Anulekhon.blogspot.com

Tuesday, 30 November 2021

দেখা মিলল চার চাকার মোটর সাইকেল।


ছবিটি অনুলেখনের নিজস্ব ।সিঙ্গুর স্টেশন রোডের রিজার্ভেশন টিকিট কাটতে এই গাড়ি নিয়ে টিকিট কাটতে আসেন এক প্রতিবন্ধী ব্যক্তি। মোটর সাইকেল কিন্তু চার টি চাকা পিছনের চাকার সাথে অতিরিক্ত দুটি চাকা লাগানো। এরকম আরেকটা স্কুটি দেখলাম সে টিতে তিন টি চাকা। 

Monday, 29 November 2021

গনতন্ত্র ফেরাতে নির্বাচন কমিশন অভিযান দরকার।

 দীর্ঘ এক বছর লড়াই আন্দোলন করে বেশ কিছু কৃষক তাদের জীবনের বিনিময়ে আজ সফল সম্পূর্ণ না হলেও অনেকটাই সফল।



লোকসভা ও রাজ্যসভায় ধ্বনি ভোটের মাধ্যমে তিন টি কালা কৃষি আইন প্রত্যাহার করে নিল বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার। ঠিক একই ভাবে গনতন্ত্র কে বাঁঁচাতে এবং নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা বজায় আর শান্তি পূর্ণ ভোট বা নির্বাচন করার দাবিতে কমিশন অফিস অভিযান এবং লাগাতার আন্দোলন শুরু করা দরকার। আর গনতন্ত্র কে এরা প্রহসনে পরিনত করেছে। এই খবরের ছবি টি দেখুন। 

ভারতীয় গনতন্ত্র কে ধ্বংস করতে পি কে নামক একটি অদ্ভুত জীব এসে হাজির হয়েছে। নকল অফিসার, নকল পুলিশ অফিসার নকল ভোট কর্মী, নকল পুলিশ দিয়ে পাহারা আর সর্বোপরি ভোটের এক মাস পর গননা এর মধ্যে ঐ সব নকল তথা টাকা নেওয়া দলের লোক জন দিয়ে ই ভি এম এর চিপ পাল্টিয়ে দেওয়া এসব করে টাকা দেওয়া দলকে জেতার ব্যবস্থা করা সব ঐ পিকে নামক জন্তু আর নির্বাচন কমিশনের যোগ সাজসে ঘটে চলেছে। ভারতীয় গনতন্ত্রের ভিলেন হলো এই পি কে আর বর্তমান নির্বাচন কমিশন এদের জন্য সৎ এবং ভালো মানুষের ভোটের প্রতি আগ্রহ কমছে কারণ চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছে চুরি করতে এবং গুণ্ডামি মানুষ কে ভয় দেখিয়ে ভিটে ছাড়া করে ভোট দিতে না দিয়ে রম রম করে জিতে গেলেন চোর চিটিংবাজ মিথ্যাবাদী ডাকাতের দল ।এই জন্যেই এখুনি এই নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করা হোক না হলে কোন দিন এই চোর চিটিংবাজ মিথ্যাবাদী দল কে ক্ষমতায় আসার থেকে আটকানো যাবে না। এই যে কলকাতা পৌরসভা নির্বাচন হচ্ছে আমি এখুনি বলতে পারি এই নির্বাচনেও শাসক দল জিতবে এবং ক্ষমতা দখল করবে যতই এই শাসক দলের প্রতিটি মেয়র জেলে যাক বা দূর্নীতি গ্রস্থ হোক। কারণ ক্ষমতাসীন দল ইতিমধ্যে ক্ষমতা দেখিয়ে দিয়েছে কীভাবে জোর করে প্রার্থী পদ প্রত্যাহার করাতে হয়।  এর সাথে সি বি আই দফতর এবং সি বি আই নিয়ন্ত্রণ করা প্রধানমন্ত্রীর দফতর অভিযান দরকার। কারণ দূর্নীতির তদন্তের নামে যুগের পর যুগ কাটিয়ে দেওয়া এবং তদন্তকে প্রহসনে পরিনত করার জন্য এই অভিযান। বাংলায় অবশ্যই দরকার আছে তাহলেই কান, মাথা, হাত পা কে গ্রেফতারের দাবিতে এই দফতর দিনের পর দিন ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান দরকার। রাজ্যে কে চোর চিটিংবাজ মিথ্যাবাদী মুক্ত করতে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এসব করতে হবে। কোথায় দূর্নীতি নেই, ত্রিফলা কেলেঙ্কারি, একশ দিনের কাজ, বিভিন্ন প্রকল্প, এস এস সি, প্রাথমিক টেট, সারদা, নারদা, রেশনের চাল, আরও অনেক আছে এবং যে সব প্রকল্প চলছে সব কিছুতেই দূর্নীতি সঠিক তদন্ত এবং দোষী দের গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ আন্দোলন দরকার এবং সেটা কৃষক আন্দোলনের মত হওয়া চাই। 

Saturday, 27 November 2021

চোর চিটিংবাজ আর বাঙালি কি সমার্থক হয়ে গেল!

 এক সময় গোটা বিশ্ব বাসি বাঙালি জাতি কে সন্মানের চোখে দেখত। সর্ব দিক থেকে উন্নত চিন্তা এবং জ্ঞানে ভারত বর্ষের শ্রেষ্ঠ জাতি হিসেবে পরিচিত ছিল এই বাঙালি, বিজ্ঞানে, সত্যেন বোস, আচার্য জগদীশ চন্দ্র বসু, আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায়, আরো কত এখানে লিখে শেষ করা যাবে না। সাহিত্যে বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, শরৎচন্দ্র, বঙ্কিম চন্দ্র, বিদ্যাসাগর, আরো অনেক, বিশ্ব মাঝে যিনি ভারতীয় দের কৃষ্টি সংস্কৃতির মহান ধারনা প্রচার করে এলেন সেই, বিবেকানন্দ, রাজা রামমোহন রায়, যিনি কুসংস্কার মুক্ত ভারত গড়ার জন্য লড়াই করে গেলেন। আর এখন বর্তমান শাসক দলের সৌজন্যে, যেদিকে তাকান প্রতিটি নেতা মন্ত্রী, এমপি, এম এল এ, এমনকি পঞ্চায়েত প্রধান, গ্রামের ছোট ছোট নেতা সবাই চোর চিটিংবাজ মিথ্যাবাদী এমনকি চরিত্র হীন, মাতাল, খুনি এদের লজ্জা শরম নেই, টিভির পর্দায় দিব্যি দেখা যাচ্ছে মদ খেয়ে ছোট ছোট মেয়েদের সাথে নৃত্য পরিবেশন করছে, এমন গান গাইতে শুরু করেছে মনে পড়ে যাচ্ছে, সুকুমার রায়ের সেই বিখ্যাত ছড়াটির কথা, " গান ধরেছে ভীষ্ম লোচন শর্মা /যাচ্ছে শোনা বাংলা থেকে বার্মা।" এরা নির্লজ্জ বেহায়া, পষ্ট বোঝা যাচ্ছে মদ খেয়ে পুরো মাতাল হয়ে আছে এরা  রাজ্যের সব হত্তাকত্তা বিধাতা, একজন শিক্ষা মন্ত্রী ছিলেন একই রকম, আর সেই প্রাক্তন মেয়র বৌ থাকতে অন্যের বৌ কে ঘুরে বেড়াচ্ছে সত্যিই এসব দেখে শুনে ভাবছি বাঙালি জাতির এত অধঃপতন এদের নেতা মন্ত্রী বলে মেনে নিচ্ছে জনগণ। প্রতিটি রন্ধ্রে রন্ধ্রে দূর্নীতি, কেউ বাদ নেই, অন লাইন সংবাদ পত্রের খবর গুলো দেখে নিন।









এসব দেখে শুনেই বলছি বর্তমান শাসক দলের জন্যে সারা ভারত তথা বিশ্বে বাঙালি মানেই চোর চিটিংবাজ মিথ্যাবাদী এবং চরিত্র হীন। 2011 সালে ক্ষমতায় আসার জন্যে যে গুলো ছিল তার তদন্ত চলছে, সারদা, রোজভ্যলী, এম পি এস গ্রীনারি সহ চিটফাণ্ড, নারদা ঘুষ কান্ড কেউ জানে না কবে তদন্ত শেষ হবে। কারণ যারা তদন্ত করাচ্ছে তারাও ঘুষখোরের দল এবং দুর্নীতি গ্রস্থ। জানি না এর জন্য হাজার হাজার বাংলা মায়ের দামাল ছেলে নিজের জীবন দিয়ে স্বাধীনতা আন্দোলন করে ছিলেন! জানি না কার কেমন লাগে! কারণ দিদির প্রকল্প মানে ভাই, ভাইপো, বোন, বোনঝি, বোনপো দের আয় বৃদ্ধি করা। এখানে নেই, সবুজ সাথি, পোশাক, আর, একশ দিনের কাজের চোট খাট দুর্নীতি গুলো। কোথায় সেই বাঙালি যারা নিজেদের জীবন বিপন্ন করে ইংরেজ দের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে ছিলেন। আজ আর সেই বাঙালি নেই, সব আজ চোর চিটিংবাজ মিথ্যাবাদী তে পরিনত হয়েছে কারণ চোরের দলে থাকলে, এবং চোর কে সমর্থন করলে সেও চোর। কারণ তিনি সমর্থন করেন বলেই এরা চুরি করতে সাহস পায়। জানা নেই আগামী দিনে বাঙালি জাতির মান মর্যাদা কোথায় গিয়ে ঠেকবে। 

ডিএ সে তো ডুমুরের ফুল ।

 পশ্চিমবঙ্গরে কর্মচারী কুল যত পারেন ছুটি পাবেন, ডিএ এর কথা ভুলে যান। সব প্রতিশ্রুতি তিনি নাকি পালন করেন কেবল 2011 সালে ক্ষমতায় আসার আগে দেওয়া ডিএ নিয়ে প্রতিশ্রুতি এবং বেকার যুবক যুবতী দের চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি ভুলে যান। মানুষ ও পাঁচশ ও এক হাজার টাকা পেয়ে সব ভুলে থাকে। দারুণ ব্যাপার তাই না, কর্মী কুল ছুটি না চাইলেও ছুটি বেড়ে যায়, ছট পুজো, গো- পার্বণ, মনসা পুজো, ঘেঁটু পুজো, আরো কত কি বলে শেষ করা যাবে না। আগামী বছরে বেশ কিছু ছুটি রবিবার পড়েছে সেটা পুষিয়ে দিতে পুজোর ছুটি বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।


