রবি ঠাকুরের একটা গল্প পড়ে ছিলাম, হবু রাজা গবু মন্ত্রী। শেষের পরিনতী আমরা জানি। বর্তমানে আমাদের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের শাসক দলের দিকে তাকিয়ে দেখুন ঠিক সেই অবস্থা। গত নভেম্বর মাসের মাঝামাঝি নবম দশম একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র ছাত্রীরা স্কুলে আসার অনুমতি পায়। বেশ ভালো কথা সরকারের শিক্ষার দিকে নজর পড়েছে। প্রাথমিক বিদ্যালয় আজ ১৯ মাস বন্ধ। হঠাৎ করে হুগলি জেলার প্রতিটি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ থেকে আদেশ আসে ১ লা জানুয়ারি থেকে ৭ ই জানুয়ারি থেকে, প্রতি দিন শিক্ষক দের বিদ্যালয়ে হাজির থাকতে হবে। কী কী করনীয় তারও ফিরিস্তি দিয়ে দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে একটা বিষয় আছে, ছাত্র ছাত্রী দের অবজার্ভার ভেশসন। কী আজব কাণ্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছাত্র ছাত্রী নেই আজ প্রায় ১৯ মাস, তার আবার নজরদারি। আরেকটা বিষয় আছে, কী সেটা মডেল এ্যক্টিভিটি টাস্ক দিয়ে শিক্ষা ব্যবস্থা কেমন চলছে, সেটা জানতে হবে অভিভাবক দের কাছে। এটাই ভালো শিক্ষা ব্যবস্থা এটা প্রমাণ করতে হবে, শিক্ষকরা বিদ্যালয়ে আসবে ঐ এ্যক্টিভিটি টাস্ক শিক্ষা ব্যবস্থা বজায় রাখতে হবে, যাতে স্কুল না খুলতে হয়।ইতিমধ্যে জানুয়ারি মাসের মডেল এ্যক্টিভিটি টাস্ক দেওয়া হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে সে গুলো প্রিন্ট করে ঐ ১ লা জানুয়ারি থেকে ৭ ই জানুয়ারির মধ্যে দিতে হবে। কেমন আজগুবি ব্যাপার এখন ছাত্র ছাত্রীরা নতুন বই হাতে পেল না অথচ মডেল এ্যক্টিভিটি টাস্ক দিতে হবে। এই ভাবে সরকারি শিক্ষা ব্যবস্থা কে ধ্বংস করতে আর কি লাগে? যদি প্রতিদিন একটা করে শ্রেণি নিয়ে ও সব শিক্ষক দের নিয়ে বিদ্যালয় খোলা থাকত তবুও ছাত্র ছাত্রী দের বিদ্যালয়ে আসার অভ্যাস থাকত ওসব করলে করোনা হয়ে যাবে। মেলার পর মেলা হয় পৌরসভা, বড়দিন পালন। হাজার হাজার লোক জমায়েত করে ট্রেনে ভীড়ের শেষ নেই কারণ ট্রেনের সংখ্যা কম। আর কেবল করোনা ভাইরাস বলেছে স্কুল খুললেই আমি ধরব। আবার বলছেন মিড ডে মিলের সামগ্রী অভিভাবক দের দিতে হবে। আশ্চর্যের বিষয় হল সিঙ্গুর ব্লকে ডিসেম্বর পর্যন্ত দেওয়ার জন্য চাল সহ অন্যান্য সামগ্রী দেওয়া হয়েছিল। এখনও জানুয়ারি মাসের চাল ও সামগ্রী কেনার টাকাও আসেনি। দেওয়ার দিন ঘোষণা করা হয়ে গেছে। ১ লা জানুয়ারি থেকে ৭ ই জানুয়ারি মধ্যে এই সামগ্রী দিতে হবে। কী কেমন ভাবছেন রবি ঠাকুরের হবু রাজা গবু মন্ত্রীর কথা মনে পড়ছে না। এর মধ্যে একটা বিষয় পরিষ্কার শিক্ষক দের বিদ্যালয়ে আনতে তবে সেটা কেবল মাত্র প্রধান শিক্ষক ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দের। প্রাথমিকের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের কোন মূল্য নেই, কারণ তারা কেবল খেটে যায় কোনো পাওনা গণডা নেই। দীর্ঘ ৭ বছর হলো প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষক নিয়োগ বন্ধ। আজব রাজার গজব কাণ্ড।
হরিপাল মেলার ছবি গুলো দেখে নিন। আর ভাবুন অর্ধেক লোকজন মাস্ক পরে নি।
No comments:
Post a Comment