Anulekhon.blogspot.com
Friday, 31 July 2020
কেমন নেতা মন্ত্রী, নিজেরা এত ভাল কাজ করে যে নিরাপত্তা নিয়ে ঘোরে!
Thursday, 30 July 2020
সোজা কথা, দিদি কে বলিছি, কাঁচা আনাজে হাত দেওয়া যাচ্ছে না।
দিদি আপনার কাছে আমার সোজাসুজি জিজ্ঞাসা, মনে আছে আপনি, আর আপনার দল সেদিন কলকাতার রাস্তায় একটা মিছিল করে ছিলেন। সাদা থার্মোকলের থানায় লেখা ছিল, এত দাম খাব কি? এখন এই প্রশ্ন আপনার কাছে আমার, আপনি ক্ষমতায় আসার পরে, 2011 থেকে 2012 সালের মধ্যে, 12 টাকা স্বর্ণ মাসুরী মোটা বা সবথেকে কম দামের চালের দাম হয়ে গেল, 24 টাকা, এখন ঐ চালের দাম 32 টাকা, আর ভালো সরু চাল, বাম আমলে দাম ছিল 18 টাকা, আপনি ক্ষমতা দখল করতে না করতেই 28 টাকা হল। এখন দাম 45 থেকে 46 টাকা। আনাজের কথা কি বলব সারা বছর কিনছি,30 থেকে 40টাকা আর এই করোনা লকডাউনের সময় প্রায় সব আনাজে 80 থেকে 100 টাকা। আলু 30 থেকে 35 টাকা। আর কাঁচা লঙ্কা সে তো জাতে উঠেছে, আদা রসুন সে তো অনেক আগেই জাতে উঠেছে। আমাদের অপেক্ষা করতে হবে সেই শীত পর্যন্ত। এই মহামারী সময় বহু লোকের কাজ নেই, কি দিন কাটছে তারাই জানে, তার উপর আবার এই জিনিস পত্রের দাম সত্যি এরকম চলতে থাকলে, না খেয়ে মানুষ মারা যাবে। মানুষের বেঁচে থাকার জন্য যা যা প্রয়োজন প্রতি জিনিসের দাম আকাশ ছোঁয়া, বিদ্যুৎ বিল সে তো বলে কথা নেই, দুটি আলো আর দুটো ফ্যান তাও সব সময় চলে না। এই লক ডাউনের আগে বিল আসত তিন মাসের, 300 থেকে 450 টাকা এই লক ডাউনে বিল এসেছে 1658 টাকা তিন মাসের, আয় কি পরের কাছে দিন মজুর এই লক ডাউনে সেও মাঝে মাঝে বন্ধ, যদি বা কাজ করে মজুরি কত দু শো টাকা। তাও ঠিক মতো কাজ জোটে না, আর দিদির বক্তব্য আমি রেশন দিচ্ছি, দিদি এদের রেশন কার্ড সংশোধন জন্য আবেদন করতে করতে আপনার জমানা শেষ হয়ে গেল। আর ঐ কুপন সে তো আপনার ভাই ভাইপো আর ভাইঝি দের দখলে, এরা যে বামপন্থী তাই না। হাতে না মারলে ভাতে মারব, আপনি আর আপনার এই ভাই ভাইপো ভাইঝি রা ক্ষমতায় আসার আগে বলে ছিলেন, রেশন কার্ড নেতাদের বাড়িতে তৈরি করা হয়। এখনও কোন কিছু পাল্টে যায়নি, সেই ট্যাডিশন সমানে চলছে। আর ঐ আন্দোলন এত দাম খাব কি? এখন মহামারীর সময় আয় নেই, কাজ হারা জনগন সেখানে দাঁড়িয়ে প্রতি নিয়ত আপনার জমানায় জিনিসের দাম বাড়ছে। কি হবে এই সব লক ডাউনে করোনার চেন ভাঙতে চাইছেন, বিনা পরীক্ষা বিনা চিকিৎসায়, আর দু দিন লক ডাউনে কতটা কমবে, হাওড়া ও কলকাতায় সাধারণ মানুষের যাওয়া বন্ধ করে দিন দেখবেন, জেলা গুলোর করোনা অর্ধেক কমে গেছে, করোনা বাড়াচ্ছে, রেল আর আপনার ঐ কলকাতার অফিস যাত্রীরা, আপনি জেনে বুঝে কলকাতার অফিস গুলো খুলে দিলেন। আর কি করা যাবে, একদিকে না খেয়ে থাকা, আরেক দিকে কলকাতা হাওড়ার অফিস যাত্রী দের দ্বারা করোনা ঘরের দোরগোড়ায়। আপনি ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন, 2021 সাল আসছে বিধানসভা নির্বাচনে জিতে আসতে হবে না হলে আপনার ভাই ভাইপো ভাইঝি দের চলবে কি করে?
Sunday, 26 July 2020
এই হচ্ছে, সত্যি কার বাঙালি, খুঁজে বেরিয়েছে বাঙালি শিল্পপতি বিরোধী।
ছবিটি শ্রমজীবী নামের একটি ফেসবুক পেজের, তাদের তৈরি এই ছবি ব্যবহার করলাম বিনা অনুমতিতে। শ্রমজীবী র কাছে কৃতজ্ঞ।
আমি জানি না, উনি মানে তথাগত রায় মহাশয় কোথায় পেলেন, যে বাঙালি আদানি, আম্বানি বিরোধী, বা শিল্পপতি বিরোধী। কখনো এটা হতে পারে, শিল্প ছাড়া দেশ এগিয়ে যায় না। নতুন নতুন আধুনিক শিল্প চাই, আর আমার দেশের শিল্পপতিরা সেই শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলবে সেখানে সাধারণ মানুষ কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করবে, এটা নিয়ে কেউ বিরোধীতা করে নি। বিরোধী সরকারের সরকার সরকারি ব্যবস্থা বন্ধ করে দিয়ে, বা ঐ শিল্পপতি বা ব্যবসায়ী কে বিক্রি করে দিয়ে, সাধারণ মানুষ কে বেশি টাকা খরচ করে পরিষেবা নিতে বাধ্য করে তুলেছে সেই খানেই প্রতিবাদ। প্রতিবাদ সেই খানে যে শিল্প বা ব্যবসা করার নামে কোটি কোটি টাকা ঋণ নিয়ে শোধ না করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া নিয়ে। আবার দেশের এই, যে শিল্প বা সংস্থা কিনবে তাকে ঋণ দেওয়া হবে, টাকা টা আপামোর জনসাধারণের ব্যাঙ্কে গচ্ছিত টাকা, কিছু দিন পর সে বলবে বা দেশের নেতাদের ধরবে আমি বা আমরা ঐ ঋণ শোধ করতে পারছি না। সরকার সাথে সাথে, যাও তোমাদের ঋণ মুকুব করে দেওয়া হল। আর সাধারণ মানুষ চাষের বা অন্য প্রয়োজনে সামান্য এক লক্ষ টাকা বা তার কম ঋণ নিয়েছে তার গলায় পা দিয়ে সেই ঋণ আদায় করা হবে, না হলে শাস্তি অনিবার্য তার ঋণ মুকুব নেই। আপত্তি টা এখানে, চড়া সুদে সাধারণ মানুষ ঋণ নিয়ে শোধ করতে না পারলে ছাড়া হবে না। আর কম সুদে, দেশের সম্পদ কেনার জন্য ঐ ব্যবসায়ী বা শিল্পপতি দের ঋন শোধ করতে পারব না বলে দিলে ঋণ মুকুব করা হবে। ব্যাঙ্ক ব্যবসা লাটে উঠুক, বীমা জাহান্নামে যাক, তবুও ওদের থেকে এক টাকা আদায় করা যাবে না। মানুষ মরুক দেখার দরকার নেই, আমার মুনাফার হলে হবে, এই যে জিও এলো বিনা টাকায় সিম কার্ড, তার, পর 99 টাকা প্রাইমের জন্য 299 টাকা 84 দিন, এখন সেটা 599 টাকা, ওদিকে BSNL কে সুযোগ দেওয়া হল না। 4G করার জন্য, এখন তো শুনছি রেল বিক্রি করে দেওয়া হবে ঐ সব ব্যবসায়ী কে, আপনার কি সরকারের টাকায় মানে সাধারণ মানুষের করের টাকায় প্লেন চেপে ঘুরে বেড়াবেন, আর সাধারণ মানুষ ট্রেনে একটা স্টেশন বড় জোর 3 থেকে 4 কিলোমিটার এখন যাচ্ছে, 5 টাকা দিয়ে তখন যাবে 50 টাকা দিয়ে খুব ভালো ব্যবস্থা। সাধারণ মানুষ ব্যাঙ্কে জমা করছে টাকা, ঐ ব্যবসায়ী রা কিনে নিয়েছে ব্যাঙ্ক কিছু দিন পর বলবে ঐ টাকা আমি আর ফেরত দিতে পারব না। সুদ দেওয়া দূর, টাকা জমাতে হলে ব্যাঙ্ক তার চার্জ কেটে নেবে, উল্টে কিছু দিন পর গনেশ উল্টে চলে যাবে। কোটি কোটি মানুষ পথে বসবে আপনার দেখতে খুব ভাল লাগবে। এই জন্য আমরা বাঙালি, নিজের পায়ে কুড়ুল মেরে দেশ ভাগ করে স্বাধীনতা নিয়েছি। আপনার মতো চরম সুখে থাকা সরকারের টাকায় মানে জনসাধারণের করের টাকায় সুখে শান্তিতে আছেন আর বড়ো বড়ো কথা বলে দিচ্ছেন। সত্যিই আপনি বাঙালি তো!
আমি জানি না, উনি মানে তথাগত রায় মহাশয় কোথায় পেলেন, যে বাঙালি আদানি, আম্বানি বিরোধী, বা শিল্পপতি বিরোধী। কখনো এটা হতে পারে, শিল্প ছাড়া দেশ এগিয়ে যায় না। নতুন নতুন আধুনিক শিল্প চাই, আর আমার দেশের শিল্পপতিরা সেই শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলবে সেখানে সাধারণ মানুষ কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করবে, এটা নিয়ে কেউ বিরোধীতা করে নি। বিরোধী সরকারের সরকার সরকারি ব্যবস্থা বন্ধ করে দিয়ে, বা ঐ শিল্পপতি বা ব্যবসায়ী কে বিক্রি করে দিয়ে, সাধারণ মানুষ কে বেশি টাকা খরচ করে পরিষেবা নিতে বাধ্য করে তুলেছে সেই খানেই প্রতিবাদ। প্রতিবাদ সেই খানে যে শিল্প বা ব্যবসা করার নামে কোটি কোটি টাকা ঋণ নিয়ে শোধ না করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া নিয়ে। আবার দেশের এই, যে শিল্প বা সংস্থা কিনবে তাকে ঋণ দেওয়া হবে, টাকা টা আপামোর জনসাধারণের ব্যাঙ্কে গচ্ছিত টাকা, কিছু দিন পর সে বলবে বা দেশের নেতাদের ধরবে আমি বা আমরা ঐ ঋণ শোধ করতে পারছি না। সরকার সাথে সাথে, যাও তোমাদের ঋণ মুকুব করে দেওয়া হল। আর সাধারণ মানুষ চাষের বা অন্য প্রয়োজনে সামান্য এক লক্ষ টাকা বা তার কম ঋণ নিয়েছে তার গলায় পা দিয়ে সেই ঋণ আদায় করা হবে, না হলে শাস্তি অনিবার্য তার ঋণ মুকুব নেই। আপত্তি টা এখানে, চড়া সুদে সাধারণ মানুষ ঋণ নিয়ে শোধ করতে না পারলে ছাড়া হবে না। আর কম সুদে, দেশের সম্পদ কেনার জন্য ঐ ব্যবসায়ী বা শিল্পপতি দের ঋন শোধ করতে পারব না বলে দিলে ঋণ মুকুব করা হবে। ব্যাঙ্ক ব্যবসা লাটে উঠুক, বীমা জাহান্নামে যাক, তবুও ওদের থেকে এক টাকা আদায় করা যাবে না। মানুষ মরুক দেখার দরকার নেই, আমার মুনাফার হলে হবে, এই যে জিও এলো বিনা টাকায় সিম কার্ড, তার, পর 99 টাকা প্রাইমের জন্য 299 টাকা 84 দিন, এখন সেটা 599 টাকা, ওদিকে BSNL কে সুযোগ দেওয়া হল না। 4G করার জন্য, এখন তো শুনছি রেল বিক্রি করে দেওয়া হবে ঐ সব ব্যবসায়ী কে, আপনার কি সরকারের টাকায় মানে সাধারণ মানুষের করের টাকায় প্লেন চেপে ঘুরে বেড়াবেন, আর সাধারণ মানুষ ট্রেনে একটা স্টেশন বড় জোর 3 থেকে 4 কিলোমিটার এখন যাচ্ছে, 5 টাকা দিয়ে তখন যাবে 50 টাকা দিয়ে খুব ভালো ব্যবস্থা। সাধারণ মানুষ ব্যাঙ্কে জমা করছে টাকা, ঐ ব্যবসায়ী রা কিনে নিয়েছে ব্যাঙ্ক কিছু দিন পর বলবে ঐ টাকা আমি আর ফেরত দিতে পারব না। সুদ দেওয়া দূর, টাকা জমাতে হলে ব্যাঙ্ক তার চার্জ কেটে নেবে, উল্টে কিছু দিন পর গনেশ উল্টে চলে যাবে। কোটি কোটি মানুষ পথে বসবে আপনার দেখতে খুব ভাল লাগবে। এই জন্য আমরা বাঙালি, নিজের পায়ে কুড়ুল মেরে দেশ ভাগ করে স্বাধীনতা নিয়েছি। আপনার মতো চরম সুখে থাকা সরকারের টাকায় মানে জনসাধারণের করের টাকায় সুখে শান্তিতে আছেন আর বড়ো বড়ো কথা বলে দিচ্ছেন। সত্যিই আপনি বাঙালি তো!