(ছবিটি অন লাইন  zee 24 ঘন্টার screenshot নেওয়া।) কর্মীদের টাকার দরকার নেই ছুটি হলেই চলে যাবে, বাম আমলে শেষের দিকে সামান্য ডি এ বকেয়া ছিল সে জন্য মহাকরণে কর্মীদের ভাঙচুরের কথা সবাই জানে। আর এখন সব ভিজে বেড়াল, আমলাদের কথা বাদ দিন তারা বেশিরভাগ কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মী কিন্তু রাজ্য সরকারের কর্মীদের অবস্থা গত 2011 সাল থেকে ডি এ প্রায় নেই, পে কমিশন এমন ভাবে তৈরি করা হয়েছে সেখানে ডি এ নামক শব্দ টি তুলে দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ পশ্চিমবঙ্গরে জিনিস পত্রের দাম কমে কোন দিন বাড়ে না। 240 টাকা লিটার সর্ষের তেল এরাজ্যে এখনও 100 টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। আর সেই কারণেই ডি এ নেই, সরকারি কর্মীদের বেতন বৃদ্ধির ব্যপার নেই। দারুণ অর্থনীতি বিদরা সব আছে রাজ্যে অর্থ দপ্তরে বসে আছে। মানুষের ক্রয় ক্ষমতা কমে গেছে যাই হোক কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মীদের ঠিক সময়ে সময়ে ডি এ বৃদ্ধি ঘটে যাচ্ছে, কেবল এই রাজ্যের কর্মীদের ডি এ বাড়ে না। আট লক্ষ কর্মী এখন তারা সেই 2011 সালে ক্ষমতায় আসার আগের প্রতিশ্রুতির কথাটা মনে করে কাটিয়ে দিচ্ছে, প্রতিশ্রুতি দিয়ে ছিলেন উনি যদি ক্ষমতায় আসেন কেন্দ্রীয় সরকার যেদিন ডি এ ঘোষণা করবে সেদিন থেকেই ডি এ দেবেন। পে কমিশন কেন্দ্রীয় সরকারের আগে আগেই করে দেওয়া হবে।" পুরনো ডি এ 56% বাকি নতুন বেতন কাঠামোতে 28% ডি এ বাকি। দারুণ ভালো প্রতিশ্রুতি পালন করছেন, চালিয়ে যান দিদি আপনার তুলনা আপনি নিজেই, দেখবেন শ্রী গুলো এবং ভাণ্ডার, সাথী এসব এবং মোয়াজ্জেম ভাতা, পুরোহিত ভাতা, আর যে সব ভাতা আছে সে গুলো ভালো চলে কারণ ওখানে ভাই, ভাইপো, ভাইঝি, বোনেরা সব ভালো ইনকাম করে 75% আর 25% এ ভাগ করে দিতে পারবে। ভাগ দিলেই ভালো না হলে দল থেকে বাদ একদম না দিলে জেল, আরেক জন ঐ দাদার দালাল আপনার উপদেষ্টা সে তো নকল অফিসার পর্যন্ত নিয়োগ করে রেখেছে তারও তো টাকা দরকার। তাদের মধ্যে যারা বেতনের ভাগ দেয় নি তারা ধরা পড়ে এখন জেলে আছে। ভালো ব্যবস্থা ভালো থাকবেন দিদি সুস্থ থাকবেন ।

Thursday, 25 November 2021

দেশের গনতন্ত্র আজ বিপন্ন ।


 ত্রিপুরা রাজ্যের পুরসভার ভোট রিগিং এর ছবি, এটা কেবল ত্রিপুরা না আমরা আমাদের পশ্চিমবঙ্গরে বিভিন্ন নির্বাচনে এবং দেশ ব্যাপি নানা নির্বাচনে এটা দেখে থাকি এখন এটা ভীষণ পরিমাণে বেড়ে গেছে। কারণ শাসকের ক্ষমতায় আসার লোভ বা ক্ষমতা ধরে রাখার লোভ না হলে তার পতন অনিবার্য এবং শাস্তির মুখে পড়তে হবে। এই শাসন অর্থাৎ পরিবার কেন্দ্রীক শাসন স্বৈরাচারের নামান্তর, কেন্দ্রীয় সরকারের শাসন দেখুন সেখানে 'শা এবং মোদী  তার ভাই বোন কাকা দের সম্পদ এই কয়েক বছরে কয়েক গুণ বেড়েছে এবং দিনের পর দিন আরো বাড়ছে। আমাদের রাজ্যের দিকে নজর দিন কালি ঘাটের একটি পরিবারের সম্পদ এবং আরও কয়েকটি পরিবারের সম্পদ দিন দিন বাড়ছে আর রাজ্যের তথা দেশের খেটে খাওয়া মানুষের আয় দিনের পর দিন কমছে। কাজ হারিয়ে আজ বেকারের সংখ্যা বাড়ছে, শিক্ষিত অর্ধ শিক্ষিত বেকার যুবক যুবতী আজ ভারত বর্ষে তথা আমাদের রাজ্যে সব থেকে বেশি। কারণ স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট সরকার, এরা নিজের এবং পরিবারের আয় ছাড়া আর কিছু জানেন না। সাধারণ মানুষ উচ্ছন্নে যাক, এই কারণেই গনতন্ত্রের অন্তর্জলি যাত্রা শুরু হয়েছে। এই স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট শাসক কি করে কিছু মানুষ ঠিক করে রাখে যাদের সামন্য ভাগ দেয়, তারাও আবার নিচু তলার কিছু লোক ঠিক করে রাখে বিভিন্ন ভাবে মদ মাংস খাওয়া ব্যবস্থা করে দেন প্রায় খরচ যোগায় স্থানীয় কিছু ব্যবসায়ী বা কারখানার মালিক। এভাবেই গনতন্ত্র ধ্বংস করে নিজের আখের গুছিয়ে নেয় এই সব তথাকথিত নেতা মন্ত্রীর দল, তার সাথে থাকে কিছু ব্যবসায়ী। দুটো দলের মিল পশ্চিমবঙ্গের স্থানীয় নির্বাচনে এরাও ৩৪% আসন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জেতে আর ত্রিপুরার শাসক বিজেপি ও স্থানীয় নির্বাচনে ৩৪% শতাংশ আসন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জেতে। ত্রিপুরার একমাত্র লোকসভা আসনে নির্বাচন সন্ত্রাসের কারণে পিছিয়ে দিতে হয় নির্বাচন কমিশন কে। এ রাজ্যের গত পুরোসভার নির্বাচনের কথা মনে আছে বিধাননগর পুরসভার রাস্তায় সাংবাদিকদের পিটিয়ে তাড়িয়ে দেওয়া। মানুষ কে ভোট দিতে না দেওয়া, ওটা একটা উদাহরণ, বর্ধমানের নির্বাচন বিরোধী দের প্রার্থী পদ প্রত্যাহার করে নেওয়া, বা বুথ এজেন্ট বসতে বারণ করা কারণ লাগাম ছাড়া সন্ত্রাস কারণ শাসক চায় বিরোধী শূন্য করতে যেটা তিনি এবারের বিধানসভা নির্বাচনে করে দেখিয়ে দিলেন। এক মাত্র বিরোধী নৌসাদ সিদ্দিকী আর একটু ভেবে দেখবেন রাজ্যের বিধানসভায় নামে বিরোধী এবং মিডিয়ার প্রচারের জন্য বিরোধী কিন্তু বাস্তবে নেই কারণ একটাই দূর্নীতির টাকার ভাগ বাটোয়ারা সমান সমান এই কারণেই সামনে বিরোধী পিছনে বা আড়ালে গলায় গলায় ভাব। আর এই কারণেই দুই দলের কর্মকান্ড সব এক। এ বিষয়ে অতীতের এক বিদেশি শাসকের কথা মনে পড়ে গেল। আগে তার ছবি টা এখানে দিই তার পর তার সম্পর্কে লিখব। 

ছবিটি screenshot নেওয়া ।
ইনি ছিলেন ফিলিপিনসের প্রেসিডেন্ট ফার্দিনাল মার্কো ইনি ভোটে নির্বাচিত হন এবং এক টানা কুড়ি বছর ফিলিপিনসের প্রেসিডেন্ট পদে ছিলেন। ইনি আট জন শিল্পপতি কে দেশের সমস্ত সম্পদ বিক্রি করে দিয়ে ছিলেন, গনতন্ত্র ধ্বংস করে দিয়ে বারবার ক্ষমতায় আসতেন। শিল্পপতি দের দেশের সম্পদ তুলে দেওয়া মধ্যে দিয়ে এনার পরিবারের সদস্যদের প্রচুর সম্পদ প্রাপ্তি ঘটে। সে দেশে এই আট জন শিল্পপতি কে মানুষ মজা করে অক্টোপাস বলে ডাকত। এবার আমার দেশ এবং রাজ্যের শাসক দলের দিকে তাকিয়ে দেখুন কয়েকটি পরিবারের লোকজনের সম্পদ এই মহামারীর সময়েও বেড়ে চলেছে আর দেশ তথা রাজ্যের খেট খাওয়া মানুষের অবস্থা দিনের পর দিন খারাপ হচ্ছে। কারণ শাসক আজ স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট সরকারের হাত থেকে মুক্তির একটি পথ আন্দোলন আর আন্দোলন, আপামর জনসাধারণ কে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করতে হবে। যেটা ফিলিপিনসের শাসক কে সরাতে সেখানের জনগণ করে ছিলেন।

ছবিটি screenshot নেওয়া । পড়ে দেখতে বলছি একটু দেখুন অনেক মিল পাওয়া যাবে। 

Wednesday, 24 November 2021

ত্রিপুরা আর বাংলার মধ্যে তফাৎ আছে কি?

 

ছবিটি screenshot নেওয়া হয়েছে। মিডিয়ার কাছে প্রশ্ন ত্রিপুরা ও পশ্চিমবঙ্গের পুলিশের মধ্যে তফাৎ আছে কি? আমার কাছে তফাৎ নেই কিন্তু মিডিয়ার কাছে আছে, ত্রিপুরা তে যারা গিয়ে ছিল তারা পশ্চিমবঙ্গরে মানুষ কেবল ভোটের রাজনীতি এবং লুটে খাওয়ার ধান্দা করতে গিয়ে ছিল। সেখানে এক নটী কে পুলিশ গ্রেফতার করেছিল সেই নিয়ে অশান্তি। মিডিয়ায় প্রচার দেখে মনে হচ্ছিল যেন কত বড় স্বাধীনতা সংগ্রামী দেশের মানুষের উপকার করতে গিয়ে ছিল। কত গুলো চোর চিটিংবাজ একটা রাজ্যে কে প্রায় ধ্বংস করে আরেকটা রাজ্যে গেছে যাতে সেখানে চোরে চোরে মাসতুত ভাই বা বোন হতে পারে। এখন তো নট নটীর দল চোরের দলের সম্পদ কারণ একটাই টাকা অভিনয় করে ক'টাকা পাবে একবার যদি এম পি এম এল এ হতে পারে সারা জীবন বসে বসে পেনশন হোক না চোরের দল হোক না বেকার যুবক যুবতীর সর্বনাশ সারাটা জীবন তারা কাজ না পেয়ে বা একটা পাঁচ হাজার টাকা বেতনে চাকরি করে সারাদিন গাধার মত খেটে আধ পেটা খেয়ে বেঁচে থাক তাতে ঐ নট নটী দের কী? আর এই রকম নট নটী দের এখন একটা লক্ষ্য নেতা হওয়ার। তারা গিয়ে ছিল ত্রিপুরা তে আন্দোলন করতে, সেখানের পুলিশ ব্যবস্থা নিয়েছে, সেই নিয়ে দিদি দাদার সাথে দেখা করতে চলে গেছেন দিল্লি অবশ্যই দিল্লি যাওয়ার আরেকটা কারণ আছে SSC দূর্নীতি নিয়ে কোর্টের রায়। আজ আবার ডিভিশন বেঞ্চ বাঁচিয়ে দিয়েছে যাহোক ওসব কথা যাক আজ নিয়োগের দাবিতে ছাত্র যুব দের আন্দোলনে পুলিশের আক্রমণ এরা তো অন্য রাজ্যের ছেলে মেয়ে নয় এরা এই রাজ্যের বেকার যুবক যুবতী এরা সুস্থ সুন্দর ভাবে এবং দূর্নীতি মুক্ত নিয়োগ করার দাবিতে আন্দোলন করছিল। এদের উপর যে ভাবে পুলিশের আক্রমণ করল সেটা একটা স্বাধীন দেশে সম্ভব! আর মিডিয়া এই খবর এক ঝলক দেখিয়ে থেমে গেছে কারণ বিজ্ঞাপন পাবে না। আর ত্রিপুরার ঐ নটীর ঘটনা সারাদিন ধরে প্রচার করে গেছে।বি জে পি তৃণমূল কোন শাসকের মধ্যে তফাৎ নেই, দুটোই সমান কেবল লুটে খাওয়ার জন্য ক্ষমতা দখল সে যেভাবে হোক ক্ষমতা চাই। দূর্নীতির সমর্থক পুলিশ কে ধিক্কার জানাই, ছিঃ ছিঃ। 

