Anulekhon.blogspot.com

Sunday, 27 October 2019

পাঠ্যপুস্তকে অবশ্যই থাকা উচিত।

পড়ছে পড়ছে টুকাই, পড়ছে পড়ছে নিতাই, পড়ছে পড়ছে বাবাই, পড়ছে পড়ছে সবাই। পড়ছে পড়ছে ইঁট, পড়ছে পড়ছে পাথর। কেউ বোঝে না তাদের কদর, বুঝবে কি আর, লাগলে পরে কম্ম কাবার , না হয় সাবার ।কেউ নেই কেউ নেই আর তাকে বাঁচাবার। সবাই তখন ছুটে হচ্ছে দেখবে পগার পার, চায়ের দোকান দার খোকন বলল ” থাম থাম ভোলা থাম। রবি ঠাকুর বেঁচে থাকলে তোর কবিতা শুনে লেখা বন্ধ করে দিতো তুই রবি ঠাকুর হয়ে যেতিস।” ভোলা ” কেন আমি কি খারাপ লিখেছি। দেখবে আমি একদিন নোবেল পাব। তখন তোমাদের হিংসে হবে। জানতো আমি বিনা পয়সায় পড়াই, আমার একটা মাষ্টার দের টিম আছে। তাদের হাতে কয়েক টাকা তুলে দিই। আগে আর্ট পেপারে কয়েক টা আঁচর কেটে দিতাম ভ্যাবলা কয়েক হাজার টাকা দিয়ে কিনে নিত।,” হরি, তখন হাটে জামা কাপড় বিক্রি করে এসে গেছে। আজ মসাট হাট ছিল সেখানে গিয়ে ছিল বিক্রি করতে। এসে ও ঐ চায়ের দোকানে হাজির, বলল,” তা তোর ভ্যাবলা দা কোথায়?” ভোলা,” ঐ ফাণ্ড গণ্ডগোল হলো সে জেলে। কি করব আমি কবিতা লেখা শুরু করে দিলাম, জান আমার দুটো বই বেড়িয়েছে, ঐ যে নেপো গাড়ি তে বই বিক্রি করে ও আমার বই গাড়িতে বিক্রি করে দেয়। যা আসে ও অল্প কিছু নেয়, আর বেশি টা আমাকে দেয়। ঐ দিয়ে আমি মাষ্টার দের দল টা চালাই।” হরি,” তোর এই পড়ানোর কথা শুনে আমার একটা কথা মনে পড়ে গেল, আমার নাতনি টা ফোরে পড়ে, মাষ্টার কালকে সাধারণ কিসব পারছিল, কোথায় পরীক্ষা দিতে যাবে কম্পিউটারে।” চায়ের দোকানদার,” আরে ওটা কম্পিটিশন আসছে রবিবার হবে। ও তো আমার ছোট ছেলে পরীক্ষা টা দেবে। তা হরি কাকা তুমি কী বল ছিলে? ” হরি,” কী বলব ঐ মাষ্টার আমার নাতনি কে প্রশ্ন করা ছিল। নাতনি কে জিজ্ঞেস করল বলত মহম্মদ বিন তুঘলগের বড়ো কীর্তি কী? নাতনি বলল কেন রাজধানী পরিবর্তন, মাষ্টার জিজ্ঞেস করল কোথা থেকে কোথায়? নাতনি বলল কেন, কলকাতা থেকে হাওড়ার ডুমুরজলা। আগে নাম ছিল রাইটার্স এখন নাম নবান্ন। নাতনি কে জিজ্ঞেস করল রবীন্দ্র নাথ কত সালে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন? আমার নাতনি উত্তর দিল ১৮১৩ সালে। মাষ্টার বলল ১৯১৩ হবে। নাতনি আপনি ভুল বলছেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জন কীসের সাথে দেখা করে ছিল। জন কীটস ১৭৯৫ সালে জন্ম গ্রহণ করেন ও ১৮২১ সালে মারা যান। যদি ১৮১৩ না হবে, তবে কীভাবে রবি ঠাকুর কীটসের সাথে দেখা করল। ” মাষ্টার কী বলবে ভেবে পেলেন না। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, বলতো সিধু কানু কে? নাতনি উত্তর দিল,” ডহর বাবুর কেউ হবে। মাষ্টার মশায় বলল, ওহো অলচিকি ভাষায় ডহর পুকুর নয় বাগান হবে। ওরে তুই কিচ্ছু জানিস না। বলতো মোমবাতি মিছিল কখন হয়? নাতনি – “ছাত্র বা ছোট কেউ মারা গেলে হতো, এখন আর হয় না। ” মাষ্টার তারমানে, নাতনি এখন মোমবাতি কেনার পয়সা নেই, ভ্যাবলা কাকু থাকলে অনেক পয়সা থাকতো। এখন ঐ ভূষণ আর শ্রীর অল্প টাকায় অত মোমবাতি কেনা যায় না। মাস্টার মশাই, বলত, শক্তি গড়ে কি শিল্প? কেন ল্যাংচা। এবার বলত পশ্চিমবঙ্গের বিখ্যাত শিল্প কী? কেন চপ শিল্প আর টুল পেতে চা শিল্প। বলত হিং টিং ছট এই বিখ্যাত গান কার লেখা? কেন আমার বাবার দিদি মানে আমার পিসিমনির লেখা। তুই ভীষণ পেকেছিস তোর দ্বারা আর কিছু হবে না। আমি জানি না আমার নাতনি সব ভুল বলল কিনা!

Saturday, 26 October 2019

জ্যান্ত ভুতুরে কোরাস।

আসছে কালী পুজো অনেক জ্যান্ত ভূত বেড়বে। কারণ আমাদের রাজ্যের প্রায় প্রতিটি প্রান্তে এখন জ্যান্ত ভূতের উৎপাত যে তারা প্রতি মুহূর্তে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। মা কালী রূপে কী করে ছিলেন। তবে শোনা কথা বা পূরান কথা কিনা জানি না। প্রচলিত গল্প টি হলো মা যখন অসুর নিধন করে ক্লান্ত হয়ে গেছেন । তখন ধরা ধাম বা পৃথিবী রসাতল হয়ে যাবে। তখন সমস্ত দেব গন শিবের কাছে গিয়ে হাজির হলেন। মা কালী খড়্গ হাতে সম্মুখে যা পাচ্ছেন বিনাশ করতে করতে যে রাস্তা দিয়ে এগিয়ে আসছিলেন মহাকাল রূপে শিব সেই রাস্তায় শুয়ে পড়লেন। মা কালী এসে মহাকালের বুকে পা দিলেন এবং জিভ কাটলেন। এই গল্প ছোট থেকে শুনেছি জানি না কতটা সত্যি। নাকি মা রক্তবীজের রক্ত পান করবেন বলে জিভ বার করে ছিলেন এবং শিয়ালের দল হাতে থাকা মুণ্ড ও মুণ্ড মালার থেকে পড়া রক্ত খেতে ব্যস্ত । মা যখন অশুভ শক্তি বিনাশ করতে করতে ক্লান্ত তখন মহাকাল রূপী শিব তাকে কিছু টা সাহায্য করতে ঐ ভাবে শয়ন করে ছিলেন। মা কালী এবং মহাকাল রূপী শিব অসুর বা দানব রূপী অশুভ শক্তির বিনাশ করে, ধরাধামে শান্তি প্রতিষ্ঠা করে ছিলেন। বর্তমানে তাঁর পূজার সময় যে শব্দ দানব মানুষের জীবন কেড়ে নেবে। তার জন্য মা যদি আরকে বার আবির্ভূত হয়ে শব্দ দানব কে দমন করতেন। তাহলে যারা এই দানবীয় কাজ করে তাদের যদি একটু বিরত করেন, তাহলে অনেক মানুষ শান্তিতে ঘুমাতে পারে । আর মা কালীর কাছে আরেক টা প্রার্থনা যদি মাতাল রূপী অসুর দের একটু শান্ত করেন তবে অনেক নিরীহ মানুষের জীবন বাঁচে ও শান্তি পায়। এখন মা যে হারে এই দুই দানব বেড়েছে, এবং প্রতিবাদ করলে অনেক মায়ের কোল খালি হচ্ছে। আর যদি ভোটের সময় একটু আবির্ভূত হন, তবে শান্তি পূর্ণ ভোট হয়। কারোর কে মুড়ি বা নারকেল খেতে হয় না। এ গুলো মা শুনেছি বীরভূমের এক জন সভায়। পরে জেনেছি এগুলো গুলি ও বোমার সাংকেতিক নাম। আজ আমাদের রাজ্যের প্রায় সর্বত্র সত্যিই কথায় কথায় মুড়ি মুড়কির মতো গুলি ও বোমা বাজী চলে। কত যে মায়ের কোল খালি হলো। কেউ হিসেবে রাখে না। কোন টা খবরে আসে কোন টা নয়। কেউ বিচার পায় কেউ পায় না। আরেক টি অসুর আছে মা ধর্ষণ রূপে বিরাজ করে সে একশ বছরের বৃদ্ধা কেও বাদ দেয় না। মা গো তোমার কাছে আমার প্রার্থনা একবার আবির্ভূত হও মা তবে যদি বেকারাসুর বদ হয়। সঠিক বেতন পায় তার ব্যবস্থা করে দিও দু হাজার আট হাজার পাঁচ হাজার আর আমার টা অষ্ট আশি হাজার থেকে আট লক্ষ করে দিতে তুমি একবার আবির্ভূত হও মা। একশ দিনের টাকা পাই মা, আবার ঘর তৈরির টাকাও আসে মা কিন্তু তোলাসুর কে দিয়ে দিতে হয়। এই সব অসুর দের সাথে আবার কিছু ভূত জুটেছে তুমি মা বাবা কে বলে যদি একটু ভূতেদের কণ্ট্রোল করে দাও। না হলে ঐ সব অসুর দের কথায় মতালাসুর হয়ে এরা এমন কোরাস ধরে চিন্তা করতে পারবে না। এতে আবার মিউজিক বাজে বোমা আর গুলি এবার পূজায় ভালো করে সকলে পূজো করুক যেন অসুর আর ভূতের কোরাস না শুনতে হয়। 

Tuesday, 22 October 2019

মানুষ বিশ্বাস যোগ্যতা হারিয়ে ফেলে কেন?

নোবেল জয়ী অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো জনগণ ২০১৪ সাল থেকে মুগ্ধ। উনি আচ্ছে দিন, এনে দিয়েছেন, জনধন একাউন্টে ১৫০০০ না পনেরো লক্ষ টাকা দিয়েছেন। উনি টাকা দিয়েছেন আমরা অন্ধ দেখতে পাইনি, কারণ নোট বন্দী করার সময় অনেকে ঐ একাউন্টে নিজেদের কালো টাকা জমা দিয়েছেন। আর কিছু বড় বড় ব্যবসায়ী ব্যবসার নামে ঋণ নিয়ে শোধ না করে বিদেশে চলে গেছেন। উনি বা ওনার মন্ত্রী সভার সাহায্য নিয়ে, আর সেই ঋন জনগণের কাছে আদায় হচ্ছে ঘুর পথে, একাউন্টে ৫০০ টাকার কম থাকলে বা হঠাৎ করেই সেটা বাড়িয়ে দিয়েছে, টাকা জমা করানো এবং কেটে নেওয়া সুদ কমিয়ে দেওয়া, আর এবার  ক্ষমতায় এসে সরকারি ব্যাঙ্ক ব্যবস্থা লাটে তুলে দিচ্ছে, সব বেসরকারী হবে, আজ মহারাষ্ট্রে এক বেসরকারি কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের শাখা বন্ধ হয়ে গেছে। অনেক মানুষ সর্বশান্ত এতেই ওনার আনন্দ। ক্ষমতায় আসার আগে প্রতিশ্রুতি বছরে দু কোটি বেকারের চাকরি দেবেন। আর ক্ষমতা পেয়ে দেখুন।
স্বাধীনতার সত্তর বছর পর সব থেকে বেশি বেশি বেকার। অর্থাৎ মুখে বলছেন এক আর কাজে করছেন আরেক। আরও আছে, কেবল যে উনি তা নয় এই রাজ্যের ক্ষমতা আছে যে দল তাঁরাও একই। সেই জন্য এন আর সি নিয়ে মাননীয়া যত বলছেন মানুষ তত অবিশ্বাস করছেন। এটা ঠিক পালে বাঘ পরা রাখাল বালকের মতো। আর উনি জনগণ কে কিছুতেই বিশ্বাস করতে পারেন না। বলবেন বুঝলেন কী করে? কেন ভোট এলেই দাঙ্গা দেখে, উনি মুখে এতো কাজ করেছেন, এবং ভোট এলেই কাগজে কাগজে চাকরির বিজ্ঞাপন, পাতা জুড়ে উন্নয়নের বন্যা বাস্তবে ছিটে ফোটা, বিদ্যুৎ বিল নিয়ে কত আন্দোলন দেখেছি। প্রতিশ্রুতি দেখেছি এখন সেই বিদ্যুৎ বিল দিতে গরীব মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। দ্বিগুণ দাম হয়ে গেছে। রাস্তা কাঁচা থেকে পাকা হচ্ছে, এক এক জায়গায় এমন গুর বেশি হচ্ছে, যে গরু চেটে খেয়ে নিচ্ছে, অনেক দেখলাম সত্য কথা সততা। সেই জন্য ওনার কথা মানুষ আর বিশ্বাস করতে পারছেন না। নোবেল জয়ী অভিজিৎ কে প্রধানমন্ত্রীর দরাজ প্রশংসা অথচ তার দলের লোকজন যা বলছেন, বা মন্তব্য করছেন সে গুলো নিয়ে তিনি একবারও বলছেন না।
এর পরও এদের বিশ্বাস করা যায়। এরা মুখে এক বলে আর কাজে আরেক করে। বলল কৃষক প্রতি মাসে পেনশন বা আর্থিক সাহায্য পাবে কাদের দিল কর্পোরেট সংস্থা গুলো ট্যাক্স ছাড় পেল। আজ কৃষকের এমন অবস্থা আত্মহত্যা করতে বাধ্য হচ্ছেন।


