Anulekhon.blogspot.com

Thursday, 23 July 2020

যারা দাদা আর দিদির দলকে এখন সমর্থন করেন তাদের কাছে আমার কয়েকটি প্রশ্ন?

দেখে মনে হচ্ছে কত দরদ তাই না! আমাদের দাদা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আর দিদি মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী, অনেকেই এনা দের ভক্ত আছে, মুখ দেখে ভোট দিয়ে দেন, আবার অনেকে দলের ভক্ত আছেন, এনারা দুজনেই দুবার করে ক্ষমতা দখল করেছেন। অর্থাৎ গদিতে বসেছেন। এসব ছেড়ে আসল কথায় আসি, এই ভক্ত বা যারা দল করেন বা এখনো সমর্থন করে যাচ্ছেন, তাদের কাছে আমার কয়েকটি প্রশ্ন আছে।একবার নিজের বিবেকের কাছে প্রশ্ন করে দেখতে পারেন, বাংলার মানুষ যারা এখনও শাসকের হয়ে প্রচার করছেন তাদের জন্যে বলি, 2011 সালে ক্ষমতায় আসার আগে দিদি যা যা বলে ছিলেন সব করে দিয়েছেন? বাম নেতা মন্ত্রী দের জেলে দেবার জন্য 11 না 12 টা তদন্ত কমিটি গঠন করে ছিলেন, কি কি নেতাই, সাঁই বাড়ি, বিজন সেতু, নানুর, একুশে জুলাই, এরকম আরো অনেক বিষয়ে ও আরেকটা গৌতম দেব কে জেলে দেবেন বলে হিডক তদন্ত কমিটি গঠন করে ছিলেন, এছাড়া ছিল সিঙ্গুর, নন্দীগ্রাম, জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেসের নাশকতার সিবিআই তদন্ত। রিপোর্ট গুলো সব জমা পরেছে তো, আমি যতদূর জানি জমা পড়েছে, কিন্তু সেখানে সব যাদের নাম আছে তারা কেউ বাম নেতা মন্ত্রী না। সিঙ্গুরের তাপসী মালিকের বাবা এখন বলছেন, সি পি আই এম আমার মেয়ে কে খুন করেনি। যারা এখনও পর্যন্ত সমর্থন করে যাচ্ছেন বুঝতে পারছেন, এর পর 2013 সাল থেকে সারদা সহ নানা চিটফাণ্ড কেলেঙ্কারি, ত্রিফলা বাতি, ব্রিজ থেকে জল টাঙ্ক ভেঙে পড়া তোলাবাজি, কাটমানি,প্রভৃতির 75 % ও 25% ভাগ 280 টাকার দিন মজুর 280 কোটি টাকার মালিক হোল। টালির ঘর চার তোলা বিল্ডিং, লিফট চলমান সিঁড়ি, আরও কত কি? চাকরি করে দেবার নামে লক্ষ লক্ষ টাকা ঘুষ যারা ঘুষ দিতে পারে নি তাদের চাকরির তালিকায় নাম উঠেও চাকরি হয় না, অনশন করে তাতেও নয়, অনশন করতে গিয়ে গর্ভের সন্তান নষ্ট হয়ে গেছে তবুও তাদের চাকরি হয় নি। যারা এই শাসক দলের সমর্থক নিশ্চয়ই তার ঘরে এরকম বেকার ছেলে মেয়ে নেই বা সে নিজে এরকম বেকার নন। আরেকটা হতে পারে তিনি নিশ্চয়ই 75 % ও 25 % ভাগ পান। কারণ বাংলায় একটা প্রবাদ আছে, চোরের দলে থাকলেই সে চোর, হয়। যারা এখনও বাংলার এই শাসক কে সমর্থন করে যাচ্ছেন তারা নিশ্চয়ই চোর এবং মিথ্যাবাদী, না হলে কেউ এরকম একটা দল কে সমর্থন করে যেেতে পারে না। আর ভোট এলেই এই দলের হয়ে যারাা দাঙ্গা করে ভোট লুট করে যাচ্ছেন ভেবেছেন, আপনি মদ মাংস  বা কয়েক হাজার টাকা পেলেন কিম্বা পুলিশ আপনাকে কিছু বলল না, বা আপনার বা আপনাদের বিরুদ্ধে কেস নিল না, এই টুকু, আর যার বা যে বড় নেতাদের কথাায় আপনি এটা করে যাচ্ছেন। সে বা তারা কোটি কোটি টাকার মালিক হচ্ছে, দিনে রাতে তাদের টাকার পাহাড় হচ্ছে। আর আপনার অবস্থা   সেই তিমিরে রয়েছে। এই করোনা মহামারীর সময় ঐ সব নেতা মন্ত্রী কত টাকা খরচ করেছে , বলুন। 