Tuesday, 23 November 2021

মানুষের ক্ষোভ এখন লোভে পরিনত হয়েছে।

 দূর্নীতি আজ পশ্চিমবঙ্গরে শাসকের রন্ধ্রে রন্ধ্রে কী নেই তাতে সারদা, রোজভ্যালী, এম পি এস গ্রীনারি, আরো যত চিটফাণ্ড ছিল সবের টাকা এরা আত্মসাৎ করেছে। মানুষের কোন ক্ষোভ তাপ উত্তাপ আছে.! কারণ তারা উপঢৌকন বা ভীক্ষা পাচ্ছে, কেবল কি এই সারদা সহ চিটফাণ্ড, নারদা যা টিভির পর্দায় দেখা যাচ্ছে, আবার গোরু পাচার শিশু পাচার, কয়লা বালি, সোনা পাচার, নিয়োগ দূর্নীতি এ এদের কাছে মামুলি ব্যপার। সি বি আই ইডি এসব আবার কি খায় না গায়ে মাখে। যাহোক দিল্লি গেছেন চার দিনের জন্য সেটিং করতে ও সি বি আই কোথায় চলে যাবে। আজ কত বছর হলো সারদা তদন্ত চলছে কিছু হয়েছে। মানুষ তাদের টাকা ফেরত পেয়েছে না পায় নি। ঐ সব চিটফাণ্ড প্রতারণা প্রতারিত মানুষ হাসতে হাসতে বলছে চুরি করছে তো কী হয়েছে সে তো পাঁচ শ হাজার টাকা করে দিচ্ছে। আগে কোন সরকার এরকম দিত, বেকার ছেলে মেয়েরা হাসতে হাসতে পোষ্টার লাগিয়ে দিচ্ছে। বুথে বসে আছে কারণ একটাই কন্যা শ্রী, যুব শ্রী, আরও যত শ্রী আছে, ব্রাহ্মণ ভাতা ঘোষ পদবী যার সেও পাচ্ছে, কারণ কাটমানি, একশ দিনের কাজের টাকা বাড়িতে বসে আছে একটা জব কার্ড আছে ব্যস হাফ হাফ ভাগ হবে। দু টাকা কিলো চাল আছে, মানুষ এই সব দূর্নীতি কিছু মনে করে না। সামনে কোলকাতা ও হাওড়া পুরসভার ভোট আছে দেখে নেবেন সব থেকে বেশি ভোটে নির্বাচিত হবে। কারণ কি টাকা আর কিছু না, নিয়োগ দূর্নীতি ওসব আবার কি? আপনি কি ভাবছেন যে সব মায়েরা লক্ষী ভাণ্ডারের পাঁচ বা হাজার টাকা পাচ্ছেন তাদের কারো ঘরে শিক্ষিত বেকার ছেলে মেয়ে নেই! থাকলেও এদের এই ভীক্ষাতেই আনন্দ ছেলে মেয়েরা চাকরি না পেল তো তাতেও এদের কোন প্রতিবাদ নেই আর আন্দোলন প্রতিবাদ সে তো ঘুষ খোর তোলা সাজানো পুলিশ আছে এই সাজানো পুলিশ, আর নকল অফিসার এদের দিয়ে গোটা প্রশাসন চলছে। প্রতিটি ভোটের সময় এদের কাজে লাগানো হচ্ছে, আপনি আমি আমাদের মত দু চার জন মানুষ ভাবছে বা বলছে ওহ এত চুরি এত দূর্নীতি, আমাদের মধ্যেই ঘুরে বেড়াচ্ছে সেই বাঙালি যে বলছে চুরি করেছে বেশ করেছে, ও ছাড়া এখন রাজ্যে কেন্দ্র সরকারের বিরোধী দল কে আছে? সমাজ ব্যবস্থায় ঘুন ধরে গেছে, শিক্ষিত এবং উচ্চ শিক্ষিত মানুষ ও এই চুরি ডাকাতি দূর্নীতি, ঋন নিয়ে শোধ না করে পালিয়ে যাওয়া, এসব জেনেও সব চুপচাপ এই দুই দলের সমর্থনে কথা বলে যাচ্ছে। তাই দূর্নীতি টাকা তছরূপের জন্য সি বি আই তদন্ত ওসব গা সহা হয়ে গেছে। আরেকটা কথা দেখবেন, মিডিয়া কিন্তু এগুলো আর দেখানোর প্রয়োজন মনে করে না। কিন্তু বাম আমলে বাম সরকার কে উৎখাতের জন্য এই মিডিয়া কি করত খড়ের গাদায় আগুন দিয়ে সারাদিন ধরে দেখাত এই দেখুন বামেরা( হার্মাদ) ঘরবাড়ি সব পুড়িয়ে দিচ্ছে।রাস্তায় দাঁড়িয়ে ক্যামেরা নিয়ে কিছু ছেলে যোগার করে গাড়ির টায়ার জ্বালিয়ে সারাদিন দেখাত আর এখন পশ্চিমবঙ্গরে এই দূর্নীতির খবর এক সেকেন্ড দেখানোর সাহস নেই কারণ বিজ্ঞাপন উনি বলেই দিয়েছেন ওনার হয়ে না প্রচার করলে বিজ্ঞাপন নেই। দূর্নীতি এখন পশ্চিমবঙ্গরে ঘরে ঘরে এবং সি বি আই তদন্ত ওসব আবার কি ওতো সরকারের সংস্থা ওরা করবে তদন্ত দাদা বলুন তো জ্ঞানেরশ্বরী কাণ্ড, নন্দীগ্রাম কাণ্ড সিঙ্গুর কাণ্ড সি বি আই তদন্ত হয়ে ছিল এছাড়াও ১২ থেকে ১৩ টা তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়েছিল। এসব তদন্তে কি হোলো কেউ অপরাধী নেই অথচ প্রকাশ্য মঞ্চে উপস্থিত হয়ে বললেন অমুক চটি পরা পুলিশ পাঠিয়ে ছিল এবং তারা গুলি চালিয়ে ছিল। সি বি আই তো তদন্ত করে ছিল ঐ নন্দীগ্রাম নিয়ে এই কথা শুনেও কোন জিজ্ঞাসা বাদ করেছে না কারণ একটাই এদেশে উচ্চ পদে থাকলে তিনি আইনের উর্ধ্বে তাকে কেউ কিছু বলতে পারবে না। সকলে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ।আর বেশি বেশি করে টাকা পাওয়া যায় কি করে দেখবেন। কারণ চুরি করতে পারে কিন্তু মানুষ কে সামান্য হলেও তো দিচ্ছে। 

Friday, 19 November 2021

কালা ইংরেজের বিরুদ্ধে কৃষক দের বিরাট জয়।


 ছবিটি screenshot নেওয়া । এখন সম্পূর্ণ জয় আসেনি তবে গত ২৬ শে নভেম্বর ২০২০ ঐতিহাসিক কৃষক আন্দোলন শুরু করে ছিলেন এই প্রত্যয়ী কৃষকরা তাদের আংশিক জয় হল। ভারতের স্বাধীনতার পর এক ঐতিহাসিক আন্দোলন, ধুনুক ভাঙা পন করে ছিলেন কৃষক গন।  যত দিন না কালা ইংরেজ তার কালা কৃষি আইন বাতিল করবে না তত দিন তারা রাস্তায় বসে থাকবে। মরণ পন করে এই আন্দোলনে নেমে ছিলেন আমাদের অন্নদাতারা আজ তাদের আন্দোলন সফল হয়েছে। কালা ইংরেজ তার কালা কৃষি আইন বাতিল করবে ঘোষণা করে দিয়েছে। কিছু দিন আগে কৃষক গন ঘোষণা করে ছিলেন গত ছাব্বিশে নভেম্বর ২০ তে করা আন্দোলন আগামী ২৬ শে নভেম্বর এক বছর পুরণ হবে ঐ দিন সংসদ অভিযানের ঘোষণা করা হয়েছিল। তার আগেই কালা ইংরেজ আজ গুরু নানকের জণ্ম দিনে ভাষণ দিতে গিয়ে বলেছেন, কৃষি আইন বাতিল করা হবে। সত্যিই এটা ঐতিহাসিক জয়, এবং যারা বলেন আন্দোলন করে কিছু হয় না বা বনধ করে কিছু হয় না। পেটোয়া মিডিয়া আজ কী দেখাচ্ছে জানি না কিন্তু কৃষক দের এই জয়ে সত্যি ভালো লাগলো। এই বাংলায় বেকার যুবক যুবতী দের আন্দোলনও সফল হতে পারে যদি তারা এক হয়ে আন্দোলন করতে পারে। কিন্তু সে হবার নয়, এরাজ্যের বেকার যুবক যুবতী দের একটা অংশ দিদি দিদি করতে পাগলা হয়ে গেছে, আন্দোলন করছে এবং সেই আন্দোলন দিদির পক্ষে কারণ ভোটের সময় এরা এবং এদের পরিবারের লোকজন দিদি কে গিয়ে ভোট দিয়ে এসেছে। এই দ্বিচারিতার জন্য এই আন্দোলন সফল হচ্ছে না, এরা এবং এদের পরিবারের লোকজন এদের আন্দোলন সফল হোক চান না। যদি সত্যি চাইত চাকরি হোক তাহলে এবার বিধানসভা নির্বাচনে আর এস এস এর এ টি এম ও বি টিম কে ভোট দিয়ে আসত না। এরা পাঁচ শ হাজার টাকাতেই খুব খুশি, বক্তব্য হচ্ছে তবুও তো দিচ্ছে। সামনে পৌর নির্বাচন বা যদি পঞ্চায়েত নির্বাচন হয় তাহলে দেখা যাবে এরা আগে গিয়ে দিদি দিদি করে ভোট দিতে যাচ্ছে। কালা ইংরেজের বিরুদ্ধে এই রকম আন্দোলন আরও দরকার কারণ কারা ইংরেজ দেশ টা কে আমেরিকার মত করতে চাইছে সব কিছু বেসরকারি করে দেওয়া, দেশের কয়েক জন ব্যবসায়ীর কাছে দেশটা বিক্রি করে দিচ্ছে। সাধারণ মানুষ কে এর থেকেও বড় আন্দোলন শুরু করতে হবে, যাতে এই কালা ইংরেজ দেশ বিক্রি করতে না পারে। এই আন্দোলন করতে শহীদ কৃষক পরিবারের সদস্যদের প্রতি সহমর্মিতা জানিয়ে এই লেখা শেষ করলাম। কালা ইংরেজ তো এদের এত সহজে বিশ্বাস করা উচিত নয়, কারণ সামনে পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন আছে তার জন্য এ ঘোষণা হতে পারে কিন্তু যতক্ষণ না আইন প্রত্যাহার করা হচ্ছে ততক্ষণ এদের বিশ্বাস করা যায় না। 

Tuesday, 16 November 2021

কিছু চাকুরী জীবির জন্য বেকার যুবক যুবতীর চাকরি জন্য আন্দোলন কে সমর্থন করে না সাধারণ মানুষ।

 গত কাল সিঙ্গুরে চাকরি না পাওয়া বেকার যুবক যুবতী জড়ো হয়ে ছিল। সিঙ্গুর থেকে নবান্ন অভিযানে যাবে কিন্তু পুলিশ শুরুতেই বাধা দিয়ে সে আন্দোলন আটকে দেয়। পুলিশের বক্তব্য এই আন্দোলনের জন্যে অনুমতি নেওয়া হয়নি। কিন্তু সাধারণ মানুষের বক্তব্য আলাদা তাদেরও সমর্থন রয়েছে পুলিশের দিকে। বলছেন ঠিক করেছে। যখন ঘটনা ঘটেছে সেই মুহুর্তে আমি ওখানে ছিলাম।