কেবল এসবের জন্য নয় আরও অনেক কিছু আছে মিথ্যা কথা বলে ক্ষমতা দখল করে  মানুষের জীবন অতিষ্ঠ করে তুলেছেন এই শাসক। একটা জিনিস ইনি খুব ভালো পারেন, অভিনয়।


আসছে দীপান্বিতা কালী পুজোয় আবার জেগে উঠুক বাঙালি জাতি সত্তা

আমার এই ব্লগের যে কজন পাঠক আছেন প্রত্যেক কে, আমার পক্ষ থেকে আসন্ন দীপাবলীর আগাম শুভেচ্ছা। মায়ের কাছে আমার এই বছর একটাই প্রার্থনা হোক, সমস্ত মানুষের মন থেকে কালিমা দূর করে দাও মা। ঘরে ঘরে জ্বলে উঠুক জ্ঞানের আলো, দূর করে দাও অভাব অনটন। আমার আরেকটা নিবেদন সেই সব মানুষদের কাছে যারা এবার কালিমা দূর করতে কালী পুজো করবেন, তারা ফিরিয়ে আনুন বাঙালি আনা মণ্ডপে মণ্ডপে বাজুক পুরাতন ও নতুন বাংলা গান। বাঙালি জাতি সত্তা জেগে ওঠে। বর্তমান সময়ে যেটা খুব দরকার সোলাল মিডিয়ায় একে অপরকে গালাগালি দেওয়া নয়। এক জন আরেক জন বাঙালি কে যখন খারাপ কথা বলছেন, ভাববেন আপনার লেখাটা কেবল সে পড়ছে না অন্য আরেক জন নিজের ভাষায় অনুবাদ করে পড়ে তাতে নিজে ছোট হলেন তা কিন্তু নয় গোটা বাঙালি জাতি স্বত্তাকে ছোট করা হলো। আরেকটা কথা মনে রাখা দরকার ভাষা হচ্ছে মানুষের তথা জাতির পরিচয়, আবার বংশ পরিচয় বটে। এসব দিক খেয়াল করে একটি মন্তব্য লিখবেন। বাঙালি জাতি হিসেবে আমাদের সুনাম যেন বজায় থাকে। আর এসব কারণেই বলছি আগামী কালী পুজোর মধ্যে দিয়ে সমস্ত বিভেদ ভুলে বাঙালি জাতি কে জাগ্রত করার চেষ্টা করুন। গত দুর্গা পূজায় ভালো একটা প্রচেষ্টা ছিল পলিথিন বা প্লাস্টিক নিয়ে কিন্তু সম্পূর্ণ কাজ হয়নি, কারণ অনেক খাদ্য দ্রব্য এবং অনেকে এখনও ঐ প্লাস্টিকের ব্যাগ চাইছেন। অনেক ছোট বড়ো খাবার প্যাকেট এখনও প্লাস্টিকে মোড়া বিক্রি হচ্ছে। এগুলো বন্ধ করা অবশ্যই দরকার, গ্রামের অনেক পুকুর ডোবা বুজে গেল এই প্লাস্টিকের ব্যাগ ও খাবারের প্যাকেটে। সব শেষে সবাই কে আবার শুভ দীপাবলীর শুভেচ্ছা জানাই, আমি আশা করছি এই দীপাবলী থেকে জেগে উঠুক বাঙালিয়ানা একটাও হিন্দি গান নয়। বাজুক কবিগুরুর গান, বাজুক নজরুলের গান, বাজুক হেমন্তের কণ্ঠে কবি সুকান্তের লেখা কবিতার গান। বাঙালি জাতি তার নিজস্ব সংস্কৃতি আবার দেখিয়ে দিক।

বাংলা পক্ষ বলে একটা বাঙালি সংগঠনের প্রতিবাদ।



 "বাংলার পক্ষ" বলে একটি সংগঠন যারা বাঙালির জন্য আন্দোলন শুরু করেছে, তাদের আমি সমর্থন করি। তার জন্যে অনেকে আমাকে হয়তো বলবেন আপনি প্রাদেশিকতা উস্কে দিচ্ছেন, বাঙালি জাতি নিজেদের আগে ভারতীয় ভাবে তারপর বাঙালি এটা ঐ হিন্দি ভাষার মানুষ গুলো ভাবে না। ঐ হিন্দি ভাষার মানুষ গুলো অন্য ভাষার মানুষের সাথে প্রতিনিয়ত দূর্ব্যবহার করে। আমার জানা আছে বাংলা থেকে কিছু যুবক বিহারে রেলের চাকরির পরীক্ষা দিতে গিয়ে ছিল তাদের অপমান করে মেরে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। আবার আপনি রেলে রাতে ট্রেন বাদে দিনের বে কোন মেল এক্সপ্রেসে যাচ্ছেন ট্রেন বিহারের কোন স্টেশনে দাঁড়িয়ে পড়ল হুরমূর করে ট্রেনে উঠে পড়ে আপনার রিজার্ভ থাকলেও আপনার কোলে বসে পড়বে। আপনি প্রতিবাদ করতে গেলে মার খাবেন জি আর পি বলুন আর রেল পুলিশ বলুন কিছু বলবে না। সেই সময়ে ওদের একটা বুলি এটা বিহার বাঙ্গাল নেহি, ওরা কিন্তু ভাবে না এরাও ভারতীয়, পরে বাঙালি বিহারি। এই সব দেখে শুনে আমার মনে হয় বাঙালি জাতি বড়ো দেরি করে ফেলেছে। এই বাঙালি জাতি কে এদের পূর্ব পুরুষ এক গুজরাতি আর এক প্রবাসী দেশের ক্ষমতা দখল করতে গিয়ে অনেক আগেই ভাগ করে দিয়েছে। হিন্দু মুসলমান তো ছিলই তার উপর বাঙাল ঘটি, আবার হিন্দু ধর্মের মধ্যে যে ভাগ মুচি মেথর ডোম এটা পশ্চিমবঙ্গে এখন কম দেখা যায় কারণ পশ্চিমবঙ্গ ৩৪ বছর বাম শাসন ছিল তারা এই সব জাত পাত মানতে দেয়নি। এই সব ভাগ কিন্তু হিন্দি ভাষা ভাষি দের মধ্যে আছে। আমি জানি না আমার লেখা কত জন পড়েন, তবুও বলছি বাঙালি জাতি কে আরও কোন ঠাসা করতে এন আর সি কারণ এই হিন্দি ভাষার লোক জন দেখছে আমরা কিছুতেই এদের দমন করতে পারছি না। তাই বাংলায় এন আর সি করে আসামের মতো এদের জেল বন্দি করে রাখতে হবে। এই কাজে মদত দেবে বর্তমান শাসক দল, এরা দূর্বল সি বি আই আছে। একুশ সালের আগে আবার ঐ সি বি আই জেগে উঠে ঐ পুলিশ কমিশনার কে গ্রেফতার করতে যাবে বা করবে এক প্রস্থ নাটক মঞ্চস্থ করে সেটিং হয়ে যাবে। দেখলেন না অমিত শা কে বামেরা কালো পতাকা দেখালো তাদের জেলে ভরে দিল সণ্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় কেবল মাত্র সঠিক খবর প্রচার করেছেন তাকে জেলে যেতে হলো। এই তো বর্তমান সরকারের অবস্থা। আমার মতে এখন থেকেই এই হিন্দি ভাষী দের অত্যাচারের বিরুদ্ধে লড়াই  জারি রাখতে হবে। আমার এসব পড়ে একজন মানুষ যদি বাঙালি জাতির বর্তমান ও আসছে ভীষণ দূর্দিনের কথা ভেবে একখন থেকে লড়াই আন্দোলন করতে পারে সেটা হবে আমার সাফল্য। বাঙালি আর ঘুমিয়ে থেক না, যেখানে এই হিন্দি ভাষা ভাষির অত্যাচার দেখবে সেখানেই প্রতিবাদ করো। সঙ্গে কেউ না আসে আমার মতো একা, আমাকে কেউ যদি বলে আপনি প্রাদেশিকতা উস্কে দিচ্ছেন। আমি বলছি আপনি সাধারণ মানুষ হিসেবে বিহারে গিয়ে থাকবেন বা এখন গুজরাতে নামবেন আপনাকে প্রথম কতগুলো RSS ছেলে এসে জিজ্ঞেস করবে কি করতে গেছেন, বেড়াতে বললে স্বাগতম তাতেও আপনার উপর নজর রাখা হবে আপনি ঠিক ততদিন পর্যন্ত ওখানে আছেন না চলে গেছেন। আপনার যদি বিশ্বাস না না হয় কোন সাধারণ মানুষ যারা এই সময়ে গুজরাত ঘুরে এসেছে তাদের জিজ্ঞেস করে দেখুন। এসব যদি ঠিক করে তাহলে আমরা বাঙালি কেন করব না, মারাঠা দের শিব সেনা আছে, আর বাঙালির যদি বাংলা সেনা বা দুর্গা বাহিনী থাকে ক্ষতি কি? আসুন আমরা আরও জোট বদ্ধ হই আমরা এই বাংলা কে আর বাঙালি ছাড়া করতে দেব না। আগামী ২০২১ একুশে সেই দলকে ক্ষমতায় আনব যারা দূর্নীতি জন্য জেল হাজতে যায়নি। গত ৩৪ বছর রাজত্ব চালিয়ে একটা নেতা মন্ত্রী গায়ে দূর্নীতির পাঁক লাগে নি। কারণ এই সরকারের দূর্বলতা এই সুযোগ ও এই দলের বেশ কিছু মিথ্যা বাদি দূর্নীতি গ্রস্থ নেতাই আজ কেন্দ্রীয় শাসক দলে নাম লিখিয়েছে। অনেকেই ভাবছেন, আমি তো ঠিক আমার কিছু হবে না, এই জন্যই বাঙালি জাতির আজ এই অবস্থা এই জন্যই ওরা সুভাষ বোস তথা নেতাজী কে দেশে ঢুকতে দেয়নি। ওরা জানে বাঙালির একতা নেই, কারণ ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে একশ্রেণি বাঙালি লড়াই করে ছিল, এবং আরেক দল বাঙালি ব্রিটিশদের গোলামী করত ও পা চাট তো, এই শ্রেণীর বাঙালির সংখ্যা অনেক এর সুযোগ নিয়ে তারা দেশ স্বাধীন করার সময় বাংলা ভাগ করে দিয়ে ছিল। কারণ বাঙালি জাতির মেরুদন্ড ভেঙে গেলে তারা পদানত থাকবে দিল্লির গোলাম হয়ে থাকবে সেটাই ঘটে ছিল এই বাংলার কিছু কুলাঙ্গার বাঙালি হয়ে বাঙালির ওদের কাছে মাথা নত করে ক্ষমতায় বসে ছিল। আর ওরা দিল্লি থেকে যা বলত সেটা মেনে নিয়ে ছিল। এখনো আমি দেখেছি কিছু ক্ষমতা লোভী মানুষ এক গ্লাস মদ আর মাংস খাওয়ার লোভে ও দু টাকা কিলো চাল পাওয়ার লোভে এবং দু লক্ষ টাকা ঘুষ দিয়ে পাঁচ হাজার টাকার চাকরি পাবেন এই আশায় ঐ সব ক্ষমতা লোভী দের কথায় ভোটের আগে বা ঐ দিন নিজের ভাইয়ের বুকে ছুরি চালিয়ে দিচ্ছে। আমি বিভিন্ন সোশাল মিডিয়ায় দেখছি এখনও বেশ কিছু বাঙালি জয় শ্রী রাম ধ্বনি দিচ্ছে। আর তাদের দিল্লির নেতারা প্রতিনিয়ত হুমকি দিচ্ছে এন আর সির, এরা দেখছে আমার কিছু হবে না। আমি সুরক্ষিত, আর দিল্লির লোক বা ক্ষমতা বান নেতারা বলছেন এন আর সি হবেই, এ বাংলায়। আমি যতদূর বুঝি ঐ হিন্দি ভাষা ভাষীর মানুষ জন্ম নিয়ন্ত্রণ করে না। ছারপোকার মতো বংশ বিস্তার করে এদের বাসস্থান দরকার সেই জন্য এন আর সি করে বাঙালি কে ডিটেনশন ক্যাম্পে বন্দি করে রেখে আপনার আমার বাড়িতে ওরা বাস করবে। অর্থাৎ বাংলায় বাঙালির জায়গা হবে না, এপার বাংলা তথা পশ্চিমবঙ্গের কিছু মানুষ আছেন যারা ভাবছেন খুব ভালো হবে। ওরা তো বলছেন হিন্দু দের তাড়ানো হবে না। তাদের ছ বছর ঐ ভাবে বন্দি করে রেখে তার পর নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। আপনি আমি
 হিন্দু ধর্মের তাই ভাবছি ছ বছর দেখতে দেখতে কেটে যাবে। আসামের হিন্দু বাঙালিও একই ভেবে ছিল, কপালে জুটেছে অন্য এদের অবৈধ নাগরিক ঘোষণা করা হয়েছে, কিন্তু এদের ভোটে যারা জিতে সরকার চালাচ্ছে তারা বৈধ নাগরিক, সব থেকে ঝামেলা গরীব মানুষের তাদের পূর্ব পুরুষ অত লেখা পড়া জানত না, ভাবেনি পঞ্চাশ বছর পরে তাদের নাগরিকত্ব প্রমাণ করতে জণ্ম শংসাপত্র বা বিদ্যালয়ের পড়াশোনার প্রমাণ পত্র লাগবে। আমি সমস্ত বাঙালি জাতি কে বলছি আর ভাবার সময় নেই, আসুন সকলে মিলে বাঙালি জাতি কে রক্ষা করি স্বাধীনতার সময় যে
ভাবে ধর্মের নামে বাংলা ভাগ করে লক্ষ লক্ষ বাঙালি কে খুন করে পদ্মার জলে ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এবার আমরা আর তা করতে দেব না, আমার বাংলা মায়ের কোন সন্তান  ডিটেনশন ক্যাম্পে যাবে না। আমরা ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে লড়াই করা সেই জাতি এবার এই হিন্দি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করব। বাংলা মা দিচ্ছে ডাক এন আর সি নিপাত যাক। বাংলা মায়ের দামাল ছেলের দল আবার জেগে ওঠো, তোমার শিয়রে আজ বিপদ। নজরুলের সেই বিদ্রোহী কবিতার প্রথম কটা লাইন বা আমি রণ ক্লান্ত, আমি সেই দিন হব শান্ত হয়ত কথা গুলো ঠিক হোলো না। আবার সেই বিখ্যাত গান আমরা শান্তি প্রিয় শান্ত ছেলে, এবার আসছে কালি পূজোয় বেজে উঠুক সেই সময়ের বাংলা গান। আর দেরি নয় আর মা কালি যেন আমাদের ভবানী পাঠকের কালি হয়ে ওঠেন মনের সমস্ত কালিমা বিভেদ দূর করে এগিয়ে যাবে বাঙালি জাতি। 

