Anulekhon.blogspot.com

Sunday, 30 June 2019

আনন্দ বাজার পত্রিকার ঐ সাংবাদিক কে? ছবি টি কপি পেস্ট নয় তো!

আনন্দ বাজার পত্রিকার ছবি, এই সাংবাদিক কে প্রশ্ন বাংলায় এতো সুন্দর প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় বাড়ি কোথায় হয়েছে? আমি বাম আমলে তো দেখি নি, এই আমলে মরা মানুষের নামে টাকা তুলে নেওয়া হয়, আমি দেখেছি প্রধানমন্ত্রী বা ইন্দিরা আবাস যোজনা বাড়িতে এখনো জানালা লাগাতে পারে নি। বাড়ি টা হয়েছে ধরুন আট থেকে দশ বছর আগে। আপনি যে ছবি দিয়েছেন, দেখতে ভালো লাগছে, সঠিক ঠিকানা দিন। নিজের চোখে দেখে আসি, চোখ জুরিয়ে যাবে। কারণ পশ্চিমবঙ্গের কোন সরকারের আমলে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় এমন সুন্দর ছাদের বাড়ি সে তো স্বপ্ন। ছবি টি নিশ্চয়ই কপি পেস্ট করা নয়, কপি পেস্ট না হলে ভীষণ খুশি হব, গরীবের জন্য ঘর খুব ভালো লাগলো। আপনার সত্যি জবাব নেই, আপনার মতো সাংবাদিক কে অবশ্যই এই বাংলার দরকার, এতো সুন্দর সুন্দর খবর যোগার করে দেন। আবার দেখুন, গত লোকসভা নির্বাচনের সময় উত্তর বঙ্গের দিকে, আপনার পত্রিকার সাংবাদিক কে কি পেটা পিটল। পুলিশ কেস হয়েছিল? ভাঙা ক্যামেরা কিনে দিয়েছে তাই না, চালিয়ে যান, আর দেড় দু বছরের মধ্যে বিধান সভা ভোট, তখন আবার আদর গায়ে একটু হাত বোলাবে তাতে কী? ওটা জল খাবার কি বলেন? আপনি আর কি করবেন, বলুন আপনার উপর মহল যা বলবে আপনি তাই করবেন কেমন। তবে আগামী বিধানসভার ভোটে ছাপ্পা ভোট দেখাবেন না। শুধু শুধু মার খাবেন, এটা ঠিক নয়। আপনাদের পাশাপাশি আরেকটা পত্রিকা আছে, যে বাম আমলে ভগবান ছাড়া আর কাউকে ভয় করে না। এখন দেখি ভয় পায়, কী করে কালী ঘাটে পঁয়ত্রিশ টা প্লট এলো, প্রসাদ তৈরি হলো, এসব খবর আর লেখে না। তাহলে ভয় খায় কি বলেন? 

ধর্ম নিরপেক্ষ দেশ, হিন্দুদের অমর নাথ যাত্রায় সেনা পাহারা লাগে কেন?

আমাদের ধর্ম নিরপেক্ষ দেশ সংবিধানের কত ধারায়, না কোন অধিকারে লেখা আছে। অবশ্য সেটা সংবিধান লেখার জন্য আসলে দেশটা ধর্ম নিরপেক্ষ নয়। কারণ দেশ স্বাধীন হয়েছিল ধর্মের ভিত্তিতে, আর সেই সময় কার ক্ষমতা লোভী কংগ্রেস স্বাধীনতা সংগ্রামী সেজে ব্রিটিশ কে বলে বলে জেলে বন্দি হয়েছিল। বেঁচে থাকার জন্য, একজন তো দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে বিতাড়িত হয়ে ভারতে এসে নেতা হয়ে গেল। কথায় কথায় অনশন করে দেশ স্বাধীন করে ফেলেছেন, মানুষ কে বোকা বানিয়ে এই বাঙালি হিন্দু বিদ্বেষী মানুষ গুলো ধর্মের নামে দেশ ভাগ করে স্বাধীনতা এনে দিয়েছিল। সেই সব সব নেতা মন্ত্রী দের ধর্ম নিরপেক্ষতার নাম করে ইসলাম ধর্ম কে বেশি করে গুরুত্ব দিয়ে ছিল। এইসব ধর্ম নিরপেক্ষতার ধ্বজা ধারী নেতারা এমন ভাব দেখায় যেন কতটা উপকার করে ফেলেছেন। ধর্মের নামে দেশ ভাগ করে স্বাধীনতার জন্যে, দুই পাকিস্তান থেকে আসা সর্বস্রান্ত হিন্দু ও শিখদের প্রতি কোনো নজর ছিল না। এখনো বাংলা দেশ বা পাকিস্তানের অভ্যন্তরে হিন্দু নির্যাতন করা হচ্ছে, তাদের দেশ ছাড়া করা হচ্ছে। আর এই ধর্ম নিরপেক্ষতা এমন পর্যায়ে পৌঁছে ছিল যে, এই দেশে যাতে ইসলাম ধর্ম বাড়তে পারে তার নানা ব্যবস্থা, যেটা তারা দাবি করছিল, সেটাই পুরণ হচ্ছিল। তাই আজ হিন্দুদের দেশ হিন্দুস্থানে বাস করে তাদের ধর্মীয় স্থানে, ধর্ম পালন করতে যেতে হচ্ছে, সেনা বাহিনীর জওয়ান দের পাহারা নিয়ে। এটাই আমাদের দেশের ধর্ম নিরপেক্ষতার নজির, আসলে চীন পরে স্বাধীনতা পেয়েছে, কিন্তু বুঝেছে ইসলাম ধর্ম কে বাড়তে দিলে তা দেশের পক্ষে ক্ষতিকর, কেবল চীন কেন কিছু দিন আগে মায়ানমার রোহিঙ্গা মুসলিম দের বিতাড়িত করেছে, এরা সাংঘাতিক আরাকান দস্যু আর ভোটের জন্য এপার বাংলায় আসা এই আরাকান দের আশ্রয় দেবেন ঠিক করেছেন। এটাই হচ্ছে, কংগ্রেস নামক নেতা দের চিন্তা ভাবনা নিজের স্বজাতি মরুক, নিজের থাকার জন্য জায়গা নেই তারা কোথায় যাবে। আবার ঘন্টায় ঘন্টায় বাচ্ছা পয়দা করে সেই রোহিঙ্গা দের ভোট নেওয়ার জন্য থাকার ব্যবস্থা করা হবে। এরা ধর্মের নামে মানুষ খুন করে, সঠিক বা আধুনিক বিজ্ঞানের ধারে কাছে যায় না। ধর্মীয় শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে বড়াই করে। মিশাইলের সঙ্গে যুদ্ধ করতে যায় তরোয়াল বা তখন কার দোনলা বন্দুক নিয়ে।অন্য কোন দেশের বা রাষ্ট্রের সাহায্য ছাড়া কিছু তৈরি করতে পারে না। আর দেশের জন সংখ্যা বৃদ্ধি করে শান্তি প্রিয় মানুষ কে ব্যতিব্যাস্ত করে তোলে। যারা এই সব দেখেও এখনো বলেন আমাদের দেশ ধর্ম নিরপেক্ষ সব ধর্মের সমান অধিকার আছে, তাহলে ধর্ম পালনের জন্য হিন্দুদের অমর নাথ যাত্রায় এতো সেনাবাহিনীর পাহারা লাগে কেন? 

যম পুরীতে খাট মানির জন্যে বিদ্রোহ চলছেই ।

ভানু বন্দ্যোপাধ্যায় অভিনীত যমালয়ে জীবন্ত মানুষ যারা দেখেননি, তারা জানেন না মৃত্যুর পর যমালয়ে কী করতে হয়। অনেক বলবেন মৃত্যুর পর আবার কী করতে হবে? যম পুরী বলে কিছু নেই, আমিও এক এক সময় ভাবতাম সত্যি যম পুরী বলে কিছু নেই, কিন্তু ভাই তাহলে মুণি ঋষিরা যে সব বলেন, আত্মার মৃত্যু নেই, সে বার বার ঘুরে ঘুরে জণ্ম নেয়। যম রাজের কি নিয়ম জানি না। সেদিন হয়েছে কি যম পুরীতে মহা বিদ্রোহ দেখা দিয়েছে, কোনো ভালো মানুষ বা যে সব মহান পুরুষ মারা গেছেন, তারা কেউ আর পৃথিবীতে আসতে চাইছে না। আত্মা তো আর ভাগ করে পাঠানো যায় না। এই সুযোগে অনেক গো ভুত, ভানু আর চিত্র গুপ্তকে ঘুষ দিয়ে পৃথিবীতে মানুষ হিসেবে জণ্ম নিয়েছে। এই কথাটা অন্য ভুত প্রেত্নিরা জানতে পেরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছে। আবার অনেক গো ভুত যোগ দিয়েছে, কারণ তারা টাকা দিয়েও মানুষ হয়ে পৃথিবীতে জণ্ম নিতে পারে নি। এখন তারা যম পুরীতে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছে, চিত্র গুপ্ত পরেছে, মহা বিপদে, এক সঙ্গে এই সব গো ভুত মেছ ভূত পো ভুত দের মানুষ করে পাঠালে, কে গরু হবে, কে ছাগল হবে, কে অন্য সব ধরনের প্রাণী হবে। মানুষ ভূতে দের কত গোরু ছাগল করে পাঠানো যায় বলতো। আবার যম রাজ বলেছেন, টাকা নিয়ে থাকলে এখুনি ফেরত দাও, বলি দাও বললেই দেওয়া যায়। আমি তো একা ঐ টাকা নিয়ে বসে নেই, এবার ভানু বলল এত ক্ষনে বুঝতে পারছি, তেত্রিশ কোটি কী করে একশ ত্রিশ কোটি হলো। সেই কারণেই আমার দেশের এই অবস্থা, যত গরু ছাগল কুকুর সব মানুষ হয়ে জণ্ম গ্রহণ করে মানুষের আদব কায়দা না জেনে মর্ত্যে গিয়ে, যত ঝামেলা পাকাছে।

Saturday, 29 June 2019

ভাই পশ্চিমবঙ্গের সর্ব শিক্ষার কী উন্নতি।? ছাদ ভেঙে মাথায় পরে।

কি জানি মাষ্টার মশায় ঠিক মতো ডাইস ফর্ম পূরণ করে ছিল কিনা? কারণ ডাইস পূরণ করতে পারলে সব কাজ ঠিক হয়ে যাবে। সর্বশিক্ষা অভিযান বা মিশন যাই বলি তৈরী করা হয়েছিল, ইউনিসেফের দেওয়া অর্থ শিক্ষার উন্নতির জন্য খরচ করা হবে। এই সংস্থার অনেক পরিবর্তন এসেছে কিন্তু মানসিকতা পরিবর্তন হয়নি, বছরের পর বছর ডাইস ফর্ম পূরণ, একটা প্রহসন, আবার ঘর তৈরি বা মেরামত করার জন্য অন্য ভাবে আবেদন, করেও কিছু হয়নি। কেবল রাজনৈতিক দলের অঙ্গুলি হেলনে। কারণ কাট মানি প্রয়োজন তাই বিদ্যালয়ে শিক্ষকের রাজনৈতিক পরিচয় জেনে নিয়ে টাকার অনুমোদন কোনো কোনো বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রী সংখ্যা ৪০ থেকে পঞ্চাশ সেই বিদ্যালয় দোতলা করার জন্য টাকা পায়। কারণ একটাই ঐ রাজনীতি আর কাট মানি, যে শিক্ষক বিরোধী তার থেকে ঐ ভাবে টাকার জন্য ভাগ নেওয়া যাবে না। সেই জন্যই টাকা নেই, কোন কোন বিদ্যালয় কোনো দিন টাকা পায় নি, আবার কোনও কোনও বিদ্যালয়ে দুবার তিন বার টাকা পেয়েছে কারণ কাট মানি। এই পোশাক আজ যারা পোশাক তৈরি করে না, তারাও পোশাক দেবার অনুমতি দেবার মুল উদ্দেশ্য কাট মানি। আবার এবারে ছ'শ টাকা প্রতি ছাত্র পিছু, আগে ছিল চার শ টাকা আসতো, শিক্ষকরা প্রাক প্রাথমিক সহ সকলকে দিত। এখন ওসব বন্ধ। টাকা পাওয়ার জন্য, শুধু ডাইস ফর্ম পূরণ করতে হবে আবার আলাদা আবেদন করে যে ক
টাকা পাওয়া যাবে না। আবার ডাইসে সঠিক তথ্য ডাইস নিশ্চয়ই করেন। ওসবে কিছু হবে না। একমাত্র রাজনৈতিক দলের নেতা কর্মীদের না পূজো না দিলে কোনো কাজ হবেনা। ঘর ভাঙুক আর ছাত্র মরুক টাকা পাওয়া যাবে না।
পশ্চিমবঙ্গের অনেক প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে যাদের বিদ্যালয় গৃহ খুব খারাপ, বার বার আবেদন করা সত্ত্বেও কিছু হয়নি। আবার শিক্ষক নিজের টাকা খরচ করে প্ল্যান এস্টিমেট করে অতিরিক্ত শ্রেণী কক্ষ করার আবেদন করলেন। কারণ ছাত্র বেশি বসাতে পারছেন না। কোন টাকা পাওয়া যাবে না। কারণ রাজনীতি, আবার শাসক দলের প্রধান শিক্ষক সে স্কুল ভেঙে নতুন করে গড়ে তোলার জন্য কয়েক লক্ষ টাকা পেয়েছে। সে যদি ইউ সি নাও তাতেও ক্ষতি নেই। এই হচ্ছে, সর্বশিক্ষা অভিযান, এতো দিন ধরেই কেবল টাকাটা লুটে খাওয়ার জায়গা।