ছবি তোলার সময়  পরিচিত এক ভদ্রলোক আমাকে পেছন থেকে ডেকে নিয়ে গেলেন। আমি তার সাথে ঘটনা স্থল থেকে চলে এলাম অনেকটাই দূরে। আমি দেখলাম বেকার যুবক যুবতী জড়ো হওয়া এবং এই ধরনের আন্দোলন নিয়ে অনেকেই আপত্তি আছে। অর্থাৎ মানুষের সমর্থন নেই, কারণ আরেক জন পাশ থেকে বললেন, এরা চাকরি পেলেই নিজ মূর্তি ধরবে যখন তখন অফিসে আসবে কাজ করবে একটা কাজ করতে আঠারো মাসে বছর দেখিয়ে দেবে। আবার কোন কোন ক্ষেত্রে জুতোর শুকতলা ছিঁঁড়ে যাবে তবুও কাজ হবে না। আর যদি শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ করা হয় তাহলে তো কথাই নেই, এই তো লকডাউন যাচ্ছে কজন শিক্ষক বিদ্যালয়ে কদিন আসে এমনকি মিড ডে মিলের চাল আলু দেওয়ার দিন গুলোতেও হাজির নেই। আর অন লাইন পড়ানোর কথা সে যে কেমন জিনিস এরা জানে না। অথচ স্কুল খোলা থাকলে ক্লাসে গিয়ে মোবাইল ঘেঁটে যাচ্ছে। এদের নিয়োগ করে কি হবে সব বেসরকারি হয়ে গেলে খুব ভালো হয়। এই পোস্ট অফিসে যান আপনার যদি নাকের জলে চোখের জলে না করে ছেড়েছে কি কথাই বলেছি। সরকার ঠিক করছে এদের চাকরি দেয় নি। কি হবে দেখতে পাচ্ছেন না, যতক্ষণ বেকার ততখন আন্দোলন এবং চাকরি পেলে এখুনি সব করে ফেলবে। একবার পেলে আর কে পায়, সাধারণ মানুষ কে থোড়াই কেয়ার করবে। তিনি যোগ করলেন যান বিডিও অফিসে একটা আপনার যে কাজ করতে দু মিনিট লাগে সেটা দুবছরে হবে কিনা সন্দেহ আছে। আর যেহেতু পদে আছে আপনি কিছু বলতে পারবেন না। তার বললেন আমি একটা প্রিন্টিং এর কাজ গত দু বছর আগে করে ছিলাম এই বিডিও অফিসের আজ দু বছর হয়ে গেল এখনও আমার পাওয়না টাকা দেয় নি। পাশের আরেক জন বলে উঠল আমি তিন চার বছর ঘুরে বেড়াচ্ছি আমার রেশন কার্ড করার জন্য তিন চার বার আবেদন করা হয়ে গেছে এখনও কার্ড এলো না। আরেক জন বলল, আরে বার্ধ ভাতা আমি আজ কত দিন হলো যাচ্ছি, কিছুতেই হচ্ছে না। আরেক জনের কথা আমার রেশন কার্ড অন লাইন দেখাচ্ছে কিন্তু প্রিন্ট হয় নি, ঐ কারণে দেওয়া হবে না। আবার যদি বা দেখা যাচ্ছে কার্ড হয়েছে দেখাচ্ছে চার বছর পর সেখানে রেশন ডিলারের নাম আছে অন্য এলাকার। আর ছেলের নাম টা হয়ে গেছে গুজরাতি কায়দায় বাবার নাম ছেলের নাম তার পর পদবী। দারুণ কাজ এগুলো সংশোধন করতে আবার পাঁচ বছর সময় লাগবে। এই তো অফিসের কাজে এরা যদি চাকরি পায় এই রকম তো করবে ওর থেকে সরকার চাকরি দেয নি খুব ভালো করেছে। পাশ থেকে আরেক জন শুনে বলল, দেখুন সব ঠিক কিন্তু এর মধ্যে রাজনীতি আছে। রেশন কার্ড তো পুরোপুরি বর্তমান শাসক দল কে ভোট দিলে তবে হবে না হলে ঐ রকম ঘুরতে হবে আর ভুল হবে। এসবের অফিসার দের দায়ি করা যায় না। আরেক জন বললেন কিছু টা তো দায় নিতে হবে। একজন বলল আরে ঠিক বলেছেন চাকরির জন্য অনশন আন্দোলন আর চাকরি পেয়ে অন্য মূর্তি। আমি এই সরকার কে ধন্যবাদ দেব চাকরি না দেওয়ার জন্য। ট্রেনের খবর হল আমি আর দাঁড়ালাম না। একটা ছবি তোলার জন্য এতো কথা আলোচনা হয়ে গেল। আমি স্টেশনে এসে ট্রেনে উঠে পড়লাম। 

Monday, 15 November 2021

মাত্র ৭৬ লক্ষ টাকা!

 খবরটি পড়ে খারাপ লাগছে মাত্র ৭৬ লক্ষ টাকা জালিয়াতি আমার মনে হয় উনি ভুল করেছেন, যদি ৭৫% ও ২৫% ভাগ দিতেন তাহলে আজ হুলিয়া জারি করা হত না।


মাত্র ৭৬ লক্ষ টাকা জালিয়াতি, তার জন্যে হুলিয়া জারি আর চিটফাণ্ড কেলেঙ্কারি, নারদার টাকা হজম করে টেলিভিশনে নাচানাচি। দারুণ ব্যাপার তাই না, আরেক দিকে মেহুল চকসি, বিজয় মালিয়া, এবং নীরব মোদি নীরবে টাকা টাকা ধার করে দেশ ছেড়ে উধাও হয়ে গেছে। তাদের ঋণ মুকুব করে দেওয়া হয়েছে, কি ভালো ব্যবস্থা তাই না। আরেক জন তৈরি হয়েছে লন্ডনে বাড়ি কিনে ফেলেছ চলে গেল বলে।

সত্যিই আমরা সাধারন জনগন এই সব লোকের কাছে মানুষ নয়। কারণ আমাদের করের টাকা লুঠ করে পালায়, তাদের কোন বিচার নেই, আর দু টাকা বা দু হাজার টাকা চুরি করে দেখুক পুলিশের অত্যাচার কাকে বলে। "সত্যিই সেলুকাস কী বিচিত্র এই দেশ।" 





Saturday, 13 November 2021

ফেসবুকে বাংলাদেশের বন্ধু বান্ধবের কাছে একটি অনুরোধ করছি। ?


 ফেসবুকে আমার অনেক বাংলাদেশের বন্ধু বান্ধব আছেন তাদের কাছে অনুরোধ করছি, এখানে কত গুলো নাম এবং ঠিকানা বা জায়গার নাম আছে যা বর্তমানে পূর্ব বঙ্গে বা বাংলাদেশে অবস্থিত। যদি এই ব্যক্তি দের পরিচিত কেউ এই ঠিকানা গুলো তে থাকেন বা এদের কেউ বংশের কেউ থাকলে একটু জানালে খুব খুশি হব। অন্য কিছু না কেবল কৌতুহল বশত এটা দিলাম। দীর্ঘ দিন আমার কাছে আছে কিন্তু কোন কাজে লাগে না। এই ঠিকানা বা এই নাম গুলোর সাথে আমার কি সম্পর্ক তাও আমি জানি না। যেমন প্রথম নাম টি আছে শ্রী ধীরেন্দ্র নাথ মুখোপাধ্যায়ের সাং লেখা আছে কাণ্ডপাশা। দ্বিতীয় নাম শ্রী দুর্গা কুমার গঙ্গোপাধ্যায়, সাং - ব্রাহ্মণ দিয়া হাল সাং কাণ্ডপাশা। তার পর আছে শ্রী নরেন্দ্র নাথ বন্দ্যোপাধ্যায় সাং - ব্রাহ্মণ দিয়া হাল সাং - কাণ্ডপাশা। এছাড়াও আরেকটা নাম আছে শ্রী মুকুন্দ চক্রবর্তী। আমি কেবল জানতে চাই এই জায়গা গুলো কোথায় এদের সাথে আমার কি সম্পর্ক আমার কাছে এই দলিলের অংশ টি অনেক দিন যাবৎ আছে। কৌতুহল বশত এগুলো জানতে চাই অন্য কোন কারণ নেই। 

বেদ ( সাম বেদ) নিয়ে কিছু কথা।


 ঋক বেদ পৃথিবীর প্রথম সাহিত্য। বেদ হচ্ছে পৃথিবীর প্রথম গ্রন্থ আমরা আমাদের বেদ চার টি ঋক, সাম, যজু, অর্থব। আমার যতদূর জানা আছে বেদ কথার অর্থ জ্ঞান। বেদ বিদ্যা দুই ধরনের  একটি পরাবিদ্যা আরেকটা অপরাবিদ্যা। যে বিদ্যার চেয়ে আর কিছু নেই, যে বিদ্যার সন্ধান পেলে আর কিছুই জানার বাকি থাকে না সেটাই পরাবিদ্যা। কী সেই জ্ঞান যা জানলে আর কিছুই জানার বাকি থাকে না? সে জ্ঞান বিশ্বজ্ঞান। এই বিশ্বজ্ঞান কাকে আশ্রয় করে আছে? এই বিশ্বজ্ঞান স্বয়ং প্রকাশ। ইনি স্বয়ং জাত হয়েছেন। ইনি কখন জাত হলেন? এনার জাত হওয়ার পূর্বে কী ছিল? ইনি জাত হলেন এবং জাত হওয়ার পূর্বে অজ্ঞতা নামক অদৃশ্য বস্তু দ্বারা আচ্ছাদিত ছিলেন। তখন কোন কিছু ছিল না, যা আছে সেটাও ছিল না, যা পরে এসেছে তাও ছিল না। দিন রাতের প্রভেদ ছিল না, মৃত্যু ও ছিল না অমরত্ব ও ছিল না। তখন ছিল সেই বস্তু যিনি স্বয়ম্ভু আত্মজণ্মা তিনি বায়ূশূণ্য প্রাণ ক্রিয়ায় ব্যস্ত ছিলেন। কেবলমাত্র স্বীয় মায়ার সাথে অতি ক্ষুদ্র যার আর ক্ষুদ্র কিছু হয় না। বায়ূশূণ্য প্রাণক্রিয়ায় নিজেই নিজের মায়া সহকারে নিজে নিজেই জ্বলছিলেন। তিনি আত্মজণ্মা নিজের মায়ারূপ প্রজ্ঞা কর্ম কে ইচ্ছা করল। ( এখানে বোঝা যাচ্ছে যে পৃথিবীতে জীব সৃষ্টির আগে বায়ূশূণ্য ছিল, এবং ক্ষুদ্রাতি ক্ষুদ্র জীব ছিল।) অগ্নি জ্বল ছিলেন, তিনি নিজেকে প্রসারিত করতে আরম্ভ করে ছিলেন অধিক প্রাসরণের ফলে তার একটা অংশ ঊর্ধ্ব গতি পেল, তৈরি হল সূর্য। সূর্যের প্রতিটি কিরণ হল দেবতা, আর ঋক বেদ অনুযায়ী তিন জন ছিলেন, অগ্নি, বায়ূ এবং সূর্য পরে তেত্রিশ কোটি এখানে কোটি হচ্ছে ভাগ অর্থাৎ দেবতাদের কাজের দায়িত্ব দেওয়া। আসলে তেত্রিশ জন আছেন। তারা হলেন অষ্ট বসু, দ্বাদশ আদিত্য, একাদশ রুদ্র। ঋষি যাজ্ঞ্যবল্ক বলা নাম। 


বেদের জ্ঞান অর্জন না করে যারা এর ভুল ব্যাখ্যা করেন তারা অবশ্যই পড়ে নেবেন। কারণ বেদ হচ্ছে পৃথিবীর প্রথম সাহিত্য এখানে কীভাবে পৃথিবীতে জীবন এল এবং জল বায়ূ, ও অন্যান্য সব কিছু জীবন পেল তার ব্যাখ্যা করা আছে। অবশ্যই প্রতিটি এক একজন দেবতা নিয়ন্ত্রণ করেন। প্রথম দিকে আর্যরা কোন মূর্তি পূজা করতেন না, যা পার্থিব যা দেখা যায় এবং সব কিছু নিয়ন্ত্রণ করে তাদের পূজার প্রচলন ছিল। অগ্নি, সূর্য, বায়ূ ও জল, যদি ভালো করে পড়েন সেখানে আছে যে সূর্যের তাপে মেঘ হয়েছে কিন্তু বায়ূ বাধা দিচ্ছে বৃষ্টি হয়ে ঝড়ে পড়তে তখন ইন্দ্র তার বজ্র দিয়ে মেঘের পথ করে দিচ্ছেন যাতে বৃষ্টি হতে পারে। এখানে হয় তো বিজ্ঞান গত ব্যাখা নেই। প্রতিটি ঘটনাই দেবতা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত, কিন্তু সৃষ্টির রহস্য এখানে আছে। অগ্নি হলেন মূল দেবতা সে কারণেই প্রতিটি বেদে অগ্নির পূজার কথা বলা হয়েছে। মন্ত্র যে বলা হয় সেখানে প্রায় সর্বত্র অগ্নির কোন না কোন রূপের নাম আছে। এখানে একটি মন্ত্রের উল্লেখ করা যাক। সোমং রাজনং বরুণমাবার অগ্নি ভামহে । আদিত্যং বিষ্ণু সূর্যং ব্রহ্মণাঞ্চ বৃহস্পতিম । এটি সামবেদীয় স্বত্ত্বি সুক্ত।
এর পরে ওম বা ওঁ শব্দ টি কি সে নিয়ে লেখা থাকবে। সকলে পড়বেন এবং ব্লগের কমেন্ট বক্সে মন্তব্য লিখতে ভুলবেন না। কারণ ব্লগের কমেন্ট বক্সে মন্তব্য করলে ভালো মন্দ বোঝা যায়। 

