরা সেটাই মন্ত্র আকারে বেদে উল্লেখ করেছেন। সেখানে কোথাও এরকম আজগুবি দাবি করা হয় নি। সমাজের উন্নয়নের জন্য আর্যরা কাজ গুলো কে চার টি ভাগ করে ছিলেন। ব্রাহ্মণ এদের কাজ ছিল পুজা পাট, বেদের শিক্ষা দান, ক্ষত্রিয় এদের কাজ রাজ্য শাসন, কোন গোষ্ঠী আক্রমণ করে তবে নিজ গোষ্ঠী কে রক্ষা করা। সেক্ষেত্রে সকল মানুষকে নিয়ে এক সাথে লড়াই এ নামা। বৈশ্য দের কাজ ছিল ব্যবসা বানিজ্য চাষ বাস করা, আর শুদ্র গন এই তিন জাতির সেবা করত, সেবা বলতে ছিল, রান্নার কাজ, খাওয়ার ব্যবস্থা করা, পরে যেটা পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখা দায়িত্ব এবং পশুপালন এরকম নানা কাজে এদের নিয়োগ করা হতে থাকে। আর ব্রাহ্মণ গন নিজের চাতুর্য দিয়ে বিভিন্ন সবার উপরে স্থান করে নিতে থাকে আস্তে আস্তে এই কাজের ভিত্তিতে ভাগ টি সমাজে কঠিন ও কঠোর ভাবে জাতি ভেদ হিসেবে ডেকে আনে। সনাতন বা চিরাচরিত প্রাকৃতিক বিষয় গুলো ধর্মে পরিনত হয় এবং এক শ্রেণীর মানুষের এই সব বুজরুকি এবং কঠোর জাতি ভেদ বাড়তে থাকে তত এই সনাতন ধর্ম ভেঙে বিভিন্ন ধর্মের উদ্ভব ঘটে। ১) বৌদ্ধ ধর্ম, একটা কঠোরতা মুক্ত সমাজ তৈরির চেষ্টা করছে। ২) জৈন ধর্ম ও তাই। ৩) শিখ ধর্মও তাই। তাতেও এই বুজরুকি এবং উচ্চ সনাতনি দের অত্যাচার কমে নি তথাকথিত ঐ শুদ্রদের প্রতি। দিনের পর দিন বেড়েছে আর এই কারণেই আরেকটা সহজ পথ এসেছে বৈষ্ণব ধর্ম হরির নাম কর এখানেও কোন জাতি ভেদ নেই। যবন হরিদাস নিম্ন বর্ণের বা শুদ্র জগাই মাধাই পর্যন্ত এই বৈষ্ণব ধর্ম গ্রহণ করে হরিনাম করে ছিলেন। মেয়েদের প্রতি কঠোরতা সে নাই বা বললাম, যারা এগুলো এখনও মেনে চলে বা চলতে বলেন। তাদের জন্য বাংলায় আজ সনাতন ধর্মের মানুষ ক্রমশ কমছে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছে। আর এই সব অত্যাচারিত মানুষ আজ কী করছে, উচ্চ বর্ণের বা হিন্দু দের উপর আক্রমণ করতে ছাড়়ছেন না। আসলে এরা তো সনাতন ধর্মের মানুষ বা হিন্দু ধর্মের মানুষ। এখনও যদি এই বুজরুকি ভণ্ডামি, এবং কঠোরতা থেকে বেড়িয়ে না আসতে পারে তবে এই বাংলা তথা ভারত থেকেও সনাতন ধর্মের মানুষ শেষ হয়ে যাবে। এখনও হিন্দি বলয়ের দিকে তাকিয়ে দেখুন অশিক্ষার আর এই সব কু শিক্ষার জন্য দলিত দের উপর অত্যাচার করে চলেছে।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
বাঙালি ও বর্তমান ভারত।
(ছবিটি নেট থেকে নেওয়া, একটি স্ক্রিনশট।) স্বাধীনতার পূর্বে ভারত কীরকম ছিল, ১৯৪৭ সালে ভাগ হওয়ার পর কেমন হয়েছে। কেন ভারত ভাগ করা হয়েছিল সে ...

-
সরস্বতী পুজোর পদ্ধতি, পরপর যা করতে হবে।১)আচমন ২)বিষ্ণু স্মরণ ৩)স্বত্ত্বি বাচন ৪) স্বত্ত্বি সূক্ত ৫) সাক্ষ্য মন্ত্র ৬) বরণ ৭) সংকল্প ৮) স...
-
আমি এর আগে একটি ব্লগে লিখেছি, দুর্গা যষ্টী পূজার মন্ত্র ।এখানে বলি আমি পণ্ডিত নই, বিভিন্ন ধরনের বই পড়ে, আর দু একজন ব্রাহ্মণের সাথে কাজ ...
-
ছবি টি কীসের বা কোন প্রাণীর নিশ্চয়ই বলে দিতে হবে না। মানুষের প্রথম পোষ মানা প্রথম প্রাণী, হয়তো অনেকেই পড়ে বলবেন এবার নতুন কী এতো আমরা স...
No comments:
Post a Comment