প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বাচ্ছা দের পোশাক ।

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক দের কী না করতে হয়। জুতো সেলাই থেকে চণ্ডিপাট, সপ্তাহে সপ্তাহে ঔষুধ দেওয়া তার হিসেব রাখা, বই নিয়ে এসে বই দেওয়ার ব্যবস্থা করা, আবার যদ প্রধান শিক্ষক বা T. I. C. হন। তার অবস্থা তথৈ বচ ফর্ম আর কাগজ পুরোণ করে জমা দিতে দিতে তার অবস্থা কাহিল, কারণ ঘাড়ের উপর সর্ব শিক্ষা নামক একটি দৈত্য, কাগজ পূরোণ করে কোনো লাভ হয় না। কারণ ডাইসে আছে, ঘর মেরা মত করা প্রয়োজন কিনা না। আরো নানা ধরনের প্রশ্ন, এসবের পরেও আবেদন করতে হয়, প্ল্যান ইসটিমেট করে, তার টাকা প্রধান শিক্ষক দেবন কিন্তু পরে ভি ই সি র টাকা এলে নেবেন তার অধিকার নেই। তখন ভিজিট এসে বা লোক মারফত ধমকাচ্ছেন, কেন নেবেন, এই এ বছর ২০১৮-২০১৯ এর টাকা ২০১৯ - ২০২০ অর্থ বর্ষে দিয়েছে, কিন্তু আগে যে সব খরচ শিক্ষকরা করে ফেলেছেন সে সব নেবার পাওয়ার অধিকার ও তো প্রধান শিক্ষকের বাপের শ্রাদ্ধ করেছে না। মনে করুন কোনো বিদ্যালয়ের ঘর দরকার সে A. C. R. এর জন্যে আবেদন করল, নিজের টাকা খরচ প্ল্যান ইসটিমেট খরচ করল, নিজের টাকা গেল রাজনৈতিক দাদা দিদি দের কথায় সেই বিদ্যালয় কে টাকা দিল না। কারণ এই দাদা দিদিরা বলে দেন কে সরকারের পক্ষে আর কে নয়। উল্টে তাকে জব্দ করার জন্য উঠে পড়ে লাগে, আবার বিদ্যালয়ের যদিও কোনো ছোট বড়ো নেতার ছেলে মেয়ে চাকরি করে তাহলে ঐ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের অবস্থা ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি। কারণ ঐ ছেলে বা মেয়ে টা সমস্ত ধরনের অফিসারের ফোন নম্বর নিয়ে রাখে, আর নিজেকে মন্ত্রীর উপর ভাবতে থাকে, বিদ্যালয়ে যাই ঘটনা ঘটুক সব মোবাইল ফোনে বলে দেন ঐ অফিসার কে? অনেক সময় প্রধান শিক্ষক কে জব্দ করতে অফিসার কে ডেকে আনে? এর উপর আছে সরকারি ফরমান বছরের প্রতি মাসে চার বার করে ছাত্র সংখ্যা সংগ্রহ করা। কোনো কাজে আসে না। ঘরের আবেদন করেও আজ পর্যন্ত ঘর মেলে না, কেবল ঐ রাজনৈতিক কারণে, বিদ্যালযশি নতুন শিক্ষক আসে না রাজনৈতিক কারণে। এর উপর এখন এসে হাজির হয়েছে পোশাক, পোশাক দেবে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর লোকজন, তাদের এ্যাকাউন্টে টাকা পয়সা দিয়ে দে ঝামেলা চুকে যায় না শিক্ষক কে জড়িয়ে দিতে হবে, না হলে মজা পাওয়া যাবে কি করে? কি ঝামেলা কার ছোট হলো কার বড়ো হলো, কার ছিঁড়ে গেল, সব প্রধান শিক্ষক দেখবেন। গোষ্ঠীর কাউকে ফোন করেও আসবে না বদলে দিতে, যেমন এই জুতো নিয়ে বিরম্বনার শেষ নেই, আমার কাছে আজ পর্যন্ত জুতো ফেরত আসছে, কোথায় রাখব তার জায়গা নেই, এর উপর পোশাক গত বছরের ঐ রকম কিছু পরে আছে। পাল্টে দেয়নি। পোশাক আবার মাপ নিতে কবে ৪/৭/১৯ যতটা মনে হচ্ছে ঐ দিন রথ যাত্রা। প্রধান শিক্ষকের আর বাড়ি ঘর বাড়ি নেই, তাদের কাজ কিছু নেই, দিন রাত ঐ একই কাজ করে যেতে হবে।

Thursday, 27 June 2019

লবণ ও আয়োডিন।

আজ কাল প্রায় সব বাড়িতে আয়োডিন যুক্ত লবণ ব্যবহার করা হয়। খুব কম সংখ্যক মানুষ আছেন যারা আয়োডিন যুক্ত লবণ ব্যবহার করে না। আমি জানি এখন বাজারে লবণ কিনতে গেলে প্রতি প্যাকেটে লেখা থাকে আয়োজায়েড লবণ। এমনি সাদা লবণ অর্থাৎ আয়োডিন ছাড়া লবণ পাওয়া যায় না, বললেই চলে। আমি যত দূর জানি আয়োডিন মানুষের শরীরে অবশ্যই প্রয়োজন না গলগণ্ড রোগ হয়। থাইরয়েডের সমস্যা হয় এই থাইরয়েডের রস কম নিঃসরণে, আবার এমনও দেখা গেছে চোখ বিস্তারিত হয়ে বেড়িয়ে আসে, কিন্তু আমার এটা জানা নেই, এই আয়োডিন শরীরে অতিরিক্ত হলে, তাহলেও কি থাইরয়েডের সমস্যা হতে পারে। কারণ সাধারণ মানুষ জানে না ঐ সব লবনের সঙ্গে কতটা পরিমাণ আয়োডিন মেশানো আছে? আমি দেখেছি যে বাড়িতে দীর্ঘ দিন ধরে আয়োডিন যুক্ত লবণ ব্যবহার করা হচ্ছে, সেই বাড়ির লোকজন একটুতে হাঁপিয়ে যাচ্ছে, হার্ট বিট বেড়ে যাচ্ছে, অতিরিক্ত ঘাম হচ্ছে, ঘুমের সমস্যা হচ্ছে, বাচ্চা রা পড়া শোনায় মন দিতে পারছে না। ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলেই তিনি থাইরয়েডের পরীক্ষা করতে দিচ্ছে, এবং দেখা যাচ্ছে, থাইরয়েডের সব কটি বিষয়ে শরীরে অতিরিক্ত পরিমান আছে। অথচ আমি জানি আয়োডিন শরীরে ঠিক থাকলে থাইরয়েডের সমস্যা আসে না। বাড়িতে দীর্ঘ দিন ধরে আয়োডিন যুক্ত লবণ ব্যবহার করার পরেও সমস্যা, তাহলে কি বড়ো বড়ো কোম্পানি আয়োডিন এর নাম করে ঐ লবনে অন্য কিছু মেশাচ্ছে, বা লবনের মধ্যেই কোন আয়োডিন নেই। আমি ঠিক জানি না অতিরিক্ত আয়োডিন এর জন্যে শরীরের এই সমস্যা হচ্ছে কিনা? না ঐ সব বড়ো বড়ো কোম্পানি মানুষ কে ধোঁকা দিচ্ছে। আমি যতদূর জানি যুবক যুবতী দের থাইরয়েডের সমস্যা থাকলে প্রজনন ক্ষমতা, কমে আমার তো মনে হচ্ছে এই সব কোম্পানি কে নির্দেশ দেওয়া আছে, আয়োজাইডের নাম করে যা খুশি তাই বিক্রি করতে, যাতে থাইরয়েডের সমস্যা বাড়ে এবং লোক সংখ্যা কমে। আয়োডিন মানুষের শরীরের একটা গুরুত্বপূর্ণ উপাদান যে টা না থাইরয়েডের রোগ অবশ্যই শরীরে বাসা বাঁধে। এবার আমার প্রশ্ন যে সব বাড়িতে দীর্ঘ দিন ধরে নামী কোম্পানির আয়োজাইড লবন ব্যবহার করা হয়। সেখানেও এই সমস্যা কেন হবে, তাহলে কি বলা যাবে না গলদ ঐ লবনে, অর্থাৎ লবণেই বিষ।

Wednesday, 26 June 2019

স্বাধীনতার জন্যে বন্দেমাতরম, আর মারামারি করতে জয় শ্রী রাম!

স্বাধীনতার সময় বিপ্লবী রা বঙ্কিম চন্দ্রের "আনন্দ মঠ" উপন্যাসের একটি গান "বন্দেমাতরম" কে বেছে নিয়ে ছিল। স্বাধীনতার পর সেই গান ভারতের জাতীয় সংগীত হিসেবে স্বীকৃতি পায়। আপত্তি তোলেন ইসলাম ধর্মের লোকজন বলেন এটা ইসলাম ধর্মের বিরোধী। অর্থাৎ ভারতের জাতীয় সংগীত ইসলাম ধর্মের বিরুদ্ধে, তখন রবীন্দ্র নাথ ঠাকুরের লেখা "জন গণ মন, অধিনায়কো"গান টি যে টি রাণী ভিক্টোরিয়ার গুন গান গাওয়া হয়েছে, সেই গান টি জাতীয় স্তোস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এটা তৎকালীন কংগ্রেস সরকার করে ছিল বাঙালি হিন্দু জাতির ক্ষতে প্রলেপ দেওয়ার জন্য, হাতের কাছে "সারে যাঁহাসে আচ্ছা" এই গান টিও ছিল, তখন দেশ ভাগের দগ দগে ঘা বাঙালি হিন্দু জাতি ধ্বংসের মুখে, আর বাঙালি আবেগ প্রবন জাতি সেই কারণেই ঐ গান দুটো দিয়ে ক্ষতে প্রলেপ দিয়ে ছিল, দেশ ভাগের নায়কের দল। দেশ গঠন করতে হলে যে যে পদক্ষেপ করা উচিত ছিল সে ব্যাপারে উদাসীন ছিল। দেশ বা দেশের মানুষ উচ্ছন্নে যাক আমি যেন প্রধানমন্ত্রী হতে পারি, আরেক জন ছিলেন নিজের পদবী টা যাতে ইতিহাসে থাকে সেই মুসলিম ছেলেও হয়ে যায় ফিরোজ গান্ধী। এই নেতা তথা জাতির জনক এক ধাপ উপরে যায়, যখন ইংরেজ সরকার দেখত এর প্রান সংশয়, অর্থাৎ হামলা হতে পারে তখনই একে জেলে বন্দি করত। মাঝে মাঝে নিজের ইচ্ছা করে জেলে বন্দি হতো। এই নেতা আমাদের জাতির জনক, অনশনে বসে দেশ স্বাধীন করে ফেলেছেন। বার বার অনশনে বসত ব্রিটিশ সরকার দেখলো আহা লোকটি না খেতে পেয়ে মারা যাবে, আমরা ভারতের স্বাধীনতা দিয়ে দিই। যাহোক প্রসঙ্গ অন্য দিকে চলে যাচ্ছে, বন্দেমাতরম ইসলাম ধর্মের বিরোধী, জয় শ্রী রাম, ইসলাম বিরোধী, ভারত মাতা কী জয়, ইসলাম ধর্মের বিরোধী বা এ ধরনের কথা বলা ইসলাম ধর্মের লোকজন বলবে না। আসলে ইসলাম ধর্ম ভারত বিরোধী, তারা নিজেদের ভারত বাসী বলে ভাবতে পারেন না। তিন শ চার শ বছর ধরে ভারত শাসন করেছে, তাহলে এতো বছর ধরে ভারতে বাস করে এখনো নিজেদের ভারতীয় করে তুলতে পারে নি। ওরা ভাবতে পারেন না ভারত বর্ষ বিভিন্ন ধর্ম ও জাতি নিয়ে গোষ্ঠী নিয়ে তৈরি প্রত্যেকের আলাদা আলাদা জাতি সত্ত্বা আছে, ঐ ধর্মের লোকজন নিজের ধর্ম টা বড়ো বলে ভাবে।সে যাই হোক ভারতে এক দেশ এক আইন হোক, আমি হিন্দু বলে যত আইন আমার জন্য আর ওনারা ইসলাম ধর্মের বলে শরিয়ত আইন, অর্থাৎ ধর্মীয় আইন এটা কি ঠিক? আর ধর্মের দোহাই দিয়ে জনসংখ্যা বৃদ্ধির জন্য চারটে পাঁচটি বিয়ে গোরু ছাগলের মতো সন্তান জণ্ম দিয়ে উগ্রপন্থী তৈরি করা, শুধু এদের বলি কেন হিন্দি বলয়ে যান খেতে পায় না, একটা একটা পরিবারের লোক সংখ্যা ভাবতে পারবেন না। অত দূরে যেতে হবে না, যেখানে যতো রেল ঝুপরি আছে, ঐ সব ঝুপরির বেশিরভাগ বাসিন্দা হিন্দি ভাষি দেখবেন গণ্ডায় গণ্ডায় ছেলে মেয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে, এই ভাবে জন সংখ্যা বাড়াচ্ছে, আর অন্যটি হলো চাষ যোগ্য জমিতে বসতি গড়ে উঠেছে, অচিরেই পশ্চিমবঙ্গে তথা ভারতে খাদ্য সংকট দেখা দেবে। আর যারা জয় শ্রী রাম বলে নি বলে মারছেন এ কাজটিও ঠিক করছেন না। জয় শ্রী রাম বলে যদি খাদ্য সংকট মিটে যেত, জয় শ্রী রাম বলে যদি চাকরি পাওয়া যেত, জয় শ্রী রাম বলে যদি মানুষের সমস্ত চাহিদা পূরণ হয়ে যেত তাহলে আপত্তি নেই, কিন্তু সেটা হওয়ার সম্ভাবনা নেই। মানুষের আশু প্রয়োজন গুলো যাতে মেটে, জন সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে আনা প্রতিটি মানুষ যাতে খেতে পায় তার ব্যবস্থা করা। কাজ, আর খাদ্য, বাসস্থান, স্বাস্থ্য পরিষেবা চালু রাখা, এই যে বি এস এন এলের কর্মীদের বেতন বন্ধ হয়ে গেছে, সেই পরিবার গুলো যাবে কোথায়? ভাবতে হবে সরকার কে ভারতের প্রতিটি নাগরিকের অধিকার আছে সুস্থ ভাবে বেঁচে থাকার, তাই কে জয় শ্রী রাম বলল আর কে বলল না সেটা না দেখে মানুষের মৌলিক চাহিদা গুলো যাতে মেটে তার ব্যবস্থা করার চেষ্টা করা। জয় শ্রী রাম বলে নি বলে তাকে ট্রেন থেকে ফেলে দেওয়া এই কাজটা করা ঠিক নয়। যারা এই কাজ করেছেন, একটু ভাববেন। 

