Anulekhon.blogspot.com

Tuesday, 22 October 2019

বাংলা পক্ষ বলে একটা বাঙালি সংগঠনের প্রতিবাদ।



 "বাংলার পক্ষ" বলে একটি সংগঠন যারা বাঙালির জন্য আন্দোলন শুরু করেছে, তাদের আমি সমর্থন করি। তার জন্যে অনেকে আমাকে হয়তো বলবেন আপনি প্রাদেশিকতা উস্কে দিচ্ছেন, বাঙালি জাতি নিজেদের আগে ভারতীয় ভাবে তারপর বাঙালি এটা ঐ হিন্দি ভাষার মানুষ গুলো ভাবে না। ঐ হিন্দি ভাষার মানুষ গুলো অন্য ভাষার মানুষের সাথে প্রতিনিয়ত দূর্ব্যবহার করে। আমার জানা আছে বাংলা থেকে কিছু যুবক বিহারে রেলের চাকরির পরীক্ষা দিতে গিয়ে ছিল তাদের অপমান করে মেরে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। আবার আপনি রেলে রাতে ট্রেন বাদে দিনের বে কোন মেল এক্সপ্রেসে যাচ্ছেন ট্রেন বিহারের কোন স্টেশনে দাঁড়িয়ে পড়ল হুরমূর করে ট্রেনে উঠে পড়ে আপনার রিজার্ভ থাকলেও আপনার কোলে বসে পড়বে। আপনি প্রতিবাদ করতে গেলে মার খাবেন জি আর পি বলুন আর রেল পুলিশ বলুন কিছু বলবে না। সেই সময়ে ওদের একটা বুলি এটা বিহার বাঙ্গাল নেহি, ওরা কিন্তু ভাবে না এরাও ভারতীয়, পরে বাঙালি বিহারি। এই সব দেখে শুনে আমার মনে হয় বাঙালি জাতি বড়ো দেরি করে ফেলেছে। এই বাঙালি জাতি কে এদের পূর্ব পুরুষ এক গুজরাতি আর এক প্রবাসী দেশের ক্ষমতা দখল করতে গিয়ে অনেক আগেই ভাগ করে দিয়েছে। হিন্দু মুসলমান তো ছিলই তার উপর বাঙাল ঘটি, আবার হিন্দু ধর্মের মধ্যে যে ভাগ মুচি মেথর ডোম এটা পশ্চিমবঙ্গে এখন কম দেখা যায় কারণ পশ্চিমবঙ্গ ৩৪ বছর বাম শাসন ছিল তারা এই সব জাত পাত মানতে দেয়নি। এই সব ভাগ কিন্তু হিন্দি ভাষা ভাষি দের মধ্যে আছে। আমি জানি না আমার লেখা কত জন পড়েন, তবুও বলছি বাঙালি জাতি কে আরও কোন ঠাসা করতে এন আর সি কারণ এই হিন্দি ভাষার লোক জন দেখছে আমরা কিছুতেই এদের দমন করতে পারছি না। তাই বাংলায় এন আর সি করে আসামের মতো এদের জেল বন্দি করে রাখতে হবে। এই কাজে মদত দেবে বর্তমান শাসক দল, এরা দূর্বল সি বি আই আছে। একুশ সালের আগে আবার ঐ সি বি আই জেগে উঠে ঐ পুলিশ কমিশনার কে গ্রেফতার করতে যাবে বা করবে এক প্রস্থ নাটক মঞ্চস্থ করে সেটিং হয়ে যাবে। দেখলেন না অমিত শা কে বামেরা কালো পতাকা দেখালো তাদের জেলে ভরে দিল সণ্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় কেবল মাত্র সঠিক খবর প্রচার করেছেন তাকে জেলে যেতে হলো। এই তো বর্তমান সরকারের অবস্থা। আমার মতে এখন থেকেই এই হিন্দি ভাষী দের অত্যাচারের বিরুদ্ধে লড়াই  জারি রাখতে হবে। আমার এসব পড়ে একজন মানুষ যদি বাঙালি