Monday, 21 October 2019

নোবেল জয়ীর এতো সমালোচনা কারণ উনি গরীব মানুষের কথা বলেছেন যে।

এই নোবেল জয়ী কে নিয়ে নানা ধরনের মন্তব্য বা বক্তব্য দেখছি ফেসবুকে। আর এই ফেসবুক যেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রচারের মাধ্যম, কেউ কেউ এনার নোবেল পুরস্কার পাওয়া নিয়ে এমন সব কথা বলে দিচ্ছেন। যে গুলো পড়ে মনে হচ্ছে বাঙালি জাতি সত্যিই তার সংস্কৃতি কে কত নীচে নিয়ে গেছে কেবল রাজনৈতিক ফায়দা তোলার জন্য। সত্যি বাঙালি আর সেই বাঙালি নেই, না হলে কবিগুরু রবীন্দ্র নাথ ঠাকুরের নোবেল প্রাইজ চুরি হয়ে যায়। সেটা আর খুঁজে পাওয়া যায় না, আর এনাকে নিয়ে এমন সব নিম্ন মানের ভাষা ব্যবহার করছেন। কেউ কেউ এনার পরিবার নিয়ে মন্তব্য করছেন। সত্যি বাঙালি তার রুচি বোধ হারিয়ে ফেলেছে। অনেকেই বলছেন উনি বামপন্থী, আমি যতদূর জানি উনি যেটা নিয়ে কাজ করেছেন, বা করছেন সেটা সম্পূর্ণ বামপন্থা কে সমর্থন করে না। তবে গরীব মানুষের কীভাবে অর্থনৈতিক উন্নয়ন করা যায় সেটাই ওনাদের গবেষণার বিষয়। উনি সম্পূর্ণ রূপে সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতি নিয়ে লিখেছেন, বা গবেষণা করেছেন, সেটা প্রয়োগ করেছেন। এমন কিন্তু না, যদি উনি এটা করতেন তবে মনে হয় না........। এই তিন জন যে অর্থনীতি তে যৌথ নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন এরা গত কয়েক বছর ধরে ভারত সহ বিশ্বের কুড়িটির দেশে গরীব মানুষ দের আর্থিক উন্নতি কিভাবে করা যায় তা প্রয়োগ করে দেখিয়েছেন। ভারতের গুজরাত সহ বিভিন্ন বিভিন্ন রাজ্যে কাজ করেছেন। আর ওনার এতো সমালোচনা হতো না, যদি উনি বলতেন ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়ে শোধ না করে কীভাবে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে হবে। কি সাম মোদী, মারিয়া, চোকসি আরও কয়েক জন। আর ভোট এলে পাকিস্তানে স্টাইক চালাতে হবে। এই সামান্য চার না তিন রাজ্যের বিধানসভা ভোট তাতেই পাকিস্তানে স্টাইক হয়ে গেল। আর যদি উনি বলতেন সরকারি সব ব্যবস্থা তুলে দিতে দিয়ে আম্বানি আর আদানি কে ব্যবসা করতে দিতে হবে। বি এস এন এল তুলে দিয়ে জিও চালু করার কথা বললে, রেল ওদের কে বিক্রি করে দিতে হবে 
কর্মী ছাঁটাই করতে হবে। টিকিট বিক্রি থেকে ট্রেন সবটাই থাকবে বেসরকারি হাতে। কারণ রেলের আয় হয় উল্টে খরচ বেশি। রেল পুলিশ ও কর্মচারীরা ফাঁকি বাজ ঘুষ খোর চোর। আমি এই কথা লিখছি কেউ আমাকে প্রাদেশিক ভাববেন না। না থাক পরে লিখবো, তার আগে একটা কথা নোবেল জয়ী অর্থনীতি বিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায় যদি বলতেন সরকারি ব্যাঙ্ক বিমা বন্ধ করে দেওয়ার কথা সব বেসরকারী থাকবে। মহারাষ্ট্রের ব্যাঙ্ক লাটে উঠে গেছে, সেই লালবাতি জ্বালা ব্যাঙ্কের থেকে কোন রকম টাকা তোলা যাচ্ছে না। একজন ৯৯ লক্ষ টাকা রেখে ছিলেন শোকে তিনি হৃদ রোগে মারা গেছেন। আবার রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ফরমান জারি করেছে আপনার ব্যাঙ্কে যত টাকা থাক ব্যাঙ্ক দেউলিয়া ঘোষণা করলে আপনি এক লক্ষ টাকার বেশি পাবেন না। ১৯৬০ সালের আগে সব ব্যাঙ্ক বেসরকারি ছিল অনেক ব্যাঙ্ক ব্যবসা চালাতে না পেরে দেউলিয়া ঘোষণা করছিল। এই সময় ১৯৬২ সালে বাম সমর্থনে দিল্লি তে ইন্দিরা গান্ধী সরকার তৈরি করে তার একটা শর্ত ছিল ব্যাঙ্ক জাতীয় করণ করা। আর আজ সেই জাতীয় করণ বাদ, তার থেকেও মারাত্মক টাকা পাবেন না ফরমান। অভিজিৎ বাবু যদি সাহস করে বলতেন, সারদা সহ নানা চিটফাণ্ড আর নারদার টাকা হজম করলেও জেলে যেতে হবে না। আর এই সব সত্য কথা বলা বা অন্য কোন তোলা বাজি প্রচার করলে ঘুষ দেওয়া নেওয়া দেখালে তাহলে সণ্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় হতে হবে। উনি যদি বলতেন যারা এসব করেছেন বা গরীবের টাকা বাটপারি করেছেন তাদের দলে নিলে দোষ চাপা পড়ে যায়। গরীব মানুষ মরুক বছরের পর বছর তদন্ত চলছে চলবে। অপরাধী দলের সম্পদ, তাহলে ওনার সমালোচনা কেউ করতে পারত না। 


Wednesday, 16 October 2019

কৃষক যত মরবে, ভারতে গরীবি আরও বাড়বে।

ভারত যে গরীব তার প্রমাণ আমাদের দেশের সংসদ ভবনের ক্যান্টিনের খাবারের দাম, বর্তমানে ভারতের ৫৫৪ সাংসদের মধ্যে ৪৩৪ সাংসদ কোটি পতি কেউ কেউ কয়েক শ কোটি টাকার মালিক। তাদের বেতন আর খাবার ব্যবস্থা সাধারণ মানুষ ভাবতে পারে না।
এই রকম মহান ব্যক্তিরা দেশের গরীব মানুষ খেতে পেল কি না পেল কি চিন্তা করবে। যে দেশের ৭০%থেকে ৮০%মানুষ কৃষি কাজের সাথে যুক্ত, সেই দেশের কৃষক ফসল চাষ করতে পারে না। সার আর বীজের দাম আকাশ ছোঁয়া, আর ফসল বিক্রি নেই, সব রাজ্যে সমান রাস্তায় ট্রেনের কামরায় ভিক্ষারির ছড়াছড়ি। যে দেশের মন্ত্রীরা কথায় কথায় মিথ্যে কথা বলে, ক্যামেরা দেখে অভিনয় করে প্রচার থাকার জন্যে, আর দিন রাত কি করে নিজের ছবি কাগজে ছাপা হবে তার চিন্তা করে। আর নিত্য নতুন ঘোষণা করা হয়, এই করে দেব ঐ দেব বাস্তব ফাঁকা। কাজ কর্ম হীন বেকার লোকের উপায়ের কথা না ভেবে নিজেদের আঁখেরের যোগার করে কোটি কোটি টাকা উপার্জন করে, এই সব নেতা মন্ত্রী দেশের জন্য কোন চিন্তা নেই, কেবল ঘোষণা আছে। আজই কাগজে একটা ঘোষণা দেখলাম গর্ভবতী নারীর সমস্ত খরচের দায়িত্ব নেবে সরকার অর্থাৎ চটক দারি ঘোষণা হয়ে গেল। মানুষ পেল কি না পেল দেখার দরকার নেই, কিম্বা পেতে হলে নেতা মন্ত্রী দের ভাগ দিতে হবে। কারণ এখানে সরকারের কিছু পেলেই ভাইয়ের ভাইপোর ভাগ চাই আর ও দাদার দল ওনার তো ভাই ভাইপো আছে। সবার সামনে কাগজে বড়ো বড়ো বিজ্ঞাপন দিয়ে ঘোষনা হলেই, দু তরফের ভাইপো, ভাইয়ের দল উঠে পরে লাগে করে দেবে ভাগ চাই। দু টাকা কিলো চাল সঠিক লোক পায় না। অনেক গ্যাঁড়া কল পার হলে, তবে সঠিক লোকের কাছে পৌঁছনো যায়। দেশের তথা রাজ্যের অর্থনৈতিক অবস্থা আরও খারাপ হবে এই সরকার যত দিন না, চটক দারি ঘোষণা বন্ধ করে সঠিক ভাবে মানুষের করের টাকা খরচ করবে। আবার এটাও ঠিক সরকার গুলো সে রাজ্য হোক আর কেন্দ্র তারা যদি ভাবেন যে জনগণের করের টাকা তাদ নিজের টাকা ইচ্ছে মতো খরচ করতে কোন বাধা নেই। আমি এর আগে আরেকটা লেখাতে লিখেছিলাম, কিছু দিন বাদে শিল্পপতি রা লঙ্গর খানা খুলে একবেলা খেতে দেবে মানুষ ভিক্ষারির মতো লাইনে দাঁড়িয়ে থাকবে। আমরা ভাবছি এই রাজ্য বাধ থাকবে না বন্ধু না এ রাজ্যের অবস্থা ভালো নয়। পূরানো কলকারখানা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, নতুন তৈরি করা হচ্ছে না। আর সরকারি টাকা লুঠ চলছে, সে যে ভাবেই হোক, সামান
 স্কুলের টাকা খরচ করতে দিচ্ছে না। অথচ এবারের টাকা এসেছে খেলা থেকে খুচরা খরচ সব করা যাবে। কি হচ্ছে, দিদির ভাই বোন সভাপতি আর যাবে কোথায়? বলে দিচ্ছে চেকে স্বাক্ষর করব না। শিক্ষক খরচ করছে তার বেতন থেকে বা ছাত্র দের থেকে নিয়ে উপায় নেই। এই রকম সব নেতা মন্ত্রী থাকলে কি ভাবে উন্নয়ন হবে। ঐ রাস্তার পাথর সিমেন্ট গুর বেশির জন্য গরু তে খাবে। আর ভারত তথা রাজ্যের অর্থনৈতিক অবস্থা বাংলাদেশের বা নেপালের থেকে নীচে চলে যাবে।

Tuesday, 15 October 2019

রাখে হরি মারে কে?

