(ছবি টি নিজস্ব) কাট মানি নিয়ে চার পাশে যে আন্দোলন শুরু হয়েছে। অনেক বড়ো বড়ো নেতার বাড়ির সামনে বিক্ষোভ ধর্ণা চলছে। আজ একটি অনলাইন খবরে পড়লাম, বর্ধমান এক নেতা কুড়ি দিনে পঁয়তাল্লিশ লক্ষ টাকা ফেরত দেওয়ার অঙ্গীকার করেছেন। জানি না এটা সত্য কি না, না কি বিরোধী দল জোর করে আদায় করছে। কারণ এই একটা সুযোগ, সে তুলনায় আমাদের সিঙ্গুর সত্যিই শান্তি পূর্ণ জায়গা, না হলে সবার আগে সিঙ্গুরে টাকা ফেরত দিতে হবে বলে আন্দোলন শুরু হওয়ার কথা তা কিন্তু হয়নি।সিঙ্গুরে ব্যবস্থা পাকা পোক্ত কেউ ট্যাঁ ফোঁ করতে পারে না। আবার এটাও ঠিক এখানে কাট মানি বা তোলা দেয়, দুর্গাপুর এক্সপ্রেস ওয়ের দু পাশে যা দু একটা কারখানা এখনো আছে তারা, এদের কাছ থেকে বেশি তোলা আসে, ভোটের খরচ, ভোটের আগে দূস্কৃতি ও পরে জেতার জন্য মদ মাংসের টাকা সব আসে ঐ সব ছোট খাটো কারখানার মালিকের কাছ থেকে।এই ভাবে অনেক দিন হলো, দু তিন টি নতুন কারখানা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পরিবেশ দূষণ হচ্ছে, এই ভয় দেখিয়ে টাকা তোলা হয়। আমি জানি না সাধারণ মানুষের কাছ থেকে টাকা তোলা হয়েছে কি না। কারখানার মালিক তাই আর ধর্ণায় বসতে যায় নি। আর সাধারন মানুষের টাকা যদি নেন, তাহলে বলতে হবে সিঙ্গুরের মানুষ সত্যিই ভদ্র ও শান্তি প্রিয়। আবার এটাও ঠিক এখান থেকে মনে হয় ৭৫%ও ২৫ % এর সঠিক ভাগ পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এখানে পাবলিকের টাকা অন্যভাবে পকেটে আসে, এই যেমন পোশাক সব টাকা স্কুলের এ্যাকাউন্টে এবার ঐ দল ( shg) টাকা সব তুলে ছাত্র পিছু জমা দিয়ে দেবেন, না দিলে সে দল ( shg) পরের বছর থেকে বাদ, কেন এমন বলছি, সরকারের উদ্দেশ্য কি যে দলের মেয়েরা একটি কারখানা বা ছোট খাটো পোশাক তৈরির উদ্যোগ করে সেখান থেকে সারা বছর ইনকাম করবে। আজ চার পাঁচ বছর হলো গোটা সিঙ্গুর ব্লকের একটি স্থানেও পোশাক তৈরির কোনো উদ্যোগ বা কারখানা নেই। তারপর কী উদ্দেশ্যে ওদের মাধ্যমে পোশাক দেওয়া হচ্ছে। এটা একটা উদাহরণ মাত্র আরও আছে, শিশুদের মি ডে মিলের টাকা তার উপর কিভাবে চুরি করতে হবে কত রকম কৌশল। এই কৌশলের জন্য মানুষ কিছু বলে না। সাধারণ মানুষ ধরবে কি ভাবে, বিদ্যালয় ভিজিটে গিয়ে এ আই বলে আসছেন এক জন ছাত্র উপস্থিত থাকলেও রান্না করতে হবে। একদম ঠিক কথা কিন্তু টাকা আমরা নাও দিতে পারি, টাকা ও প্রধান শিক্ষক কি ভাবে খাওয়াবে দায় তার, আমরা যদি খুঁত পেয়েছি আর টাকা দেব না। তখন বাজারের দেনা প্রধান শিক্ষক শোধ করবে, আর এই ধার দেনা করে শিক্ষক মহাশয় খাওয়াচ্ছে এটা পাবলিক জানে না, তারা জানে সরকার টাকা দিচ্ছে, তাই খাওয়াচ্ছে, আবার যদি কোন শিক্ষক বিরোধী হন, তবে সেই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কে জব্দ করার জন্য প্রতি মাসে দুবার করে, পারলে পঞ্চায়েতের চৌকিদারকেও পাঠিয়ে নজরে রাখবে। সেই কারণেই বলছি সিঙ্গুরের মানুষ সত্যিই শান্তি প্রিয় ও ভদ্র। আবার এটাও হতে পারে তারা বোঝে এটা গিমিক, না হলে যে স্যাণ্ড গেঞ্জি পরে নারদার কাছ থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা নিচ্ছে, টেলিভিশন চ্যানেলে প্রচারিত হচ্ছে। তিনি বলছেন, তৃণমূলের নেতারা কাট মানি খায় না, খেলেও সেটা খুব কম। আর বিধানসভা নির্বাচনের বছর দেড় দুয়েক বাকি সেই কারণেই, এভাবে ফিরে আসার চেষ্টা চলছে। বড্ড দেরি হয়ে গেছে, আর আপনার মনে হয় ক্ষমতায় আসা হব না।
Anulekhon.blogspot.com
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
পশ্চিমবঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করার সরকারি দপ্তরে শেষ চেষ্টা।
উপরের ছবি টা একটা স্কীনশট নেওয়া ছবি। ছবি টি সম্পর্কে কিছু কথা বলি তার পর অন্য কিছু কথা লেখা যাবে। ছবির দুটি অংশ উপরের অংশ একজন শিক্ষক যিনি ...

-
সরস্বতী পুজোর পদ্ধতি, পরপর যা করতে হবে।১)আচমন ২)বিষ্ণু স্মরণ ৩)স্বত্ত্বি বাচন ৪) স্বত্ত্বি সূক্ত ৫) সাক্ষ্য মন্ত্র ৬) বরণ ৭) সংকল্প ৮) স...
-
আমি এর আগে একটি ব্লগে লিখেছি, দুর্গা যষ্টী পূজার মন্ত্র ।এখানে বলি আমি পণ্ডিত নই, বিভিন্ন ধরনের বই পড়ে, আর দু একজন ব্রাহ্মণের সাথে কাজ ...
-
ছবি টি কীসের বা কোন প্রাণীর নিশ্চয়ই বলে দিতে হবে না। মানুষের প্রথম পোষ মানা প্রথম প্রাণী, হয়তো অনেকেই পড়ে বলবেন এবার নতুন কী এতো আমরা স...
No comments:
Post a Comment