পড়ছে পড়ছে টুকাই, পড়ছে পড়ছে নিতাই, পড়ছে পড়ছে বাবাই, পড়ছে পড়ছে সবাই। পড়ছে পড়ছে ইঁট, পড়ছে পড়ছে পাথর। কেউ বোঝে না তাদের কদর, বুঝবে কি আর, লাগলে পরে কম্ম কাবার , না হয় সাবার ।কেউ নেই কেউ নেই আর তাকে বাঁচাবার। সবাই তখন ছুটে হচ্ছে দেখবে পগার পার, চায়ের দোকান দার খোকন বলল ” থাম থাম ভোলা থাম। রবি ঠাকুর বেঁচে থাকলে তোর কবিতা শুনে লেখা বন্ধ করে দিতো তুই রবি ঠাকুর হয়ে যেতিস।” ভোলা ” কেন আমি কি খারাপ লিখেছি। দেখবে আমি একদিন নোবেল পাব। তখন তোমাদের হিংসে হবে। জানতো আমি বিনা পয়সায় পড়াই, আমার একটা মাষ্টার দের টিম আছে। তাদের হাতে কয়েক টাকা তুলে দিই। আগে আর্ট পেপারে কয়েক টা আঁচর কেটে দিতাম ভ্যাবলা কয়েক হাজার টাকা দিয়ে কিনে নিত।,” হরি, তখন হাটে জামা কাপড় বিক্রি করে এসে গেছে। আজ মসাট হাট ছিল সেখানে গিয়ে ছিল বিক্রি করতে। এসে ও ঐ চায়ের দোকানে হাজির, বলল,” তা তোর ভ্যাবলা দা কোথায়?” ভোলা,” ঐ ফাণ্ড গণ্ডগোল হলো সে জেলে। কি করব আমি কবিতা লেখা শুরু করে দিলাম, জান আমার দুটো বই বেড়িয়েছে, ঐ যে নেপো গাড়ি তে বই বিক্রি করে ও আমার বই গাড়িতে বিক্রি করে দেয়। যা আসে ও অল্প কিছু নেয়, আর বেশি টা আমাকে দেয়। ঐ দিয়ে আমি মাষ্টার দের দল টা চালাই।” হরি,” তোর এই পড়ানোর কথা শুনে আমার একটা কথা মনে পড়ে গেল, আমার নাতনি টা ফোরে পড়ে, মাষ্টার কালকে সাধারণ কিসব পারছিল, কোথায় পরীক্ষা দিতে যাবে কম্পিউটারে।” চায়ের দোকানদার,” আরে ওটা কম্পিটিশন আসছে রবিবার হবে। ও তো আমার ছোট ছেলে পরীক্ষা টা দেবে। তা হরি কাকা তুমি কী বল ছিলে? ” হরি,” কী বলব ঐ মাষ্টার আমার নাতনি কে প্রশ্ন করা ছিল। নাতনি কে জিজ্ঞেস করল বলত মহম্মদ বিন তুঘলগের বড়ো কীর্তি কী? নাতনি বলল কেন রাজধানী পরিবর্তন, মাষ্টার জিজ্ঞেস করল কোথা থেকে কোথায়? নাতনি বলল কেন, কলকাতা থেকে হাওড়ার ডুমুরজলা। আগে নাম ছিল রাইটার্স এখন নাম নবান্ন। নাতনি কে জিজ্ঞেস করল রবীন্দ্র নাথ কত সালে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন? আমার নাতনি উত্তর দিল ১৮১৩ সালে। মাষ্টার বলল ১৯১৩ হবে। নাতনি আপনি ভুল বলছেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জন কীসের সাথে দেখা করে ছিল। জন কীটস ১৭৯৫ সালে জন্ম গ্রহণ করেন ও ১৮২১ সালে মারা যান। যদি ১৮১৩ না হবে, তবে কীভাবে রবি ঠাকুর কীটসের সাথে দেখা করল। ” মাষ্টার কী বলবে ভেবে পেলেন না। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, বলতো সিধু কানু কে? নাতনি উত্তর দিল,” ডহর বাবুর কেউ হবে। মাষ্টার মশায় বলল, ওহো অলচিকি ভাষায় ডহর পুকুর নয় বাগান হবে। ওরে তুই কিচ্ছু জানিস না। বলতো মোমবাতি মিছিল কখন হয়? নাতনি – “ছাত্র বা ছোট কেউ মারা গেলে হতো, এখন আর হয় না। ” মাষ্টার তারমানে, নাতনি এখন মোমবাতি কেনার পয়সা নেই, ভ্যাবলা কাকু থাকলে অনেক পয়সা থাকতো। এখন ঐ ভূষণ আর শ্রীর অল্প টাকায় অত মোমবাতি কেনা যায় না। মাস্টার মশাই, বলত, শক্তি গড়ে কি শিল্প? কেন ল্যাংচা। এবার বলত পশ্চিমবঙ্গের বিখ্যাত শিল্প কী? কেন চপ শিল্প আর টুল পেতে চা শিল্প। বলত হিং টিং ছট এই বিখ্যাত গান কার লেখা? কেন আমার বাবার দিদি মানে আমার পিসিমনির লেখা। তুই ভীষণ পেকেছিস তোর দ্বারা আর কিছু হবে না। আমি জানি না আমার নাতনি সব ভুল বলল কিনা!
Anulekhon.blogspot.com
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
বাঙালি ও বর্তমান ভারত।
(ছবিটি নেট থেকে নেওয়া, একটি স্ক্রিনশট।) স্বাধীনতার পূর্বে ভারত কীরকম ছিল, ১৯৪৭ সালে ভাগ হওয়ার পর কেমন হয়েছে। কেন ভারত ভাগ করা হয়েছিল সে ...

-
সরস্বতী পুজোর পদ্ধতি, পরপর যা করতে হবে।১)আচমন ২)বিষ্ণু স্মরণ ৩)স্বত্ত্বি বাচন ৪) স্বত্ত্বি সূক্ত ৫) সাক্ষ্য মন্ত্র ৬) বরণ ৭) সংকল্প ৮) স...
-
আমি এর আগে একটি ব্লগে লিখেছি, দুর্গা যষ্টী পূজার মন্ত্র ।এখানে বলি আমি পণ্ডিত নই, বিভিন্ন ধরনের বই পড়ে, আর দু একজন ব্রাহ্মণের সাথে কাজ ...
-
ছবি টি কীসের বা কোন প্রাণীর নিশ্চয়ই বলে দিতে হবে না। মানুষের প্রথম পোষ মানা প্রথম প্রাণী, হয়তো অনেকেই পড়ে বলবেন এবার নতুন কী এতো আমরা স...
No comments:
Post a Comment