জাতির বর্তমান ও আসছে ভীষণ দূর্দিনের কথা ভেবে একখন থেকে লড়াই আন্দোলন করতে পারে সেটা হবে আমার সাফল্য। বাঙালি আর ঘুমিয়ে থেক না, যেখানে এই হিন্দি ভাষা ভাষির অত্যাচার দেখবে সেখানেই প্রতিবাদ করো। সঙ্গে কেউ না আসে আমার মতো একা, আমাকে কেউ যদি বলে আপনি প্রাদেশিকতা উস্কে দিচ্ছেন। আমি বলছি আপনি সাধারণ মানুষ হিসেবে বিহারে গিয়ে থাকবেন বা এখন গুজরাতে নামবেন আপনাকে প্রথম কতগুলো RSS ছেলে এসে জিজ্ঞেস করবে কি করতে গেছেন, বেড়াতে বললে স্বাগতম তাতেও আপনার উপর নজর রাখা হবে আপনি ঠিক ততদিন পর্যন্ত ওখানে আছেন না চলে গেছেন। আপনার যদি বিশ্বাস না না হয় কোন সাধারণ মানুষ যারা এই সময়ে গুজরাত ঘুরে এসেছে তাদের জিজ্ঞেস করে দেখুন। এসব যদি ঠিক করে তাহলে আমরা বাঙালি কেন করব না, মারাঠা দের শিব সেনা আছে, আর বাঙালির যদি বাংলা সেনা বা দুর্গা বাহিনী থাকে ক্ষতি কি? আসুন আমরা আরও জোট বদ্ধ হই আমরা এই বাংলা কে আর বাঙালি ছাড়া করতে দেব না। আগামী ২০২১ একুশে সেই দলকে ক্ষমতায় আনব যারা দূর্নীতি জন্য জেল হাজতে যায়নি। গত ৩৪ বছর রাজত্ব চালিয়ে একটা নেতা মন্ত্রী গায়ে দূর্নীতির পাঁক লাগে নি। কারণ এই সরকারের দূর্বলতা এই সুযোগ ও এই দলের বেশ কিছু মিথ্যা বাদি দূর্নীতি গ্রস্থ নেতাই আজ কেন্দ্রীয় শাসক দলে নাম লিখিয়েছে। অনেকেই ভাবছেন, আমি তো ঠিক আমার কিছু হবে না, এই জন্যই বাঙালি জাতির আজ এই অবস্থা এই জন্যই ওরা সুভাষ বোস তথা নেতাজী কে দেশে ঢুকতে দেয়নি। ওরা জানে বাঙালির একতা নেই, কারণ ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে একশ্রেণি বাঙালি লড়াই করে ছিল, এবং আরেক দল বাঙালি ব্রিটিশদের গোলামী করত ও পা চাট তো, এই শ্রেণীর বাঙালির সংখ্যা অনেক এর সুযোগ নিয়ে তারা দেশ স্বাধীন করার সময় বাংলা ভাগ করে দিয়ে ছিল। কারণ বাঙালি জাতির মেরুদন্ড ভেঙে গেলে তারা পদানত থাকবে দিল্লির গোলাম হয়ে থাকবে সেটাই ঘটে ছিল এই বাংলার কিছু কুলাঙ্গার বাঙালি হয়ে বাঙালির ওদের কাছে মাথা নত করে ক্ষমতায় বসে ছিল। আর ওরা দিল্লি থেকে যা বলত সেটা মেনে নিয়ে ছিল। এখনো আমি দেখেছি কিছু ক্ষমতা লোভী মানুষ এক গ্লাস মদ আর মাংস খাওয়ার লোভে ও দু টাকা কিলো চাল পাওয়ার লোভে এবং দু লক্ষ টাকা ঘুষ দিয়ে পাঁচ হাজার টাকার চাকরি পাবেন এই আশায় ঐ সব ক্ষমতা লোভী দের কথায় ভোটের আগে বা ঐ দিন নিজের ভাইয়ের বুকে ছুরি চালিয়ে দিচ্ছে। আমি বিভিন্ন সোশাল মিডিয়ায় দেখছি এখনও বেশ কিছু বাঙালি জয় শ্রী রাম ধ্বনি দিচ্ছে। আর তাদের দিল্লির নেতারা প্রতিনিয়ত