Saturday, 25 July 2020
ধর্ম ও বিজ্ঞানের যুদ্ধ যুগে যুগে।
ধর্মের সাথে বিজ্ঞানের যুদ্ধ যুগে যুগে, এর মনে হয় শেষ নেই। শেষ পর্যন্ত জয় হয় বিজ্ঞানের, তবুও কিছু ধর্মান্ধ মানুষ, যারা প্রতি নিয়ত বাধার সৃষ্টি করে যায় বিজ্ঞান কে, বা অস্বীকার করে যায় বিজ্ঞান কে। অতীত ইতিহাসের দিকে নজর দিলে দেখা যায়, ধর্মের সাথে বিজ্ঞানের সংঘাতের জন্য প্রাণ গেছে বিজ্ঞানীর, ব্রুন কে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হয়েছে। কোপারনিকাশ, গ্যলেলিও, এরকম আরও কিছু যারা বিজ্ঞানের কথা বলেছেন, তাদের কে নানা ধরনের অত্যাচার সহ্য করতে হয়েছে। এই সব ধর্মান্ধ মানুষ বেশিরভাগ টাই অশিক্ষিত, কিন্তু বর্তমানে আমরা দেখছি কিছু শিক্ষিত মানুষ বা অল্প শিক্ষিত মানুষ বিজ্ঞান আর ধর্মের সাথে মিল খুঁজতে ব্যস্ত। এই কাজ করতে গিয়ে তারা, বিভিন্ন অবৈজ্ঞানিক কথা বার্তা বলেছেন, নিজের কিছু হলে বা প্রচার থেকে, আরও কিছু কাজ সহজ ভাবে করতে বিজ্ঞানের আশ্রয় নিচ্ছেন। আমদের দেশে এরকম কিছু অল্প শিক্ষিত অর্ধ শিক্ষিত, অশিক্ষিত মানুষ ক্ষমতা দখল করে আছে। যারা প্রতিনিয়ত মানুষ কে বিভ্রান্ত করে যাচ্ছে, এই মহামারীর সময়ে, এমন সব কথা বলে চলেছেন, বা করতে বলছেন, এতে তাদের শিক্ষার অভাব পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে। গোমুত্র খাও, থালা বাজাও, ফুল ছাড়াও, গোমাতা কে পুজো করো, করোনা পুজোতো আমরা বেশ কয়েক বার দেখলাম, সোশ্যাল মিডিয়ায়। বিজ্ঞানের সাহায্যে এগুলো প্রচার পাচ্ছে, আর বিজ্ঞান কে অস্বীকার করে চলেছেন প্রতিনিয়ত, এখন আবার শুনলাম, পাঁপড় খেলে ইম্যুনিটি পাওয়ার বাড়বে, করোনা ভালো হয়ে যাবে। আবার শুনলাম রাম মন্দিরের ভিত দেওয়া শুরু হলে করোনা ভালো হয়ে যাবে। কেন এই নজর ঘোরাবার চেষ্টা, এর দুটি কারণ ১)নিজে দের অপদার্থতা ঢাকা দেওয়ার জন্য, যে আমরা চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে পারছি না। সঠিক রাস্তা গুলো আগেই বন্ধ করে দিয়েছি, সেই জন্যই আজ এই অবস্থা। ২)আমরা ক্ষমতায় এসেছি, কেবল মাত্র টাকার পাহাড় করব বলে, সাধারণ মানুষ তুমি মরলে কি বাঁচলে আমার দেখার দরকার নেই। আমি ক্ষমতা চাই, আর কোটি কোটি টাকা
Friday, 24 July 2020
সাধারণ মানুষের ভোটের মূল্য চাই।
খুব তাড়াতাড়ি আমরা হয়তো দেখতে চলেছি, পশ্চিমবঙ্গে আরেকটা রাজনৈতিক দল। কারণ যে ভাবে দিল্লি থেকে ফিরে এসেছেন। আর বাকি দের দিল্লি যাওয়া হয় নি। সে কারণেই মনে হচ্ছে, নতুন দল গঠন করা হতে পারে, না হলে লজ্জা হীন ভাবে পুরোনো দলে ফিরে যেতে হবে। সোশ্যাল মিডিয়ায় এবং অন লাইন সংবাদ পত্র পড়ে আমার মনে হয়েছে। যদি নতুন দল গঠন করা হয়, খুব ভালো হবে। তবে রাজনীতির লোক গুলো কে দেখে দেখে আমার মনে হয় এরা একদম লজ্জা হীন। টাকার জন্য সব পারে, দল বদল করা যেন মুড়ি মুড়কি, এটা বন্ধ করতে কড়া আইন চাই, যে মূহুর্তে দল বদল করবে সাথে সাথে তার সেই সদস্য পদ খারিজ করে দেওয়া হবে, এবং নতুন করে নির্বাচন করতে হবে। কারণ আমি একট দলের নীতি আদর্শ কে বিশ্বাস করে ভোট দিলাম, সে C. P. I. M. এর হয়ে জিতল কিম্বা কংগ্রেসের হয়ে জিতল, কিন্তু ক্ষমতা এবং টাকার লোভে চলে গেল শাসক দল বা অন্য দলে। তাহলে আমার বা সাধারণ মানুষের ভোটের দাম থাকল না। সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় উঠুক, এই সব দল বদলু দের সদস্য পদ সাথে সাথে খারিজ করে দিতে হবে। সে যে স্তরের নির্বাচিত প্রতিনিধি হোক পঞ্চায়েত থেকে শুরু করে এম পি পর্যন্ত প্রত্যেকের জন্য এরকম কড়া আইন চাই। আমার মতো সাধারণ ভোটারদের ভোটের মূল্য চাই।। বর্তমানে যারা ক্ষমতা আছে তারা তো দেশ বেচতে আর দল ভাঙিয়ে নিজের দলে নিয়ে সরকার গড়তে ওস্তাদ। সে টাকার বিনিময়ে হোক আর যেভাবেই হোক। এরা এরকম আইন আনবে না, এরা মানুষ কে মানুষ বলে মনে করে না। সাধারণ মানুষ ওদের কাছে একটা সংখ্যা মাাত্র, আমার মনে হয় আমার দাবিটি আমার মতো সকল সাধারণ ভোটারের । দল বদলু দের, সদস্য পদ খারিজ করতে হবে।পুনরায় নির্বাচন করতে হবে।
মহাপুরুষের হারিয়ে যাওয়া কথা (. আজ নজরুল ইসলাম)
(জাতের নামে বজ্জাতি সব, জাত জালিয়াতি খেলছে জুয়া।
ছুঁলে তোর জাত যাবে বলি জাত কি ছেলের হাতের মোয়া।
বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের একটি কবিতার দুটি লাইন। জাত বা ধর্ম নিয়ে প্রতি দিন যারা মানুষের উপর অত্যাচার করে যাচ্ছে। ধর্মের নামে জাতের নামে যারা অপর মানুষ কে ছোট করে যাচ্ছে। তাদের জন্য এই দুই লাইন, লেখা পড়া করুন সঠিক শিক্ষা লাভ করুন। যে শিক্ষা ধর্মের নামে জাতের নামে মানুষ খুন করতে শেখায় সে শিক্ষা শিক্ষা নয়। যে ধর্ম মানুষের উপর অত্যাচার করতে শেখায় সে ধর্ম, ধর্ম নয়। আজ ভারত বাংলাদেশ পাকিস্তানে এই ধর্মের নামে প্রতি নিয়ত মানুষের উপর অত্যাচার করা হচ্ছে। যেটা পাকিস্তান, বাংলাদেশে বেশি, সব থেকে বেশি আফগানিস্তানে, যে ধর্মের লোকজন এই অত্যাচার করে যাচ্ছে। তারা নাকি শান্তির ধর্ম পালন করে। আসল তা নয়, ওদের শিক্ষা ব্যবস্থা এর জন্য দায়ী। যে দেশের জাতীয় কবি নজরুল সে দেশে ধর্মের নামে মানুষ খুন। কারণ ধর্মের শিক্ষা আধুনিক শিক্ষা নয়, আমাদের দেশের বেশ কিছু রাজ্যের দলিতের উপর একই নির্যাতন নামিয়ে আনা হচ্ছে। কথায় কথায় সংখ্যালঘু, আর সংখ্যা লঘু নয়, ধর্মের হিসাবে কম লোকই পালন করে ঐ ধর্ম সেই জন্যই সংখ্যালঘু। আদিম কাল থেকে ধর্ম মানুষের মধ্যে একতা তৈরি করতে ব্যার্থ। আসুন আমরা মানবতা কে ধর্ম করি, কবির ভাষায় জাতের নামে ধর্মের নামে বজ্জাতি ত্যাগ করি। ধর্মের পাশাপাশি সত্যি কার শিক্ষা শুরু করে দিই। এখানে আরেকটা ছবি দিলাম যেটি কদিন আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় বেড়িয়ে ছিল।
এসব যে কোন সরকার ইচ্ছা করলে বন্ধ করে দিতে পারে। কেবল সঠিক সাজা দিতে হবে। আইন সবার জন্য সমান, সরকার কে সকল কে মানুষ বলে ভাবতে হবে। ধর্ম নয়, ধর্মের নামে মানুষে মানুষে হানাহানি বন্ধ করতে সকল দেশের সরকার কে এগিয়ে আসতে হবে। সত্যি কার আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে। আমি তো অবাক হয়ে যাই যে দেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম। সেই দেশের মানুষ এরকম ধর্মের নামে মানুষের উপর অত্যাচার করে যাচ্ছে। ধর্মের নামে এবং সম্পত্তি দখলের এই খেলা বন্ধ করতে হবে। যে দেশে জন্ম নেন সেটাই তার জণ্ম ভূমি। সেখান থেকে গায়ের জোরে তাকে উচ্ছেদ করা কোন ধর্মে আছে, কোন ঈশ্বর বা আল্লাহর নির্দেশ এটা হতে পারে! জণ্মের সময় কি পিঠে ছাপ মেরে পাঠায়, না বলে পাঠায় অন্য ধর্মের মানুষের উপর অত্যাচার করবি। আল্লাহ, ঈশ্বর সব কি আলাদা আলাদা নির্দেশ দিয়েছে, ঈশ্বর বলেছেন তোরা যতই অত্যাচার হোক সহ্য করে যাবি। আর আল্লাহ বলেছেন তোরা ধর্মের নামে মানুষের উপর অত্যাচার করবি, মানুষ খুন করবি তোকে আমি এই উপহার দেব। তাহলে ঈশ্বর ও আল্লাহ কে এক জায়গায় বসে মিটিং করে সমঝোতা করে নিতে হবে, কেউ কেউ কাউকে মারধর করবে না। কে কে বা কোন কোন সাধক দেখেছেন ঈশ্বর আল্লাহ, গড কে স্বচক্ষে, কেউ না, কারণ রামকৃষ্ণ সব মতে সাধনা করে জানিয়ে ছিলেন। যত মত তত পথ। কোন পথেই তার দেখা মেলে না, তিনি স্বশরীরে হাজির হন না। ওসব মানসিক কল্পনা, এবার বলবেন তুমি নাস্তিক মোটেও না। দু বেলা পূজো করি, কেবল জাতের নামে বজ্জাতি বা ধর্ম নিয়ে মাতামাতি করি না।
Thursday, 23 July 2020
যারা দাদা আর দিদির দলকে এখন সমর্থন করেন তাদের কাছে আমার কয়েকটি প্রশ্ন?
দেখে মনে হচ্ছে কত দরদ তাই না! আমাদের দাদা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আর দিদি মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী, অনেকেই এনা দের ভক্ত আছে, মুখ দেখে ভোট দিয়ে দেন, আবার অনেকে দলের ভক্ত আছেন, এনারা দুজনেই দুবার করে ক্ষমতা দখল করেছেন। অর্থাৎ গদিতে বসেছেন। এসব ছেড়ে আসল কথায় আসি, এই ভক্ত বা যারা দল করেন বা এখনো সমর্থন করে যাচ্ছেন, তাদের কাছে আমার কয়েকটি প্রশ্ন আছে।একবার নিজের বিবেকের কাছে প্রশ্ন করে দেখতে পারেন, বাংলার মানুষ যারা এখনও শাসকের হয়ে প্রচার করছেন তাদের জন্যে বলি, 2011 সালে ক্ষমতায় আসার আগে দিদি যা যা বলে ছিলেন সব করে দিয়েছেন? বাম নেতা মন্ত্রী দের জেলে দেবার জন্য 11 না 12 টা তদন্ত কমিটি গঠন করে ছিলেন, কি কি নেতাই, সাঁই বাড়ি, বিজন সেতু, নানুর, একুশে জুলাই, এরকম আরো অনেক বিষয়ে ও আরেকটা গৌতম দেব কে জেলে দেবেন বলে হিডক তদন্ত কমিটি গঠন করে ছিলেন, এছাড়া ছিল সিঙ্গুর, নন্দীগ্রাম, জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেসের নাশকতার সিবিআই তদন্ত। রিপোর্ট গুলো সব জমা পরেছে তো, আমি যতদূর জানি জমা পড়েছে, কিন্তু সেখানে সব যাদের নাম আছে তারা কেউ বাম নেতা মন্ত্রী না। সিঙ্গুরের তাপসী মালিকের বাবা এখন বলছেন, সি পি আই এম আমার মেয়ে কে খুন করেনি। যারা এখনও পর্যন্ত সমর্থন করে যাচ্ছেন বুঝতে পারছেন, এর পর 2013 সাল থেকে সারদা সহ নানা চিটফাণ্ড কেলেঙ্কারি, ত্রিফলা বাতি, ব্রিজ থেকে জল টাঙ্ক ভেঙে পড়া তোলাবাজি, কাটমানি,প্রভৃতির 75 % ও 25% ভাগ 280 টাকার দিন মজুর 280 কোটি টাকার মালিক হোল। টালির ঘর চার তোলা বিল্ডিং, লিফট চলমান সিঁড়ি, আরও কত কি? চাকরি করে দেবার নামে লক্ষ লক্ষ টাকা ঘুষ যারা ঘুষ দিতে পারে নি তাদের চাকরির তালিকায় নাম উঠেও চাকরি হয় না, অনশন করে তাতেও নয়, অনশন করতে গিয়ে গর্ভের সন্তান নষ্ট হয়ে গেছে তবুও তাদের চাকরি হয় নি। যারা এই শাসক দলের সমর্থক নিশ্চয়ই তার ঘরে এরকম বেকার ছেলে মেয়ে নেই বা সে নিজে এরকম বেকার নন। আরেকটা হতে পারে তিনি নিশ্চয়ই 75 % ও 25 % ভাগ পান। কারণ বাংলায় একটা প্রবাদ আছে, চোরের দলে থাকলেই সে চোর, হয়। যারা এখনও বাংলার এই শাসক কে সমর্থন করে যাচ্ছেন তারা নিশ্চয়ই চোর এবং মিথ্যাবাদী, না হলে কেউ এরকম একটা দল কে সমর্থন করে যেেতে পারে না। আর ভোট এলেই এই দলের হয়ে যারাা দাঙ্গা করে ভোট লুট করে যাচ্ছেন ভেবেছেন, আপনি মদ মাংস বা কয়েক হাজার টাকা পেলেন কিম্বা পুলিশ আপনাকে কিছু বলল না, বা আপনার বা আপনাদের বিরুদ্ধে কেস নিল না, এই টুকু, আর যার বা যে বড় নেতাদের কথাায় আপনি এটা করে যাচ্ছেন। সে বা তারা কোটি কোটি টাকার মালিক হচ্ছে, দিনে রাতে তাদের টাকার পাহাড় হচ্ছে। আর আপনার অবস্থা সেই তিমিরে রয়েছে। এই করোনা মহামারীর সময় ঐ সব নেতা মন্ত্রী কত টাকা খরচ করেছে , বলুন। 2011 ক্ষমতায় আসার আগে তিনি বলেছিলেন সিঙ্গুর থেকে নন্দীগ্রাম রেললাইন হবে, ট্রেন চলবে। 2010 সালের শেষ দিকে থেকে 2011 সালের ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত রেলের চাকরির ফর্ম বিলি করে ছিলেন। ওনার অনেক চামচা অর্থাৎ চিটিংবাজ চোর বেকার ছেলে মেয়েদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে ছিল, রেলে চাকরি করে দেবে বলে। এক জন কে দেখান যাকে উনি রেল মন্ত্রী থাকা কালীন চাকরি দিয়ে এসেছেন। হ্যাঁ কতগুলো চিটিংবাজ দালাল ঘুষখোর বাঙালি জাতির শত্রু মিথ্যাবাদী বুদ্ধির ঢেঁকি যারা কলকাতার রাস্তায় ব্যানার দিয়ে নিজেদের বুদ্ধি জীবি বলে প্রচার করে ছিলেন, এবং কাকের ছবি এঁকে বিখ্যাত হয়ে ছিলেন তাদের রেলের বিভিন্ন পদে বসিয়ে দিয়ে ছিলেন মোটা টাকা বেতনের বিনিময়ে। 2011 সালে বললেন ক্ষমতায় এলে আমি ছ মাসের মধ্যে শিল্প এনে দেখিয়ে দেব। তবে এটাও ঠিক উনি সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি কে দিয়ে সিঙ্গুরের জমি ফেরত দেওয়ার রায় করে এনেছেন, কিন্তু ঠিক মত সকলের জমি ফেরত দিতে পারেন নি। জমির দালাল তৈরি করেছেন, এই দালাল দের জন্য সিঙ্গুরের জমির আকাশ ছোঁয়া দাম। আর সিঙ্গুর থানার একটা বিরাট অংশে চুল্লু বা মদ তৈরি হয় তাদের টাকার জোর কোথাও জমি বিক্রি শুনতে পেলে হয়। যাহোক এসব বাদ দিয়ে আমি, একটা কথা জিজ্ঞেস করি যারা এই লুটেরা কে এখনও পর্যন্ত সমর্থন করে যাচ্ছেন, আর সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় তুলে যাচ্ছেন। আপনি বা আপনার পরিবার চুরির টাকা বা তোলাবাজির টাকা ভাগ পাচ্ছেন ভালোই। আপনার ঘরের বেকার ছেলে মেয়ে নেই, যদিও থাকে নিশ্চয়ই চপ শিল্প মুড়ি শিল্প টেবিল পেতে চায়ের দোকান শিল্প, ঘুঁটে শিল্প এ শিল্পে চাকরি করে মোটা টাকা বেতন পাচ্ছেন। কি দরকার ইনফোসিস, উইপ্রোর, কি দরকার কেমিক্যাল হাবের। যারা চীন চীন করে পাগলা হয়ে পরছেন, তাদের বলি ঔষধ তৈরির ৮০% থেকে ৯০ % কাঁচা মাল আসে চীনের কেমিক্যাল হাব গুলো থেকে। আর আমার বাংলার কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়া ছাত্র ছাত্রী তারা হয় আমেরিকা বা আমাদের দেশে হলে অন্য রাজ্যে পারি দিচ্ছে, আইটি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ে চাকরি জন্যে অন্য রাজ্যে ছুটছে। এখন আপনার দিদি আর দাদা বা আপনি যাদের পরিযায়ী শ্রমিক বলছেন তাদের মধ্যে অনেকেই এই রকম ইঞ্জিনিয়ারিং এর ছাত্র ছাত্রী। বাদ দিন আপনারা সবাই চোর চুরি আর ঘুষের ও তোলাবাজির আর কাট মানির টাকা ভাগ নেন। আপনারা বসে বসে টাকার পাহাড় করেছেন আর সাধারণ মানুষ রসাতলে যাচ্ছে। আপনাদের কাছে বিবেক বোধ আশা করা দূরাশা।
