Anulekhon.blogspot.com

Friday, 24 July 2020

মহাপুরুষের হারিয়ে যাওয়া কথা (. আজ নজরুল ইসলাম)



(জাতের নামে বজ্জাতি সব, জাত জালিয়াতি খেলছে জুয়া।
ছুঁলে তোর জাত যাবে বলি জাত কি ছেলের হাতের মোয়া। 
বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের একটি কবিতার দুটি লাইন। জাত বা ধর্ম নিয়ে প্রতি দিন যারা মানুষের উপর অত্যাচার করে যাচ্ছে। ধর্মের নামে জাতের নামে যারা অপর মানুষ কে ছোট করে যাচ্ছে। তাদের জন্য এই দুই লাইন, লেখা পড়া করুন সঠিক শিক্ষা লাভ করুন। যে শিক্ষা ধর্মের নামে জাতের নামে মানুষ খুন করতে শেখায় সে শিক্ষা শিক্ষা নয়। যে ধর্ম মানুষের উপর অত্যাচার করতে শেখায় সে ধর্ম, ধর্ম নয়। আজ ভারত বাংলাদেশ পাকিস্তানে এই ধর্মের নামে প্রতি নিয়ত মানুষের উপর অত্যাচার করা হচ্ছে। যেটা পাকিস্তান, বাংলাদেশে বেশি, সব থেকে বেশি আফগানিস্তানে, যে ধর্মের লোকজন এই অত্যাচার করে যাচ্ছে। তারা নাকি শান্তির ধর্ম পালন করে। আসল তা নয়, ওদের শিক্ষা ব্যবস্থা এর জন্য দায়ী। যে দেশের জাতীয় কবি নজরুল সে দেশে ধর্মের নামে মানুষ খুন। কারণ ধর্মের শিক্ষা আধুনিক শিক্ষা নয়, আমাদের দেশের বেশ কিছু রাজ্যের দলিতের উপর একই নির্যাতন নামিয়ে আনা হচ্ছে। কথায় কথায় সংখ্যালঘু, আর সংখ্যা লঘু নয়, ধর্মের হিসাবে কম লোকই পালন করে ঐ ধর্ম সেই জন্যই সংখ্যালঘু। আদিম কাল থেকে ধর্ম মানুষের মধ্যে একতা তৈরি করতে ব্যার্থ। আসুন আমরা মানবতা কে ধর্ম করি, কবির ভাষায় জাতের নামে ধর্মের নামে বজ্জাতি ত্যাগ করি। ধর্মের পাশাপাশি সত্যি কার শিক্ষা শুরু করে দিই। এখানে আরেকটা ছবি দিলাম যেটি কদিন আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় বেড়িয়ে ছিল।
এসব যে কোন সরকার ইচ্ছা করলে বন্ধ করে দিতে পারে। কেবল সঠিক সাজা দিতে হবে। আইন সবার জন্য সমান, সরকার কে সকল কে মানুষ বলে ভাবতে হবে। ধর্ম নয়, ধর্মের নামে মানুষে মানুষে হানাহানি বন্ধ করতে সকল দেশের সরকার কে এগিয়ে আসতে হবে। সত্যি কার আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে। আমি তো অবাক হয়ে যাই যে দেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম। সেই দেশের মানুষ এরকম ধর্মের নামে মানুষের উপর অত্যাচার করে যাচ্ছে। ধর্মের নামে এবং সম্পত্তি দখলের এই খেলা বন্ধ করতে হবে। যে দেশে জন্ম নেন সেটাই তার জণ্ম ভূমি। সেখান থেকে গায়ের জোরে তাকে উচ্ছেদ করা কোন ধর্মে আছে, কোন ঈশ্বর বা আল্লাহর নির্দেশ এটা হতে পারে! জণ্মের সময় কি পিঠে ছাপ মেরে পাঠায়, না বলে পাঠায় অন্য ধর্মের মানুষের উপর অত্যাচার করবি। আল্লাহ, ঈশ্বর সব কি আলাদা আলাদা নির্দেশ দিয়েছে, ঈশ্বর বলেছেন তোরা যতই অত্যাচার হোক সহ্য করে যাবি। আর আল্লাহ বলেছেন তোরা ধর্মের নামে মানুষের উপর অত্যাচার করবি, মানুষ খুন করবি তোকে আমি এই উপহার দেব। তাহলে ঈশ্বর ও আল্লাহ কে এক জায়গায় বসে মিটিং করে সমঝোতা করে নিতে হবে, কেউ কেউ কাউকে মারধর করবে না। কে কে বা কোন কোন সাধক দেখেছেন ঈশ্বর আল্লাহ, গড কে স্বচক্ষে, কেউ না, কারণ রামকৃষ্ণ সব মতে সাধনা করে জানিয়ে ছিলেন। যত মত তত পথ। কোন পথেই তার দেখা মেলে না, তিনি স্বশরীরে হাজির হন না। ওসব মানসিক কল্পনা, এবার বলবেন তুমি নাস্তিক মোটেও না। দু বেলা পূজো করি, কেবল জাতের নামে বজ্জাতি বা ধর্ম নিয়ে মাতামাতি করি না। 

No comments:

Post a Comment

বাঙালি ও বর্তমান ভারত।

 (ছবিটি নেট থেকে নেওয়া, একটি স্ক্রিনশট।) স্বাধীনতার পূর্বে ভারত কীরকম ছিল, ১৯৪৭ সালে ভাগ হওয়ার পর কেমন হয়েছে। কেন ভারত ভাগ করা হয়েছিল সে ...