এই নোবেল জয়ী কে নিয়ে নানা ধরনের মন্তব্য বা বক্তব্য দেখছি ফেসবুকে। আর এই ফেসবুক যেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রচারের মাধ্যম, কেউ কেউ এনার নোবেল পুরস্কার পাওয়া নিয়ে এমন সব কথা বলে দিচ্ছেন। যে গুলো পড়ে মনে হচ্ছে বাঙালি জাতি সত্যিই তার সংস্কৃতি কে কত নীচে নিয়ে গেছে কেবল রাজনৈতিক ফায়দা তোলার জন্য। সত্যি বাঙালি আর সেই বাঙালি নেই, না হলে কবিগুরু রবীন্দ্র নাথ ঠাকুরের নোবেল প্রাইজ চুরি হয়ে যায়। সেটা আর খুঁজে পাওয়া যায় না, আর এনাকে নিয়ে এমন সব নিম্ন মানের ভাষা ব্যবহার করছেন। কেউ কেউ এনার পরিবার নিয়ে মন্তব্য করছেন। সত্যি বাঙালি তার রুচি বোধ হারিয়ে ফেলেছে। অনেকেই বলছেন উনি বামপন্থী, আমি যতদূর জানি উনি যেটা নিয়ে কাজ করেছেন, বা করছেন সেটা সম্পূর্ণ বামপন্থা কে সমর্থন করে না। তবে গরীব মানুষের কীভাবে অর্থনৈতিক উন্নয়ন করা যায় সেটাই ওনাদের গবেষণার বিষয়। উনি সম্পূর্ণ রূপে সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতি নিয়ে লিখেছেন, বা গবেষণা করেছেন, সেটা প্রয়োগ করেছেন। এমন কিন্তু না, যদি উনি এটা করতেন তবে মনে হয় না........। এই তিন জন যে অর্থনীতি তে যৌথ নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন এরা গত কয়েক বছর ধরে ভারত সহ বিশ্বের কুড়িটির দেশে গরীব মানুষ দের আর্থিক উন্নতি কিভাবে করা যায় তা প্রয়োগ করে দেখিয়েছেন। ভারতের গুজরাত সহ বিভিন্ন বিভিন্ন রাজ্যে কাজ করেছেন। আর ওনার এতো সমালোচনা হতো না, যদি উনি বলতেন ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়ে শোধ না করে কীভাবে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে হবে। কি সাম মোদী, মারিয়া, চোকসি আরও কয়েক জন। আর ভোট এলে পাকিস্তানে স্টাইক চালাতে হবে। এই সামান্য চার না তিন রাজ্যের বিধানসভা ভোট তাতেই পাকিস্তানে স্টাইক হয়ে গেল। আর যদি উনি বলতেন সরকারি সব ব্যবস্থা তুলে দিতে দিয়ে আম্বানি আর আদানি কে ব্যবসা করতে দিতে হবে। বি এস এন এল তুলে দিয়ে জিও চালু করার কথা বললে, রেল ওদের কে বিক্রি করে দিতে হবে
কর্মী ছাঁটাই করতে হবে। টিকিট বিক্রি থেকে ট্রেন সবটাই থাকবে বেসরকারি হাতে। কারণ রেলের আয় হয় উল্টে খরচ বেশি। রেল পুলিশ ও কর্মচারীরা ফাঁকি বাজ ঘুষ খোর চোর। আমি এই কথা লিখছি কেউ আমাকে প্রাদেশিক ভাববেন না। না থাক পরে লিখবো, তার আগে একটা কথা নোবেল জয়ী অর্থনীতি বিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায় যদি বলতেন সরকারি ব্যাঙ্ক বিমা বন্ধ করে দেওয়ার কথা সব বেসরকারী থাকবে। মহারাষ্ট্রের ব্যাঙ্ক লাটে উঠে গেছে, সেই লালবাতি জ্বালা ব্যাঙ্কের থেকে কোন রকম টাকা তোলা যাচ্ছে না। একজন ৯৯ লক্ষ টাকা রেখে ছিলেন শোকে তিনি হৃদ রোগে মারা গেছেন। আবার রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ফরমান জারি করেছে আপনার ব্যাঙ্কে যত টাকা থাক ব্যাঙ্ক দেউলিয়া ঘোষণা করলে আপনি এক লক্ষ টাকার বেশি পাবেন না। ১৯৬০ সালের আগে সব ব্যাঙ্ক বেসরকারি ছিল অনেক ব্যাঙ্ক ব্যবসা চালাতে না পেরে দেউলিয়া ঘোষণা করছিল। এই সময় ১৯৬২ সালে বাম সমর্থনে দিল্লি তে ইন্দিরা গান্ধী সরকার তৈরি করে তার একটা শর্ত ছিল ব্যাঙ্ক জাতীয় করণ করা। আর আজ সেই জাতীয় করণ বাদ, তার থেকেও মারাত্মক টাকা পাবেন না ফরমান। অভিজিৎ বাবু যদি সাহস করে বলতেন, সারদা সহ নানা চিটফাণ্ড আর নারদার টাকা হজম করলেও জেলে যেতে হবে না। আর এই সব সত্য কথা বলা বা অন্য কোন তোলা বাজি প্রচার করলে ঘুষ দেওয়া নেওয়া দেখালে তাহলে সণ্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় হতে হবে। উনি যদি বলতেন যারা এসব করেছেন বা গরীবের টাকা বাটপারি করেছেন তাদের দলে নিলে দোষ চাপা পড়ে যায়। গরীব মানুষ মরুক বছরের পর বছর তদন্ত চলছে চলবে। অপরাধী দলের সম্পদ, তাহলে ওনার সমালোচনা কেউ করতে পারত না।
No comments:
Post a Comment