পা চাটালেও পদ্ম মেলে।

মায়ের পায়ে জবা হয়ে ওঠা না ফুটে মন, একটু পাল্টে নিয়ে বলা যায় দাদার পায়ে পদ্ম হয়ে ওঠনা ফুটে মন। এখানে মনে হয় এটাও ঠিক মনে হয় হলো না। এবার পদ্ম পুরস্কার দেওয়া হয়েছে এমন এক মহিলা কে যিনি যিনি একজন সেলিব্রিটি আর দাদার পায়ের ধুলো পারলে পরিষ্কার করে দেয়। নাম দিলাম না ছবিটি দিলাম।


এই যে ছবি টি দেখছেন এনার কাছে গরীব খেটে খাওয়া মানুষ গুলো হচ্ছে কীট পতঙ্গ। দেশের স্ববাধীনতা সংগ্রাম কে ইনি এক কথায় নসাৎ করে দেন। ১৮৫৭ সাল থেকে ১৯৪৬ দীর্ঘ প্রায় নব্বই বছরের স্বাধীনতা সংগ্রাম, ভারত মায়ের হাজার হাজার বীর সন্তান হাসি মুখে নিজের জীবন বিসর্জন দিয়েছে, তাদের ইনি অনায়াসে ভুলে গিয়ে বলতে পারেন ২০১৪ সালে প্রকৃত স্বাধীনতা এসেছে। পদ্ম পুরস্কার পেতে কী করতে হবে কেউ জানে না তবে দেখা যাচ্ছে বর্তমান কেন্দ্রীয় শাসক দলের তাঁবেদার হলে কোন কিছুর দরকার পরে না। আশা করি সকলের মনে আছে আরেক জন বিখ্যাত অভিনেতা সনু সুদের কথা লকডাউনে যিনি গরীব খেটে খাওয়া মানুষ গুলো কে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। তিনি পদ্ম পুরস্কার পেলেন না, তার একটাই কারণ ঐ যে তেল দেওয়ার কাজ করতে পারে নি। বাকি যারা পেয়েছেন তাদের কিছু কিছু অবদান আছে, কেউ গরীব মানুষের শিক্ষার বিস্তার ঘটাতে বিদ্যালয় তৈরি করে দিয়েছে। আরেক জন বন বা গাছ গাছালি রক্ষা করে গেছেন, আরো কত রকম অবদানের জন্য পদ্ম পুরস্কার পেয়েছে। কিন্তু কোন সংবাদ পত্রে জানা গেল না এই মহিলা কঙ্গনা রানাওয়াত কি এমন মহান সামাজিক কাজ করছেন। সমাজে কোন কোন উপকারে তিনি লেগেছেন। কেউ জানেন একটু বলবেন। এই কারনেই এই লেখা। সকলে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ।

Thursday, 11 November 2021

আমরা আধা স্বাধীন দেশে বাস করি।

 ১৯৪৭ সালের ১৪ ই আগস্ট ধর্মের নামে দেশ ভাগের মধ্যে দিয়ে দুই দুই পাকিস্তান নিয়ে ১৫ ই আগস্ট ভারত কে স্বাধীনতা দেওয়া হয়। আসলে স্বাধীনতা আসে ব্রিটিশ কমনওয়েলথের সদস্য হিসেবে স্বাধীনতা লাভ করে অর্থাৎ সব কিছু করতে পারে ভারত কিন্তু ব্রিটিশ কে সামান্য হলেও কর বা ট্যাক্স দিয়ে যেতে হবে বরাবরের জন্য। একদিক থেকে যেমন আমরা আংশিক স্বাধীন কারণ আমাদের অনশনে বসা রাষ্ট্র পিতা অর্থাৎ সকল ভারত বাসীর গুজরাতি বাবা, যার জন্য আমরা স্বাধীন হয়েছি সকলের মতামত তাই। কী রকম স্বাধীনতা। ১)স্বাধীনতার ৭৫ বছর পরেও নিরক্ষর দেশের তকমা ঘোচে নি। ২) দেশের সম্পদের ৭০%  থেকে ৮০% দেশের ৩% ধনকুবেরের আওতায়। ৩) এখনো ৭৫% মানুষ আধবেলা খেয়ে ঘুমাতে যায়, কিছু আছে খেতে পায় না। খাওয়া না জোটার মানুষের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা সব থেকে বেশি আমার দেশে ।আর এই কারণেই স্বাধীনতার পর বামপন্থী দের শ্লোগান ছিল, " লাখ লাখ মানুষ ভুখা হ্যায় /এ আজাদি ঝুটা হ্যায়।" ৪) অর্থনৈতিক স্বাধীনতা সে কোন ভারতবাসীর নেই। একমাত্র ধনী ব্যক্তি ছাড়া। ৫)এই গ্যাঁড়া তন্ত্র ( গনতন্ত্র) মানুষ কে ভোট দেওয়ার অধিকার দেওয়া হয়েছে কিন্তু দুর্ভাগ্য এদেশের সর্বত্র জনগণ ভোট দিতে পারেন না। লড়াই করতে হয় গুণ্ডা মাফিয়া তোলাবাজ দের সাথে। ভোটের আগেই সেনাবাহিনী পাহারাদার লাগে এখন তো দেখছি কোন কোন ক্ষেত্রে সেই সেনাবাহিনী ও নকল অর্থাৎ ঐ সব গুণ্ডা মাফিয়া চোর চিটিংবাজ মিথ্যাবাদী দের পাঠান লোকজন। ভোটের আগে নেতারা একটা করে প্রতিশ্রুতি দেন ভোটের পর ভুলে যান। মানুষ যদি কোথাও ভোট দিতে পারেন তবে কিছু দিনের মধ্যেই সে দল বদল করে অন্য কোন দলে নাম লেখায়। মানুষের ভোটের কোন মূল্য নেই কারণ জানে একবার জিতে গেল ব্যস সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস তুলে দেওয়া তার কাজ। জিনিস পত্র দাম বাড়ানোর, মানুষের করের টাকা লুঠ করা এসব এখন নেতা মন্ত্রী দের কাজ ।সেই কারণেই নেতা মন্ত্রীরা নিরাপত্তা নিয়ে ঘোরে ভয়ে। ভোটের আগে সাধারণ মানুষের মধ্যে যায় আর ভোটের পর সাধারণ মানুষের তার কাছে যাওয়ার অধিকার নেই।

৬) সরকারের সমালোচনা করলে, তাকে শাস্তি পেতে হবে হয় সে মাওবাদী, নয় সন্ত্রাস বাদী, নয় তো মিথ্যা কেসের ফোয়ারা ছুটবে না হলে, ঐ গুণ্ডা মাফিয়া দিয়ে ভিটে মাটি ছাড়া করা হবে। না হলে খুন হতে হবে যার কোন বিচার নেই কারণ বিচার সে তো বড়লোক তথাকথিত ধনীর জন্য। যার টাকা আছে সে কোর্টে যাবে যার নেই সে পরে পরে মার খাবে।

৭) এই বঙ্গে প্রতিটি নির্বাচনের আগে এবং পরে কত নীরিহ মানুষের নামে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে সে বলে শেষ করা যাবে না। আর কত লোক ঘরছাড়া আছে সেও গুনে শেষ করা যাবে না।

৮) চোর, চিটিংবাজ, মিথ্যাবাদী, বাটপার, তোলাবাজ, মাতাল টিভির দৌলতে ভালো মানুষ এবং রাষ্ট্র নায়ক হয়ে যাচ্ছে মানুষের কিছু বলার নেই।

৯) বাক স্বাধীনতার ঘোষণা আছে, কিন্তু বাস্তবে তা নেই।

১০) অনেক সময়ে সাধারণ মানুষের বেঁচে থাকার অধিকারটাও কেড়ে নেওয়া হয়েছে বা হচ্ছে।

১১) একটা স্বাধীনতা আছে, একটু খাবারের আশায় এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে ঘুরে বেড়ানোর, বর্তমান ভারতের যুব সমাজ ক্রমশ অন্ধকারে ডুবে যাচ্ছে। শিক্ষিত যুব সমাজের কাছে কাজ নেই, দেশে এবং এই রাজ্যে বেকার যুবক যুবতী অনশনে বসে আছে।

আরও আছে লিখে শেষ করা যাবে না। যে দেশে সত্যি স্বাধীনতা আছে সেখানে মানুষের সব অধিকার আছে এখানে অধিকার কেবল সংবিধানে আছে কিন্তু বাস্তবে নেই। 

যুদ্ধ যুদ্ধ ভাব বা যুদ্ধ একটা দরকার না হলে উত্তর প্রদেশ, ত্রিপুরা সহ বিধানসভা নির্বাচন এবং ২০২৪ এ লোকসভা নির্বাচনে জয় আসবে না।


 কিছু অনলাইন সংবাদ পত্র এবং ইলেকট্রনিক্স মিডিয়া আছে যখন দেখে ধর্ম দিয়ে মানুষ কে আর জাগ্রত করার উপায় নেই তখন আসে যুদ্ধ বা কোথাও একটা বিস্ফোরণ হোক না হলে কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে কিছু থাকবে না প্রচার করার মত। মানুষের আবেগ কে জাগ্রত করতে হবে, সে যে কোন ভাবে হোক দ্রব্য মূল্য, এবং মানুষের নিত্য জীবন যন্ত্রণা থেকে মন ঘুরিয়ে দিতে হবে না হলে আসন্ন নির্বাচন জেতা সম্ভব নয়। যে কোন নির্বাচন হোক জিততে মরিয়া বিজেপি নেতৃত্ব কেবল নানা ভাবে উস্ককানি মুলক কাজ এবং কথা বলে দেশের মানুষ কে তার প্রতি আকৃষ্ট করতে উদ্যোগী হয়। এর সাথে যুক্ত সংবাদ মাধ্যমও কম যায় না, একটু খেয়াল করে দেখুন গত লোকসভা নির্বাচনের আগে পুলওয়ামা বিস্ফোরণ, তার আগে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক, আর পশ্চিমবঙ্গ সহ পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের আগে নেপাল ও চীনের সাথে দন্দ্ব চীনা সৈন্যদের সাথে হাতাহাতি লড়াই সবটাই ঐ পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনকে  লক্ষ্য করে উত্তেজনা তৈরি করা এবং শেষ মেষ লড়াই এবং সেনা জওয়ানদের মৃত্যু। একটু লক্ষ্য করে দেখুন সমস্ত প্রতিবেশী দেশের সাথে এই কেন্দ্র সরকারের ঝামেলা লেগেই আছে। ভুটান অত শান্তি প্রিয় সেই দেশের সাথেও সীমান্ত নিয়ে ঝামেলা আছে। আর চীনের সাথে কথাই নেই, লেগেই আছে, এখন একটা কাজ এই সরকার করে চলেছে, অরুণাচল প্রদেশের সীমান্ত লাগোয়া একটি জায়গা চীন কে তাদের সেনা ভিলেজ তৈরি করতে দিয়েছে কারণ চীন ডোকলাম নিয়ে আর কিছু করবে না এটাই ডোকলাম শান্তি আলোচনার ফসল। আবার এই সুযোগে চীন লাদাখ দখলে প্রস্তুতি চালাচ্ছে। প্যাংগং লেকের অর্ধেক ছিল এখন প্রায় সব চীনের দখলে আরও এগিয়ে আসছে। এদিকে নির্বাচনে ফায়দা তুলতে কেবল এই সব সমস্যার সমাধান করার জন্য সে ভাবে চেষ্টা করছে না। এখন চীনের সাথে যুদ্ধ লাগবে লাগবে করছে এই সংবাদ দাতার সংবাদ অনুযায়ী চীনের সাথে যুদ্ধ প্রস্তুতি নিতে বলছেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী। সেই কারণেই এই প্রতিবেদক আশঙ্কা করছেন যুদ্ধের দামামা কি বেজে গেল? 

