Anulekhon.blogspot.com

Tuesday, 28 December 2021

বাংলা শিক্ষা পোর্টাল, শিক্ষক কে মজা করার সুন্দর ব্যবস্থা।

2021 সালের সমস্যা এখনও 2024 সালে সমাধান হয় নি উল্টে বেড়েছে বই কমেনি। নতুন নতুন সমস্যা তৈরি করে শিক্ষক শিক্ষিকা দের জব্দ করা যায় তার ব্যবস্থা পাকা। 2021 যে সমস্যা গুলো ছিল সে গুলো তো আছেই, উল্টে বেড়েছে কি নতুন ভর্তির ডাটা এন্ট্রি করে প্রায় অর্ধেক হয়েছে, কখনো ঠিকানা তে এসে কখনো ক্লাস সিলেক্ট করার পর সেকসন নেয় না। আবার কখনো ঠিকানায় জেলা ব্লকে এসে আটকে যাচ্ছে। দেখাচ্ছে। 
প্লীজ এন্টার ভ্যালিড ডাটা ওখানে ওকে ( please select valid data) যেই এখানে ok ক্লিক করা সাথে সাথে সব এন্টি চলে যাবে এবং সাথে সাথে চলে আসে this page is not working. কি দারুন ব্যাপার তাই না। অনেক কষ্টে 47 কলমের অর্ধেকের বেশি এন্ট্রি করার পর পেজ ভ্যানিস হয়ে যাচ্ছে। এগুলো দেখে একটাই কথা আসে যেমন সরকার তেমন তার সাইট। অসভ্য সরকারের অভস্য সব কর্মচারী শিক্ষক শিক্ষিকা দের প্রতি নিয়ত জব্দ করে যাচ্ছে। নাম করছি না এই জন্যেই এক জন সরকারের শিক্ষা দফতরের কর্মী বলছেন ছাত্র ভর্তি নিয়ন্ত্রণ করুন। কারণ শিক্ষক দেওয়া যাবে না। দারুণ সরকার চলছে, যারা এই পোর্টাল তৈরি করছেন এবং আপডেট দিচ্ছেন তাদের খুব দেখতে ইচ্ছে করছে। অসভ্যতার একটা মাত্রা থাকে এ সব মাত্রা অতিক্রম করে গেছে। 

 ডিসেম্বর ২০২১ থেকে শিক্ষক শিক্ষিকা দের নিয়ে ভীষণ একটা মজার খেলা খেলতে শুরু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। ভীষণ ভালো খেলা, ১৫/১২/২১ তারিখের মধ্যে বাংলার শিক্ষা পোর্টালের একটি অংশ এস এম এস অর্থাৎ স্কুল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম এ নভেম্বর মাসের মডেল এ্যক্টিভিটি টাস্ক এর নম্বর তুলতে হবে। সব শিক্ষক দের অবস্থা একেবারে লেজে গোবরে হয়ে গেল গেল ঠিক তখনই একটা ম্যাসেজ দেখা গেল, সার্ভার ঠিক করা হচ্ছে, আমরা দুঃখিত এর পর তারিখ টি বেড়ে হল ২৩/১২/২১ যদি বা খোলে যে সব স্কুলে টিচার ইন চার্জ তারা আর খুলতে পারে না। পশ্চিমবঙ্গের বেশিরভাগ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে টিচার ইন চার্জ কারণ ২০১৪ সালের পর থেকে হেড টিচার নিয়োগ বন্ধ অর্থাৎ প্রাথমিক শিক্ষক দের এক মাত্র প্রমোশন সেটা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কারণ এক জন প্রধান শিক্ষক হিসেবে প্রমোশন হলে চার শ টাকা সরকারের বাড়ে ওটুকুও খরচ এই সরকার শিক্ষকদের দিতে রাজি নয়। যাহোক অনেক কষ্টে কিছু পরিবর্তন করে ঐ সব শিক্ষক কুল নম্বর তুলে দিয়েছেন স্কুল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমে। এবার ছাত্র ভর্তির কাজ শেষ করতে বলা হয়েছিল ২৪/১২ /২১ মধ্যে শেষ করতে। কেবল ভর্তি করলে হবে না ছাত্র ছাত্রী দের নাম ছবি সহ বাংলা শিক্ষা পোর্টালে তুলে দিতে হবে। সেখানে আবার ছবিটি হতে হবে ২০ কেবি এর বেশি হলে নেবে না। সেও শিক্ষক কুল জেনে নিয়েছে কীভাবে ছবির কেবি কমাতে হবে। এবার মজা হচ্ছে ঐ বাংলার শিক্ষা পোর্টাল কে নিয়ে দু দিন আগেও বেশ ভালো ভাবেই প্রমোশন দেওয়া চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র ছাত্রীদের স্কুল লিভিং সার্টিফিকেট তৈরি করা হয়েছে খুব ভালো ভাবে। এবার বাংলার শিক্ষা পোর্টালে ছাত্র ছাত্রী দের নাম অন্তর্ভুক্ত করা ব্যাস আজ চার পাঁচ দিন হল ঐ পোর্টালে দেখা যাচ্ছে, student entry 5 pm to 11 am ব্যাস ।সন্ধ্যা 5 টা থেকে সকাল 11 টা পর্যন্ত। বিকেল 5 টা থেকে রাত দশটা পর্যন্ত গত চার পাঁচ দিন উপরের ঐ কথাটা দেখিয়ে যাচ্ছে। বিকেল 5 টা থেকে অর্থাৎ না ঘুমিয়ে সারা রাত জেগে ছাত্র ছাত্রী দের নাম অন্তর্ভুক্ত করতে চেষ্টা করেও কিছুতেই খুলছে না। একে ঢাল নেই তরোয়াল নেই নিধিরাম সর্দার প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলো তে কম্পিউটার নেই, নেটের খরচ দেওয়া নেই ইলেকট্রিকের দেখা নেই, শিক্ষকরা কেবল তাদের ছাত্র ছাত্রী দের মঙ্গল বা ভালোর জন্য তারা এসব করে যাচ্ছে নিজের খরচে। আর আমাদের মুর্খমন্ত্রী যিনি একাই একশ কীভাবে শিক্ষক দের বেতন কম দেওয়া যায় তার ব্যবস্থাপনা করতে সিদ্ধহস্ত। ডি এ র দেখা নেই, অথচ শিক্ষক তার বেতন থেকে বিদ্যালয়ের কাজে খরচ করতে হবে। দারুণ মজার ব্যাপার তাই না? 


No comments:

Post a Comment

বাঙালি ও বর্তমান ভারত।

 (ছবিটি নেট থেকে নেওয়া, একটি স্ক্রিনশট।) স্বাধীনতার পূর্বে ভারত কীরকম ছিল, ১৯৪৭ সালে ভাগ হওয়ার পর কেমন হয়েছে। কেন ভারত ভাগ করা হয়েছিল সে ...