কন্যা ভ্রূণ হত্যা, আগে থেকে জানা না গেলেও জণ্মের পর তাকে হত্যা করা, এসব যেন আজ কাল খুব বেড়ে গিয়েছে। অথচ বিভিন্ন রাজ্যে কেন গোটা ভারতে পুত্র সন্তানের থেকে মেয়ে কম, এই অসাম্য হওয়ার কারণে ধর্ষণ, বাল্য বিবাহ, মেয়ে পাচার বেড়ে যাচ্ছে, তবুও মানুষের হুঁস নেই। অথচ সরকার বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও আরও নানা সুরক্ষা দিচ্ছেন, মেয়েদের বাঁচাতে কিন্তু না তাতেও না পরিবর্তন হয় নি। আর এ সব ঘটনা বেশি ঘটছে হিন্দি বলয়ে, আমার মনে হয় সঠিক শিক্ষার অভাব, আর অশিক্ষিত মানুষ যাদের মাধ্যমে সরকারি সুযোগ পাবে তারা সব বাহু বলি। ক্ষমতা তাদের আকাশ ছোঁয়া, বিশেষ করে হিন্দি বলয়ে, আমি একটা খবর কিছু দিন আগে প্রায় দেখতাম। এক ধর্ষিতা মেয়ে বিচারের আশায় পুলিশের কাছে গেছেন। ধীরে ধীরে তার গোটা পরিবার টাকে শেষ করে দিয়েছে, উঃপ্রঃ এর একজন বাহুবলী বিধায়ক। এমনকি মেয়ে টি ও তার আইনজীবী কেও রেহাই দেয় নি। চলচিত্রের কায়দায় গোটা ঘটনা ঘটেছে, যাহোক তবুও ভালো ভগবান রূপী সেই সব মানুষ যারা এই শিশু কন্যা টি কে মাটিতে পুঁতে দেওয়ার পর সেখান থেকে তুলে বাঁচিয়েছেন। ঈশ্বর আপনাদের মঙ্গল করুন, আপনারা আর শিশু টি সুস্থ থাকুক।। সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের কাছে এই প্রার্থনা করি। 

আজ মহামতি চাণক্যের একটি কথা মনে পড়ছে। স্বদেশে পূজ্যতে রাজা।


স্বদেশে পূজ্যতে রাজা ।
বিদ্বান সর্বত্র 
পূজ্যতে ।
আজ বিভিন্ন সোশাল মিডিয়া খবরের কাগজে বেড়িয়েছে, অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় অর্থনীতিতে গবেষণার জন্য যৌথ ভাবে নবেল পুরস্কার পেয়েছেন
এর পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন নেতা মন্ত্রী বিভিন্ন রকম কথা বলতে লেগেছেন। জানি না সে গুলো কতটা সত্য, যদি কিছু টা সত্য হয়েও থাকে তবে, মহামতি চাণক্যের বিখ্যাত শ্লোক আছে, স্বদেশে পূজ্যতে রাজা, বিদ্বান সর্বত্র পূজ্যতে।

কোথায় মানবাধিকার, রাষ্ট্র তার পুরোনো নাগরিকত্ব বাতিল করতে পারে।

আসামের NRC হয়েছে, উনিশ লক্ষ মানুষ বিদেশী বলে চিহ্নিত। (বাংলা ভাষী) এর একটাই কারণ পাশে বাংলাদেশ তাদের ভাষা বাংলা, হিন্দি ভাষার কেউ বিদেশী নন, কারণ স্বাধীনতার সময় তাদের অংশ গ্রহণ যেমন ছিল না বললেই চলে। আর ধর্মের নামে দেশ ভাগ হলেও, বাংলা আর পাঞ্জাব কে সহ্য করতে হয়েছে দেশ ভাগের যন্ত্রণা, ভারতের এই দুই জাতি স্বাধীনতার জন্য বেশি মুখর ছিল। পাঞ্জাবী ও বাঙালি হিন্দুর সংখ্যা কম কারণ এই দুই জাতি দেশ ভাগের সময় কীভাবে নিজের আত্মীয় স্বজন কে শোর্ড, আর বন্দুকের সামনে দাঁড়িয়ে প্রাণ দিতে হয়েছে। নিজের চোখে দেখেছে, কত মা বোনের ইজ্জত গেছে ভাই আর স্বামী সন্তান ইজ্জত বাঁচাতে নিজের প্রাণ দিয়েছে। সেসব অত্যাচার আর অবর্নীয়। যদিও আমরা ইতিহাসে এসবের সামান্যই পড়েছি, ইতিহাস বিকৃতির জন্য, সঠিক ইতিহাস তুলে ধরা হয় নি। তখনও কোন মানুষ কে দেখিনি, এসব অত্যাচার বন্ধ করতে, অবশ্যই বলবেন বাঙালি জাতি বিদ্বেষী ব্যক্তি টি নোয়াখালী তে গিয়ে ছিলেন, কাটা ঘায়ে নুনের ছিটে দিতে। সেখানে কি ঘটে ছিল, আমার জানা নেই, ইতিহাসে ওসব উল্লেখ নেই। বর্তমানে আবার কিছু বাঙালি বিদ্বেষী ক্ষমতা দখল করে বাঙালি জাতি স্বত্তা কে ধ্বংস করে দিতে চাইছে। ভারতের একমাত্র জাতি যারা আগা গোড়া শিক্ষা দীক্ষা সংস্কৃতি তে এগিয়ে এদের মেধা এই জাতির গর্ব। আজ বলে নয় পরাধীন ভারতেও এই জাতি ছিল সব কিছুতেই অগ্রণী। ব্রিটিশ সরকার দেখে ছিল বাঙালি জাতি যদি ঠিক থাকে তাহলে ভারত কে শাসন করা যাবে না। সেই কারণেই 1905 সালে ধর্মের নামে বাংলা ভাগ করে দেওয়ার চেষ্টা করে ছিল, পারেননি বাঙালির আন্দোলনের জন্যে। আর সেই কাজ করে ছিল তৎকালীন কংগ্রেসের নেতারা যারা ক্ষমতার লোভে দেশ ভাগ করে দিয়ে স্বাধীনতা নিয়ে ছিল। এমন বাঙালি বিদ্বেষ ব্রিটিশদের সাথে চুক্তি করে নেতাজী কে যুদ্ধ অপরাধী ঘোষণা করে দেশে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। জানত সুভাষ বা নেতাজী দেশে ফিরে এলে তাদের আর ক্ষমতা দখল করা হবে না। সেই বাঙালি বিদ্বেষ এখনও চলছে। আসামের মানুষ গুলোর কি অবস্থা প্রতি নিয়ত পুলিশ হানা দিচ্ছে, জেল তথা ডিটেনশন ক্যাম্পে বন্দি করে রাখতে হবে সেই জন্য। আজ আবার একটা খবর দেখলাম ডিটেনশন ক্যাম্পে থাকা একজন অবসাদে আত্মহত্যা করেছেন। 
কোথায় মানবাধিকার কমিশন, কোথায় রাষ্ট্র পুঞ্জ। আমি জানি না, কোন রাষ্ট্র পারে যে কোন ব্যক্তি বা জাতি গোষ্ঠীর নাগরিকত্ব বাতিল করে দিতে ভাষার ভিত্তিতে। কারণ তাদের পাশের দেশের মাতৃভাষা বাংলা, পক্ষান্তরে এটা বলা হচ্ছে না কি তোমরা বাঙালি তোমাদের জন্য আলাদা দেশ করে দেওয়া হয়েছে। তোমরা এদেশে থাকতে পারবে না। ভাগের সময় যে অংশ মানে পশ্চিমবঙ্গ সেটা হিন্দি ভাষার মানুষের জন্য। কারণ তারাদের দেশ ভাগ হয় নি। সেই কারণেই দীর্ঘ দিনের নাগরিকের নাগরিকত্ব বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। অথচ তাদের ভোটে জিতে সরকার পরিচালনা করছেন। তাদের নাগরিকত্ব বাতিল হলেও ভোট বাতিল নয়। যদিও পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে জানানো হয়েছে এই রাজ্যে এন আর সি হবে না। সেই জন্য সরকার কে ধন্যবাদ। নেতা মন্ত্রী দের এতো মিথ্যা ভাষণ আর প্রতিশ্রুতি শুনেছি। সে আর বলার কথা নয়, আমরা সাধারন মানুষ শান্তি চাই, শান্তি থাকলেই আসে উন্নতি। 

Sunday, 13 October 2019

পূজোনীয় দিদি আপনি দুর্গা পুজোর কার্নিভাল করে দুর্গা মা কে জগৎ সভায় স্থান দিলেন।

আমাদের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী সত্যিই খুব ভালো অনুষ্ঠান করতে পারেন। মাটি উৎসব জল উৎসব, খাদ্য মেলা, এই তো সেদিন কন্যাশ্রী উৎসব হয়ে গেল, মানে কন্যাশ্রী দিবস পালন করা হোল। বিদ্যাসাগরের 200 বছর জন্মদিন পালন, গান্ধীর 150 তম জন্মদিন পালন, আরও কত। কেবল মাত্র একটা চাকরি উৎসব করা বাকি আছে, তাহলে আর বেকার ছেলে মেয়ে দের চাকরির জন্য অনশন করতে হয় না। আচ্ছা অনশন কারি সবাই চাকরি পেয়েছে, নিশ্চয়ই দিদি যখন বলেছেন, নিশ্চয়ই সবাই যাদের প্যানেলে নাম আছে তারা সকলেই চাকরি পেয়ে গেছে। কবে যেন একটা খবরে দেখলাম শবর এলাকায় মানুষ না খেয়ে মারা গেছে। কেন যে মিডিয়া গুলো ঐসব ফালতু খবর করে, কি করে মানুষ না খেয়ে মারা যায়। দিদি দু টাকা কিলো চাল দিচ্ছে না। সত্যিই দিদির জবাব নেই, দিদির ভালো কাজ গুলো কেউ দেখতে পারেন না। গ্রামের রাস্তা গুলো সব চক চক করছে, আলোয় আলো কেবল বিদ্যুতের দাম ৩.৮৯ টাকা থেকে ৬.৯৭ টাকা হয়েছে তাই। সাধারণ মানুষ অত বোঝে না, বাড়িতে মিটার থাকলে, একটা বা দুটো আলো বা একটা ফ্যান বিল আসবে কমসে কম ১৪০০ টাকা থেকে ১৫০০ টাকা কখনও ১৮০০ টাকা। পাবলিক জানে টাকা না দিলে লাইন কেটে দিয়ে যাবে। অন্ধকারে ভূতের মতো থাকতে হবে। এই পুজোয় উৎসবের সময় আজ ডেলিহান্ট নিউজ পোর্টালে বাড়িয়েছে। আসানসোলের একটি পরিবারের ছবি সহ খবর যারা অর্দ্ধাহারে অনাহারে আছে। তারা সরকারের কাছে আবেদন করেছে খেয়ে বেঁচে থাকার।
দিদির রাজ্যে একি অনাচার একে আজ কোজাগরী লক্ষ্মী পূজা ঘরে ঘরে ঠাকুর পূজিত হবেন, যদিও ঠাকুর আর তার উপকরণ কিনতে নাভিশ্বাস উঠেছে মধ্যবিত্ত আর গরীব মানুষের, তবুও উৎসব লক্ষ্মী মায়ের পূজা বাদ দেওয়া যাবে না। কত গুলো অর্বাচীন শিক্ষক বেতন বৃদ্ধির জন্য অনশন করল এদের কথা একদম ভাবলো না। দিদি আপনি ঠিক করেছেন, কাগজে কলমে বেতন বেড়েছে আট দশ হাজার টাকা, এরা বাজার থেকে চায়ের দোকানে যেখানে যাচ্ছে শুনতে হচ্ছে কি দাদা দশ হাজার টাকা বেতন বাড়িয়ে নিলেন। কোন কিছুর দর দাম করে কিনছে শুনতে হচ্ছে, এতো টাকা বেতন বাড়ানো হয়েছে আবার দাম করছেন। আর সঙ্গে গালাগালি ফ্রি, দিদি আপনি খুব ভালো করেছেন ডিএ না দিয়ে, এদের যতই দাও এদের পেট ভরে না। আবার কি একটা দেবেন বেতন কমিশন না কি সেও তো কাগজে অনেক অনেক বাড়িয়েছে। আবার কিছু কিছু জায়গায় বা খবরে দেখলাম বাড়বে ২০০০ থেকে ৩০০০ টাকা। আপনি একদম ঠিক কাজ করেছেন। এসব বাদ দিন দিদি আসছে বছরের পূজো বড়ো অদ্ভুত মহালয়া হবে, ১ লা আশ্বিন বা ১৮ ই সেপ্টেম্বর আর পূজো হবে ২১ শে অক্টোবর থেকে, আপনি এক কাজ করবেন সরকারি কর্মীদের ছুটি টা ঘোষণা করে দেবেন। বিদ্যালয়ের কচি কাঁচারা ঠাকুর দেখতে না গেলেও ঐ অফিসের বাবুরা বেড়াতে যেতে পারবে। আপনি সত্যি খুব ভালো। আপনার জবাব নেই দিদি, কেবল ভোট এলে এতো ভয় পান যদি না জিততে পারি, কিসের ভয়, এতো উন্নয়ন রাস্তা আলো, দু টাকা কিলো চাল কন্যাশ্রী,  রূপশ্রী,  যুবশ্রী আরও কতকিছু তবুও আপনি জনগণ কে ভয় খাচ্ছেন। আপনার ভাইদের ভাইপো দের ভোটে বোমা বাজি, জাল ভোট বা ছাপ্পা দেওয়া, তাও আবার ক্যামেরার সামনে। আমি যতদূর জানি, এসব না করলেও আপনি জিতবেন। আবার ক্ষমতায় আসবেন। এবার ক্ষমতায় এসে দিদি সরকারি কর্মীদের বেতন কমিয়ে দেবেন, আপনার আর দলের কর্মীদের বেতন বাড়িয়ে পাঁচ লক্ষ টাকা করে নেবেন। কে কি করবে, আপনার সরকার আপনার টাকা যা খুশি করতে পারেন। ফেসবুক থেকে বিভিন্ন সোশাল মিডিয়ায় খালি কুৎসা উৎসব মেলা নিয়ে, বেশ করেছেন। আরও বেশি করে করবেন, কে খেতে পেল আর না পেল বেকার কাজ পেল কি না পেল তাতে কি। যতসব নিন্দুকের দল কাজ নেই, দিন রাত খালি বদনাম করে যাচ্ছে। আপনি বাংলার জন্য এতো কিছু করছেন কিছু দিন পর বাংলা সোনার শ্মশানে পরিনত হবে। এই সুযোগ কেউ হেলায় হারায়। জয় দুর্গা মায়ের জয়। দুর্গা দুর্গা, দুঃখিত আজ লক্ষ্মী পুজো জয় মা লক্ষ্মী। 