Tuesday, 9 November 2021

বামেরা তো শূন্য তবুও আক্রান্ত কেন?

 গত লোকসভা নির্বাচন থেকে শুরু করে বর্তমান পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে বামেরা একটি আসন পায় নি। মানুষ তাদের শূন্য করে দিয়েছেন। কিন্তু কী আশ্চর্য ব্যাপার দেখুন সেই নির্বাচনে সময় বা বলতে গেলে সেই ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে থেকেই দিকে দিকে তাকিয়ে দেখুন বেশি আক্রান্ত বামেরা হয় তাদের পার্টি অফিস নয় তাদের কর্মী সমর্থকদের আক্রান্ত হতে হচ্ছে বারে বারে কাদের দ্বারা বর্তমান শাসক দলের জল্লাদ বাহিনী দ্বারা। দুবরাজপুরের ঘটনা বাদল শেখ যিনি নভেম্বর বিপ্লব স্মরণে গত সাত তারিখে আক্রান্ত হলেন এবং মারাও গেলেন এছাড়াও আক্রান্ত হল আরেকটা জায়গায় পার্টি অফিস। 


কেন এই আক্রমণ বার বার এর অন্তর নিহিত কারণ বুঝতে হলে গভীরে যেতে হবে। বাংলায় সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এগিয়ে একমাত্র বামেরা, কেবল সাম্প্রদায়িক শক্তি নয় মানুষের জীবন জীবিকার লড়াই এই রাজ্যে অগ্রনী ভূমিকায় বামপন্থী ছাত্র যুবরা আর সব থেকে বড় বিষয় বামেদের কিছুতেই আটকে রাখা যাচ্ছে না। সংগঠন বেড়ে চলেছে নতুন প্রজন্মের শিক্ষিত ছেলে মেয়েরা এগিয়ে আসছে। ছ মাসের ব্যবধানে গত উপ নির্বাচনে তারা ভোট বাড়িয়েছে দু তিন টি জায়গায় বিজেপির থেকে ভালো ফল করেছে। এটাই রাগ তথাকথিত বিজেপি বিরোধী শাসক দলের। কারণ এই শাসক দল জানে বিজেপির অর্ধেকের বেশি তৃণমূলের লোকজন এরা যে কোন মূহুর্তে দলে ফেরত আসবে। রাজ্য বিরোধী শূন্য হবে এর মধ্যেই লক্ষ্যনীয় ভাবে বামেদের বৃদ্ধি মানে বিরোধী তৈরি হওয়া যেটা কিছুতেই চায় না বর্তমান শাসক দল। যেমন করে হোক রাজ্যে বিরোধী শূন্য করতে হবে। কিন্তু বামেদের উপস্থিত মানে দাদার অসুবিধা দিদি কখনো চান না এটা হোক আর সেই কারণেই বামেদের উপর আক্রমণ। একদিকে প্রচার তোরা তো শূন্য অথচ শূন্য পাওয়া দল টাকে এত ভয়। আন্দোলন আরও তীব্র করতে হবে গরীব খেটে খাওয়া মানুষের দাবি আদায়ের আন্দোলনের বিকল্প নেই। বামপন্থী কোন মিডিয়া নেই একমাত্র ঐ গনশক্তি ছাড়া ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ায় এখন বিজ্ঞাপন নির্ভর সে কারণেই গরীব মানুষের রুটি রুজির আন্দোলন দেখাবে না। পারলে মোরে মোরে পাড়ায় পাড়ায় প্রচার করতে হবে, কোন ভাবেই কোন দক্ষিণ পন্থী দলের সাথে জোট নয় কেবল বামপন্থী তথা বামফ্রন্ট প্রার্থী হিসেবে দেওয়াল লিখন থাকবে। 


ভাণ্ডারে টাকা কম পড়েছে যে কারণে ব্লকে ব্লকে মিড ডে মিলের টাকা ফেরত দিতে হল।

 তগলঘি সরকারের তুগলঘি আদেশ, মিড ডে মিলের সব টাকা ফেরত দিতে হবে অর্থাৎ ব্যাঙ্ক এ্যাকাউন্ট জিরো করে টাকা ফেরত দিতে হবে। কেন তা জানা নেই, সব ব্লকের বিডিও থেকে নেওয়া হয়েছে টাকা ফেরত তবে কোন কোন জায়গায় শোনা যাচ্ছে ব্যাঙ্কে মিনিমাম ব্যালেন্স রেখে চেক দিতে বলেছেন। আবার কোন কোন ব্লক একেবারে এ্যাকাউন্ট জিরো ব্যালেন্স করে দিতে।


ভাণ্ডারি বা শ্রী কে দেওয়ার টাকা কম পড়েছে সে কারণেই এই টাকা ফেরতের নির্দেশ যা ফিরে আসে। কারণ ব্যাঙ্ক ইন্টারেস্ট সহ বেশ কিছু টাকা ফেরত পাওয়া যাবে। আর এর সাথে একটা আজগুবি নির্দেশ দিয়েছেন আই সি আই ব্যাঙ্কে জিরো ব্যালেন্স মিড ডে মিলের এ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। সিঙ্গুর ব্লকে কোন শাখা নেই আছে শ্রীরামপুর এবং চন্দন নগর তাহলে এবার সিঙ্গুর ব্লকের শিক্ষক শিক্ষিকারা মিড ডে মিলের টাকার জন্য এ্যাকাউন্ট করতে শ্রীরামপুর বা চন্দননগর যাবেন। কি তুগলঘি সরকারের তুগলঘি আদেশ নয় কি?


আমার মনে হয় এই কারণেই জিরো করে টাকা ফেরত নেওয়া হয়েছে। জানা নেই আগামী নম্ভেবর মাসের মিড ডে মিলের জন্য বরাদ্দ হবে কিনা! কর্তায় ইচ্ছায় কর্ম ।


Sunday, 7 November 2021

Only RSS knows about my acting

 Everyone knows that I can do good dramas, this is the reason why all the actors and actresses in my team are brave.  I exclude my staff and give tickets to actors and actresses to be a MLA or MP.  If you sit for the rest of your life, you will get a pension. Now, will you get a pension by acting and making movies?  I didn't have so many actors around me. I can do well from the beginning.  Tell me how much proof you have, you have forgotten the scene of getting up on the bayonet of that car and tearing your sari.  And the biggest act I did was to chase Tata from Singur by eating sandwiches behind that screen and going on a twenty-six day fast.  And I don't remember the promises, I don't keep any of them, I forgot that one too.  What a fool I was when I was in opposition. I was marching to eat what I want.


 

And what would I do with this film?  That's why I was trying to drive an electric scooter because oil prices were rising.  Imagine for a second you were transposed into the karmic driven world of Earl.  If I didn't see my performance perfect, I sat in a wheelchair and went to the polls.  Before the plane came for me with a rent of two crore rupees a month, I used to get behind Chhatradhar's bike and now I don't go with him anymore.  I don't like acting.  How does my luxury go when I reduce taxes and lower electricity prices?  This is why people do not vote for all the stupid parties.  If you don't see, I got 213 seats. Even though I didn't win, I became the Chief Minister. He resigned for me and left the seat. I had to hold by-elections.  What kind of rice did I give? I sent people from my party to BJP and made them all leaders. Again, they are coming back to my party.  In fact, only RSS knows my acting, that's why I am Durga to them.

আমার অভিনয় টা একমাত্র আর এস এস জানে।

 আমি যে নাটক ভালো পারি এটা সবাই জানে এই কারণেই আমার দলে যত অভিনেতা অতিনেত্রী দের ভীর। আমি আমার কর্মী দের বাদ দিয়ে অভিনেতা অভিনেত্রী দের টিকিট দিয়ে থাকি যাতে একটা বিধায়ক বা সাংসদ হতে পারে। কিছু না সারা জীবন বসে বসে পেনশন তো পাবে এখন অভিনয় করে সিনেমা করে কি পেনশন পাওয়া যাবে? আমার চার পাশে এত অভিনেতা এমনি এমনি আসেনি আমি প্রথম থেকেই ভালো অভিনয় করতে পারি। কত প্রমাণ চাস বল, ঐ গাড়ির বেয়নটে উঠে শাড়ি ছেঁড়া সে দৃশ্যটা ভুলে গেছিস। আর সব থেকে বড়ো যে অভিনয় করলাম সিঙ্গুর থেকে টাটা কে তাড়নোর জন্য ঐ পর্দার আড়ালে স্যাণ্ডউয়িচ খেয়ে ছাব্বিশ দিনের অনশন। আর প্রতিশ্রুতি গুলো মনে নেই, একটাও রাখি না ওটাও তো একটা অভিনয় ভুলে গেছিস। কি বোকা আমি যখন বিরোধী ছিলাম কী খাব বলে মিছিল করে ছিলাম এখন ক্ষমতায় জিনিসের দাম বাড়ছে বাড়বে ওতে আমার কিছু করার নেই।



আর এই ছবিটি কি করব ভোট ছিল এই নাটক না করলে চলছিল না। তেলের দাম বেড়ে যাচ্ছিল সেই কারণেই আমি ইলেকট্রিক স্কুটি চালাতে চেষ্টা করছিলাম। এটা একবার ভেবেছ যদি পড়ে গিয়ে হাত পা ভেঙে যেত কি হত রাজ্যের কে সামলাত এই রাজ্য পাট আমি ছাড়া কে আছে। আমার অভিনয় নিখুঁত দেখলে না হুইল চেয়ারে বসে ভোট প্রচারে গেলাম। আমার জন্য মাসে দু কোটি টাকা ভাড়া দিয়ে প্লেন এসেছে আগে ছত্রধরের বাইকের পেছনে চেপে যেতাম এখন আর ওর সাথে যাই না। আমার অভিনয় ভালো লাগে না। ট্যাক্স কমালে বিদ্যুতের দাম কমালে আমার বিলাসিতা চলে কি করে? যত সব বোকা হাঁদার দল এই জন্যেই লোকে ভোট দেয় না। দেখলে না আমি দুশো তেরো টা আসন পেলাম আমি না জিতেও মুখ্যমন্ত্রী হলাম আমার জন্য পদত্যাগ করে সিট ছাড়ল আমার জন্য উপনির্বাচন করতে হলো। কেমন চাল দিলাম বিজেপি তে আমার দলের লোক জন পাঠিয়ে সব নেতা বানিয়ে দিলাম আবার তারা আমার দলে ফেরত আসছে। আসলে আমার অভিনয় টা একমাত্র আর এস এস জানে সে কারণেই আমি ওদের কাছে দুর্গা। 


Flowers and various forms of puja are used but now even gods and goddesses do not want to leave the mortal world.

 To perform any puja, one needs flowers, bell leaves, durba grass and pure water and ataap rice.  It takes a lot of hard work to tie the thread of Adhisas and other things happen.

In each puja, three leaves are to be used.  He has to pick up the durba and make it beautiful.  Not everyone knows this, that's why he picks up durba and uses it in worship.  In the same way that the bell leaves have three leaves, the needle leaf in the middle of this durbar has to be discarded and tripled.  Durbar also has some vesicle properties.  Many of them are on social media in different ways.  Flowers Worship different gods takes different flowers.  For example, to worship Narayan Shila, one needs white flowers, small togars, kunda flowers, and basil leaves.  Durbar is not used.  Again, it is forbidden to worship Lakshi or give basil leaves to Lakshi.  Most of the gods and goddesses are worshiped with lotus flowers.  Such as Durga Pujo, Lakshi Pujo, Kali Pujo, Saraswati Pujo, Kali Pujo, Jaba and Surya Pujo require Jaba flowers.  If Durga Pujo is offered with hyacinth and blue lotus, it gives good results.  Wreaths of sun and ink with jaba flowers give very auspicious fruits.  Worship of Shiva should not be done with a pungent odor.  Shiva's favorite flowers are Akanda, Dhutura, Kalke etc.  And worship Manasa with wild flowers, never give Manasa flowers with strong smell.  Manasa can also be worshiped with squid, peas, etc. flowers.  There are certain rules and mantras of worship, they can be found in the books of many good writers. This book should never be left on the ground.  It should be kept in a place to keep books or books or in any rack.  And each pujo is performed on different dates according to the calendar.  Such as Satyanarayana in full moon and Shiva puja in Lakshi fourteenth and Kali puja in new moon. Apart from this, puja has to be done according to the time mentioned in the calendar.  Now in this Bengal worship is no longer followed by the rules. Now the entrepreneurs do not want to give up the deity or the idol because the one who comes does not want to leave the devotee and go back to heaven.  So any puja today has become five days instead of two days.  Whether it is Saraswati Pujo, Kali Pujo, Lakshi Pujo, Bishwakarma Kartik Pujo was all for two days, now you can keep it as happy as you want.

