গত লোকসভা নির্বাচন থেকে শুরু করে বর্তমান পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে বামেরা একটি আসন পায় নি। মানুষ তাদের শূন্য করে দিয়েছেন। কিন্তু কী আশ্চর্য ব্যাপার দেখুন সেই নির্বাচনে সময় বা বলতে গেলে সেই ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে থেকেই দিকে দিকে তাকিয়ে দেখুন বেশি আক্রান্ত বামেরা হয় তাদের পার্টি অফিস নয় তাদের কর্মী সমর্থকদের আক্রান্ত হতে হচ্ছে বারে বারে কাদের দ্বারা বর্তমান শাসক দলের জল্লাদ বাহিনী দ্বারা। দুবরাজপুরের ঘটনা বাদল শেখ যিনি নভেম্বর বিপ্লব স্মরণে গত সাত তারিখে আক্রান্ত হলেন এবং মারাও গেলেন এছাড়াও আক্রান্ত হল আরেকটা জায়গায় পার্টি অফিস।
কেন এই আক্রমণ বার বার এর অন্তর নিহিত কারণ বুঝতে হলে গভীরে যেতে হবে। বাংলায় সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এগিয়ে একমাত্র বামেরা, কেবল সাম্প্রদায়িক শক্তি নয় মানুষের জীবন জীবিকার লড়াই এই রাজ্যে অগ্রনী ভূমিকায় বামপন্থী ছাত্র যুবরা আর সব থেকে বড় বিষয় বামেদের কিছুতেই আটকে রাখা যাচ্ছে না। সংগঠন বেড়ে চলেছে নতুন প্রজন্মের শিক্ষিত ছেলে মেয়েরা এগিয়ে আসছে। ছ মাসের ব্যবধানে গত উপ নির্বাচনে তারা ভোট বাড়িয়েছে দু তিন টি জায়গায় বিজেপির থেকে ভালো ফল করেছে। এটাই রাগ তথাকথিত বিজেপি বিরোধী শাসক দলের। কারণ এই শাসক দল জানে বিজেপির অর্ধেকের বেশি তৃণমূলের লোকজন এরা যে কোন মূহুর্তে দলে ফেরত আসবে। রাজ্য বিরোধী শূন্য হবে এর মধ্যেই লক্ষ্যনীয় ভাবে বামেদের বৃদ্ধি মানে বিরোধী তৈরি হওয়া যেটা কিছুতেই চায় না বর্তমান শাসক দল। যেমন করে হোক রাজ্যে বিরোধী শূন্য করতে হবে। কিন্তু বামেদের উপস্থিত মানে দাদার অসুবিধা দিদি কখনো চান না এটা হোক আর সেই কারণেই বামেদের উপর আক্রমণ। একদিকে প্রচার তোরা তো শূন্য অথচ শূন্য পাওয়া দল টাকে এত ভয়। আন্দোলন আরও তীব্র করতে হবে গরীব খেটে খাওয়া মানুষের দাবি আদায়ের আন্দোলনের বিকল্প নেই। বামপন্থী কোন মিডিয়া নেই একমাত্র ঐ গনশক্তি ছাড়া ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ায় এখন বিজ্ঞাপন নির্ভর সে কারণেই গরীব মানুষের রুটি রুজির আন্দোলন দেখাবে না। পারলে মোরে মোরে পাড়ায় পাড়ায় প্রচার করতে হবে, কোন ভাবেই কোন দক্ষিণ পন্থী দলের সাথে জোট নয় কেবল বামপন্থী তথা বামফ্রন্ট প্রার্থী হিসেবে দেওয়াল লিখন থাকবে।
No comments:
Post a Comment