Anulekhon.blogspot.com

Monday, 10 August 2020

বাংলায় হিন্দু জাতির পতনের কারণ, উগ্র হিন্দুত্ব বাদ না খলজির তরোয়ালের যঙ্কানি!

বাংলা বা বঙ্গ দেশের শাসন ব্যবস্থা হিন্দু দের হাতে এসেছিল। সর্ব সম্মত ভাবে গোপাল পাল কে রাজা করার মাধ্যমে। এই পাল বংশের প্রথম রাজা গোপাল এর পর ধর্ম পাল, দেব পাল প্রমুখ, পাল রাজারা হিন্দু ধর্মের মানুষ হলেও পরে বৌদ্ধ ধর্ম গ্রহণ করে এবং প্রচার করতে আরম্ভ করেন । আর এই বৌদ্ধ ধর্মের প্রসার ঘটে ছিল, উগ্র হিন্দুত্ব বাদ থেকে মুক্তি পেতে, কারণ বৈদিক যুগের সময় কাজের ভিত্তিতে মানব সমাজ কে যে চারটি ভাগ করা হয়েছিল। আস্তে আস্তে সেটাই কঠিন ও কঠোর ভাবে জাতি ভেদ গড়ে তুলে ছিল, হিন্দু সমাজের জন্য। সাধারণ মানুষ বিশেষ করে শুদ্র সম্প্রদায়ের মানুষ বাকি তিন বর্ণের মানুষ দ্বারা ভীষণ ভাবে অত্যাচারিত ও অপমানিত হতো, এর থেকে বাঁচতে তারা বৌদ্ধ ধর্ম গ্রহণ করতে শুরু করে। রাজাও তখন নিজের রাজ্য বাঁচাতে, বা হয়ত তিনি ক্ষত্রিয় ছিলেন না, সেই কারণেও হতে পারে নিজের ধর্ম পরিবর্তন করে ছিলেন। শুধু তাই না ঐ বৌদ্ধ ধর্ম যাতে সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে যায় তার ব্যবস্থা করে ছিলেন। একটা বিষয় সেই সময় থেকেই ছিল, ধর্মের নামে সাধারণ মানুষ কে অতি সহজেই একজোট করা যায়, এখনও আছে ধর্মের নামে মানুষ কে এক জোট করা, কিন্তু আসল কারণ টা যদি খতিয়ে দেখা যায়, তবে দেখা যাবে উগ্র হিন্দুত্ব বাদ বা অন্য ভাবে বললে ব্রাহ্মণ ও ক্ষত্রিয় দের অত্যাচার সেই সময়ে প্রবল ছিল। মুখ দেখা দেখি পর্যন্ত অনেক জায়গায় বন্ধ ছিল, দেবালয়ে প্রবেশ থেকে আরম্ভ করে একই রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাওয়া, পোশাক পরা বিভিন্ন ধরনের অত্যাচার সহ্য করতে হতো এই নিম্ন বর্ণের মানুষ দের। আবার দেখা যেত কঠিন আর কঠোর পরিশ্রমের কাজ এরাই করে দিত, তার সুখ ভোগ করত তথাকথিত উচ্চ বর্ণের মানুষ।অতীতে ধর্মের নামে বা ধর্ম দিয়ে মানুষ কে এক করা যেত, এক ধর্মের মানুষ তারা সর্বদা নিজের ধর্ম কে রক্ষা করতে এগিয়ে আসত। ব্যতিক্রম ছিল হিন্দু ধর্মের ঐ কঠিন জাতি ভেদ, এর পর এসেছে ইসলাম ধর্ম তথা কথিত ইসলাম কথার অর্থ নাকি শান্তি কিন্তু বাস্তবে অন্য রূপে দেখা যেতে লাগলো এই ধর্মের মানুষ কে, এই ধর্মের প্রসারের প্রথম থেকেই মানুষ খুন যেন জল ভাত, সে নিজের ধর্মের লোকজন হলেও ক্ষতি নেই। কারণ কারবালার মাঠে যে যুদ্ধ হয়ে ছিল সেখানে অন্য কোন ধর্মের মানুষ ছিলেন না।