Anulekhon.blogspot.com

Thursday, 16 July 2020

এ কেমন স্বাধীনতা? সত্যিই কি আমরা স্বাধীন হয়েছি !

এটা পশ্চিমবঙ্গের পুলিশের ছবি, বিরোধী দল মানে বামপন্থী দলের আন্দোলন পুলিশ সহ্য করতে পারে না। কেবল মাত্র এই ছাত্র যুব দের স্বাস্থ্য পরিষেবা ভেঙে পড়েছে বিনা চিকিৎসায় মারা যাচ্ছে, তার প্রতিবাদে আন্দোলনে পুলিশের অত্যাচার তা নয়। যখনই বৃহৎ কোন আন্দোলন সংগঠিত করেছে বিরোধী তথা বাম দল গুলো তখনই পুলিশের এই নির্মম লাঠির আঘাত নেমে এসেছে তাদের উপর সে শিক্ষক শিক্ষিকা দের আন্দোলন হোক কিংবা অন্য কোন আন্দোলন। সারা ভারত কৃষক সভার নবান্ন অভিযান, কাজের দাবীতে ছাত্র যুব দের নবান্ন অভিযান। সাধারণ জমায়েত সব আন্দোলনে বাধা অর্থাৎ সরকারের ভুল হলে বিরোধী দল বা সাধারণ মানুষ আন্দোলন করতে পারবে না। সেই ব্রিটিশ শাসনের কথা মনে পড়ে গেল। কোন আন্দোলন জমায়েত সহ্য করতে পারত না, ইংরেজরা আন্দোলন আর জমায়েত দেখলেই পুলিশ অত্যাচার আরম করে দিত, তবে সরকারের গুনগান যারা করত তাদের খাতির যত্ন বেড়ে যেত কয়েক গুণ। ব্রিটিশ সরকার কে যারা বেশি তোষামদ করত উপঢৌকন অর্থাৎ ঘুষ দিতে পারত তারা উপাধি পেত রায় বাহাদুর, সাথে ছোট খাটো জমিদারি, বা জোতদারি। এখনও পশ্চিমবঙ্গের দিকে তাকিয়ে দেখুন যারা এই চোরের দল কে সমর্থন করে এবং তোলা তুলে বা কাটমানি নিয়ে 25% উপঢৌকন পাঠায় বাকি 75 % নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নিতে পারে, তারা উপহার পায়। বিভিন্ন উপাধি, কত রকম আছে নিদেন পক্ষে বাঁশের মাচায় ক্লাব বানিয়ে 2 লক্ষ টাকা। আর বঙ্গ শ্রী থেকে শুরু করে কত রকম আছে, উপাধির এবং টাকা দেবার জন্য, তার শেষ নেই। কেবল বিরোধিতা করা যাবে না,অন্যায়ের, চুরির ঘুষ নিয়ে চাকরি না দেওয়ার, তালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও চাকরি না হওয়ার প্রতিবাদ করা যাবে না। এখন তো আবার বিশ্ব  মমহামারীর সময় লোক না খেয়ে মারা যাচ্ছে, বিনা চিকিৎসায় মারা যাচ্ছে, এর মধ্যে চুরি আছে, বিভিন্ন ভাবে সরকারি টাকা নেতারা পকেটে ভরছে। তাহলেই ব্রিটিশ সরকারের মতো পুলিশ আর কিছু সরকারি কর্মীদের দিয়ে বিভিন্ন ভাবে তাদের হেনস্থা করার ব্যবস্থা করতে হবে। মেরে হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে, কিন্তু সেখানে চিকিৎসা নেই, চিকিৎসা না পেয়ে মারা যাবে। এর মধ্যে একটা কথা বলি, এই পুলিশের মধ্যেই মিশে মারপিট করছে চোরের দলের লোক জন যারা চুরির ভাগ পায় কিম্বা ভোট এলে মদ মাংস খেতে পায় তারা। একটু মদ মাংস খেয়ে নিজের ক্ষতির সাথে সাথে বৃহত্তর জনগনের ক্ষতি করে