Anulekhon.blogspot.com

Wednesday, 26 June 2019

স্বাধীনতার জন্যে বন্দেমাতরম, আর মারামারি করতে জয় শ্রী রাম!

স্বাধীনতার সময় বিপ্লবী রা বঙ্কিম চন্দ্রের "আনন্দ মঠ" উপন্যাসের একটি গান "বন্দেমাতরম" কে বেছে নিয়ে ছিল। স্বাধীনতার পর সেই গান ভারতের জাতীয় সংগীত হিসেবে স্বীকৃতি পায়। আপত্তি তোলেন ইসলাম ধর্মের লোকজন বলেন এটা ইসলাম ধর্মের বিরোধী। অর্থাৎ ভারতের জাতীয় সংগীত ইসলাম ধর্মের বিরুদ্ধে, তখন রবীন্দ্র নাথ ঠাকুরের লেখা "জন গণ মন, অধিনায়কো"গান টি যে টি রাণী ভিক্টোরিয়ার গুন গান গাওয়া হয়েছে, সেই গান টি জাতীয় স্তোস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এটা তৎকালীন কংগ্রেস সরকার করে ছিল বাঙালি হিন্দু জাতির ক্ষতে প্রলেপ দেওয়ার জন্য, হাতের কাছে "সারে যাঁহাসে আচ্ছা" এই গান টিও ছিল, তখন দেশ ভাগের দগ দগে ঘা বাঙালি হিন্দু জাতি ধ্বংসের মুখে, আর বাঙালি আবেগ প্রবন জাতি সেই কারণেই ঐ গান দুটো দিয়ে ক্ষতে প্রলেপ দিয়ে ছিল, দেশ ভাগের নায়কের দল। দেশ গঠন করতে হলে যে যে পদক্ষেপ করা উচিত ছিল সে ব্যাপারে উদাসীন ছিল। দেশ বা দেশের মানুষ উচ্ছন্নে যাক আমি যেন প্রধানমন্ত্রী হতে পারি, আরেক জন ছিলেন নিজের পদবী টা যাতে ইতিহাসে থাকে সেই মুসলিম ছেলেও হয়ে যায় ফিরোজ গান্ধী। এই নেতা তথা জাতির জনক এক ধাপ উপরে যায়, যখন ইংরেজ সরকার দেখত এর প্রান সংশয়, অর্থাৎ হামলা হতে পারে তখনই একে জেলে বন্দি করত। মাঝে মাঝে নিজের ইচ্ছা করে জেলে বন্দি হতো। এই নেতা আমাদের জাতির জনক, অনশনে বসে দেশ স্বাধীন করে ফেলেছেন। বার বার অনশনে বসত ব্রিটিশ সরকার দেখলো আহা লোকটি না খেতে পেয়ে মারা যাবে, আমরা ভারতের স্বাধীনতা দিয়ে দিই। যাহোক প্রসঙ্গ অন্য দিকে চলে যাচ্ছে, বন্দেমাতরম ইসলাম ধর্মের বিরোধী, জয় শ্রী রাম, ইসলাম বিরোধী, ভারত মাতা কী জয়, ইসলাম ধর্মের বিরোধী বা এ ধরনের কথা বলা ইসলাম ধর্মের লোকজন বলবে না। আসলে ইসলাম ধর্ম ভারত বিরোধী, তারা নিজেদের ভারত বাসী বলে ভাবতে পারেন না। তিন শ চার শ বছর ধরে ভারত শাসন করেছে, তাহলে এতো বছর ধরে ভারতে বাস করে এখনো নিজেদের ভারতীয় করে তুলতে পারে নি। ওরা ভাবতে পারেন না ভারত বর্ষ বিভিন্ন ধর্ম ও জাতি নিয়ে গোষ্ঠী নিয়ে তৈরি প্রত্যেকের আলাদা আলাদা জাতি সত্ত্বা আছে, ঐ ধর্মের লোকজন নিজের ধর্ম টা বড়ো বলে ভাবে।সে যাই হোক ভারতে এক দেশ এক আইন হোক, আমি হিন্দু বলে যত আইন আমার জন্য আর ওনারা ইসলাম ধর্মের বলে শরিয়ত আইন, অর্থাৎ ধর্মীয় আইন এটা কি ঠিক? আর ধর্মের দোহাই দিয়ে জনসংখ্যা বৃদ্ধির জন্য চারটে পাঁচটি বিয়ে গোরু ছাগলের মতো সন্তান জণ্ম দিয়ে উগ্রপন্থী তৈরি করা, শুধু এদের বলি কেন হিন্দি বলয়ে যান খেতে পায় না, একটা একটা পরিবারের লোক সংখ্যা ভাবতে পারবেন না। অত দূরে যেতে হবে না, যেখানে যতো রেল ঝুপরি আছে, ঐ সব ঝুপরির বেশিরভাগ বাসিন্দা হিন্দি ভাষি দেখবেন গণ্ডায় গণ্ডায় ছেলে মেয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে, এই ভাবে জন সংখ্যা বাড়াচ্ছে, আর অন্যটি হলো চাষ যোগ্য জমিতে বসতি গড়ে উঠেছে, অচিরেই পশ্চিমবঙ্গে তথা ভারতে খাদ্য সংকট দেখা দেবে। আর যারা জয় শ্রী রাম বলে নি বলে মারছেন এ কাজটিও ঠিক করছেন না। জয় শ্রী রাম বলে যদি খাদ্য সংকট মিটে যেত, জয় শ্রী রাম বলে যদি চাকরি পাওয়া যেত, জয় শ্রী রাম বলে যদি মানুষের সমস্ত চাহিদা পূরণ হয়ে যেত তাহলে আপত্তি নেই, কিন্তু সেটা হওয়ার সম্ভাবনা নেই। মানুষের আশু প্রয়োজন গুলো যাতে মেটে, জন সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে আনা প্রতিটি মানুষ যাতে খেতে পায় তার ব্যবস্থা করা। কাজ, আর খাদ্য, বাসস্থান, স্বাস্থ্য পরিষেবা চালু রাখা, এই যে বি এস এন এলের কর্মীদের বেতন বন্ধ হয়ে গেছে, সেই পরিবার গুলো যাবে কোথায়? ভাবতে হবে সরকার কে ভারতের প্রতিটি নাগরিকের অধিকার আছে সুস্থ ভাবে বেঁচে থাকার, তাই কে জয় শ্রী রাম বলল আর কে বলল না সেটা না দেখে মানুষের মৌলিক চাহিদা গুলো যাতে মেটে তার ব্যবস্থা করার চেষ্টা করা। জয় শ্রী রাম বলে নি বলে তাকে ট্রেন থেকে ফেলে দেওয়া এই কাজটা করা ঠিক নয়। যারা এই কাজ করেছেন, একটু ভাববেন। 

No comments:

Post a Comment

বাঙালি ও বর্তমান ভারত।

 (ছবিটি নেট থেকে নেওয়া, একটি স্ক্রিনশট।) স্বাধীনতার পূর্বে ভারত কীরকম ছিল, ১৯৪৭ সালে ভাগ হওয়ার পর কেমন হয়েছে। কেন ভারত ভাগ করা হয়েছিল সে ...