পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক দলের নেতা কর্মীদের কাটমানি খাওয়া বন্ধ হলে আর কেউ রাজনীতে আসবে না। আজ বলে নয় বাঙালি জাতিকে ঘুষ দেওয়া নেওয়া শিখিয়েছে ইংরেজরা। বাঙালি কে আরাম প্রিয় করে তুলেছিল ইংরেজরা। বঙ্কিম চন্দ্রের সেই সময় কার বাবু সময় কার বাবু সম্প্রদায় নিয়ে লেখা আমরা পড়েছি, আর সেই ধারাবাহিকতা আমরা এখনো রক্ষা করে চলেছি। তোলা তোলা ঘুষ দেওয়া নেওয়া কাট মানি খাওয়া এসব বাঙালি জাতির মজ্জাগত অভ্যাস, খাটব না আরাম করে বসে বসে খাব হুকুম করব, নিজে কিছু করব না, অপরকে কিছু করতে দেখলে বাধা দোব, প্রতিবেশী কিছু করলে তাকে বাধা দেব, আমি ভালো থাকব আর ভালো পড়ব। আজ এটাই বাঙালি জাতিটা কে এক হতে দেয়নি, তবে তখনও ব্যতিক্রম ছিল আজও আছে, সেই ব্যতিক্রমী মানুষ সেই সময় বাঙালি জাতি কে এক করার চেষ্টা করে গেছেন। তারা বাংলা তথা বাঙালির উন্নতির জন্য নিজের সর্বস্ব দান করে গেছেন। আর কিছু বাঙালি পাশ্চাত্য শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে দেশ গড়ার জন্য নিজের জীবন বাজি রেখে লড়াই করে গেছেন।
যাহোক যে কথাটা আজ ক দিন হলো মিডিয়াতে ঘুর পাক খাচ্ছে, কাট মানি ফেরত দেওয়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন। আমার মতে খুব ভালো উদ্যোগ কিন্তু এ বিষ তো আজকের নয় এই বাংলায়, বহু বছর কেন যুগ যুগ ধরে চলে আসছে। আমাদের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তারকেশ্বরের এক সভায় বলে দিয়েছেন, কাট মানি একা খেলে হবে না। আবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে কর্মী সভায় ঠিক করে দেন কত শতাংশ কোথায় দিতে হবে। বামেদের সময়েও কাট মানি নেওয়া হয়েছে, প্রথম থেকেই, তবে সেটা অতো তীব্র ছিল না। পার্টি ফাণ্ডের নাম করে যারা দরপত্র পেত বিভিন্ন সরকারি কাজে তাদের থেকে নেওয়া হতো। এখন ওটা হয়ে গেছে পঞ্চায়েত কোন শংসাপত্র নিতে হলে, সে মৃত্যুর হোক বা জণ্মের আবার যে কোন কারণেই টাকা দিলে তবেই কাজ মেলে, এই তোলা তোলা কাট মানি বামেদের শেষ দিকে খুব তীব্র আকার ধারণ করে ছিল। তখন কার মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য এগুলো বন্ধ করার চেষ্টা করে ছিলেন, তার সেই চেষ্টা সফল হয়নি। সেই সব তোলা বাজরা তোলা বাজ দল বদলে তৃণমূলে আশ্রয় নেয়। আমাদের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী তাদের আদর করে দলে নিয়ে ছিলেন। আমার মনে হয় দিদি কাট মানি ফেরত দিতে বলছেন, এটা মানুষের মন পাওয়ার চেষ্টা, কারণ আমি একটা উদাহরণ দিই তাহলে বোঝা যাবে, এ নিয়ে গত কয়েক বছর ধরে লিখছি, কোনো বদল হয়নি। এবারো সেই একই ভাবে আদেশ হয়েছে, আমি বলছি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীদের পোশাকের কথা, এবারো সেই SHG পোশাক দেবে। অনেকেই বলবেন SHG দেবে তোমার আপত্তি কেন? আমার আপত্তি নেই, ওরা পোশাক দিয়ে টাকা নিয়ে চলে যাবে, তার পর ছেঁড়া ফাটা ছোট বড়ো পাল্টানোর সময় আর আসবে না। সিঙ্গুরে কোনো দল পোশাক তৈরি করে দেয় না। তারা সিঙ্গুরের কোনো দোকান কে অর্ডার দিয়ে দেয় ঠিক ভাবে মাপ নেয় না। ঠিক এই জুতো দেওয়ার মতো জামা দিতে আসবে ডিসেম্বরে যখন চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র ছাত্রীরা বিদ্যালয় ছেড়ে চলে