Anulekhon.blogspot.com

Wednesday, 3 November 2021

দুর্গা পুজো ঘটনার পরেও পাল্টায় নি বাংলাদেশ।

 গত দুর্গা পুজো গোটা বাংলাদেশ জুড়ে তাণ্ডব চালিয়েও বাংলাদেশ তথাকথিত শান্তির ধর্মের লোকজন ক্ষান্ত হননি। দেখুন কালি পুজোর শুরুতেই শুরু করেছে তাদের সেই স্বভাব সিদ্ধ কাজ।


বাংলায় একটা প্রবাদ আছে, কয়লার ময়লা যায় না শত ধৌত করে আমার স্বভাব যাবে না আমি না মরিলে। আসল কারণ এদেশের সরকারের ভূমিকা এই দেশের সরকার এটা চায় যে এখানে সংখ্যালঘু বলে কিছু থাকবে না। কারণ একটা ছোট দেশ ভারতের বড়ো বড়ো যে রাজ্য আছে তার সমান সেখানে এই দেশের লোক সংখ্যা আঠারো থেকে উনিশ কোটি। ধর্মের দোহাই দিয়ে ছারপোকার মত বংশ বিস্তার করে আর মানুষের উপর অত্যাচার নামিয়ে দেয়। কি খাবে কি পরবে, কি কাজ করবে কোথায় থাকবে সে সব জানার দরকার নেই, অধিকাংশের আধুনিক শিক্ষা নেই, ঐ আলেম হালেম উলেম এই সব ওদের বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পড়ানো হয়। আর এই শিক্ষা নিয়ে প্রতিনিয়ত ধর্ম ধর্ম করে বেড়ায় আর লোকসংখ্যার বলে অত্যাচার করে সম্পদ দখল করে কারণ একটাই যত লোক সংখ্যা বাড়ছে চাষ যোগ্য জমি বাসস্থানে পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে। আর কিছু বছর অপেক্ষা বাংলাদেশ পুরোপুরি অন্য দেশ থেকে বিপুল পরিমাণ খাদ্য আমদানি করতে বাধ্য হবে। কারণ চাষ যোগ্য জমি কমে আসছে বাসস্থান করতে বা ভিটি করতে বাধ্য হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গের অবস্থাও একই দিকে যাচ্ছে, চাষ যোগ্য কমে গেছে ইতিমধ্যেই অন্য রাজ্যের থেকে মাছ, ডিম এমনকি থাইল্যান্ড থেকে চাল না এলে পশ্চিমবঙ্গরে মানুষ খেতে পাবে না। আর বাঙালি মানে এই শান্তির ধর্মের লোকজন কেবল ধর্মের দোহাই দিয়ে লোক সংখ্যা বাড়িয়ে চলেছে, বাংলাদেশের সরকারের মদতে এসব চলছে। দুর্গা পুজোর ঘটনা নিয়ে সারা বিশ্ব জুড়ে প্রতিবাদ হল তাতেও এরা নিজেদের পাল্টায় নি। আর এ অত্যাচার আজকের না দীর্ঘ দিনের, কারণ একটাই সম্পদ লুট আর কিছু না। এ দেশের ধর্ম ব্যবসায়ী গন প্রতি নিয়ত মানবতা বিরোধী প্রচার করে চলেছে তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেই। পুলিশ কী করে উল্টো টা করতে অভ্যস্ত তারা খুঁজে খুঁজে বের করবে কোথায় দুর্বল সংখ্যা লঘু সম্প্রদায়ের কাউকে গ্রেফতার করা যায় কিনা। যেমন দুর্গা পুজোর ঘটনায় অনেকেই আটক হয়েছে তুচ্ছ কারণে আসল যারা অপরাধী তারা বাইরে আছে কারণ একটাই ধর্ম। বাংলা দেশের পুলিশ সেও তো ঐ ধর্মের মানুষ বেশি তারাও চায় এটা ঘটেছে ঘটুক না হলে অত বড়ো একটা ঘটনার পর সারা বিশ্ব তোলপাড় হয়ে গেল। সেখানে দাঁড়িয়ে এরা শিক্ষা নেয় নি আরম্ভ করেছে কালী পুজোতেও। আমার সন্দেহ হয় এই বাংলাদেশের সেই মহান বিপ্লবীর জণ্ম হয়েছিল তো! মাষ্টার দা সূর্য সেন, বিনয় বাদল দিনেশ বাঘা যতীন, যতীন দাস, প্রীতিলতা, কল্পনা দত্ত। আবার দরকার হয়ে পড়েছে এদের, কোথায় উল্লাস দত্ত বারীন ঘোষ, আবার  নেতাজির ফিরে আসার দরকার না হলে এই শান্তির ধর্মের মানুষের অত্যাচার কমবে না। কারণ এরা শান্তি কি জানে না চায় না মানুষ শান্তিতে বসবাস করুক। সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি খুঁজে বেড়ায় কীভাবে অশান্তি লাগানো যাবে। 

No comments:

Post a Comment

বাঙালি ও বর্তমান ভারত।

 (ছবিটি নেট থেকে নেওয়া, একটি স্ক্রিনশট।) স্বাধীনতার পূর্বে ভারত কীরকম ছিল, ১৯৪৭ সালে ভাগ হওয়ার পর কেমন হয়েছে। কেন ভারত ভাগ করা হয়েছিল সে ...