2011 ক্ষমতায় আসার আগে তিনি বলেছিলেন সিঙ্গুর থেকে নন্দীগ্রাম রেললাইন হবে, ট্রেন চলবে। 2010 সালের শেষ দিকে থেকে 2011 সালের ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত রেলের চাকরির ফর্ম বিলি করে ছিলেন। ওনার অনেক চামচা অর্থাৎ চিটিংবাজ চোর বেকার ছেলে মেয়েদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে ছিল, রেলে চাকরি করে দেবে বলে। এক জন কে দেখান যাকে উনি রেল মন্ত্রী থাকা কালীন চাকরি দিয়ে এসেছেন। হ্যাঁ কতগুলো চিটিংবাজ দালাল ঘুষখোর বাঙালি জাতির শত্রু মিথ্যাবাদী বুদ্ধির ঢেঁকি যারা কলকাতার রাস্তায় ব্যানার দিয়ে নিজেদের বুদ্ধি জীবি বলে প্রচার করে ছিলেন, এবং কাকের ছবি এঁকে বিখ্যাত হয়ে ছিলেন তাদের রেলের বিভিন্ন পদে বসিয়ে দিয়ে ছিলেন মোটা টাকা বেতনের বিনিময়ে। 2011 সালে বললেন ক্ষমতায় এলে আমি ছ মাসের মধ্যে শিল্প এনে দেখিয়ে দেব। তবে এটাও ঠিক উনি সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি কে দিয়ে সিঙ্গুরের জমি ফেরত দেওয়ার রায় করে এনেছেন, কিন্তু ঠিক মত সকলের জমি ফেরত দিতে পারেন নি। জমির দালাল তৈরি করেছেন, এই দালাল দের জন্য সিঙ্গুরের জমির আকাশ ছোঁয়া দাম। আর সিঙ্গুর থানার একটা বিরাট অংশে চুল্লু বা মদ তৈরি হয় তাদের টাকার জোর কোথাও জমি বিক্রি শুনতে পেলে হয়। যাহোক এসব বাদ দিয়ে আমি, একটা কথা জিজ্ঞেস করি যারা এই লুটেরা কে এখনও পর্যন্ত সমর্থন করে যাচ্ছেন, আর সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় তুলে যাচ্ছেন। আপনি বা আপনার পরিবার চুরির টাকা বা তোলাবাজির টাকা ভাগ পাচ্ছেন ভালোই। আপনার ঘরের বেকার ছেলে মেয়ে নেই, যদিও থাকে নিশ্চয়ই চপ শিল্প মুড়ি শিল্প টেবিল পেতে চায়ের দোকান শিল্প, ঘুঁটে শিল্প এ শিল্পে চাকরি করে মোটা টাকা বেতন পাচ্ছেন। কি দরকার ইনফোসিস, উইপ্রোর, কি দরকার কেমিক্যাল হাবের। যারা চীন চীন করে পাগলা হয়ে পরছেন, তাদের বলি ঔষধ তৈরির ৮০% থেকে ৯০ %  কাঁচা মাল আসে চীনের কেমিক্যাল হাব গুলো থেকে। আর আমার বাংলার কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়া ছাত্র ছাত্রী তারা হয় আমেরিকা বা আমাদের দেশে হলে অন্য রাজ্যে পারি দিচ্ছে, আইটি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ে চাকরি জন্যে অন্য রাজ্যে ছুটছে। এখন আপনার দিদি আর দাদা বা আপনি যাদের পরিযায়ী শ্রমিক বলছেন তাদের মধ্যে অনেকেই এই রকম ইঞ্জিনিয়ারিং এর ছাত্র ছাত্রী। বাদ দিন আপনারা সবাই চোর চুরি আর ঘুষের ও তোলাবাজির আর কাট মানির টাকা ভাগ নেন। আপনারা বসে বসে টাকার পাহাড় করেছেন আর সাধারণ মানুষ রসাতলে যাচ্ছে। আপনাদের কাছে বিবেক বোধ আশা করা দূরাশা। 

No comments:

Post a Comment

বাঙালি ও বর্তমান ভারত।

 (ছবিটি নেট থেকে নেওয়া, একটি স্ক্রিনশট।) স্বাধীনতার পূর্বে ভারত কীরকম ছিল, ১৯৪৭ সালে ভাগ হওয়ার পর কেমন হয়েছে। কেন ভারত ভাগ করা হয়েছিল সে ...