আজ কোজাগরী লক্ষ্মী পূজা, মায়ের কাছে একটাই প্রার্থনা বাংলার অভাব যেন না থাকে মা।

ছবিটি মা লক্ষ্মীর আরেকটা রূপের, আজ যিনি পূজিত হবেন তিনি দ্বি ভূজা কমলাসনা। আসুন আমরা আজ সকলে মিলে মায়ের কাছে একটাই প্রার্থনা করি বাংলার ঘরে ঘরে চিরকাল তুমি বিরাজ কর অভাব যেন না থাকে। বাংলার ঘরে ঘরে আজ বেকার যুবকদের কাজের জন্য হাহাকার, একটু খাবারের জন্য অপরের কাছে হাত পাতা, আর যে সব মানুষ লজ্জায় হাত পাততে পারে না, তাদের অবস্থা আরও খারাপ।
এই ছবিটা আসানসোলের একটি অনাহারে ও অর্দ্ধাহারে কাটানো একটি পরিবারের যারা সরকারের কাছে বাঁচার আবেদন জানিয়েছে। আমি এরকম সব মানুষের জন্য আজ মায়ের কাছে প্রার্থনা করছি বাংলায় কোনো মানুষ কে অনাহারে রেখ না মা। সবার মুখে অন্ন তুলে দাও, কাল ইউ টিউবে দেখলাম একটি কিশোর বা বাচ্ছা যাই বলুন একটি হোটেলে একটা পরটা চেয়ে খেতে গিয়ে ছিল। তার গায়ে ঐ দোকানের মালিক গরম তেল দিয়েছে। এসব দেখি আর নিজেকে খুব অসহায় মনে হয় ওদের জন্য কিছু করতে পারি না বলে। কারণ আমার বাড়ির কাছের ঘটনা নয় বলে। আমি রাস্তায় বেড়িয়ে কোনো অভুক্ত মানুষ যদি চান অবশ্যই সাহায্য করি, আমার সাধ্যমত। বন্ধু একার চেষ্টায় এটা সম্ভব নয় কারণ দিন দিন এদের সংখ্যা বাড়ছে বই কমছে না। দেশের বা রাজ্যের অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ। নতুন করে কারখানা হচ্ছে না, আর পুরনো কারখানা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। বীজ আর সারের দাম বেড়েছে অনেক জায়গায় কৃষি কাজ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। দুপুরে মি ডে মিল এখন বন্ধ, কারণ পূজোর ছুটি চলছে, আগে রান্না করা খাবারের বদলে চাল দেওয়া হতো, অনেক সময় পূজোর আগেও দেওয়া হয়েছে, এখন রান্না করা খাবার বিদ্যালয় ছুটি থাকলে বন্ধ থাকে। চাল দিলে তবুও বাড়ির সকলের ক দিন খাবার জোটে, স্কুল খুললেই শুরু হবে, শিক্ষক দের জব্দ করার এই প্রক্রিয়া, টাকা চাল না থাকে তো কি হয়েছে খাওয়াতে হবে। আমার মতো অনেকেই খাওয়ান এই সব বাচ্ছা দের কথা ভেবে। অনেক সময় শিক্ষকরা নিজের বেতন থেকেও দেনা শোধ করে দেন। ওসব এখন থাক আসুন সকলে মিলে আজ মায়ের কাছে একটাই প্রার্থনা করি। বাংলার মানুষ যেন না খেয়ে মারা না যান। সবার হাতে কাজ দাও মা, সবার পেটে ভাত। 

Saturday, 12 October 2019

NRC বদলে আসবে NRIC আগামী বছর।

কেন্দ্রীয় সরকার আগামী 2020 সালের ১লা এপ্রিল থেকে বাঙালি নিধন যজ্ঞে নামতে চলেছে। কারণ তাদের সামনে একটা ভালো সুযোগ এসেছে, জনগণনা 2021। জনগণ কে বোঝানো হবে, জনগণনার প্রথম পর্যায়ের কাজ হচ্ছে। আদৌ না বাঙালি জাতি কে ধ্বংস করার বা NRIC এর প্রথম ধাপ হচ্ছে, চলবে সেপ্টেম্বর 2020 পর্যন্ত, সেখানে বিশেষ দুটো প্রশ্ন আছে, আপনার ব্যাঙ্ক একাউন্ট আছে না নেই, আপনি কত দিন ঐ স্থানে বাস করছেন। আপনার ফোন নম্বর, কিন্তু কোন কাগজ দেখা হবে না। কারণ ওখানে বলা নেই, কোন সালের পর আপনি বসবাস করছেন সেটা লেখার জায়গা নেই, এই খানে প্রশ্ন যদি NRIC প্রথম পর্যায়ের কাজ হয় তবে, সাল উল্লেখ নেই, কেন তার একটাই কারণ 2003 সালের ভারতীয় নাগরিকত্ব বিলে কোথাও বলা নেই আপনি কোন সাল থেকে এদেশে বাস করলে নাগরিকত্ব পাবেন, সরকারি কর্মীদের দিয়ে এই কাজ করা হবে। এবার পরে কেন্দ্রীয় রাজনৈতিক দলের নেতা কর্মীরা দেখবে কে তার সমর্থক আর কে নয়, তার খুশি মত একটা সাল ঠিক করা হবে, এবং যাকে ইচ্ছা ডেকে তার কাগজ পত্র যাচ্ছাই করে বলে দিতে পারে, তিনি নাগরিক নন। আপনারা ভেবে দেখুন এপ্রিল থেকে শুরু হতে যাওয়া এই বাঙালি জাতি বিদ্বেষী সমীক্ষা তে সহযোগিতা করবেন কিনা? কারণ আপনি সব কাগজপত্র দিলেন কিন্তু আপনার নাম বাতিল করে দেওয়া হলো, আপনি বি জে পি করেন না বলে বা বি জে পি কে ভোট দেন না বলে। আপনি ভাবছেন এরাজ্যে দিদির সরকার আছে, আমার কিছু হবে না। দিদি সব বন্ধ করে দেবে, কারণ দিদি বলেছেন, তিনি এন আর সি চান না। তিনি এর বিরুদ্ধে মিছিল করেছেন। বিধান সভায় বিল এনেছেন। দিদি যখন আছে আমাদের চিন্তা নেই, ধারণা ভুল এই দিদি 2005 সালে NRC চেয়ে ছিলেন। লোকসভার স্পিকারের দিকে কাগজ ছুঁড়ে দিয়ে ছিলেন। আর এখন সিবিআই তদন্ত চলছে দিদি গিয়ে ঠিক সেটিং করে চলে আসবে। জনগণ গোল্লায় যাক মরুক রাজ্য শ্মশানে পরিনত হোক তাতেও ওনার কিছু হবে না। উনি এটা ভালো করে জানেন, অতএব জনগণ সিদ্ধান্ত নিন আগামী বছর 2020 এপ্রিল থেকে শুরু করতে যাওয়া সরকারের কাজে সহায়তা করবেন কি না। বর্তমান পশ্চিমবঙ্গ সরকারের একটা লক্ষ্য যেমন করে হোক ক্ষমতা চাই, রাজ্য শ্মশানে পরিনত হোক শ্মশানে রাজ্যত্ব করব, তবুও ক্ষমতা চাই। রাজ্যের বর্তমান অবস্থা দান ধ্যান পূর্ণ কর্মে মন। মানুষের আয় নেই, উপায় নেই দু টাকা কিলো চাল কেনার টাকা নেই, ভিক্ষা করতে হচ্ছে। মজার ব্যাপার দু টাকা কিলো চাল ফোটাতে মানে ভাত করতে ৬০০ টাকার গ্যাস লাগে। ভেবে দেখুন এই সরকার আপনার পাশে দাঁড়াতে পারে না, এরা বিভিন্ন কেলেঙ্কারি তে জড়িত, দেখলেন না এক পুলিশ অফিসার কে নিয়ে ১৭ দিনের নাটক। দিল্লি গিয়ে গট আপ গেম খেলতে হলো। এর পরেও যদি এই সরকারের উপর ভরসা করে বসে থাকেন নিজে প্রতিবাদ করতে না এগিয়ে আসেন, তাহলে এমন ঘটবে স্বামী যাবে নতুন জেলে আর স্ত্রী থাকবে বাড়িতে আবার উল্টো টাও ঘটতে পারে। আসামের ঐ সব ক্যাম্পে শুরু হয়েছে, ধর্ষণ অত্যাচার যেটা 1947 সালের ভারত ভাগের সময় হয়ে ছিল। বাংলার কত মা বোন তাদের ইজ্জত খুইয়েছেন। কত আত্মহত্যা করেছেন, বাঙালির রক্তে লাল হয়ে  গেছে গঙ্গা পদ্মার জল। আপনি কি চাইছেন, সেই দিন আবার ফিরে আসুক। আপনি হয়তো বলবেন আমার কিছু হব না, আমি কেন শুধু শুধু যামেলায় যাব। আমি বলছি ভাই কার ভাগ্যে এই কোপ নেমে আসবে কেউ বলতে পারবে না। আগামী 2021 সালে এই রাজ্য থেকে বি জে পি আর তার সহযোগী এই সরকার কে তুলে ফেলুন। বাঙালি জাতির সেই লড়াই দেখিয়ে দিন, বাঙালি কেবল ইংরেজের বিরুদ্ধে লড়াই করে নি, বর্গী হানা দার এমনকি মোঘলের বিরুদ্ধে বাঙালির লড়াই করে ছিল। ইতিহাসের পাতা উল্টে দেখুন জ্বল জ্বল করে বাংলার বার ভুঁইয়া কথা। এখন আর সে সব ইতিহাস পড়ানো হয় না। আসুন বাঙালি জাতির অস্তিত্ব রক্ষার এই লড়াইয়ে সবাই সামিল হই।




