Anulekhon.blogspot.com

Thursday, 11 November 2021

আমরা আধা স্বাধীন দেশে বাস করি।

 ১৯৪৭ সালের ১৪ ই আগস্ট ধর্মের নামে দেশ ভাগের মধ্যে দিয়ে দুই দুই পাকিস্তান নিয়ে ১৫ ই আগস্ট ভারত কে স্বাধীনতা দেওয়া হয়। আসলে স্বাধীনতা আসে ব্রিটিশ কমনওয়েলথের সদস্য হিসেবে স্বাধীনতা লাভ করে অর্থাৎ সব কিছু করতে পারে ভারত কিন্তু ব্রিটিশ কে সামান্য হলেও কর বা ট্যাক্স দিয়ে যেতে হবে বরাবরের জন্য। একদিক থেকে যেমন আমরা আংশিক স্বাধীন কারণ আমাদের অনশনে বসা রাষ্ট্র পিতা অর্থাৎ সকল ভারত বাসীর গুজরাতি বাবা, যার জন্য আমরা স্বাধীন হয়েছি সকলের মতামত তাই। কী রকম স্বাধীনতা। ১)স্বাধীনতার ৭৫ বছর পরেও নিরক্ষর দেশের তকমা ঘোচে নি। ২) দেশের সম্পদের ৭০%  থেকে ৮০% দেশের ৩% ধনকুবেরের আওতায়। ৩) এখনো ৭৫% মানুষ আধবেলা খেয়ে ঘুমাতে যায়, কিছু আছে খেতে পায় না। খাওয়া না জোটার মানুষের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা সব থেকে বেশি আমার দেশে ।আর এই কারণেই স্বাধীনতার পর বামপন্থী দের শ্লোগান ছিল, " লাখ লাখ মানুষ ভুখা হ্যায় /এ আজাদি ঝুটা হ্যায়।" ৪) অর্থনৈতিক স্বাধীনতা সে কোন ভারতবাসীর নেই। একমাত্র ধনী ব্যক্তি ছাড়া। ৫)এই গ্যাঁড়া তন্ত্র ( গনতন্ত্র) মানুষ কে ভোট দেওয়ার অধিকার দেওয়া হয়েছে কিন্তু দুর্ভাগ্য এদেশের সর্বত্র জনগণ ভোট দিতে পারেন না। লড়াই করতে হয় গুণ্ডা মাফিয়া তোলাবাজ দের সাথে। ভোটের আগেই সেনাবাহিনী পাহারাদার লাগে এখন তো দেখছি কোন কোন ক্ষেত্রে সেই সেনাবাহিনী ও নকল অর্থাৎ ঐ সব গুণ্ডা মাফিয়া চোর চিটিংবাজ মিথ্যাবাদী দের পাঠান লোকজন। ভোটের আগে নেতারা একটা করে প্রতিশ্রুতি দেন ভোটের পর ভুলে যান। মানুষ যদি কোথাও ভোট দিতে পারেন তবে কিছু দিনের মধ্যেই সে দল বদল করে অন্য কোন দলে নাম লেখায়। মানুষের ভোটের কোন মূল্য নেই কারণ জানে একবার জিতে গেল ব্যস সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস তুলে দেওয়া তার কাজ। জিনিস পত্র দাম বাড়ানোর, মানুষের করের টাকা লুঠ করা এসব এখন নেতা মন্ত্রী দের কাজ ।সেই কারণেই নেতা মন্ত্রীরা নিরাপত্তা নিয়ে ঘোরে ভয়ে। ভোটের আগে সাধারণ মানুষের মধ্যে যায় আর ভোটের পর সাধারণ মানুষের তার কাছে যাওয়ার অধিকার নেই।

৬) সরকারের সমালোচনা করলে, তাকে শাস্তি পেতে হবে হয় সে মাওবাদী, নয় সন্ত্রাস বাদী, নয় তো মিথ্যা কেসের ফোয়ারা ছুটবে না হলে, ঐ গুণ্ডা মাফিয়া দিয়ে ভিটে মাটি ছাড়া করা হবে। না হলে খুন হতে হবে যার কোন বিচার নেই কারণ বিচার সে তো বড়লোক তথাকথিত ধনীর জন্য। যার টাকা আছে সে কোর্টে যাবে যার নেই সে পরে পরে মার খাবে।

৭) এই বঙ্গে প্রতিটি নির্বাচনের আগে এবং পরে কত নীরিহ মানুষের নামে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে সে বলে শেষ করা যাবে না। আর কত লোক ঘরছাড়া আছে সেও গুনে শেষ করা যাবে না।

৮) চোর, চিটিংবাজ, মিথ্যাবাদী, বাটপার, তোলাবাজ, মাতাল টিভির দৌলতে ভালো মানুষ এবং রাষ্ট্র নায়ক হয়ে যাচ্ছে মানুষের কিছু বলার নেই।

৯) বাক স্বাধীনতার ঘোষণা আছে, কিন্তু বাস্তবে তা নেই।

১০) অনেক সময়ে সাধারণ মানুষের বেঁচে থাকার অধিকারটাও কেড়ে নেওয়া হয়েছে বা হচ্ছে।

১১) একটা স্বাধীনতা আছে, একটু খাবারের আশায় এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে ঘুরে বেড়ানোর, বর্তমান ভারতের যুব সমাজ ক্রমশ অন্ধকারে ডুবে যাচ্ছে। শিক্ষিত যুব সমাজের কাছে কাজ নেই, দেশে এবং এই রাজ্যে বেকার যুবক যুবতী অনশনে বসে আছে।

আরও আছে লিখে শেষ করা যাবে না। যে দেশে সত্যি স্বাধীনতা আছে সেখানে মানুষের সব অধিকার আছে এখানে অধিকার কেবল সংবিধানে আছে কিন্তু বাস্তবে নেই। 

No comments:

Post a Comment

বাঙালি ও বর্তমান ভারত।

 (ছবিটি নেট থেকে নেওয়া, একটি স্ক্রিনশট।) স্বাধীনতার পূর্বে ভারত কীরকম ছিল, ১৯৪৭ সালে ভাগ হওয়ার পর কেমন হয়েছে। কেন ভারত ভাগ করা হয়েছিল সে ...