বেতন কমিশন নিয়ে কীসের এতো টালবাহানা ।

ষষ্ঠ বেতন কমিশন নিয়ে এতো ভাঁওতা আর নেওয়া যাচ্ছে না। স্বাধীনতার পর থেকে দীর্ঘ প্রায় ত্রিশ বছর এই রাজ্যে কংগ্রেস ক্ষমতায় ছিল, সরকারি কর্মীদের একটিও বেতন কমিশন দেয়নি। ১৬৬৯ সালে যুক্তফ্রন্ট ক্ষমতায় এসে প্রথম বেতন কমিশন গঠন করে ছিল, কিন্তু সেই সময় রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করে যুক্ত ফ্রন্ট সরকার কে সরিয়ে সিদ্ধার্থ শংকর রায় ক্ষমতায় আসে, সেই কংগ্রেস সরকারের আমলে যুক্ত ফ্রন্ট সরকারের তৈরি প্রথম বেতন কমিশন আর দিনের আলো দেখেনি। তখন ঐ সিদ্ধার্থ শংকর রায় মন্ত্রী সভার যতটা সম্ভব অর্থ মন্ত্রী ছিলেন, বর্তমান অর্থ মন্ত্রীর বাবা মাননীয় হরি সাধারণ মিত্র মহাশয়। রাজ্যে ১৯৭২ থেকে ১৯৭৭ নকশাল আন্দোলন উত্তাল রাজ্য কেউ কেউ বলেন কংশাল আন্দোলন, কম্যুনিস্ট আন্দোলন কে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। অনেক বামপন্থী নেতা কর্মীদের জেলে যেতে হয়েছিল। যাহোক সেই কালো দিন গুলো পার করে ১৯৭৭ সালে নির্বাচনে বিপুল সংখ্যা গরিষ্ঠতা নিয়ে রাজ্যে ক্ষমতায় আসে বামফ্রন্ট সরকার। ঐ সময়ের নির্বাচনে অনেক বুথে এজেন্ট দিতে পারে নি বামফ্রন্ট তবুও তারা ক্ষমতায় আসে, এবং তাদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি পালন করতে থাকে। সরকারি কর্মীদের তথা শিক্ষক পঞ্চায়েত পৌরসভা কর্মী আরও অন্যান্য অনেক সংস্থার কর্মীদের জন্য প্রথম বেতন কমিশন কার্যকর করা হয় ১৯৮০ সালে। শিক্ষক দের পেনশন ব্যবস্থা খুবই খারাপ ছিলো সি পি এফ সেটা পাল্টে ১৯৮৫ সালে আনা হয় নতুন পেনশন আইন, শিক্ষকদের অপশন নেওয়া হয়। একদল শিক্ষক তখন সেটার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে, তাদের দুটোই চাই। সেই মামলায় হেরে যায় সেই সব শিক্ষকরা, যাহোক এভাবে নানা ভাবে বামফ্রন্ট সরকার শিক্ষক সহ অন্যান্য কর্মীদের পাশে দাঁড়িয়ে পাঁচটি বেতন কমিশন কার্যকর করে। সংখ্যায় একটা কম বলে মনে হচ্ছে, কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারের হারে বেতন দিয়ে গিয়েছে তৎকালীন বামফ্রন্ট সরকার বেতন কমিশন গঠন, আর সেই রিপোর্ট জমা করা নিয়ে এতো নাটক মঞ্চস্থ হয়নি। ঠিক সময়ে বেতন কমিশন গঠন হয়েছে, সেটা কার্যকর করাও হয়েছিল। আমার মনে পড়ছে না, বাম আমলে কোনো বেতন কমিশন তিন বছর পার হয়ে গেলেও জমা নেওয়া নিয়ে এতো টালবাহানা হয়েছিল। সরকার বলছে বেতন কমিশনের রিপোর্ট তৈরি হয় নি, আর কমিশন বলছেন, আমার রিপোর্ট তৈরি সরকার জমা নিচ্ছে না। আজ থেকে দশ বছর তিন মাস আগে পঞ্চম বেতন কমিশনের সুপারিশ কার্যকর করা হয়েছিল। এই সরকার বেতন কমিশন গঠন করে, দিয়ে তখন বললেন দশ বছর অন্তর বেতন কমিশন করতে হয়, আমরা গঠন করে দিলাম, এবং আগামী ২০১৯ সালের আগে কার্যকর করা হবে। সেই সময়ে ২০১৬ সালে বিধানসভা নির্বাচনের জন্য এটা করা হয়েছিল। এখন সেটা পরিষ্কার, আমি জানি না আপনি কোনো দিন সত্যি কথা বলেছেন কিনা, আমার মনে হয় আপনার ডিএ বেতন কমিশন দেওয়ার ইচ্ছা নেই। আপনি সাংবাদিক সম্মেলনে করে বলে দিন, যে আপনার সরকার বেতন কমিশন দিতে পারবে না। কেন মিথ্যে বলে ঝুলিয়ে রাখছেন, আপনার এই মিথ্যা, সত্যিই আর নিতে পারছি না। যদিও ফ্যসীবাদী শাসক এরকম হয়, যতক্ষণ না সমগ্র সুস্থ ব্যবস্থা ধ্বংস না হয় ততক্ষণ পর্যন্ত সে থামে না। যদি সত্যি সৎ সাহস থাকে তাহলে সাংবাদিক সম্মেলনে এসে বলুন আমি বা আমার সরকার বেতন কমিশন বা ডিএ আর দিতে পারবে না। সরকারি টাকা অপচয় হচ্ছে, আর বেতন কমিশন বা ডিএ দেওয়ার সময় টাকা নেই। সত্যি আর এসব মিথ্যে সহ্য করা যাচ্ছে না। 

Tuesday, 25 June 2019

আজ সকাল থেকে একটা খবর ঘুরেছে অনলাইনে পুজোর আগে পে কমিশন

আজ সকাল থেকে অনলাইনে একটি খবর ঘুরেছে যে সরকারি কর্মীদের বেতন কমিশন দেওয়া হবে পুজোর আগে। প্রায় সব অন লাইন সংবাদদাতা যেন কতটা আগ্রহ নিয়ে এই সংবাদ লিখেছেন। সংবাদদাতারা উল্লেখ করেছেন না তারা সংবাদ টি কোথায় পেলেন, আসলে গত ১৩/৬/১৯ তারিখে অভিরূপ সরকার কে ডেকে মুখ্যমন্ত্রী কি নির্দেশ দিয়েছেন। সেই গোপন কথা কেউ জানে না, কারণ তখন এই সংবাদ মাধ্যম গুলো লিখেছিল, আগামী ১লা জুলাই থেকে বেতন কমিশন চালু হবে। যদিও কোন বছরের জুলাই সেটা বলেনি। সেখানে ও বিভ্রান্তি ছিল, বলা ছিল জুনে জমা পড়বে আর জুলাই থেকে পাবেন সরকারি কর্মীরা, কিন্তু কোন সালের জুন মাসে সেটা ছিল না। সেদিন ঐ সব খবরে বলা ছিল ২২ শতাংশ বেতন বৃদ্ধি হবে, আজ যে খবর কে বলল উল্লেখ না করে অনলাইনে ঘুরে বেড়াচ্ছে, সেখানে ১৪%বাড়বে বলা হচ্ছে।
এই বেতন কমিশন নিয়ে যে নাটক মঞ্চস্থ হচ্ছে, গত পাঁচ বারের বেতন কমিশন নিয়ে এতো নাটক হয় নি। আমার যতদূর জানা আছে প্রথম পে কমিশন নিয়ে এরকম একটা নাটক মঞ্চস্থ হয়েছিল। সেই বেতন কমিশন দিনের আলো দেখেনি। সেই এই রাজ্যের কর্মীরা সপ্তম জায়গায় ষষ্ঠ বেতন কমিশন পান, বামফ্রন্ট সরকার পঞ্চম বেতন কমিশন দিলেও, কেন্দ্রীয় ষষ্ঠ কমিশনের সমান বেতন কাঠামো দিয়ে ছিল। আর সেই পঞ্চম বেতন কমিশন লাগু হয়েছিল গত ২০০৯ সালের এপ্রিল মাস থেকে এবং ২০০৬ সালের ১লা জানুয়ারি থেকে নোশনাল ফিক্সশেন ছিল। ২০০৮ সালের এপ্রিল থেকে ২০০৯ সালের মার্চ পর্যন্ত এরিয়া দেওয়া হয়েছিল। সেই সময়ে কেন্দ্রীয় বেতন কমিশন অনুযায়ী বেতন কাঠামো পে ব্যণ্ড ও গ্রেড পে তে ভাগ করে বেতন কাঠামোর যতটা সম্ভব কমিয়ে এনে মূল বেতন কে ১.৮৬ দিয়ে গুণ করে, মূল বেতন ঠিক করে গ্রেড পে যোগ করে বেসিক তৈরি করা হয়েছিল। আমি এখন এই পে কমিশন নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে। আমার মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী কাছে একটা প্রশ্ন আপনি এই বিভ্রান্তি দূর করুন। আপনি গত ১৩/৬/১৯ তারিখে বেতন কমিশনার কে কী বলে ছিলেন? আমি এও জানি আপনি সরকারি কর্মীদের বিশ্বাস করতে পারেন না, অথচ সব সরকারি কাজ তারা করে দেয়, দেখুন আপনি বাচ্ছা দের জুতো দিলেন সেই জুতো দিয়ে পিটুনি খেল শিক্ষক। আবার SHG পোশাক দেবে, তার জন্য শিক্ষকদের কপালে কি আছে জানি না। আর কোনও কথা লিখছি না, আপনি বিভ্রান্তি দূর করুন সঠিক ভাবে বলুন আদৌ আপনি বেতন কমিশন বা ডিএ দেবেন কিনা? আপনি ছাড়া আর কেউ নেই, যে জানে আদৌ বেতন কমিশন দিনের আলো দেখবে কি না! আবার শিক্ষকের আশা আপনি তাদের পি আর টি স্কেল দেবেন। যদি এই লেখা টি পড়েন, তবে আশা করি আপনি সঠিক ব্যবস্থা নেবেন বিভ্রান্তি দূর করে দেবেন।

কে নিলো টাকা আর দোষ হলো কার!