Friday, 11 October 2019

বণিক যখন রাজা ঠিক করে।

বাংলা নবাব গন অর্থাৎ মুর্শিদ কুলি, আলি বর্দী এবং পরবর্তীতে সিরাজ এর মধ্যে সিরাজ কে শেষ স্বাধীন নবাব বলে চিহ্নিত করা হয়। আবার অনেকে মীরকাশেম কেও শেষ স্বাধীন নবাব বলে মনে করেন । সিরাজের বিরুদ্ধে কেন ষঢ়যন্ত করা হয়েছিল। সত্য ঘটনা ছিল সিরাজ ছিল অত্যচারি, তার বিশেষ করে___উপর ছিল নজর। আরেক দিকে ইংরেজ রা দিল্লির ফরমান এনে বাংলার নবাব কে কর না দিয়ে ব্যবসা করতে শুরু করে এবং নিজেদের সুরক্ষার জন্য কলকাতায় একটি দূর্গ তৈরি করতে থাকে। এটা ছিল নবাবের রাগের কারণ, এখানে দুয়ে দুয়ে  চার। সিরাজের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে রাজা কৃষ্ণ চন্দ্র অঞ্জনা নদী কে বেঁধে দিয়ে ছিলেন। কারণ ঐ নদী পথে সিরাজ এসে অত্যাচারের বহর বাড় ছিল। সেটা সহ্যের বাইরে চলে গিয়েছিল, তখন সামন্ত রাজারা যেমন কৃষ্ণ চন্দ্র, নন্দকুমার, ঘসেটি বেগম জাফর আলি খাঁ মীর কাশেম জগৎ শেঠ উমির চাঁদ রাজা রায় দুর্লভ আরও অনেকে এবং সঙ্গে ক্লাইভ ছিলেন। কারণ ইংরেজরা কিছুতেই বাংলার নবাব কে কর দিতে চাই ছিলেন না। তার উপর সিরাজ কোলকাতার ফোর্ট উইলিয়াম দূর্গ করতে বাধা দিয়ে ছিলেন। এসব নানা কারণে পলাশীর প্রান্তরে সেই ঐতিহাসিক যুদ্ধ যেখানে প্রধান সেনাপতির কথায় অর্ধেকের বেশি সৈন্য যুদ্ধ না করে দাঁড়িয়ে ছিল। আবার কেউ কেউ বলেন বৃষ্টিতে নবাবের গোলা বারুদ ভিজে গিয়ে ছিল। এসব কারণে সেদিন নবাব হেরে গিয়ে ছিলেন। যার ফলে বাংলা তথা ভারত বর্ষ পরাধীন হয়েছিল। যাহোক এসব ইতিহাসের পাতায় আছে, আরও আছে, এর পর নবাব জাফর আলি কথা মতো ইংরেজ দের টাকা দিতে পারে নি। সেই কারণেই তাকে সরিয়ে ইংরেজরা নবাব করেন মীর কাশেম কে, আর তখন ইংরেজরা আদায় করে নেন সরাসরি জনগণের কাছ থেকে কর নেওয়ার অধিকার নবাবের কর আর ইংরেজ দের কর দুয়ের ঠ্যালায় বাংলার মানুষ চরম বিপদে পড়ে দেখা দেয় দুর্ভিক্ষ। নবাব তার ভুল বুঝতে পেরে ইংরেজের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন। তখন অনেক দেরি হয়ে গেছে, ইংরেজরা বল বাড়িয়ে নিয়েছে।কবির ভাষায় শর্বরী পোহালে বণিকের মানদণ্ড দেখা দিল রাজ দণ্ড রূপে।  যাহোক ও সব ইতিহাসের পাতায় থাক, বর্তমানে আমাদের দেশের অবস্থাও ঠিক এরকম বর্তমান বণিক শ্রেণীর টাকা খরচ করে নির্বাচনে জেতার জন্য কোন দল কে ক্ষমতায় আনা  যায় সেই জন্য এতে লাভ কর ছাড় কম সময়ে ঋণ। ঋণ শোধ না করলেও মাপ, জনগণের নাভিশ্বাস উঠে জিনিস পত্র কিনতে তাতে কি? সকলের কাজ নেই তো কি হবে? খেতে হলে যে চাল কিনতে হবে সেই টাকা টুকু উপায় করতে দম বেড়িয়ে পড়ছে। আর সেদিন বেশি দূরে নেই যে দিন এই বণিক কুল সরাসরি ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রী কে হবে তা ঠিক করে দেবে। যে টা বিজ্ঞাপন দিয়ে শুরু করে দিয়েছে এই সব বণিকের দল। অর্থাৎ ইংরেজের মতো দেশটা কে লুটে খাও। সব মানুষের কথা ভেবে কি লাভ গরীব মানুষ কুত্তা ওদের পোড়া রুটি দিলে ঠিক ভোট দিয়ে দেবে। সেই কারণেই সব সরকারি ব্যবস্থা আজ বেসরকারি হচ্ছে। কোন টা বাকি আছে, গরীব মানুষের জমানো টাকা ব্যাঙ্ক বিমা রেল ফোন টিভি চ্যানেল সেতো কয়েক বছর আগে গরীব মানুষ দেখতে পেত কম টাকায় এখন মাসে এতো টাকা হয়েছে। ওসব এখন বিলাসিতা, সত্যিই দারুণ সরকার চলছে, আমাদের রাজ্যে আরও খারাপ অবস্থা সরকার চুক্তিতে লোক নিয়োগ করছে পাঁচ ছয় বড়ো জোর দশ হাজার টাকা বেতন। নিজের দের বেতন লাখ টাকার উপর, আমার মনে আছে কংগ্রেস আমলে কি সাম আলুওয়ালা না কে বলে ছিল শহরে যে ছত্রিশ টাকা আর গ্রামের যে চব্বিশ টাকা খরচ করতে পারে সে বড়ো লোক। আমার তখন মনে হতো ওনাকে ঐ ছত্রিশ টাকা হিসেবে এক মাসের বেতন দেওয়া উচিত কারণ উনি দিল্লি শহরের বাসিন্দা ছিলেন। আর কয়েক বছর পর দেশের সব সম্পদ শিল্প উৎপাদন সরকারি পরিষেবা সব কিছু কয়েক জন শিল্প পতি মুনাফা খোর ব্যবসায়ী নিয়ন্ত্রণ করবে। তাদের ইচ্ছা অনুযায়ী দেশ চলবে যেমন ইংরেজ আমলে ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির নির্দেশে নবাব পরিচালিত হোত। দেশটা বেচে দিতে উঠে পরে লেগেছে বর্তমান সরকার। আমি একটা বিষয় বুঝতে পারছি না বাঙালি জাতি এতো বোকা হোল কী করে? সব দেখে শুনে এই দুই দল কে ভোট দিয়ে জিতিয়ে দিচ্ছে।রাজ্য সরকার ও কেন্দ্রীয় সরকার যা বলে ঠিক তার উল্টো করে চলেছে। আর চুরি গুণ্ডামি কাট মানি তোলা বাজি সব চলছে। চাকরি প্ল্যানে নাম আছে ঘুষ দেয়নি বলে চাকরি হয় নি। সব দেখেও মানুষ এদের ভোট দিয়ে জয়ী করছে, নেতা দের আঙুল ফুলে গাছ, টাকার পাহাড় করে ফেলেছে।বাম আমলে এতো খারাপ অবস্থা ছিল না।






Thursday, 10 October 2019

সায়ন্তন বাবু 'বাঙাল"জাত তৈরি করল কারা!

সায়ন্তন বাবু আপনার কাছে আমার প্রশ্ন এই বাঙাল জাত তৈরি করল কারা? আর কীভাবে তৈরি করা হয়েছে, আপনি নিশ্চয়ই ইতিহাস জানেন। আপনি নিশ্চয়ই জানেন স্বাধীনতার সময়ের আগে থেকেই বাঙালি জাতি যাদের চক্ষুশূল তারা ইংরেজের দালালি করে নকল স্বাধীনতা সংগ্রামী সেজে ছিল। তারা দেখে ছিল হিন্দি ভাষি রা অল্প শিক্ষিত তারা ইংরেজের বিরুদ্ধে লড়াই করে না, কিন্তু বাঙালি জাতি পাশ্চাত্য শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে গেছে। তারা সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে স্বাধীনতা যুদ্ধের বা সংগ্রামের উস্কানি দিচ্ছে। ব্রিটিশ 1905 সালে বাংলা ভাগ করতে চেয়েছিলেন কিন্তু পারেনি। সেই জ্বালা মিটিয়েছে যতটা সম্ভব আপনার প্রথম দল কংগ্রেসের দিল্লির সেই সময়ে নেতাদের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে। তবে হ্যাঁ সেই সময় ও আপনার মতো মির্জাফর ছিল এখন আছে, যারা বাঙালি জাতির ক্ষতি ছাড়া ভালো ভাবতে পারে না
আসলে ভারত ভাগ হয়ে ছিল ধর্মের নামে। পাকিস্তান আর হিন্দুস্থান, পূর্ব পাকিস্তান থেকে ভিটে মাটি ছেড়ে প্রাণ টুক হাতে নিয়ে যে সব হিন্দু পরিবার এদেশে বা এপার বাংলায় এসে ছিল। আপনার ভাষায় আপনার কেন এরকম অনেক শিক্ষিত মানুষের ভাষায় তারা বাঙাল জাত। যদি ধর্মের নামে দেশ ভাগ না হত তবে এই বাঙাল জাত তৈরি হোত না। তাহলে বাঙাল জাত তৈরি করল আপনার দলের পূর্ব পুরুষ ইংরেজ দের পা চাটা এক গুজরাটি আর লর্ড মাউন্ট ব্যাটেনের গৃহীনির প্রেমিক প্রধানমন্ত্রী হবে কত বড় নাটক মঞ্চস্থ করে ছিল সেই সময় দিল্লিতে। আবার এখন সেই বাঙালি জাতি কে তাড়াতে আবার ক্ষমতায় সেই দুই গুজরাটি। আচ্ছা আপনার বর্তমান দলের মূল সংগঠনের এক জন, মারোয়ারি ব্যবসায়ী দের প্রতিনিধি এবং হিন্দি ভাষা দরদী মহান মানুষ, অনশন করে স্বাধীনতা আনা লোক টি কে মেরে ছিল তাই না। আপনি এমন একজন বাঙালি দেখুন আপনার বর্তমান গুজরাটি   ভাইয়ে রাই হিন্দুস্থান কে এখন হিন্দি স্থান করতে চাইছে। আপনার মনে আছে কি আমি জানি না, গত লোকসভা নির্বাচনের আগে রিষড়ায় একটা মিছিল থেকে শ্লোগান দিয়ে ছিল। বাঙাল সে বাঙ্গালী খেদাও, এরা কেবল বাংলা থেকে নয় গোটা দেশ থেকে বাঙালি তাড়াতে উঠে পড়ে লেগেছে। একটা খবর দেখুন,
বাঙালি জাতির জন্য আবার ঘোর দুর্দিন তাদের জন্য তৈরি করা হয়েছে বিশেষ জেল খানা। অনেকে বলছেন এই তো আসাম ঘুরে এলাম সেখানে কিছু হয়নি তো। আসলে সেই সব জেল খানার কাছে যেতে দেওয়া হবেনা। যেমন জম্মু কাশ্মীরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। আর ঊনিশ লক্ষ মানুষ কে রাখার জন্য যত বড় জেল দরকার এখন তৈরি করা হয়নি। আসছে ডিসেম্বরে CAB পাশ করা হলে হয়তো আসামের আদিবাসী দের বাধ দিয়ে এই সংখ্যাটা কমানো হবে। বাকি দের জেল আপনার দলের দুই গুজরাটি ভাই বলছেন হিন্দু ধর্মের মানুষ কে শরণার্থী শিবিরে রাখা হবে। সবাই নাগরিকত্ব পাবে, আসামেও একই কথা বলে ছিল, "এখন সেখানে বলছে উল্টো কথা হিন্দু মুসলিম সব বাংলা দেশি বিদেশি বাংলাদেশের মানুষ। একটাই তাদের অপরাধ এদের মাতৃভাষা বাংলা। জানি না আপনি বুঝবেন কিনা আর বাংলায় এই  রকম একটা দলকে ডেকে আনছে আপনার পুরোনো দল।বাংলার ইতিহাস মনে আছে লক্ষণ সেনের দূর্বলতার সুযোগে খিলজি না কে বাংলা দখল করে ছিল।  আর এখন আপনার পুরনো দলের দূর্বলতা  চোর বাটপার তোলাবাজি গুণ্ডামি  সব সামলে সি বি আই সামলে, দেখলেন না এক পুলিশ অফিসার কে নিয়ে কী নাটক চলল পূজোর আগে। দিল্লি গিয়ে সেটিং করে তবে রেহাই, সি বি আই তদন্তের নামে প্রহসন চলছে। গরীব মানুষের টাকা গেছে তো কী হবে? আমি তো বহাল তবিয়তে আছি, এটা কেবল এই রাজ্যের জন্য গোটা দেশের জন্য ব্যাঙ্কের জমা টাকা ঋণ নিয়ে শোধ না করে কত জন পালিয়ে গেল দেশ ছেড়ে। সেই জন্যই একটা কথা এখন সবাই বলছে। ঘরে টাকা থাকলে চোরের ভয়, আর ব্যাঙ্কে টাকা রাখলে চৌকিদারের ভয়। দেশটার কি অবস্থা দাঁড়াল, সব সরকারি সংস্থা আজ দুই মেরের হাতে। যে আপনার প্রিয় দল তথা দেশের মহান বিপ্লবী ইংরেজের দালাল চেয়ে ছিল। আজ এরা সেটা করে দেখাচ্ছে। দেশটাই আপনার ঐ গুজরাটি ভাই দের একটু সত্যি কথা বলতে বলুন। আবার বিদেশী শাসনের দিকে যাচ্ছে, কারণ আমরা ঐ দুজন মহা পুরুষের কল্যাণে পুরোপুরি স্বাধীন দেশ নয়। ব্রিটিশ  কমনওয়েলথের সদস্য ইংরেজদের এখনও একটা নির্দিষ্ট হারে কর দিতে হয়। কি দাদা আপনি ভাবছেন এসব জানলাম কি করে? ভালো করে খোঁজ নিয়ে দেখুন আপনি তো বড়ো মাপের নেতা। বাঙাল তাড়াবেন, আর আপনার দুই গুজরাটি ভাই দেশ টা কে হিন্দি ভাষাভাষী মানুষের দেশ করবে বলে উঠে পরে লেগেছে। কেন জানেন এরা বিপ্লব করে না, অল্প বেতনে গাধার মতো খাটানো যায়। বাঙালি জাতি হোল স্বাধীনতা প্রিয় জাতি যে কোন ভাবে এদের দমিয়ে রাখতে হবে। 



সত্যি এদের বোঝা দায়!