রাজ্যের কি হবে? , এম এল এ, মন্ত্রী, পঞ্চায়েত প্রধান, নেতারা সব করোনা আক্রান্ত হয়ে যাচ্ছে।
রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে খবর আসছে, নেতা, মন্ত্রী, এম - - এল - এ, এম - পি, রা করোনা আক্রান্ত হয়ে যাচ্ছে। খুব খারাপ লাগছে কারণ এরা দেশের জন্য জন্য নিবেদিত প্রাণ, হাসতে হাসতে নিজের প্রাণ বিসর্জন দিতে পারে দেশের জন্য। মানুষের সেবা করতে, এরা সিদ্ধ হস্ত কেবল কমিশন কাট মানির 75% হলেই পরিষেবা পাওয়া যাবে। কিসে নেই, আগে সারদা, রোজভ্যালি,এমপিএএস গ্রীনারি, আরও নানা চিট ফাণ্ড, আর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এমনকি আই সি ডি এসের রাঁধুনি নিয়োগের জন্য ঘুষ। আর এখন সরকারের প্রকল্প, মাচা ক্লাবের টাকা, আমি ছবি দিলাম না, এখন আমার যাতায়াতের পথে একটা মাচা ক্লাব চোখে পড়ে, একটি নালা বা খালের উপর মজবুত মাচা বাঁধা হলো কয়েক দিন আগে, এখন সেটা বেশ সুন্দর করে টিন দিয়ে ঘিরে সুন্দর দরজা লাগিয়ে নিয়ে ক্লাব, কাজ কি ঢালাই রাস্তা হচ্ছে, তদারকি করা, বুঝতেই পারছেন। আর ঐ ক্লাবের আশ পাশে ঝাণ্ডার রম রমা, জানেন তো সত্যি কথা বলতে মানা। আর আছে বালি খাদান, একশ দিনের কাজ, এখন তো আমফান নতুন যোগ হয়েছে।কেন যে দিদি বলতে গেলেন টাকা ফেরত দিতে হবে। এখন তো দেখছি অন্য ফুলের পঞ্চায়েত সদস্য তারও করোনা পজিটিভ হয়ে যাচ্ছে। অথচ বাড়ির লোক জন দিব্যি বাইরে ঘুরে বেড়াচ্ছে। কেউ কিছু বললেই হুমকি, আসলে ফুলে ফুলে মাসতুত ভাই। মানুষ আবার ঐ ফুল কে ক্ষমতায় আনার পরিকল্পনা করে বসে আছে। যাহোক আজ এই পর্যন্ত, দিদির প্রতিশ্রুতি আর দিদির আরেক ভাইয়ের ক্ষমা চাওয়া নিয়ে। পরে লিখব। সকলে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকুন ।
Wednesday, 22 July 2020
ফেসবুকের ( শুভজিৎ চক্রবর্তী) মন্তব্যের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা।
লেখার শুরুতেই আপনাকে ধন্যবাদ জানাই,মন্তব্য করার জন্য। আমি চাই আরও অনেক মন্তব্য আসুক, কিন্তু খুব হাতে গোনা মানুষ মন্তব্য করেন, তাও ফেসবুকের মাধ্যমে। জানি না আপনি সব লেখাটা পড়ে মন্তব্য করেছেন কি না? কেবল শিরোনাম দেখে এবং একটু খানি অল্প কয়েক লাইন পড়ে যাদি মন্তব্য করে থাকেন তাহলে বলব, দয়া করে সব লেখাটা পড়ে মন্তব্য করুন, দেখবেন আপনার ঐ মন্তব্য এখানে খাটে না।
কারণ আমার লেখার মূল বিষয় ছিল ধর্মের নামে মানুষের উপর অত্যাচার। সে যে কোন ধর্মের হতে পারে, উগ্র হিন্দুত্ব বাদ হোক আর ইসলাম ধর্মের হোক, ধর্মীয় অত্যাচার উচ্চ বর্ণের হিন্দু দ্বারা নিম্ন বর্ণের হিন্দু দের উপর অত্যাচার, যেটা আজ ভারতের মধ্য ভীষণ ভাবে মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে। এই ধর্মের নামে অত্যাচার কেন, কিভাবে এর জণ্ম সেটা আমার জ্ঞান ও সীমিত শিক্ষার মধ্যেই যে টুকু জানি বা পড়েছি তা লেখার চেষ্টা করেছি।
আপনি যে সব মহা পুরুষের কথা বলেছেন, তারাও কিন্তু এই বাহ্মণ্যবাদ বা উগ্রতা কে মানে নি, সেই জন্যই হিন্দু ধর্মের কঠোরতা থেকে মুক্তি পেতে, সহজ সরল ভাবে সব মানুষের বেঁচে থাকার জন্য ধর্ম দিয়ে তাদের এক করতে বিভিন্ন ধর্মের জণ্ম হয়েছে। সে আপনি বৌদ্ধ ধর্ম, বলুন বা বৈষ্ণব ধর্ম, বিবেকানন্দের কথা বলছেন, আমি ওনার জ্ঞানের কাছে তুচ্ছ, ওনার গুরুদেব ভারতের যুগ পুরুষ রামকৃষ্ণ বলেছিলেন "যত মত তত পথ।" আর উনি, তো জাতি ভেদ মানতেন না, উনার সেই মহান বানী, "হে বীর সাহস অবলম্বন কর, সদর্পে বল - আমি ভারতবাসী, ভারতবাসী আমার ভাই, বল - মুর্খ ভারত বাসী, দরিদ্র ভারতবাসী, ব্রাহ্মণ ভারতবাসী, চণ্ডাল ভারতবাসী আমার ভাই আমার রক্ত।"
এখন বিবেক চেতনা উৎসব হয় কিন্তু তার আদর্শ মানা হয় না। বিবেকানন্দের আরেকটি সুন্দর কথা বা বানী ছিল," সত্যের জন্য সব কিছু ত্যাগ করা যায়। কোন কিছুর জন্য সত্যকে ত্যাগ করা উচিত নয়। " এখন উল্টো হয়ে গেছে, মিথ্যার জন্য সব কিছু ত্যাগ করা যায় কোনো কিছুর জন্য মিথ্যা কে ত্যাগ করা যায় না।" আর নজরুল তিনি, একটি কবিতায় লিখেছেন, "জাতের নামে বজ্জাতি সব" এরা কোথাও জাতের নামে ধর্মের নামে মানুষকে পিটিয়ে হত্যা করতে বলেনি। আমার লেখাটা সেই উদ্দেশ্যেই। আর রাজনীতির কথা বলছেন, আমারা গনতান্ত্রিক দেশে বাস করি ভোট যখন দিই তখন কোন না কোন দল কে ভোট দিই। আমরা প্রত্যেকেই কম বেশি রাজনীতি করি।কারণআআমার আপনার বেঁচে থাকা জীবন জিবীকা সব ঠিক করে দেন এসব রাজনৈতিক দল গুলো বা নির্বাচিত প্রতিনিধি, সেই কারণেই প্রত্যেকেই কোন না রাজনৈতিক দলের সমর্থক। আমি আপনার মন্তব্যের জবাব দিতে চেষ্টা করলাম মাত্র।
ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন, আশাকরি সব লেখাটা পড়ে আবার উত্তর দেবেন।
কারণ আমার লেখার মূল বিষয় ছিল ধর্মের নামে মানুষের উপর অত্যাচার। সে যে কোন ধর্মের হতে পারে, উগ্র হিন্দুত্ব বাদ হোক আর ইসলাম ধর্মের হোক, ধর্মীয় অত্যাচার উচ্চ বর্ণের হিন্দু দ্বারা নিম্ন বর্ণের হিন্দু দের উপর অত্যাচার, যেটা আজ ভারতের মধ্য ভীষণ ভাবে মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে। এই ধর্মের নামে অত্যাচার কেন, কিভাবে এর জণ্ম সেটা আমার জ্ঞান ও সীমিত শিক্ষার মধ্যেই যে টুকু জানি বা পড়েছি তা লেখার চেষ্টা করেছি।
আপনি যে সব মহা পুরুষের কথা বলেছেন, তারাও কিন্তু এই বাহ্মণ্যবাদ বা উগ্রতা কে মানে নি, সেই জন্যই হিন্দু ধর্মের কঠোরতা থেকে মুক্তি পেতে, সহজ সরল ভাবে সব মানুষের বেঁচে থাকার জন্য ধর্ম দিয়ে তাদের এক করতে বিভিন্ন ধর্মের জণ্ম হয়েছে। সে আপনি বৌদ্ধ ধর্ম, বলুন বা বৈষ্ণব ধর্ম, বিবেকানন্দের কথা বলছেন, আমি ওনার জ্ঞানের কাছে তুচ্ছ, ওনার গুরুদেব ভারতের যুগ পুরুষ রামকৃষ্ণ বলেছিলেন "যত মত তত পথ।" আর উনি, তো জাতি ভেদ মানতেন না, উনার সেই মহান বানী, "হে বীর সাহস অবলম্বন কর, সদর্পে বল - আমি ভারতবাসী, ভারতবাসী আমার ভাই, বল - মুর্খ ভারত বাসী, দরিদ্র ভারতবাসী, ব্রাহ্মণ ভারতবাসী, চণ্ডাল ভারতবাসী আমার ভাই আমার রক্ত।"
এখন বিবেক চেতনা উৎসব হয় কিন্তু তার আদর্শ মানা হয় না। বিবেকানন্দের আরেকটি সুন্দর কথা বা বানী ছিল," সত্যের জন্য সব কিছু ত্যাগ করা যায়। কোন কিছুর জন্য সত্যকে ত্যাগ করা উচিত নয়। " এখন উল্টো হয়ে গেছে, মিথ্যার জন্য সব কিছু ত্যাগ করা যায় কোনো কিছুর জন্য মিথ্যা কে ত্যাগ করা যায় না।" আর নজরুল তিনি, একটি কবিতায় লিখেছেন, "জাতের নামে বজ্জাতি সব" এরা কোথাও জাতের নামে ধর্মের নামে মানুষকে পিটিয়ে হত্যা করতে বলেনি। আমার লেখাটা সেই উদ্দেশ্যেই। আর রাজনীতির কথা বলছেন, আমারা গনতান্ত্রিক দেশে বাস করি ভোট যখন দিই তখন কোন না কোন দল কে ভোট দিই। আমরা প্রত্যেকেই কম বেশি রাজনীতি করি।কারণআআমার আপনার বেঁচে থাকা জীবন জিবীকা সব ঠিক করে দেন এসব রাজনৈতিক দল গুলো বা নির্বাচিত প্রতিনিধি, সেই কারণেই প্রত্যেকেই কোন না রাজনৈতিক দলের সমর্থক। আমি আপনার মন্তব্যের জবাব দিতে চেষ্টা করলাম মাত্র।
ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন, আশাকরি সব লেখাটা পড়ে আবার উত্তর দেবেন।
Monday, 20 July 2020
ধর্মের নামে মানবতা আজ ডুকরে কাঁদে। কোথায় মানবাধিকার মানুষ আজ ধর্মের দাস।
যুগে যুগে ধর্মের কারণে মানবতা ধ্বংস করে আসছে এক দল মানুষ। মন্দির বলুন আর মসজিদ গির্জা দরগা এসব এক একটা ধর্মের উপাসনা লয়। সর্বত্র দেবতা বিরাজ মান। সব দেবতার ভক্ত দের কথা সভ্য ভদ্র, সৎ মানুষের পাশে থাকেন, এই দেবতারা। কারোর ক্ষতি সাধন করা এদের কাজ নয়, কিন্তু ভেবে দেখুন একদল মানুষ প্রতিনিয়ত দেবতার নাম করে মানুষ কে ঠকিয়ে যাচ্ছে, আর কোটি কোটি টাকা ইনকাম করে যাচ্ছে। ভারতের এমন অনেক মন্দির, মসজিদ, দরগা, আছে যেখানে প্রতি দিন মানুষ যান, আধ্যাত্মিক আশীর্বাদ লাভের আশায় এবং নিজের খুশি বা ঐ প্রতিষ্ঠান পরিচালকের আবেদন মত অর্থ দান করে আসেন। অবশ্য অনেক ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান যারা সমাজ সেবা দিয়ে থাকে, কেউ কেউ চিকিৎসা থেকে করে শিক্ষা, বা হত দরিদ্র অনাথ শিশু দের যাবতীয় দায়িত্ব পালন করেন। এসব থাক এসব ধর্ম নিয়ে কারবার বা ব্যবসায়ী দের ব্যাপার।
এত গেল একটা দিক, আমার আজকের বিষয় কিন্তু
এটা নয়। আমার প্রশ্ন ধর্ম এলো কীভাবে? ইতিহাসে যতদূর পড়েছি। মানুষ যখন একটু একটু করে সভত্যা গড়ে তুলেছে, তাদের সামনে প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবিলা করার জন্য বিজ্ঞানের ধারনা ছিল না। সেই কারণেই প্রাকৃতিক বিপর্যয় গুলো কে ভয় পেয়েছে, এবং এক একটি দেবতার আবির্ভাব ঘটেছে, বা দেবতা বলে পূজো করে এসেছে। বন্যা, ঝড় বৃষ্টি, অকাল মৃত্যু, মহামারী, পক্স, বা বসন্ত, সাপের কামড়, আরও নানা ঘটনা কে তারা দেবতার দ্বারা পরিচালিত বলে, তাদের পূজো করে গেছে। ভেবে দেখুন পবন, ঝড়ের দেবতা, বন্যা বা জলের দেবতা বরুণ, বাজ নিক্ষেপের দেবতা ইন্দ্র, পক্স বা বসন্তের দেবী শীতলা, সাপের দেবী মনসা, বাঘের দেবী বনবিবি, ভুত প্রেত দের ঠান্ডা করতে শিব, অসুরদের দমন করতে মা দুর্গা, কালী, লেখা পড়া সরস্বতী, ধন বা টাকার দেবী লক্ষী, ধর্ম যমরাজ এবং সর্বোপরি ব্রহ্মা যিনি এই পৃথিবীর সৃষ্টি কর্তা। এরকম হাজারো দেবতা, সেই আদিম যুগ থেকে পুজো হয়ে আসছে, আর এরমধ্যে অগ্নির কথা বলা হয়নি। আমি যতদূর জানি মানুষের সভ্যতা এগিয়ে গেছে, ধীরে ধীরে সে পশুপালন শিখেছে, পশুর খাবার যোগার করতে গিয়ে যাযাবর হয়েছে, আর কৃষি কাজ শিখে সে যাযাবর জীবনের ইতি টেনেছে। মানুষ যত সভ্য হয়েছে, গোষ্ঠীর সংখ্যা বেড়েছে, এক গোষ্ঠীর সাথে আরেক গোষ্ঠীর দ্বন্দ্ব বেড়েছে, লড়াই যুদ্ধ এসেছে, বেশি সভ্য মানুষ তখনও যারা লেখাপড়া বা ভালো সভ্য হয়ে উঠতে পারে নি। কাঁচা মাংস, খেত, ফলমূল খেত গাছে গাছে ঘুরে বেড়াত, সেরকম মানুষ কে রাক্ষস, বা বানর নামে ডাকা হত, পরে এরা যখন ঐ সভ্য জাতির সংস্পর্শে এসেছে, চাষ শিখেছে, পশুপালনকে জীবিকা করেছে। এরা অনার্য, আর ঐ সুসভ্য মানুষ আর্য, এসেছে আর্য সভ্যতা, অনার্য দের সাথে যুদ্ধ সেতো আমরা রামায়ণ, মহাভারতে পাই। আর্য দের দ্বারা ভারতে এসেছে ব্রাহ্মণ্যবাদ, আর্যরা ধর্ম দিয়ে মানুষ কে এক করতে চেষ্টা করে গেছে,পরবর্তীতে আর্য এবং অনার্য দের দেবতারা যে এক এবং অভিন্ন তা আমরা অনেক ধর্ম গ্রন্থে পাই। আমি যতদূর জানি শিব, কালী, মনসা, ইত্যাদি অনার্য দের দেবতা। আর্যরা তাদের সভত্যা টিঁকিয়ে রাখতে, কাজের ভিত্তিতে সমাজ কে চার টি ভাগে করে দিয়েছিল। ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য ও শুদ্র, ব্রাহ্মণের কাজ ধর্ম পালন পূজা যাজ্ঞ যজ্ঞ, এবং ধর্মীয় শিক্ষাদান। আর ক্ষত্রিয় দেশ রক্ষা এবং দেশ শাসন করার জন্য, বৈশ্য চাষবাস ব্যবসা বানিজ্য, এবং এই তিন ভাগের সেবা করার জন্য শুদ্র, সেবা মানে পা টেপা নয়। সভ্য যখন চুল দাড়ি নখ কাটা, ঘর বাড়ি তৈরি করে দেওয়া, পথ ঘাট পরিষ্কার করা ইত্যাদি। পরবর্তী কালে এই কাজের জন্য সমাজ ভাগটাই ভীষণ ভাবে জাতিভেদে পরিবর্তন হয়েছে। ব্রাহ্মণরা নিজেকে সবার উপরে প্রতিষ্ঠিত করতে গিয়ে এই বিপত্তি, অর্থাৎ ব্রাহ্মণ্যবাদ প্রতিষ্ঠা আর্য সভ্যতার ধ্বংসের কারণ, ব্রাহ্মণ দের এই কর্তৃত্ব এবং অপর কে ছোট করে নিজে বড়ো হওয়ার মানসিকতা আর নীচের ঐ শুদ্র কে পাত্তা না দেওয়া, কিছু ক্ষেত্রে বৈশ্য দের সাথেও সামাজিক দূরত্ব তৈরি করা, এবং দমন পীড়ন, সনাতন ধর্মের প্রতি এদের অনীহা দেখা দিয়েছে, জণ্ম নিয়েছে, বৌদ্ধ ধর্ম, জৈন ধর্ম, শিখ ধর্ম, তারও পরে খ্রীষ্টান ধর্ম ও ইসলাম ধর্ম। ইতিহাসে যতদূর পড়েছি,যেখানে খ্রীষ্টান ধর্ম বা ইসলাম ধর্ম প্রচলিত হয়েছে, সেখানেও আগেই মানুষ নানা দেবদেবীর পূজো করত। যেমন রোমান বা গ্রীক পুরাণের অনেক দেব দেবীর পুজোর উল্লেখ আছে। আমি আগেই বলেছি সনাতন ধর্মে বিশ্বাসী মানুষ সেই আদিম কাল থেকে নানা দেবদেবীর পূজা করে এসেছে। পুরোহিত তথা ব্রাহ্মণ্যবাদ মানুষ কে অতিষ্ঠ করে তুলেছিল, যে কারণে এই সব এক ঈশ্বর, ব্যক্তি কে ঈশ্বরের দূত এবং তার কথা গুলো বানী বা ঈশ্বরের বাণী এভাবেই পরবর্তী ধর্ম গুলো এসেছে। বিশ্ব অনেক ধর্মযুদ্ধ দেখেছে। অতিতে বিভিন্ন সময়ে এই ধর্ম যুদ্ধ হয়েছে, এমনকি একই ধর্মের মধ্যেও গোষ্ঠী বা দলের মধ্যে এই ধর্ম যুদ্ধ হয়েছে।