ভাই একেই বলে কপালের ফের, কারা নিলো টাকা অর্থাৎ কাট মানি আর কারা পড়ছে ধরা। আমাদের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন যারা কাট মানি খেয়েছে, তারা ফেরত দাও, না হলে পুলিশ দিয়ে শাস্তি দেওয়া হবে। দু একজন কে পুলিশ ধরেছে, তার মধ্যে সরকারি কর্মচারী ও আছে, বিশেষ করে পঞ্চায়েত কর্মী, এক দিকে কাট মানি দেয়নি বলে, সন্দেশখালি - ২ এর বিডিও মার খেয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। আবার কাট মানি খাওয়ার জন্য সরকারি কর্মী গ্রেফতার হন। কি বিচিত্র না, আসলে উধোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়া, আর প্রকৃত যারা কাট মানি খেয়ে ৩০০ টাকার দিন মজুর, এখন তিন শতাধিক কোটি টাকার মালিক। এই রকম নেতা মন্ত্রী দের ভয় দেখিয়ে দলে রাখা, যে তুমি যদি দল ত্যাগ করে বিজেপি তে যাও, তবে তোমায় কাট মানি খাওয়ার অপরাধে গ্রেফতার করা হবে। অর্থাৎ ভয় দেখিয়ে দল ধরে রাখা যাবে। আর সাধারন মানুষ কে আবার বোকা বানিয়ে সততার প্রতীক সেজে, আবার ক্ষমতায় আসার যাবে। , মোদ্দা কথা আই ওয়াশ করার চেষ্টা, উনি যদি সত্যি সৎ হতেন, তবে আগে সারদার টাকা ফেরত দিতেন, আর ডেলো তে কী বলে ছিলেন, বলে দিতেন। নীল সাদার রহস্য বলে দিতেন, কলকাতার তৈরি হওয়া নতুন উড়ালপুল ভেঙে পড়ল তার তদন্ত হলো না, কেউ শাস্তি পেল না। কোন সিন্ডিকেট মাল যোগান দিচ্ছিল, একটা গোল গোল তদন্ত করে ছেড়ে দেওয়া হলো। বালি খাদান আর কয়লা মাফিয়ার টাকা কার কাছে আসে, উনি জানেন না, সব জানেন কিন্তু ওসবের কোনো তদন্ত হবে না। শুধু কিছু ছোট ছোট নেতা আর সরকারী কর্মী দের হেনস্থা করে কোথাও কোথাও তাদের গ্রেফতার করে, উধোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়া হবে। কি দারুণ ব্যবস্থা তাই না।

Monday, 24 June 2019

শিক্ষক দের বেতন ।

আজ দু দিন ধরেই অন লাইন ও বিভিন্ন সংবাদ পত্রের পাতায় একটা খবর প্রকাশিত হচ্ছে। শিক্ষক দের বেতন বৃদ্ধি হচ্ছে। রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় নাকি বলেছেন, শিক্ষক দের বেতন বৃদ্ধি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। তিনি বলছেন, শিক্ষক দের বেতন গ্রেড পে ৩৩০০ করে দেওয়া হবে, তা আবার সকল শিক্ষকদের জন্য নয়। প্রথম কথা গ্রেড পে ৩৩০০ নেই, আছে ৩২০০ আর পে ব্যাণ্ড - ৩ গ্রেড পে ৩২০০ /৩৬০০/৩৯০০/৪১০০ টাকা যদি মনে করেন ঐ পে ব্যাণ্ড ৩ দেবেন, তাহলে পে ব্যাণ্ড ২ শিক্ষকরা যেমন শেষ দুটি গ্রেড পে ২৬০০ এবং আঠারো বছর পর ২৯০০ টাকা গ্রেড পে পায়, তা হলে পে ব্যাণ্ড ৩ শেষ দুটি গ্রেড পে দিন। আমি কেন অনেক শিক্ষক ও কর্মীরা জানেন আপনি ওসব কিছু করবেন না। কেবল সোমবারের আন্দোলন ভাঙ্গার জন্য, প্রতি নিয়ত মিথ্যা কথা বলে, বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা, আমাদের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী তো জবাব নেই। নামটা কে মমতা রেখে ছিল তাকে দেখতে ইচ্ছে করছে, নাম হওয়া উচিত ছিল, নির্মমতা উনি এতো মিথ্যে কথা বলেন, সাধারণ মানুষ বিশ্বাস করে নেন, এখন তো আবার যা খুশি তাই বলতে শুরু করে দিয়েছেন। আমার তো মনে হয় বর্তমান শাসক তথা মুখ্যমন্ত্রী কর্মীদের জন্য কিছু করবেন না। কেবল মিথ্যে ভাঁওতা দিয়ে আর দুটি বছর কাটিয়ে দেবেন। এটা যদি বাম আমলে হতো তবে এতখন নবান্ন ভাঙচুর হয়ে যেত, আমি যতদূর জানি বাম আমলে একবার ডিএ ঘোষণা ছ'মাসের জায়গায় সাত মাস না আট মাস হয়ে ছিল, মহাকরণে ভাঙচুর কাকে বলে, কিন্তু এখন ঐ সাহস নেই, এটাই হচ্ছে বাম সরকার আর ডান পন্থী সরকারের তফাৎ। দেখে নিন বর্তমান সরকার কর্মচারী দের কোনো রকম পে কমিশন ডিএ কিছুই দেবেন না। অথচ কাজ করে যেতে হবে, না হলে যে রিপোর্ট তৈরি হয়ে গিয়েছে, সেই রিপোর্টে এখন জমা না নিয়ে রেখে দিয়েছে। আবার শুনছি জমা দিলে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি ঐ রিপোর্ট কতটা কার্যকর করা যায়, তার সুপারিশ করবে। ঐ একটা কথা আছে গাছে, কাঁঠাল গোঁফে তেল দিয়ে বসে থাকা। যদি সরকারের সদিচ্ছা থাকতো তবে কোন রকম, টালবাহানা না করে, রিপোর্ট জমা নিয়ে কার্যকর করার ব্যবস্থা করে দিতেন। এ কর্মচারী মারা সরকার, কিছুই দেবে না। তাই আন্দোলন ছাড়া পথ নেই। 

Sunday, 23 June 2019

সিঙ্গুরের জনগণ সত্যিই খুব ভদ্র ও শান্তি প্রিয়!

(ছবি টি নিজস্ব) কাট মানি নিয়ে চার পাশে যে আন্দোলন শুরু হয়েছে। অনেক বড়ো বড়ো নেতার বাড়ির সামনে বিক্ষোভ ধর্ণা চলছে। আজ একটি অনলাইন খবরে পড়লাম, বর্ধমান এক নেতা কুড়ি দিনে পঁয়তাল্লিশ লক্ষ টাকা ফেরত দেওয়ার অঙ্গীকার করেছেন। জানি না এটা সত্য কি না, না কি বিরোধী দল জোর করে আদায় করছে। কারণ এই একটা সুযোগ, সে তুলনায় আমাদের সিঙ্গুর সত্যিই শান্তি পূর্ণ জায়গা, না হলে সবার আগে সিঙ্গুরে টাকা ফেরত দিতে হবে বলে আন্দোলন শুরু হওয়ার কথা তা কিন্তু হয়নি।সিঙ্গুরে ব্যবস্থা পাকা পোক্ত কেউ ট্যাঁ ফোঁ করতে পারে না। আবার এটাও ঠিক এখানে কাট মানি বা তোলা দেয়, দুর্গাপুর এক্সপ্রেস ওয়ের দু পাশে যা দু একটা কারখানা এখনো আছে তারা, এদের কাছ থেকে বেশি তোলা আসে, ভোটের খরচ, ভোটের আগে দূস্কৃতি ও পরে জেতার জন্য মদ মাংসের টাকা সব আসে ঐ সব ছোট খাটো কারখানার মালিকের কাছ থেকে।এই ভাবে অনেক দিন হলো, দু তিন টি নতুন কারখানা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পরিবেশ দূষণ হচ্ছে, এই ভয় দেখিয়ে টাকা তোলা হয়। আমি জানি না সাধারণ মানুষের কাছ থেকে টাকা তোলা হয়েছে কি না। কারখানার মালিক তাই আর ধর্ণায় বসতে যায় নি। আর সাধারন মানুষের টাকা যদি নেন, তাহলে বলতে হবে সিঙ্গুরের মানুষ সত্যিই ভদ্র ও শান্তি প্রিয়। আবার এটাও ঠিক এখান থেকে মনে হয় ৭৫%ও ২৫ % এর সঠিক ভাগ পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এখানে পাবলিকের টাকা অন্যভাবে পকেটে আসে, এই যেমন পোশাক সব টাকা স্কুলের এ্যাকাউন্টে এবার ঐ দল ( shg) টাকা সব তুলে ছাত্র পিছু জমা দিয়ে দেবেন, না দিলে সে দল ( shg) পরের বছর থেকে বাদ, কেন এমন বলছি, সরকারের উদ্দেশ্য কি যে দলের মেয়েরা একটি কারখানা বা ছোট খাটো পোশাক তৈরির উদ্যোগ করে সেখান থেকে সারা বছর ইনকাম করবে। আজ চার পাঁচ বছর হলো গোটা সিঙ্গুর ব্লকের একটি স্থানেও পোশাক তৈরির কোনো উদ্যোগ বা কারখানা নেই। তারপর কী উদ্দেশ্যে ওদের মাধ্যমে পোশাক দেওয়া হচ্ছে। এটা একটা উদাহরণ মাত্র আরও আছে, শিশুদের মি ডে মিলের টাকা তার উপর কিভাবে চুরি করতে হবে কত রকম কৌশল। এই কৌশলের জন্য মানুষ কিছু বলে না। সাধারণ মানুষ ধরবে কি ভাবে, বিদ্যালয় ভিজিটে গিয়ে এ আই বলে আসছেন এক জন ছাত্র উপস্থিত থাকলেও রান্না করতে হবে। একদম ঠিক কথা কিন্তু টাকা আমরা নাও দিতে পারি, টাকা ও প্রধান শিক্ষক কি ভাবে খাওয়াবে দায় তার, আমরা যদি খুঁত পেয়েছি আর টাকা দেব না। তখন বাজারের দেনা প্রধান শিক্ষক শোধ করবে, আর এই ধার দেনা করে শিক্ষক মহাশয় খাওয়াচ্ছে এটা পাবলিক জানে না, তারা জানে সরকার টাকা দিচ্ছে, তাই খাওয়াচ্ছে, আবার যদি কোন শিক্ষক বিরোধী হন, তবে সেই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কে জব্দ করার জন্য প্রতি মাসে দুবার করে, পারলে পঞ্চায়েতের চৌকিদারকেও পাঠিয়ে নজরে রাখবে। সেই কারণেই বলছি সিঙ্গুরের মানুষ সত্যিই শান্তি প্রিয় ও ভদ্র। আবার এটাও হতে পারে তারা বোঝে এটা গিমিক, না হলে যে স্যাণ্ড গেঞ্জি পরে নারদার কাছ থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা নিচ্ছে, টেলিভিশন চ্যানেলে প্রচারিত হচ্ছে। তিনি বলছেন, তৃণমূলের নেতারা কাট মানি খায় না, খেলেও সেটা খুব কম। আর বিধানসভা নির্বাচনের বছর দেড় দুয়েক বাকি সেই কারণেই, এভাবে ফিরে আসার চেষ্টা চলছে। বড্ড দেরি হয়ে গেছে, আর আপনার মনে হয় ক্ষমতায় আসা হব না।




Saturday, 22 June 2019

পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক দলের নেতা ও কর্মীরা কাটমানি!

পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক দলের নেতা কর্মীদের কাটমানি খাওয়া বন্ধ হলে আর কেউ রাজনীতে আসবে না। আজ বলে নয় বাঙালি জাতিকে ঘুষ দেওয়া নেওয়া শিখিয়েছে ইংরেজরা। বাঙালি কে আরাম প্রিয় করে তুলেছিল ইংরেজরা। বঙ্কিম চন্দ্রের সেই সময় কার বাবু সময় কার বাবু সম্প্রদায় নিয়ে লেখা আমরা পড়েছি, আর সেই ধারাবাহিকতা আমরা এখনো রক্ষা করে চলেছি। তোলা তোলা ঘুষ দেওয়া নেওয়া কাট মানি খাওয়া এসব বাঙালি জাতির মজ্জাগত অভ্যাস, খাটব না আরাম করে বসে বসে খাব হুকুম করব, নিজে কিছু করব না, অপরকে কিছু করতে দেখলে বাধা দোব, প্রতিবেশী কিছু করলে তাকে বাধা দেব, আমি ভালো থাকব আর ভালো পড়ব। আজ এটাই বাঙালি জাতিটা কে এক হতে দেয়নি, তবে তখনও ব্যতিক্রম ছিল আজও আছে, সেই ব্যতিক্রমী মানুষ সেই সময় বাঙালি জাতি কে এক করার চেষ্টা করে গেছেন। তারা বাংলা তথা বাঙালির উন্নতির জন্য নিজের সর্বস্ব দান করে গেছেন। আর কিছু বাঙালি পাশ্চাত্য শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে দেশ গড়ার জন্য নিজের জীবন বাজি রেখে লড়াই করে গেছেন।
যাহোক যে কথাটা আজ ক দিন হলো মিডিয়াতে ঘুর পাক খাচ্ছে, কাট মানি ফেরত দেওয়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন। আমার মতে খুব ভালো উদ্যোগ কিন্তু এ বিষ তো আজকের নয় এই বাংলায়, বহু বছর কেন যুগ যুগ ধরে চলে আসছে। আমাদের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তারকেশ্বরের এক সভায় বলে দিয়েছেন, কাট মানি একা খেলে হবে না। আবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে কর্মী সভায় ঠিক করে দেন কত শতাংশ কোথায় দিতে হবে। বামেদের সময়েও কাট মানি নেওয়া হয়েছে, প্রথম থেকেই, তবে সেটা অতো তীব্র ছিল না। পার্টি ফাণ্ডের নাম করে যারা দরপত্র পেত বিভিন্ন সরকারি কাজে তাদের থেকে নেওয়া হতো। এখন ওটা হয়ে গেছে পঞ্চায়েত কোন শংসাপত্র নিতে হলে, সে মৃত্যুর হোক বা জণ্মের আবার যে কোন কারণেই টাকা দিলে তবেই কাজ মেলে, এই তোলা তোলা কাট মানি বামেদের শেষ দিকে খুব তীব্র আকার ধারণ করে ছিল। তখন কার মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য এগুলো বন্ধ করার চেষ্টা করে ছিলেন, তার সেই চেষ্টা সফল হয়নি। সেই সব তোলা বাজরা তোলা বাজ দল বদলে তৃণমূলে আশ্রয় নেয়। আমাদের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী তাদের আদর করে দলে নিয়ে ছিলেন। আমার মনে হয় দিদি কাট মানি ফেরত দিতে বলছেন, এটা মানুষের মন পাওয়ার চেষ্টা, কারণ আমি একটা উদাহরণ দিই তাহলে বোঝা যাবে, এ নিয়ে গত কয়েক বছর ধরে লিখছি, কোনো বদল হয়নি। এবারো সেই একই ভাবে আদেশ হয়েছে, আমি বলছি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীদের পোশাকের কথা, এবারো সেই SHG পোশাক দেবে। অনেকেই বলবেন SHG দেবে তোমার আপত্তি কেন? আমার আপত্তি নেই, ওরা পোশাক দিয়ে টাকা নিয়ে চলে যাবে, তার পর ছেঁড়া ফাটা ছোট বড়ো পাল্টানোর সময় আর আসবে না। সিঙ্গুরে কোনো দল পোশাক তৈরি করে দেয় না। তারা সিঙ্গুরের কোনো দোকান কে অর্ডার দিয়ে দেয় ঠিক ভাবে মাপ নেয় না। ঠিক এই জুতো দেওয়ার মতো জামা দিতে আসবে ডিসেম্বরে যখন চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র ছাত্রীরা বিদ্যালয় ছেড়ে চলে যাবে তখন। সরকারি নির্দেশ মেনে দেবে না, এবার প্রতি ছাত্র পিছু ছ'শো টাকা এসেছে, যখন চার শ ছিল তখন সৃষ্টি নামক একটি দলের কাছে শুনেছি প্রতি ছাত্র পিছু পঞ্চাশ টাকা করে দিতে হয়েছে। তবে তারা পোশাক দেওয়ার অর্ডার পেয়েছে। তারা কেউ পোশাক তৈরি না করে পোশাক দিচ্ছে, কাট মানির কী সুন্দর ব্যবস্থাপনা। আমি জানি মুখ্যমন্ত্রী যতই বলুক ওটা মুখের কথা আসলে দালালি করে তোলা বাজি করে, কাট মানি নিয়ে টাকা ইনকাম চলছে চলবে। না হলে সিঙ্গুরের অনেক নেতা এতো দিন নেতা থাকতো না।



বেতন কমিশন নিয়ে এতো বিভ্রান্তি সৃষ্টির উদ্দেশ্যে কী?