হুমকি দিচ্ছে এন আর সির, এরা দেখছে আমার কিছু হবে না। আমি সুরক্ষিত, আর দিল্লির লোক বা ক্ষমতা বান নেতারা বলছেন এন আর সি হবেই, এ বাংলায়। আমি যতদূর বুঝি ঐ হিন্দি ভাষা ভাষীর মানুষ জন্ম নিয়ন্ত্রণ করে না। ছারপোকার মতো বংশ বিস্তার করে এদের বাসস্থান দরকার সেই জন্য এন আর সি করে বাঙালি কে ডিটেনশন ক্যাম্পে বন্দি করে রেখে আপনার আমার বাড়িতে ওরা বাস করবে। অর্থাৎ বাংলায় বাঙালির জায়গা হবে না, এপার বাংলা তথা পশ্চিমবঙ্গের কিছু মানুষ আছেন যারা ভাবছেন খুব ভালো হবে। ওরা তো বলছেন হিন্দু দের তাড়ানো হবে না। তাদের ছ বছর ঐ ভাবে বন্দি করে রেখে তার পর নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। আপনি আমি
 হিন্দু ধর্মের তাই ভাবছি ছ বছর দেখতে দেখতে কেটে যাবে। আসামের হিন্দু বাঙালিও একই ভেবে ছিল, কপালে জুটেছে অন্য এদের অবৈধ নাগরিক ঘোষণা করা হয়েছে, কিন্তু এদের ভোটে যারা জিতে সরকার চালাচ্ছে তারা বৈধ নাগরিক, সব থেকে ঝামেলা গরীব মানুষের তাদের পূর্ব পুরুষ অত লেখা পড়া জানত না, ভাবেনি পঞ্চাশ বছর পরে তাদের নাগরিকত্ব প্রমাণ করতে জণ্ম শংসাপত্র বা বিদ্যালয়ের পড়াশোনার প্রমাণ পত্র লাগবে। আমি সমস্ত বাঙালি জাতি কে বলছি আর ভাবার সময় নেই, আসুন সকলে মিলে বাঙালি জাতি কে রক্ষা করি স্বাধীনতার সময় যে
ভাবে ধর্মের নামে বাংলা ভাগ করে লক্ষ লক্ষ বাঙালি কে খুন করে পদ্মার জলে ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এবার আমরা আর তা করতে দেব না, আমার বাংলা মায়ের কোন সন্তান  ডিটেনশন ক্যাম্পে যাবে না। আমরা ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে লড়াই করা সেই জাতি এবার এই হিন্দি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করব। বাংলা মা দিচ্ছে ডাক এন আর সি নিপাত যাক। বাংলা মায়ের দামাল ছেলের দল আবার জেগে ওঠো, তোমার শিয়রে আজ বিপদ। নজরুলের সেই বিদ্রোহী কবিতার প্রথম কটা লাইন বা আমি রণ ক্লান্ত, আমি সেই দিন হব শান্ত হয়ত কথা গুলো ঠিক হোলো না। আবার সেই বিখ্যাত গান আমরা শান্তি প্রিয় শান্ত ছেলে, এবার আসছে কালি পূজোয় বেজে উঠুক সেই সময়ের বাংলা গান। আর দেরি নয় আর মা কালি যেন আমাদের ভবানী পাঠকের কালি হয়ে ওঠেন মনের সমস্ত কালিমা বিভেদ দূর করে এগিয়ে যাবে বাঙালি জাতি। 

No comments:

Post a Comment

বাঙালি ও বর্তমান ভারত।

 (ছবিটি নেট থেকে নেওয়া, একটি স্ক্রিনশট।) স্বাধীনতার পূর্বে ভারত কীরকম ছিল, ১৯৪৭ সালে ভাগ হওয়ার পর কেমন হয়েছে। কেন ভারত ভাগ করা হয়েছিল সে ...