এবার আমরা আমার জণ্ম ভূমি বাংলার কথায় আসি, কারণ এখানে আজও ধর্মের নামে মানবতা ভুলুণ্ঠিত। ইসলাম ধর্মের মানুষ আজও সনাতন হিন্দুদের উপর অত্যাচার করে যাচ্ছে, এই যে অত্যাচার আজ থেকে নয়। যুগ যুগ ধরে এই একটা ধর্মের মানুষ যারা ধর্মের নামে মানুষ খুন করে, অন্য ধর্মের মানুষ কে মানুষ বলে মনে করে না। কোন ধর্মের সাধক ঈশ্বর বলুন, ভগবান বলুন আল্লাহ বলুন তাকে চোখে দেখেনি। তিনি দূত পাঠিয়ে বানী বলতে বলেছেন। আমার একটা প্রশ্ন সৃষ্টি কর্তা তিনি কী সব ধর্মের এক একজন আলাদা, তিনি জাত বা ধর্ম দিয়ে পাঠান, না গায়ে বা পিঠে ছাপ মেরে পাঠান এ ইসলাম এ হিন্দু এ খ্রীষ্টান, এ বৌদ্ধ আমি জানি না। কারণ আমি ও ঈশ্বর কে চোখে দেখিনি জানি না স্বর্গ বলে কিছু আছে কি না! যা লিখছিলাম, অনেকেই বলেন বা ইতিহাসের পাতায় পড়েছি, এই বাংলায় ইসলাম এসেছে, খলজির হাত ধরে। অর্থাৎ সেন বংশের পতনের মধ্য দিয়ে। যদি আমরা ইতিহাস দেখি তবে দেখা যাবে এই সেন বংশের রাজা বল্লাল সেন কৌলিন্য বা কুলীন প্রথা চালু করে ছিলেন। অর্থাৎ জাতি ভেদ কে কঠোর ভাবে পালন করতে হবে, না হলে শাস্তি পেতে হবে। অর্থাৎ ব্রাহ্মণ্যবাদ কঠোর ভাবে বলবৎ করে তুলেছিলেন। আর এই কঠোরতা সেন বংশের পতনের কারণ, উগ্র হিন্দুত্ব বাদ বা সেন বংশের রাজা দের পাশ থেকে নিম্ন বর্ণের মানুষের সরে যাওয়ার কারণে সেন বংশের পতন ডেকে আনে, না হলে কথিত আছে মাত্র পঁচিশ জন ঘোড় শোওয়ার সৈন্য বাংলার সেন বংশের পতন ঘটিয়ে ছিল। ইতিহাসের পাতায় যেটা আছে রাজা লক্ষ্মণ সেন বুড়ো হয়ে ছিলেন, কিন্তু তার সেনাবাহিনীর লোকজন ছিল না, তারা বাধা দেয় নি। নিশ্চয়ই দিয়েছে, কিন্তু ঐ পঁচিশ জনের সাথে যুদ্ধ করে পারেনি, না সংখ্যায় ওর থেকে কম ছিল। কেউ কেউ বলেন রাতের অন্ধকারে আক্রান্ত হয়ে ছিলেন, সেই কারণেই পরাজিত হন। আমার তো মনে হয়, তা নয় উগ্র হিন্দুত্ব বাদের জন্য নিম্ন জন জাতি রাজা সেনাবাহিনীতে নিতেন না, নিলেও তারা সংখ্যায় কম ছিল, আর ঐ সব মানুষের মনে ক্ষোভ ছিল, সেই সব কারনেই, সেন বংশের পতন।
বাংলায় সেই শুরু হয় ইসলামের অত্যাচার, যা আজও চলছে, কারণ উগ্র হিন্দুত্ব বাদ নিম্ন বর্ণ বা শুদ্র কিছু কিছু ক্ষেত্রে বৈশ্যরাও পরবর্তীতে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে বাংলায় ইসলাম বিস্তারে সাহায্য করেছে। এখনও বাংলা তথা ভারতের বুক থেকে উগ্র হিন্দুত্ব বাদ চলে যায় নি। কারণ ইংরেজ শাসক কৌশলে এই জাতি দাঙ্গা লাগিয়ে দিত, হিন্দুদের মধ্যে নয়। যেখানে যেমন সেই ভাবে, ইসলাম আর হিন্দুদের মধ্যে লড়াই লাগিয়ে দিত, যাতে করে এই বাঙালি জাতি এক হতে না পারে। যেমন ইকতিয়ার উদ্দিন মহম্মদ বিন বখতিয়ার খলজি করে ছিলেন। নিম্ন বর্ণের হিন্দু বা সনাতন ধর্মের মানুষ কে ধর্ম পরিবর্তন করে নিজের ধর্মে নিয়ে আসতে পরবর্তীতে ঐ ধর্ম পাল্টে ফেলা ইসলাম তথা হিন্দুরা তাদের উপর সমাজের উচ্চ বর্ণের অত্যাচারের বদলা নিয়েছে। এখন ও বাংলার বিভিন্ন জায়গায় এই অত্যাচার ভীষণ ভাবে চলে। ব্রিটিশ শাসক যেটা শুরু করে দিয়ে গেছেন, স্বাধীনতা দেবার নাম করে, আর এই ধর্মের নামে দেশ ভাগের মদত দাতা সেও কিছু উগ্র হিন্দুত্ব বাদী। ব্রিটিশ জানে যে বাঙালি জাতি হিসেবে যদি এক হতে পারে তবে ভবিষ্যতে ভারত কে দাবিয়ে রাখা যাবে না। সে কারণেই আমাদের মধ্যের সেই সেন বংশের বংশ ধর উগ্র হিন্দুত্ব বাদীর দল যখনই ইংরেজ শেষ লাট সাহেব, লর্ড মাউন্ট ব্যটনের কাছে বাংলা ভাগের আবেদন করেছে। সাথে সাথে মঞ্জুর করেছে, ব্রিটিশদের অনেক দিনের ইচ্ছা, যেটা 1905 সালে চেয়েছিল কিন্তু পারেনি। সেই গোপন ইচ্ছা পূরণ করে দিয়েছে, যার খেসারত দিচ্ছে, সাধারণ হিন্দু ধর্মের লোকজন তথা বাঙালি, আজও থামেনি জতি দাঙ্গা, একটি উগ্র সম্প্রদায়ের উগ্রতা কে উস্কে দিয়েছে, আমাদের কিছু উগ্র মানুষ। এখন সোশ্যাল মিডিয়ার যুগ বিভিন্ন সময়ে টুকরো খবর চলে আসে। এটি ঐ ধর্মের নামে হচ্ছে বটে কিন্তু, খলজির আক্রমণের মূল লক্ষ্য ছিল লুট পাট সেটাই এখনও চলছে। জোর করে সম্পত্তি দখল, উচ্ছেদ, তাড়িয়ে দেওয়া,বাংলার হিন্দুরা আজ নিজ দেশে প্রবাসী, তাদের কোন অধিকার নেই। জানি না এই ধর্মের নামে অত্যাচার কবে বন্ধ হবে। জানি না, ঈশ্বর আল্লাহ, গড, এরা মানুষ সৃষ্টি করেন না ধর্ম সৃষ্টি করে পাঠান। সব ধর্মের জন্য আলাদা আলাদা স্বর্গ আছে, আসলে তা নয় কিছু ধন সম্পদ বা ক্ষমতা লোভী মানুষ ধর্মের নামে নিজের ক্ষমতা জহির করতে নিজের ধর্মের কিছু মানুষ কে উস্কে দেন। নিজেকে ভগবানের দূত বা আল্লাহর দূত বলে প্রচার করে ক্ষমতা বা টাকার বা সম্পদের মালিক হন। আর মজা দেখনে কেমন মানুষ মারামারি করে মরছে। সৃষ্টি কর্তা আল্লাহ বা ঈশ্বর যেই হোন না কেন, কেউ তার সৃষ্টি কে ধ্বংস করতে পাঠায় না। জানা নেই, এরকম সৃষ্টি কর্তা কেউ আছেন কি না? কারণ আজ পর্যন্ত কোন সাধক, দূত, যাজক কেউ বলতে পারেন নি, তিনি স্ব চক্ষে সৃষ্টি কর্তা কে দেখেছেন, বা স্বর্গ, বা নরক বলে কিছু আছে। আসলে এই, সব ধর্মের কারবারিরা নিজের সম্পদ ও প্রতিপত্তি বাড়াতে ধর্মের নামে মানবতা কে ধ্বংস করে যাচ্ছেন। সে কারণেই আজ মহামারীর আকারে এসেছে ধ্বংস লীলা, এখনই বোঝা যাচ্ছে বিজ্ঞান বড়ো, হাসপাতাল চিকিৎসা ঔষধ, চাই বেঁচে থাকতে, এই মহামারী মানুষের দ্বারা তৈরি, পৃথিবীর বুক থেকে ঐ ধর্মান্ধ মানুষ গুলো কে শিক্ষা দেওয়ার জন্যই যারা এখনও বলছে আল্লাহর গজব, বা ঈশ্বরের তৈরি, এই সময়ে দরকার ভ্যাকসিন বা টিকা বা ঔষধ, মন্দির মসজিদ গির্জার জলপড়া কোন কাজ দেবে না। ঐ যে ভারতের কোন মন্দির খুলেছে প্রণামী পাবার আশায় পুরোহিত সহ বেশ কয়েক জন আক্রান্ত। আসুন আজ আমরা প্রতিজ্ঞা করি ধর্মের নামে মানবতা ধ্বংস কারী স্ব ঘোষিত দেবতার দূত দের বয়কট করি। আর নয় অনেক হয়েছে, অনেক মানুষ খুন করেছ, ধর্মের নামে, আল্লাহ তোমার বেঁচে থাকার অধিকার যেমন দিয়েছে তেমনি ঈশ্বর এদেরও বেঁচে থাকার অধিকার দিয়েছে, তুমি ছিনিয়ে নেবার কে? এখানেই তুমি মানবতার শত্রু, তুমি দেবতা বা আল্লাহর বর পুত্র বা দূত হতে পার না। তোমার কথায় যারা এই জঘন্য কাজ করছে তারাও ঐ সৃষ্টি কর্তার চোখে অপরাধী।
এত গেল একটা দিক, আমার আজকের বিষয় কিন্তু
এটা নয়। আমার প্রশ্ন ধর্ম এলো কীভাবে? ইতিহাসে যতদূর পড়েছি। মানুষ যখন একটু একটু করে সভত্যা গড়ে তুলেছে, তাদের সামনে প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবিলা করার জন্য বিজ্ঞানের ধারনা ছিল না। সেই কারণেই প্রাকৃতিক বিপর্যয় গুলো কে ভয় পেয়েছে, এবং এক একটি দেবতার আবির্ভাব ঘটেছে, বা দেবতা বলে পূজো করে এসেছে। বন্যা, ঝড় বৃষ্টি, অকাল মৃত্যু, মহামারী, পক্স, বা বসন্ত, সাপের কামড়, আরও নানা ঘটনা কে তারা দেবতার দ্বারা পরিচালিত বলে, তাদের পূজো করে গেছে। ভেবে দেখুন পবন, ঝড়ের দেবতা, বন্যা বা জলের দেবতা বরুণ, বাজ নিক্ষেপের দেবতা ইন্দ্র, পক্স বা বসন্তের দেবী শীতলা, সাপের দেবী মনসা, বাঘের দেবী বনবিবি, ভুত প্রেত দের ঠান্ডা করতে শিব, অসুরদের দমন করতে মা দুর্গা, কালী, লেখা পড়া সরস্বতী, ধন বা টাকার দেবী লক্ষী, ধর্ম যমরাজ এবং সর্বোপরি ব্রহ্মা যিনি এই পৃথিবীর সৃষ্টি কর্তা। এরকম হাজারো দেবতা, সেই আদিম যুগ থেকে পুজো হয়ে আসছে, আর এরমধ্যে অগ্নির কথা বলা হয়নি। আমি যতদূর জানি মানুষের সভ্যতা এগিয়ে গেছে, ধীরে ধীরে সে পশুপালন শিখেছে, পশুর খাবার যোগার করতে গিয়ে যাযাবর হয়েছে, আর কৃষি কাজ শিখে সে যাযাবর জীবনের ইতি টেনেছে। মানুষ যত সভ্য হয়েছে, গোষ্ঠীর সংখ্যা বেড়েছে, এক গোষ্ঠীর সাথে আরেক গোষ্ঠীর দ্বন্দ্ব বেড়েছে, লড়াই যুদ্ধ এসেছে, বেশি সভ্য মানুষ তখনও যারা লেখাপড়া বা ভালো সভ্য হয়ে উঠতে পারে নি। কাঁচা মাংস, খেত, ফলমূল খেত গাছে গাছে ঘুরে বেড়াত, সেরকম মানুষ কে রাক্ষস, বা বানর নামে ডাকা হত, পরে এরা যখন ঐ সভ্য জাতির সংস্পর্শে এসেছে, চাষ শিখেছে, পশুপালনকে জীবিকা করেছে। এরা অনার্য, আর ঐ সুসভ্য মানুষ আর্য, এসেছে আর্য সভ্যতা, অনার্য দের সাথে যুদ্ধ সেতো আমরা রামায়ণ, মহাভারতে পাই। আর্য দের দ্বারা ভারতে এসেছে ব্রাহ্মণ্যবাদ, আর্যরা ধর্ম দিয়ে মানুষ কে এক করতে চেষ্টা করে গেছে,পরবর্তীতে আর্য এবং অনার্য দের দেবতারা যে এক এবং অভিন্ন তা আমরা অনেক ধর্ম গ্রন্থে পাই। আমি যতদূর জানি শিব, কালী, মনসা, ইত্যাদি অনার্য দের দেবতা। আর্যরা তাদের সভত্যা টিঁকিয়ে রাখতে, কাজের ভিত্তিতে সমাজ কে চার টি ভাগে করে দিয়েছিল। ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য ও শুদ্র, ব্রাহ্মণের কাজ ধর্ম পালন পূজা যাজ্ঞ যজ্ঞ, এবং ধর্মীয় শিক্ষাদান। আর ক্ষত্রিয় দেশ রক্ষা এবং দেশ শাসন করার জন্য, বৈশ্য চাষবাস ব্যবসা বানিজ্য, এবং এই তিন ভাগের সেবা করার জন্য শুদ্র, সেবা মানে পা টেপা নয়। সভ্য যখন চুল দাড়ি নখ কাটা, ঘর বাড়ি তৈরি করে দেওয়া, পথ ঘাট পরিষ্কার করা ইত্যাদি। পরবর্তী কালে এই কাজের জন্য সমাজ ভাগটাই ভীষণ ভাবে জাতিভেদে পরিবর্তন হয়েছে। ব্রাহ্মণরা নিজেকে সবার উপরে প্রতিষ্ঠিত করতে গিয়ে এই বিপত্তি, অর্থাৎ ব্রাহ্মণ্যবাদ প্রতিষ্ঠা আর্য সভ্যতার ধ্বংসের কারণ, ব্রাহ্মণ দের এই কর্তৃত্ব এবং অপর কে ছোট করে নিজে বড়ো হওয়ার মানসিকতা আর নীচের ঐ শুদ্র কে পাত্তা না দেওয়া, কিছু ক্ষেত্রে বৈশ্য দের সাথেও সামাজিক দূরত্ব তৈরি করা, এবং দমন পীড়ন, সনাতন ধর্মের প্রতি এদের অনীহা দেখা দিয়েছে, জণ্ম নিয়েছে, বৌদ্ধ ধর্ম, জৈন ধর্ম, শিখ ধর্ম, তারও পরে খ্রীষ্টান ধর্ম ও ইসলাম ধর্ম। ইতিহাসে যতদূর পড়েছি,যেখানে খ্রীষ্টান ধর্ম বা ইসলাম ধর্ম প্রচলিত হয়েছে, সেখানেও আগেই মানুষ নানা দেবদেবীর পূজো করত। যেমন রোমান বা গ্রীক পুরাণের অনেক দেব দেবীর পুজোর উল্লেখ আছে। আমি আগেই বলেছি সনাতন ধর্মে বিশ্বাসী মানুষ সেই আদিম কাল থেকে নানা দেবদেবীর পূজা করে এসেছে। পুরোহিত তথা ব্রাহ্মণ্যবাদ মানুষ কে অতিষ্ঠ করে তুলেছিল, যে কারণে এই সব এক ঈশ্বর, ব্যক্তি কে ঈশ্বরের দূত এবং তার কথা গুলো বানী বা ঈশ্বরের বাণী এভাবেই পরবর্তী ধর্ম গুলো এসেছে। বিশ্ব অনেক ধর্মযুদ্ধ দেখেছে। অতিতে বিভিন্ন সময়ে এই ধর্ম যুদ্ধ হয়েছে, এমনকি একই ধর্মের মধ্যেও গোষ্ঠী বা দলের মধ্যে এই ধর্ম যুদ্ধ হয়েছে।
এবার আমরা আমার জণ্ম ভূমি বাংলার কথায় আসি, কারণ এখানে আজও ধর্মের নামে মানবতা ভুলুণ্ঠিত। ইসলাম ধর্মের মানুষ আজও সনাতন হিন্দুদের উপর অত্যাচার করে যাচ্ছে, এই যে অত্যাচার আজ থেকে নয়। যুগ যুগ ধরে এই একটা ধর্মের মানুষ যারা ধর্মের নামে মানুষ খুন করে, অন্য ধর্মের মানুষ কে মানুষ বলে মনে করে না। কোন ধর্মের সাধক ঈশ্বর বলুন, ভগবান বলুন আল্লাহ বলুন তাকে চোখে দেখেনি। তিনি দূত পাঠিয়ে বানী বলতে বলেছেন। আমার একটা প্রশ্ন সৃষ্টি কর্তা তিনি কী সব ধর্মের এক একজন আলাদা, তিনি জাত বা ধর্ম দিয়ে পাঠান, না গায়ে বা পিঠে ছাপ মেরে পাঠান এ ইসলাম এ হিন্দু এ খ্রীষ্টান, এ বৌদ্ধ আমি জানি না। কারণ আমি ও ঈশ্বর কে চোখে দেখিনি জানি না স্বর্গ বলে কিছু আছে কি না! যা লিখছিলাম, অনেকেই বলেন বা ইতিহাসের পাতায় পড়েছি, এই বাংলায় ইসলাম এসেছে, খলজির হাত ধরে। অর্থাৎ সেন বংশের পতনের মধ্য দিয়ে। যদি আমরা ইতিহাস দেখি তবে দেখা যাবে এই সেন বংশের রাজা বল্লাল সেন কৌলিন্য বা কুলীন প্রথা চালু করে ছিলেন। অর্থাৎ জাতি ভেদ কে কঠোর ভাবে পালন করতে হবে, না হলে শাস্তি পেতে হবে। অর্থাৎ ব্রাহ্মণ্যবাদ কঠোর ভাবে বলবৎ করে তুলেছিলেন। আর এই কঠোরতা সেন বংশের পতনের কারণ, উগ্র হিন্দুত্ব বাদ বা সেন বংশের রাজা দের পাশ থেকে নিম্ন বর্ণের মানুষের সরে যাওয়ার কারণে সেন বংশের পতন ডেকে আনে, না হলে কথিত আছে মাত্র পঁচিশ জন ঘোড় শোওয়ার সৈন্য বাংলার সেন বংশের পতন ঘটিয়ে ছিল। ইতিহাসের পাতায় যেটা আছে রাজা লক্ষ্মণ সেন বুড়ো হয়ে ছিলেন, কিন্তু তার সেনাবাহিনীর লোকজন ছিল না, তারা বাধা দেয় নি। নিশ্চয়ই দিয়েছে, কিন্তু ঐ পঁচিশ জনের সাথে যুদ্ধ করে পারেনি, না সংখ্যায় ওর থেকে কম ছিল। কেউ কেউ বলেন রাতের অন্ধকারে আক্রান্ত হয়ে ছিলেন, সেই কারণেই পরাজিত হন। আমার তো মনে হয়, তা নয় উগ্র হিন্দুত্ব বাদের জন্য নিম্ন জন জাতি রাজা সেনাবাহিনীতে নিতেন না, নিলেও তারা সংখ্যায় কম ছিল, আর ঐ সব মানুষের মনে ক্ষোভ ছিল, সেই সব কারনেই, সেন বংশের পতন।