বিভিন্ন পুজোর ফুল ও দুর্বার ব্যবহার তবে এখন দেব দেবীরাও মর্ত্যলোক ছেড়ে যেতে চান না।

 যে কোন পুজা করতে ফুল, বেল পাতা দূর্বা ঘাস আর শুদ্ধ জল এবং আতপ চাল, লাগে এছাড়া দশকর্মা দোকান থেকে পঞ্জিকা মতে বা উক্ত পুজো কিছু নির্দিষ্ট জিনিস পত্র। দুর্বার কাজে লাগবে অধিসাসের সুতো বাঁধতে মঙ্গল ঘটে ও অন্যান্য ঘটে এবং কুণ্ডু হাঁড়িতে বাঁধতে এছাড়া লাগে অর্ঘ্য বাঁধার জন্য দূর্বা প্রয়োজন পরে।


প্রতিটি পুজায় তিন পত্র দুর্বার ব্যবহার করতে হয়। দুর্বা তুলে সুন্দর করে তাকে তিপত্র করে নিতে হবে। সকলে এই বিষয়ট জানে না সে কারণেই দূর্বা তুলে পুজায় ব্যবহার করে দেন। যেমন বেল পাতা তিনটি থাকে সেই ভাবে এই দূর্বার মাঝের সুঁচাল পাতা টি ফেলে দিয়ে একে ত্রিপত্র করে নিতে হয়। এছাড়াও দূর্বার কিছু ভেসজ গুন আছে। সে সব অনেকেই বিভিন্ন ভাবে সোশ্যাল মিডিয়ায় দিয়ে থাকেন। ফুল বিভিন্ন দেবতার পুজায় বিভিন্ন ফুল লাগে। যেমন নারায়ণ শিলা পুজো করতে সাদা ফুল, ছোট টগর, কুন্দ ফুল, এবং তুলসী পাতা লাগে। দুর্বার ব্যবহার করা হয় না। আবার লক্ষী পুজায় বা লক্ষী কে তুলসী পাতা দেওয়া নিষেধ। বেশির ভাগ দেব দেবীর পুজোয় পদ্ম ফুল দিতে হয়। যেমন দূর্গা পুজো, লক্ষী পুজো কালী পুজো সরস্বতী পুজো এছাড়া কালী পুজো জবা আর সূর্য পুজো করতে জবা ফুল লাগে। শিউলি ও নীল পদ্ম দিয়ে দুর্গা পুজোর অঞ্জলী দিলে সেটি শুভ ফল দান করে। জবা ফুল দিয়ে সূর্য ও কালীর পুষ্পাঞ্জলী খুব শুভ ফল দান করে। শিবের পুজো উগ্র গন্ধ যুক্ত ফুলে করা উচিত নয়। শিবের প্রিয় ফুল আকন্দ, ধূতুরা, কলকে ইত্যাদি। আর বুনো ফুলে মনসা পুজো কখনো মনসা কে উগ্র গন্ধ যুক্ত ফুল দিতে নেই। ঝিঙে, মটর, ইত্যাদি ফুল দিয়েও মনসা পুজো করা যায়। পূজার নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম এবং মন্ত্র আছে, সে গুলো অনেক ভালো লেখকের বই এ পাওয়া যাবে এই বই টি কে কখন মাটিতে রেখে পড়া উচিত নয়। বই রাখার বা পুঁথি রাখার জায়গা বা কোন রেকাবে রেখে পড়া উচিত। আর প্রতিটি পুজোই পঞ্জিকা ধরে বিভিন্ন তিথিতে করা হয়। যেমন পুর্ণিমায় সত্যনারায়ন ও লক্ষী চতুর্দশতে শিব পুজা ও অমাবস্যায় কালী পুজো এ ছাড়া পঞ্জিকায় উল্লেখিত সময় অনুযায়ী পুজো করতে হয়। এখন এই বাংলায় পুজো আর নিয়ম মেনে হয় না এখন ঠাকুর বা প্রতিমা বিসর্জন দিতে চান না উদ্যোক্তারা কারণ যিনি আসেন তিনি ভক্ত কে ছেড়ে আর স্বর্গে ফিরে যেতে চান না। তাই যে কোন পুজা আজ দু দিনের বদলে পাঁচ দিনের হয়ে গেছে। সে সরস্বতী পুজো কি কালী পুজো লক্ষী পুজা, বিশ্বকর্মা কার্তিক পুজো সব দুদিনের ছিল এখন যত দিন খুশি রাখতে পারে। 

Saturday, 6 November 2021

বাঙালি চোর চিটিংবাজ চিনল না ।



 ওরে বুদ্ধিমান বাঙালি তুমি চোর চিটিংবাজ মিথ্যাবাদী চিনলে না। ঘরে চোর বাইরে চোর আমরা যে চোরে চোরে মাসতুত ভাই সেটা বুঝলে না। আসলে চোরের উপর করি বাটপারি আমরা যে জনগণের পকেট মারি, সেটা জানতে পারলে না। আমাদের কারসাজি তোমরা ধরতে পারলে না। ঘুষের টাকা কাটমানির টাকা সব আছে কেবল জনগণের গলা কাটা সেটা বুঝলে না। চুরি আমার পেশা, চিটিংবাজি আমাদের নেশা সেটা জানলে না। আমরা এমন চোর পুলিশ আমাদের পাহারাদার। তোমাদের আমরা বোকা বানাই এটা বেশ মজাদার। তোমরা জনগণ মিলে করবে মারামারি, করবে খাবার নিয়ে কাড়াকাড়ি। বোঝে কে বল আমাদের খেলা, আমরা বসাব চোর মেলা। ভোটের আগে আমাদের কথায় হবে কুপোকাৎ, দরকারে তোমার বাড়িতে পাত পেরে খাব ভাত।


কে বোঝে আমাদের আসল রাজ, চুরি চিটিংবাজি, আমাদের কাজ। আমরা জানি একবার যদি আসি ক্ষমতায় দখল নিতে পারি গদি। কে আমাদের হঠায় আমাদের সাথে আছে ভোট কুশলী সে আরেক চিটিংবাজ। সে যে সে লোক নয়রে ভাই, একটু কিছু হলেই বয়ে যাবে রক্ত নদী। ভোট দিও নাচতে নাচতে না দিলেও নাইকো ক্ষতি, আছেন ভোট কুশলীর নিয়োজিত  নকল পুলিশ নকল অফিসার তারা করবে আমাদের রাজা। আমি আমি রাজা কে দেবে সাজা, ও বাঙালি চোর চিটিংবাজ মিথ্যাবাদী চিনলে না ।



Friday, 5 November 2021

বাঙালি এক আজব জাতি!

 সত্যি আমি নিজে বাঙালি হলেও বলছি বাঙালি এক আজব জাতি। কারণ কত সহজে সব কিছু ভুলে যায়, আর মিথ্যাবাদী চোর চিটিংবাজ ঘুষখোর কেও মহান বানিয়ে ফেলে সহজে। আপন করে নিতে পারে সবাই সে যত বড়ো অন্যায় করুক যদি সে একবার একটু উঁচু পদে আসে বা বেশি বেশি করে টিভির পর্দায় দেখা যায় ব্যস সে মহান ব্যক্তি, না হলে এরা আজও সমাজে সন্মাননীয় হিসেবে আছে কি করে? এর মধ্যে মন্ত্রী নেতা হলে তো কথাই নেই, বিশাল ব্যাপার পুলিশ মৃত্যুর পর পুলিশ বন্দুক নিয়ে স্যালুট দেবে। কারণ দেশের জন্য প্রাণ দিয়েছেন তাই না। আর জনগণ ভুলে যাবে কেমন সিঙারা খেতে খেতে ক্যামেরার সামনে ঘুষের টাকা নিয়েছে। কারণ মন্ত্রী মশাই চার পাঁচ টা বাড়ির মালিক, গাড়ি বাড়ির অভাব নেই, মিথ্যা কথা বলতে পারে, চিটিংবাজি করতে পারে। কিছু বললে পুলিশ কে দিয়ে মিথ্যা কেস করে জেলে দিতে পারে, কী ভাল না! জন গন তথা এই একটা কাজ ভালো পারে চোর সন্দেহে এলাকার কোন যুবককে পিটিয়ে খুন করতে পারে, ধরে বেঁধে রাখতে পারে কেবল সন্দেহ করে। 

 আর এই সব মহান চোর চিটিংবাজ মিথ্যাবাদী যদি নেতা মন্ত্রীর মৃত্যুর পর ফুল দিয়ে সন্মান দিয়ে আসে। কারণ এরা এত মহান মানুষ এবং এতো ভালো কাজ করে যে সব নিরাপত্তা বাহিনী নিয়ে ঘোরে এমনকি মৃত্যুর পরেও তার ব্যতিক্রম হয়না। পুলিশ ও এই সব চোর চিটিংবাজ মিথ্যাবাদী কে নিরাপত্তা দিয়ে যায় কারণ চাকরি বাঁচাতে হবে যে। আর জনগণের নিরাপত্তা এই ছবিটি দেখলেই বোঝা যাবে।


এটা হচ্ছে জনগণের নিরাপত্তা চাকরি বাঁচাতে আন্দোলন রত জনগণ কে মেরে ফেলা কি ভালো তাই না! কাদের কথায় বা কার নির্দেশে করছে পৃথিবীর সেরা মিথ্যাবাদী এবং চোরের কথায় এবং তার স্বার্থে এই কাজ করেছে এবং সেই চিটিংবাজ মিথ্যাবাদী চোর গুলো কে নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে এই পুলিশ। বাঙালি সত্যি আজব জাতি তাই না। 


এই দেখুন সিঙারা খেতে খেতে ঘুষ নিয়ে মারা গেল, বলে গেল না ঐ টাকা গুলো কে পেল বা কেন নিয়ে ছিল কিছু জানেন না। ক্যামেরার সামনে তবুও ওটা উনি কি না সন্দেহ আছে কারণ দেশে উন্নয়ন চলছে কিছু বলা যাবে না। মনে পড়ছে আরেক জন অভিনেতা থেকে নেতা হওয়া লোক যে রেপ করার জন্য বাড়ি বাড়ি ছেলে পাঠিয়ে দেবে বলে ছিল। ঐ যে সারদা না রোজভ্যালী কেসে ভুবনেশ্বরে জেল ছিল। জেল থেকে ফিরে কয়েক মাস তার পর মৃত্যু ভাবুন তো এরা কত মহান দেশের জনগণের জন্য নিজের প্রাণ পর্যন্ত দিতে প্রস্তুত। এসব জেনেও বাঙালি এদের কত সন্মান দেয়। এই জন্যেই বাঙালি আজব জাতি ।




Wednesday, 3 November 2021

দুর্গা পুজো ঘটনার পরেও পাল্টায় নি বাংলাদেশ।

 গত দুর্গা পুজো গোটা বাংলাদেশ জুড়ে তাণ্ডব চালিয়েও বাংলাদেশ তথাকথিত শান্তির ধর্মের লোকজন ক্ষান্ত হননি। দেখুন কালি পুজোর শুরুতেই শুরু করেছে তাদের সেই স্বভাব সিদ্ধ কাজ।