বেতন কমিশন নিয়ে এতো বিভ্রান্তি সৃষ্টির উদ্দেশ্যে কী? কেন এই ভাবে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। গত ১৩/৬/১৯ অভিরূপ সরকার আর মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকের পর এই সব সংবাদ সংস্থা লিখল আগামী জুলাই মাসেই বেতন কমিশন কার্যকর করা হবে, তবে কোন জুলাই মাসে অর্থাৎ কোন সালের সেটা বলা বা লেখা হয়নি। কারণ আমি জানি ওটা একমাত্র মুখ্যমন্ত্রী ছাড়া আর কেউ জানে না। এমন ভুল খবর দেওয়ার দরকার কি? কখনো বলা হচ্ছে, বাইশ শতাংশ আবার কখনো বলা হচ্ছে চোদ্দ শতাংশ কেউ কেউ আবার ২.৫৭ ও ২.৩৫ ফিডমেন্ট ফ্যাক্টর হবে। আমি জানি মুখ্যমন্ত্রী
অভিরূপ সরকার কে কী বলেছেন সেটা তাঁরা জানানেন, আদৌ পে কমিশন দেবেন কিনা? কারণ দশ বছর আগে ২০০৯ সালের এপ্রিল মাসে পঞ্চম  বেতন কমিশনের সুপারিশ কার্যকর করা হয়েছিল। এই সরকার কর্মচারী মারা সরকার, ক্ষমতায় আসার আগে অনেক ভালো ভালো কথা আর ক্ষমতায় এসে অন্য রূপ, এই দ্বিচারিতা কংগ্রেস কে সরিয়ে ১৯৭৭ সালে বামেরা ক্ষমতায় এসে ছিল, তারা যে সব প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল, সে সব পুরণ করে ছিল। আপনি কিন্তু উল্টো দিকে হেঁটেছেন। বিশেষ করে সরকারি কর্মীদের ও শিক্ষক ও অন্যান্য কর্মী দের সাথে আপনি প্রতি মুহূর্তে বিভিন্ন রকম বঞ্চনা করে চলেছেন, অথচ তারা আপনার সমস্ত ঐ অপচয়ের প্রকল্প গুলো চালু করতে সাহায্য করে যাচ্ছে । আজ দশ বছর হয়ে গেল বেতন কমিশন পেয়ে ছিল সরকারি কর্মীরা। ২০০৯ সালের এপ্রিল মাসে পঞ্চম বেতন কমিশনের সুপারিশ কার্যকর করা হয়েছিল। আজ ২০১৯ সালের জুলাই মাসে এসেও আপনি বেতন কমিশন কার্যকর করতে পারেন নি।আপনি যত এই ভাবে সরকারি কর্মীদের ও শিক্ষকদের বেতন বঞ্চনার করবেন তত আন্দোলন বাড়বে। তবে এটাও ঠিক ঐ বেতন বেতন খুড়োর কলে মূলো ঝুলিয়ে রেখে দিয়েছেন, আর এখন আপনি টাকার অজুহাত আপনার সামনে রয়েছে, অথচ বিভিন্ন প্রকল্পের নামে, সে গুলো যাদের দরকার নেই, তাদেরও দিতে হবে এই ভাবে টাকার অপচয় করে যাচ্ছেন। আর কর্মী দের বঞ্চিত করে যাচ্ছেন। আপনি আর আপনার ঐ সচিব কুল যারা কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মী তাদের ও অর্থমন্ত্রীর কথায় এসব কর্মচারী মারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। অর্থ মন্ত্রী উনি তো ফিকি নামক ব্যবসায়ী সংগঠনের সাথে যুক্ত ছিলেন, উনি ব্যবসায়ীদের ঋণ নিয়ে শোধ না করার এবং সরকারের ইনকাম ট্যাক্স না দিয়ে কর্মীদের বেতন কম দিয়ে কি ভাবে মুনাফা বেশি করা যায় তার যুক্তি দিতেন। শুনুন দিদি ও গুলো কারখানা বন্ধ করে দিতে ভালো কাজে লাগে, সেই রকম ভাবে আপনি আর কোন দিন যাতে ক্ষমতায় না আসেন তার ব্যবস্থা করতে ওনাদের ঐ কথা গুলো কাজে লাগবে। আপনি ওদের পরামর্শ না নিয়ে কাজ করেন তাহলে আপনি নিজেই যদি সিদ্ধান্ত নেন তবে এটাও ঠিক যে এই বেতন কমিশন না দিয়ে সরকারি কর্মীদের ও শিক্ষক সহ অন্যান্য কর্মীদের বঞ্চিত করে থাকেন, এটা আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত, আপনি আপনার দল আর কোন দিন ক্ষমতায় আসতে পারবেন কি না জানি না।

Thursday, 20 June 2019

বর্তমান সরকারের শিক্ষকের প্রতি আচরণ।

২০১১ সাল বামফ্রন্ট সরকার হেরে গেল, সরকার বদল হলো। সকলে ভাবল খুব ভালো হলো, এর মধ্যে অনেক শিক্ষক ও ভাবল আগের সরকার শিক্ষকদের ডিএ দেয় পে কমিশনের আওয়াত এনে দেয় কিন্তু দেরি করে, এই সরকার কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে সঙ্গে দেবে বলেছেন। শিক্ষক দের দাবি গুলো মেনে তাদের সণ্মান দেবেন। ক্ষমতায় এসে এই সরকার একটা কাজ করলেন, শিক্ষক দেখা বেতনের টাকার উপর এম বার্গ ছিল, কোনো মাসে দশ তারিখের আগে তাদের বেতন হতো না। এই সরকার সকলের বেতন প্রতি মাসের এক তারিখে দেওয়ার ব্যবস্থা করলেন। শিক্ষক কুল ভাবল এই তো আমাদের অনেক দিনের একটা দাবি পূরণ করে দিলেন। আরেক দিকে সরকার শিক্ষক দের বেতন সহ নানা কাজ অন লাইন করে দিলেন। আবার আমরা এটাও দেখলাম, শিক্ষকদের উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালানো হলো, বা এখনো হচ্ছে, বাঁকুড়া পুরুলিয়া বর্ধমান দুই মেদিনীপুর প্রায় সর্বত্র বাম মন ভাবাপন্ন শিক্ষকের কাছ থেকে টাকা তোলা শুরু হলো, না হলে ঐ এলাকায় শিক্ষকতা করা যাবে না। একটা উগ্র বাম বিরোধীতা শুরু করা হলো চার পাশে, শিক্ষক নিয়োগ বন্ধ করে দেওয়া হলো, মাঝে মাঝে টেট, এস এস সি পরীক্ষা নেওয়া হলেও সেটা প্রহসন, সঠিক বেকার যুবকদের চাকরি হলো না। শাসক দলের কর্মী সমর্থক দের বাড়ির লোকজন চাকরি পেল, টেট বা এস এস সি পরীক্ষায় না বসে কেবল নেতা মন্ত্রী ধরে চাকরি করতেন এলেন, অর্থাৎ শিক্ষক হলেন। আমি ঐ সব বেকার ছেলে মেয়ে দের ছোট করছ না। বেবেকা ছেলে মেয়ে সে যে ভাবে চাকরি পাওয়া নিয়ে বিষয়, কিন্তু লাখ লাখ টাকা ঘুষ দিতে হবে কেন? অনেকেই ঘুষ দিতে না পারার জন্য পরীক্ষায় পাশ করেও চাকরি পেল না। যার জন্য নানা কেস শেষ পর্যন্ত আঠাশ দিনের অনশন, সে অনশন যারা করল এক গর্ভবতী মায়ের গর্ভস্থ সন্তান নষ্ট হয়ে গেল, তাদের নিয়োগের ব্যবস্থা চলছে, জানি না সবাই চাকরি পাবে কি না? এই সরকার ক্ষমতায় এসেই প্রতি পদে পদে শিক্ষকদের বিভিন্ন ভাবে অপমান আর বঞ্চনা করে যাচ্ছে, বাম আমলের শেষ দিকে এসে শুরু হয়েছিল। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা বাম সরকারের ভিত ছিল, সেই শিক্ষকরা যখন অপমানিত বোধ করে ঐ সরকারের পাশ থেকে সরে গেল তখন তার পতন হয়েছিল। আর বর্তমান শাসক দল বারবার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকা দের নানা ভাবে হেনস্থা করে চলেছে। সে ভি ই সির মাধ্যমে হোক বা সরকারের বিভিন্ন সময়ের প্রকল্প হোক। এক নম্বরে আছে মি ডে মিল সর্ব শিক্ষার টাকা অনেক দিন আগে হুগলির এক জেলা শাসক বলে দিলেন, পোশাকের টাকা নিয়ে শিক্ষকরা ম্যালা প্র্যাকটিস করে। শিক্ষকরা কি করত? প্রাক প্রাথমিক শিশু দের টাকা আসত না, তাদের একটা করে পোশাক দিতে বলতেন, সেই জন্য পোশাক ম্যালা প্র্যাকটিস করে। আর SHG দল পোশাক দিচ্ছে, কী হয়েছে, সব থেকে ছোট ওদের তো দেয় না। আর পোশাক ছ মাসো যাচ্ছে না, ছিঁড়ে চলে যাচ্ছে। এখানে একটা কথা বলি, সিঙ্গুর ব্লকের মির্জাপুর বাঁকিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সৃষ্টি সংঘ পোশাক দিয়েছিল, তাদের দলনেত্রী বলেই দিচ্ছিলেন কাট মানি হিসেবে ব্লকে মাথা পিছু পঞ্চাশ টাকা দিতে হবে। চারশ টাকা থেকে কি থাকবে, যা হোক এবার আপনি চারশ টাকা টা ছয় শ করে দিয়েছেন। ঐ সৃষ্টি সংঘ হিসেবে গণ্ডগোল করার জন্য বাদ গেছে, নতুন সংঘ তৈরি হয়েছে। প্রথম থেকেই এই সরকার অফিসাারে দল শিক্ষক দের অপমান করে যাচ্ছে। তার ফল এই লোক সভা নির্বাচনে পেয়েছেন, এতে দুঃখ করে লাভ নেই।

দিদি সত্যিই আপনি সততার প্রতীক হতেন, যদি সারদা নারদা রোজভ্যালীর টাকা কে কে নিয়েছে বলে দিতে পারতেন।