না ছিল হিন্দু না ছিল খ্রীষ্টান বা অন্য কোন ধর্মের মানুষ তাহলে যুদ্ধ কীসের? ইতিহাস থেকে যত দূর জানা যায় ক্ষমতা দখল কে কেন্দ্র করে এই লড়াই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে। আবার এটাও ঠিক ইতিহাসের পাতায় আছে দুবার ক্রুসেড হয়ে ছিল, মানে ধর্ম যুদ্ধ হয়ে ছিল, ইসলাম আর খ্রীষ্টান দের মধ্যেও ধর্ম যুদ্ধ হয়ে ছিল। আমি জানি না কখনও হিন্দু ধর্মের মানুষ ধর্মের নামে যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করে ছিল কিনা? কেবল ধর্ম প্রচার করার জন্য যুদ্ধ কিন্তু ইসলামের নামে আমদানি করা হয়েছে। অথচ এই ধর্ম নাকি শান্তির ধর্ম। আমি কেন যে কেউ এই ধর্মের 1400 বছরের ইতিহাস পড়লে বুঝতে পারবেন এরা কতটা অমানবিক, ধর্মের নামে মানুষ খুন, লুটপাট দেশ দখল, অপর ধর্মের উপাসনা লয় ধ্বংস করা এদের কাজ, অপর ধর্মের মানুষের উপর অত্যাচার এদের নাকি অধিকার। আমার জানতে ইচ্ছে করে, ঈশ্বর, বা ভগবান, গড, আল্লাহ এরা মানব সৃষ্টি করে পৃথিবীতে পাঠান এরা কি বলেন দেখ তোকে এই ধর্মের মানব বা মানুষ করে পাঠাচ্ছি তুই অন্য ধর্মের উপর অত্যাচার করবি, তোর ধর্ম না মানলে তার বাঁচার অধিকার কেড়ে নিবি। ধর্মান্তরিত হলেও সন্দেহ করবি তার সম্পদ যতক্ষণ না দখল করতে পারবি ততক্ষণ অত্যাচার করে যাবি, অপরের সম্পদ দখল একমাত্র লক্ষ্য করে নিবি, আর মাদুলি, তাবিজ কবজ, জল পড়া, নলপড়া, হাত চালা ঝাড়ফুঁক করে যাবি বিজ্ঞান আবার কি? আধুনিক শিক্ষা কী যোল গণ্ডা বিয়ে করবি এক পাল ছেলে মেয়ে জণ্ম দিবি লোক সংখ্যা বাড়িয়ে যাবি, খেতে পাক আর না পাক না খেয়ে মারা যাক তবুও জণ্ম দেওয়া ছাড়বি না। এসব যে কোন দেশের সরকার ইচ্ছে করলে কয়েক দিনে বন্ধ করে দিতে পারে, কিন্তু করে না, কোন কোন দেশের সরকার প্রচ্ছন্ন মদত দেয়। আমার দেশের সরকার ও আজকাল এগুলো কে মদত দিয়ে যাচ্ছে, কুসংস্কার কে বাঁচিয়ে রাখতে পারলে বা অশিক্ষা কু শিক্ষা চালু করতে পারলে এই সব রাজনৈতিক দলের নেতা মন্ত্রী দের খুব লাভ। নিজের সম্পদ বাড়িয়ে নেওয়া যাবে, মানুষ ধর্ম নিয়ে ব্যস্ত থাকবে প্রতিবাদ করবে না। চোর কে বাটপার কে বাটপার মিথ্যাবাদী কে মিথ্যাবাদী বলা যাবে না। ধর্মের আড়ালে নিজের অপকর্ম চাপা পড়ে যাবে, মানুষ কে বোকা বানান সহজ হবে। এই সব কারণে ধর্মের সাথে রাজনীতি কে জড়িয়ে দেওয়া। দেশের সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ যে শোষিত নিপীড়িত হচ্ছে সেটা চাপা দেওয়া যাবে।  ধর্ম দিয়ে মানুষে মানুষে বিভেদ সৃষ্টি করা এদের কাজ, একই ধর্মের মধ্যেও দূর্বল খেটে খাওয়া মানুষের উপর অত্যাচার করা, মানুষ এসব নিয়ে ব্যস্ত থাক আর রাজনৈতিক নেতা মন্ত্রীরা কোটি কোটি টাকা করুক, চুরি করে জালিয়াতি করে, আর এক দিকে দেশের সম্পদ ব্যক্তি মালিক দখল করুক বা বিদেশের হাতে বিক্রি হয়ে যাক দেশ, তাতেও ক্ষতি নেই। 

No comments:

Post a Comment

পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষা ব্যবস্থা পুরোপুরি ধ্বংসের দিকে।

  ব্রিটিশ ভারতের একমাত্র রাজ্য যেখানে প্রথম পাশ্চাত্য শিক্ষার হাত ধরে আধুনিক শিক্ষা এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষা গড়ে উঠেছিল। এক সময় বাঙা...