আসামের NRC হয়েছে, উনিশ লক্ষ মানুষ বিদেশী বলে চিহ্নিত। (বাংলা ভাষী) এর একটাই কারণ পাশে বাংলাদেশ তাদের ভাষা বাংলা, হিন্দি ভাষার কেউ বিদেশী নন, কারণ স্বাধীনতার সময় তাদের অংশ গ্রহণ যেমন ছিল না বললেই চলে। আর ধর্মের নামে দেশ ভাগ হলেও, বাংলা আর পাঞ্জাব কে সহ্য করতে হয়েছে দেশ ভাগের যন্ত্রণা, ভারতের এই দুই জাতি স্বাধীনতার জন্য বেশি মুখর ছিল। পাঞ্জাবী ও বাঙালি হিন্দুর সংখ্যা কম কারণ এই দুই জাতি দেশ ভাগের সময় কীভাবে নিজের আত্মীয় স্বজন কে শোর্ড, আর বন্দুকের সামনে দাঁড়িয়ে প্রাণ দিতে হয়েছে। নিজের চোখে দেখেছে, কত মা বোনের ইজ্জত গেছে ভাই আর স্বামী সন্তান ইজ্জত বাঁচাতে নিজের প্রাণ দিয়েছে। সেসব অত্যাচার আর অবর্নীয়। যদিও আমরা ইতিহাসে এসবের সামান্যই পড়েছি, ইতিহাস বিকৃতির জন্য, সঠিক ইতিহাস তুলে ধরা হয় নি। তখনও কোন মানুষ কে দেখিনি, এসব অত্যাচার বন্ধ করতে, অবশ্যই বলবেন বাঙালি জাতি বিদ্বেষী ব্যক্তি টি নোয়াখালী তে গিয়ে ছিলেন, কাটা ঘায়ে নুনের ছিটে দিতে। সেখানে কি ঘটে ছিল, আমার জানা নেই, ইতিহাসে ওসব উল্লেখ নেই। বর্তমানে আবার কিছু বাঙালি বিদ্বেষী ক্ষমতা দখল করে বাঙালি জাতি স্বত্তা কে ধ্বংস করে দিতে চাইছে। ভারতের একমাত্র জাতি যারা আগা গোড়া শিক্ষা দীক্ষা সংস্কৃতি তে এগিয়ে এদের মেধা এই জাতির গর্ব। আজ বলে নয় পরাধীন ভারতেও এই জাতি ছিল সব কিছুতেই অগ্রণী। ব্রিটিশ সরকার দেখে ছিল বাঙালি জাতি যদি ঠিক থাকে তাহলে ভারত কে শাসন করা যাবে না। সেই কারণেই 1905 সালে ধর্মের নামে বাংলা ভাগ করে দেওয়ার চেষ্টা করে ছিল, পারেননি বাঙালির আন্দোলনের জন্যে। আর সেই কাজ করে ছিল তৎকালীন কংগ্রেসের নেতারা যারা ক্ষমতার লোভে দেশ ভাগ করে দিয়ে স্বাধীনতা নিয়ে ছিল। এমন বাঙালি বিদ্বেষ ব্রিটিশদের সাথে চুক্তি করে নেতাজী কে যুদ্ধ অপরাধী ঘোষণা করে দেশে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। জানত সুভাষ বা নেতাজী দেশে ফিরে এলে তাদের আর ক্ষমতা দখল করা হবে না। সেই বাঙালি বিদ্বেষ এখনও চলছে। আসামের মানুষ গুলোর কি অবস্থা প্রতি নিয়ত পুলিশ হানা দিচ্ছে, জেল তথা ডিটেনশন ক্যাম্পে বন্দি করে রাখতে হবে সেই জন্য। আজ আবার একটা খবর দেখলাম ডিটেনশন ক্যাম্পে থাকা একজন অবসাদে আত্মহত্যা করেছেন। 
কোথায় মানবাধিকার কমিশন, কোথায় রাষ্ট্র পুঞ্জ। আমি জানি না, কোন রাষ্ট্র পারে যে কোন ব্যক্তি বা জাতি গোষ্ঠীর নাগরিকত্ব বাতিল করে দিতে ভাষার ভিত্তিতে। কারণ তাদের পাশের দেশের মাতৃভাষা বাংলা, পক্ষান্তরে এটা বলা হচ্ছে না কি তোমরা বাঙালি তোমাদের জন্য আলাদা দেশ করে দেওয়া হয়েছে। তোমরা এদেশে থাকতে পারবে না। ভাগের সময় যে অংশ মানে পশ্চিমবঙ্গ সেটা হিন্দি ভাষার মানুষের জন্য। কারণ তারাদের দেশ ভাগ হয় নি। সেই কারণেই দীর্ঘ দিনের নাগরিকের নাগরিকত্ব বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। অথচ তাদের ভোটে জিতে সরকার পরিচালনা করছেন। তাদের নাগরিকত্ব বাতিল হলেও ভোট বাতিল নয়। যদিও পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে জানানো হয়েছে এই রাজ্যে এন আর সি হবে না। সেই জন্য সরকার কে ধন্যবাদ। নেতা মন্ত্রী দের এতো মিথ্যা ভাষণ আর প্রতিশ্রুতি শুনেছি। সে আর বলার কথা নয়, আমরা সাধারন মানুষ শান্তি চাই, শান্তি থাকলেই আসে উন্নতি।

কোথায় মানবাধিকার কমিশন, কোথায় রাষ্ট্র পুঞ্জ। আমি জানি না, কোন রাষ্ট্র পারে যে কোন ব্যক্তি বা জাতি গোষ্ঠীর নাগরিকত্ব বাতিল করে দিতে ভাষার ভিত্তিতে। কারণ তাদের পাশের দেশের মাতৃভাষা বাংলা, পক্ষান্তরে এটা বলা হচ্ছে না কি তোমরা বাঙালি তোমাদের জন্য আলাদা দেশ করে দেওয়া হয়েছে। তোমরা এদেশে থাকতে পারবে না। ভাগের সময় যে অংশ মানে পশ্চিমবঙ্গ সেটা হিন্দি ভাষার মানুষের জন্য। কারণ তারাদের দেশ ভাগ হয় নি। সেই কারণেই দীর্ঘ দিনের নাগরিকের নাগরিকত্ব বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। অথচ তাদের ভোটে জিতে সরকার পরিচালনা করছেন। তাদের নাগরিকত্ব বাতিল হলেও ভোট বাতিল নয়। যদিও পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে জানানো হয়েছে এই রাজ্যে এন আর সি হবে না। সেই জন্য সরকার কে ধন্যবাদ। নেতা মন্ত্রী দের এতো মিথ্যা ভাষণ আর প্রতিশ্রুতি শুনেছি। সে আর বলার কথা নয়, আমরা সাধারন মানুষ শান্তি চাই, শান্তি থাকলেই আসে উন্নতি।
No comments:
Post a Comment