Anulekhon.blogspot.com

Wednesday, 16 October 2019

কৃষক যত মরবে, ভারতে গরীবি আরও বাড়বে।

ভারত যে গরীব তার প্রমাণ আমাদের দেশের সংসদ ভবনের ক্যান্টিনের খাবারের দাম, বর্তমানে ভারতের ৫৫৪ সাংসদের মধ্যে ৪৩৪ সাংসদ কোটি পতি কেউ কেউ কয়েক শ কোটি টাকার মালিক। তাদের বেতন আর খাবার ব্যবস্থা সাধারণ মানুষ ভাবতে পারে না।
এই রকম মহান ব্যক্তিরা দেশের গরীব মানুষ খেতে পেল কি না পেল কি চিন্তা করবে। যে দেশের ৭০%থেকে ৮০%মানুষ কৃষি কাজের সাথে যুক্ত, সেই দেশের কৃষক ফসল চাষ করতে পারে না। সার আর বীজের দাম আকাশ ছোঁয়া, আর ফসল বিক্রি নেই, সব রাজ্যে সমান রাস্তায় ট্রেনের কামরায় ভিক্ষারির ছড়াছড়ি। যে দেশের মন্ত্রীরা কথায় কথায় মিথ্যে কথা বলে, ক্যামেরা দেখে অভিনয় করে প্রচার থাকার জন্যে, আর দিন রাত কি করে নিজের ছবি কাগজে ছাপা হবে তার চিন্তা করে। আর নিত্য নতুন ঘোষণা করা হয়, এই করে দেব ঐ দেব বাস্তব ফাঁকা। কাজ কর্ম হীন বেকার লোকের উপায়ের কথা না ভেবে নিজেদের আঁখেরের যোগার করে কোটি কোটি টাকা উপার্জন করে, এই সব নেতা মন্ত্রী দেশের জন্য কোন চিন্তা নেই, কেবল ঘোষণা আছে। আজই কাগজে একটা ঘোষণা দেখলাম গর্ভবতী নারীর সমস্ত খরচের দায়িত্ব নেবে সরকার অর্থাৎ চটক দারি ঘোষণা হয়ে গেল। মানুষ পেল কি না পেল দেখার দরকার নেই, কিম্বা পেতে হলে নেতা মন্ত্রী দের ভাগ দিতে হবে। কারণ এখানে সরকারের কিছু পেলেই ভাইয়ের ভাইপোর ভাগ চাই আর ও দাদার দল ওনার তো ভাই ভাইপো আছে। সবার সামনে কাগজে বড়ো বড়ো বিজ্ঞাপন দিয়ে ঘোষনা হলেই, দু তরফের ভাইপো, ভাইয়ের দল উঠে পরে লাগে করে দেবে ভাগ চাই। দু টাকা কিলো চাল সঠিক লোক পায় না। অনেক গ্যাঁড়া কল পার হলে, তবে সঠিক লোকের কাছে পৌঁছনো যায়। দেশের তথা রাজ্যের অর্থনৈতিক অবস্থা আরও খারাপ হবে এই সরকার যত দিন না, চটক দারি ঘোষণা বন্ধ করে সঠিক ভাবে মানুষের করের টাকা খরচ করবে। আবার এটাও ঠিক সরকার গুলো সে রাজ্য হোক আর কেন্দ্র তারা যদি ভাবেন যে জনগণের করের টাকা তাদ নিজের টাকা ইচ্ছে মতো খরচ করতে কোন বাধা নেই। আমি এর আগে আরেকটা লেখাতে লিখেছিলাম, কিছু দিন বাদে শিল্পপতি রা লঙ্গর খানা খুলে একবেলা খেতে দেবে মানুষ ভিক্ষারির মতো লাইনে দাঁড়িয়ে থাকবে। আমরা ভাবছি এই রাজ্য বাধ থাকবে না বন্ধু না এ রাজ্যের অবস্থা ভালো নয়। পূরানো কলকারখানা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, নতুন তৈরি করা হচ্ছে না। আর সরকারি টাকা লুঠ চলছে, সে যে ভাবেই হোক, সামান
 স্কুলের টাকা খরচ করতে দিচ্ছে না। অথচ এবারের টাকা এসেছে খেলা থেকে খুচরা খরচ সব করা যাবে। কি হচ্ছে, দিদির ভাই বোন সভাপতি আর যাবে কোথায়? বলে দিচ্ছে চেকে স্বাক্ষর করব না। শিক্ষক খরচ করছে তার বেতন থেকে বা ছাত্র দের থেকে নিয়ে উপায় নেই। এই রকম সব নেতা মন্ত্রী থাকলে কি ভাবে উন্নয়ন হবে। ঐ রাস্তার পাথর সিমেন্ট গুর বেশির জন্য গরু তে খাবে। আর ভারত তথা রাজ্যের অর্থনৈতিক অবস্থা বাংলাদেশের বা নেপালের থেকে নীচে চলে যাবে।

No comments:

Post a Comment

পশ্চিমবঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করার সরকারি দপ্তরে শেষ চেষ্টা।

উপরের ছবি টা একটা স্কীনশট নেওয়া ছবি। ছবি টি সম্পর্কে কিছু কথা বলি তার পর অন্য কিছু কথা লেখা যাবে। ছবির দুটি অংশ উপরের অংশ একজন শিক্ষক যিনি ...