Anulekhon.blogspot.com

Thursday, 25 November 2021

দেশের গনতন্ত্র আজ বিপন্ন ।


 ত্রিপুরা রাজ্যের পুরসভার ভোট রিগিং এর ছবি, এটা কেবল ত্রিপুরা না আমরা আমাদের পশ্চিমবঙ্গরে বিভিন্ন নির্বাচনে এবং দেশ ব্যাপি নানা নির্বাচনে এটা দেখে থাকি এখন এটা ভীষণ পরিমাণে বেড়ে গেছে। কারণ শাসকের ক্ষমতায় আসার লোভ বা ক্ষমতা ধরে রাখার লোভ না হলে তার পতন অনিবার্য এবং শাস্তির মুখে পড়তে হবে। এই শাসন অর্থাৎ পরিবার কেন্দ্রীক শাসন স্বৈরাচারের নামান্তর, কেন্দ্রীয় সরকারের শাসন দেখুন সেখানে 'শা এবং মোদী  তার ভাই বোন কাকা দের সম্পদ এই কয়েক বছরে কয়েক গুণ বেড়েছে এবং দিনের পর দিন আরো বাড়ছে। আমাদের রাজ্যের দিকে নজর দিন কালি ঘাটের একটি পরিবারের সম্পদ এবং আরও কয়েকটি পরিবারের সম্পদ দিন দিন বাড়ছে আর রাজ্যের তথা দেশের খেটে খাওয়া মানুষের আয় দিনের পর দিন কমছে। কাজ হারিয়ে আজ বেকারের সংখ্যা বাড়ছে, শিক্ষিত অর্ধ শিক্ষিত বেকার যুবক যুবতী আজ ভারত বর্ষে তথা আমাদের রাজ্যে সব থেকে বেশি। কারণ স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট সরকার, এরা নিজের এবং পরিবারের আয় ছাড়া আর কিছু জানেন না। সাধারণ মানুষ উচ্ছন্নে যাক, এই কারণেই গনতন্ত্রের অন্তর্জলি যাত্রা শুরু হয়েছে। এই স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট শাসক কি করে কিছু মানুষ ঠিক করে রাখে যাদের সামন্য ভাগ দেয়, তারাও আবার নিচু তলার কিছু লোক ঠিক করে রাখে বিভিন্ন ভাবে মদ মাংস খাওয়া ব্যবস্থা করে দেন প্রায় খরচ যোগায় স্থানীয় কিছু ব্যবসায়ী বা কারখানার মালিক। এভাবেই গনতন্ত্র ধ্বংস করে নিজের আখের গুছিয়ে নেয় এই সব তথাকথিত নেতা মন্ত্রীর দল, তার সাথে থাকে কিছু ব্যবসায়ী। দুটো দলের মিল পশ্চিমবঙ্গের স্থানীয় নির্বাচনে এরাও ৩৪% আসন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জেতে আর ত্রিপুরার শাসক বিজেপি ও স্থানীয় নির্বাচনে ৩৪% শতাংশ আসন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জেতে। ত্রিপুরার একমাত্র লোকসভা আসনে নির্বাচন সন্ত্রাসের কারণে পিছিয়ে দিতে হয় নির্বাচন কমিশন কে। এ রাজ্যের গত পুরোসভার নির্বাচনের কথা মনে আছে বিধাননগর পুরসভার রাস্তায় সাংবাদিকদের পিটিয়ে তাড়িয়ে দেওয়া। মানুষ কে ভোট দিতে না দেওয়া, ওটা একটা উদাহরণ, বর্ধমানের নির্বাচন বিরোধী দের প্রার্থী পদ প্রত্যাহার করে নেওয়া, বা বুথ এজেন্ট বসতে বারণ করা কারণ লাগাম ছাড়া সন্ত্রাস কারণ শাসক চায় বিরোধী শূন্য করতে যেটা তিনি এবারের বিধানসভা নির্বাচনে করে দেখিয়ে দিলেন। এক মাত্র বিরোধী নৌসাদ সিদ্দিকী আর একটু ভেবে দেখবেন রাজ্যের বিধানসভায় নামে বিরোধী এবং মিডিয়ার প্রচারের জন্য বিরোধী কিন্তু বাস্তবে নেই কারণ একটাই দূর্নীতির টাকার ভাগ বাটোয়ারা সমান সমান এই কারণেই সামনে বিরোধী পিছনে বা আড়ালে গলায় গলায় ভাব। আর এই কারণেই দুই দলের কর্মকান্ড সব এক। এ বিষয়ে অতীতের এক বিদেশি শাসকের কথা মনে পড়ে গেল। আগে তার ছবি টা এখানে দিই তার পর তার সম্পর্কে লিখব। 

ছবিটি screenshot নেওয়া ।
ইনি ছিলেন ফিলিপিনসের প্রেসিডেন্ট ফার্দিনাল মার্কো ইনি ভোটে নির্বাচিত হন এবং এক টানা কুড়ি বছর ফিলিপিনসের প্রেসিডেন্ট পদে ছিলেন। ইনি আট জন শিল্পপতি কে দেশের সমস্ত সম্পদ বিক্রি করে দিয়ে ছিলেন, গনতন্ত্র ধ্বংস করে দিয়ে বারবার ক্ষমতায় আসতেন। শিল্পপতি দের দেশের সম্পদ তুলে দেওয়া মধ্যে দিয়ে এনার পরিবারের সদস্যদের প্রচুর সম্পদ প্রাপ্তি ঘটে। সে দেশে এই আট জন শিল্পপতি কে মানুষ মজা করে অক্টোপাস বলে ডাকত। এবার আমার দেশ এবং রাজ্যের শাসক দলের দিকে তাকিয়ে দেখুন কয়েকটি পরিবারের লোকজনের সম্পদ এই মহামারীর সময়েও বেড়ে চলেছে আর দেশ তথা রাজ্যের খেট খাওয়া মানুষের অবস্থা দিনের পর দিন খারাপ হচ্ছে। কারণ শাসক আজ স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট সরকারের হাত থেকে মুক্তির একটি পথ আন্দোলন আর আন্দোলন, আপামর জনসাধারণ কে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করতে হবে। যেটা ফিলিপিনসের শাসক কে সরাতে সেখানের জনগণ করে ছিলেন।

ছবিটি screenshot নেওয়া । পড়ে দেখতে বলছি একটু দেখুন অনেক মিল পাওয়া যাবে। 

No comments:

Post a Comment

বাঙালি ও বর্তমান ভারত।

 (ছবিটি নেট থেকে নেওয়া, একটি স্ক্রিনশট।) স্বাধীনতার পূর্বে ভারত কীরকম ছিল, ১৯৪৭ সালে ভাগ হওয়ার পর কেমন হয়েছে। কেন ভারত ভাগ করা হয়েছিল সে ...