যাবে তখন। সরকারি নির্দেশ মেনে দেবে না, এবার প্রতি ছাত্র পিছু ছ'শো টাকা এসেছে, যখন চার শ ছিল তখন সৃষ্টি নামক একটি দলের কাছে শুনেছি প্রতি ছাত্র পিছু পঞ্চাশ টাকা করে দিতে হয়েছে। তবে তারা পোশাক দেওয়ার অর্ডার পেয়েছে। তারা কেউ পোশাক তৈরি না করে পোশাক দিচ্ছে, কাট মানির কী সুন্দর ব্যবস্থাপনা। আমি জানি মুখ্যমন্ত্রী যতই বলুক ওটা মুখের কথা আসলে দালালি করে তোলা বাজি করে, কাট মানি নিয়ে টাকা ইনকাম চলছে চলবে। না হলে সিঙ্গুরের অনেক নেতা এতো দিন নেতা থাকতো না।
যাহোক যে কথাটা আজ ক দিন হলো মিডিয়াতে ঘুর পাক খাচ্ছে, কাট মানি ফেরত দেওয়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন। আমার মতে খুব ভালো উদ্যোগ কিন্তু এ বিষ তো আজকের নয় এই বাংলায়, বহু বছর কেন যুগ যুগ ধরে চলে আসছে। আমাদের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তারকেশ্বরের এক সভায় বলে দিয়েছেন, কাট মানি একা খেলে হবে না। আবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে কর্মী সভায় ঠিক করে দেন কত শতাংশ কোথায় দিতে হবে। বামেদের সময়েও কাট মানি নেওয়া হয়েছে, প্রথম থেকেই, তবে সেটা অতো তীব্র ছিল না। পার্টি ফাণ্ডের নাম করে যারা দরপত্র পেত বিভিন্ন সরকারি কাজে তাদের থেকে নেওয়া হতো। এখন ওটা হয়ে গেছে পঞ্চায়েত কোন শংসাপত্র নিতে হলে, সে মৃত্যুর হোক বা জণ্মের আবার যে কোন কারণেই টাকা দিলে তবেই কাজ মেলে, এই তোলা তোলা কাট মানি বামেদের শেষ দিকে খুব তীব্র আকার ধারণ করে ছিল। তখন কার মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য এগুলো বন্ধ করার চেষ্টা করে ছিলেন, তার সেই চেষ্টা সফল হয়নি। সেই সব তোলা বাজরা তোলা বাজ দল বদলে তৃণমূলে আশ্রয় নেয়। আমাদের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী তাদের আদর করে দলে নিয়ে ছিলেন। আমার মনে হয় দিদি কাট মানি ফেরত দিতে বলছেন, এটা মানুষের মন পাওয়ার চেষ্টা, কারণ আমি একটা উদাহরণ দিই তাহলে বোঝা যাবে, এ নিয়ে গত কয়েক বছর ধরে লিখছি, কোনো বদল হয়নি। এবারো সেই একই ভাবে আদেশ হয়েছে, আমি বলছি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীদের পোশাকের কথা, এবারো সেই SHG পোশাক দেবে। অনেকেই বলবেন SHG দেবে তোমার আপত্তি কেন? আমার আপত্তি নেই, ওরা পোশাক দিয়ে টাকা নিয়ে চলে যাবে, তার পর ছেঁড়া ফাটা ছোট বড়ো পাল্টানোর সময় আর আসবে না। সিঙ্গুরে কোনো দল পোশাক তৈরি করে দেয় না। তারা সিঙ্গুরের কোনো দোকান কে অর্ডার দিয়ে দেয় ঠিক ভাবে মাপ নেয় না। ঠিক এই জুতো দেওয়ার মতো জামা দিতে আসবে ডিসেম্বরে যখন চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র ছাত্রীরা বিদ্যালয় ছেড়ে চলে যাবে তখন। সরকারি নির্দেশ মেনে দেবে না, এবার প্রতি ছাত্র পিছু ছ'শো টাকা এসেছে, যখন চার শ ছিল তখন সৃষ্টি নামক একটি দলের কাছে শুনেছি প্রতি ছাত্র পিছু পঞ্চাশ টাকা করে দিতে হয়েছে। তবে তারা পোশাক দেওয়ার অর্ডার পেয়েছে। তারা কেউ পোশাক তৈরি না করে পোশাক দিচ্ছে, কাট মানির কী সুন্দর ব্যবস্থাপনা। আমি জানি মুখ্যমন্ত্রী যতই বলুক ওটা মুখের কথা আসলে দালালি করে তোলা বাজি করে, কাট মানি নিয়ে টাকা ইনকাম চলছে চলবে। না হলে সিঙ্গুরের অনেক নেতা এতো দিন নেতা থাকতো না।
No comments:
Post a Comment