বাংলায় একটা প্রবাদ আছে, কয়লার ময়লা যায় না শত ধৌত করে আমার স্বভাব যাবে না আমি না মরিলে। আসল কারণ এদেশের সরকারের ভূমিকা এই দেশের সরকার এটা চায় যে এখানে সংখ্যালঘু বলে কিছু থাকবে না। কারণ একটা ছোট দেশ ভারতের বড়ো বড়ো যে রাজ্য আছে তার সমান সেখানে এই দেশের লোক সংখ্যা আঠারো থেকে উনিশ কোটি। ধর্মের দোহাই দিয়ে ছারপোকার মত বংশ বিস্তার করে আর মানুষের উপর অত্যাচার নামিয়ে দেয়। কি খাবে কি পরবে, কি কাজ করবে কোথায় থাকবে সে সব জানার দরকার নেই, অধিকাংশের আধুনিক শিক্ষা নেই, ঐ আলেম হালেম উলেম এই সব ওদের বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পড়ানো হয়। আর এই শিক্ষা নিয়ে প্রতিনিয়ত ধর্ম ধর্ম করে বেড়ায় আর লোকসংখ্যার বলে অত্যাচার করে সম্পদ দখল করে কারণ একটাই যত লোক সংখ্যা বাড়ছে চাষ যোগ্য জমি বাসস্থানে পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে। আর কিছু বছর অপেক্ষা বাংলাদেশ পুরোপুরি অন্য দেশ থেকে বিপুল পরিমাণ খাদ্য আমদানি করতে বাধ্য হবে। কারণ চাষ যোগ্য জমি কমে আসছে বাসস্থান করতে বা ভিটি করতে বাধ্য হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গের অবস্থাও একই দিকে যাচ্ছে, চাষ যোগ্য কমে গেছে ইতিমধ্যেই অন্য রাজ্যের থেকে মাছ, ডিম এমনকি থাইল্যান্ড থেকে চাল না এলে পশ্চিমবঙ্গরে মানুষ খেতে পাবে না। আর বাঙালি মানে এই শান্তির ধর্মের লোকজন কেবল ধর্মের দোহাই দিয়ে লোক সংখ্যা বাড়িয়ে চলেছে, বাংলাদেশের সরকারের মদতে এসব চলছে। দুর্গা পুজোর ঘটনা নিয়ে সারা বিশ্ব জুড়ে প্রতিবাদ হল তাতেও এরা নিজেদের পাল্টায় নি। আর এ অত্যাচার আজকের না দীর্ঘ দিনের, কারণ একটাই সম্পদ লুট আর কিছু না। এ দেশের ধর্ম ব্যবসায়ী গন প্রতি নিয়ত মানবতা বিরোধী প্রচার করে চলেছে তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেই। পুলিশ কী করে উল্টো টা করতে অভ্যস্ত তারা খুঁজে খুঁজে বের করবে কোথায় দুর্বল সংখ্যা লঘু সম্প্রদায়ের কাউকে গ্রেফতার করা যায় কিনা। যেমন দুর্গা পুজোর ঘটনায় অনেকেই আটক হয়েছে তুচ্ছ কারণে আসল যারা অপরাধী তারা বাইরে আছে কারণ একটাই ধর্ম। বাংলা দেশের পুলিশ সেও তো ঐ ধর্মের মানুষ বেশি তারাও চায় এটা ঘটেছে ঘটুক না হলে অত বড়ো একটা ঘটনার পর সারা বিশ্ব তোলপাড় হয়ে গেল। সেখানে দাঁড়িয়ে এরা শিক্ষা নেয় নি আরম্ভ করেছে কালী পুজোতেও। আমার সন্দেহ হয় এই বাংলাদেশের সেই মহান বিপ্লবীর জণ্ম হয়েছিল তো! মাষ্টার দা সূর্য সেন, বিনয় বাদল দিনেশ বাঘা যতীন, যতীন দাস, প্রীতিলতা, কল্পনা দত্ত। আবার দরকার হয়ে পড়েছে এদের, কোথায় উল্লাস দত্ত বারীন ঘোষ, আবার  নেতাজির ফিরে আসার দরকার না হলে এই শান্তির ধর্মের মানুষের অত্যাচার কমবে না। কারণ এরা শান্তি কি জানে না চায় না মানুষ শান্তিতে বসবাস করুক। সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি খুঁজে বেড়ায় কীভাবে অশান্তি লাগানো যাবে। 

পি কে বলছেন বিজেপি ক্ষমতায় আসবে আর এখন রাজ্যের শাসক দল বলছে দিদি প্রধানমন্ত্রী!

 সকলে ভেবে নেবেন না যে আমি পি কে সিনেমার কথা বলছি। ইনি ভোট কুশলী বা নির্বাচনে পরামর্শ দাতা এনার পরামর্শে যে দল চলে সেই দল ভোটে জিতে আসে এবং ক্ষমতা দখল করে। ইনি এসব কোটি কোটি টাকার বিনিময়ে করে থাকেন। এ বিষয়ে এনার একটি টিম আছে, নাম আই প্যাক। টাকা খরচ করতে পারলে ইনি চোর মিথ্যাবাদী ধাপ্পাবাজি এসব দেখেন না, কারণ আমাদের বর্তমান রাজ্যের শাসক দলের পরামর্শ দাতা ইনি। দেখছেন নির্বাচন শেষ হবার পর কত ভুয়ো অফিসার ধরা পড়েছে। এমনকি উচ্চ পদস্থ পুলিশ অফিসার সেও নাকি ভুয়ো, অর্থাৎ জাল তাহলে নির্বাচন হবার পর কারা ঐ ই ভি এম পাহারা দিয়ে ছিল বোঝা যাচ্ছে। এটাই এনা মূল ভোট জেতার কৌশল, যাহোক আমার দেশের আইন সেত দুরকম এক দুর্বল সাধারণ মানুষের জন্য তার বিরুদ্ধে যত পারো কেস দাও কেসের মালা পরিয়ে দাও, এটা আমার কথা নয় এই শাসক দলের এক নেতার কথা।  ২০১৪ সালে ওনার টিম নিয়ে মানুষের মাথায় ঢুকিয়ে দিতে সমর্থ হন যে মোদি প্রধানমন্ত্রী হলে দেশের সব সমস্যার সমাধান হবে। আর ২০১৯ এ আগলে বার মোদি সরকার এসব এখন সাধারণ মানুষ বুঝতে পারছেন নিশ্চয়ই কত ধানে কত চাল। এক দিকে দেশ বিক্রি আরেক দিকে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস পত্রের দাম আকাশ ছোঁয়া কোথায় গিয়ে থামবে কেউ বলতে পারছে না। দেশের অর্ধেক মানুষের দুবেলা খাবার জোটে না, ক্ষুধা সুচকে বাংলাদেশের ও নীচে ১০১ তম স্থানে। বাদ দিলাম কারণ মন্দির হলে সেখানে বসে ভিক্ষা করার লোক চাই সে কারণেই আজ দেশের বেকার সংখ্যা স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পর সব থেকে বেশি। আমাদের রাজ্য সরকার ও কম কিসে মানুষ কে ভিক্ষারি বানাও বেকার দের চাকরি দিও না। উভয়ের আরেকটা মিল খুব, চাকরির বিজ্ঞাপন দাও পারলে পরীক্ষা পর্যন্ত নাও কিন্তু চাকরি দিও না, এখানে তো আরেকটা বিষয়ে এগিয়ে আই সি ডি এসের রাঁধুনির চাকরি পেতে ঘুষ দিতে হয়। এই আই প্যাক যেমন, ক্ষমতায় নিয়ে এসেছিল বিহারের মুখ্যমন্ত্রী কে, দিল্লির আম আদমী পার্টি কে। সেই ভাবে এই বাংলায় বর্তমান সরকার কে। আমাদের দিদি কে নিয়ে তাঁর ভাই ভাইপো ভাইঝি দের একটা স্বপ্ন আছে, তিনি প্রধানমন্ত্রী হবেন, জানি না এটা দিদির ও স্বপ্ন কিনা! সেই স্বপ্নে এই ভদ্রলোক জল ঢেলে দিলে না তো কারণ তিনি বলছেন বিজেপি আরও কয়েক বছর ক্ষমতায় থাকবে আমার মনে হয় দিদি ঠিক মত টাকা দিচ্ছেন না। না হলে ভবিষ্যতে দিদি তার দল বল নিয়ে বিজেপি হয়ে যাবেন তার পর দিদি প্রধানমন্ত্রী হবেন। না হলে হবে কিভাবে দিদি তো বিজেপি বিরোধী মুখ নাকি, আমি ঠিক বিষয়টি বুঝতে পারছি না, দিদির ভোট কুশলী বলছেন বিজেপি ক্ষমতায় আসবে আর দিদির দল বল বলছে দিদি প্রধানমন্ত্রী হবেন।


যারা এই লেখাটা পড়বেন একটু যদি বুঝিয়ে বলেন খুব ভালো হয়। 

Monday, 1 November 2021

নিয়মিত লোকাল ট্রেন চালু হল কিছু সংবাদ পত্রের খুব কষ্ট হচ্ছে।


 ছবিটি অন লাইন এবিপি সংবাদ পত্র থেকে নেওয়া । দ্বিতীয় লকডাউনের পর দীর্ঘ ছ মাস পর লোকাল ট্রেন চলাচল শুরু করা হয়েছে। আগে অর্থাৎ এই লোকাল চালুর আগে কী চলত পেট্রলিং স্পেশাল অনিয়মিত ট্রেন ভীড় বেশি ছিল সেই সময় থেকেই। আর এই ভীড় নিয়েই যত মাথা ব্যাথা তথাকথিত বেশ কিছু অনলাইন সংবাদ পত্র এবং সাংবাদিকদের। এই সব সাংবাদিকদের ভোটের জমায়েত, রেশন কার্ডের জন্য লাইন, লক্ষী ভাণ্ডারের জন্য জমায়েত, বা অন্য কোনও কারণে জমায়েত চোখে পড়ে কেবল ট্রেন চলাচল করলেই চোখ পড়ে। কয়েক জন সাংবাদিক তো লিখেছেন যে ট্রেন বন্ধ করার কথা ভাবছে রেল, মনে হচ্ছে ট্রেন চলাচল শুরু হয় এরা চান না। রাজ্য সরকারের তাহলে খুব ভালো হয়, ১১০ টাকা লিটার পেট্রোল ডিজেল ১০০ টাকা কিনে লোক যাতায়াত করতে বাধ্য হবে। রাজ্যের আয় বাড়বে যদি বিজ্ঞাপন টা একটু বেশি করে দেয় তাহলে সংবাদ পত্রের আয় বাড়ে, ট্রেন চলাচল করলে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ গুলো যা ছোট খাটো কাজ করতে সহজে শহরে যেতে পারবে এবং ঐ সব মানুষের সামান্য হলেও আয় বৃদ্ধি পাবে যা দিয়ে দিন আনা দিন খাওয়া মানুষ গুলো এই দূর্মূল্যের বাজারে একবেলা হলেও খেতে পাবে। চার দিকে বেকারের হাহাকার চাকরি না পেয়ে বেকার ছেলে মেয়েরা কলকাতার রাস্তায় দিনের পর দিন বসে আছে, আজ এগারো বছর ধরে বেকার ছেলে মেয়েদের সাথে প্রতারণা করে যাচ্ছে। কত ছেলে আত্মহত্যা করেছে, সে খবর এরা রাখে না। ট্রেন চলাচল করলে  হকার ভাইয়েরা তাদের মা স্ত্রী সন্তান দের মুখে একবেলা হলেও অন্ন তুলে দিতে পারবে। সে সব খবর বা সংবাদদাতার নজর পরে না, কেবল চেষ্টা কীভাবে আবার এই ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া যায় তার ফন্দি । ট্রেনের ভীড় কমবে ট্রেন বাড়াতে হবে তাহলেই ভীড় কমবে, তা না করে রেল কর্তৃপক্ষ কী দেখল যে এই ছ মাস অল্প ট্রেন চালিয়ে যা প্যাসেঞ্জার হচ্ছিল এখন একটু ট্রেন বাড়িয়ে দিয়ে সমাধান হবে। কারণ একটাই লোক সংখ্যা কমাতে হবে। রেল কর্মীর সংখ্যা কম করতে হবে, খরচ বাঁচবে। 

বাঙালি ও বর্তমান ভারত।

 (ছবিটি নেট থেকে নেওয়া, একটি স্ক্রিনশট।) স্বাধীনতার পূর্বে ভারত কীরকম ছিল, ১৯৪৭ সালে ভাগ হওয়ার পর কেমন হয়েছে। কেন ভারত ভাগ করা হয়েছিল সে ...