Anulekhon.blogspot.com

Friday, 11 October 2019

বণিক যখন রাজা ঠিক করে।

বাংলা নবাব গন অর্থাৎ মুর্শিদ কুলি, আলি বর্দী এবং পরবর্তীতে সিরাজ এর মধ্যে সিরাজ কে শেষ স্বাধীন নবাব বলে চিহ্নিত করা হয়। আবার অনেকে মীরকাশেম কেও শেষ স্বাধীন নবাব বলে মনে করেন । সিরাজের বিরুদ্ধে কেন ষঢ়যন্ত করা হয়েছিল। সত্য ঘটনা ছিল সিরাজ ছিল অত্যচারি, তার বিশেষ করে___উপর ছিল নজর। আরেক দিকে ইংরেজ রা দিল্লির ফরমান এনে বাংলার নবাব কে কর না দিয়ে ব্যবসা করতে শুরু করে এবং নিজেদের সুরক্ষার জন্য কলকাতায় একটি দূর্গ তৈরি করতে থাকে। এটা ছিল নবাবের রাগের কারণ, এখানে দুয়ে দুয়ে  চার। সিরাজের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে রাজা কৃষ্ণ চন্দ্র অঞ্জনা নদী কে বেঁধে দিয়ে ছিলেন। কারণ ঐ নদী পথে সিরাজ এসে অত্যাচারের বহর বাড় ছিল। সেটা সহ্যের বাইরে চলে গিয়েছিল, তখন সামন্ত রাজারা যেমন কৃষ্ণ চন্দ্র, নন্দকুমার, ঘসেটি বেগম জাফর আলি খাঁ মীর কাশেম জগৎ শেঠ উমির চাঁদ রাজা রায় দুর্লভ আরও অনেকে এবং সঙ্গে ক্লাইভ ছিলেন। কারণ ইংরেজরা কিছুতেই বাংলার নবাব কে কর দিতে চাই ছিলেন না। তার উপর সিরাজ কোলকাতার ফোর্ট উইলিয়াম দূর্গ করতে বাধা দিয়ে ছিলেন। এসব নানা কারণে পলাশীর প্রান্তরে সেই ঐতিহাসিক যুদ্ধ যেখানে প্রধান সেনাপতির কথায় অর্ধেকের বেশি সৈন্য যুদ্ধ না করে দাঁড়িয়ে ছিল। আবার কেউ কেউ বলেন বৃষ্টিতে নবাবের গোলা বারুদ ভিজে গিয়ে ছিল। এসব কারণে সেদিন নবাব হেরে গিয়ে ছিলেন। যার ফলে বাংলা তথা ভারত বর্ষ পরাধীন হয়েছিল। যাহোক এসব ইতিহাসের পাতায় আছে, আরও আছে, এর পর নবাব জাফর আলি কথা মতো ইংরেজ দের টাকা দিতে পারে নি। সেই কারণেই তাকে সরিয়ে ইংরেজরা নবাব করেন মীর কাশেম কে, আর তখন ইংরেজরা আদায় করে নেন সরাসরি জনগণের কাছ থেকে কর নেওয়ার অধিকার নবাবের কর আর ইংরেজ দের কর দুয়ের ঠ্যালায় বাংলার মানুষ চরম বিপদে পড়ে দেখা দেয় দুর্ভিক্ষ। নবাব তার ভুল বুঝতে পেরে ইংরেজের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন। তখন অনেক দেরি হয়ে গেছে, ইংরেজরা বল বাড়িয়ে নিয়েছে।কবির ভাষায় শর্বরী পোহালে বণিকের মানদণ্ড দেখা দিল রাজ দণ্ড রূপে।  