এরা কেমন এদের এই একটা ছবি দেখলেই বোঝা যায়। একদিকে নাথুরাম গডসে যে গান্ধীর হত্যা কারি আর আরেক দিকে গান্ধী জি কেও শ্রদ্ধা জানান। চরিত্র টা নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন, এদের বিশ্বাস করা আর বিষধর কে বিশ্বাস করা সমান। আমরা বাস্তবে দেখছিও তাই মুখে বলছেন এক আর কাজে আরেক, মুখে বলছেন, কোন বেসরকারি করণ হবে না। অথচ রেলে বেসরকারি দূর পাল্লার বেসরকারি ট্রেনের সূচনা হয়ে গেল।


বেসরকারি ট্রেন তেজস চালু করা নিয়ে বিক্ষোভ দেখান রেল কর্মীরা। রেল সরকারের ট্রেন বেসরকারি চালাতে সাহায্য করবে কারা সরকারি কর্মীরা। এদিকে যেই bsnl ও mtnl বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে অর্থ মন্ত্রক আর জিও তার ফ্রি কল তুলে মিনিটে 6 পয়সা কল রেট কাটবে ঘোষণা করে দিয়েছে। যখন bsnl ও mtnl বন্ধ হয়ে যাবে তখন 6 পয়সা 6 টাকা হবে। 
কী মনে হচ্ছে, এরা সত্যি কথা বলতে জানে না। যে ব্যবসায়ী ভোটে জিতে আসার জন্য কয়েক হাজার কোটি টাকার বিজ্ঞাপন দিয়েছেন। তাদের মন রাখতে ভীষণ ভালো ব্যবস্থা সব তাদের কে বিক্রি করে দাও। সরকারি ব্যবস্থা তুলে দাও, তাহলে চাকরিও দিতে হবে না। আরেকটা মজার ব্যাপার হলো এই ব্যবসায়ীর দল দেশের সমস্ত সম্পদ লুটে খাবে, আর সাধারণ মানুষ কে ভিক্ষার করে খেতে হবে। জানি না কারো মনে আছে কিনা সাতের দশকে এই সব ব্যবসায়ীরা লঙ্গর খানা খুলে মানুষ কে দিনে একবার খাবার ভিক্ষে দিত। রেল স্টেশনে ফুটপাতে শুয়ে থাকত, চটের থলে গায়ে শুয়ে থাকবে, সেই দিন আবার ফিরে আসছে। এই দুই সরকার মানুষ কে ভিক্ষারি বানিয়ে ছাড়বে। গত চৌত্রিশ বছরে পশ্চিমবঙ্গের এত খারাপ অবস্থা হয় নি। সত্যিই দারুণ সুন্দর সরকার চলছে, চোপ সব খালি নিন্দা আর কাজ নেই। আমি জানি না মানুষ কি করে বারবার ভুল করে। আবার এটাও ঠিক মানুষ কে গত কয়েক টা নির্বাচনে ভোট দিতে দেওয়া হয় নি। কারণ এই সরকার জানে আমরা কাগজে কলমে উন্নয়ন করেছি, কিন্তু বাস্তবে নয়। আর কেন্দ্র সরকার জানে পশ্চিমবঙ্গে বর্তমান সরকার থাকলে তাদের লাভ। আগামী দিনে এই শাসক দলের উপর নির্ভর করে বি জে পি এই রাজ্যের ক্ষমতা দখল করতে চাইছে। বর্তমান শাসক দল সেই সুযোগ করে দিচ্ছে। জানে বামপন্থীরা ক্ষমতায় এলে তাদের বিপদ। আর আগামী দিনে যে কোন রকম কার চুপি করে এই রাজ্যের ক্ষমতা দখল করবে বি জে পি। 

Wednesday, 9 October 2019

নিন্দার ভাষা হারিয়ে ফেলেছি।

সত্যিই দিদির রাজত্বে সুস্থ ভাবে বেঁচে থাকা দায়। কারণ পুলিশ প্রশাসন এখন দলের গোলাম, দিদি নিজে গুণ্ডা কন্ট্রোল করেন। যত চোর বাটপার গুণ্ডা খুনি সব এক জায়গায় এসে একটা দল গঠন করে সরকার চালাছে। এদের বিরুদ্ধে কিছু বলা যাবে না। নিজের দাবী আদায়ের আন্দোলন করা যাবে না। কারণ উনি এতো দিচ্ছেন মানুষ নিয়ে যোগাতে পারছে না। প্রতিবাদ করা যাবে না, তাহলেই পৃথিবীর বুক থেকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া হবে। মুর্শিদাবাদ জেলার জিয়াগঞ্জে এই শিক্ষক পরিবার টি কি অপরাধ করে ছিল। যে তাদের নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া হলো। এটা একটা সরকার চলছে না অন্য কিছু।যেখানে সাধারণ মানুষের কোন নিরাপত্তা নেই, বিরোধী কথা বললেই তাকে গন পিটুনি, আন্দোলন করলে পুলিশের পিটুনি মিথ্যে কেস সাজানো আর কত দিন চলবে এসব। মানুষ কে ভোট দিতে না দিয়ে জোর করে ক্ষমতা দখল করে মানুষের উপর নিত্য অত্যাচার, সরকারি কর্মীদের সে তো হাতে না মেরে ভাতে মারা হচ্ছে। বিভিন্ন ভাবে বঞ্চনার শিকার তারা। বাজারের জিনিসের দাম বাড়ছে অথচ মানুষের হাতে টাকা খরচ করার জন্য টাকা নেই। আর এসবের প্রতিবাদ বা কোনো বিরোধী কথা বললেই তার কপালে কি আছে কেউ জানে না। সে সরকার পক্ষের লোক হলেও ছাড় নেই। বিরোধী দল হলে কথাই নেই। জানি না আর কত দিন এসব দেখতে হবে। আসলে সঠিক অপরাধী দের ছেড়ে কিছু মিথ্যে মামলা দিয়ে কিছু নিরপরাধ মানুষ কে শাস্তি দেওয়ার ব্যবস্থা অনেক দিন চালু আছে এই রাজ্যে সেই কারণেই দিন দিন বাড়ছে অপরাধের সংখ্যা। যে বা যারা অপরাধ করছে তারা বুক ফুলিয়ে ঘুরছে আর নিরাপদ মানুষ জেল থেকে এসে বিনা অপরাধে জেল খেটে ছি এবার সত্যি অপরাধ করে জেলে যাব। এভাবে চলতে থাকলে এক দিন এই বাংলায় অর্ধেক মানুষ অপরাধী হয়ে যাবে। জানি না সরকারের বা প্রশাসন কেন সঠিক অপরাধীদের আড়ালে রাখে। বাংলা সোনার বাংলা করতে পরিবর্তন করে ছিল মানুষ আজ শ্মশানের বাংলায় পরিনত হয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনী নিয়ে ঘোরা বিধায়ক কাউন্সিলর তারা যদি গন পিটুনি আর গুণ্ডা দ্বারা আক্রান্ত হন তাহলে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কোথায়? 

Tuesday, 8 October 2019

শুভ বিজয়া দশমীর শুভেচ্ছা, আর দিপান্বিতার আগাম শুভেচ্ছা জানাই।

অসুর বিনাশিনী মা আজ মর্ত্যের অসুর বিনাশ করে স্বর্গ লোকে পাড়ি দিলেন। যারা এই অধমের এই যা খুশি লেখা পড়ে ছেন ও ফেসবুকে লাইক শেয়ার করছেন এবং আমার একটি ইউ টিউব চ্যানেল  "যা খুশি তাই" সেটাও যারা দেখেছেন। কারণ আমি সত্যিই সব সুন্দর করে পারি না। তাই যারা আমার এসব লেখা পড়ছেন    প্রত্যেকে আমার জানাই বিজয়া দশমীর শুভেচ্ছা। ও আসন্ন দীপাবলির আগাম শুভেচ্ছা।   জানি না  মর্ত্যের মানুষ তথা রাজ্যের অশুভ শক্তির বিনাশ হলো কিনা, কারণ যে ভাবে আজ সব কিছু চলছে, প্রতি মুহূর্তে মানুষের মধ্যে বিভাজন করে দেওয়া হচ্ছে। এক জাতি গত আবার কখনো রাজনৈতিক দল গত ভাবে, মানুষের আয় উপায় নেই, পুজো গুলোতেও ঢুকেছে রাজনীতি কে আগে পূজো উদ্বোধন করবে তার প্রতিযোগিতা। আর এই রাজনৈতিক দলের নেতাদের জন্য পূজা আজ কেবল বিলাসিতা।  ঠাকুর পূজা করে লাভ নেই থিম পূজা কর পুরস্কার পাওয়া যাবে। পূজা হচ্ছে খুব ঘটা করে বিভিন্ন ধরনের থিম কত রকম পুরস্কার কিন্তু ঠাকুরের পূজার উপকরণ এবং তার ভক্তি ভরে সময় মতো জোগাড় করতে হবে সেসব নেই। আমি সব থেকে আশ্চর্য হয়ে যাচ্ছি গরীব ব্রাহ্মণ পূজা করে একটু দক্ষিণা পাবে পুষ্পাঞ্জলি থেকে সেটা পর্যন্ত চুরি করে নিচ্ছে। আর পূজার পুষ্পাঞ্জলি যা দু চার টাকা, সে তো গেল যদি একটা কাপড় বেশি দেখেছে সোজা চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে। আর পূজার শেষে পুরোহিতের দক্ষিণা সে আর নেই। চার দিন না খেয়ে দু বেলা মায়ের পূজা করে গরীব ব্রাহ্মণের কি জুটলো কিছু না। কারণ দক্ষিণা দেবার টাকা নেই। অথচ থিমের টাকা আছে। ভক্তি তো কবে উঠে গেছে, ভড়ং জায়গা করে নিয়েছে। আর এর জন্য দায়ী পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক দল গুলো।
 আর এ  বছর খুব ভালো কাটেনি অনেকের কাছে। দেশের সাথে সাথে রাজ্যের অর্থনৈতিক মন্দা দেশ বেচা সরকার আর রাজ্য ধ্বংস কারি সরকার দেশ তথা রাজ্যের অধিকাংশ মানুষ কে আর মানুষ হিসেবে মনে করে না, ভীক্ষারি করে ছেড়ে দিচ্ছে। এখন রাস্তা ঘাটে প্রচুর ভিক্ষুক ঘুরে বেড়ায়, ট্রেনে গান গেয়ে ভিক্ষা করে, সাধারণ মানুষের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। কে আগে দান করবে ছুটে, চার পাশে চোরের বাস কে কত চুরি করতে পারে তার প্রতিযোগীতা চলছে। মিথ্যে কথা বলে মানুষ ঠকানো আর কতদিন চলবে। আমি মায়ের কাছে প্রার্থনা করি মা গো তুমি এই সব অসুর বিনাশ করে মানুষ কে শান্তি দাও মা। 

Wednesday, 2 October 2019

গরীব মানুষদের জন্য বিচার ব্যবস্থা নয়।

বিচার ব্যবস্থা আবার প্রমাণ করে দিল। বিচার ব্যবস্থা গরীবের জন্য নয়। আজ পশ্চিমবঙ্গের কয়েক লক্ষ মানুষ বিভিন্ন চিটফাণ্ডের টাকা ফেরত পায় নি। ২০১৩ সালের পর থেকে আজ পর্যন্ত এই নিয়ে কেবল রাজনীতি হচ্ছে। সুপ্রীম কোর্ট রায় দিয়েছে ২০১৪ সাল থেকে সি বি আই তদন্তের ভীষণ ভালো তদন্ত চলছে। এতো ভালো তদন্ত ভাবা যাবে না, সংস্থা টি যেহেতু কেন্দ্রীয় সরকার দ্বারা পরিচালিত তাই তার সাথে একটু মানিয়ে নিতে পারলে ভালো তদন্ত চলে। গরীব খেটে খাওয়া মানুষ সর্বশ্রান্ত হয়ে গেছে। কত এজেন্ট আত্ম হত্যা করেছে, টাকা ফেরত দিতে কমিশন হয়েছে, দিদি বেশি করে সিগারেট খেতে বলেছেন। অনেকেই বিড়ি ছেড়ে দামী ব্যণ্ডের সিগারেট খেতে শুরু করেছে। তবে দিদি আমাদের খুব ভালো কারণ যে যেমন নেতা সে তেমন নেয় কেবল ভাগ পাঠালে হবে। দলের লোক তাকে কিছু বলা যাবে না। তিনি প্রকাশ্য সমাবেশে একবার বলেছিলেন যারা কাট মানি নিয়েছ ফেরত দাও। কিন্তু নিজের দলের জন্যে নয়, ও যারা দলত্যাগ করে যাচ্ছে তাদের জন্য। যারা এখনো আছে এবং কাট মানি নিচ্ছে ভাগ পাঠাচ্ছে, তারা বহাল তবিয়তে আছে। তাদের ধরে কে, কোন পুলিশের ঘাড়ে কটা মাথা আছে। এই তো দু তিন দিন আগে বাংলা খবর না কি একটা চ্যানেল দেখা ছিল। সিঙ্গুরের এক প্রাক্তন প্রধান, তিনি বাড়ি তৈরির অনুমতি দিয়েছেন তারপর যা হবার হয়েছে। গুর একটু বেশি হলে গোরু চেটে খেয়ে ফেলে আরকি। আরেকটা কি সব দেখা ছিল, তিনি নাকি ডাকলে যান না। মাঝে মাঝে উপর থেকে নামেন না, অহংকারে মাটিতে পা পড়ে না। কারণ তিনি তিন চার বার ঐ কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছেন। এরকম একটা মানুষ টাকার গন্ধ পেলে ছাড়ে, তিনি যে স্কুলের সভাপতি সেখানে অনেক টাকা এসেছে গন্ধ ভালো লেগেছে। স্কুলে কাজ হবে কি করে উনি চেকে স্বাক্ষর করবেন না। আবার ঐ টাকা থেকে স্কুলের যাবতীয় কাজ করতে হবে। জুতা সেলাই থেকে চণ্ডিপাট। সে বিদ্যাসাগরের জণ্ম দিন পালন হোক খেলা চক থেকে সব। এবার প্রধান শিক্ষক খরচ করে রসিদ দেখিয়ে স্বাক্ষর করতে বলছেন, উনি করবেন না। কেন জানা নেই। চোখের সামনে ইলেকট্রিক বিল মেটাতে হবে, উনি স্বাক্ষর না করে বিদায় নিলেন। এত মুখ্যমন্ত্রীও উপরে উঠে, এদের তো আর প্রধান শিক্ষক পাল্টাতে পারে না। তার জন্যে দিদির আদেশ চাই, প্রধান শিক্ষক ঠিক করেছে সরকারি টাকা খরচ না করবেন না। নিজের বেতন থেকে দেবেন, ছাত্র ছাত্রীদের দানে চলবে। এর পিছনে নয়া নিযুক্ত দিদির ভাইপো শিক্ষকদের ভূমিকা আছে। কারণ তারা বলেছে প্রধান শিক্ষক অত টাকা বেতন পেয়ে কী করবে। ওরা তো আবার আন্দোলন করতে শুরু করেছে বেতন বৃদ্ধি করতে হবে। ঢুকে এক লক্ষ টাকা বেতন চাই, দিদির ভাইপো তো। ওদের সাত খুন মাফ, স্কুলে বেশি ছাত্র ভর্তি করা যাবে না। কুড়ি পঁচিশ জনের বেশি পড়াব না। আসতে দেরি হলে প্রধান শিক্ষক কিছু বলবেন না। যখন তখন চলে যাব। স্কুলে এলে অফিস ঘরে বসে গল্প করে কাটিয়ে দেব, টিফিনের পর ক্লাস থাকলে হবে না। ক্লাস কোন শিক্ষক নেই, আমার ক্লাস নয়, যাব না, মারা মারি খুন খুনি যা খুশি হোক আমার দায়িত্ব নয়। আর যদি বি এল ও ডিউটি হয় সে তো সরকার বা বিডিও স্কুল কে চিঠিও দেয় না। ফাঁকি বাজির দারুণ উপায়, সারা বছর যখন খুশি যাওয়া আসা যাবে। কোন বাধা নেই, প্রধান শিক্ষক কিছু বলেন তবে হুমকি আছে, জানেন আমি বি এল ও কাজে যাচ্ছি। আমার অন ডিউটি, অর্থাৎ কোন কাজে বাধা দেওয়া বা বলা যাবে না, তখনই তারা ঐ যে ভালো সভাপতি কে ভি ই সি এ্যাকাউন্টে টাকা তুলতে দেবে না। কারণ প্রধান শিক্ষক তার বেতন বেশি সে খরচ করবে। আবার যত টা পারা যায় বেশি খরচ করাতে পারলে কি আনন্দ সকলের। সত্যিই এরা দিদির ভাইপো হবার যোগ্য। এই জন্যই দিদির রাজত্বে সব, মুরগি চোর সন্দেহে মেরে ফাটিয়ে দেয় আর কোটি কোটি টাকা বাটপার খেলে তার ছাড়। আর এরা তো দিদির দলের লোক বা নেতা এদের কিছু বলেন কার ঘাড়ে কটা মাথা। কারা