বাংলায় সেই শুরু হয় ইসলামের অত্যাচার, যা আজও চলছে, কারণ উগ্র হিন্দুত্ব বাদ নিম্ন বর্ণ বা শুদ্র কিছু কিছু ক্ষেত্রে বৈশ্যরাও পরবর্তীতে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে বাংলায় ইসলাম বিস্তারে সাহায্য করেছে। এখনও বাংলা তথা ভারতের বুক থেকে উগ্র হিন্দুত্ব বাদ চলে যায় নি। কারণ ইংরেজ শাসক কৌশলে এই জাতি দাঙ্গা লাগিয়ে দিত, হিন্দুদের মধ্যে নয়। যেখানে যেমন সেই ভাবে, ইসলাম আর হিন্দুদের মধ্যে লড়াই লাগিয়ে দিত, যাতে করে এই বাঙালি জাতি এক হতে না পারে। যেমন ইকতিয়ার উদ্দিন মহম্মদ বিন বখতিয়ার খলজি করে ছিলেন। নিম্ন বর্ণের হিন্দু বা সনাতন ধর্মের মানুষ কে ধর্ম পরিবর্তন করে নিজের ধর্মে নিয়ে আসতে পরবর্তীতে ঐ ধর্ম পাল্টে ফেলা ইসলাম তথা হিন্দুরা তাদের উপর সমাজের উচ্চ বর্ণের অত্যাচারের বদলা নিয়েছে। এখন ও বাংলার বিভিন্ন জায়গায় এই অত্যাচার ভীষণ ভাবে চলে। ব্রিটিশ শাসক যেটা শুরু করে দিয়ে গেছেন, স্বাধীনতা দেবার নাম করে, আর এই ধর্মের নামে দেশ ভাগের মদত দাতা সেও কিছু উগ্র হিন্দুত্ব বাদী। ব্রিটিশ জানে যে বাঙালি জাতি হিসেবে যদি এক হতে পারে তবে ভবিষ্যতে ভারত কে দাবিয়ে রাখা যাবে না। সে কারণেই আমাদের মধ্যের সেই সেন বংশের বংশ ধর উগ্র হিন্দুত্ব বাদীর দল যখনই ইংরেজ শেষ লাট সাহেব, লর্ড মাউন্ট ব্যটনের কাছে বাংলা ভাগের আবেদন করেছে। সাথে সাথে মঞ্জুর করেছে, ব্রিটিশদের অনেক দিনের ইচ্ছা, যেটা 1905 সালে চেয়েছিল কিন্তু পারেনি। সেই গোপন ইচ্ছা পূরণ করে দিয়েছে, যার খেসারত দিচ্ছে, সাধারণ হিন্দু ধর্মের লোকজন তথা বাঙালি, আজও থামেনি জতি দাঙ্গা, একটি উগ্র সম্প্রদায়ের উগ্রতা কে উস্কে দিয়েছে, আমাদের কিছু উগ্র মানুষ। এখন সোশ্যাল মিডিয়ার যুগ বিভিন্ন সময়ে টুকরো খবর চলে আসে। এটি ঐ ধর্মের নামে হচ্ছে বটে কিন্তু, খলজির আক্রমণের মূল লক্ষ্য ছিল লুট পাট সেটাই এখনও চলছে। জোর করে সম্পত্তি দখল, উচ্ছেদ, তাড়িয়ে দেওয়া,বাংলার হিন্দুরা আজ নিজ দেশে প্রবাসী, তাদের কোন অধিকার নেই। জানি না এই ধর্মের নামে অত্যাচার কবে বন্ধ হবে। জানি না, ঈশ্বর আল্লাহ, গড, এরা মানুষ সৃষ্টি করেন না ধর্ম সৃষ্টি করে পাঠান। সব ধর্মের জন্য আলাদা আলাদা স্বর্গ আছে, আসলে তা নয় কিছু ধন সম্পদ বা ক্ষমতা লোভী মানুষ ধর্মের নামে নিজের ক্ষমতা জহির করতে নিজের ধর্মের কিছু মানুষ কে উস্কে দেন। নিজেকে ভগবানের দূত বা আল্লাহর দূত বলে প্রচার করে ক্ষমতা বা টাকার বা সম্পদের মালিক হন। আর মজা দেখনে কেমন মানুষ মারামারি করে মরছে। সৃষ্টি কর্তা আল্লাহ বা ঈশ্বর যেই হোন না কেন, কেউ তার সৃষ্টি কে ধ্বংস করতে পাঠায় না। জানা নেই, এরকম সৃষ্টি কর্তা কেউ আছেন কি না? কারণ আজ পর্যন্ত কোন সাধক, দূত, যাজক কেউ বলতে পারেন নি, তিনি স্ব চক্ষে সৃষ্টি কর্তা কে দেখেছেন, বা স্বর্গ, বা নরক বলে কিছু আছে। আসলে এই, সব ধর্মের কারবারিরা নিজের সম্পদ ও প্রতিপত্তি বাড়াতে ধর্মের নামে মানবতা কে ধ্বংস করে যাচ্ছেন। সে কারণেই আজ মহামারীর আকারে এসেছে ধ্বংস লীলা, এখনই বোঝা যাচ্ছে বিজ্ঞান বড়ো, হাসপাতাল চিকিৎসা ঔষধ, চাই বেঁচে থাকতে, এই মহামারী মানুষের দ্বারা তৈরি, পৃথিবীর বুক থেকে ঐ ধর্মান্ধ মানুষ গুলো কে শিক্ষা দেওয়ার জন্যই যারা এখনও বলছে আল্লাহর গজব, বা ঈশ্বরের তৈরি, এই সময়ে দরকার ভ্যাকসিন বা টিকা বা ঔষধ, মন্দির মসজিদ গির্জার জলপড়া কোন কাজ দেবে না। ঐ যে ভারতের কোন মন্দির খুলেছে প্রণামী পাবার আশায় পুরোহিত সহ বেশ কয়েক জন আক্রান্ত। আসুন আজ আমরা প্রতিজ্ঞা করি ধর্মের নামে মানবতা ধ্বংস কারী স্ব ঘোষিত দেবতার দূত দের বয়কট করি। আর নয় অনেক হয়েছে, অনেক মানুষ খুন করেছ, ধর্মের নামে, আল্লাহ তোমার বেঁচে থাকার অধিকার যেমন দিয়েছে তেমনি ঈশ্বর এদেরও বেঁচে থাকার অধিকার দিয়েছে, তুমি ছিনিয়ে নেবার কে? এখানেই তুমি মানবতার শত্রু, তুমি দেবতা বা আল্লাহর বর পুত্র বা দূত হতে পার না। তোমার কথায় যারা এই জঘন্য কাজ করছে তারাও ঐ সৃষ্টি কর্তার চোখে অপরাধী।
Thursday, 16 July 2020
এ কেমন স্বাধীনতা? সত্যিই কি আমরা স্বাধীন হয়েছি !
এটা পশ্চিমবঙ্গের পুলিশের ছবি, বিরোধী দল মানে বামপন্থী দলের আন্দোলন পুলিশ সহ্য করতে পারে না। কেবল মাত্র এই ছাত্র যুব দের স্বাস্থ্য পরিষেবা ভেঙে পড়েছে বিনা চিকিৎসায় মারা যাচ্ছে, তার প্রতিবাদে আন্দোলনে পুলিশের অত্যাচার তা নয়। যখনই বৃহৎ কোন আন্দোলন সংগঠিত করেছে বিরোধী তথা বাম দল গুলো তখনই পুলিশের এই নির্মম লাঠির আঘাত নেমে এসেছে তাদের উপর সে শিক্ষক শিক্ষিকা দের আন্দোলন হোক কিংবা অন্য কোন আন্দোলন। সারা ভারত কৃষক সভার নবান্ন অভিযান, কাজের দাবীতে ছাত্র যুব দের নবান্ন অভিযান। সাধারণ জমায়েত সব আন্দোলনে বাধা অর্থাৎ সরকারের ভুল হলে বিরোধী দল বা সাধারণ মানুষ আন্দোলন করতে পারবে না। সেই ব্রিটিশ শাসনের কথা মনে পড়ে গেল। কোন আন্দোলন জমায়েত সহ্য করতে পারত না, ইংরেজরা আন্দোলন আর জমায়েত দেখলেই পুলিশ অত্যাচার আরম করে দিত, তবে সরকারের গুনগান যারা করত তাদের খাতির যত্ন বেড়ে যেত কয়েক গুণ। ব্রিটিশ সরকার কে যারা বেশি তোষামদ করত উপঢৌকন অর্থাৎ ঘুষ দিতে পারত তারা উপাধি পেত রায় বাহাদুর, সাথে ছোট খাটো জমিদারি, বা জোতদারি। এখনও পশ্চিমবঙ্গের দিকে তাকিয়ে দেখুন যারা এই চোরের দল কে সমর্থন করে এবং তোলা তুলে বা কাটমানি নিয়ে 25% উপঢৌকন পাঠায় বাকি 75 % নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নিতে পারে, তারা উপহার পায়। বিভিন্ন উপাধি, কত রকম আছে নিদেন পক্ষে বাঁশের মাচায় ক্লাব বানিয়ে 2 লক্ষ টাকা। আর বঙ্গ শ্রী থেকে শুরু করে কত রকম আছে, উপাধির এবং টাকা দেবার জন্য, তার শেষ নেই। কেবল বিরোধিতা করা যাবে না,অন্যায়ের, চুরির ঘুষ নিয়ে চাকরি না দেওয়ার, তালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও চাকরি না হওয়ার প্রতিবাদ করা যাবে না। এখন তো আবার বিশ্ব মমহামারীর সময় লোক না খেয়ে মারা যাচ্ছে, বিনা চিকিৎসায় মারা যাচ্ছে, এর মধ্যে চুরি আছে, বিভিন্ন ভাবে সরকারি টাকা নেতারা পকেটে ভরছে। তাহলেই ব্রিটিশ সরকারের মতো পুলিশ আর কিছু সরকারি কর্মীদের দিয়ে বিভিন্ন ভাবে তাদের হেনস্থা করার ব্যবস্থা করতে হবে। মেরে হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে, কিন্তু সেখানে চিকিৎসা নেই, চিকিৎসা না পেয়ে মারা যাবে। এর মধ্যে একটা কথা বলি, এই পুলিশের মধ্যেই মিশে মারপিট করছে চোরের দলের লোক জন যারা চুরির ভাগ পায় কিম্বা ভোট এলে মদ মাংস খেতে পায় তারা। একটু মদ মাংস খেয়ে নিজের ক্ষতির সাথে সাথে বৃহত্তর জনগনের ক্ষতি করে দিচ্ছে। কারণ এখন বাঙালি চোরের জাতি সবাই জানে, গোটা বিশ্ব জানে বাঙালি চোর, চুরি করতে ক্ষমতা দখল করতে হবে। এটাই লক্ষ্য, ইংরেজ আমলে একদল বাঙালি ছিল, যারা ইংরেজের গোলামি করতে ভালবাসত তার জন্যে তারা যতটা পারত নীচে নামতে পারত, নিজের মা বোনের ইজ্জতের বিনিময়েও তারা ব্রিটিশদের গোলামি করে যেত, সামান্য টাকার জন্য। এখন কেবল এই পশ্চিমবঙ্গে নয় গোটা ভারত বর্ষে এই ইংরেজের পা চাটা কুত্তা দের বংশধরের দল দেশ শাসন করছে। কারণ আরেকটা ছবি দেখুন কীভাবে মধ্যপ্রদেশ পুলিশ একটি দলিত পরিবার কে তাদের জমি থেকে উচ্ছেদ করেছে। শেষ পর্যন্ত তারা পুলিশের সামনে বিষ খেয়ে নিয়েছে, এই আমরা স্বাধীন হয়েছি, স্বাধীন দেশে বাস করি। দেখুন ছবি টা।
এই আমাদের স্বাধীনতা, মনে আছে লকডাউনের সময় উত্তর প্রদেশের এবং বিহার বা হিন্দি বলয়ের গরীব খেটে খাওয়া মানুষের উপর অত্যাচার রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাওয়া যাবে না। খেটে খাওয়া মানুষ গুলো বাড়ি ফেরার উপায় ছিল না, নিরুপায় হয়ে হেঁটে হেঁটে বাড়ি ফিরে আসছিল। উত্তর প্রদেশের এক জায়গায় তাদের উপর কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়েছিল। এখন দেখা যাচ্ছে কেবল হিন্দি বলয় নয় পশ্চিমবঙ্গ সহ গোটা ভারতের পুলিশ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন দেখলেই হোল, লাঠি জল কামান নিয়ে এমনকি রবার বুলেট নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ছে। 2006 সালের থেকে 2011 সাল পর্যন্ত আন্দোলন দেখেছি। সে টাটা কে তাড়নোর জন্য আন্দোলন কিম্বা বাস ভাড়া বাড়ানোর বিরুদ্ধে আন্দোলন বা বিদ্যুতের সামান্য দাম বৃদ্ধির বিরুদ্ধে আন্দোলন এবং ভাঙচুরের ছবি ছিল সর্বত্র। এখন যে বিরোধী দল আন্দোলন করছে ঐ উগ্রতা নেই, তবুও পুলিশের লাঠি আছে, তবে কেন্দ্রীয় শাসক দলের আন্দোলন সেও দেখছি, যেমন ভাষা তেমন তাদের চলা ফেরা নিজেকে ছাড়া আর কেউ তাদের কাছে মানুষের পর্যায়ে পরে না। গরীব মানুষ সে তো মানুষ নয়। একটা রাজ্যের মানুষ অন্য রাজ্যে আছে, তারা প্রবাসী শ্রমিক, বা মানুষ জন তারা গেছে কেন, ভেবে দেখুন এরা দেশের অখণ্ডতা নিয়ে কথা বলে, অথচ আপনি একটা রাজ্য থেকে আরেকটা রাজ্যে থাকলে বা কোন কাজ করলে সেখানে বাসিন্দা হলে। আপনি প্রবাসী, এদের অখণ্ড ভারতের চিন্তাটা কেমন ভেবে নিন, তাহলে প্রধানমন্ত্রী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও কয়েক জন দিল্লির বাসিন্দা নন, ওনারা সব প্রবাসী তাহলে প্রবাসী প্রধানমন্ত্রী দেশ চালাচ্ছেন। দাদা এটাই ভবিষ্যতে হবে, আমেরিকা বা অন্য কোন ইউরোপের দেশ ভারত বর্ষের ভাগ্য বিধাতা হবে, তার প্রস্তুতি চলছে সব বেসরকারি করণ হচ্ছে, সরকারি বলে কিছু থাকবে না। দেশ থাকবে, আপনার স্বাধীনতা বলে থাকবে না। আপনি আন্দোলন করবেন পুলিশ দিয়ে, অন্য কোন বাহিনী দিয়ে দমন করা হবে। আত্মনির্ভর ভারত হবে। আমার দেশের মধ্যেই কারখানা হবে, আধুনিক শিল্প হবে,সবটাই বিদেশী নির্ভর, স্বাধীনতার সত্তর বছর পর আবার আমরা পরাধীন হতে চলেছি, কেবল কৌশল টা অন্য। বিদেশের পা চাটার দল দেশীয় প্রযুক্তিকে কাজে না লাগিয়ে বিদেশের প্রযুক্তি নির্ভর হয়ে উঠবে। আমার দেশের প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যে সব ছাত্র ছাত্রী প্রতি বছর পাশ করে আসবে তারা ঐ কেজরিয়ালের মতো মুখ্যমন্ত্রী হতে ছুটবে, কিম্বা DRDO এর মত দেশীয় প্রযুক্তির যুদ্ধ অস্ত্র সে যতই শক্তিশালী হোক তৈরি করতে দিলে হবে না। রেলের কোচ কারখানা বা ইঞ্জিন তৈরির কারখানা বন্ধ করে বিদেশ থেকে নিয়ে আসতে হবে, দেখছেন না। কি হচ্ছে, ধীরে ধীরে আমরা আবার পরাধীন হতে চলেছি, ব্রিটিশ ভারতের সেই কালা কানুন আবার ফিরে এসেছে, জাতের নামে ধর্মের নামে ভারত বাসি কে ভাগ, উচ্চ বর্ণের সাথে নিম্ন বর্ণের যুদ্ধ লাগিয়ে দাও। এ সব ছিল ইংরেজ দের শাসনের কৌশল, কিছুতেই ভারতীয় দের এক হতে দিও না, ভারতীয় শিল্প ধ্বংস করে দাও, ইন্ডিয়ান নেটেটিভ কালা আদমী ওরা আবার কী জানে, ওদের আবার প্রযুক্তি, সত্যিই এত উপগ্রহ এতো রকেট ইসরো নিয়ে এত কথা, এত গর্ব তবুও দেখুন আপনি নেট করবেন, বিদেশী ব্রাউজার, বিদেশী সার্চ ইঞ্জিন, হয় বিইংস, ইয়াহু, সর্বোপরি আছে গুগুল সার্চ ইঞ্জিন। অথচ দেখুন গুগলের কর্মকর্তা তিনি ভারতীয়। পরাধীনতা আসছে একদম শিরোধার্য, তবে একটু অন্য ভাবে, আমাদের দেশের মানুষকে দিয়ে আমাদের শাসন করা হবে কিন্তু আমাদের স্বাধীনতা থাথাকবে না। বিশেষ করে পরাধীন হবে গরীব খেটে খাওয়া মানুষ।অদ্ভুত এক শাসন ব্যবস্থার সামনে আমরা দাঁড়িয়ে আছি, এখন থেকে যদি প্রতিবাদ না করেছেন, তাহলে আরও পুলিশি অত্যাচার সহ্য করার জন্য তৈৈরি থাকুন, ক্ষমতা চাই, জন গন একটা সংখ্যা মাাত্র ভোট দিলেই হবে। আগেই এক দল মানুষ আছেন যারা চুরি ডাাকাতি করতে সাহায্য করে যাচ্ছে, কারণ তারা চুরি ডাকাতির টাকার ভাগ পায়। আমি বাংলা মাায়ে দামাল ছেলেদের কাছে অনুরোধ করছি। তোমরা হাল ছেড়ে চলে যেওনা, লড়াই চাালিয়ে যাও। আগামী দিন তোমাদের।
