Anulekhon.blogspot.com

Tuesday, 22 October 2019

মানুষ বিশ্বাস যোগ্যতা হারিয়ে ফেলে কেন?

নোবেল জয়ী অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো জনগণ ২০১৪ সাল থেকে মুগ্ধ। উনি আচ্ছে দিন, এনে দিয়েছেন, জনধন একাউন্টে ১৫০০০ না পনেরো লক্ষ টাকা দিয়েছেন। উনি টাকা দিয়েছেন আমরা অন্ধ দেখতে পাইনি, কারণ নোট বন্দী করার সময় অনেকে ঐ একাউন্টে নিজেদের কালো টাকা জমা দিয়েছেন। আর কিছু বড় বড় ব্যবসায়ী ব্যবসার নামে ঋণ নিয়ে শোধ না করে বিদেশে চলে গেছেন। উনি বা ওনার মন্ত্রী সভার সাহায্য নিয়ে, আর সেই ঋন জনগণের কাছে আদায় হচ্ছে ঘুর পথে, একাউন্টে ৫০০ টাকার কম থাকলে বা হঠাৎ করেই সেটা বাড়িয়ে দিয়েছে, টাকা জমা করানো এবং কেটে নেওয়া সুদ কমিয়ে দেওয়া, আর এবার  ক্ষমতায় এসে সরকারি ব্যাঙ্ক ব্যবস্থা লাটে তুলে দিচ্ছে, সব বেসরকারী হবে, আজ মহারাষ্ট্রে এক বেসরকারি কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের শাখা বন্ধ হয়ে গেছে। অনেক মানুষ সর্বশান্ত এতেই ওনার আনন্দ। ক্ষমতায় আসার আগে প্রতিশ্রুতি বছরে দু কোটি বেকারের চাকরি দেবেন। আর ক্ষমতা পেয়ে দেখুন।
স্বাধীনতার সত্তর বছর পর সব থেকে বেশি বেশি বেকার। অর্থাৎ মুখে বলছেন এক আর কাজে করছেন আরেক। আরও আছে, কেবল যে উনি তা নয় এই রাজ্যের ক্ষমতা আছে যে দল তাঁরাও একই। সেই জন্য এন আর সি নিয়ে মাননীয়া যত বলছেন মানুষ তত অবিশ্বাস করছেন। এটা ঠিক পালে বাঘ পরা রাখাল বালকের মতো। আর উনি জনগণ কে কিছুতেই বিশ্বাস করতে পারেন না। বলবেন বুঝলেন কী করে? কেন ভোট এলেই দাঙ্গা দেখে, উনি মুখে এতো কাজ করেছেন, এবং ভোট এলেই কাগজে কাগজে চাকরির বিজ্ঞাপন, পাতা জুড়ে উন্নয়নের বন্যা বাস্তবে ছিটে ফোটা, বিদ্যুৎ বিল নিয়ে কত আন্দোলন দেখেছি। প্রতিশ্রুতি দেখেছি এখন সেই বিদ্যুৎ বিল দিতে গরীব মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। দ্বিগুণ দাম হয়ে গেছে। রাস্তা কাঁচা থেকে পাকা হচ্ছে, এক এক জায়গায় এমন গুর বেশি হচ্ছে, যে গরু চেটে খেয়ে নিচ্ছে, অনেক দেখলাম সত্য কথা সততা। সেই জন্য ওনার কথা মানুষ আর বিশ্বাস করতে পারছেন না। নোবেল জয়ী অভিজিৎ কে প্রধানমন্ত্রীর দরাজ প্রশংসা অথচ তার দলের লোকজন যা বলছেন, বা মন্তব্য করছেন সে গুলো নিয়ে তিনি একবারও বলছেন না।
এর পরও এদের বিশ্বাস করা যায়। এরা মুখে এক বলে আর কাজে আরেক করে। বলল কৃষক প্রতি মাসে পেনশন বা আর্থিক সাহায্য পাবে কাদের দিল কর্পোরেট সংস্থা গুলো ট্যাক্স ছাড় পেল। আজ কৃষকের এমন অবস্থা আত্মহত্যা করতে বাধ্য হচ্ছেন।


কেবল এসবের জন্য নয় আরও অনেক কিছু আছে মিথ্যা কথা বলে ক্ষমতা দখল করে  মানুষের জীবন অতিষ্ঠ করে তুলেছেন এই শাসক। একটা জিনিস ইনি খুব ভালো পারেন, অভিনয়।


No comments:

Post a Comment

পশ্চিমবঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করার সরকারি দপ্তরে শেষ চেষ্টা।

উপরের ছবি টা একটা স্কীনশট নেওয়া ছবি। ছবি টি সম্পর্কে কিছু কথা বলি তার পর অন্য কিছু কথা লেখা যাবে। ছবির দুটি অংশ উপরের অংশ একজন শিক্ষক যিনি ...