প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক দের কী না করতে হয়। জুতো সেলাই থেকে চণ্ডিপাট, সপ্তাহে সপ্তাহে ঔষুধ দেওয়া তার হিসেব রাখা, বই নিয়ে এসে বই দেওয়ার ব্যবস্থা করা, আবার যদ প্রধান শিক্ষক বা T. I. C. হন। তার অবস্থা তথৈ বচ ফর্ম আর কাগজ পুরোণ করে জমা দিতে দিতে তার অবস্থা কাহিল, কারণ ঘাড়ের উপর সর্ব শিক্ষা নামক একটি দৈত্য, কাগজ পূরোণ করে কোনো লাভ হয় না। কারণ ডাইসে আছে, ঘর মেরা মত করা প্রয়োজন কিনা না। আরো নানা ধরনের প্রশ্ন, এসবের পরেও আবেদন করতে হয়, প্ল্যান ইসটিমেট করে, তার টাকা প্রধান শিক্ষক দেবন কিন্তু পরে ভি ই সি র টাকা এলে নেবেন তার অধিকার নেই। তখন ভিজিট এসে বা লোক মারফত ধমকাচ্ছেন, কেন নেবেন, এই এ বছর ২০১৮-২০১৯ এর টাকা ২০১৯ - ২০২০ অর্থ বর্ষে দিয়েছে, কিন্তু আগে যে সব খরচ শিক্ষকরা করে ফেলেছেন সে সব নেবার পাওয়ার অধিকার ও তো প্রধান শিক্ষকের বাপের শ্রাদ্ধ করেছে না। মনে করুন কোনো বিদ্যালয়ের ঘর দরকার সে A. C. R. এর জন্যে আবেদন করল, নিজের টাকা খরচ প্ল্যান ইসটিমেট খরচ করল, নিজের টাকা গেল রাজনৈতিক দাদা দিদি দের কথায় সেই বিদ্যালয় কে টাকা দিল না। কারণ এই দাদা দিদিরা বলে দেন কে সরকারের পক্ষে আর কে নয়। উল্টে তাকে জব্দ করার জন্য উঠে পড়ে লাগে, আবার বিদ্যালয়ের যদিও কোনো ছোট বড়ো নেতার ছেলে মেয়ে চাকরি করে তাহলে ঐ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের অবস্থা ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি। কারণ ঐ ছেলে বা মেয়ে টা সমস্ত ধরনের অফিসারের ফোন নম্বর নিয়ে রাখে, আর নিজেকে মন্ত্রীর উপর ভাবতে থাকে, বিদ্যালয়ে যাই ঘটনা ঘটুক সব মোবাইল ফোনে বলে দেন ঐ অফিসার কে? অনেক সময় প্রধান শিক্ষক কে জব্দ করতে অফিসার কে ডেকে আনে? এর উপর আছে সরকারি ফরমান বছরের প্রতি মাসে চার বার করে ছাত্র সংখ্যা সংগ্রহ করা। কোনো কাজে আসে না। ঘরের আবেদন করেও আজ পর্যন্ত ঘর মেলে না, কেবল ঐ রাজনৈতিক কারণে, বিদ্যালযশি নতুন শিক্ষক আসে না রাজনৈতিক কারণে। এর উপর এখন এসে হাজির হয়েছে পোশাক, পোশাক দেবে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর লোকজন, তাদের এ্যাকাউন্টে টাকা পয়সা দিয়ে দে ঝামেলা চুকে যায় না শিক্ষক কে জড়িয়ে দিতে হবে, না হলে মজা পাওয়া যাবে কি করে? কি ঝামেলা কার ছোট হলো কার বড়ো হলো, কার ছিঁড়ে গেল, সব প্রধান শিক্ষক দেখবেন। গোষ্ঠীর কাউকে ফোন করেও আসবে না বদলে দিতে, যেমন এই জুতো নিয়ে বিরম্বনার শেষ নেই, আমার কাছে আজ পর্যন্ত জুতো ফেরত আসছে, কোথায় রাখব তার জায়গা নেই, এর উপর পোশাক গত বছরের ঐ রকম কিছু পরে আছে। পাল্টে দেয়নি। পোশাক আবার মাপ নিতে কবে ৪/৭/১৯ যতটা মনে হচ্ছে ঐ দিন রথ যাত্রা। প্রধান শিক্ষকের আর বাড়ি ঘর বাড়ি নেই, তাদের কাজ কিছু নেই, দিন রাত ঐ একই কাজ করে যেতে হবে।
Anulekhon.blogspot.com
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
বাঙালি ও বর্তমান ভারত।
(ছবিটি নেট থেকে নেওয়া, একটি স্ক্রিনশট।) স্বাধীনতার পূর্বে ভারত কীরকম ছিল, ১৯৪৭ সালে ভাগ হওয়ার পর কেমন হয়েছে। কেন ভারত ভাগ করা হয়েছিল সে ...

-
সরস্বতী পুজোর পদ্ধতি, পরপর যা করতে হবে।১)আচমন ২)বিষ্ণু স্মরণ ৩)স্বত্ত্বি বাচন ৪) স্বত্ত্বি সূক্ত ৫) সাক্ষ্য মন্ত্র ৬) বরণ ৭) সংকল্প ৮) স...
-
আমি এর আগে একটি ব্লগে লিখেছি, দুর্গা যষ্টী পূজার মন্ত্র ।এখানে বলি আমি পণ্ডিত নই, বিভিন্ন ধরনের বই পড়ে, আর দু একজন ব্রাহ্মণের সাথে কাজ ...
-
ছবি টি কীসের বা কোন প্রাণীর নিশ্চয়ই বলে দিতে হবে না। মানুষের প্রথম পোষ মানা প্রথম প্রাণী, হয়তো অনেকেই পড়ে বলবেন এবার নতুন কী এতো আমরা স...
No comments:
Post a Comment