এই আমাদের স্বাধীনতা, মনে আছে লকডাউনের সময় উত্তর প্রদেশের এবং বিহার বা হিন্দি বলয়ের গরীব খেটে খাওয়া মানুষের উপর অত্যাচার রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাওয়া যাবে না। খেটে খাওয়া মানুষ গুলো বাড়ি ফেরার উপায় ছিল না, নিরুপায় হয়ে হেঁটে হেঁটে বাড়ি ফিরে আসছিল। উত্তর প্রদেশের এক জায়গায় তাদের উপর কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়েছিল। এখন দেখা যাচ্ছে কেবল হিন্দি বলয় নয় পশ্চিমবঙ্গ সহ গোটা ভারতের পুলিশ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন দেখলেই হোল, লাঠি জল কামান নিয়ে এমনকি রবার বুলেট নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ছে। 2006 সালের থেকে 2011 সাল পর্যন্ত আন্দোলন দেখেছি। সে টাটা কে তাড়নোর জন্য আন্দোলন কিম্বা বাস ভাড়া বাড়ানোর বিরুদ্ধে আন্দোলন বা বিদ্যুতের সামান্য দাম বৃদ্ধির বিরুদ্ধে আন্দোলন এবং ভাঙচুরের ছবি ছিল সর্বত্র। এখন যে বিরোধী দল আন্দোলন করছে ঐ উগ্রতা নেই, তবুও পুলিশের লাঠি আছে, তবে কেন্দ্রীয় শাসক দলের আন্দোলন সেও দেখছি, যেমন ভাষা তেমন তাদের চলা ফেরা নিজেকে ছাড়া আর কেউ তাদের কাছে মানুষের পর্যায়ে পরে না। গরীব মানুষ সে তো মানুষ নয়। একটা রাজ্যের মানুষ অন্য রাজ্যে আছে, তারা প্রবাসী শ্রমিক, বা মানুষ জন তারা গেছে কেন, ভেবে দেখুন এরা দেশের অখণ্ডতা নিয়ে কথা বলে, অথচ আপনি একটা রাজ্য থেকে আরেকটা রাজ্যে থাকলে বা কোন কাজ করলে সেখানে বাসিন্দা হলে। আপনি প্রবাসী, এদের অখণ্ড ভারতের চিন্তাটা কেমন ভেবে নিন, তাহলে প্রধানমন্ত্রী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও কয়েক জন দিল্লির বাসিন্দা নন, ওনারা সব প্রবাসী তাহলে প্রবাসী প্রধানমন্ত্রী দেশ চালাচ্ছেন। দাদা এটাই ভবিষ্যতে হবে, আমেরিকা বা অন্য কোন ইউরোপের দেশ ভারত বর্ষের ভাগ্য বিধাতা হবে, তার প্রস্তুতি চলছে সব বেসরকারি করণ হচ্ছে, সরকারি বলে কিছু থাকবে না। দেশ থাকবে, আপনার স্বাধীনতা বলে থাকবে না। আপনি আন্দোলন করবেন পুলিশ দিয়ে, অন্য কোন বাহিনী দিয়ে দমন করা হবে। আত্মনির্ভর ভারত হবে। আমার দেশের মধ্যেই কারখানা হবে, আধুনিক শিল্প হবে,সবটাই বিদেশী নির্ভর, স্বাধীনতার সত্তর বছর পর আবার আমরা পরাধীন হতে চলেছি, কেবল কৌশল টা অন্য। বিদেশের পা চাটার দল দেশীয় প্রযুক্তিকে কাজে না লাগিয়ে বিদেশের প্রযুক্তি নির্ভর হয়ে উঠবে। আমার দেশের প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যে সব ছাত্র ছাত্রী প্রতি বছর পাশ করে আসবে তারা ঐ কেজরিয়ালের মতো মুখ্যমন্ত্রী হতে ছুটবে, কিম্বা DRDO এর মত দেশীয় প্রযুক্তির যুদ্ধ অস্ত্র সে যতই শক্তিশালী হোক তৈরি করতে দিলে হবে না। রেলের কোচ কারখানা বা ইঞ্জিন তৈরির কারখানা বন্ধ করে বিদেশ থেকে নিয়ে আসতে হবে, দেখছেন না। কি হচ্ছে, ধীরে ধীরে আমরা আবার পরাধীন হতে চলেছি, ব্রিটিশ ভারতের সেই কালা কানুন আবার ফিরে এসেছে, জাতের নামে ধর্মের নামে ভারত বাসি কে ভাগ, উচ্চ বর্ণের সাথে নিম্ন বর্ণের যুদ্ধ লাগিয়ে দাও। এ সব ছিল ইংরেজ দের শাসনের কৌশল, কিছুতেই ভারতীয় দের এক হতে দিও না, ভারতীয় শিল্প ধ্বংস করে দাও, ইন্ডিয়ান নেটেটিভ কালা আদমী ওরা আবার কী জানে, ওদের আবার প্রযুক্তি, সত্যিই এত উপগ্রহ এতো রকেট ইসরো নিয়ে এত কথা, এত গর্ব তবুও দেখুন আপনি নেট করবেন, বিদেশী ব্রাউজার, বিদেশী সার্চ ইঞ্জিন, হয় বিইংস, ইয়াহু, সর্বোপরি আছে গুগুল সার্চ ইঞ্জিন। অথচ দেখুন গুগলের কর্মকর্তা তিনি ভারতীয়। পরাধীনতা আসছে একদম শিরোধার্য, তবে একটু অন্য ভাবে, আমাদের দেশের মানুষকে দিয়ে আমাদের শাসন করা হবে কিন্তু আমাদের স্বাধীনতা থাথাকবে না। বিশেষ করে পরাধীন হবে গরীব খেটে খাওয়া মানুষ।অদ্ভুত এক শাসন ব্যবস্থার সামনে আমরা দাঁড়িয়ে আছি, এখন থেকে যদি প্রতিবাদ না করেছেন, তাহলে আরও পুলিশি অত্যাচার সহ্য করার জন্য তৈৈরি থাকুন, ক্ষমতা চাই, জন গন একটা সংখ্যা মাাত্র ভোট দিলেই হবে। আগেই এক দল মানুষ আছেন যারা চুরি ডাাকাতি করতে সাহায্য করে যাচ্ছে, কারণ তারা চুরি ডাকাতির টাকার ভাগ পায়। আমি বাংলা মাায়ে দামাল ছেলেদের কাছে অনুরোধ করছি। তোমরা হাল ছেড়ে চলে যেওনা, লড়াই চাালিয়ে যাও। আগামী দিন তোমাদের।
Tuesday, 14 July 2020
প্রতিরক্ষায় আত্মনির্ভর ভারত !
কিছু দিন আগে এটা অন লাইন খবরে বেড়িয়ে ছিল। এই সব পড়ে এক দল ভক্তের কি আনন্দ আর ধরে না। মনে হচ্ছে সেনা বাহিনীর বদলে ওরা যুদ্ধ করতে চলে গেছে, কি মিশাইল কেনা থেকে শুরু করে কপ্টার, যুদ্ধ প্লেন, আরও নানা রকম অস্ত্র কোন টা রাশিয়ার, কোনটা ইজারাইলের তৈরি আবার কোনটা আমেরিকার আবার ফ্রান্স ও আছে। কাউকে অখুশি রাখেনি আমাদের দাদার সরকার, ভাগ্যিস চীন এগিয়ে এসে ছিল। আর দুঃখের বিষয় কুড়ি জন সেনা কে প্রাণ দিতে হলো। অস্ত্র কারবারি দেশ গুলোর সুবিধা হোল বেশ কিছু অস্ত্র বিক্রি হয়ে গেল। এই সুযোগে, একে করোনার মন্দা তাতে যে ভাবে হোক বানিজ্য করা গেল। আত্মনির্ভর ভারততো তাই বিদেশ থেকে অস্ত্র কেনার হিড়িক পরে গেল। সব দেশ অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করতে লেগেছে যেন মনে হচ্ছে সব বিনা টাকায়। ভক্ত দের প্রচার দেখে সেটাই মনে হচ্ছে। ভক্ত দের মনে আছে বোধ হয় অনেক দিন আগে ভারতের একটি সংস্থা তৈরি করা হয়েছিল। যারা প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম নিয়ে গবেষনা ও তৈরী করে সরকারি বরাদ্দের উপর নির্ভর করে। সেই সংস্থার একটি খবর এখানে দিলাম।
ভক্ত গন আপনার তথা আমাদের প্রভু আত্মনির্ভর ভারত গড়ার কথা বলে চলেছেন। আর এই খবরের এই টুকু পড়ে দেখ তাহলে বোঝা যাবে আমরা কোথায় আত্মনির্ভর হচ্ছি। সামান্য একটা আধুনিক রাইফেল তৈরি করতে পারে না, সেটাও বিদেশ থেকে আনতে হয়। না দেশের রাইফেল তৈরির কারখানা গুলো কে অকেজো করে দিয়ে, যাতে তাড়াতাড়ি আত্মনির্ভর হওয়া যায় তার ব্যবস্থাপনা পাকা করা। ভক্তরা চীনের এই ব্যাপারটা নিয়ে এমন করছেন মনে হচ্ছে আমাদের প্রভু ছাপান্ন ইঞ্চি ছাতি নিয়ে চীন বর্ডারে দাঁড়াল আর চীনা সেনা থর থর করে কাঁপতে কাঁপতে পালিয়ে গেল। আমাদের প্রভুর অত বড় বড় কথা প্রভু আর প্রভুর ভক্ত দের বলছি এক সপ্তাহ ঐ ঠান্ডায় গিয়ে দাঁড়িয়ে দেখা দেখি। যেখানে সেনা বাহিনীর কয়েশ সেনা নিত্য পাহাড় দিচ্ছে। ভক্ত দের এমন সব বুলি, এই দেখ ছাপান্ন ইঞ্চির ভয়ে চীন পিছু হটল, আরে অন্ধ ভক্ত ওখানে গালওয়ান নদীর জল বাড়তে শুরু করেছে, তাঁবু সব ভেসে যাচ্ছে দেখে চীন পালিয়ে গেছে। আমার প্রশ্ন বারবার চীন কেন ভারতের প্রতি আগ্রাসন দেখাচ্ছে। এখন তো আবার নেপাল সরকার সেও ভারত বিরোধী হয়ে উঠেছে, কেন? ভুটান মাঝে মাঝে হুমকি দিচ্ছে? থুরি আমরা আত্মনির্ভর হচ্ছি। জানা নেই14/7/2020 তারিখের এই লেখাটা কে কে পড়েছেন, ক দিন অন লাইনে পড়ছি, প্রতিরক্ষার বিভিন্ন প্রয়োজনীয় 101 টি জিনিস ভারতে তৈরি করা হবে।অন লাইন খবরের একটা ছবি দিলাম।
খুব ভালো লাগলো, এতে দুটি লাভ, ভারতের প্রতিরক্ষার অনেক বিষয় গোপন থাকবে। আর আমার প্রিয় সেনা বাহিনীর ভাইয়েরা নিজের দেশের তৈরি অস্ত্রে বলিয়ান হয়ে দেশ পাহারা দেবে, এটা সব থেকে ভাল বিষয়। আর আমদানি করা হচ্ছে, মানে সেই দেশ সহ অন্যান্য সব দেশ জানে ভারতের কাছে কী কী আছে এবং কটি আছে এবং সে গুলো কেমন কাজ করে, এসব দিক থেকে, আমার দেশের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দিয়ে তৈরি জিনিস আরও ভাল হবে। বিদেশ বা শত্রু দেশ জানতে পারবে না, কী হতে পারে? এই সব খবর যদি সত্যি হয় তবে খুব ভাল কারণ এই জুমলা বাজ মিথ্যাবাদী শাসকে বিশ্বাস করা কঠিন।এই লেখাটা লেখার পর থেকে আমি একটা জিনিস খুব লক্ষ্য করছি, এখন অন লাইনে প্রতিরক্ষা তথা যুদ্ধাস্ত্র নিয়ে অন লাইন যে খবর আসছে তাতেই জুড়ে দেওয়া হচ্ছে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি, আমি বুঝতে পারি ঐ সব অন লাইন সংবাদ পত্র দাদার পা চাটার দল। কিছু টাকার বিনিময়ে সংবাদ পরিবেশন করে, না হলে ইছাপুর গান এবং শেল কারখানা বিক্রি করে দিচ্ছে, আর বিভিন্ন দেশ থেকে অস্ত্র কিনতে ব্যস্ত। এই সংবাদ পরিবেশক হচ্ছে এক ধরনের দালাল, এরা ইংরেজ আমলেও ছিল দালালি করে টাকা উপার্জন।
ভক্ত গন আপনার তথা আমাদের প্রভু আত্মনির্ভর ভারত গড়ার কথা বলে চলেছেন। আর এই খবরের এই টুকু পড়ে দেখ তাহলে বোঝা যাবে আমরা কোথায় আত্মনির্ভর হচ্ছি। সামান্য একটা আধুনিক রাইফেল তৈরি করতে পারে না, সেটাও বিদেশ থেকে আনতে হয়। না দেশের রাইফেল তৈরির কারখানা গুলো কে অকেজো করে দিয়ে, যাতে তাড়াতাড়ি আত্মনির্ভর হওয়া যায় তার ব্যবস্থাপনা পাকা করা। ভক্তরা চীনের এই ব্যাপারটা নিয়ে এমন করছেন মনে হচ্ছে আমাদের প্রভু ছাপান্ন ইঞ্চি ছাতি নিয়ে চীন বর্ডারে দাঁড়াল আর চীনা সেনা থর থর করে কাঁপতে কাঁপতে পালিয়ে গেল। আমাদের প্রভুর অত বড় বড় কথা প্রভু আর প্রভুর ভক্ত দের বলছি এক সপ্তাহ ঐ ঠান্ডায় গিয়ে দাঁড়িয়ে দেখা দেখি। যেখানে সেনা বাহিনীর কয়েশ সেনা নিত্য পাহাড় দিচ্ছে। ভক্ত দের এমন সব বুলি, এই দেখ ছাপান্ন ইঞ্চির ভয়ে চীন পিছু হটল, আরে অন্ধ ভক্ত ওখানে গালওয়ান নদীর জল বাড়তে শুরু করেছে, তাঁবু সব ভেসে যাচ্ছে দেখে চীন পালিয়ে গেছে। আমার প্রশ্ন বারবার চীন কেন ভারতের প্রতি আগ্রাসন দেখাচ্ছে। এখন তো আবার নেপাল সরকার সেও ভারত বিরোধী হয়ে উঠেছে, কেন? ভুটান মাঝে মাঝে হুমকি দিচ্ছে? থুরি আমরা আত্মনির্ভর হচ্ছি। জানা নেই14/7/2020 তারিখের এই লেখাটা কে কে পড়েছেন, ক দিন অন লাইনে পড়ছি, প্রতিরক্ষার বিভিন্ন প্রয়োজনীয় 101 টি জিনিস ভারতে তৈরি করা হবে।অন লাইন খবরের একটা ছবি দিলাম।
খুব ভালো লাগলো, এতে দুটি লাভ, ভারতের প্রতিরক্ষার অনেক বিষয় গোপন থাকবে। আর আমার প্রিয় সেনা বাহিনীর ভাইয়েরা নিজের দেশের তৈরি অস্ত্রে বলিয়ান হয়ে দেশ পাহারা দেবে, এটা সব থেকে ভাল বিষয়। আর আমদানি করা হচ্ছে, মানে সেই দেশ সহ অন্যান্য সব দেশ জানে ভারতের কাছে কী কী আছে এবং কটি আছে এবং সে গুলো কেমন কাজ করে, এসব দিক থেকে, আমার দেশের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দিয়ে তৈরি জিনিস আরও ভাল হবে। বিদেশ বা শত্রু দেশ জানতে পারবে না, কী হতে পারে? এই সব খবর যদি সত্যি হয় তবে খুব ভাল কারণ এই জুমলা বাজ মিথ্যাবাদী শাসকে বিশ্বাস করা কঠিন।এই লেখাটা লেখার পর থেকে আমি একটা জিনিস খুব লক্ষ্য করছি, এখন অন লাইনে প্রতিরক্ষা তথা যুদ্ধাস্ত্র নিয়ে অন লাইন যে খবর আসছে তাতেই জুড়ে দেওয়া হচ্ছে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি, আমি বুঝতে পারি ঐ সব অন লাইন সংবাদ পত্র দাদার পা চাটার দল। কিছু টাকার বিনিময়ে সংবাদ পরিবেশন করে, না হলে ইছাপুর গান এবং শেল কারখানা বিক্রি করে দিচ্ছে, আর বিভিন্ন দেশ থেকে অস্ত্র কিনতে ব্যস্ত। এই সংবাদ পরিবেশক হচ্ছে এক ধরনের দালাল, এরা ইংরেজ আমলেও ছিল দালালি করে টাকা উপার্জন।
Sunday, 12 July 2020
ভোট বড়ো বালাই, ভোট এলেই নিয়োগের বিজ্ঞাপনে ছড়াছড়ি।
আগামী 2021 সাল বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি চলছে প্রতি টি নির্বাচনের আগে দেখা যায় এই রকম হাজার নিয়োগের বিজ্ঞাপন। ভোট মিটে গেলে তোমার দেখা নাইরে নাইরে। কোন বিজ্ঞাপনের পরীক্ষা হয় আবার কোন বিজ্ঞাপন পরীক্ষার তারিখ পিছতে পিছতে ভোট পার। নিয়োগ পত্র সে আর হাতে আসে না। মনে পড়ছে বেকার যুবক দের 2009 বা 2010 সালে রেল মন্ত্রী থাকা কালীন রেলের গ্রুপ ডি নিয়োগের বিজ্ঞাপন। সে নিয়োগ এখনো দিনের আলো দেখেনি। অত আগে যেতে হবে না, গত লোকসভা নির্বাচনের আগে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের নিয়োগের বিজ্ঞাপন গুলো মনে পড়ছে না, এস এস সি থেকে গ্রুপ ডি, পুলিশ, যত রকম সরকারের নিয়ন্ত্রণে নিয়োগ করা হয় সবের বিজ্ঞাপন আর ফর্ম এ ভর্তি তার পরেও চাকরির জন্য অনশন করতে হচ্ছে। যেই ভোট মিটে গেল ভোটে জয় লাভ করা হয়ে গেল। ব্যস তখন বক্তব্য টেবিল পেতে চা বিক্রি চপ ভাজ, আর কত রকম চাকরির ব্যবস্থা বলে দিয়েছেন তার শেষ নেই। উভয় কি কেন্দ্র কি রাজ্যে এ বিষয়ে নোবেল পুরস্কার পাওয়ার যোগ্য। তবুও বাম আমলে বছর বছর এস এস সি, পি এস সি, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চাকরির পরীক্ষা গুলো হতো, আর নিয়োগ হতো। মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ করা হয়েছে, সে সব প্রাথমিক শিক্ষক এখন দিদি বলতে অজ্ঞান, মেধা যে বাম আমলে চাকরি পেল পরীক্ষা দিয়ে ঘুষ না দিয়ে সেও বলে দিদির জয়। সে ডি এ দিক আর না দিক বেতন কম দিলেও চলবে। মেধাবী তো ঐ জন্য চুরি কে বা চোর ও মিথ্যাবাদী ধাপ্পাবাজ কে সমর্থন করে। আমার মত মনে হয়, মাধ্যমিকের ঐ 80% 90% নম্বর সেই সময়ে চুরি করে পেয়েছে। যাহোক ওসব কথা থাক, খারাপ কথা না বলা ভালো। আমার একটাই কথা প্রতি টি নির্বাচনের আগে এত নিয়োগের বিজ্ঞাপন এতো নিয়োগ তার পরেও এত বেকার কেন? উপরের বিজ্ঞাপন গ্রামে গ্রামে আশা কর্মী নিয়োগ, আরেকটা দেখুন, অষ্টম শ্রেণি পাশে মিউনিসিপ্যালিটির চাকরি।
পাশাপাশি এই দেখুন আরেকটা খবর আপার প্রাইমারি স্কুলে নিয়োগ নিয়ে যা চলছে গত কয়েক বছর ধরে।