দিচ্ছে। কারণ এখন বাঙালি চোরের জাতি সবাই জানে, গোটা বিশ্ব জানে বাঙালি চোর, চুরি করতে ক্ষমতা দখল করতে হবে। এটাই লক্ষ্য, ইংরেজ আমলে একদল বাঙালি ছিল, যারা ইংরেজের গোলামি করতে ভালবাসত তার জন্যে তারা যতটা পারত নীচে নামতে পারত, নিজের মা বোনের ইজ্জতের বিনিময়েও তারা ব্রিটিশদের গোলামি করে যেত, সামান্য টাকার জন্য। এখন কেবল এই পশ্চিমবঙ্গে নয় গোটা ভারত বর্ষে এই ইংরেজের পা চাটা কুত্তা দের বংশধরের দল দেশ শাসন করছে। কারণ আরেকটা ছবি দেখুন কীভাবে মধ্যপ্রদেশ পুলিশ একটি দলিত পরিবার কে তাদের জমি থেকে উচ্ছেদ করেছে। শেষ পর্যন্ত তারা পুলিশের সামনে বিষ খেয়ে নিয়েছে, এই আমরা স্বাধীন হয়েছি, স্বাধীন দেশে বাস করি। দেখুন ছবি টা।
এই আমাদের স্বাধীনতা, মনে আছে লকডাউনের সময় উত্তর প্রদেশের এবং বিহার বা হিন্দি বলয়ের গরীব খেটে খাওয়া মানুষের উপর অত্যাচার রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাওয়া যাবে না। খেটে খাওয়া মানুষ গুলো বাড়ি ফেরার উপায় ছিল না, নিরুপায় হয়ে হেঁটে হেঁটে বাড়ি ফিরে আসছিল। উত্তর প্রদেশের এক জায়গায় তাদের উপর কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়েছিল। এখন দেখা যাচ্ছে কেবল হিন্দি বলয় নয় পশ্চিমবঙ্গ সহ গোটা ভারতের পুলিশ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন দেখলেই হোল, লাঠি জল কামান নিয়ে এমনকি রবার বুলেট নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ছে। 2006 সালের থেকে 2011 সাল পর্যন্ত আন্দোলন দেখেছি। সে টাটা কে তাড়নোর জন্য আন্দোলন কিম্বা বাস ভাড়া বাড়ানোর বিরুদ্ধে আন্দোলন বা বিদ্যুতের সামান্য দাম বৃদ্ধির বিরুদ্ধে আন্দোলন এবং ভাঙচুরের ছবি ছিল সর্বত্র। এখন যে বিরোধী দল আন্দোলন করছে ঐ উগ্রতা নেই, তবুও পুলিশের লাঠি আছে, তবে কেন্দ্রীয় শাসক দলের আন্দোলন সেও দেখছি, যেমন ভাষা তেমন তাদের চলা ফেরা নিজেকে ছাড়া আর কেউ তাদের কাছে মানুষের পর্যায়ে পরে না। গরীব মানুষ সে তো মানুষ নয়। একটা রাজ্যের মানুষ অন্য রাজ্যে আছে, তারা প্রবাসী শ্রমিক, বা মানুষ জন তারা গেছে কেন, ভেবে দেখুন এরা দেশের অখণ্ডতা নিয়ে কথা বলে, অথচ আপনি একটা রাজ্য থেকে আরেকটা রাজ্যে থাকলে বা কোন কাজ করলে সেখানে বাসিন্দা হলে। আপনি প্রবাসী, এদের অখণ্ড ভারতের চিন্তাটা কেমন ভেবে নিন, তাহলে প্রধানমন্ত্রী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও কয়েক জন দিল্লির বাসিন্দা নন, ওনারা সব প্রবাসী তাহলে প্রবাসী প্রধানমন্ত্রী দেশ চালাচ্ছেন। দাদা এটাই ভবিষ্যতে হবে, আমেরিকা বা অন্য কোন ইউরোপের দেশ ভারত