পরাধীন ভারতের কথা বা ইতিহাস যারা জানেন সেই সব সত্তর উর্ধ মানুষ গুলো কে জিজ্ঞেস করে দেখুন। স্বাধীনতার আগে কী ছিল? আর স্বাধীনতার পর কী হয়েছে? একটু ইতিহাস পড়েছেন যারা, তারা জানেন, ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি এদেশে এসে ছিল ব্যবসা বাণিজ্য করতে। মোঘল শাসকের অনুমতি নিয়ে ব্যবসাও শুরু করে ছিল, কিন্তু মোঘল শাসন ব্যবস্থা যত নড়বড়ে হতে লাগলো তত ঐ বণিকের দল বিভিন্ন ভাবে শাসন ক্ষমতা দখল করে শোষণ করতে আরম্ভ করে দিয়ে ছিল। দেশীয় শিল্প ধ্বংস করে নিজের দেশের তৈরি শিল্প জাত জিনিস পত্র বিক্রি করতে আরম্ভ করে ছিল বেশি পরিমাণে। ফলে ভারতের শিল্প তাঁত শিল্প, থেকে আরো যে সব শিল্প ছিল সে গুলো ধ্বংস হতে আরম্ভ করে ছিল। একজন গুজরাতি, গুজরাতি দের ব্যবসা বাঁচাতে প্রতিনিয়ত ইংরেজের সাথে গোল টেবিল বৈঠক করত। তিনি গুজরাতি দের লবণ শিল্প বাঁচাতে ডাণ্ডি অভিযান করে ছিলেন। এখন এই রকম দুই গুজরাতি ব্যবসায়ী পরাধীন ভারতে যেমন ছিল সেই ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনতে চাইছে। সব কিছু পরিচালনায় থাকবে বেসরকারি হাতে ব্যাঙ্ক বিমা, যোগাযোগ ব্যবস্থা সব কিছুই ঠিক করে দেবে ঐ গুজরাতি ব্যবসায়ীর দল। যেমন ইংরেজ আমলে ব্রিটিশ ঠিক করে দিত রেলের ভাড়া, লেখা পড়া, কে শিখবে আর কে শিখবে না। কারা ক্রীতদাস হবে, মালিকের ইচ্ছা হলে বেতন দেবে না হলে দেবে না। কুকুর কে যেমন এক টুকরো রুটি দিলে সে ল্যাজে নাড়ে সেই রকম সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ গুলো কে পরিনত করতে চাইছে। স্বাধীনতার আগে বলতে গেলে ব্যাঙ্ক জাতীয়করনের আগে সাধারণ মানুষের টাকা ঐ সব ব্যাঙ্কে জমা দিলে সেটা ফেরত পাওয়া দুষ্কর ছিল, হঠাৎ হঠাৎ ঐ সব ব্যাঙ্ক দেউলিয়া ঘোষণা করে ঝাঁপ বন্ধ করে দিত। রেল চালাত বেসরকারি মালিকের দল বিভিন্ন শিল্পপতি সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের রেলের চড়া অনেক কল্পনার বিষয় ছিল। অধিক ভাড়া দিয়ে অনেক বিধিনিষেধ পার করে তবে রেল গাড়ি চাপা। ব্রিটিশ ভারতে আসানসোলের কয়লার খনি বেসরকারি মালিকের হাতে ছিল কয়লা কলকাতা বন্দরে এনে নিজেদের দেশে পাঠানোর জন্য রেল লাইন পাতা হয়েছিল। আজ এই দুই বণিক পরাধীন ভারতের ঐ অবস্থা ফেরত আনতে চাইছে। করোনা আবহের মধ্যেই দেশ কে বেচে দেবার চক্রান্ত চলছে।বাবা রামদেদেব সহ বড় বড় ব্যবসায়ী দের ঋণ মুকুব, আর 31 জন ঋণ খেলাপির মধ্যে 22 জন গুজরাতি। একদিকে করোনা আতঙ্ক, আর এক দিকে যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা, কারণ পশ্চিমবঙ্গ ও বিহারের বিধানসভা নির্বাচন আসছে। যেমন পুলওয়ামায় সেনা বাহিনীর জওয়ান মরে ছিল যার সঠিক তদন্ত আজও হয় নি। লাদাখে কুড়ি জন সৈন্য মারা গেল কারা দেখুন বিহার আর বাঙাল জওয়ান কারণ বাংলা আর বিহারে বিধানসভা নির্বাচন তাই। আমি আশ্চর্য হয়ে যাই যখনই ভোট আসে ঐ দুই গুজরাতি যুদ্ধের আবহ তৈরি করে এবং কিছু সেনা মরবে। সংঘর্ষ হয় কেবল এক পক্ষের সৈন্য মারা যায় আরেক পক্ষে কি হোলো কেউ জানে না। আবার বলা হল। চীন নাকি ভারতের মধ্য ঢোকে নি। কী অদ্ভুত না, তবে চিন্তা নেই, যারা বিজেপি কে আর তার দোসর এই শাসক দল কে ক্ষমতায় আনবেন বলে ঠিক করেছেন। আমি মনে করি তারা চোর চুরি করা মালের ভাগ পান। দাদার ভক্ত দেশপ্রেমিকের দল, যারা টাকার বিনিময়ে অর্থাৎ বেতন ভুক দাদার ভক্ত তাদের কথা বাদ দিয়ে। যারা সাধারণ মানুষ ভক্ত, দাদার কথায় কাঁসর ঘণ্টা, বাজান আর মোমবাতি জ্বালিয়ে আনন্দ করেন। তাদের বলছি চিন্তা করবেন না দেশ টা আবার পরাধীন হতে যাচ্ছে, গুজরাতি ব্যবসায়ী দের কাছে। এত দিনে জাতির জনকের ইচ্ছে পূরণ হবে। তাঁর ঐ অনশনের ভয়ে