এই নিয়োগের পরীক্ষা 2015 সালে হয়। ফল প্রকাশ করে 2016 সালে। ভেবে দেখুন 2016 সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে থেকেই বিজ্ঞাপন চলছিল। সে চাকরি এখনও পর্যন্ত দেয় নি সরকার। আর 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে বলছে গ্রামে গ্রামে নিয়োগ, আর কত মিথ্যে বলে ক্ষমতায় আসতে হবে। কেবল টাকা চাই টাকার জন্য ক্ষমতা দখল আর মানুষের জীবন কে নিয়ে ছিনিমিনি খেলা কেন। বাঙালি জাতির আজ মাথা হেঁট হয়ে গেছে সারা বিশ্বে সবাই হাসাহাসি করে। কি জানি আর কত টাকার মালিক হলে এই ক্ষমতার লোভ যাবে। কোথায় রবীন্দ্র নাথের বাংলা, কোথায় বিবেকানন্দের বাংলা, বিবেকানন্দ কে নিয়ে বিবেক চেতনা উৎসব হয় কিন্তু নিজের বিবেক আর জাগে না, যে আমি মিথ্যে কথা বলব না। মানুষ কে ঠকাব না, দু টাকা কিলো চাল ভিক্ষা নয় তাদের কর্ম সংস্থান করে দেব। যাতে বাঙালি জাতি আগামী প্রজন্মের উন্নতি করতে পারে তার ব্যবস্থাপনা করব। না চুরি করে ধরা পড়ে জেলে যাচ্ছে, গরীব মানুষের টাকা লুঠ করে টাকার পাহাড় করছে, আর দিনের পর দিন মিথ্যা কথা বলে যাচ্ছে। প্রতিটি ক্ষেত্রে মিথ্যা কথা, কোথায় সততার প্রতীক, বিবেকানন্দ মানব মানুষ কে তার বাণীর কথা বলব আর নিজে মানব না। বিবেকানন্দ সেই সত্যের জন্য সব কিছু ত্যাগ করা যায় কোনো কিছুর জন্য সত্য কে ত্যাগ করা যায় না। মিথ্যার উপর নির্ভর করে গোটা দেশ তথা রাজ্য আজ ধ্বংস হয়ে গেল। বাঙালি আজ তুমি জাগ, এত বিহার উত্তর প্রদেশের মত হয়ে গেল। এখনও যে টুকু বাকি আছে, তাকে রক্ষা করতে এগিয়ে এসো, ব্রিটিশ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের মত আবার চরম লড়াই শুরু করতে হবে। না হলে এ বাংলা আর বাঁচবে না, একবার বাংলা ভাগ করে বাঙালি জাতির মেরুদন্ড ভেঙে দিয়েছে আবার এই চুরি, ডাকাতি মিথ্যা কথা আর ধর্মের নামে বজ্জাতি আরম করে দিয়েছে। সত্যই তোমার শরীরে যদি বাঙালি জাতির পূর্ব পুরুষদের রক্ত থাকে তাহলে এগিয়ে এসো বাঙালি জাতি কে সর্ব প্রকার ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করতে দ্বিতীয় স্বাধীনতার লড়াই শুরু করতে। লড়াই শুরু হোক বাংলা বাঁচাতে, লড়াই শুরু হোক বাঙালি জাতির চোর বদনাম ঘোচাতে, লড়াই শুরু হোক মিথ্যাবাদী বাঙালি এ বদনাম দূর করতে, লড়াই শুরু হোক চিটিংবাজ, ধাপ্পাবাজ দের থেকে বাঙালি জাতি কে বাঁচাতে। এ লড়াই তোমার আমার আমাদের সবার। বাংলা এবং বাঙালি জাতির এই দূর্দিনে ধর্ম কে পিছনে ফেলে এগিয়ে আসতে হবে সকল কে।
পাশাপাশি এই দেখুন আরেকটা খবর আপার প্রাইমারি স্কুলে নিয়োগ নিয়ে যা চলছে গত কয়েক বছর ধরে।
এই নিয়োগের পরীক্ষা 2015 সালে হয়। ফল প্রকাশ করে 2016 সালে। ভেবে দেখুন 2016 সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে থেকেই বিজ্ঞাপন চলছিল। সে চাকরি এখনও পর্যন্ত দেয় নি সরকার। আর 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে বলছে গ্রামে গ্রামে নিয়োগ, আর কত মিথ্যে বলে ক্ষমতায় আসতে হবে। কেবল টাকা চাই টাকার জন্য ক্ষমতা দখল আর মানুষের জীবন কে নিয়ে ছিনিমিনি খেলা কেন। বাঙালি জাতির আজ মাথা হেঁট হয়ে গেছে সারা বিশ্বে সবাই হাসাহাসি করে। কি জানি আর কত টাকার মালিক হলে এই ক্ষমতার লোভ যাবে। কোথায় রবীন্দ্র নাথের বাংলা, কোথায় বিবেকানন্দের বাংলা, বিবেকানন্দ কে নিয়ে বিবেক চেতনা উৎসব হয় কিন্তু নিজের বিবেক আর জাগে না, যে আমি মিথ্যে কথা বলব না। মানুষ কে ঠকাব না, দু টাকা কিলো চাল ভিক্ষা নয় তাদের কর্ম সংস্থান করে দেব। যাতে বাঙালি জাতি আগামী প্রজন্মের উন্নতি করতে পারে তার ব্যবস্থাপনা করব। না চুরি করে ধরা পড়ে জেলে যাচ্ছে, গরীব মানুষের টাকা লুঠ করে টাকার পাহাড় করছে, আর দিনের পর দিন মিথ্যা কথা বলে যাচ্ছে। প্রতিটি ক্ষেত্রে মিথ্যা কথা, কোথায় সততার প্রতীক, বিবেকানন্দ মানব মানুষ কে তার বাণীর কথা বলব আর নিজে মানব না। বিবেকানন্দ সেই সত্যের জন্য সব কিছু ত্যাগ করা যায় কোনো কিছুর জন্য সত্য কে ত্যাগ করা যায় না। মিথ্যার উপর নির্ভর করে গোটা দেশ তথা রাজ্য আজ ধ্বংস হয়ে গেল। বাঙালি আজ তুমি জাগ, এত বিহার উত্তর প্রদেশের মত হয়ে গেল। এখনও যে টুকু বাকি আছে, তাকে রক্ষা করতে এগিয়ে এসো, ব্রিটিশ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের মত আবার চরম লড়াই শুরু করতে হবে। না হলে এ বাংলা আর বাঁচবে না, একবার বাংলা ভাগ করে বাঙালি জাতির মেরুদন্ড ভেঙে দিয়েছে আবার এই চুরি, ডাকাতি মিথ্যা কথা আর ধর্মের নামে বজ্জাতি আরম করে দিয়েছে। সত্যই তোমার শরীরে যদি বাঙালি জাতির পূর্ব পুরুষদের রক্ত থাকে তাহলে এগিয়ে এসো বাঙালি জাতি কে সর্ব প্রকার ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করতে দ্বিতীয় স্বাধীনতার লড়াই শুরু করতে। লড়াই শুরু হোক বাংলা বাঁচাতে, লড়াই শুরু হোক বাঙালি জাতির চোর বদনাম ঘোচাতে, লড়াই শুরু হোক মিথ্যাবাদী বাঙালি এ বদনাম দূর করতে, লড়াই শুরু হোক চিটিংবাজ, ধাপ্পাবাজ দের থেকে বাঙালি জাতি কে বাঁচাতে। এ লড়াই তোমার আমার আমাদের সবার। বাংলা এবং বাঙালি জাতির এই দূর্দিনে ধর্ম কে পিছনে ফেলে এগিয়ে আসতে হবে সকল কে।
Friday, 10 July 2020
পশ্চিমবঙ্গে বাংলার শিক্ষা. গভ. ইন /লগইন। নিয়ে শিক্ষকরা পরেছেন সমস্যায়।
এটি banglarsiksh gov.in/login করলে আসবে বর্তমানে বলা হয়েছে এই সাইটে গিয়ে লগইন করে ছাত্র ছাত্রী দের নাম অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। না হলে ছাত্র ছাত্রীর সংখ্যা ওখানে কম দেখা যাচ্ছে। কারণ প্রাক প্রাথমিকের যারা ভর্তি হয়েছে বা যারা অন্য শ্রেণিতে ভর্তি হয়েছে তাদের নাম ওখানে আপলোড করা নেই বলে। প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলি এখন বন্ধ, এস আই অফিস এই কাজ করে দিত কারণ প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলিতে কম্পিউটার নেই। আর বর্তমানে যোগাযোগের উপায় না থাকায় এস আই অফিসে যেতে পারছে না। সব শিক্ষকদের বাড়িতে কম্পিউটার আছে কিনা আমার জানা নেই, তবে তারা মোবাইলে অর্থাৎ স্মার্ট ফোনে খোলার চেষ্টা করে যাচ্ছে কাজ করার জন্য। অনেকেই নিজের স্মার্টফোন কে ডেস্কটপ সাইট করে নিয়ে, কুড়ি পঁচিশ জনের নাম ঐ সাইটে এন্ট্রি করে করেছে। আবার অনেক সময় টাইপ করতে একটু দেরি বা ভুল সংশোধন করতে গেলে হচ্ছে বিপত্তি টাইম আউট। আবার দ্বিতীয় বারের করা এভাবে চলতে চলতে একবারে ঐ সাই আর খুলছে না। মোবাইল এ, এবার বোঝা যাচ্ছে গত 2019 সালের ছাত্র ছাত্রী দের নাম থেকে বাবার নাম কেন এতো ভুল। ছাত্রের নাম সেখ. রফিক হলে বাবা সনাতন মুখার্জি। আবার আরও আছে একই নাম এবং বাবার নাম যদি এক হয়েছে কিছুতেই নেবে না বা এন্ট্রি করা যাবে না। দেখিয়ে দেবে ডুল্পিকেট সুডেন্ট এন্টি। যেন ওরকম হতে পারে না, মোবাইল ফোনে কিছু কাজ করার পর আর খুলবে না। যতই চেষ্টা করে যান ঐ ক্যাপচা পর্যন্ত তার পর দেখিয়ে দেবে।
যতই চেষ্টা করে যাও কেন ঐ মোবাইল এ ঐ সাইটের ইতি হয়ে গেছে এই পর্যন্ত হয়ে আর হবে না। আমার মনে হয় সরকারের তরফে এ ভাবে তৈরি ওটা ডেস্কটপ ছাড়া খুলবে না। সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ডেস্কটপ সরকার দিয়ে দিয়েছে মনে হয় খাতায় কলমে হতেও পারে হতেও পারে। আর এ্যাপ এর কথা নাই বা বললাম সে তো আর এক জিনিস লেখা আছে ইউজার নেম এই নাম টা কার দিতে হবে, অনেকেই জিজ্ঞেস করে জানা গেল নাম নয় বিদ্যালয়ের আই ডি নম্বর দিতে হবে। তাহলে ওখানে লেখা কেন ইউজার নেম, School id কথাটা দেওয়া ঠিক হতো না বিভ্রান্তি না ঘটালে চলে। যেমন করে হোক মানুষ কে জব্দ করতে হবে। এরকম অনেক ওয়েব সাইট আছে যে গুলো খুলতে হলে হাড় হিম করা অভিজ্ঞতা হবে। অথচ ঐ সব ওয়েব সাইটে ঢুকে শিক্ষক দের কাজ করতে হবে, না আছে ল্যাপটপ না আছে ডেস্কটপ, না আছে নেটের অর্থাৎ ইন্টারনেটর ব্যবস্থা কিন্তু কাজ করতে হবে। ঢাল নেই তরোয়াল নেই নিধিরাম সর্দার আর কি? এক এক সময়ে এক এক ওয়েব সাইট কখন বাংলার শিক্ষা গভ. ইন কখনো বাংলার শিক্ষা পোর্টাল, কখনো বাংলার শিক্ষা এস এম এস আর হ্যাঁ এসবের মূল WBSED। শিক্ষা সংক্রান্ত যত আদেশ একটারও আপডেট এখানে পাবেন না অথচ ওয়েব সাইট সরকারের টাকার অপচয় আর কি? যতই বল এদের পরিবর্তন নেই, এই সব সাইটের আপ ডেট নেই, আমি প্রায় চার রকম বাংলা শিক্ষা সাইট পেয়েছি আর দুটো এ্যাপ কোনোটাই মোবাইল এ ঠিক মত কাজ করে না। বেশির ভাগ শিক্ষকের একই অভিজ্ঞতা। আর ও কিছু সাইটের প্রথম অংশের ছবি দিচ্ছি যদি কেউ পারেন বলে দিন এত সাইটের কোনটার কি কাজ আর কি মোবাইল এ খোলা যাবে? মোবাইল এ একটি অপশন আছে ডেস্কটপ সাইট সেটা করেও খোলে না। কোন ক্রমে কোন টা একটা খুলতে পারলে কাজ করা যায় না।আরও কিছু সাইটে র ছবি দিলাম।
যারা এসব তৈরি করে বিভ্রান্তি করে রেখেছেন তারা যদি পড়েন তবে সহজ ভাবে কোন সাইটে গিয়ে হবে। একটি নির্দিষ্ট করে দিন, আমি দেখেছি অনেকেই আপনাদের কাছে বলেছেন সব থেকে বিভ্রান্তি কর সাইট এবং সব থেকে বাজে এ্যাপ তার পরও কোন পরিবর্তন করা হয় নি। আর যদি শিক্ষক দের জব্দ করার জন্য করে থাকেন তাহলে ঠিক আছে। আপনারা শিক্ষক দের জব্দ ভালো করতে পারেন এটা জানা বা দেখা আছে। না হলে কখনো লক ডাউন কখনো আন লকডাউন এর মাঝে ট্রেন বাস চলছে না। সেখানে দাঁড়িয়ে চাল আলু দিতে যেতে হবে নির্দেশ না গেলে আবার সাসপেন্ড কেবল প্রধান শিক্ষকে আর সহকারী শিক্ষক যদি শাসক দলের হয় তাহলে সব মাপ সে যদি বিদ্যালয়ের দেওয়ালের সাথে বাড়ি হয়। তাও যদি না আসে তাতেও ক্ষতি নেই। দারুণ সরকার চলছে জবাব নেই, খালি কর্মী জব্দ করে যাও। যেমন করে হোক, সে শিক্ষিক হোক আর সরকারী কর্মী কেবল ছাড় শাসক দলের হলে। আমি ভালো জানি এই লিখছি এসব সরকারি কেউ পড়বে না আর পরিবর্তন সে এই সরকারের আমলে ও আশা করা যায় না।
যতই চেষ্টা করে যাও কেন ঐ মোবাইল এ ঐ সাইটের ইতি হয়ে গেছে এই পর্যন্ত হয়ে আর হবে না। আমার মনে হয় সরকারের তরফে এ ভাবে তৈরি ওটা ডেস্কটপ ছাড়া খুলবে না। সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ডেস্কটপ সরকার দিয়ে দিয়েছে মনে হয় খাতায় কলমে হতেও পারে হতেও পারে। আর এ্যাপ এর কথা নাই বা বললাম সে তো আর এক জিনিস লেখা আছে ইউজার নেম এই নাম টা কার দিতে হবে, অনেকেই জিজ্ঞেস করে জানা গেল নাম নয় বিদ্যালয়ের আই ডি নম্বর দিতে হবে। তাহলে ওখানে লেখা কেন ইউজার নেম, School id কথাটা দেওয়া ঠিক হতো না বিভ্রান্তি না ঘটালে চলে। যেমন করে হোক মানুষ কে জব্দ করতে হবে। এরকম অনেক ওয়েব সাইট আছে যে গুলো খুলতে হলে হাড় হিম করা অভিজ্ঞতা হবে। অথচ ঐ সব ওয়েব সাইটে ঢুকে শিক্ষক দের কাজ করতে হবে, না আছে ল্যাপটপ না আছে ডেস্কটপ, না আছে নেটের অর্থাৎ ইন্টারনেটর ব্যবস্থা কিন্তু কাজ করতে হবে। ঢাল নেই তরোয়াল নেই নিধিরাম সর্দার আর কি? এক এক সময়ে এক এক ওয়েব সাইট কখন বাংলার শিক্ষা গভ. ইন কখনো বাংলার শিক্ষা পোর্টাল, কখনো বাংলার শিক্ষা এস এম এস আর হ্যাঁ এসবের মূল WBSED। শিক্ষা সংক্রান্ত যত আদেশ একটারও আপডেট এখানে পাবেন না অথচ ওয়েব সাইট সরকারের টাকার অপচয় আর কি? যতই বল এদের পরিবর্তন নেই, এই সব সাইটের আপ ডেট নেই, আমি প্রায় চার রকম বাংলা শিক্ষা সাইট পেয়েছি আর দুটো এ্যাপ কোনোটাই মোবাইল এ ঠিক মত কাজ করে না। বেশির ভাগ শিক্ষকের একই অভিজ্ঞতা। আর ও কিছু সাইটের প্রথম অংশের ছবি দিচ্ছি যদি কেউ পারেন বলে দিন এত সাইটের কোনটার কি কাজ আর কি মোবাইল এ খোলা যাবে? মোবাইল এ একটি অপশন আছে ডেস্কটপ সাইট সেটা করেও খোলে না। কোন ক্রমে কোন টা একটা খুলতে পারলে কাজ করা যায় না।আরও কিছু সাইটে র ছবি দিলাম।
যারা এসব তৈরি করে বিভ্রান্তি করে রেখেছেন তারা যদি পড়েন তবে সহজ ভাবে কোন সাইটে গিয়ে হবে। একটি নির্দিষ্ট করে দিন, আমি দেখেছি অনেকেই আপনাদের কাছে বলেছেন সব থেকে বিভ্রান্তি কর সাইট এবং সব থেকে বাজে এ্যাপ তার পরও কোন পরিবর্তন করা হয় নি। আর যদি শিক্ষক দের জব্দ করার জন্য করে থাকেন তাহলে ঠিক আছে। আপনারা শিক্ষক দের জব্দ ভালো করতে পারেন এটা জানা বা দেখা আছে। না হলে কখনো লক ডাউন কখনো আন লকডাউন এর মাঝে ট্রেন বাস চলছে না। সেখানে দাঁড়িয়ে চাল আলু দিতে যেতে হবে নির্দেশ না গেলে আবার সাসপেন্ড কেবল প্রধান শিক্ষকে আর সহকারী শিক্ষক যদি শাসক দলের হয় তাহলে সব মাপ সে যদি বিদ্যালয়ের দেওয়ালের সাথে বাড়ি হয়। তাও যদি না আসে তাতেও ক্ষতি নেই। দারুণ সরকার চলছে জবাব নেই, খালি কর্মী জব্দ করে যাও। যেমন করে হোক, সে শিক্ষিক হোক আর সরকারী কর্মী কেবল ছাড় শাসক দলের হলে। আমি ভালো জানি এই লিখছি এসব সরকারি কেউ পড়বে না আর পরিবর্তন সে এই সরকারের আমলে ও আশা করা যায় না।
Saturday, 4 July 2020
সব খোলা কেবল ট্রেন চললে করোনা হবে!