কাট মানি ফেরত দিতে হবে বলে দিলেন, দিদি এটা কি আপনার ২০২১ সালে ক্ষমতায় ফিরে আসার জন্য একটা চাল, কারণ আপনার দলের ছোট বড়ো সকল নেতা মন্ত্রী সবাই কাট মানি নিয়ে বসে আছে, আপনি আবার কাট মানি ভাগ বলে দিয়েছেন ৭৫% আর ২৫ %। আপনার দলটি চলে কাট মানি তে আপনি জানেন দলের কোন কোন নেতা কাট নেয়, প্রতিটি ক্ষেত্রে, সিঙ্গুর সহ প্রতিটি ব্লকে সরকারি কর্মীদের দিয়ে মি ডে মিলের টাকা আত্মসাৎ পোশাকের টাকা একশ দিনের কাজের টাকা রাস্তা তৈরির টাকা এমনকি পঞ্চায়েত একটা শংসাপত্র দেওয়ার জন্য হাজার টাকা কাট মানি বা তোলা দিতে হয়। সিঙ্গুরে কীভাবে মি ডে মিলের টাকা আত্মসাৎ করে তা আমি এর আগেও এই ব্লগে লিখেছি, আপনি হয়তো পড়েন না। গত কয়েক বছর ধরে বিদ্যালয় গুলোর প্রাপ্য না দিয়ে, এবং আপনার দলের সমর্থক এক প্রধান শিক্ষক একটি বড়ো প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দায়িত্বে, সে খানে নম নম করে ছাত্র ছাত্রীদের খাইয়ে টাকা লুঠ করছে। সে খানে আপনার এই অফিসার গন কিছু বলেন না। আর যেসব শিক্ষক ছাত্র ছাত্রীদের খাওয়াচ্ছে এবং তাদের কে চাপ দিয়ে কি করে পয়সা টাকা না দেওয়ায় যায় তার ফন্দি আঁটছে, এই মাসে ১২/৬/২০১৯ আপনার এক অফিসার বিদ্যালয় পরিদর্শনে গিয়ে বলে এলেন, আপনার এতো চাল আছে আপনাকে মনে হয় টাকা দেব না। শিক্ষক মহাশয় বলছেন, ও টা জানুয়ারি ফেব্রুয়ারি মার্চ মাসের চাল, মার্চ মাসের ২৩/৩/২০১৯ তারিখে দিয়েছে। এপ্রিল মাসের খরচ হয়েছে, আর জানুয়ারি আর ফেব্রুয়ারি '১৯ মাসের টাকা এই বিদ্যালয়ে দেওয়া হয়নি। বিদ্যালয়ে রেকর্ড আছে, উনি বললেন ওসব শুনবেন না, উনি বি ডি ও গিয়ে দেখবেন। এর থেকে কি বুঝলেন উনি শিক্ষকের কথা বিশ্বাস করতে পারলেন না। আর ঐ যে বড়ো প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান যে খানে ছাত্র ছাত্রীদের নাম মাত্র খাইয়ে টাকা ভাগ হচ্ছে। সে খানে এক শিক্ষিকা এর প্রতিবাদ করে ছিলেন, তাকে ঐ বিদ্যালয় থেকে অন্য বিদ্যালয়ে অস্থায়ী ভাবে বদলি করা হয়েছে, অনেক দিন হলো। যা হোক দিদি আপনি এতো দিনে সত্যি কথা বলেছেন। আমি কাগজে পড়েছি, প্রশান্ত কিশোর না কাকে নিয়োগ করেছেন, সে আপনার দল কে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী করে দেবে, বিহারের মানুষ বাঙালির থেকে বুদ্ধি বেশি, আমি তো জানতাম ওরা নকল করে পাশ করে, এমনকি চাকরির পরীক্ষা গুলোতে হিন্দি তে পরীক্ষা দেয়, টুকে হিন্দি ওদের মাতৃভাষা পাস আমরা বাঙালি ইংরেজি ভাষায় পরীক্ষা দিতে গিয়ে হাবুডুবু, ওরা বাঙালি জাতি বিদ্বেষী কি জানি কি হবে? আপনি যদি ওনার কথা মতো এই কাট মানির বিষয়ে বলে থাকেন, তাহলে আপনার দল উঠে চলে যাবে। আপনি এটা নিজেও জানেন, আপনার প্রতি মানুষের মোহ ভঙ্গ হয়েছে, যে সব বড়ো বড়ো আমলার কথায় আপনি এতো দান ধ্যান করলেন, যে গুলো কে আপনি প্রকল্প বলছেন। ওইসব  গুলোর বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই টাকা অপচয় হচ্ছে। আপনি আরেকটা সত্যি কথা বলুন সারদা রোজভ্যালীর টাকা কাদের কাছে আছে, সে গুলো ফিরিয়ে নিয়ে আপনি ঐ সব চিটফাণ্ডের গ্রাহকদের টাকা ফেরত দেবেন। আর সিঙ্গুরে আপনি জিততে চান তাহলে এখন যে ষোলো পঞ্চায়েতের দায়িত্বে আছেন, শূন্য থেকে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। প্রকাশ্যে ঘোষণা করে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করুন, সিঙ্গুরে মাস্টার মশাই ও কম যান না। এবার আপনি বুঝবেন, তবে আপনার এই ঘোষণা ভালো লাগল, আপনি ভালো থাকুন।

জুতো নিয়ে বিরম্বনা, আবার এরপর আছে পোশাক।

গত কয়েক দিন ধরেই সিঙ্গুর ব্লকের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীদের (প্রাক প্রাথমিক বাদে) জুতো দেওয়া হচ্ছে। প্রথম শ্রেণীর ছাত্র ছাত্রীদের জুতো এসেছে, ছেলেদের, মাপ হলো ১০ ও ১১ এবং মেয়েদের ৯ ও ১০।দ্বিতীয় শ্রেণির জন্য ছেলে দের ১২ ও ১৩ এবং মেয়েদের ১১ও ১২,তৃতীয় শ্রেণির জন্য ছেলে দের ১ ও ২ এবং মেয়েদের ১৩ ও ১,চতুর্থ শ্রেণির জন্য ছেলে দের ৩ ও ৪ এবং মেয়েদের ২ ও ৩ নং জুতোর মাপ। গত ২০১৪/২০১৫ সালে প্রথম বার জুতো দেওয়ার জন্য মাপ চেয়ে নেওয়া হয়েছিল। এবার আর তা করা হয়নি, এবার দেওয়ার পর দেখা যাচ্ছে, প্রথম শ্রেণীর বাচ্ছা দের অনেকের পায়ে হচ্ছে না। দ্বিতীয় শ্রেণির ক্ষেত্রেও একই অবস্থা, তৃতীয় সমস্যা সব থেকে বেশি, চতুর্থ শ্রেণির জুতোর অবস্থা তথৈবচ, আবার ছেলেদের বাক্স খুলে দেখা গেল মেয়েদের জুতো, আবার একটা বাঁ পায়ের ১১ নং আর ডান বেড়িয়ে এলো ১০ এই বার শিক্ষকের জ্বালার শেষ নেই, যত অভিযোগ বলুন আর যাই বলুন সব শিক্ষকদের কাছে, পায়ে হয় নি, পাল্টে দিন, শিক্ষকের যে সে ক্ষমতা নেই, কী করে বোঝাই, কেউ কেউ রাগে রেখে দিয়ে চলে যাচ্ছে। এরকম জুতা দিলেন কেন পায়ে হবে না, দেখানো হচ্ছে, জুতো দেওয়া হচ্ছে, শিক্ষকদের কিছু করার নেই, এটা বলে বোঝানো যাবে না। সরকারি ভাবে যে মাপের জুতো এসেছে সেটাই দেওয়া হয়েছে, কারণ অফিস থেকে বলেই দেওয়া হয়েছে, কোন রকম বদল করা যাবে না। দারুণ মজার না যত বিরম্বনা শিক্ষকের। এর পর আসছে পোশাক, টাকা ভি ই সি এ্যাকাউন্টে টাকা এসেছে, কিন্তু ঐ যে নতুন ভি ই সি গঠন হয়েছে, আর ঐ এ্যাকাউন্টে শিক্ষকের থেকেও আরও দুজন ভালো মানুষ ঐ এ্যাকাউন্টে আছেন, তাদের স্বাক্ষর আর ছবি যোগার করতে করতে সময় পার, একজন তো তিনটি ব্লকের যত স্কুল আছে সব ভি ই সি র এ্যাকাউন্টে আছেন। তার উপর আছে, ব্যাঙ্কের চাহিদা, একজন মানুষ ঐ এ্যাকাউন্টে পরিবর্তন হচ্ছে, দিতে হবে সকলের ছবি কাগজ পত্র, এসব দায় শিক্ষকের একবার ব্যাঙ্কে গিয়ে সব নিয়ে যাওয়ার পর দেখে বলে দিলেন এখানে এখানে ঐ দুজনের স্বাক্ষর করে আনবেন। আর এবার ঐ ইঞ্জিনিয়ার কে খোঁজো যতখন না স্বাক্ষর হচ্ছে, হবে না। এতো গেল এদিকে আবার আছে, পোশাক যারা দেবেন তারা, ছেঁড়া ফাটা ছোট বড়ো হলে কে ঠিক করবে? শিক্ষকের দায়িত্ব, না হলে বিদ্যালয়ে ফেলে দিয়ে যাওয়া, আমি এর আগেও এরকম অনেক লিখেছি, কোনো পরিবর্তন হয়নি, আরো আছে সব থেকে ছোট প্রাক প্রাথমিক শ্রেণীর কোনো কিছু নেই। টাকা টা ঐ SHG কে দিয়ে দিলে সমস্যা মেটে, শিক্ষক দের জড়িয়ে তাদের অপ্রস্তুতে ফেলে লাভ কি হচ্ছে, বুঝতে পারছি না। আর এই জন্যই আজ শিক্ষকে জুতো খেতে হচ্ছে।

যাহোক তবুও
দিচ্ছেন, শিক্ষক রা এই সরকারের আমলে মানুষ নয়, তাদের যে ভাবে হোক জব্দ করতে হবে। সেই ভাবে অফিসারদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সে মি ডে মিলের টাকা নিয়ে হোক, জুতো দেওয়া নিয়ে হোক, পোশাক দেওয়া নিয়ে হোক, যে ভাবে হোক জব্দ করতে হবে। 

Monday, 17 June 2019

পশ্চিম বাংলায় নব জাগরণ আনতে হবে না, নব জাগরণ চলছে।

দিদি আপনি বিদ্যাসাগর মহাশয় এর মূর্তি বসাতে গিয়ে বলেছেন। বাংলায় নব জাগরণ আনতে হবে, আনতে হবে কি দিদি সে তো এসেছে আপনার হাত ধরে, পশ্চিমবঙ্গের নব জাগরণ শুরু হয়েছিল আপনার নেতৃত্বে। আপনার নব জাগরণ আন্দোলনের, প্রথম ছবি।  আপনার নব জাগরণ আন্দোলন ছবির মাধ্যমে বলব না লেখার মাধ্যমে। সমস্ত ছবি দিয়ে লিখতে গেলে এখানে জায়গা হবে না। আবার বিস্তারিত ভাবে লিখতে গিয়েও জায়গা হবে না, বা অত লেখা কেউ পড়বে না। তাই ক্রম করে লিখছি, ১)সিঙ্গুর থেকে টাটা তাড়ানোর আন্দোলন, নব জাগরণের শুরু। ২) টাটা তাড়ানোর জন্যে পেট ভরে খেয়ে ২৬ দিনের অনশন। ৩) মাওবাদীদের সঙ্গে নিয়ে নন্দীগ্রাম আন্দোলন। ৪)রেল মন্ত্রী থাকা কালীন হাজারো শিলান্যাস করা, রেলে চাকরি দেওয়ার নামে প্রহসন। ৫)মানুষ কে মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে নিজের দলে নেওয়া। ৬) বছরে এক কোটি চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি, ও সরকারি কর্মীদের কেন্দ্রীয় সরকার যে দিন ডিএ ঘোষণা করবে সে দিন থেকে ডিএ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া, ক্ষমতায় এসে আর না দেওয়া। ৭) ২০১১ সালে বদলা নয় বদল চাই বলে ক্ষমতা দখল করে, একের পর এক খুন, সি পি আই এম এর পার্টি অফিস দখল, স্থানীয় সি পি আই এম নেতা কর্মী সমর্থকদের নামে মিথ্যা মামলা দায়ের। ৮) কিষেণ জি খুন, যে ছত্রধরের বাইক চেপে জঙ্গলমহল ঘুরে বেড়লেন, মাওবাদী বলে তাকে গ্রেফতার। ৯) রায়গঞ্জের কলেজে অধ্যাপক পেটানোয় ছাড়, আর মাজদিয়ায় এস এফ আই এর ঘেরাও করে বিক্ষোভ ছিল, সেখানে গ্রেফতার করে জেল। ১০) বার বার মিথ্যে কথা বলে মানুষ কে বিভ্রান্ত করার প্রতিনিয়ত চেষ্টা। ১১) মাওবাদী দের সাথে মিলে জঙ্গল মহলে বিরোধী দের কণ্ঠ রোধ করা ভয় দেখিয়ে খুন করে, এমনকি লাশ পর্যন্ত দাহ করতে না দেওয়া। এক পুলিশ অফিসার কে খুন করে নদীতে ভাসিয়ে দেয় মাওবাদীরা। ১২) তার পর নেমে আসে শিক্ষক দের উপর অত্যাচার, মনে পরে এক জন শিক্ষককে বিদ্যালয়ের ভেতরে ঢুকে খুন করা। তার সেই কলম ধরা হাত, আর মার্শাল মুর্মু নামে সেই ছোট্ট ছেলে, যে বন্দুকের সামনে রুখে দাঁড়িয়ে ছিল। ১৩) ক্ষমতায় আসার আগে ও পরে আপনার নেতা মন্ত্রী কর্মী দের পুলিশের উপর হামলা, এবং এই কাজে পথ দেখিয়েছেন, আপনি, আপনার ভাষা আর কাজ দিয়ে প্রতিনিয়ত পুলিশ কে হুমকি, তার জন্যে পুলিশ কে ভয়ে টেবিলের তলায় লুকিয়ে পরতে হয়েছে। ১৪) বিরোধী দল তাদের কোনো মিছিল মিটিং করতে গেলে তাদের বিভিন্ন ভাবে বাধা দেওয়া এটা এই রাজ্যের রীতি হয়ে দাঁড়িয়েছে। ১৫) শিক্ষকরা আজ বিমুখ কারণ আপনার, এবং আপনার মন্ত্রীর কিছু অন্যায় নির্দেশ, সুস্থ ভাবে বিদ্যালয় পরিচালনায় সমস্যা তৈরি করছে। বাম আমলে মি ডে মিল শিক্ষকরা ভরসা করে ধার করে খাইছে, তিন মাস অন্তর ঠিক টাকা দিয়েছে। এখন সে ভরসা আপনি আর আপনার মন্ত্রী আদেশে কিছু অফিসার কীভাবে টাকা না দেওয়া যায় তার ফন্দি আঁটছে। আর ভি ই সি সে যে সব প্রতিনিধি বা সভাপতি আপনার দলের সব একটা রত্ন, খালি জব্দ করার ফিকির খোঁজে। মনে হয় প্রধান শিক্ষকের বাপের শ্রাদ্ধ হচ্ছে। ১৬) সাধারণ মানুষ আপনার দল কে ভোট দেবে কী আপনি সব করছেন, কিন্তু সাধারণ মানুষ কে বিশ্বাস করতে পারছেন না। ভয় দেখিয়ে মেরে খুন করে ভোট নেবেন কী করে? ১৭) ২০১১ সালের শুরুর দিকে বামেদের উপর অত্যাচার চালানো হয়েছে, পার্টি অফিস দখল থেকে সব কিছু, আর এখন কংগ্রেস এমনকি আপনার নিজের দলের মধ্যে গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব প্রবল আকার ধারণ করেছে। শিক্ষক, উকিল, ডাক্তার, সরকারি অফিসার সকলে আক্রান্ত, আপনার আগ্রাসী মনোভাব আর কথা বার্তা, আর সরকারী কর্মী জব্দ করার জন্য, আজ এই পরিস্থিতি। আপনি সরকারি কর্মী ও শিক্ষকদের হাতেও মারছেন, আবার ভাতেও মারছেন।আরো আছে, লিখে শেষ করা যাবে না। আপনার শুরু করা নব জাগরণের শেষ নেই, প্রতি দিন মানুষ খুন গনপিটুনি, এতো লেগেই আছে। ১৮) আপনার নব জাগরণ আন্দোলন শুরু ২০১৩ সালে সারদা বা চিটফাণ্ড কেলেঙ্কারি। দিদি আপনার বিবেকের কাছে আমার প্রশ্ন। আপনি বলুন, স্বাধীনতার পর থেকে বাংলার যত জন মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন। ডাঃ বিধান রায় থেকে শুরু করে কার সময়ে মন্ত্রী থাকা কালীন অবস্থায় জেল খেটেছে। কে আপনার মতো এতো মিথ্যে কথা বলে?