ইংরেজ দেশের স্বাধীনতা দেয় নি। দিয়েছে বাঙালি ও পাঞ্জাবী শিখ জাতির নিরলস রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম, সুভাষ চন্দ্র বসুর আজাদ হিন্দ বাহিনীর সংগ্রাম, এসব দেখে ভারতের স্বাধীনতা এসেছে। যারা ভাবেন ঐ হাঁটুর উপর ধুতি পরে ক বার গোল টেবিল বৈঠক করে অনশন করে দেশ স্বাধীন করে ফেলেছে আসলে ব্রিটিশ ওনাকে জেলে বন্দি করত যাতে কেউ না মেরে দিতে পারে। আসলে উনাকে বাঁচাতে জেলে বন্দি করা হতো, উনি ছিলেন ব্রিটিশদের সাথে রফা করার জন্য গুজরাতি ব্যবসায়ী দের দালাল। এখন সেই রকম দুই গুজরাতি দেশের ক্ষমতা দখল করে মানুষের নাভিঃশ্বাস তুলে দিয়েছেন। পুরো দেশ টা কে আবার পরাধীন ভারতে পরিনত করতে উঠে পরে লেগেছে। এর পর আর ভোট দিতে হবে না। কারণ ভারতের সরকার আর সরকার থাকবে না। প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি হয়ে যাবে। বাঙালি জাতি হিসেবে আজ আমার লজ্জা হয় যখন দেখি ঐ স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়ে যেমন ঐ গুজরাতি কে অন্ধের মত সমর্থন করে গেছে বেশ কিছু বাঙালি বুঝতে পারেননি বাঙালি জাতির ভালো ঐ গুজরাতি চাইত না। যদি চাইতেন তাহলে সুভাষ চন্দ্র বোস কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচিত হলে উনি দুঃখিত হতেন না। এরকম এক গুজরাতি গেছে, আর এখন এসেছে তিহার জেল খাটা এক আসামি, নাদির শা এর বংশধর, আর সাধু বেশে দেশ বেচার কারিগর, আর এই দুই গুজরাতি কে অন্ধের মত বিশ্বাস করে নিচ্ছে এই বাঙালি, যাদের আন্দোলনের ভয়ে ব্রিটিশ তাদের রাজধানী কলকাতা থেকে সরিয়ে দিল্লি নিয়ে গিয়েছিল। সেখানেও রেহাই পায়নি, রাসবিহারি বসুর সুচতুর পরিচালনায় ভগৎ সিং রাজ গুরু, সুকদেও, আর বুটুকেশ্বর দত্ত দিল্লির আইন সভায় ঢুকে বোমা বিস্ফোরণ ঘটানো। সেখানেও বাঙালি, কোথায় ঐ গুজরাতি উল্টে এদের যাতে ফাঁসি হয় তার ব্যবস্থাপনা চেষ্টা করে গিয়েছেন ঐ জাতির জনক গুজরাতি। আচ্ছা আমরা জানি উনি দক্ষিণ আফ্রিকায় ওকালতি করতেন শুনেছেন কোন স্বাধীনতা সংগ্রামীর জন্য ওনাকে ওকালতি করতে। তিনি নাকি মহান বিপ্লবী, সেই রকম দুই মহান দেশপ্রেমিক গুজরাতি দেশ পরিচালনা করেছেন। একজন জেল খাটা আসামি, আরেকজন চরম মিথ্যাবাদী। তিনি নাকি বিবেকানন্দ ভক্ত, ওটা ভক্তি নয় ভরং মানুষ কে তথা বাঙালি জাতি কে বোকা বানানো আর কি? এই সব চোর চিটিংবাজ বাজ দের এই রাজ্যে ডেকে আনছে, আমাদের রাজ্যের ক্ষমতা লোভী আরেকটা মিথ্যাবাদীর দল। তাদের আগা পাস্তলা চোর তোলাবাজে ভর্তি শাস্তির হাত থেকে রক্ষা পেতে ঐ দলে নাম লেখাছে।
সত্যিই যদি বাঙালি জাতির রক্ত শরীরে থাকে তবে আসুন আমরা দ্বিতীয় স্বাধীনতার লড়াই শুরু করে দিই। দেশ টা যাতে আবার দেশীয় বণিকের হাতে পরাধীন না হয়ে যায় তার জন্য আন্দোলন শুরু করে দিই, করোনায় তো এমনিতেই মরবে মানুষ চিকিৎসা নেই। তার উপর এই আবার পরাধীন হওয়ার ভয়, আসুন সত্যিই আপনি যদি বাঙালি হন, পূর্ব পুরুষের রক্ত যদি শরীরে বয়ে এই মেকি দেশ প্রেমিকদের হাত থেকে বাংলা তথা ভারত কে বাঁচাতে দ্বিতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ি।
সত্যিই যদি বাঙালি জাতির রক্ত শরীরে থাকে তবে আসুন আমরা দ্বিতীয় স্বাধীনতার লড়াই শুরু করে দিই। দেশ টা যাতে আবার দেশীয় বণিকের হাতে পরাধীন না হয়ে যায় তার জন্য আন্দোলন শুরু করে দিই, করোনায় তো এমনিতেই মরবে মানুষ চিকিৎসা নেই। তার উপর এই আবার পরাধীন হওয়ার ভয়, আসুন সত্যিই আপনি যদি বাঙালি হন, পূর্ব পুরুষের রক্ত যদি শরীরে বয়ে এই মেকি দেশ প্রেমিকদের হাত থেকে বাংলা তথা ভারত কে বাঁচাতে দ্বিতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ি।
No comments:
Post a Comment