Anulekhon.blogspot.com

Saturday, 12 October 2019

NRC বদলে আসবে NRIC আগামী বছর।

কেন্দ্রীয় সরকার আগামী 2020 সালের ১লা এপ্রিল থেকে বাঙালি নিধন যজ্ঞে নামতে চলেছে। কারণ তাদের সামনে একটা ভালো সুযোগ এসেছে, জনগণনা 2021। জনগণ কে বোঝানো হবে, জনগণনার প্রথম পর্যায়ের কাজ হচ্ছে। আদৌ না বাঙালি জাতি কে ধ্বংস করার বা NRIC এর প্রথম ধাপ হচ্ছে, চলবে সেপ্টেম্বর 2020 পর্যন্ত, সেখানে বিশেষ দুটো প্রশ্ন আছে, আপনার ব্যাঙ্ক একাউন্ট আছে না নেই, আপনি কত দিন ঐ স্থানে বাস করছেন। আপনার ফোন নম্বর, কিন্তু কোন কাগজ দেখা হবে না। কারণ ওখানে বলা নেই, কোন সালের পর আপনি বসবাস করছেন সেটা লেখার জায়গা নেই, এই খানে প্রশ্ন যদি NRIC প্রথম পর্যায়ের কাজ হয় তবে, সাল উল্লেখ নেই, কেন তার একটাই কারণ 2003 সালের ভারতীয় নাগরিকত্ব বিলে কোথাও বলা নেই আপনি কোন সাল থেকে এদেশে বাস করলে নাগরিকত্ব পাবেন, সরকারি কর্মীদের দিয়ে এই কাজ করা হবে। এবার পরে কেন্দ্রীয় রাজনৈতিক দলের নেতা কর্মীরা দেখবে কে তার সমর্থক আর কে নয়, তার খুশি মত একটা সাল ঠিক করা হবে, এবং যাকে ইচ্ছা ডেকে তার কাগজ পত্র যাচ্ছাই করে বলে দিতে পারে, তিনি নাগরিক নন। আপনারা ভেবে দেখুন এপ্রিল থেকে শুরু হতে যাওয়া এই বাঙালি জাতি বিদ্বেষী সমীক্ষা তে সহযোগিতা করবেন কিনা? কারণ আপনি সব কাগজপত্র দিলেন কিন্তু আপনার নাম বাতিল করে দেওয়া হলো, আপনি বি জে পি করেন না বলে বা বি জে পি কে ভোট দেন না বলে। আপনি ভাবছেন এরাজ্যে দিদির সরকার আছে, আমার কিছু হবে না। দিদি সব বন্ধ করে দেবে, কারণ দিদি বলেছেন, তিনি এন আর সি চান না। তিনি এর বিরুদ্ধে মিছিল করেছেন। বিধান সভায় বিল এনেছেন। দিদি যখন আছে আমাদের চিন্তা নেই, ধারণা ভুল এই দিদি 2005 সালে NRC চেয়ে ছিলেন। লোকসভার স্পিকারের দিকে কাগজ ছুঁড়ে দিয়ে ছিলেন। আর এখন সিবিআই তদন্ত চলছে দিদি গিয়ে ঠিক সেটিং করে চলে আসবে। জনগণ গোল্লায় যাক মরুক রাজ্য শ্মশানে পরিনত হোক তাতেও ওনার কিছু হবে না। উনি এটা ভালো করে জানেন, অতএব জনগণ সিদ্ধান্ত নিন আগামী বছর 2020 এপ্রিল থেকে শুরু করতে যাওয়া সরকারের কাজে সহায়তা করবেন কি না। বর্তমান পশ্চিমবঙ্গ সরকারের একটা লক্ষ্য যেমন করে হোক ক্ষমতা চাই, রাজ্য শ্মশানে পরিনত হোক শ্মশানে রাজ্যত্ব করব, তবুও ক্ষমতা চাই। রাজ্যের বর্তমান অবস্থা দান ধ্যান পূর্ণ কর্মে মন। মানুষের আয় নেই, উপায় নেই দু টাকা কিলো চাল কেনার টাকা নেই, ভিক্ষা করতে হচ্ছে। মজার ব্যাপার দু টাকা কিলো চাল ফোটাতে মানে ভাত করতে ৬০০ টাকার গ্যাস লাগে। ভেবে দেখুন এই সরকার আপনার পাশে দাঁড়াতে পারে না, এরা বিভিন্ন কেলেঙ্কারি তে জড়িত, দেখলেন না এক পুলিশ অফিসার কে নিয়ে ১৭ দিনের নাটক। দিল্লি গিয়ে গট আপ গেম খেলতে হলো। এর পরেও যদি এই সরকারের উপর ভরসা করে বসে থাকেন নিজে প্রতিবাদ করতে না এগিয়ে আসেন, তাহলে এমন ঘটবে স্বামী যাবে নতুন জেলে আর স্ত্রী থাকবে বাড়িতে আবার উল্টো টাও ঘটতে পারে। আসামের ঐ সব ক্যাম্পে শুরু হয়েছে, ধর্ষণ অত্যাচার যেটা 1947 সালের ভারত ভাগের সময় হয়ে ছিল। বাংলার কত মা বোন তাদের ইজ্জত খুইয়েছেন। কত আত্মহত্যা করেছেন, বাঙালির রক্তে লাল হয়ে  গেছে গঙ্গা পদ্মার জল। আপনি কি চাইছেন, সেই দিন আবার ফিরে আসুক। আপনি হয়তো বলবেন আমার কিছু হব না, আমি কেন শুধু শুধু যামেলায় যাব। আমি বলছি ভাই কার ভাগ্যে এই কোপ নেমে আসবে কেউ বলতে পারবে না। আগামী 2021 সালে এই রাজ্য থেকে বি জে পি আর তার সহযোগী এই সরকার কে তুলে ফেলুন। বাঙালি জাতির সেই লড়াই দেখিয়ে দিন, বাঙালি কেবল ইংরেজের বিরুদ্ধে লড়াই করে নি, বর্গী হানা দার এমনকি মোঘলের বিরুদ্ধে বাঙালির লড়াই করে ছিল। ইতিহাসের পাতা উল্টে দেখুন জ্বল জ্বল করে বাংলার বার ভুঁইয়া কথা। এখন আর সে সব ইতিহাস পড়ানো হয় না। আসুন বাঙালি জাতির অস্তিত্ব রক্ষার এই লড়াইয়ে সবাই সামিল হই।




No comments:

Post a Comment

পশ্চিমবঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করার সরকারি দপ্তরে শেষ চেষ্টা।

উপরের ছবি টা একটা স্কীনশট নেওয়া ছবি। ছবি টি সম্পর্কে কিছু কথা বলি তার পর অন্য কিছু কথা লেখা যাবে। ছবির দুটি অংশ উপরের অংশ একজন শিক্ষক যিনি ...