Thursday, 13 June 2019

দিদি, আপনি একদম পে কমিশন, ডিএ, পি আর টি স্কেল দেবেন না।

আমি বলছি, দিদি আপনি পে কমিশন ডিএ পি আর টি স্কেল দেবেন না। যেন বাপের টাকা খালি দাও দাও বুলি, এসব কুত্তার দল কাজ করে না, বসে বসে মাইনে নেয়। আপনি ঠিক বলেছেন খালি দাও দাও, দেখতে পাচ্ছে না, এত উন্নয়ন চলছে, কত শ্রী কত সাথী, সে সবে টাকা লাগবে না, খালি খালি দাও, কাজের বেলায় অষ্ট রম্ভা। সিঙ্গুরে আপনি যে এতো করলেন, তবুও সিঙ্গুর শ্মশান, হয়ে গেল, এটা আপনার দোষ বলুন, আপনি 2011 সালে সিঙ্গুর ব্লকের প্রাইমারি স্কুল গুলো কে MDM তিন মাসের (এপ্রিল মে জুন) এর টাকা দেননি, খুব ভালো লেগেছে, সেই সময়ের বি ডি ও খুব ভালো ছিল, এখন সেই রকম একজন বি ডি ও এখন এসেছে, দেখে কোন স্কুলের এ্যাকাউন্টে সামান্য টাকা থাকলেও টাকা দেওয়া বন্ধ, কত রকম ভাবে টাকা না দেওয়া যায় তার ফন্দি, সে ভালো ঐ যে শিক্ষা মন্ত্রী বলে ছিলেন, আমি শিক্ষকদের বেতন দিই, ঐ বেতনের টাকা কী করবে, ছাত্র দের খাওয়াবে না। শালা মাষ্টার তার বাপের শ্রাদ্ধ করবে না, একদম ঐ বেছে বেছে টাকা দেবেন না। আচ্ছা দিদি আপনার অনুগত এই  বি ডি ও ভাই, এই সব টাকার ভাগ ঠিক মতো দিচ্ছে, না দিলে ধরবেন, ঐ যে 24 পরগনার সন্দেশখালি-২ না কোথাকার বি ডি ও ভাগ দেয়নি বলে আপনার এক দল ভাই কেমন মারল, বেশ করেছে, পোশাকের জন্য ছ শ টাকা বরাদ্দ করেছেন, দেখবেন যে সব দল পোশাক তৈরি করে না তারা বরাত পাবে কাট মানি যেন ভালো থাকে, ভাগ না দিলে সিঙ্গুর মির্জাপুর পঞ্চায়েতের সৃষ্টি দলের যে অবস্থা করেছে। আপনি একটা কাজ করতে পারেন, হুগলি জেলা শাসক আপনার জন্যে  কি না করছে, সিঙ্গুরে বিডিও আর সব অফিসার এত কিছু করছে, মাষ্টার দের জব্দ করার জন্য। আপনি একবার চুপিচুপি এদের বলে দিন, মাষ্টার ধার করে খাওয়াবে যেমন করে হোক ভয় দেখিয়ে, ধমকে টাকা দেবে না। এদের থেকে তো টাকা তুলতে পারবেন না, এভাবে যা আসে তাতেই লাভ। মাষ্টার রা যাই বলুন যে যুক্তি দিক ওটা নেবেন না, ওটা ফালতু, দেখবেন দিদি কাট মানি যেন ঠিক মতো পৌঁছয়। আপনি সাইকেল দিচ্ছেন, জুতো দিচ্ছেন, জামা দিচ্ছেন, খাতা দিচ্ছেন, দু টাকা কিলো চাল দিচ্ছেন, ক্লাব কে টাকা, পূজোয় টাকা, কাট মানির ভাগ দিচ্ছেন, এর পরেও আপনাকে ভোট না দিয়ে ভারি অন্যায় করেছে, আপনার কষ্ট কেউ বুঝতে পারছে না। আমি একটা কথা বলি, আপনার বা মন্ত্রী দের বেতন কম ওটা একটু বাড়িয়ে দিন, এখন আশি না অষ্ট আশি হাজার টাকা আছে, ওটা লাখ দেড়েক করা যাবে না! আপনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী আমাদের জন্য এতো করছেন, আপনার বেতন বড্ড কম, অনন্ত লাখ দেড় দুই না হলে চলে।  নিন্দুকেরা যাই বলুন, আপনি আপনার টা দেখুন, আর যে সব অফিসার আপনার ভাইদের কাট মানি দেবে না। তাদের আপনি বদলি করে দিন, চালিয়ে যান দিদি, আমি আপনার সাথে আছি। 

Tuesday, 11 June 2019

মানবতা যাদের কাছে, "ধর্ম" ।

আমি ফেসবুকে বা অন্য সোসাল মিডিয়াতে বেশ কিছু লোকের পোস্ট দেখছি, আর লেখা গুলো পড়ে মজা পাচ্ছি। আমি জানি না কজন এই মানবতা কে ধর্ম বলে পালন করতে চান। যারা চান দেখবেন একটা গোষ্ঠীর মধ্যে সীমাবদ্ধ তারা আর সেই গণ্ডী থেকে বেরোতে পারছেন না। দেখা যাবে কেবল হিন্দু ধর্মের কিছু লোক এবং ইসলাম ধর্মের যা উল্লেখ যোগ্য নয়, তারা এই মানবতা কে ধর্ম বলে প্রচার করে যাচ্ছে। এই রাজ্যে বেশির ভাগ কমিউনিস্ট পার্টির নেতা মন্ত্রী আর কিছু সাধারণ কর্মী, আর মানুষ মানবতার আমাদের ধর্ম বলে চিৎকার করে। আপনারা একেবারে মুসলিম অধ্যুষিত এলাকায় গিয়ে বলুন মানবতা আপনার ধর্ম, আপনি যদি কোন মুসলিম এলাকায় যান তারা আপনাকে বলবে বাঙালি এসেছে, অথচ নিজে বাংলায় বাস করছে বাংলা ভাষায় কথা বলছে তবুও নিজেকে বাঙালি মনে করে না। তারা মনে করে তুমি বাঙালি আর তারা মুসলিম। কেউ কেউ বলেন আমি এদের জানি এরা ধর্মীয় গোঁড়ামি মানে না, সেটা সামান্যই, আবার বলবেন অমুক অমুক আমার বন্ধু, দেখবেন তারা আপনার মতো সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়ছে। ভারতে তথা পশ্চিমবঙ্গে কী করে মানবতা এই ধর্ম প্রচার করবেন। দেশটা স্বাধীন হয়েছে, ধর্মের ভিত্তিতে, স্বাধীনতার সময় থেকে এখানে দু রকম শিক্ষা ব্যবস্থা, একটি ইসলাম ধর্মের আর অন্যটি সাধারণ সরকারি, আপনার এই সাধারণ সরকারি শিক্ষায় কতজন মুসলিম ছেলে মেয়ে পড়ে বলুন? হাতে গোনা কয়েকজন, আর পাশাপাশি ওদের শিক্ষা অর্থাৎ কোরান হাদিস আলিম কতজন পড়ে একবার খোঁজ নিয়ে দেখুন। একটা জাতি যারা কয়েক শ বছর ভারতের শাসক ছিল, একমাত্র এই মুসলিম জাতি ধর্মীয় বেড়া দিয়ে নিজেদের এমন একটা ভাব করে রেখেছে, তাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা এখনো নিজেকে ভারতীয় ভাবেন না, যদি তাই ভাবত তাহলে ধর্মের নামে দেশটা ভাগ হতো না। একবার স্বাধীনতা আন্দোলনের কথা ভাবুন, কটা মুসলিম যুবকের নাম বলুন যারা স্বাধীনতার জন্য প্রাণ দিয়েছেন। হাতে গোনা কয়েক জন মুসলিম লীগ নামে দল তৈরি করে আন্দোলন করতে শুরু করেছিল, কেবল ক্ষমতা দখলের জন্য, কারণ তারাই ইংরেজ দের এই দেশে তথা বাংলার মাটিতে ক্ষমতা দখলে সাহায্য করে ছিল। রবীন্দ্র নাথ ঠাকুর একটা কথা এবিষয়ে লিখেছেন, যে অনেক জাতি ভারত শাসন করেছে, কিন্তু তারা ভারতীয় সভত্যা ও সংস্কৃতি কে আপন করে নিয়েছেন, কিন্তু এই একটি জাতি দীর্ঘ দিন ভারত শাসন করেও এদেশ কে আপন করে নিতে পারে নি। বর্তমান পশ্চিমবঙ্গের তথা ভারতের ষাট থেকে সত্তর  ভাগ মুসলিম জাতির মানুষের পূর্ব পুরুষ হিন্দু ছিলেন। ভারতের হিন্দু ধর্মের কঠোরতা জাতি ভেদ প্রথা যা এখনও অনেক রাজ্যে কঠোর ভাবে মেনে চলে, এই সব দলিত সম্প্রদায়ের মানুষ ধর্ম পরিবর্তন করে কেউ বৌদ্ধ কেউ খ্রীষ্টান কেউ ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছিল, বা করছে। এদের কাছে মানবতা কি করে আশা করা যায়? কারণ এরা অমানবিকতার শিকার, আমাদের রাজ্যের এখনও ধর্মের নামে রাজনীতি হয়। ইসলাম ধর্মের মানুষ দের ব্যবহার করে অনেকে ভোটে জিতে আসে, কিন্তু আর কিছু করতে পারে না, কারণ এরা বেশির ভাগ ধর্মীয় শিক্ষায় শিক্ষিত, তাদের কি করে চাকরি দেবে, তাই এদের জন্য বিভিন্ন রিলিফের ব্যবস্থা করে খান্ত হন। একটা বিষয় লক্ষ্য করে দেখুন, এরা ধর্মের নামে মানুষ খুন করতে পিছপা হয় না। পৃথিবীর যত উগ্রপন্থী বা জঙ্গী সংগঠন আছে, তার সিংহ ভাগ এই ধর্মের, এদের কাছে মানবিকতা আশা করা দূরাশা। যতদিন না, এদের আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থার আনা যাবে, বা এরা আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত হবে, তত দিন পর্যন্ত পৃথিবীর যুদ্ধ খুন খারাপি চলতেই থাকবে। এরা শোর্ড বল্লাম আর দু একটা আধুনিক বা পুরনো দিনের, অপর জাতির আবিস্কৃত বন্দুক কিনে নিয়ে যুদ্ধ করে, মানুষ খুন করে বেড়ায়, আর ঐ অস্ত্র নিয়ে আধুনিক মিসাইলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে, কিন্তু আরেক জন এ পি জে আব্দুল কালাম তৈরি করার চেষ্টা করে না। এটাই ভারত তথা পশ্চিমবঙ্গের কাছে দুর্ভাগ্যের।