করোনা আর লক ডাউনে, কত মানুষ কাজ হারাল কত মানুষ না খেয়ে মারা গেছে। আমার মনে হয় করোনায় যা মারা গেছে, তার অর্ধেক মানুষ না খেয়ে মারা গেছে। সরকার এখন আন লকডাউন শুরু করেছে, সব খোলা কেবল লোকাল ট্রেন বন্ধ। যদিও যাচ্ছে তাতে সবার ওঠার অনুমতি নেই। কেবল উঠবে জরুরী পরিষেবা প্রদান কারী ব্যক্তি, তার গন্তব্যে যাবেন। কিছু মানুষের জন্য এই পরিষেবা, বাকি যারা পরিষেবা দিতে যাচ্ছে তাদের জন্য বাস, সকালে যাওয়া আর সন্ধ্যায় ফেরা। সে বাসে দাঁড়াবে তার জায়গা থাকে না এক একদিন এতে করোনা ছড়াবার ভয় নেই। কেবল লোকাল ট্রেন চলাচল শুরু হলে করোনা ছড়িয়ে পড়বে। অনেকেই আছেন দেড় দু ঘন্টা সাইকেল চালিয়ে পরিষেবা দিতে যাচ্ছে, তারাও ঐ বাসে বা ট্রেনে উঠতে পারবে না। কি দারুন ব্যবস্থা, যার বয়স হয়েছে আর দু এক বছর পর অবসর নেবে, তিনিও দেড় দু ঘন্টা সাইকেল চালিয়ে পরিষেবা দিতে যাচ্ছে। আমরা কাগজ বা সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখছি, এই রাজ্যের শাসক দলের ইচ্ছা নেই লোকাল ট্রেন চলাচল করুক। যদি বা চলছে তাতে তাদের ওঠার অধিকার নেই, যারা তিন চার টি স্টেশন যান নিজে দের কর্ম স্থলে, তারা যাচ্ছেন সাইকেল চালিয়ে বা বাইকে, রাস্তা দাঁড়িয়ে থাকলেই দেখা যাবে অসংখ্য শ্রমিক এবং এই ধরনের যাচ্ছে। মাঝে মাঝে রাস্তায় দাঁড়িয়ে বিশ্রাম নিতে নিতে যাচ্ছে। আমি বুঝতে পারি না, একজন শাসক সে সব খুলে দিয়েছে, তাতে করোনা ছড়িয়ে পড়ার ভয় নেই। কেবল মানুষ সুস্থ ভাবে যাতায়াত করতে পারে সেই যোগাযোগ তথা লোকাল ট্রেন চলাচল করলে করোনায় ভড়ে যাবে। রেল সে তো বিক্রি করে দেওয়া হবে, বেসরকারি করা হচ্ছে। রেল মন্ত্রক কি করছে, টিকিট কাউন্টার গুলো বন্ধ করে রেখেছে, কমসে কম যারা প্রতিদিন যাতায়াত করত তাদেরকে টিকিট দেওয়া হলেও অনেকের দূর্ভোগ কমে। প্রায় দশ কোটি মানুষের রাজ্যে মুখ্য গন পরিবহন লোকাল ট্রেন বন্ধ রেখে, আর সব চালু রেখে কার উন্নয়ন হচ্ছে কে জানে?
Friday, 3 July 2020
সরকার এবার মনে হয়, প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি হবে!
পরাধীন ভারতের কথা বা ইতিহাস যারা জানেন সেই সব সত্তর উর্ধ মানুষ গুলো কে জিজ্ঞেস করে দেখুন। স্বাধীনতার আগে কী ছিল? আর স্বাধীনতার পর কী হয়েছে? একটু ইতিহাস পড়েছেন যারা, তারা জানেন, ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি এদেশে এসে ছিল ব্যবসা বাণিজ্য করতে। মোঘল শাসকের অনুমতি নিয়ে ব্যবসাও শুরু করে ছিল, কিন্তু মোঘল শাসন ব্যবস্থা যত নড়বড়ে হতে লাগলো তত ঐ বণিকের দল বিভিন্ন ভাবে শাসন ক্ষমতা দখল করে শোষণ করতে আরম্ভ করে দিয়ে ছিল। দেশীয় শিল্প ধ্বংস করে নিজের দেশের তৈরি শিল্প জাত জিনিস পত্র বিক্রি করতে আরম্ভ করে ছিল বেশি পরিমাণে। ফলে ভারতের শিল্প তাঁত শিল্প, থেকে আরো যে সব শিল্প ছিল সে গুলো ধ্বংস হতে আরম্ভ করে ছিল। একজন গুজরাতি, গুজরাতি দের ব্যবসা বাঁচাতে প্রতিনিয়ত ইংরেজের সাথে গোল টেবিল বৈঠক করত। তিনি গুজরাতি দের লবণ শিল্প বাঁচাতে ডাণ্ডি অভিযান করে ছিলেন। এখন এই রকম দুই গুজরাতি ব্যবসায়ী পরাধীন ভারতে যেমন ছিল সেই ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনতে চাইছে। সব কিছু পরিচালনায় থাকবে বেসরকারি হাতে ব্যাঙ্ক বিমা, যোগাযোগ ব্যবস্থা সব কিছুই ঠিক করে দেবে ঐ গুজরাতি ব্যবসায়ীর দল। যেমন ইংরেজ আমলে ব্রিটিশ ঠিক করে দিত রেলের ভাড়া, লেখা পড়া, কে শিখবে আর কে শিখবে না। কারা ক্রীতদাস হবে, মালিকের ইচ্ছা হলে বেতন দেবে না হলে দেবে না। কুকুর কে যেমন এক টুকরো রুটি দিলে সে ল্যাজে নাড়ে সেই রকম সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ গুলো কে পরিনত করতে চাইছে। স্বাধীনতার আগে বলতে গেলে ব্যাঙ্ক জাতীয়করনের আগে সাধারণ মানুষের টাকা ঐ সব ব্যাঙ্কে জমা দিলে সেটা ফেরত পাওয়া দুষ্কর ছিল, হঠাৎ হঠাৎ ঐ সব ব্যাঙ্ক দেউলিয়া ঘোষণা করে ঝাঁপ বন্ধ করে দিত। রেল চালাত বেসরকারি মালিকের দল বিভিন্ন শিল্পপতি সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের রেলের চড়া অনেক কল্পনার বিষয় ছিল। অধিক ভাড়া দিয়ে অনেক বিধিনিষেধ পার করে তবে রেল গাড়ি চাপা। ব্রিটিশ ভারতে আসানসোলের কয়লার খনি বেসরকারি মালিকের হাতে ছিল কয়লা কলকাতা বন্দরে এনে নিজেদের দেশে পাঠানোর জন্য রেল লাইন পাতা হয়েছিল। আজ এই দুই বণিক পরাধীন ভারতের ঐ অবস্থা ফেরত আনতে চাইছে। করোনা আবহের মধ্যেই দেশ কে বেচে দেবার চক্রান্ত চলছে।বাবা রামদেদেব সহ বড় বড় ব্যবসায়ী দের ঋণ মুকুব, আর 31 জন ঋণ খেলাপির মধ্যে 22 জন গুজরাতি। একদিকে করোনা আতঙ্ক, আর এক দিকে যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা, কারণ পশ্চিমবঙ্গ ও বিহারের বিধানসভা নির্বাচন আসছে। যেমন পুলওয়ামায় সেনা বাহিনীর জওয়ান মরে ছিল যার সঠিক তদন্ত আজও হয় নি। লাদাখে কুড়ি জন সৈন্য মারা গেল কারা দেখুন বিহার আর বাঙাল জওয়ান কারণ বাংলা আর বিহারে বিধানসভা নির্বাচন তাই। আমি আশ্চর্য হয়ে যাই যখনই ভোট আসে ঐ দুই গুজরাতি যুদ্ধের আবহ তৈরি করে এবং কিছু সেনা মরবে। সংঘর্ষ হয় কেবল এক পক্ষের সৈন্য মারা যায় আরেক পক্ষে কি হোলো কেউ জানে না। আবার বলা হল। চীন নাকি ভারতের মধ্য ঢোকে নি। কী অদ্ভুত না, তবে চিন্তা নেই, যারা বিজেপি কে আর তার দোসর এই শাসক দল কে ক্ষমতায় আনবেন বলে ঠিক করেছেন। আমি মনে করি তারা চোর চুরি করা মালের ভাগ পান। দাদার ভক্ত দেশপ্রেমিকের দল, যারা টাকার বিনিময়ে অর্থাৎ বেতন ভুক দাদার ভক্ত তাদের কথা বাদ দিয়ে। যারা সাধারণ মানুষ ভক্ত, দাদার কথায় কাঁসর ঘণ্টা, বাজান আর মোমবাতি জ্বালিয়ে আনন্দ করেন। তাদের বলছি চিন্তা করবেন না দেশ টা আবার পরাধীন হতে যাচ্ছে, গুজরাতি ব্যবসায়ী দের কাছে। এত দিনে জাতির জনকের ইচ্ছে পূরণ হবে। তাঁর ঐ অনশনের ভয়ে ইংরেজ দেশের স্বাধীনতা দেয় নি। দিয়েছে বাঙালি ও পাঞ্জাবী শিখ জাতির নিরলস রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম, সুভাষ চন্দ্র বসুর আজাদ হিন্দ বাহিনীর সংগ্রাম, এসব দেখে ভারতের স্বাধীনতা এসেছে। যারা ভাবেন ঐ হাঁটুর উপর ধুতি পরে ক বার গোল টেবিল বৈঠক করে অনশন করে দেশ স্বাধীন করে ফেলেছে আসলে ব্রিটিশ ওনাকে জেলে বন্দি করত যাতে কেউ না মেরে দিতে পারে। আসলে উনাকে বাঁচাতে জেলে বন্দি করা হতো, উনি ছিলেন ব্রিটিশদের সাথে রফা করার জন্য গুজরাতি ব্যবসায়ী দের দালাল। এখন সেই রকম দুই গুজরাতি দেশের ক্ষমতা দখল করে মানুষের নাভিঃশ্বাস তুলে দিয়েছেন। পুরো দেশ টা কে আবার পরাধীন ভারতে পরিনত করতে উঠে পরে লেগেছে। এর পর আর ভোট দিতে হবে না। কারণ ভারতের সরকার আর সরকার থাকবে না। প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি হয়ে যাবে। বাঙালি জাতি হিসেবে আজ আমার লজ্জা হয় যখন দেখি ঐ স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়ে যেমন ঐ গুজরাতি কে অন্ধের মত সমর্থন করে গেছে বেশ কিছু বাঙালি বুঝতে পারেননি বাঙালি জাতির ভালো ঐ গুজরাতি চাইত না। যদি চাইতেন তাহলে সুভাষ চন্দ্র বোস কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচিত হলে উনি দুঃখিত হতেন না। এরকম এক গুজরাতি গেছে, আর এখন এসেছে তিহার জেল খাটা এক আসামি, নাদির শা এর বংশধর, আর সাধু বেশে দেশ বেচার কারিগর, আর এই দুই গুজরাতি কে অন্ধের মত বিশ্বাস করে নিচ্ছে এই বাঙালি, যাদের আন্দোলনের ভয়ে ব্রিটিশ তাদের রাজধানী কলকাতা থেকে সরিয়ে দিল্লি নিয়ে গিয়েছিল। সেখানেও রেহাই পায়নি, রাসবিহারি বসুর সুচতুর পরিচালনায় ভগৎ সিং রাজ গুরু, সুকদেও, আর বুটুকেশ্বর দত্ত দিল্লির আইন সভায় ঢুকে বোমা বিস্ফোরণ ঘটানো। সেখানেও বাঙালি, কোথায় ঐ গুজরাতি উল্টে এদের যাতে ফাঁসি হয় তার ব্যবস্থাপনা চেষ্টা করে গিয়েছেন ঐ জাতির জনক গুজরাতি। আচ্ছা আমরা জানি উনি দক্ষিণ আফ্রিকায় ওকালতি করতেন শুনেছেন কোন স্বাধীনতা সংগ্রামীর জন্য ওনাকে ওকালতি করতে। তিনি নাকি মহান বিপ্লবী, সেই রকম দুই মহান দেশপ্রেমিক গুজরাতি দেশ পরিচালনা করেছেন। একজন জেল খাটা আসামি, আরেকজন চরম মিথ্যাবাদী। তিনি নাকি বিবেকানন্দ ভক্ত, ওটা ভক্তি নয় ভরং মানুষ কে তথা বাঙালি জাতি কে বোকা বানানো আর কি? এই সব চোর চিটিংবাজ বাজ দের এই রাজ্যে ডেকে আনছে, আমাদের রাজ্যের ক্ষমতা লোভী আরেকটা মিথ্যাবাদীর দল। তাদের আগা পাস্তলা চোর তোলাবাজে ভর্তি শাস্তির হাত থেকে রক্ষা পেতে ঐ দলে নাম লেখাছে।
সত্যিই যদি বাঙালি জাতির রক্ত শরীরে থাকে তবে আসুন আমরা দ্বিতীয় স্বাধীনতার লড়াই শুরু করে দিই। দেশ টা যাতে আবার দেশীয় বণিকের হাতে পরাধীন না হয়ে যায় তার জন্য আন্দোলন শুরু করে দিই, করোনায় তো এমনিতেই মরবে মানুষ চিকিৎসা নেই। তার উপর এই আবার পরাধীন হওয়ার ভয়, আসুন সত্যিই আপনি যদি বাঙালি হন, পূর্ব পুরুষের রক্ত যদি শরীরে বয়ে এই মেকি দেশ প্রেমিকদের হাত থেকে বাংলা তথা ভারত কে বাঁচাতে দ্বিতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ি।
সত্যিই যদি বাঙালি জাতির রক্ত শরীরে থাকে তবে আসুন আমরা দ্বিতীয় স্বাধীনতার লড়াই শুরু করে দিই। দেশ টা যাতে আবার দেশীয় বণিকের হাতে পরাধীন না হয়ে যায় তার জন্য আন্দোলন শুরু করে দিই, করোনায় তো এমনিতেই মরবে মানুষ চিকিৎসা নেই। তার উপর এই আবার পরাধীন হওয়ার ভয়, আসুন সত্যিই আপনি যদি বাঙালি হন, পূর্ব পুরুষের রক্ত যদি শরীরে বয়ে এই মেকি দেশ প্রেমিকদের হাত থেকে বাংলা তথা ভারত কে বাঁচাতে দ্বিতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ি।
Subscribe to:
Posts (Atom)
বাঙালি ও বর্তমান ভারত।
(ছবিটি নেট থেকে নেওয়া, একটি স্ক্রিনশট।) স্বাধীনতার পূর্বে ভারত কীরকম ছিল, ১৯৪৭ সালে ভাগ হওয়ার পর কেমন হয়েছে। কেন ভারত ভাগ করা হয়েছিল সে ...

-
সরস্বতী পুজোর পদ্ধতি, পরপর যা করতে হবে।১)আচমন ২)বিষ্ণু স্মরণ ৩)স্বত্ত্বি বাচন ৪) স্বত্ত্বি সূক্ত ৫) সাক্ষ্য মন্ত্র ৬) বরণ ৭) সংকল্প ৮) স...
-
আমি এর আগে একটি ব্লগে লিখেছি, দুর্গা যষ্টী পূজার মন্ত্র ।এখানে বলি আমি পণ্ডিত নই, বিভিন্ন ধরনের বই পড়ে, আর দু একজন ব্রাহ্মণের সাথে কাজ ...
-
ছবি টি কীসের বা কোন প্রাণীর নিশ্চয়ই বলে দিতে হবে না। মানুষের প্রথম পোষ মানা প্রথম প্রাণী, হয়তো অনেকেই পড়ে বলবেন এবার নতুন কী এতো আমরা স...