Tuesday, 1 October 2019

গান্ধীর একশ একান্ন তম জন্মদিনে জানাই প্রণাম।

আসছে গান্ধীর জণ্ম দিন টিকে আমি একটু অন্য রকম ভাবে পালন করতে চাই।
আমরা বাঙালি জাতি ভীষণ আবেগ প্রবন। আবেগের বশে অনেক সিদ্ধান্ত নিই এবং অনেক সময় সেই কাজ করে ফেলি। তবে বাঙালি জাতি দুটো দলে বিভক্ত ছিল এক ব্রিটিশদের দালাল বা চাটুকার আরেক দল স্বাধীন চেতা বাঙালি এবং ইংজের সরকার কে উৎখাত করতে মরিয়া। প্রবল শক্তি শালি ইংরেজ শাসক তার বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রাম করে গেছে একদল বাঙালি। হাসতে হাসতে ফাঁসির মঞ্চে গেয়ে গেছে জীবনের জয় গান। তাদের রক্ত যাদের শরীরের ধমনি ও শিরায় শিরায় বয়ে যাচ্ছে। তারা কোন দিন অন্যায় দেখলে থাকতে পারেন না। এই গান্ধী ছিলেন ইংরেজ শাসকদের চাটুকার কেবল ব্রিটিশ সরকারের গোলামি আর তাঁবেদাড়ি করে নিজের জাতি কি ভাবে ব্যবসা ও চাকরি করবে সেটা দেখতেন। সত্যিই ভারতের ইতিহাস সঠিক ভাবে লেখা হোত তবে সেখানে দেখা যাবে তিনি যা করেছেন সব তার জাতি মারোয়ারি আর ইংরেজ ও হিন্দি ভাষি লোকেদের জন্য। পাঞ্জাবী আর বাঙালি ছিল এনার কাছে অবাঞ্ছিত। লবণ আইন অমান্য কোথায় হয়েছিল? সে খানে কারা লবণ তৈরি করত? বাঙালি জাতি যখন অসহযোগ আন্দোলন এবং স্বদেশী আন্দোলন শুরু করে তখন তিনি দেখেছিলেন ভালো মৌওকা গুজরাতের কাপড় ব্যবসায়ীরা লাভবান হবে। এই আন্দোলন যখন চরম আকার ধারণ করেছে তখন তিনি তা প্রত্যাহার করে নিলেন। শুরু করল বাঙালি তিনি সেটা নিয়ে রাজনীতি করে দিয়ে ভেস্তে দিলেন, চৌরিচোরার থানায় আগুন দেওয়ার জন্য। স্বাধীনতা পাওয়া কে আরো কয়েক বছর পিছিয়ে দিলেন। ইংরেজ মারছে তোমরা মর, তোমরা কিছু বল না। এটাই হচ্ছে গান্ধী বাদ, আর দেখা গেল সুভাষ চন্দ্র বোস আমাদের প্রিয় নেতাজী যখন। ইংরেজ সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন। তিনি দেখলেন বিপদ তিনি তিলকের সেই উক্তি কে কাজে লাগলেন। কি ছিল তিলকের কথা স্বরাজ আমাদের জণ্ম গত অধিকার। এই কথাটা নিয়েই তিনিও বললেন স্বরাজ আমাদের জণ্ম গত অধিকার ডাক দিলেন করেঙ্গে ইয়ে মরেঙ্গে। তিনি জানতেন মরবে পাঞ্জাবী বাঙালি আর কিছু মারাঠি এই তিন জাতি ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের পুরো ভাগে। ১৯৪২ এর ভারত ছাড় আন্দোলন নিরীহ নিরস্ত্র মানুষকে তিনি বন্দুকের নলের সামনে ঠেলে দিলেন। মাতঙ্গীনি হাজরা সহ অনেকেই সেই সময়ে মারা গেলেন। সেই সময় বাংলা মায়ের দামাল ছেলে নেতাজী ইংরেজ সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। বিয়াল্লিশের আন্দোলন ব্যর্থ হল। নেতাজী জাপানি সাহায্য নিয়ে ব্রিটিশ ভারতের অনেক গুলো জায়গা দখল করে নিলেন। ১৯৪৫ সালের আগস্ট মাসে ৬ই ও ৯ ই আগস্ট ঘটে ছিল সেই নারকীয় ঘটনা আমেরিকার দ্বারা নিক্ষেপ করা পারমাণবিক বোমা পৃথিবীর বুক থেকে নিশ্চিহ্ন করে দিয়ে ছিল জাপানের দুটি শহর, হিরোসিমা আর নাগাসাকি। আমাদের এই বীর নেতা তখন ব্রিটিশ সরকার কে বলে জেলে গিয়ে বসে ছিল। বাঘা যতীন ৬৪ দিন অনশন করে মারা গিয়েছেন লাহর জেলে। একদিনও যাননি, দেখা করতে এই বীর স্বাধীনতা সংগ্রামী। ভগৎ সিং এর ফাঁসি উনি চাইলে বন্ধ করেতে পারতেন কিন্তু উনি আর নেহেরু মিলে সেটা করতে চাননি। কারণ ভগৎ সিং কমিউনিস্ট আদর্শে বিশ্বাস করতেন। তাকে বাঁচাতে এই দুজনের কাছে যিনি গিয়ে ছিলেন সেই চন্দ্র সিং আজাদ কে ইংরেজ দের হাতে তুলে দিয়েছিলেন। এই বীর স্বাধীনতা সংগ্রামী, এবার বলুন এদের জণ্ম দিন কেমন পালন করা উচিত বাঙালির যে ইংরেজের সাথে চুক্তি করে নেতাজী কে দেশে ঢুকতে দেয় নি, বা গুম করে দিয়ে ছিল। যে লোক টার কারণে পাঞ্জাবী আর বাঙালি জাতি আজও উদ্বাস্তু আর তার সেই উত্তরসূরী দুজন এখন ক্ষমতা দখল করে নিয়েছে। আর মুখে বাঙালি জাতির প্রতি কত সণ্মান আর পেছনে বাঁশ দেবার ব্যবস্থা করছে। এই যে ভোটার কার্ড ভেরি ফিকশন হচ্ছে, আসামে এটাই ছিল এন আর সির প্রথম ধাপ। যে ব্যক্তি এই কাজ না করবে তাকে প্রথম ডি ভোটার মানে নাগরিক নয় বলে দেওয়া হবে। যেমন আসামে প্রথম ৪০ লক্ষ মানুষ কে করা হয়েছিল। পরে প্রমাণ পত্র বিচার করে ১৯ লক্ষ মানুষ কে নাগরিকত্ব থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এবার বলুন এই বি জে পি, আর ঐ মহান স্বাধীনতা সংগ্রামীর জণ্ম দিন পালন করা উচিত না উচিত নয়। বাঙালির জীবনের অভিশাপ ঐ মহান স্বাধীনতা সংগ্রামী যিনি ইংরেজ দের সাথে চুক্তি করে জেলে যেতেন যাতে কেউ না মেরে দিত পারে। পরে আরেকটা যোগ দিয়ে ছিল। লর্ড মাউন্ট ব্যাটনের সাথে তার খুব খাতির ছিল। কেমন স্বাধীনতা পেয়েছি ধর্মের নামে দেশ ভাগ বাঙালি হিন্দু জাতি কে শেষ করে দেওয়ার চক্রান্ত যেটা এখন চলছে। আর আজও আমরা ব্রিটিশ কমনওয়েতের অন্তর্ভুক্ত তাদের কর বা ট্যাক্স দিতে হয়। ভীষণ ভালো স্বাধীনতা তাই না। এরকম  স্বাধীনতা আমাদের দেওয়া হবে, রাজ্যের শাসক দলের দূর্বলতার সুযোগ নিয়ে রাজ্যের কিছু পা চাটা বাঙালি তৈরি হয়েছে। তারা ক্ষমতার লোভে ডেকে আনছে গুজরাতের এই মহান বিল্পবীর বংশধর দের।ইনাকে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে এনে ছিল ব্রিটিশ সরকার কারণ জানত ভারতে কংগ্রেসের এমন একজন নেতা দরকার যিনি তাদের অনুগত হবেন। কারণ কংগ্রেস তৈরি করা হয়েছিল আবেদন নিবেদন করার জন্য। তৈরি করে ছিল একজন ইংরেজ আর প্রথমে  সভাপতি হয়েছিলেন একজন বাঙালি। অনেকেই আছেন বলবেন ওনাকে জাতির জনক আখ্যা দিয়ে ছিলেন নেতাজী আর মহাত্মা বলতেন কবিগুরু রবীন্দ্র নাথ ঠাকুর ।এবার এগুলো তখন কার দিনে মানিয়ে চলতে এবং তিনি যাতে বাঙালি বিদ্বেষ ছাড়েন তার জন্য, কিন্তু না তিনি বাঙালি বিদ্বেষ ছাড়েন নি বরং ইংরেজ দের ১৯০৫ সালের ইচ্ছা পূরণ করে দিয়ে ছিলেন। লক্ষ লক্ষ হিন্দু বাঙালি নিজের ভিটে মাটি ছেড়ে উদ্বাস্তু আখ্যা পেয়ে কোথায় স্থান হোল দণ্ডকারণ্য আর আন্দামান নিকোবরের জঙ্গলে। এখন সেখানেও ছারপোকার বংশধর গুলো ওখানে গিয়ে বংশ বিস্তার করেছে এখন তাদের স্থান সংকুলান হচ্ছে না, তাই ওখানেও শুরু হয়েছে বাঙালি তাড়ানোর অভিযান ।এর পর এই মহান বিল্পবীর জণ্ম দিন পালন করতে বলবেন। যে সব বাঙালি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তারা বাঙালি জাতি কে অপমান করছেন না। নিজের জাতি কে নিজে অপমান করে একমাত্র বাঙালি। ভারতের অন্য কোন জাতির বা ভাষা ভাষিরা তাদের জাত ভাইয়ের জন্য জীবন লড়িয়ে দেয়। সত্যিই আমরা বাঙালি আত্ম ঘাতি জাতি ।

বাঙালি ও বর্তমান ভারত।

 (ছবিটি নেট থেকে নেওয়া, একটি স্ক্রিনশট।) স্বাধীনতার পূর্বে ভারত কীরকম ছিল, ১৯৪৭ সালে ভাগ হওয়ার পর কেমন হয়েছে। কেন ভারত ভাগ করা হয়েছিল সে ...