Sunday, 2 June 2019

মাননীয় শিক্ষা মন্ত্রী সমীপে ।

আমি জানি না আপনি আমার লেখা এই পাতাটি পড়বেন কি না? আপনি যদি পড়েন তবে আপনার ঐ প্রশ্নের উত্তর আমি দিতে পারি, আপনার সাথে যারা বৈঠক করেছেন, আমি পড়লাম তারা বলেছে, ডিএ ও পে কমিশন পি আর টি স্কেল নেই, তাই ভোট কমেছে। আমি ওদের সাথে একমত ঐ গুলো মূল কারণ, কারণ আমারও দাবি ঐ গুলো, তাছাড়াও আরও কত গুলো বিষয় আছে, সে গুলো আপনার গোচরে এনেছেন কিনা জানি না। প্রথমে আসে মি ডে মিল নিয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের H. T. ও T. I. C. হয়রানির শেষ নেই, সিঙ্গুর ব্লকে বা বিধান সভায় হেরেছেন নিশ্চয়ই, হয়রানির উদাহরণ হিসেবে দিই, অনেক দিন আগে এই নিয়ে লিখেছিলাম, কিন্তু কোন ফল হয়নি। এবার মি ডে মিল নিয়ে সিঙ্গুরের শিক্ষকের হয়রানির হিসেবে আমার মনে হয় এসব রাজ্যের সর্বত্র, মনে করুন জানুয়ারি ফেব্রুয়ারি মার্চ মাসের 78 দিনের চাল এলো এপ্রিল মে জুন মাসে জন্য। এবার এপ্রিল মে জুন খাওয়ানোর দিন 46 দিন, কত দিনের বাঁচাতে পারে? আর সবদিন সমান মানে 100 গ্রাম চাল লাগে না, তাহলে আরও কিছু বাঁচল, এবার ঐ বাঁচা চালে পোকা ধরে গেল, দোষ কার প্রধান শিক্ষকের, কারণ তিনি খাওয়ানি তাই চাল বেঁচে গেছে। তার সাথে আর একটা কথা শুনতে হবে, না খাইয়ে পয়সা খরচ করে দিলেন।এই কথাটার অর্থ নিশ্চয়ই বোঝেন, প্রধান শিক্ষক চোর। এই বিষয়ে আরেকটু লিখি এখন ছাত্র পিছু 4 টাকা 35 পয়সা দেওয়া হয়। 100 জন ছাত্র থাকলে 85 জনের, তাহলে কোনো বিদ্যালয়ে 100 জন ছাত্র ছাত্রী আছে, 85 জনের টাকা পেলে এক দিনের কত টাকা হয়। 85 x 4.35 = 369.75 =370 টাকা এবার একদিনের খরচ ধরা যাক একদিন বিদ্যালয়ে 75 ছাত্র ছাত্রী এসেছে, খাবে 60 জন, ঐ পোকা ধরা চাল গন্ধ ভাত খেতে চায় না, স্বাভাবিক ভাবে চাল 6 কিলোর পরিবর্তে 5কেজি নেওয়া হলো। পোকা পরিস্কার করতে গিয়ে 1 কেজি বাধ গেল। আগে বাম আমলে বাড়তি চাল ছাত্র দের দিয়ে দেওয়া যেত, আপনার মতো একজন মানুষ আছেন নির্দেশ দিয়েছেন আর কি করা যাবে। এবার ঐ দিনের খরচ 60 খেলে 9 কেজি আলু, যে কোন আনাজ 4 কেজি, পিঁয়াজ 2 কেজি, লঙ্কা 100 গ্রাম আদা 200 গ্রাম। সর্ষে তেল 500 গ্রাম অন্য মশলা ( জিরে, ফোড়ন, ইত্যাদি) জ্বালানি গ্যাস 60 গড়ে হলে একটা 14 কেজি গ্যাস 8 থেকে 10 দিন চলে। ডাল লাগবে 600 এবার হিসেবে করি 9 কেজি আলু 9x16=144 টাকা 4 কেজি আনাজ 35 টাকা কেজি দরে 140 টাকা 2 কেজি পিঁয়াজ 20 টাকা দরে 40 টাকা 100 গ্রাম কাঁচা লঙ্কা ও আদা মিলে 37 টাকা, স:তেল 500 গ্রাম 55 টাকা 600 গ্রাম (মুসুর) 54 টাকা জ্বালানি 10 দিন ধরে 80 টাকা। মোট 144+140 +40+37+55+54+80 =550 টাকা, আর খরচ করার কথা কত টাকা, 4.35 x60 =262 টাকা, এই যে বাড়তি টাকা খরচ দেখানো যাবে না। আর ডিমের দিনের হিসেবে করলে, যদি 80 জন খায়। ডিমের দাম 80x5=400 টাকা খরচ করতে পারা যাবে কত 80x4.35=348 টাকা এবার ঐ দিনের জ্বালানি আলু পিঁয়াজ মশলা তেল সব নিয়ে কত হতে পারে। যেই ছাত্র সংখ্যা দিয়ে গুণ করে মিলছে না তখন বলা হচ্ছে, আপনি কেন বেশি খরচ করেছেন? এবার শিক্ষকের কাজ কিভাবে কম করা যায় আনাজ পত্র কম তেল মশলা কম এনে মেলানো, কিন্তু বিদ্যালয়ের ছাত্র অনুযায়ী সে 370 টাকা সে খরচ করতে পারলে টাকাও বাঁচত না মোটাামুটি খাওয়ানো যেত। এবার ঐ হাজিরা আর খাওয়া ছাত্র হিসেবে করতে গিয়ে  করে খাওয়াচ্ছে, ডাল, তরকারি একবারের বেশি দেওয়া যায় না, ডাল হচ্ছে কোথায় ও তো জল, সব আপনার দয়া আপনি বলেছেন যত জন খাবে গুন করে যেন মেলে  এভাবে খারাপ খাইয়ে যেই টাকা বেঁঁচে গেল অমনি টাকা ব্যাঙ্ক একাউন্টে থেকে গেল, আর টাকা দেওয়া বন্ধ, শিক্ষক কী করেন ধার করে খাওয়াবেন না। কারণ সিঙ্গুর ব্লকে 2011 সালে তিন মাাসে টাকা দেয়নি। তাছাড়া গ্যাস সিলিন্ডার তো ধার বাকি তেে দেয় না। ওখানে হিসেবে বাকি দেখানো বারণ, অথচ অগ্রীম টাকা দেেওয়া হবে না। আচ্ছা আপনার কাাছে আমার প্রশ্ন যে অফিসার কে এরকম নির্দেশ দিয়ে রেখেছেন। তাারা অফিসের জন্য নিজের বেতন থেকে ক টাকা খরচ করে? আপনার নির্দেশে তো এসব হচ্ছে, এর পর আছে সর্ব শিক্ষা মিশনের প্রতি মাসে চার পাঁচ দফা কাগজ পূরণ, আচ্ছা আপনি বলুন সুপ্রীম কোর্ট রায় দিল আধার লাগবে না, তার পর সর্ব শিক্ষা কী করে আধার রেজিস্টার করতে বাধ্য করে? বছরের মধ্যে পঁচিশ বার বিভিন্ন ভাবে ছাত্র সংখ্যা আর তাদের বিভিন্ন কলম পুরণ করে দিতে হবে, এ দিয়ে কোন কাজ হয় না। যাক গে ওসব বাদ দিন সব থেকে সমস্যা গ্রামে গ্রামে আপনাদের গ্রাম সদস্য বা মুখ্যমন্ত্রীীরা, নতুন V.E.C. তৈরি হয়েছে, সর্ব শিক্ষার টাকা খরচ করতে হব, ঐ A/ C তে ওনার নাম ঢোকাতে হবে, এই কাজের জন্য যে কাগজ লাগে চেয়ে না পাওয়া, আবার সিঙ্গুর নন্দনের যিনি তিনি তো দ্বিতীয় মুখ্যমন্ত্রী, বাড়িতে আনতে গিয়ে অপমানিত তিনি লোক দিয়ে বলে পাঠালেন, আপনি কে যান যান এখন  ওসব হবে না। আপনি    যান ত আবার নির্লজ্জের মতো ফোনে করে বলা হলো। আজ পর্যন্ত ফোট সহ অন্যান্য কাগজ পত্র আর এলো না। তাহলে ঐ টাকা খরচ করে যখন পেমেন্ট করবে তখন কী হবে? সর্বশিক্ষা সেখানে দায়িত্ব যিনি তিনি আরেক জিনিস,এসব কাজে কিছু হলেই  প্রধানশিক্ষক  চোর, সত্যিই শিক্ষক আজ নেড়ে কুত্তার অধম, আপনি তাদের কাছে ভোট চাইছেন। আপনি কী ভাবছেন এসব কথা শিক্ষকেরা অভিভাবক দের মধ্যে প্রচার করে না বলে না, আরে সেই কারণেই সিঙ্গুর বিধান সভায় 12 হাজার ভোটে হেরে গেছন। এই পরিস্থিতির জন্য আপনি দায়ি, একটা জিও করুন যে সর্ব শিক্ষার A/C তে নির্বাচিত প্রতিনিধি থাকবে না, একজন অভিভাবক থাকবে, M. D. M এর টাকা ছাত্র ছাত্রীদের খাওয়ার জন্য খরচ করা যাবে,আর MDM এর টাকা SIS এর মাধ্যমে দিতে পারেন। আমি জানি আপনি আপনার ইচ্ছা থাকলেও পারবেন না।
     সেই জন্য আগামী 2021 সালে কী ভাবে হারবেন তৈরী থাকুন। নমস্কার নেবেন ভালো থাকবেন।

Saturday, 1 June 2019

মোদীজি দেশের বেকার যুবকদের কাজ দিন।

আমি জানি আপনি আমার মত এই তুচ্ছ লোকের লেখা পড়বেন না। শিরোনাম সহ ছবি টি দেখেছেন নিশ্চয়ই, আমি বিভিন্ন কাগজ বা পত্রিকায় অন লাইন খবরে অনেক দিন আগেই পড়েছি, যে আমাদের দেশে 20 থেকে 35 বছর বয়সী যুবক বেশি,দেশের উন্নতির জন্য এদের কাজে লাগান ভারত তরতর করে এগিয়ে যাবে, এই শিক্ষিত বেকার যুবক যুবতী দের পকোরা ভাজার পরামর্শ দিচ্ছেন। এই নির্বাচনের আগে আপনি সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করে ছিলেন। ভারতীয় রেল প্রায় এক লক্ষ নব্বই হাজার লোক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি  জারি  করে ছিল। এই নির্বাচনে আগে রেল বিভিন্ন সময়ে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল, বেকার যুবক যুবতী 500টাকা দিয়ে অন লাইন ফর্ম ফিলাপ করে ছিল, পরীক্ষা হয়নি না হয়ে গেছে জানতে পারল না। এদিকে আপনি ব্যাঙ্ক বীমা বিএসএনএল রেল কে নাকি বেসরকারি করে দেবেন, তাহলে আমেরিকার হাল হবে, কর্মী ছাঁটাই লেগেই থাকবে। আর কিছু দিন পর অর্থ নৈতিক মন্দা মানুষের ক্রয় ক্ষমতা থাকবে না। আর যদি এটা হয় তাহলে দেশের সরকার থেকে লাভ কি? ভোটের আগে অনেক দপ্তরও একই রকম ভাবে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। এগুলো কি সব নির্বাচনি জুমলা, রেল হচ্ছে, ভারতের সব থেকে বড়ো নিয়োগের ক্ষেত্র, যদিও আমাদের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীও রেল মন্ত্রী থেকে মুখ্যমন্ত্রী হবার আগে রেলে নিয়োগের ফর্ম বিলি করে ছিলেন। সে নিয়োগ হয়নি, আপনি তো দেখছি, বেকার যুবক দের নিয়ে মস্করা করছেন, নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি হয়, আর নিয়োগ হয় না। মনে রাখবেন দেশে যুবক সম্প্রদায় কে নিয়ে এরকম মস্করা করবেন না।
আমি জানি আপনি আমার মত এই তুচ্ছ লোকের লেখা পড়বেন না। শিরোনাম সহ ছবি টি দেখেছেন নিশ্চয়ই, আমি বিভিন্ন কাগজ বা পত্রিকায় অন লাইন খবরে অনেক দিন আগেই পড়েছি, যে আমাদের দেশে 20 থেকে 35 বছর বয়সী যুবক বেশি,দেশের উন্নতির জন্য এদের কাজে লাগান ভারত তরতর করে এগিয়ে যাবে, এই শিক্ষিত বেকার যুবক যুবতী দের পকোরা ভাজার পরামর্শ দিচ্ছেন। এই নির্বাচনের আগে আপনি সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করে ছিলেন। ভারতীয় রেল প্রায় এক লক্ষ নব্বই হাজার লোক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি  জারি  করে ছিল। এই নির্বাচনে আগে রেল বিভিন্ন সময়ে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল, বেকার যুবক যুবতী 500টাকা দিয়ে অন লাইন ফর্ম ফিলাপ করে ছিল, পরীক্ষা হয়নি না হয়ে গেছে জানতে পারল না। এদিকে আপনি ব্যাঙ্ক বীমা বিএসএনএল রেল কে নাকি বেসরকারি করে দেবেন, তাহলে আমেরিকার হাল হবে, কর্মী ছাঁটাই লেগেই থাকবে। আর কিছু দিন পর অর্থ নৈতিক মন্দা মানুষের ক্রয় ক্ষমতা থাকবে না। আর যদি এটা হয় তাহলে দেশের সরকার থেকে লাভ কি? ভোটের আগে অনেক দপ্তরও একই রকম ভাবে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। এগুলো কি সব নির্বাচনি জুমলা, রেল হচ্ছে, ভারতের সব থেকে বড়ো নিয়োগের ক্ষেত্র, যদিও আমাদের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীও রেল মন্ত্রী থেকে মুখ্যমন্ত্রী হবার আগে রেলে নিয়োগের ফর্ম বিলি করে ছিলেন। সে নিয়োগ হয়নি, আপনি তো দেখছি, বেকার যুবক দের নিয়ে মস্করা করছেন, নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি হয়, আর নিয়োগ হয় না। মনে রাখবেন দেশে যুবক সম্প্রদায় কে নিয়ে এরকম মস্করা করবেন না। 

বাঙালি ও বর্তমান ভারত।

 (ছবিটি নেট থেকে নেওয়া, একটি স্ক্রিনশট।) স্বাধীনতার পূর্বে ভারত কীরকম ছিল, ১৯৪৭ সালে ভাগ হওয়ার পর কেমন হয়েছে। কেন ভারত ভাগ করা হয়েছিল সে ...