Anulekhon.blogspot.com

Thursday, 27 June 2019

লবণ ও আয়োডিন।

আজ কাল প্রায় সব বাড়িতে আয়োডিন যুক্ত লবণ ব্যবহার করা হয়। খুব কম সংখ্যক মানুষ আছেন যারা আয়োডিন যুক্ত লবণ ব্যবহার করে না। আমি জানি এখন বাজারে লবণ কিনতে গেলে প্রতি প্যাকেটে লেখা থাকে আয়োজায়েড লবণ। এমনি সাদা লবণ অর্থাৎ আয়োডিন ছাড়া লবণ পাওয়া যায় না, বললেই চলে। আমি যত দূর জানি আয়োডিন মানুষের শরীরে অবশ্যই প্রয়োজন না গলগণ্ড রোগ হয়। থাইরয়েডের সমস্যা হয় এই থাইরয়েডের রস কম নিঃসরণে, আবার এমনও দেখা গেছে চোখ বিস্তারিত হয়ে বেড়িয়ে আসে, কিন্তু আমার এটা জানা নেই, এই আয়োডিন শরীরে অতিরিক্ত হলে, তাহলেও কি থাইরয়েডের সমস্যা হতে পারে। কারণ সাধারণ মানুষ জানে না ঐ সব লবনের সঙ্গে কতটা পরিমাণ আয়োডিন মেশানো আছে? আমি দেখেছি যে বাড়িতে দীর্ঘ দিন ধরে আয়োডিন যুক্ত লবণ ব্যবহার করা হচ্ছে, সেই বাড়ির লোকজন একটুতে হাঁপিয়ে যাচ্ছে, হার্ট বিট বেড়ে যাচ্ছে, অতিরিক্ত ঘাম হচ্ছে, ঘুমের সমস্যা হচ্ছে, বাচ্চা রা পড়া শোনায় মন দিতে পারছে না। ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলেই তিনি থাইরয়েডের পরীক্ষা করতে দিচ্ছে, এবং দেখা যাচ্ছে, থাইরয়েডের সব কটি বিষয়ে শরীরে অতিরিক্ত পরিমান আছে। অথচ আমি জানি আয়োডিন শরীরে ঠিক থাকলে থাইরয়েডের সমস্যা আসে না। বাড়িতে দীর্ঘ দিন ধরে আয়োডিন যুক্ত লবণ ব্যবহার করার পরেও সমস্যা, তাহলে কি বড়ো বড়ো কোম্পানি আয়োডিন এর নাম করে ঐ লবনে অন্য কিছু মেশাচ্ছে, বা লবনের মধ্যেই কোন আয়োডিন নেই। আমি ঠিক জানি না অতিরিক্ত আয়োডিন এর জন্যে শরীরের এই সমস্যা হচ্ছে কিনা? না ঐ সব বড়ো বড়ো কোম্পানি মানুষ কে ধোঁকা দিচ্ছে। আমি যতদূর জানি যুবক যুবতী দের থাইরয়েডের সমস্যা থাকলে প্রজনন ক্ষমতা, কমে আমার তো মনে হচ্ছে এই সব কোম্পানি কে নির্দেশ দেওয়া আছে, আয়োজাইডের নাম করে যা খুশি তাই বিক্রি করতে, যাতে থাইরয়েডের সমস্যা বাড়ে এবং লোক সংখ্যা কমে। আয়োডিন মানুষের শরীরের একটা গুরুত্বপূর্ণ উপাদান যে টা না থাইরয়েডের রোগ অবশ্যই শরীরে বাসা বাঁধে। এবার আমার প্রশ্ন যে সব বাড়িতে দীর্ঘ দিন ধরে নামী কোম্পানির আয়োজাইড লবন ব্যবহার করা হয়। সেখানেও এই সমস্যা কেন হবে, তাহলে কি বলা যাবে না গলদ ঐ লবনে, অর্থাৎ লবণেই বিষ।

No comments:

Post a Comment

পশ্চিমবঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করার সরকারি দপ্তরে শেষ চেষ্টা।

উপরের ছবি টা একটা স্কীনশট নেওয়া ছবি। ছবি টি সম্পর্কে কিছু কথা বলি তার পর অন্য কিছু কথা লেখা যাবে। ছবির দুটি অংশ উপরের অংশ একজন শিক্ষক যিনি ...