বর্ষের ভাগ্য বিধাতা হবে, তার প্রস্তুতি চলছে সব বেসরকারি করণ হচ্ছে, সরকারি বলে কিছু থাকবে না। দেশ থাকবে, আপনার স্বাধীনতা বলে থাকবে না। আপনি আন্দোলন করবেন পুলিশ দিয়ে, অন্য কোন বাহিনী দিয়ে দমন করা হবে। আত্মনির্ভর ভারত হবে। আমার দেশের মধ্যেই কারখানা হবে, আধুনিক শিল্প হবে,সবটাই বিদেশী নির্ভর, স্বাধীনতার সত্তর বছর পর আবার আমরা পরাধীন হতে চলেছি, কেবল কৌশল টা অন্য। বিদেশের পা চাটার দল দেশীয় প্রযুক্তিকে কাজে না লাগিয়ে বিদেশের প্রযুক্তি নির্ভর হয়ে উঠবে। আমার দেশের প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যে সব ছাত্র ছাত্রী প্রতি বছর পাশ করে আসবে তারা ঐ কেজরিয়ালের মতো মুখ্যমন্ত্রী হতে ছুটবে, কিম্বা DRDO এর মত দেশীয় প্রযুক্তির যুদ্ধ অস্ত্র সে যতই শক্তিশালী হোক তৈরি করতে দিলে হবে না। রেলের কোচ কারখানা বা ইঞ্জিন তৈরির কারখানা বন্ধ করে বিদেশ থেকে নিয়ে আসতে হবে, দেখছেন না। কি হচ্ছে, ধীরে ধীরে আমরা আবার পরাধীন হতে চলেছি, ব্রিটিশ ভারতের সেই কালা কানুন আবার ফিরে এসেছে, জাতের নামে ধর্মের নামে ভারত বাসি কে ভাগ, উচ্চ বর্ণের সাথে নিম্ন বর্ণের যুদ্ধ লাগিয়ে দাও। এ সব ছিল ইংরেজ দের শাসনের কৌশল, কিছুতেই ভারতীয় দের এক হতে দিও না, ভারতীয় শিল্প ধ্বংস করে দাও, ইন্ডিয়ান নেটেটিভ কালা আদমী ওরা আবার কী জানে, ওদের আবার প্রযুক্তি, সত্যিই এত উপগ্রহ এতো রকেট ইসরো নিয়ে এত কথা, এত গর্ব তবুও দেখুন আপনি নেট করবেন, বিদেশী ব্রাউজার, বিদেশী সার্চ ইঞ্জিন, হয় বিইংস, ইয়াহু, সর্বোপরি আছে গুগুল সার্চ ইঞ্জিন। অথচ দেখুন গুগলের কর্মকর্তা তিনি ভারতীয়। পরাধীনতা আসছে একদম শিরোধার্য, তবে একটু অন্য ভাবে, আমাদের দেশের মানুষকে দিয়ে আমাদের শাসন করা হবে কিন্তু আমাদের স্বাধীনতা থাথাকবে না। বিশেষ  করে পরাধীন হবে গরীব খেটে খাওয়া মানুষ।অদ্ভুত এক শাসন ব্যবস্থার সামনে আমরা দাঁড়িয়ে আছি, এখন থেকে যদি প্রতিবাদ না করেছেন, তাহলে আরও পুলিশি অত্যাচার সহ্য করার জন্য তৈৈরি থাকুন, ক্ষমতা চাই, জন গন একটা সংখ্যা মাাত্র ভোট দিলেই হবে। আগেই এক দল মানুষ আছেন যারা  চুরি ডাাকাতি করতে সাহায্য করে যাচ্ছে, কারণ তারা চুরি ডাকাতির টাকার ভাগ পায়। আমি বাংলা মাায়ে দামাল ছেলেদের  কাছে অনুরোধ করছি। তোমরা হাল ছেড়ে চলে যেওনা, লড়াই চাালিয়ে যাও। আগামী দিন তোমাদের।

No comments:

Post a Comment

বাঙালি ও বর্তমান ভারত।

 (ছবিটি নেট থেকে নেওয়া, একটি স্ক্রিনশট।) স্বাধীনতার পূর্বে ভারত কীরকম ছিল, ১৯৪৭ সালে ভাগ হওয়ার পর কেমন হয়েছে। কেন ভারত ভাগ করা হয়েছিল সে ...