Anulekhon.blogspot.com

Saturday, 1 August 2020

বাঙালির কি অধপতন হল মন্দির আগে না মহামারীর চিকিৎসা আগে, সেটা বুঝতে পারে না।

আমরা বাঙালি, এক সময় গোটা বাংলা তথা বাঙালি জাতি ভারত বর্ষ কে শিখিয়েছে, জাতীয়তাবাদ, মানুষ হিসেবে জাতি হিসেবে ভারতের জনগণকে নিয়ে গেছে শীর্ষে। পরাধীনতা থেকে মুক্তির পথ দেখিয়েছে, এই বাংলার মানুষ। সে বঙ্গ ভঙ্গ আন্দোলন হোক আর সশস্ত্র সংগ্রাম হোক, সব কিছুতেই সেদিন বাংলা তথা বাঙালি জাতি সবার আগে। আর আজ সেই বাঙালি জাতির অধপতন, সত্যি মেনে নেওয়া যায়। আজ বর্তমান নেতা মন্ত্রী দের কল্যাণে এবং সোশ্যাল মিডিয়ার, ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার কল্যাণে সারা বিশ্বের মানুষ জানে বাঙালি চোরের জাতি, ঘুষখোরের জাতি, চরম মিথ্যাবাদী এক জাতি, এর আগে একটা বদনাম ছিল ভেত বাঙালি অলস কুড়ে, কাজ করতে চায় না। এখন উপরের সব গুন গুলো রপ্ত করে ফেলেছে বাঙালি, সত্যি কথা বলতে ভুলে গেছে, সততা এখন দুষ্প্রাপ্য বিষয়ে পরিণত হয়েছে। ব্রিটিশ ভারতে এরকম বাঙালির দল বা মানুষ জন ছিল, তারা ব্রিটিশদের গোলামি করে, অসৎ জীবন যাপন করতে অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছিল। অর্থাৎ বাবু হয়ে ছিল, কিন্তু এতটা অধঃপতন ভাবা যায় নি, এখন মিডিয়ায় সর্বদা ভেসে আসে, কু কাজ, চুরি করে কোটি কোটি টাকা আয়, তার জন্য নিজের আত্মীয় স্বজন এবং ছেলে মেয়ে দের বলি দিতেও মানে তাদের ভবিষ্যত ধ্বংস করে দিতেও পিছপা হয় না, এই বাঙালি। এদের কাছে রামকৃষ্ণ, বিবেকানন্দ, দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ, আরো যারা ছিলেন সকলে ভগবান, বিবেকানন্দ রামকৃষ্ণ বানী সব মুখস্থ এদের কাছে আমি আপনি তুচ্ছ, ঐ সব বানী বলা বা ব্যাখায়, কিন্তু বাস্তবে ঠিক উল্টো, এই অন্ধ ভক্তের দল বিবেকানন্দ কে তাদের মত করে নিয়েছে, তার বানী বলে তাকে নিয়ে আদিখ্যাতা দেখিয়ে, উৎসব করে সমাজের সামনে নিজে কে ভালো করে রাখা, আর যখন প্রয়োজন মানুষের পাশে থাকার তখন শত হাত দূর দিয়ে চলেন, যদি কেউ কিছু সমালোচনা করে তবে কীভাবে তার সর্বনাশ করবে সেই চেষ্টায় রত, কীভাবে মানুষের পিছনে লাগবে তার চিন্তা করে আর পেছনে যুক্তি ভাঁজে। কারণ এদের কুবুদ্ধির অভাব নেই, অপরের ভালো দেখতে পারে না। নিজের নাক কেটে অপরের যাত্রা ভঙ্গ করতে ওস্তাদ, এই জাতি। ধর্মের নামে দেশ ভাগের ইতিহাস সেখানে এই বাঙালি যুক্ত, কী হয়েছে বাঙালি হিন্দু জাতি তাদের ঐ পূর্ব পুরুষ দের পাপের ফল এখনও ভোগ করে চলেছে।। বাঙালি জাতি নিজের ধ্বংস আজ নিজেই ঢেকে আনছে। সঠিক পথ ভুলে বিপথে চালিত হচ্ছে, না হলে মানুষ রাস্তার উপর পড়ে ছটফট করছে পাশের মানুষ ভিডিও করতে ব্যাস্ত সাহায্য না করে। অর্থাৎ এমন দিন এসেছে, বা তৈরি করা হয়েছে কেউ কাউকে কোন ভাবে সাহায্য করতে চাইছে না। অথচ কথায় কথায় মহাপুরুষের বানী কপচাচ্ছে, বড় বড় জ্ঞানের বুলি বলে যাচ্ছে। কেউ কাউকে মানে না আমি বড়ো এবং আমিত্ব এই জাত কে গ্রাস করে ফেলেছে, কিছুতেই আমিত্ব ছেড়ে বেরিয়ে আসতে পারছে না। বাঙালি জাতি আজ শিক্ষা দীক্ষা বিসর্জন দিয়ে এই সব অপরাধ করে যাচ্ছে। আসুন আমরা সবাই প্রতিজ্ঞা করি আগামী দিনে এই পঙ্কিল আবর্ত থেকে বেড়িয়ে আসব। 

No comments:

Post a Comment

বাঙালি ও বর্তমান ভারত।

 (ছবিটি নেট থেকে নেওয়া, একটি স্ক্রিনশট।) স্বাধীনতার পূর্বে ভারত কীরকম ছিল, ১৯৪৭ সালে ভাগ হওয়ার পর কেমন হয়েছে। কেন ভারত ভাগ করা হয়েছিল সে ...