ঋক বেদ পৃথিবীর প্রথম সাহিত্য। বেদ হচ্ছে পৃথিবীর প্রথম গ্রন্থ আমরা আমাদের বেদ চার টি ঋক, সাম, যজু, অর্থব। আমার যতদূর জানা আছে বেদ কথার অর্থ জ্ঞান। বেদ বিদ্যা দুই ধরনের একটি পরাবিদ্যা আরেকটা অপরাবিদ্যা। যে বিদ্যার চেয়ে আর কিছু নেই, যে বিদ্যার সন্ধান পেলে আর কিছুই জানার বাকি থাকে না সেটাই পরাবিদ্যা। কী সেই জ্ঞান যা জানলে আর কিছুই জানার বাকি থাকে না? সে জ্ঞান বিশ্বজ্ঞান। এই বিশ্বজ্ঞান কাকে আশ্রয় করে আছে? এই বিশ্বজ্ঞান স্বয়ং প্রকাশ। ইনি স্বয়ং জাত হয়েছেন। ইনি কখন জাত হলেন? এনার জাত হওয়ার পূর্বে কী ছিল? ইনি জাত হলেন এবং জাত হওয়ার পূর্বে অজ্ঞতা নামক অদৃশ্য বস্তু দ্বারা আচ্ছাদিত ছিলেন। তখন কোন কিছু ছিল না, যা আছে সেটাও ছিল না, যা পরে এসেছে তাও ছিল না। দিন রাতের প্রভেদ ছিল না, মৃত্যু ও ছিল না অমরত্ব ও ছিল না। তখন ছিল সেই বস্তু যিনি স্বয়ম্ভু আত্মজণ্মা তিনি বায়ূশূণ্য প্রাণ ক্রিয়ায় ব্যস্ত ছিলেন। কেবলমাত্র স্বীয় মায়ার সাথে অতি ক্ষুদ্র যার আর ক্ষুদ্র কিছু হয় না। বায়ূশূণ্য প্রাণক্রিয়ায় নিজেই নিজের মায়া সহকারে নিজে নিজেই জ্বলছিলেন। তিনি আত্মজণ্মা নিজের মায়ারূপ প্রজ্ঞা কর্ম কে ইচ্ছা করল। ( এখানে বোঝা যাচ্ছে যে পৃথিবীতে জীব সৃষ্টির আগে বায়ূশূণ্য ছিল, এবং ক্ষুদ্রাতি ক্ষুদ্র জীব ছিল।) অগ্নি জ্বল ছিলেন, তিনি নিজেকে প্রসারিত করতে আরম্ভ করে ছিলেন অধিক প্রাসরণের ফলে তার একটা অংশ ঊর্ধ্ব গতি পেল, তৈরি হল সূর্য। সূর্যের প্রতিটি কিরণ হল দেবতা, আর ঋক বেদ অনুযায়ী তিন জন ছিলেন, অগ্নি, বায়ূ এবং সূর্য পরে তেত্রিশ কোটি এখানে কোটি হচ্ছে ভাগ অর্থাৎ দেবতাদের কাজের দায়িত্ব দেওয়া। আসলে তেত্রিশ জন আছেন। তারা হলেন অষ্ট বসু, দ্বাদশ আদিত্য, একাদশ রুদ্র। ঋষি যাজ্ঞ্যবল্ক বলা নাম।
বেদের জ্ঞান অর্জন না করে যারা এর ভুল ব্যাখ্যা করেন তারা অবশ্যই পড়ে নেবেন। কারণ বেদ হচ্ছে পৃথিবীর প্রথম সাহিত্য এখানে কীভাবে পৃথিবীতে জীবন এল এবং জল বায়ূ, ও অন্যান্য সব কিছু জীবন পেল তার ব্যাখ্যা করা আছে। অবশ্যই প্রতিটি এক একজন দেবতা নিয়ন্ত্রণ করেন। প্রথম দিকে আর্যরা কোন মূর্তি পূজা করতেন না, যা পার্থিব যা দেখা যায় এবং সব কিছু নিয়ন্ত্রণ করে তাদের পূজার প্রচলন ছিল। অগ্নি, সূর্য, বায়ূ ও জল, যদি ভালো করে পড়েন সেখানে আছে যে সূর্যের তাপে মেঘ হয়েছে কিন্তু বায়ূ বাধা দিচ্ছে বৃষ্টি হয়ে ঝড়ে পড়তে তখন ইন্দ্র তার বজ্র দিয়ে মেঘের পথ করে দিচ্ছেন যাতে বৃষ্টি হতে পারে। এখানে হয় তো বিজ্ঞান গত ব্যাখা নেই। প্রতিটি ঘটনাই দেবতা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত, কিন্তু সৃষ্টির রহস্য এখানে আছে। অগ্নি হলেন মূল দেবতা সে কারণেই প্রতিটি বেদে অগ্নির পূজার কথা বলা হয়েছে। মন্ত্র যে বলা হয় সেখানে প্রায় সর্বত্র অগ্নির কোন না কোন রূপের নাম আছে। এখানে একটি মন্ত্রের উল্লেখ করা যাক। সোমং রাজনং বরুণমাবার অগ্নি ভামহে । আদিত্যং বিষ্ণু সূর্যং ব্রহ্মণাঞ্চ বৃহস্পতিম । এটি সামবেদীয় স্বত্ত্বি সুক্ত।
এর পরে ওম বা ওঁ শব্দ টি কি সে নিয়ে লেখা থাকবে। সকলে পড়বেন এবং ব্লগের কমেন্ট বক্সে মন্তব্য লিখতে ভুলবেন না। কারণ ব্লগের কমেন্ট বক্সে মন্তব্য করলে ভালো মন্দ বোঝা যায়।
No comments:
Post a Comment