Anulekhon.blogspot.com

Wednesday, 22 July 2020

ফেসবুকের ( শুভজিৎ চক্রবর্তী) মন্তব্যের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা।

লেখার শুরুতেই আপনাকে ধন্যবাদ জানাই,মন্তব্য  করার জন্য। আমি চাই আরও অনেক মন্তব্য আসুক, কিন্তু খুব হাতে গোনা মানুষ মন্তব্য করেন, তাও ফেসবুকের মাধ্যমে। জানি না আপনি সব লেখাটা পড়ে মন্তব্য করেছেন কি না? কেবল শিরোনাম দেখে এবং একটু খানি অল্প কয়েক লাইন পড়ে যাদি মন্তব্য করে থাকেন তাহলে বলব, দয়া করে সব লেখাটা পড়ে মন্তব্য করুন, দেখবেন আপনার ঐ মন্তব্য এখানে খাটে না।
কারণ আমার লেখার মূল বিষয় ছিল ধর্মের নামে মানুষের উপর অত্যাচার। সে যে কোন ধর্মের হতে পারে, উগ্র হিন্দুত্ব বাদ হোক আর ইসলাম ধর্মের হোক, ধর্মীয় অত্যাচার উচ্চ বর্ণের হিন্দু দ্বারা নিম্ন বর্ণের হিন্দু দের উপর অত্যাচার, যেটা আজ ভারতের মধ্য ভীষণ ভাবে মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে। এই ধর্মের নামে অত্যাচার কেন, কিভাবে এর জণ্ম সেটা আমার জ্ঞান ও সীমিত শিক্ষার মধ্যেই যে টুকু জানি বা পড়েছি তা লেখার চেষ্টা করেছি।
আপনি যে সব মহা পুরুষের কথা বলেছেন, তারাও কিন্তু এই বাহ্মণ্যবাদ বা উগ্রতা কে মানে নি, সেই জন্যই হিন্দু ধর্মের কঠোরতা থেকে মুক্তি পেতে, সহজ সরল ভাবে সব মানুষের বেঁচে থাকার জন্য ধর্ম দিয়ে তাদের এক করতে বিভিন্ন ধর্মের জণ্ম হয়েছে। সে আপনি বৌদ্ধ ধর্ম, বলুন বা বৈষ্ণব ধর্ম, বিবেকানন্দের কথা বলছেন, আমি ওনার জ্ঞানের কাছে তুচ্ছ, ওনার গুরুদেব ভারতের যুগ পুরুষ রামকৃষ্ণ বলেছিলেন "যত মত তত পথ।" আর উনি, তো জাতি ভেদ মানতেন না, উনার সেই মহান বানী, "হে বীর সাহস অবলম্বন কর, সদর্পে বল - আমি ভারতবাসী, ভারতবাসী আমার ভাই, বল - মুর্খ ভারত বাসী, দরিদ্র ভারতবাসী, ব্রাহ্মণ ভারতবাসী, চণ্ডাল ভারতবাসী আমার ভাই আমার রক্ত।"
এখন বিবেক চেতনা উৎসব হয় কিন্তু তার আদর্শ মানা হয় না। বিবেকানন্দের আরেকটি সুন্দর কথা বা বানী ছিল," সত্যের জন্য সব কিছু ত্যাগ করা যায়। কোন কিছুর জন্য সত্যকে ত্যাগ করা উচিত নয়। " এখন উল্টো হয়ে গেছে, মিথ্যার জন্য সব কিছু ত্যাগ করা যায় কোনো কিছুর জন্য মিথ্যা কে ত্যাগ করা যায় না।" আর নজরুল তিনি, একটি কবিতায় লিখেছেন, "জাতের নামে বজ্জাতি সব" এরা কোথাও জাতের নামে ধর্মের নামে মানুষকে পিটিয়ে হত্যা করতে বলেনি। আমার লেখাটা সেই উদ্দেশ্যেই। আর রাজনীতির কথা বলছেন, আমারা গনতান্ত্রিক দেশে বাস করি ভোট যখন দিই তখন কোন না কোন দল কে ভোট দিই। আমরা প্রত্যেকেই কম বেশি রাজনীতি করি।কারণআআমার আপনার বেঁচে থাকা জীবন জিবীকা সব ঠিক করে দেন এসব রাজনৈতিক দল গুলো বা নির্বাচিত প্রতিনিধি, সেই কারণেই প্রত্যেকেই কোন না রাজনৈতিক দলের সমর্থক। আমি আপনার মন্তব্যের জবাব দিতে চেষ্টা করলাম মাত্র।
ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন, আশাকরি সব লেখাটা পড়ে আবার উত্তর দেবেন। 

No comments:

Post a Comment

বাঙালি ও বর্তমান ভারত।

 (ছবিটি নেট থেকে নেওয়া, একটি স্ক্রিনশট।) স্বাধীনতার পূর্বে ভারত কীরকম ছিল, ১৯৪৭ সালে ভাগ হওয়ার পর কেমন হয়েছে। কেন ভারত ভাগ করা হয়েছিল সে ...