
আজ দেশ বা রাজ্য যে সরকার চলছে সেটা মানুষের কোনো উপকারে লাগে না। মিথ্যার ফুলঝুড়ি জনগণের সামনে একরকম কথা আর সরকারের আদেশ পত্র আরেক রকম। মানুষের দৈনিক চাহিদা পূরণের খালি প্রতিশ্রুতি আছে, কাজে রূপ নেই। চাকরির সুযোগ নেই, লেখা পড়া শিখে বেকার থাকতে হচ্ছে, সবাই চাকরি পাবেনা, কারণ সরকারি চাকরির স্থান কম কিন্তু কলকারখানা নতুন তো দূরের কথা পুরনো যে গুলো ছিল। সে গুলো আজ বন্ধ হয়ে গেছে, সিঙ্গুর থেকে টাটা মোটর কে তাড়নোর পর, হিন্দ মোটর ছিল তাও বন্ধ। ক্ষমতায় আসার জন্য, যত রকম মিথ্যা বলতে হয় জানে। ক্ষমতায় আসা কেন কোটি কোটি টাকা লুঠ করে কাটমানি খেয়ে বাড়ি গাড়ি করা। তোলা তোলা সে তো বাঁ হাতের খেল, অথচ দেখুন বেকার যুবক দের চাকরি দেওয়ার নামে তামাশা, খালি কাগজে বিজ্ঞাপন আর ফর্ম ফিলাপ গত নির্বাচনের আগে এবং ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার আগে রেলে নিয়োগের বিজ্ঞাপন যার আজ পর্যন্ত কে নিয়োগ পেল কেউ জানে না। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরির জন্য আট থেকে দশ লাখ টাকা ঘুষ সামান্য আই সি ডি এস এর রাঁধুনি নিয়োগ করা হবে সেখানেও পঞ্চাশ হাজার টাকা করে ঘুষ। এখন এ তো কন্টাকটর, বা ঠিকাদার যা চাকরি হবে ঠিকাদারি প্রথা অর্থাৎ চুক্তি সর্ব নিম্ন 2000 টাকা থেকে 10000 হাজার টাকা বেতন। এই চাকরি পেতে ভালো ঘুষ দিতে হচ্ছে,একটা এলাকা থেকে বেশ কিছু নিজের দলের কর্মী কে এরকম নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। দারুণ সরকার চলছে, এর মধ্যে আছে মানুষকে ব্যতিব্যস্ত করে রাখা বিভিন্ন ভাবে, চালাকি মিথ্যা কথা ধাপ্পাবাজি ধান্দা বাজি আর ক্ষমতার জোর দেখানো, জানে জনগণ ভোট না দিলে জোর করে মদ আর ভাগারের মাংস খাইয়ে মেরে জোর করে ছাপ্পা ভোট দিয়ে জিতে আসতে পারব। ক্লাব আছে গুণ্ডা আছে। মাথায় অক্সিজেন কম যাওয়া নেতা সে তো লাঠি পিস্তল নিয়ে উন্নয়ন কে রাস্তায় দাঁড় করিয়ে দিচ্ছেন। আমি আশ্চর্য হয়ে যাই, এত যদি উন্নয়ন তাহলে মানুষকে ভোট দিতে না দেওয়ার কারণ কি? গত ২০১১ সালের পর থেকে এই রাজ্যে আর সুস্থ নির্বাচন হয়নি। পৌরসভা নির্বাচন হলো না, জনগণ বা সাধারণ মানুষ দেখেত আবার কত জন যে মরত, তার ঠিক নেই, যারা মারপিট করে মরছে এক বোতল মদ আর মাংসের জন্য ঐ নেতা মন্ত্রী দের কথায় সেই নেতা মন্ত্রী নিরাপত্তা নিয়ে ঘোরে, আজব দেশ আজব রাজ্য জনগণের নেতা জনগণের জন্য এত কিছু করছেন, অথচ সেই জনগণের সাথে মিশতে পারে না। জনগণ কে ভয় পায় যদি মেরে দেয়, আরে তুমি তো জনগণের জন্য এতো কাজ করেছ, ভালো কাজ তাহলে সেই জনগণ কে ভয় কীসের? কারণ জানে আমি বা আমরা মিথ্যাবাদী। মিথ্যের ফোয়ারা ছুটছে, সত্যি যদি সে বা ঐ সব নেতা মন্ত্রী দাদা গিরি না করে, সমাজের উন্নয়ন করত তাহলে নিরাপত্তা বাহিনী নিয়ে ঘুরতে হোত না। জনগণের করের কোটি কোটি টাকা কেবল এদের নিরাপত্তা দিতে খরচ হয়, আমরা সাধারণ মানুষ নিজেদের মধ্যে মারামারি করে মরি, আর এরা নিরাপত্তা নিয়ে আমাদের নেতা, ভোটে নির্বাচিত হন, কোটি কোটি টাকা কাটমানি রাস্তা তৈরি থেকে মানুষ কে সরকারি সাহায্য পাইয়ে দেওয়ার নাম করে কাটমানি, কত রকম আছে সব রকম ভাবে টাকা আয় করে, সাইকেল ছেড়ে বাইক বাইক ছেড়ে চার চাকা, টালি ফেলে রাজ প্রাসাদ গড়ে তোলা, হ্যাঁ জনগণের উন্নতি করে, নিজে খাওয়ার পর ছিটে ফোঁটা ছুঁড়ে দেয় নীচু তলায় থাকা পাড়ার নেতাদের যেমন কুকুর কে রুটি ছুঁড়ে দেয়, কুকুরের দল অল্পেই সন্তুষ্ট, জনগণের অবস্থা যে তিমিরে সেই তিমিরে থেকে যায়। ভোটের আগে এরা কল্পতরু মিথ্যা কথার ফোয়ারা ছোটে। জানা নেই বাংলার যুব সমাজ কবে বুঝবে যে এই সব নেতা মন্ত্রীরা টাকা ছাড়া আর কিছু বোঝে না। নির্বাচনের আগে আগে যা বলে পরে কাজ করে ঠিক উল্টো, এই জন্য নিরাপত্তা নিয়ে ঘোরে অথচ জনগণের নেতা, সাধারণ মানুষের কাছে যাবার অনুমতি নেই, কত রকম ভাঁওতা দিতে পারে এদের না দেখলে বিশ্বাস করা কঠিন।
No comments:
Post a Comment