Anulekhon.blogspot.com

Thursday, 20 June 2019

জুতো নিয়ে বিরম্বনা, আবার এরপর আছে পোশাক।

গত কয়েক দিন ধরেই সিঙ্গুর ব্লকের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীদের (প্রাক প্রাথমিক বাদে) জুতো দেওয়া হচ্ছে। প্রথম শ্রেণীর ছাত্র ছাত্রীদের জুতো এসেছে, ছেলেদের, মাপ হলো ১০ ও ১১ এবং মেয়েদের ৯ ও ১০।দ্বিতীয় শ্রেণির জন্য ছেলে দের ১২ ও ১৩ এবং মেয়েদের ১১ও ১২,তৃতীয় শ্রেণির জন্য ছেলে দের ১ ও ২ এবং মেয়েদের ১৩ ও ১,চতুর্থ শ্রেণির জন্য ছেলে দের ৩ ও ৪ এবং মেয়েদের ২ ও ৩ নং জুতোর মাপ। গত ২০১৪/২০১৫ সালে প্রথম বার জুতো দেওয়ার জন্য মাপ চেয়ে নেওয়া হয়েছিল। এবার আর তা করা হয়নি, এবার দেওয়ার পর দেখা যাচ্ছে, প্রথম শ্রেণীর বাচ্ছা দের অনেকের পায়ে হচ্ছে না। দ্বিতীয় শ্রেণির ক্ষেত্রেও একই অবস্থা, তৃতীয় সমস্যা সব থেকে বেশি, চতুর্থ শ্রেণির জুতোর অবস্থা তথৈবচ, আবার ছেলেদের বাক্স খুলে দেখা গেল মেয়েদের জুতো, আবার একটা বাঁ পায়ের ১১ নং আর ডান বেড়িয়ে এলো ১০ এই বার শিক্ষকের জ্বালার শেষ নেই, যত অভিযোগ বলুন আর যাই বলুন সব শিক্ষকদের কাছে, পায়ে হয় নি, পাল্টে দিন, শিক্ষকের যে সে ক্ষমতা নেই, কী করে বোঝাই, কেউ কেউ রাগে রেখে দিয়ে চলে যাচ্ছে। এরকম জুতা দিলেন কেন পায়ে হবে না, দেখানো হচ্ছে, জুতো দেওয়া হচ্ছে, শিক্ষকদের কিছু করার নেই, এটা বলে বোঝানো যাবে না। সরকারি ভাবে যে মাপের জুতো এসেছে সেটাই দেওয়া হয়েছে, কারণ অফিস থেকে বলেই দেওয়া হয়েছে, কোন রকম বদল করা যাবে না। দারুণ মজার না যত বিরম্বনা শিক্ষকের। এর পর আসছে পোশাক, টাকা ভি ই সি এ্যাকাউন্টে টাকা এসেছে, কিন্তু ঐ যে নতুন ভি ই সি গঠন হয়েছে, আর ঐ এ্যাকাউন্টে শিক্ষকের থেকেও আরও দুজন ভালো মানুষ ঐ এ্যাকাউন্টে আছেন, তাদের স্বাক্ষর আর ছবি যোগার করতে করতে সময় পার, একজন তো তিনটি ব্লকের যত স্কুল আছে সব ভি ই সি র এ্যাকাউন্টে আছেন। তার উপর আছে, ব্যাঙ্কের চাহিদা, একজন মানুষ ঐ এ্যাকাউন্টে পরিবর্তন হচ্ছে, দিতে হবে সকলের ছবি কাগজ পত্র, এসব দায় শিক্ষকের একবার ব্যাঙ্কে গিয়ে সব নিয়ে যাওয়ার পর দেখে বলে দিলেন এখানে এখানে ঐ দুজনের স্বাক্ষর করে আনবেন। আর এবার ঐ ইঞ্জিনিয়ার কে খোঁজো যতখন না স্বাক্ষর হচ্ছে, হবে না। এতো গেল এদিকে আবার আছে, পোশাক যারা দেবেন তারা, ছেঁড়া ফাটা ছোট বড়ো হলে কে ঠিক করবে? শিক্ষকের দায়িত্ব, না হলে বিদ্যালয়ে ফেলে দিয়ে যাওয়া, আমি এর আগেও এরকম অনেক লিখেছি, কোনো পরিবর্তন হয়নি, আরো আছে সব থেকে ছোট প্রাক প্রাথমিক শ্রেণীর কোনো কিছু নেই। টাকা টা ঐ SHG কে দিয়ে দিলে সমস্যা মেটে, শিক্ষক দের জড়িয়ে তাদের অপ্রস্তুতে ফেলে লাভ কি হচ্ছে, বুঝতে পারছি না। আর এই জন্যই আজ শিক্ষকে জুতো খেতে হচ্ছে।

যাহোক তবুও
দিচ্ছেন, শিক্ষক রা এই সরকারের আমলে মানুষ নয়, তাদের যে ভাবে হোক জব্দ করতে হবে। সেই ভাবে অফিসারদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সে মি ডে মিলের টাকা নিয়ে হোক, জুতো দেওয়া নিয়ে হোক, পোশাক দেওয়া নিয়ে হোক, যে ভাবে হোক জব্দ করতে হবে। 

No comments:

Post a Comment

বাঙালি ও বর্তমান ভারত।

 (ছবিটি নেট থেকে নেওয়া, একটি স্ক্রিনশট।) স্বাধীনতার পূর্বে ভারত কীরকম ছিল, ১৯৪৭ সালে ভাগ হওয়ার পর কেমন হয়েছে। কেন ভারত ভাগ করা হয়েছিল সে ...