যাহোক ও সব ইতিহাসের পাতায় থাক, বর্তমানে আমাদের দেশের অবস্থাও ঠিক এরকম বর্তমান বণিক শ্রেণীর টাকা খরচ করে নির্বাচনে জেতার জন্য কোন দল কে ক্ষমতায় আনা  যায় সেই জন্য এতে লাভ কর ছাড় কম সময়ে ঋণ। ঋণ শোধ না করলেও মাপ, জনগণের নাভিশ্বাস উঠে জিনিস পত্র কিনতে তাতে কি? সকলের কাজ নেই তো কি হবে? খেতে হলে যে চাল কিনতে হবে সেই টাকা টুকু উপায় করতে দম বেড়িয়ে পড়ছে। আর সেদিন বেশি দূরে নেই যে দিন এই বণিক কুল সরাসরি ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রী কে হবে তা ঠিক করে দেবে। যে টা বিজ্ঞাপন দিয়ে শুরু করে দিয়েছে এই সব বণিকের দল। অর্থাৎ ইংরেজের মতো দেশটা কে লুটে খাও। সব মানুষের কথা ভেবে কি লাভ গরীব মানুষ কুত্তা ওদের পোড়া রুটি দিলে ঠিক ভোট দিয়ে দেবে। সেই কারণেই সব সরকারি ব্যবস্থা আজ বেসরকারি হচ্ছে। কোন টা বাকি আছে, গরীব মানুষের জমানো টাকা ব্যাঙ্ক বিমা রেল ফোন টিভি চ্যানেল সেতো কয়েক বছর আগে গরীব মানুষ দেখতে পেত কম টাকায় এখন মাসে এতো টাকা হয়েছে। ওসব এখন বিলাসিতা, সত্যিই দারুণ সরকার চলছে, আমাদের রাজ্যে আরও খারাপ অবস্থা সরকার চুক্তিতে লোক নিয়োগ করছে পাঁচ ছয় বড়ো জোর দশ হাজার টাকা বেতন। নিজের দের বেতন লাখ টাকার উপর, আমার মনে আছে কংগ্রেস আমলে কি সাম আলুওয়ালা না কে বলে ছিল শহরে যে ছত্রিশ টাকা আর গ্রামের যে চব্বিশ টাকা খরচ করতে পারে সে বড়ো লোক। আমার তখন মনে হতো ওনাকে ঐ ছত্রিশ টাকা হিসেবে এক মাসের বেতন দেওয়া উচিত কারণ উনি দিল্লি শহরের বাসিন্দা ছিলেন। আর কয়েক বছর পর দেশের সব সম্পদ শিল্প উৎপাদন সরকারি পরিষেবা সব কিছু কয়েক জন শিল্প পতি মুনাফা খোর ব্যবসায়ী নিয়ন্ত্রণ করবে। তাদের ইচ্ছা অনুযায়ী দেশ চলবে যেমন ইংরেজ আমলে ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির নির্দেশে নবাব পরিচালিত হোত। দেশটা বেচে দিতে উঠে পরে লেগেছে বর্তমান সরকার। আমি একটা বিষয় বুঝতে পারছি না বাঙালি জাতি এতো বোকা হোল কী করে? সব দেখে শুনে এই দুই দল কে ভোট দিয়ে জিতিয়ে দিচ্ছে।রাজ্য সরকার ও কেন্দ্রীয় সরকার যা বলে ঠিক তার উল্টো করে চলেছে। আর চুরি গুণ্ডামি কাট মানি তোলা বাজি সব চলছে। চাকরি প্ল্যানে নাম আছে ঘুষ দেয়নি বলে চাকরি হয় নি। সব দেখেও মানুষ এদের ভোট দিয়ে জয়ী করছে, নেতা দের আঙুল ফুলে গাছ, টাকার পাহাড় করে ফেলেছে।বাম আমলে এতো খারাপ অবস্থা ছিল না।






No comments:

Post a Comment

বাঙালি ও বর্তমান ভারত।

 (ছবিটি নেট থেকে নেওয়া, একটি স্ক্রিনশট।) স্বাধীনতার পূর্বে ভারত কীরকম ছিল, ১৯৪৭ সালে ভাগ হওয়ার পর কেমন হয়েছে। কেন ভারত ভাগ করা হয়েছিল সে ...